কামরুল হাসান

ফোন বাজছে তো বাজছেই। ভোরের ঘুমে নিমগ্ন। চোখ মেলে স্ক্রিনে দেখি র্যাবের কমান্ডার মাসুক হাসান। হ্যালো বলতেই বললেন, দৌড় দেন মধ্যবাড্ডার আনন্দনগরে। বিগ শট। নিমেষে ঘুম উবে গেল। পড়িমরি করে উঠে বাইকটা নিয়েই দিলাম ছুট। সোজা বাড্ডায়। ফজরের নামাজ পড়ে লোকজন সবে বের হচ্ছেন। মধ্যবাড্ডার মোড়ে এসে এক মুসল্লির কাছে জানতে চাইলাম, আনন্দনগরে কোন পথে যাব। তিনি ডান দিকে একটি রাস্তা দেখিয়ে বললেন, র্যাবের অনেক গাড়ি গেছে এদিকে।
আনন্দনগরে ঢুকে দেখি, র্যাবের অনেক গাড়ি রাস্তায় দাঁড় করানো। আমাকে দেখে র্যাবের এক সদস্য একটি গলি দেখিয়ে সেদিকে যেতে বললেন। একটু এগোতেই মনে হলো, সামনে একটি ঝিল। বাড়িঘরও কম। ঝিলের ঠিক মাঝখানে একটি দোতলা বাড়ি, সেখান থেকে একজনকে ধরে আনছেন র্যাবের কয়েকজন সদস্য। কাছে আসতেই দেখি, হ্যান্ডকাফ পরা লোকটা। ছোটখাটো চেহারা। মুখে দাড়ি নেই। পরনে লুঙ্গি আর স্যান্ডো গেঞ্জি। সারা শরীর ভেজা। গা থেকে পানি পড়ছে। তাঁর পেছনেই র্যাবের মেজর আতিক।
সাতসকালে আমাকে দেখে একটু অবাক হয়ে তিনি বললেন, চিনছেন? উনি আবদুল হান্নান মুনশি। আমি বললাম, মানে—মুফতি হান্নান? এবার তিনি গলায় বেশ জোর দিয়ে একটু টেনে বললেন, ইয়েস। তো ভেজা কেন? তিনি বললেন, এত বড় জঙ্গি জীবন বাঁচাতে ঝিলের পচা পানিতে লাফ দিয়েছিল। সেখান থেকে তুলে আনলাম। এটা ২০০৫ সালের ১ অক্টোবরের সকাল।
১৯৯৯ সালে যশোরে উদীচীর অনুষ্ঠানে বোমা হামলার পর থেকেই একের পর এক জঙ্গিনেতার নাম শোনা যাচ্ছিল। বিভিন্ন সূত্র থেকে তখন আমরা জানতে পারছিলাম, আফগানিস্তান থেকে যুদ্ধফেরত একদল জঙ্গি দেশে ‘ইসলামি রাষ্ট্র’ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখছে। তারাই এসব হামলা করছে। এগুলোর মধ্যে ২০০০ সালের ২০ জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় শেখ হাসিনার জনসভায় বোমা পুঁতে রাখার ঘটনা ঘটে। তখনই আলোচনায় আসে মুফতি হান্নানের নাম।
মুফতি হান্নানের জন্ম ও বেড়ে ওঠা মূলত গোপালগঞ্জে। তিনি যশোরের গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসায় পড়াশোনা করতেন। সেখানে পড়ার সময় ১৯৮৭ সালে ‘উচ্চশিক্ষা’র জন্য পাকিস্তানের করাচিতে নিউ টাউন মাদ্রাসায় ভর্তি হন। সেখানেই জঙ্গিবাদে জড়ান। আফগানিস্তানে তখন সোভিয়েত বাহিনী যুদ্ধ করছিল। ১৯৮৮ সালে তিনি পাকিস্তান ও আফগানিস্তান সীমান্তে সোভিয়েত বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নিয়ে আহত হন। বাংলাদেশে ফিরে ১৯৯৪ সালে হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী বাংলাদেশে যোগ দেন। শুরুতে কোটালীপাড়া থানার প্রচার সম্পাদক ছিলেন। কিন্তু দ্রুতই নিজের সাংগঠনিক দক্ষতা আর দুর্ধর্ষ কর্মকাণ্ডের সুবাদে কেন্দ্রীয় নেতা হয়ে ওঠেন। মুফতি হান্নান আফগান স্টাইলে বাংলাদেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠার তৎপরতা চালাচ্ছিলেন। প্রথমে দেশি বোমা ব্যবহার করলেও পরে পাকিস্তান থেকে গ্রেনেড সংগ্রহ করেন। এ ছাড়া বোমা বানানো এবং হামলার বিষয়েও তাঁর সামরিক প্রশিক্ষণ ছিল। তিনি নিজেও প্রশিক্ষণ দিতেন।
