আশেকা ইরশাদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক এবং সাবেক চেয়ারপারসন। তাঁর গবেষণার ক্ষেত্র জেন্ডার, ভূ-কৌশলগত ও আঞ্চলিক সম্পর্ক নিয়ে। ফিলিস্তিন পরিস্থিতিতে আরব বিশ্বের ভূমিকা...
রাজনীতি যদি মানুষের আশা-ভরসার প্রতীক হয়, তবে তা শুধু ঢাকার পিচঢালা রাস্তায় নয়, প্রতিটি ইউনিয়নের মাটির পথে প্রতিফলিত হতে হবে। কিন্তু আমাদের দেশে রাজনীতি যেন একটি দূরবর্তী বিষয়—শুধু খবরের কাগজে থাকে, জীবনের ভেতরে তা প্রবেশ করে না।
বেছে বেছে এ বিষয়টি নিয়ে সম্পাদকীয় লেখার একটা বিশেষ কারণ আছে। ‘স্বাধীনতা’ শব্দটি কী করে আমাদের হয়েছিল, সে কথা প্রত্যেকে বুঝতে পারলে ভালো হতো। দুঃখের বিষয় হলো, সেটা সবাই বুঝতে পারে না।
গত সপ্তাহে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আশাজাগানিয়া একটি খবর প্রচারিত হওয়ার পর দেশব্যাপী বেশ আলোচনা চলছে। ৫ এপ্রিল থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের উপপ্রধানমন্ত্রী ইউ থান শিউ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও রোহিঙ্গা...
সমগ্র বাংলাদেশ এখন স্বপ্ন দেখছে। আমূল বদলে যাওয়ার স্বপ্ন। বাংলাদেশকে এই স্বপ্ন দেখাচ্ছে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। আরও নির্দিষ্ট করে বললে, এই স্বপ্ন দেখাচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তাঁকে কেন্দ্র করেই স্বপ্নগুলো আবর্তিত হতে শুরু করেছে।
ভারতবর্ষে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বিভিন্ন ধর্ম, বর্ণ ও জাতিগোষ্ঠীর মানুষ সহাবস্থান করলেও ঔপনিবেশিক শাসন এবং ব্রিটিশদের বিভেদমূলক রাজনৈতিক কৌশলের কারণে সাম্প্রদায়িক বিভাজন সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গভীর হয়ে ওঠে। তারই চূড়ান্ত প্রকাশ ঘটে ১৯৪৭ সালে, যখন উপমহাদেশ দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে জন্ম নেয় ভারত ও পাকিস্তান।
কেন্দ্রীয় আকর্ষণ হিসেবে উঠে এসেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ আয়োজিত ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’। আশির দশকে শুরু হওয়া এই শোভাযাত্রা আজ জাতীয় পরিচয়ের এক জীবন্ত প্রতীক। ২০১৬ সালে ইউনেসকো একে অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়, যা আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও আমাদের সাংস্কৃতিক মর্যাদার প্রতীক হিসেবে...
