কামরুল হাসান

পুরোনো পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে মুহাম্মদ আবদুল হান্নানের প্রতি আমার বিশেষ টান ছিল। কাজের ফাঁকে সময়-সুযোগ পেলেই তাঁর কাছে ছুটে যেতাম গল্প শুনতে। একনিষ্ঠ শ্রোতা পেয়ে তিনিও বৈঠকি ঢঙে গল্প চালিয়ে যেতেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা। তাঁর গল্পগুলো সাধারণ কোনো গল্প ছিল না, ছিল হিরের কুচির মতো, যার পরতে পরতে ছড়ানো থাকত খবরের উপাদান। সংবাদকর্মী হিসেবে সেই গল্প আমাকে আঠার মতো বেঁধে রাখত।
আবদুল হান্নান পান খেতেন কড়া জর্দা দিয়ে। গালে পান না থাকলে তাঁর আলাপই জমত না। আমি সামনে গেলে ‘বও মিয়া’ বলেই একটা পান এমনভাবে মুখে গুঁজে দিতেন, যেন এর চেয়ে সুখ আর কোনো কিছুতে নেই। তাঁর সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বললে মনে হতো, হুমায়ূন আহমেদের নাটকের চরিত্র সামনে বসা।
প্রথম দফায় ক্ষমতায় আসা বিএনপি আমলের শেষের দিকে (১৯৯৬) তিনি ছিলেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার। এরপর আসেন এসবিতে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে তাঁর পোস্টিং হয় ডিবিতে, ডিসি ডিবি হিসেবে। ডিবিতে তখন একজনই ডিসি ছিলেন। এরপর দ্বিতীয় দফায় বিএনপি ক্ষমতায় এসে প্রথম যে ১৫ জন পুলিশ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায়, তিনি ছিলেন সেই তালিকায়। যেদিন অবসরে গেলেন, সেদিনও মুখে একটা পান পুরে হাসতে হাসতে অফিস ছাড়লেন।
একদিন তিনি আমাকে একটি অস্ত্রের চালানের গল্প বললেন। তাঁর কাছে তখন কোনো কাগজপত্র ছিল না, স্মৃতিতে যতটুকু ছিল। সেই গল্প শোনার পর লেগে পড়লাম ঘটনার আদ্যোপান্ত জানতে। দিন দশেকের মধ্যে সব তথ্য মোটাতাজা হয়ে গেল। ফিরে এসে তাঁকে যখন সবকিছু খুলে বললাম, শুনে খুব খুশি হলেন। কিন্তু কী কারণে যেন পত্রিকায় সেই রিপোর্টটা ছাপা হলো না। বছর পাঁচেক পর (১৮ মে ২০০৫, প্রথম আলো) সেই রিপোর্ট ছাপা হলো নতুন কর্মস্থলে। আজ ‘আষাঢ়ে নয়’-এ সেই ঘটনা বলি।
১৯৯৬ সালের ২৪ মার্চ। কক্সবাজারে পরিবেশ হঠাৎ গুমোট। বড় একটি অস্ত্রের চালান আসছে এমন একটি আলোচনা চলছে ভেতরে-ভেতরে, কিন্তু পরিষ্কার করে কেউ কিছু বলতে পারছেন না। পুলিশ ও গোয়েন্দারা নানা দিক থেকে ভাসা ভাসা তথ্য পাচ্ছেন, কিন্তু কিনারা করতে পারছেন না। হঠাৎ স্থানীয় এক ইউপি চেয়ারম্যান ফোন করলেন পুলিশ সুপারের অফিসের নম্বরে। বললেন, চোফলদণ্ডি ইউনিয়নের জেটিঘাটে গভীর রাতে একটি অস্ত্রভর্তি জাহাজ ভিড়ছে। ট্রলার থেকে সেই অস্ত্র ট্রাকে তোলা হবে। এ খবর পেয়েই পুলিশ সুপার যোগাযোগ করেন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে। শুরু করেন অভিযানের প্রস্তুতি।
আবদুল হান্নান আমাকে বলেছিলেন, ঘটনাস্থল ছিল কক্সবাজার শহর থেকে ১২ কিলোমিটার উত্তরে, মহেশখালীর পূর্ব পাশে। রাত দেড়টার দিকে ঘাটে ভেড়ে অস্ত্রভর্তি দুটি ট্রলার। এর একটু পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। একটি ট্রাক আগে থেকেই সেখানে রাখা ছিল। ট্রলার দুটি ঘাটে ভেড়ার সঙ্গে সঙ্গে একদল অস্ত্রধারী চারদিকে দাঁড়িয়ে অস্ত্র খালাস শুরু করে। হঠাৎ চারদিক থেকে তাদের ঘিরে ফেলা হয়। উপায় না দেখে আত্মসমর্পণ করেন ১৩ যুবক, এঁরা কেউ বাংলা জানেন না। জিজ্ঞাসাবাদে বললেন, তাঁরা সবাই নাগাল্যান্ডের বাসিন্দা।
আবদুল হান্নানের সূত্র ধরে কক্সবাজারে গিয়ে সেই ঘটনার কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীকে আমি খুঁজে পেয়েছিলাম। তাঁরা আমাকে বলেছিলেন, অস্ত্র পরিবহনের জন্য আনা আটক ট্রাক দুটির মালিক ছিলেন বাবুল ও কবির কোম্পানি নামের দুই ভাই। তখনকার স্থানীয় বড়শি বোট মালিক সমিতির সভাপতি আবদুল কাদের এবং জিপ-মাইক্রো শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা মো. কামাল বান্দরবানে চালের বস্তা নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ট্রাক দুটি ঈদগাহ এলাকা থেকে ভাড়া করেছিলেন। সে সময় কাদের ও কামালের মধ্যস্থতায় জাহাজ থেকে অস্ত্র খালাসের জন্য ভাড়া করা হয় মাছ ধরার ট্রলার। আর সামনে থেকে অস্ত্রের চালান খালাসের কাজ তদারক করছিলেন ভারতের নাগাল্যান্ডের বিদ্রোহী নেতা সম্বুয়েং। অস্ত্রের চালান ধরা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে সম্বুয়েং পালিয়ে যান। সে সময় অনেকে আমাকে বলেছিলেন, অস্ত্রের চালান আটকের ৮-৯ মাস আগে থেকে তিনি কক্সবাজারের রাখাইনপাড়ায় বসবাস শুরু করেন। সেখানে বিয়েও করেন। পরে ২০০৩ সালে নাগাল্যান্ড পুলিশের গুলিতে সম্বুয়েং মারা যান বলে শুনেছিলাম।