এটা আজ প্রতিষ্ঠিত সত্য যে, বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের শুরুটাই হয়েছিল হরকাতুল জিহাদের হামলার মধ্য দিয়ে। বাংলাদেশে বড় জঙ্গি হামলার বেশির ভাগ হয়েছে মুফতি আবদুল হান্নানের নেতৃত্বে ও পরিকল্পনায়। যশোরে উদীচীর অনুষ্ঠানে বোমা হামলা ছিল তাদের টেস্ট কেস। সেই ঘটনার পরিকল্পনা ও নেতৃত্বে মুফতি হান্নান নিজে ছিলেন। তাঁর নেতৃত্বে ও পরিকল্পনায় সাত বছরে ১৩টি জঙ্গি হামলা হয়। এসব হামলায় ১০১ জন নিহত এবং ৬০০ জন আহত হন। সব মিলিয়ে বাংলাদেশে প্রাণঘাতী জঙ্গি হামলার সবচেয়ে বেশি ঘটনা ঘটে হান্নানের নেতৃত্বে।
সেই ভয়ংকর জঙ্গিকে গ্রেপ্তার নিয়ে চোর-পুলিশ খেলা চলছিল। এর কারণও ছিল। ধরা পড়ার পর হান্নান নিজেই সবার সামনে তা ফাঁস করে দেন। গ্রেপ্তার করা হান্নানকে সেদিন বিকেলে র্যাব-১-এর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সামনে আনা হয়। তখন সাংবাদিকেরা তাঁকে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন। জবাবে হান্নান বলেন, গোপালগঞ্জের ঘটনার পর তিনি কিছুদিন চুপ করে ছিলেন। এরপর চারদলীয় জোট সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে শুরু করেন। মাসিক মদিনা পত্রিকার সম্পাদক মাওলানা মুহিউদ্দিনের মাধ্যমে তিনি তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করেন। তাঁর কাছে মামলা প্রত্যাহারের আবেদনও করেন। চারদলীয় জোট সরকারের পক্ষ থেকে তাঁকে বলা হয়, পরিস্থিতি ঠিক হয়ে গেলেই তাঁকে স্বাভাবিক জীবনযাপনের অনুমতি দেওয়া হবে। তিনি দাড়ি কেটে ফেলে একের পর এক বাসা বদল করে ঢাকাতেই থাকতে শুরু করেন। পরদিন এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পর বিএনপি সরকারকে খুবই বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়।
মুফতি হান্নানকে গ্রেপ্তারের পর ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাঁকে বিভিন্ন মামলায় ৪০০ দিন রিমান্ডে রাখা হয়। দেশে আর কোনো আসামিকে এত দিন রিমান্ডে রাখার নজির নেই। তিনি সব ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকারও করেন। তাঁর বিরুদ্ধে ১৭টি মামলা হয়। এগুলোর মধ্যে দুটি মামলায় ফাঁসি হয়। ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল ফাঁসি কার্যকর হয় কাশিমপুরে হাই সিকিউরিটি কারাগারে।
