শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
ইপেপার
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
বিশ্ব
ভারত
পাকিস্তান
চীন
এশিয়া
মধ্যপ্রাচ্য
যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা
লাতিন আমেরিকা
ইউরোপ
আফ্রিকা
সারা দেশ
ঢাকা
চট্টগ্রাম
বরিশাল
ময়মনসিংহ
সিলেট
রংপুর
রাজশাহী
খুলনা
অর্থনীতি
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান
শেয়ারবাজার
করপোরেট
নতুন উদ্যোগ
বিশ্ববাণিজ্য
খেলা
ফুটবল
ক্রিকেট
টেনিস
অন্য খেলা
ফ্রি হিট
মতামত
সাক্ষাৎকার
বিনোদন
সিনেমা
বলিউড
দক্ষিণের সিনেমা
গান
হলিউড
টেলিভিশন
সিরিয়াল
লোক-সংস্কৃতি
ফ্যাক্টচেক
দেশ
বিদেশ
জানি, কিন্তু ভুল
আজকের ফ্যাক্ট
আমাদের সম্পর্কে
ফ্যাক্টচেক টিম
রেটিং
অনুরোধ
প্রযুক্তি
গ্যাজেট
সোশ্যাল মিডিয়া
নো হাউ
চাকরি
ক্যারিয়ার টিপস
ইপেপার
আষাঢ়ে-নয়
আষাঢ়ে-নয়
স্বার্থের সমঝোতা, অসহায় রিপোর্ট
কিছুদিন আগেও মৎস্য ভবনের মোড়ে হাইকোর্টের জমিতে ছিল সড়ক ও জনপথের প্রধান কার্যালয়। ১৯৯৮-৯৯ সালের দিকে সেখানে এক ঠিকাদার খুন হয়েছিলেন ঠিকাদারির ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে বিরোধে। সেই খুনের মামলার ফলোআপ করতে গিয়ে কয়েকজন বড় ঠিকাদারের সঙ্গে চেনাজানা হয়। তাঁদেরই একজন একদিন ফোন দিয়ে সড়ক ভবনে আসতে বললেন।
বাবা যেন ডাকছে আমায়...
মালিবাগ মোড় থেকে গ্রিনলাইন বাস কাউন্টারের দিকে কয়েক পা যেতেই বাঁ দিকে চোখে পড়ে একসময়ের বিশাল এনজিও কারিতাসের কার্যালয়। সেখানকার একটি একতলা টিনের ঘরে বসতেন নটর ডেম কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রিচার্ড উইলিয়াম টিম, যিনি ফাদার টিম নামে সবার কাছে পরিচিত ছিলেন। অবসর নেওয়ার পর ফাদার টিম
প্রশ্নগুলো সহজ, উত্তরও জানা
‘বিচারের বাণী কাঁদে’, শুনতে একটু ক্লিশে লাগে না? এই সময়ে দাঁড়িয়ে মনে হতেই পারে, এভাবে বলা কিছুটা গতানুগতিক। তবু এই শিরোনামে আমার একটি সিরিজ রিপোর্ট পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছিল। সেই প্রতিবেদনগুলোতে উঠে এসেছিল বিচারবঞ্চিত মানুষের হাহাকার।
বড় ঘটনা আড়ালে যায় কেন
পুরোনো পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে মুহাম্মদ আবদুল হান্নানের প্রতি আমার বিশেষ টান ছিল। কাজের ফাঁকে সময়-সুযোগ পেলেই তাঁর কাছে ছুটে যেতাম গল্প শুনতে। একনিষ্ঠ শ্রোতা পেয়ে তিনিও বৈঠকি ঢঙে গল্প চালিয়ে যেতেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা। তাঁর গল্পগুলো সাধারণ কোনো গল্প ছিল না, ছিল হিরের কুচির মতো, যার পরতে পরতে ছড়ানো থাকত