এই অভিযানে থাকা অনেকে আমাকে বলেছিলেন, আটক হওয়া যুবকেরা জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছিলেন, তাঁরা সবাই নাগাল্যান্ডের উগ্রপন্থী গ্রুপের সদস্য। পুরো টিমের নেতৃত্বে ছিলেন গ্রুপের ব্রিগেডিয়ার পদবিধারী জেমস। নাগাল্যান্ডের উখায় তাঁর বাড়ি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আরও ১২ জন, যাঁরা নাগা ভাষা ছাড়া অন্য কোনো ভাষা জানতেন না।
তখন আটক উগ্রপন্থীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছিল যে তাঁরা এই অস্ত্র সংগ্রহ করেছিলেন কম্বোডিয়ার খেমাররুজ বিদ্রোহী গ্রুপের কাছ থেকে। এরপর অস্ত্রভর্তি জাহাজটি গভীর সমুদ্রবন্দরে নোঙর করা হয়। এটি তখন পর্যন্ত ছিল দেশের ইতিহাসে প্রথম বড় অস্ত্রের চালান। অস্ত্রভর্তি জাহাজটি থাইল্যান্ডের একটি বন্দর থেকে এসেছিল।
উদ্ধার করা অস্ত্র প্রথমে নিয়ে আসা হয় কক্সবাজার জেলা পুলিশ লাইনসে। সেই চালানে ছিল এসএমজি ৩১২টি, রাইফেল ১১২টি, এলএমজি ৪৮টি, পিস্তল ১৬৮টি, ম্যাগাজিন ৩ হাজার ৫১৫টি, আরআর চায়নিজ ২০টি, মর্টার-৯টি, মর্টার সাইট ৯টি, এলএমজি ড্রাম ম্যাগাজিন ২৪০টি, এসএমজি ম্যাগাজিন ১৭৯টি, এএমজি ৩ হাজার ৯৩৪টি, অস্ত্রের যন্ত্রাংশ ২ বস্তা, এলএমজি-এসএমজি অ্যাম্যুনেশন ৭৬ বস্তা, এসএমজি ম্যাগাজিন ১১ বস্তা, আরআর গোলা ৬৯ বস্তা, হ্যান্ডগ্রেনেড ১৩ বস্তা এবং ৮ বস্তা বিস্ফোরক।
অস্ত্র উদ্ধারের পর চট্টগ্রামের তৎকালীন জিওসি মেজর জেনারেল আজিজুর রহমান সেখানে পরিদর্শনে গিয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র দেখে উপস্থিত সবার সামনে বিস্ময় প্রকাশ করেন। তিনি তখন উপস্থিত পুলিশ ও গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের বলেছিলেন, এসব অস্ত্র দিয়ে সেনাবাহিনীর একটি ব্রিগেড সাজানো সম্ভব। ওই চালান আটকের সময় উপস্থিত একজন পুলিশ কর্মকর্তা আমাকে বলেছিলেন, অস্ত্র খালাসের সময় ১৩ জন উগ্রপন্থীকে আটক করা হয়েছিল। তাঁদের হাতে তখন উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ওয়াকিটকি ছিল।
অনুসন্ধানের সময় কক্সবাজার আদালতের সাবেক এপিপি নূরুল ইসলাম আমাকে বলেন, ১৩ জন নাগা বিদ্রোহীকে তখন ৫৪ ধারায় কক্সবাজার আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তাঁদের আর খোঁজ পাওয়া যায়নি।
মেজর জেনারেল (অব.) এম আজিজুর রহমান ২০০৫ সালে আমাকে বলেছিলেন, চোফলদণ্ডির আগে আরও একটি চালান ধরা পড়েছিল। তবে সেটা তত বড় নয়।
অস্ত্রের চালান আটকের পর ১৯৯৬ সালের ২৬ মার্চ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা কক্সবাজার শহরে প্রতিবাদ সমাবেশ করে বিএনপি সরকারের পদত্যাগ দাবি করেন, কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর এ নিয়ে আর ঘাঁটাঘাঁটি করেননি। এরপর ২০০৪ সালে চট্টগ্রাম থেকে ১০ ট্রাক অস্ত্রের চালান ধরা পড়ে।
১০ ট্রাক অস্ত্রের চালানের তদন্তে বেরিয়ে আসে, সেই চালানের অর্থ জুগিয়েছিল পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। আর তাদের হয়ে চালানের টাকা অস্ত্র নির্মাতা কোম্পানিকে পরিশোধ করেছিলেন দুবাইয়ের এআরওয়াই টিভির মালিক আবদুর রাজ্জাক ইউসুফ। আমার ধারণা, এই চালানের সঙ্গেও তারা থাকতে পারে।
আবদুল হান্নানের সঙ্গে আমার শেষ কথা হয়েছিল বছরখানেক আগে। কথায় কথায় তাঁকে বলেছিলাম, আপনার কাছ থেকে অনেক কিছু জেনেছি, শিখেছিও। তিনি হাসতে হাসতে বললেন, শুধু পান খাওয়াটা শিখলেন না।
আরও পড়ুন:

পুরোনো পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে মুহাম্মদ আবদুল হান্নানের প্রতি আমার বিশেষ টান ছিল। কাজের ফাঁকে সময়-সুযোগ পেলেই তাঁর কাছে ছুটে যেতাম গল্প শুনতে। একনিষ্ঠ শ্রোতা পেয়ে তিনিও বৈঠকি ঢঙে গল্প চালিয়ে যেতেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা। তাঁর গল্পগুলো সাধারণ কোনো গল্প ছিল না, ছিল হিরের কুচির মতো, যার পরতে পরতে ছড়ানো থাকত খবরের উপাদান। সংবাদকর্মী হিসেবে সেই গল্প আমাকে আঠার মতো বেঁধে রাখত।
আবদুল হান্নান পান খেতেন কড়া জর্দা দিয়ে। গালে পান না থাকলে তাঁর আলাপই জমত না। আমি সামনে গেলে ‘বও মিয়া’ বলেই একটা পান এমনভাবে মুখে গুঁজে দিতেন, যেন এর চেয়ে সুখ আর কোনো কিছুতে নেই। তাঁর সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বললে মনে হতো, হুমায়ূন আহমেদের নাটকের চরিত্র সামনে বসা।