মুফতি হান্নানকে গ্রেপ্তারের এক দিন পর আমি তাঁর স্ত্রী জাকিয়া পারভিন রুমার সঙ্গে কথা বলেছিলাম। তিনি যা বললেন, তা শুনে বিস্মিত না হয়ে পারিনি। র্যাব-১-এর অধিনায়ক (প্রয়াত) গুলজার উদ্দিন আমাকে প্রায়ই বলতেন, জঙ্গিরা সুন্দরী মেয়ে দেখে বিয়ে করে। হান্নানের স্ত্রী রুমাকে দেখে সেটা আরেকবার প্রমাণিত হলো। রুমা আমাকে বললেন, মাত্র ২১ দিন আগে তাঁরা এ বাসায় আসেন। চার হাজার টাকায় বাসাটি ভাড়া করেন হান্নান। ছেলে শাহাবুদ্দিন (৯) ও নূরুল্লাহ (৫) এবং মেয়ে নিশি (৫) ও নাজনীনকে (২) নিয়ে তাঁদের সংসার। তাঁদের সব ছেলেমেয়ে মাদ্রাসায় পড়ে। এ বাড়িতে বাইরের কারও প্রবেশাধিকার নেই। তাঁর স্বামী কারও সঙ্গে মেলামেশা করেন না। তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজনও আসেন না। তাঁরা কোথায় থাকেন, সেটাও কাউকে জানানো হয় না। গ্রেপ্তারের আগপর্যন্ত স্বামীর এসব অপকর্মের কথা তিনি জানতেন না। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় হান্নানের জড়িত থাকার খবর তিনি শুনেছেন। মুফতি হান্নান তাঁর কাছে এসব কথা কখনো স্বীকার করেননি। তিনি বলেছেন, এসব ষড়যন্ত্র।
রুমা আমাকে বললেন, মুফতি হান্নান আফগানিস্তানে যুদ্ধ করেছেন বলে তিনি শুনেছেন। তবে কখনো তিনি এসব নিয়ে স্বামীকে কিছু জিজ্ঞাসা করেননি। তাঁর গ্রামের বাড়ি মাগুরায়। আগে থেকেই চেনাজানা ছিল। সেই সুবাদে ১৯৯৫ সালে তাঁদের বিয়ে হয়। ২০০০ সালে কোটালীপাড়ার ঘটনার পর থেকে হান্নান বাড়ির বাইরে থাকতেন। তিনি সন্তানদের নিয়ে গ্রামের বাড়িতে বাস করতেন। তবে কোটালীপাড়ার ঘটনার পর (শেখ হাসিনার জনসভাস্থলে বোমা পুঁতে রাখা) হান্নান তাঁদের নিয়ে কিছুদিন মাগুরায় এবং কিছুদিন খুলনায় ছিলেন। আড়াই বছর আগে ঢাকায় চলে আসেন। প্রথমে তাঁরা গাজীপুরে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন। সেখানে পোলট্রি খামার গড়ে তোলেন। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতে সেই ব্যবসায় লোকসান হয়। এরপর রামপুরা ডিআইটি রোড এলাকায় চলে আসেন। সেখানে একটি ইলেকট্রনিক সামগ্রীর দোকান নিয়ে হান্নান ব্যবসা শুরু করেন। এক বছর সেখানে থেকে চলে আসেন মধ্যবাড্ডার আনন্দনগরে।
রুমা বলছিলেন, হান্নান দিনের বেলা বাসা থেকে তেমন বের হন না। এলাকার লোকজনের সঙ্গে কোনো মেলামেশাও ছিল না। সব সময় তিনি নিজের নাম ‘জামান’ বলে জানাতেন। তাঁর ছেলেমেয়েরাও বাবার নাম জামান বলেই জানে।
আফগান যুদ্ধে গুলিবিদ্ধ হাতের ক্ষতচিহ্ন দেখিয়ে মুফতি হান্নান নিজের ছেলেমেয়েদের বলতেন, সড়ক দুর্ঘটনায় তিনি আহত হয়েছেন। তাঁর ফেরার জীবনের কোনো কথা স্ত্রী-সন্তানদের জানাতেন না। ছদ্মবেশ ধরতে নিজের নামটি পর্যন্ত বদলে ফেলেছিলেন। কিন্তু এত কিছু লুকানোর পরও শেষরক্ষা হলো? ভুল রাজনীতি এবং ভুল পৃষ্ঠপোষকতা কীভাবে সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে, মুফতি হান্নান তার জ্বলন্ত উদাহরণ।
আরও পড়ুন