ঘাতক পুলিশ, অসহায় বিচার
মিন্টো রোডে ডিবি অফিসে ঢুকতেই পুকুরপাড়ে যে টিনশেড, তার সামনের একটি কক্ষে বসতেন মহানগর পুলিশের জনসংযোগ কর্মকর্তা, আমরা যাঁকে বলতাম এসি পিআর। তাঁর কক্ষটি ছিল বোর্ডের দেয়াল দিয়ে দুই ভাগ করা। এক পাশে
মৃত্যুর বিন্দুতে শেষ অপেক্ষার প্রহর
ভিক্টর গোমেজের সঙ্গে আমার জানাশোনা অনেক দিনের। তিনি কাজ করতেন ক্রিশ্চিয়ান কমিশন ফর ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ বা সিসিডিবি নামের একটি এনজিওতে। ভিক্টর একদিন অফিসে এসে আমাকে গ্রিন রোডের একটি বাড়িতে নিয়ে যেতে চাইলেন। যাব যাব করে
দিনভর উত্তেজনা, রাতভর অভিযান
ঘুটঘুটে অন্ধকার চারদিক। সড়কবাতিগুলোও ঘুমিয়ে। পায়ের নিচে ইট, পাথর, ভাঙা কাচ আর পুড়ে যাওয়া জিনিসপত্রের ছাই। এখানে-সেখানে গাড়ির ধূম-উদ্গারী পোড়া কঙ্কাল। পুরো ভুতুড়ে পরিবেশ। পথ চলতে ভরসা সেলফোনের
রাষ্ট্রের মদদেই তাঁর উত্থান নিজের দোষে পতন
নিকুঞ্জ-২ আবাসিক এলাকায় তখনো সেভাবে বসবাস শুরু হয়নি। এখন যেখানে ঢাকা রিজেন্সি হোটেল, সেখান থেকে পেছনের দিকে ৮-১০টি সড়কে কেবল বাড়িঘর উঠেছে। নাগরিক টেলিভিশন ভবনের সামনের সড়কটি তখন ছিল বসতির শেষ মাথা। তারপরে খোলা মাঠ, সেখানে দাঁড়ালে দূর থেকে উড়োজাহাজের ওঠানামা দেখা যেত।
স্বপ্ন থেকে দুঃস্বপ্ন, নিঃস্ব নাসিমা
‘ইন্টারোগেশন চেম্বারে’ বসা এক নারী আসামি। দুই হাত চেয়ারের সঙ্গে আটকানো। নড়ার কোনো উপায় নেই। চোখের ওপরে উজ্জ্বল আলো; সামনে কারা আছেন, তা-ও দেখা যাচ্ছে না। তিন সংস্থার তিনজন কর্মকর্তা জেরার জন্য প্রস্তুত। সবার হাতে নারী সম্পর্কে একটি গোপন প্রতিবেদন।
স্ত্রী-সন্তানদেরও মিথ্যা বলতেন হান্নান
ফোন বাজছে তো বাজছেই। ভোরের ঘুমে নিমগ্ন। চোখ মেলে স্ক্রিনে দেখি র্যাবের কমান্ডার মাসুক হাসান। হ্যালো বলতেই বললেন, দৌড় দেন মধ্যবাড্ডার আনন্দনগরে। বিগ শট। নিমেষে ঘুম উবে গেল। পড়িমরি করে উঠে বাইকটা নিয়েই দিলাম ছুট। সোজা বাড্ডায়। ফজরের নামাজ পড়ে লোকজন সবে বের হচ্ছেন। মধ্যবাড্ডার মোড়ে এসে এক মুসল্লির কাছ
চড়া উত্তেজনার নিরুত্তাপ সমাপ্তি
গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছিলেন আওরঙ্গজেব খান লেনিন। তাঁর ছোট ভাই সেলিম ওমরাও খান ছিলেন নামকরা সাপ্তাহিক বিচিত্রার সাংবাদিক। সেই সুবাদে আমরা সাংবাদিকেরা তাঁকে ডাকতাম ‘লেনিন ভাই’ বলে। গুলশানে সেই লেনিন ভাইয়ের দিনকাল...