প্রথম দফায় ক্ষমতায় আসা বিএনপি আমলের শেষের দিকে (১৯৯৬) তিনি ছিলেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার। এরপর আসেন এসবিতে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে তাঁর পোস্টিং হয় ডিবিতে, ডিসি ডিবি হিসেবে। ডিবিতে তখন একজনই ডিসি ছিলেন। এরপর দ্বিতীয় দফায় বিএনপি ক্ষমতায় এসে প্রথম যে ১৫ জন পুলিশ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায়, তিনি ছিলেন সেই তালিকায়। যেদিন অবসরে গেলেন, সেদিনও মুখে একটা পান পুরে হাসতে হাসতে অফিস ছাড়লেন।
একদিন তিনি আমাকে একটি অস্ত্রের চালানের গল্প বললেন। তাঁর কাছে তখন কোনো কাগজপত্র ছিল না, স্মৃতিতে যতটুকু ছিল। সেই গল্প শোনার পর লেগে পড়লাম ঘটনার আদ্যোপান্ত জানতে। দিন দশেকের মধ্যে সব তথ্য মোটাতাজা হয়ে গেল। ফিরে এসে তাঁকে যখন সবকিছু খুলে বললাম, শুনে খুব খুশি হলেন। কিন্তু কী কারণে যেন পত্রিকায় সেই রিপোর্টটা ছাপা হলো না। বছর পাঁচেক পর (১৮ মে ২০০৫, প্রথম আলো) সেই রিপোর্ট ছাপা হলো নতুন কর্মস্থলে। আজ ‘আষাঢ়ে নয়’-এ সেই ঘটনা বলি।
১৯৯৬ সালের ২৪ মার্চ। কক্সবাজারে পরিবেশ হঠাৎ গুমোট। বড় একটি অস্ত্রের চালান আসছে এমন একটি আলোচনা চলছে ভেতরে-ভেতরে, কিন্তু পরিষ্কার করে কেউ কিছু বলতে পারছেন না। পুলিশ ও গোয়েন্দারা নানা দিক থেকে ভাসা ভাসা তথ্য পাচ্ছেন, কিন্তু কিনারা করতে পারছেন না। হঠাৎ স্থানীয় এক ইউপি চেয়ারম্যান ফোন করলেন পুলিশ সুপারের অফিসের নম্বরে। বললেন, চোফলদণ্ডি ইউনিয়নের জেটিঘাটে গভীর রাতে একটি অস্ত্রভর্তি জাহাজ ভিড়ছে। ট্রলার থেকে সেই অস্ত্র ট্রাকে তোলা হবে। এ খবর পেয়েই পুলিশ সুপার যোগাযোগ করেন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে। শুরু করেন অভিযানের প্রস্তুতি।
আবদুল হান্নান আমাকে বলেছিলেন, ঘটনাস্থল ছিল কক্সবাজার শহর থেকে ১২ কিলোমিটার উত্তরে, মহেশখালীর পূর্ব পাশে। রাত দেড়টার দিকে ঘাটে ভেড়ে অস্ত্রভর্তি দুটি ট্রলার। এর একটু পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। একটি ট্রাক আগে থেকেই সেখানে রাখা ছিল। ট্রলার দুটি ঘাটে ভেড়ার সঙ্গে সঙ্গে একদল অস্ত্রধারী চারদিকে দাঁড়িয়ে অস্ত্র খালাস শুরু করে। হঠাৎ চারদিক থেকে তাদের ঘিরে ফেলা হয়। উপায় না দেখে আত্মসমর্পণ করেন ১৩ যুবক, এঁরা কেউ বাংলা জানেন না। জিজ্ঞাসাবাদে বললেন, তাঁরা সবাই নাগাল্যান্ডের বাসিন্দা।
আবদুল হান্নানের সূত্র ধরে কক্সবাজারে গিয়ে সেই ঘটনার কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীকে আমি খুঁজে পেয়েছিলাম। তাঁরা আমাকে বলেছিলেন, অস্ত্র পরিবহনের জন্য আনা আটক ট্রাক দুটির মালিক ছিলেন বাবুল ও কবির কোম্পানি নামের দুই ভাই। তখনকার স্থানীয় বড়শি বোট মালিক সমিতির সভাপতি আবদুল কাদের এবং জিপ-মাইক্রো শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা মো. কামাল বান্দরবানে চালের বস্তা নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ট্রাক দুটি ঈদগাহ এলাকা থেকে ভাড়া করেছিলেন। সে সময় কাদের ও কামালের মধ্যস্থতায় জাহাজ থেকে অস্ত্র খালাসের জন্য ভাড়া করা হয় মাছ ধরার ট্রলার। আর সামনে থেকে অস্ত্রের চালান খালাসের কাজ তদারক করছিলেন ভারতের নাগাল্যান্ডের বিদ্রোহী নেতা সম্বুয়েং। অস্ত্রের চালান ধরা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে সম্বুয়েং পালিয়ে যান। সে সময় অনেকে আমাকে বলেছিলেন, অস্ত্রের চালান আটকের ৮-৯ মাস আগে থেকে তিনি কক্সবাজারের রাখাইনপাড়ায় বসবাস শুরু করেন। সেখানে বিয়েও করেন। পরে ২০০৩ সালে নাগাল্যান্ড পুলিশের গুলিতে সম্বুয়েং মারা যান বলে শুনেছিলাম।
এই অভিযানে থাকা অনেকে আমাকে বলেছিলেন, আটক হওয়া যুবকেরা জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছিলেন, তাঁরা সবাই নাগাল্যান্ডের উগ্রপন্থী গ্রুপের সদস্য। পুরো টিমের নেতৃত্বে ছিলেন গ্রুপের ব্রিগেডিয়ার পদবিধারী জেমস। নাগাল্যান্ডের উখায় তাঁর বাড়ি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আরও ১২ জন, যাঁরা নাগা ভাষা ছাড়া অন্য কোনো ভাষা জানতেন না।