ফোন বাজছে তো বাজছেই। ভোরের ঘুমে নিমগ্ন। চোখ মেলে স্ক্রিনে দেখি র্যাবের কমান্ডার মাসুক হাসান। হ্যালো বলতেই বললেন, দৌড় দেন মধ্যবাড্ডার আনন্দনগরে। বিগ শট। নিমেষে ঘুম উবে গেল। পড়িমরি করে উঠে বাইকটা নিয়েই দিলাম ছুট। সোজা বাড্ডায়। ফজরের নামাজ পড়ে লোকজন সবে বের হচ্ছেন। মধ্যবাড্ডার মোড়ে এসে এক মুসল্লির কাছে জানতে চাইলাম, আনন্দনগরে কোন পথে যাব। তিনি ডান দিকে একটি রাস্তা দেখিয়ে বললেন, র্যাবের অনেক গাড়ি গেছে এদিকে।
আনন্দনগরে ঢুকে দেখি, র্যাবের অনেক গাড়ি রাস্তায় দাঁড় করানো। আমাকে দেখে র্যাবের এক সদস্য একটি গলি দেখিয়ে সেদিকে যেতে বললেন। একটু এগোতেই মনে হলো, সামনে একটি ঝিল। বাড়িঘরও কম। ঝিলের ঠিক মাঝখানে একটি দোতলা বাড়ি, সেখান থেকে একজনকে ধরে আনছেন র্যাবের কয়েকজন সদস্য। কাছে আসতেই দেখি, হ্যান্ডকাফ পরা লোকটা। ছোটখাটো চেহারা। মুখে দাড়ি নেই। পরনে লুঙ্গি আর স্যান্ডো গেঞ্জি। সারা শরীর ভেজা। গা থেকে পানি পড়ছে। তাঁর পেছনেই র্যাবের মেজর আতিক।
সাতসকালে আমাকে দেখে একটু অবাক হয়ে তিনি বললেন, চিনছেন? উনি আবদুল হান্নান মুনশি। আমি বললাম, মানে—মুফতি হান্নান? এবার তিনি গলায় বেশ জোর দিয়ে একটু টেনে বললেন, ইয়েস। তো ভেজা কেন? তিনি বললেন, এত বড় জঙ্গি জীবন বাঁচাতে ঝিলের পচা পানিতে লাফ দিয়েছিল। সেখান থেকে তুলে আনলাম। এটা ২০০৫ সালের ১ অক্টোবরের সকাল।
১৯৯৯ সালে যশোরে উদীচীর অনুষ্ঠানে বোমা হামলার পর থেকেই একের পর এক জঙ্গিনেতার নাম শোনা যাচ্ছিল। বিভিন্ন সূত্র থেকে তখন আমরা জানতে পারছিলাম, আফগানিস্তান থেকে যুদ্ধফেরত একদল জঙ্গি দেশে ‘ইসলামি রাষ্ট্র’ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখছে। তারাই এসব হামলা করছে। এগুলোর মধ্যে ২০০০ সালের ২০ জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় শেখ হাসিনার জনসভায় বোমা পুঁতে রাখার ঘটনা ঘটে। তখনই আলোচনায় আসে মুফতি হান্নানের নাম।
মুফতি হান্নানের জন্ম ও বেড়ে ওঠা মূলত গোপালগঞ্জে। তিনি যশোরের গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসায় পড়াশোনা করতেন। সেখানে পড়ার সময় ১৯৮৭ সালে ‘উচ্চশিক্ষা’র জন্য পাকিস্তানের করাচিতে নিউ টাউন মাদ্রাসায় ভর্তি হন। সেখানেই জঙ্গিবাদে জড়ান। আফগানিস্তানে তখন সোভিয়েত বাহিনী যুদ্ধ করছিল। ১৯৮৮ সালে তিনি পাকিস্তান ও আফগানিস্তান সীমান্তে সোভিয়েত বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নিয়ে আহত হন। বাংলাদেশে ফিরে ১৯৯৪ সালে হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী বাংলাদেশে যোগ দেন। শুরুতে কোটালীপাড়া থানার প্রচার সম্পাদক ছিলেন। কিন্তু দ্রুতই নিজের সাংগঠনিক দক্ষতা আর দুর্ধর্ষ কর্মকাণ্ডের সুবাদে কেন্দ্রীয় নেতা হয়ে ওঠেন। মুফতি হান্নান আফগান স্টাইলে বাংলাদেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠার তৎপরতা চালাচ্ছিলেন। প্রথমে দেশি বোমা ব্যবহার করলেও পরে পাকিস্তান থেকে গ্রেনেড সংগ্রহ করেন। এ ছাড়া বোমা বানানো এবং হামলার বিষয়েও তাঁর সামরিক প্রশিক্ষণ ছিল। তিনি নিজেও প্রশিক্ষণ দিতেন।