অনেক আগের একটা ঘটনা। সম্ভবত ১৯৮৪-৮৫ সালের দিকে হবে। আমি তখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি। গরিব পিতামাতার অনেক সন্তানের একজন আমি। আব্বা সংসার চালাতেই হিমশিম খেতেন, ছেলেকে নিয়মিত টাকা পাঠাবেন কী করে? তাই আমাকে টিউশনি করতে হতো। থাকতাম ফজলুল হক হলে। আর টিউশনি করতে হেঁটে হেঁটে যেতাম পুরান ঢাকায়।
বেশ কিছুদিন ধরেই মনটা খারাপ। ইদানীং বেশি রকম ভালো থাকে না। কারণ বহুবিধ। সামাজিক ও অর্থনৈতিক কারণই উল্লেখযোগ্য। কাজের মূল্য চাইতে গেলে পুরোটা পাওয়া যায় না। বলা হয়, আর্থিক সংকট। অপেক্ষা করতে হবে। শুধু প্রতিষ্ঠান নয়, গোটা দেশটাই অনেক দিন ধরে আর্থিক দৈন্যে দোল খাচ্ছে। এই দোলায় মাথা ধরে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে ৭ এপ্রিল রাতে। বৈঠকে দলীয় অবস্থান, নির্বাচনকেন্দ্রিক কর্মপরিকল্পনা, সাংস্কৃতিক ইস্যু এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকারবিষয়ক প্রতিক্রিয়া—সবকিছুর সমন্বয়ে একটি সুস্পষ্ট রাজনৈতিক কৌশল নির্ধারণের চেষ্টার প্রতিফলন দেখা যায়। অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন
একই দিনে দুটি ভিন্নধর্মী সংবাদ। একটিতে দেখা যায় আশার আলো, অন্যটিতে মেঘাচ্ছন্ন আকাশের ইঙ্গিত। এ মাসের শুরুতে হঠাৎ করে পাল্টা শুল্ক আরোপের মাধ্যমে সারা দুনিয়া কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর এই ঘোষণায় খোদ যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ার মার্কেটে ধস নেমেছে, এক দিনেই হাজার হাজার ডলার
বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম ও এর প্রাতিষ্ঠানিক বিকাশের ক্ষেত্রে স্বাধীনতার উল্লিখিত ঘোষণাপত্রের এই যে বিশাল ভূমিকা ও অবস্থান, দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, স্বাধীনতা-পরর্বর্তী কোনো সরকারই আজ পর্যন্ত সেটিকে যথেষ্ট গুরুত্ব ও মর্যাদার সাথে তুলে ধরতে আগ্রহ দেখায়নি—এমনকি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকারগুলোও নয়।
আমি বেশ কিছুদিন আগে এক ফিলিস্তিনি অভিনেতার সঙ্গে একটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছি। ওই অভিনেতা দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে হলিউডেও বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন। শুনেছি একবার অস্কারে নমিনেশনও পেয়েছিলেন। অত্যন্ত সজ্জন মানুষ। ফিলিস্তিন নিয়ে আমাদের প্রবল কৌতূহল। শুটিংয়ের ফাঁকে ফাঁকে ওই দেশের কথা জানার চেষ্টা করতাম।
বাংলা ভাষায় একটি অতি পরিচিত শব্দ হলো খই। কারও কারও মুখের ভাষায় আবার ‘খই ফোটে’। এতে কেউ হয় মুগ্ধ আবার এটি অতিরঞ্জিত হলে কেউ হয় বিরক্ত। কারও আবার কথায় তুবড়ি ছোটে, কারওবা ফুলঝুরি। পরিস্থিতির প্রসঙ্গভেদে কেউবা প্রবচন হিসেবে বলে থাকেন ‘নেই কাজ তো খই ভাজ।’
তিরিশোত্তর আধুনিক বাঙালি কবিদের মধ্যে অমিয় চক্রবর্তীর মতো আত্মস্থ কবি আমরা খুব কমই দেখতে পাই। জটিল মার্কিন সমাজে দীর্ঘদিন বসবাস করেও এই উপলব্ধি থেকে তিনি কখনো সরে আসেননি: ‘অপার্থিব কী তা আমার জানা নেই, খোলা চোখের সামনে এই আমার অফুরন্ত দু-দিনের দৃশ্যকাব্য।’ তাঁর একান্ত নিজস্ব চেতনার আদলে নির্মিত এই
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মাহফুজুর রহমান ঘুষ নিয়ে প্রচলিত একটি গল্পকে সম্ভবত খুব গাম্ভীর্যের সঙ্গে মেনে নিয়েছেন। গল্পটি এমন: ব্রিটিশ আমলের ঘটনা। এক তরুণ ম্যাজিস্ট্রেট বিলেত থেকে ভারতবর্ষে এসেছেন খুব বেশি দিন হয়নি।
মধ্যবিত্ত নিজের লাভ-লোকসান বোঝে না এমন অপবাদ তার বিরুদ্ধে বিশ্বের কোনো জায়গায় কখনো করা হয়নি, বাংলাদেশে তো নয়ই। বাঙালি মধ্যবিত্ত সব সময়ই হিসাব করে চলে, লাভের সুযোগ দেখলে উৎফুল্ল হয়, বিপদের আভাস অনুমান করা মাত্র নিজেকে গুটিয়ে নেয়। দুই ব্যাপারের কোনোটাতেই আপেক্ষিকতার ধার ধারে না, এসব ব্যাপারে সে