যে খুনের কিছুই হলো না
যেসব হত্যাকাণ্ড মানুষের বিবেককে নাড়া দেয়, তার রেশ সহজে মিলিয়ে যায় না। মানুষ হয়তো সব সময় প্রতিবাদে সরব থাকতে পারে না, কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে, সবকিছু ভুলে যায়। আসলে ন্যায়বিচারের আকাঙ্ক্ষা
ধুলোয় ঢাকা কেস ডকেট
বেনাপোল মোড় থেকে উত্তর দিকে যে গ্রামটিতে আমরা যাচ্ছি, সেটি কাশীপুর। অর্ধেক বাংলাদেশে, অর্ধেক ভারতে। সীমান্তের উঁচু কাঁটাতার গ্রামটিকে এফোঁড়-ওফোঁড় করেছে। সেই পথ ধরে মিনিট বিশেক চলার পর গাড়ি এসে
বিধির বিধান কাটবে তুমি...
সারা দিন ধরে গাড়িটি রাস্তার পাশে পড়ে আছে। পড়ে আছে মানে, এক পাশে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। পুরোনো টয়োটা সিডান। পথচারী যাঁরা দেখছেন, ভাবছেন, চালক হয়তো আশপাশে কোথাও আছেন। এভাবে সকাল থেকে দুপুর গড়িয়ে যায়, রাত আসে। দখিনা বাতাসে ভেসে আসে দুর্গন্ধ। সন্দেহ হয়, গাড়িটিই গন্ধের উৎস। শোরগোল পড়ে, গাড়িতে কেউ খুন হয়ে
যে হাসির নাম বাংলাদেশ
জীবনে দুবার মুখের হাসি উবে গিয়েছিল চম্পার। প্রথমবার ’৭১-এর এপ্রিলে, যেদিন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাঁকে ধরে নিয়ে গেল। আর দ্বিতীয়বার, যেদিন পাবনা মানসিক হাসপাতালের মতো ভালোবাসার আশ্রয় ছেড়ে আসতে হলো। বাকি সময় হাসিটা লেগেই ছিল মুখে। হানাদারের দল তাঁকে পাঁচ মাস ক্যাম্পে আটকে রেখে অমানুষিক নির্যাতন করে
অসহায় এক পিতার চোখে পানি
দুবার ফোন বেজেছে। তৃতীয়বার বাজতেই ধরে ফেললাম। অফিসের ফোন। ওপারে টেলিফোন অপারেটর সুফলা। তাঁর কণ্ঠে উদ্বেগ, পিলখানা থেকে কে একজন অফিসের টিঅ্যান্ডটি নম্বরে ফোন করে বলেছেন, সেখানে খুব গন্ডগোল হচ্ছে। আচ্ছা, দেখছি, বলে ফোন রাখতে না রাখতেই আবার ফোন। ভাইয়া, অনবরত ফোন আসছে, এখন গোলাগুলি শুরু হয়ে গেছে।
অবশেষে মুচলেকায় মিলল মুক্তি
নভেম্বরের ঠান্ডাটা তখনো জেঁকে বসেনি, কিছুটা তুলতুলে। গায়ে হালকা শীতের কাপড়। মোটরবাইক জোরে চালালেই ঠান্ডা লাগছে। বাইকের পেছনে সহকর্মী বন্ধু আহমেদ দীপু, পায়ের চিকিৎসা করে কিছুদিন আগে ভারত থেকে ফিরেছে। ইস্কাটনের জনকণ্ঠ ভবন থেকে বাসায় ফিরছি আমরা। দীপুর বাসা শাহজাহানপুরে, সেখানে তাঁকে নামিয়ে দিয়ে আমি আসব