তখন আটক উগ্রপন্থীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছিল যে তাঁরা এই অস্ত্র সংগ্রহ করেছিলেন কম্বোডিয়ার খেমাররুজ বিদ্রোহী গ্রুপের কাছ থেকে। এরপর অস্ত্রভর্তি জাহাজটি গভীর সমুদ্রবন্দরে নোঙর করা হয়। এটি তখন পর্যন্ত ছিল দেশের ইতিহাসে প্রথম বড় অস্ত্রের চালান। অস্ত্রভর্তি জাহাজটি থাইল্যান্ডের একটি বন্দর থেকে এসেছিল।
উদ্ধার করা অস্ত্র প্রথমে নিয়ে আসা হয় কক্সবাজার জেলা পুলিশ লাইনসে। সেই চালানে ছিল এসএমজি ৩১২টি, রাইফেল ১১২টি, এলএমজি ৪৮টি, পিস্তল ১৬৮টি, ম্যাগাজিন ৩ হাজার ৫১৫টি, আরআর চায়নিজ ২০টি, মর্টার-৯টি, মর্টার সাইট ৯টি, এলএমজি ড্রাম ম্যাগাজিন ২৪০টি, এসএমজি ম্যাগাজিন ১৭৯টি, এএমজি ৩ হাজার ৯৩৪টি, অস্ত্রের যন্ত্রাংশ ২ বস্তা, এলএমজি-এসএমজি অ্যাম্যুনেশন ৭৬ বস্তা, এসএমজি ম্যাগাজিন ১১ বস্তা, আরআর গোলা ৬৯ বস্তা, হ্যান্ডগ্রেনেড ১৩ বস্তা এবং ৮ বস্তা বিস্ফোরক।
অস্ত্র উদ্ধারের পর চট্টগ্রামের তৎকালীন জিওসি মেজর জেনারেল আজিজুর রহমান সেখানে পরিদর্শনে গিয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র দেখে উপস্থিত সবার সামনে বিস্ময় প্রকাশ করেন। তিনি তখন উপস্থিত পুলিশ ও গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের বলেছিলেন, এসব অস্ত্র দিয়ে সেনাবাহিনীর একটি ব্রিগেড সাজানো সম্ভব। ওই চালান আটকের সময় উপস্থিত একজন পুলিশ কর্মকর্তা আমাকে বলেছিলেন, অস্ত্র খালাসের সময় ১৩ জন উগ্রপন্থীকে আটক করা হয়েছিল। তাঁদের হাতে তখন উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ওয়াকিটকি ছিল।
অনুসন্ধানের সময় কক্সবাজার আদালতের সাবেক এপিপি নূরুল ইসলাম আমাকে বলেন, ১৩ জন নাগা বিদ্রোহীকে তখন ৫৪ ধারায় কক্সবাজার আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তাঁদের আর খোঁজ পাওয়া যায়নি।
মেজর জেনারেল (অব.) এম আজিজুর রহমান ২০০৫ সালে আমাকে বলেছিলেন, চোফলদণ্ডির আগে আরও একটি চালান ধরা পড়েছিল। তবে সেটা তত বড় নয়।
অস্ত্রের চালান আটকের পর ১৯৯৬ সালের ২৬ মার্চ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা কক্সবাজার শহরে প্রতিবাদ সমাবেশ করে বিএনপি সরকারের পদত্যাগ দাবি করেন, কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর এ নিয়ে আর ঘাঁটাঘাঁটি করেননি। এরপর ২০০৪ সালে চট্টগ্রাম থেকে ১০ ট্রাক অস্ত্রের চালান ধরা পড়ে।
১০ ট্রাক অস্ত্রের চালানের তদন্তে বেরিয়ে আসে, সেই চালানের অর্থ জুগিয়েছিল পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। আর তাদের হয়ে চালানের টাকা অস্ত্র নির্মাতা কোম্পানিকে পরিশোধ করেছিলেন দুবাইয়ের এআরওয়াই টিভির মালিক আবদুর রাজ্জাক ইউসুফ। আমার ধারণা, এই চালানের সঙ্গেও তারা থাকতে পারে।
আবদুল হান্নানের সঙ্গে আমার শেষ কথা হয়েছিল বছরখানেক আগে। কথায় কথায় তাঁকে বলেছিলাম, আপনার কাছ থেকে অনেক কিছু জেনেছি, শিখেছিও। তিনি হাসতে হাসতে বললেন, শুধু পান খাওয়াটা শিখলেন না।
আরও পড়ুন:
কামরুল হাসান

পুরোনো পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে মুহাম্মদ আবদুল হান্নানের প্রতি আমার বিশেষ টান ছিল। কাজের ফাঁকে সময়-সুযোগ পেলেই তাঁর কাছে ছুটে যেতাম গল্প শুনতে। একনিষ্ঠ শ্রোতা পেয়ে তিনিও বৈঠকি ঢঙে গল্প চালিয়ে যেতেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা। তাঁর গল্পগুলো সাধারণ কোনো গল্প ছিল না, ছিল হিরের কুচির মতো, যার পরতে পরতে ছড়ানো থাকত খবরের উপাদান। সংবাদকর্মী হিসেবে সেই গল্প আমাকে আঠার মতো বেঁধে রাখত।
আবদুল হান্নান পান খেতেন কড়া জর্দা দিয়ে। গালে পান না থাকলে তাঁর আলাপই জমত না। আমি সামনে গেলে ‘বও মিয়া’ বলেই একটা পান এমনভাবে মুখে গুঁজে দিতেন, যেন এর চেয়ে সুখ আর কোনো কিছুতে নেই। তাঁর সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বললে মনে হতো, হুমায়ূন আহমেদের নাটকের চরিত্র সামনে বসা।
প্রথম দফায় ক্ষমতায় আসা বিএনপি আমলের শেষের দিকে (১৯৯৬) তিনি ছিলেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার। এরপর আসেন এসবিতে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে তাঁর পোস্টিং হয় ডিবিতে, ডিসি ডিবি হিসেবে। ডিবিতে তখন একজনই ডিসি ছিলেন। এরপর দ্বিতীয় দফায় বিএনপি ক্ষমতায় এসে প্রথম যে ১৫ জন পুলিশ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায়, তিনি ছিলেন সেই তালিকায়। যেদিন অবসরে গেলেন, সেদিনও মুখে একটা পান পুরে হাসতে হাসতে অফিস ছাড়লেন।