এটা আজ প্রতিষ্ঠিত সত্য যে, বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের শুরুটাই হয়েছিল হরকাতুল জিহাদের হামলার মধ্য দিয়ে। বাংলাদেশে বড় জঙ্গি হামলার বেশির ভাগ হয়েছে মুফতি আবদুল হান্নানের নেতৃত্বে ও পরিকল্পনায়। যশোরে উদীচীর অনুষ্ঠানে বোমা হামলা ছিল তাদের টেস্ট কেস। সেই ঘটনার পরিকল্পনা ও নেতৃত্বে মুফতি হান্নান নিজে ছিলেন। তাঁর নেতৃত্বে ও পরিকল্পনায় সাত বছরে ১৩টি জঙ্গি হামলা হয়। এসব হামলায় ১০১ জন নিহত এবং ৬০০ জন আহত হন। সব মিলিয়ে বাংলাদেশে প্রাণঘাতী জঙ্গি হামলার সবচেয়ে বেশি ঘটনা ঘটে হান্নানের নেতৃত্বে।
সেই ভয়ংকর জঙ্গিকে গ্রেপ্তার নিয়ে চোর-পুলিশ খেলা চলছিল। এর কারণও ছিল। ধরা পড়ার পর হান্নান নিজেই সবার সামনে তা ফাঁস করে দেন। গ্রেপ্তার করা হান্নানকে সেদিন বিকেলে র্যাব-১-এর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সামনে আনা হয়। তখন সাংবাদিকেরা তাঁকে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন। জবাবে হান্নান বলেন, গোপালগঞ্জের ঘটনার পর তিনি কিছুদিন চুপ করে ছিলেন। এরপর চারদলীয় জোট সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে শুরু করেন। মাসিক মদিনা পত্রিকার সম্পাদক মাওলানা মুহিউদ্দিনের মাধ্যমে তিনি তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করেন। তাঁর কাছে মামলা প্রত্যাহারের আবেদনও করেন। চারদলীয় জোট সরকারের পক্ষ থেকে তাঁকে বলা হয়, পরিস্থিতি ঠিক হয়ে গেলেই তাঁকে স্বাভাবিক জীবনযাপনের অনুমতি দেওয়া হবে। তিনি দাড়ি কেটে ফেলে একের পর এক বাসা বদল করে ঢাকাতেই থাকতে শুরু করেন। পরদিন এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পর বিএনপি সরকারকে খুবই বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়।
মুফতি হান্নানকে গ্রেপ্তারের পর ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাঁকে বিভিন্ন মামলায় ৪০০ দিন রিমান্ডে রাখা হয়। দেশে আর কোনো আসামিকে এত দিন রিমান্ডে রাখার নজির নেই। তিনি সব ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকারও করেন। তাঁর বিরুদ্ধে ১৭টি মামলা হয়। এগুলোর মধ্যে দুটি মামলায় ফাঁসি হয়। ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল ফাঁসি কার্যকর হয় কাশিমপুরে হাই সিকিউরিটি কারাগারে।