একদিন তিনি আমাকে একটি অস্ত্রের চালানের গল্প বললেন। তাঁর কাছে তখন কোনো কাগজপত্র ছিল না, স্মৃতিতে যতটুকু ছিল। সেই গল্প শোনার পর লেগে পড়লাম ঘটনার আদ্যোপান্ত জানতে। দিন দশেকের মধ্যে সব তথ্য মোটাতাজা হয়ে গেল। ফিরে এসে তাঁকে যখন সবকিছু খুলে বললাম, শুনে খুব খুশি হলেন। কিন্তু কী কারণে যেন পত্রিকায় সেই রিপোর্টটা ছাপা হলো না। বছর পাঁচেক পর (১৮ মে ২০০৫, প্রথম আলো) সেই রিপোর্ট ছাপা হলো নতুন কর্মস্থলে। আজ ‘আষাঢ়ে নয়’-এ সেই ঘটনা বলি।
১৯৯৬ সালের ২৪ মার্চ। কক্সবাজারে পরিবেশ হঠাৎ গুমোট। বড় একটি অস্ত্রের চালান আসছে এমন একটি আলোচনা চলছে ভেতরে-ভেতরে, কিন্তু পরিষ্কার করে কেউ কিছু বলতে পারছেন না। পুলিশ ও গোয়েন্দারা নানা দিক থেকে ভাসা ভাসা তথ্য পাচ্ছেন, কিন্তু কিনারা করতে পারছেন না। হঠাৎ স্থানীয় এক ইউপি চেয়ারম্যান ফোন করলেন পুলিশ সুপারের অফিসের নম্বরে। বললেন, চোফলদণ্ডি ইউনিয়নের জেটিঘাটে গভীর রাতে একটি অস্ত্রভর্তি জাহাজ ভিড়ছে। ট্রলার থেকে সেই অস্ত্র ট্রাকে তোলা হবে। এ খবর পেয়েই পুলিশ সুপার যোগাযোগ করেন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে। শুরু করেন অভিযানের প্রস্তুতি।
আবদুল হান্নান আমাকে বলেছিলেন, ঘটনাস্থল ছিল কক্সবাজার শহর থেকে ১২ কিলোমিটার উত্তরে, মহেশখালীর পূর্ব পাশে। রাত দেড়টার দিকে ঘাটে ভেড়ে অস্ত্রভর্তি দুটি ট্রলার। এর একটু পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। একটি ট্রাক আগে থেকেই সেখানে রাখা ছিল। ট্রলার দুটি ঘাটে ভেড়ার সঙ্গে সঙ্গে একদল অস্ত্রধারী চারদিকে দাঁড়িয়ে অস্ত্র খালাস শুরু করে। হঠাৎ চারদিক থেকে তাদের ঘিরে ফেলা হয়। উপায় না দেখে আত্মসমর্পণ করেন ১৩ যুবক, এঁরা কেউ বাংলা জানেন না। জিজ্ঞাসাবাদে বললেন, তাঁরা সবাই নাগাল্যান্ডের বাসিন্দা।
আবদুল হান্নানের সূত্র ধরে কক্সবাজারে গিয়ে সেই ঘটনার কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীকে আমি খুঁজে পেয়েছিলাম। তাঁরা আমাকে বলেছিলেন, অস্ত্র পরিবহনের জন্য আনা আটক ট্রাক দুটির মালিক ছিলেন বাবুল ও কবির কোম্পানি নামের দুই ভাই। তখনকার স্থানীয় বড়শি বোট মালিক সমিতির সভাপতি আবদুল কাদের এবং জিপ-মাইক্রো শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা মো. কামাল বান্দরবানে চালের বস্তা নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ট্রাক দুটি ঈদগাহ এলাকা থেকে ভাড়া করেছিলেন। সে সময় কাদের ও কামালের মধ্যস্থতায় জাহাজ থেকে অস্ত্র খালাসের জন্য ভাড়া করা হয় মাছ ধরার ট্রলার। আর সামনে থেকে অস্ত্রের চালান খালাসের কাজ তদারক করছিলেন ভারতের নাগাল্যান্ডের বিদ্রোহী নেতা সম্বুয়েং। অস্ত্রের চালান ধরা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে সম্বুয়েং পালিয়ে যান। সে সময় অনেকে আমাকে বলেছিলেন, অস্ত্রের চালান আটকের ৮-৯ মাস আগে থেকে তিনি কক্সবাজারের রাখাইনপাড়ায় বসবাস শুরু করেন। সেখানে বিয়েও করেন। পরে ২০০৩ সালে নাগাল্যান্ড পুলিশের গুলিতে সম্বুয়েং মারা যান বলে শুনেছিলাম।
এই অভিযানে থাকা অনেকে আমাকে বলেছিলেন, আটক হওয়া যুবকেরা জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছিলেন, তাঁরা সবাই নাগাল্যান্ডের উগ্রপন্থী গ্রুপের সদস্য। পুরো টিমের নেতৃত্বে ছিলেন গ্রুপের ব্রিগেডিয়ার পদবিধারী জেমস। নাগাল্যান্ডের উখায় তাঁর বাড়ি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আরও ১২ জন, যাঁরা নাগা ভাষা ছাড়া অন্য কোনো ভাষা জানতেন না।
তখন আটক উগ্রপন্থীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছিল যে তাঁরা এই অস্ত্র সংগ্রহ করেছিলেন কম্বোডিয়ার খেমাররুজ বিদ্রোহী গ্রুপের কাছ থেকে। এরপর অস্ত্রভর্তি জাহাজটি গভীর সমুদ্রবন্দরে নোঙর করা হয়। এটি তখন পর্যন্ত ছিল দেশের ইতিহাসে প্রথম বড় অস্ত্রের চালান। অস্ত্রভর্তি জাহাজটি থাইল্যান্ডের একটি বন্দর থেকে এসেছিল।
উদ্ধার করা অস্ত্র প্রথমে নিয়ে আসা হয় কক্সবাজার জেলা পুলিশ লাইনসে। সেই চালানে ছিল এসএমজি ৩১২টি, রাইফেল ১১২টি, এলএমজি ৪৮টি, পিস্তল ১৬৮টি, ম্যাগাজিন ৩ হাজার ৫১৫টি, আরআর চায়নিজ ২০টি, মর্টার-৯টি, মর্টার সাইট ৯টি, এলএমজি ড্রাম ম্যাগাজিন ২৪০টি, এসএমজি ম্যাগাজিন ১৭৯টি, এএমজি ৩ হাজার ৯৩৪টি, অস্ত্রের যন্ত্রাংশ ২ বস্তা, এলএমজি-এসএমজি অ্যাম্যুনেশন ৭৬ বস্তা, এসএমজি ম্যাগাজিন ১১ বস্তা, আরআর গোলা ৬৯ বস্তা, হ্যান্ডগ্রেনেড ১৩ বস্তা এবং ৮ বস্তা বিস্ফোরক।