মুফতি হান্নানকে গ্রেপ্তারের এক দিন পর আমি তাঁর স্ত্রী জাকিয়া পারভিন রুমার সঙ্গে কথা বলেছিলাম। তিনি যা বললেন, তা শুনে বিস্মিত না হয়ে পারিনি। র্যাব-১-এর অধিনায়ক (প্রয়াত) গুলজার উদ্দিন আমাকে প্রায়ই বলতেন, জঙ্গিরা সুন্দরী মেয়ে দেখে বিয়ে করে। হান্নানের স্ত্রী রুমাকে দেখে সেটা আরেকবার প্রমাণিত হলো। রুমা আমাকে বললেন, মাত্র ২১ দিন আগে তাঁরা এ বাসায় আসেন। চার হাজার টাকায় বাসাটি ভাড়া করেন হান্নান। ছেলে শাহাবুদ্দিন (৯) ও নূরুল্লাহ (৫) এবং মেয়ে নিশি (৫) ও নাজনীনকে (২) নিয়ে তাঁদের সংসার। তাঁদের সব ছেলেমেয়ে মাদ্রাসায় পড়ে। এ বাড়িতে বাইরের কারও প্রবেশাধিকার নেই। তাঁর স্বামী কারও সঙ্গে মেলামেশা করেন না। তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজনও আসেন না। তাঁরা কোথায় থাকেন, সেটাও কাউকে জানানো হয় না। গ্রেপ্তারের আগপর্যন্ত স্বামীর এসব অপকর্মের কথা তিনি জানতেন না। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় হান্নানের জড়িত থাকার খবর তিনি শুনেছেন। মুফতি হান্নান তাঁর কাছে এসব কথা কখনো স্বীকার করেননি। তিনি বলেছেন, এসব ষড়যন্ত্র।
রুমা আমাকে বললেন, মুফতি হান্নান আফগানিস্তানে যুদ্ধ করেছেন বলে তিনি শুনেছেন। তবে কখনো তিনি এসব নিয়ে স্বামীকে কিছু জিজ্ঞাসা করেননি। তাঁর গ্রামের বাড়ি মাগুরায়। আগে থেকেই চেনাজানা ছিল। সেই সুবাদে ১৯৯৫ সালে তাঁদের বিয়ে হয়। ২০০০ সালে কোটালীপাড়ার ঘটনার পর থেকে হান্নান বাড়ির বাইরে থাকতেন। তিনি সন্তানদের নিয়ে গ্রামের বাড়িতে বাস করতেন। তবে কোটালীপাড়ার ঘটনার পর (শেখ হাসিনার জনসভাস্থলে বোমা পুঁতে রাখা) হান্নান তাঁদের নিয়ে কিছুদিন মাগুরায় এবং কিছুদিন খুলনায় ছিলেন। আড়াই বছর আগে ঢাকায় চলে আসেন। প্রথমে তাঁরা গাজীপুরে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন। সেখানে পোলট্রি খামার গড়ে তোলেন। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতে সেই ব্যবসায় লোকসান হয়। এরপর রামপুরা ডিআইটি রোড এলাকায় চলে আসেন। সেখানে একটি ইলেকট্রনিক সামগ্রীর দোকান নিয়ে হান্নান ব্যবসা শুরু করেন। এক বছর সেখানে থেকে চলে আসেন মধ্যবাড্ডার আনন্দনগরে।
রুমা বলছিলেন, হান্নান দিনের বেলা বাসা থেকে তেমন বের হন না। এলাকার লোকজনের সঙ্গে কোনো মেলামেশাও ছিল না। সব সময় তিনি নিজের নাম ‘জামান’ বলে জানাতেন। তাঁর ছেলেমেয়েরাও বাবার নাম জামান বলেই জানে।
আফগান যুদ্ধে গুলিবিদ্ধ হাতের ক্ষতচিহ্ন দেখিয়ে মুফতি হান্নান নিজের ছেলেমেয়েদের বলতেন, সড়ক দুর্ঘটনায় তিনি আহত হয়েছেন। তাঁর ফেরার জীবনের কোনো কথা স্ত্রী-সন্তানদের জানাতেন না। ছদ্মবেশ ধরতে নিজের নামটি পর্যন্ত বদলে ফেলেছিলেন। কিন্তু এত কিছু লুকানোর পরও শেষরক্ষা হলো? ভুল রাজনীতি এবং ভুল পৃষ্ঠপোষকতা কীভাবে সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে, মুফতি হান্নান তার জ্বলন্ত উদাহরণ।
আরও পড়ুন