অস্ত্র উদ্ধারের পর চট্টগ্রামের তৎকালীন জিওসি মেজর জেনারেল আজিজুর রহমান সেখানে পরিদর্শনে গিয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র দেখে উপস্থিত সবার সামনে বিস্ময় প্রকাশ করেন। তিনি তখন উপস্থিত পুলিশ ও গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের বলেছিলেন, এসব অস্ত্র দিয়ে সেনাবাহিনীর একটি ব্রিগেড সাজানো সম্ভব। ওই চালান আটকের সময় উপস্থিত একজন পুলিশ কর্মকর্তা আমাকে বলেছিলেন, অস্ত্র খালাসের সময় ১৩ জন উগ্রপন্থীকে আটক করা হয়েছিল। তাঁদের হাতে তখন উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ওয়াকিটকি ছিল।
অনুসন্ধানের সময় কক্সবাজার আদালতের সাবেক এপিপি নূরুল ইসলাম আমাকে বলেন, ১৩ জন নাগা বিদ্রোহীকে তখন ৫৪ ধারায় কক্সবাজার আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তাঁদের আর খোঁজ পাওয়া যায়নি।
মেজর জেনারেল (অব.) এম আজিজুর রহমান ২০০৫ সালে আমাকে বলেছিলেন, চোফলদণ্ডির আগে আরও একটি চালান ধরা পড়েছিল। তবে সেটা তত বড় নয়।
অস্ত্রের চালান আটকের পর ১৯৯৬ সালের ২৬ মার্চ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা কক্সবাজার শহরে প্রতিবাদ সমাবেশ করে বিএনপি সরকারের পদত্যাগ দাবি করেন, কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর এ নিয়ে আর ঘাঁটাঘাঁটি করেননি। এরপর ২০০৪ সালে চট্টগ্রাম থেকে ১০ ট্রাক অস্ত্রের চালান ধরা পড়ে।
১০ ট্রাক অস্ত্রের চালানের তদন্তে বেরিয়ে আসে, সেই চালানের অর্থ জুগিয়েছিল পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। আর তাদের হয়ে চালানের টাকা অস্ত্র নির্মাতা কোম্পানিকে পরিশোধ করেছিলেন দুবাইয়ের এআরওয়াই টিভির মালিক আবদুর রাজ্জাক ইউসুফ। আমার ধারণা, এই চালানের সঙ্গেও তারা থাকতে পারে।
আবদুল হান্নানের সঙ্গে আমার শেষ কথা হয়েছিল বছরখানেক আগে। কথায় কথায় তাঁকে বলেছিলাম, আপনার কাছ থেকে অনেক কিছু জেনেছি, শিখেছিও। তিনি হাসতে হাসতে বললেন, শুধু পান খাওয়াটা শিখলেন না।
আরও পড়ুন:

পুরোনো পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে মুহাম্মদ আবদুল হান্নানের প্রতি আমার বিশেষ টান ছিল। কাজের ফাঁকে সময়-সুযোগ পেলেই তাঁর কাছে ছুটে যেতাম গল্প শুনতে। একনিষ্ঠ শ্রোতা পেয়ে তিনিও বৈঠকি ঢঙে গল্প চালিয়ে যেতেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা। তাঁর গল্পগুলো সাধারণ কোনো গল্প ছিল না, ছিল হিরের কুচির মতো, যার পরতে পরতে ছড়ানো থাকত খবরের উপাদান। সংবাদকর্মী হিসেবে সেই গল্প আমাকে আঠার মতো বেঁধে রাখত।
আবদুল হান্নান পান খেতেন কড়া জর্দা দিয়ে। গালে পান না থাকলে তাঁর আলাপই জমত না। আমি সামনে গেলে ‘বও মিয়া’ বলেই একটা পান এমনভাবে মুখে গুঁজে দিতেন, যেন এর চেয়ে সুখ আর কোনো কিছুতে নেই। তাঁর সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বললে মনে হতো, হুমায়ূন আহমেদের নাটকের চরিত্র সামনে বসা।
প্রথম দফায় ক্ষমতায় আসা বিএনপি আমলের শেষের দিকে (১৯৯৬) তিনি ছিলেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার। এরপর আসেন এসবিতে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে তাঁর পোস্টিং হয় ডিবিতে, ডিসি ডিবি হিসেবে। ডিবিতে তখন একজনই ডিসি ছিলেন। এরপর দ্বিতীয় দফায় বিএনপি ক্ষমতায় এসে প্রথম যে ১৫ জন পুলিশ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায়, তিনি ছিলেন সেই তালিকায়। যেদিন অবসরে গেলেন, সেদিনও মুখে একটা পান পুরে হাসতে হাসতে অফিস ছাড়লেন।
একদিন তিনি আমাকে একটি অস্ত্রের চালানের গল্প বললেন। তাঁর কাছে তখন কোনো কাগজপত্র ছিল না, স্মৃতিতে যতটুকু ছিল। সেই গল্প শোনার পর লেগে পড়লাম ঘটনার আদ্যোপান্ত জানতে। দিন দশেকের মধ্যে সব তথ্য মোটাতাজা হয়ে গেল। ফিরে এসে তাঁকে যখন সবকিছু খুলে বললাম, শুনে খুব খুশি হলেন। কিন্তু কী কারণে যেন পত্রিকায় সেই রিপোর্টটা ছাপা হলো না। বছর পাঁচেক পর (১৮ মে ২০০৫, প্রথম আলো) সেই রিপোর্ট ছাপা হলো নতুন কর্মস্থলে। আজ ‘আষাঢ়ে নয়’-এ সেই ঘটনা বলি।
১৯৯৬ সালের ২৪ মার্চ। কক্সবাজারে পরিবেশ হঠাৎ গুমোট। বড় একটি অস্ত্রের চালান আসছে এমন একটি আলোচনা চলছে ভেতরে-ভেতরে, কিন্তু পরিষ্কার করে কেউ কিছু বলতে পারছেন না। পুলিশ ও গোয়েন্দারা নানা দিক থেকে ভাসা ভাসা তথ্য পাচ্ছেন, কিন্তু কিনারা করতে পারছেন না। হঠাৎ স্থানীয় এক ইউপি চেয়ারম্যান ফোন করলেন পুলিশ সুপারের অফিসের নম্বরে। বললেন, চোফলদণ্ডি ইউনিয়নের জেটিঘাটে গভীর রাতে একটি অস্ত্রভর্তি জাহাজ ভিড়ছে। ট্রলার থেকে সেই অস্ত্র ট্রাকে তোলা হবে। এ খবর পেয়েই পুলিশ সুপার যোগাযোগ করেন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে। শুরু করেন অভিযানের প্রস্তুতি।