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৫ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৮ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৮ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৯ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

ফোন বাজছে তো বাজছেই। ভোরের ঘুমে নিমগ্ন। চোখ মেলে স্ক্রিনে দেখি র্যাবের কমান্ডার মাসুক হাসান। হ্যালো বলতেই বললেন, দৌড় দেন মধ্যবাড্ডার আনন্দনগরে। বিগ শট। নিমেষে ঘুম উবে গেল। পড়িমরি করে উঠে বাইকটা নিয়েই দিলাম ছুট। সোজা বাড্ডায়। ফজরের নামাজ পড়ে লোকজন সবে বের হচ্ছেন। মধ্যবাড্ডার মোড়ে এসে এক মুসল্লির কাছ
১৬ এপ্রিল ২০২২
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৮ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৮ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৯ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

ফোন বাজছে তো বাজছেই। ভোরের ঘুমে নিমগ্ন। চোখ মেলে স্ক্রিনে দেখি র্যাবের কমান্ডার মাসুক হাসান। হ্যালো বলতেই বললেন, দৌড় দেন মধ্যবাড্ডার আনন্দনগরে। বিগ শট। নিমেষে ঘুম উবে গেল। পড়িমরি করে উঠে বাইকটা নিয়েই দিলাম ছুট। সোজা বাড্ডায়। ফজরের নামাজ পড়ে লোকজন সবে বের হচ্ছেন। মধ্যবাড্ডার মোড়ে এসে এক মুসল্লির কাছ
১৬ এপ্রিল ২০২২
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৫ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৮ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৯ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

ফোন বাজছে তো বাজছেই। ভোরের ঘুমে নিমগ্ন। চোখ মেলে স্ক্রিনে দেখি র্যাবের কমান্ডার মাসুক হাসান। হ্যালো বলতেই বললেন, দৌড় দেন মধ্যবাড্ডার আনন্দনগরে। বিগ শট। নিমেষে ঘুম উবে গেল। পড়িমরি করে উঠে বাইকটা নিয়েই দিলাম ছুট। সোজা বাড্ডায়। ফজরের নামাজ পড়ে লোকজন সবে বের হচ্ছেন। মধ্যবাড্ডার মোড়ে এসে এক মুসল্লির কাছ
১৬ এপ্রিল ২০২২
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৫ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৮ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৯ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

ফোন বাজছে তো বাজছেই। ভোরের ঘুমে নিমগ্ন। চোখ মেলে স্ক্রিনে দেখি র্যাবের কমান্ডার মাসুক হাসান। হ্যালো বলতেই বললেন, দৌড় দেন মধ্যবাড্ডার আনন্দনগরে। বিগ শট। নিমেষে ঘুম উবে গেল। পড়িমরি করে উঠে বাইকটা নিয়েই দিলাম ছুট। সোজা বাড্ডায়। ফজরের নামাজ পড়ে লোকজন সবে বের হচ্ছেন। মধ্যবাড্ডার মোড়ে এসে এক মুসল্লির কাছ
১৬ এপ্রিল ২০২২
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৫ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৮ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৮ দিন আগে