আবদুল হান্নান আমাকে বলেছিলেন, ঘটনাস্থল ছিল কক্সবাজার শহর থেকে ১২ কিলোমিটার উত্তরে, মহেশখালীর পূর্ব পাশে। রাত দেড়টার দিকে ঘাটে ভেড়ে অস্ত্রভর্তি দুটি ট্রলার। এর একটু পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। একটি ট্রাক আগে থেকেই সেখানে রাখা ছিল। ট্রলার দুটি ঘাটে ভেড়ার সঙ্গে সঙ্গে একদল অস্ত্রধারী চারদিকে দাঁড়িয়ে অস্ত্র খালাস শুরু করে। হঠাৎ চারদিক থেকে তাদের ঘিরে ফেলা হয়। উপায় না দেখে আত্মসমর্পণ করেন ১৩ যুবক, এঁরা কেউ বাংলা জানেন না। জিজ্ঞাসাবাদে বললেন, তাঁরা সবাই নাগাল্যান্ডের বাসিন্দা।
আবদুল হান্নানের সূত্র ধরে কক্সবাজারে গিয়ে সেই ঘটনার কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীকে আমি খুঁজে পেয়েছিলাম। তাঁরা আমাকে বলেছিলেন, অস্ত্র পরিবহনের জন্য আনা আটক ট্রাক দুটির মালিক ছিলেন বাবুল ও কবির কোম্পানি নামের দুই ভাই। তখনকার স্থানীয় বড়শি বোট মালিক সমিতির সভাপতি আবদুল কাদের এবং জিপ-মাইক্রো শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা মো. কামাল বান্দরবানে চালের বস্তা নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ট্রাক দুটি ঈদগাহ এলাকা থেকে ভাড়া করেছিলেন। সে সময় কাদের ও কামালের মধ্যস্থতায় জাহাজ থেকে অস্ত্র খালাসের জন্য ভাড়া করা হয় মাছ ধরার ট্রলার। আর সামনে থেকে অস্ত্রের চালান খালাসের কাজ তদারক করছিলেন ভারতের নাগাল্যান্ডের বিদ্রোহী নেতা সম্বুয়েং। অস্ত্রের চালান ধরা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে সম্বুয়েং পালিয়ে যান। সে সময় অনেকে আমাকে বলেছিলেন, অস্ত্রের চালান আটকের ৮-৯ মাস আগে থেকে তিনি কক্সবাজারের রাখাইনপাড়ায় বসবাস শুরু করেন। সেখানে বিয়েও করেন। পরে ২০০৩ সালে নাগাল্যান্ড পুলিশের গুলিতে সম্বুয়েং মারা যান বলে শুনেছিলাম।
এই অভিযানে থাকা অনেকে আমাকে বলেছিলেন, আটক হওয়া যুবকেরা জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছিলেন, তাঁরা সবাই নাগাল্যান্ডের উগ্রপন্থী গ্রুপের সদস্য। পুরো টিমের নেতৃত্বে ছিলেন গ্রুপের ব্রিগেডিয়ার পদবিধারী জেমস। নাগাল্যান্ডের উখায় তাঁর বাড়ি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আরও ১২ জন, যাঁরা নাগা ভাষা ছাড়া অন্য কোনো ভাষা জানতেন না।
তখন আটক উগ্রপন্থীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছিল যে তাঁরা এই অস্ত্র সংগ্রহ করেছিলেন কম্বোডিয়ার খেমাররুজ বিদ্রোহী গ্রুপের কাছ থেকে। এরপর অস্ত্রভর্তি জাহাজটি গভীর সমুদ্রবন্দরে নোঙর করা হয়। এটি তখন পর্যন্ত ছিল দেশের ইতিহাসে প্রথম বড় অস্ত্রের চালান। অস্ত্রভর্তি জাহাজটি থাইল্যান্ডের একটি বন্দর থেকে এসেছিল।
উদ্ধার করা অস্ত্র প্রথমে নিয়ে আসা হয় কক্সবাজার জেলা পুলিশ লাইনসে। সেই চালানে ছিল এসএমজি ৩১২টি, রাইফেল ১১২টি, এলএমজি ৪৮টি, পিস্তল ১৬৮টি, ম্যাগাজিন ৩ হাজার ৫১৫টি, আরআর চায়নিজ ২০টি, মর্টার-৯টি, মর্টার সাইট ৯টি, এলএমজি ড্রাম ম্যাগাজিন ২৪০টি, এসএমজি ম্যাগাজিন ১৭৯টি, এএমজি ৩ হাজার ৯৩৪টি, অস্ত্রের যন্ত্রাংশ ২ বস্তা, এলএমজি-এসএমজি অ্যাম্যুনেশন ৭৬ বস্তা, এসএমজি ম্যাগাজিন ১১ বস্তা, আরআর গোলা ৬৯ বস্তা, হ্যান্ডগ্রেনেড ১৩ বস্তা এবং ৮ বস্তা বিস্ফোরক।
অস্ত্র উদ্ধারের পর চট্টগ্রামের তৎকালীন জিওসি মেজর জেনারেল আজিজুর রহমান সেখানে পরিদর্শনে গিয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র দেখে উপস্থিত সবার সামনে বিস্ময় প্রকাশ করেন। তিনি তখন উপস্থিত পুলিশ ও গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের বলেছিলেন, এসব অস্ত্র দিয়ে সেনাবাহিনীর একটি ব্রিগেড সাজানো সম্ভব। ওই চালান আটকের সময় উপস্থিত একজন পুলিশ কর্মকর্তা আমাকে বলেছিলেন, অস্ত্র খালাসের সময় ১৩ জন উগ্রপন্থীকে আটক করা হয়েছিল। তাঁদের হাতে তখন উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ওয়াকিটকি ছিল।
অনুসন্ধানের সময় কক্সবাজার আদালতের সাবেক এপিপি নূরুল ইসলাম আমাকে বলেন, ১৩ জন নাগা বিদ্রোহীকে তখন ৫৪ ধারায় কক্সবাজার আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তাঁদের আর খোঁজ পাওয়া যায়নি।
মেজর জেনারেল (অব.) এম আজিজুর রহমান ২০০৫ সালে আমাকে বলেছিলেন, চোফলদণ্ডির আগে আরও একটি চালান ধরা পড়েছিল। তবে সেটা তত বড় নয়।
অস্ত্রের চালান আটকের পর ১৯৯৬ সালের ২৬ মার্চ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা কক্সবাজার শহরে প্রতিবাদ সমাবেশ করে বিএনপি সরকারের পদত্যাগ দাবি করেন, কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর এ নিয়ে আর ঘাঁটাঘাঁটি করেননি। এরপর ২০০৪ সালে চট্টগ্রাম থেকে ১০ ট্রাক অস্ত্রের চালান ধরা পড়ে।
১০ ট্রাক অস্ত্রের চালানের তদন্তে বেরিয়ে আসে, সেই চালানের অর্থ জুগিয়েছিল পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। আর তাদের হয়ে চালানের টাকা অস্ত্র নির্মাতা কোম্পানিকে পরিশোধ করেছিলেন দুবাইয়ের এআরওয়াই টিভির মালিক আবদুর রাজ্জাক ইউসুফ। আমার ধারণা, এই চালানের সঙ্গেও তারা থাকতে পারে।
আবদুল হান্নানের সঙ্গে আমার শেষ কথা হয়েছিল বছরখানেক আগে। কথায় কথায় তাঁকে বলেছিলাম, আপনার কাছ থেকে অনেক কিছু জেনেছি, শিখেছিও। তিনি হাসতে হাসতে বললেন, শুধু পান খাওয়াটা শিখলেন না।
আরও পড়ুন:

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৫ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৮ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৮ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৯ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

পুরোনো পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে মুহাম্মদ আবদুল হান্নানের প্রতি আমার বিশেষ টান ছিল। কাজের ফাঁকে সময়-সুযোগ পেলেই তাঁর কাছে ছুটে যেতাম গল্প শুনতে। একনিষ্ঠ শ্রোতা পেয়ে তিনিও বৈঠকি ঢঙে গল্প চালিয়ে যেতেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা। তাঁর গল্পগুলো সাধারণ কোনো গল্প ছিল না, ছিল হিরের কুচির মতো, যার পরতে পরতে ছড়ানো থাকত
২৮ মে ২০২২
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৮ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৮ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৯ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

পুরোনো পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে মুহাম্মদ আবদুল হান্নানের প্রতি আমার বিশেষ টান ছিল। কাজের ফাঁকে সময়-সুযোগ পেলেই তাঁর কাছে ছুটে যেতাম গল্প শুনতে। একনিষ্ঠ শ্রোতা পেয়ে তিনিও বৈঠকি ঢঙে গল্প চালিয়ে যেতেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা। তাঁর গল্পগুলো সাধারণ কোনো গল্প ছিল না, ছিল হিরের কুচির মতো, যার পরতে পরতে ছড়ানো থাকত
২৮ মে ২০২২
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৫ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৮ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৯ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

পুরোনো পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে মুহাম্মদ আবদুল হান্নানের প্রতি আমার বিশেষ টান ছিল। কাজের ফাঁকে সময়-সুযোগ পেলেই তাঁর কাছে ছুটে যেতাম গল্প শুনতে। একনিষ্ঠ শ্রোতা পেয়ে তিনিও বৈঠকি ঢঙে গল্প চালিয়ে যেতেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা। তাঁর গল্পগুলো সাধারণ কোনো গল্প ছিল না, ছিল হিরের কুচির মতো, যার পরতে পরতে ছড়ানো থাকত
২৮ মে ২০২২
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৫ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৮ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৯ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

পুরোনো পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে মুহাম্মদ আবদুল হান্নানের প্রতি আমার বিশেষ টান ছিল। কাজের ফাঁকে সময়-সুযোগ পেলেই তাঁর কাছে ছুটে যেতাম গল্প শুনতে। একনিষ্ঠ শ্রোতা পেয়ে তিনিও বৈঠকি ঢঙে গল্প চালিয়ে যেতেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা। তাঁর গল্পগুলো সাধারণ কোনো গল্প ছিল না, ছিল হিরের কুচির মতো, যার পরতে পরতে ছড়ানো থাকত
২৮ মে ২০২২
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৫ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৮ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৮ দিন আগে