নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানা থেকে মাত্র তিন মিনিট হাঁটা দূরত্বে আহমাদ ওয়াদুদ ছিনতাইয়ের শিকার হন। চাপাতি দিয়ে আঘাত করে মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয় ছিনতাইকারী। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে এ ছিনতাইয়ের শিকার হন তিনি।
পরে থানায় গিয়ে পুলিশের সহায়তা চেয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন তিনি। থানার কর্মকর্তাদের একের পর এক নেতিবাচক মন্তব্যে হয়রানির শিকার হন তিনি। আহমাদ ওয়াদুদ পেশায় গণমাধ্যমকর্মী।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) এস এন নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাটির তদন্ত চলছে। দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে মোহাম্মদপুর থানার দুই পুলিশ সদস্যকে ইতিমধ্যে ক্লোজ (প্রত্যাহার) করা হয়েছে। বাকি সদস্যদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ছিনতাইয়ের ঘটনা ও পুলিশের অসহযোগিতার পর ওয়াদুদ ফেসবুকে পুলিশের আচরণ তুলে ধরে একটি পোস্ট দেন। এরই মধ্যে সেই পোস্ট নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে।
ঘটনার বর্ণনায় ওয়াদুদ লিখেছেন, রাতে মোহাম্মদপুর থানার পাশ দিয়ে তিনি ও তাঁর স্ত্রী যাচ্ছিলেন। হঠাৎ তিনজন ছিনতাইকারী এসে মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। চাপাতির কোপে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পান, তবে আঘাত গুরুতর নয়।
ওয়াদুদ জানান, ঘটনার পাঁচ মিনিটের মাথায় তিনি মোহাম্মদপুর থানায় যান। কিন্তু থানায় গিয়েই অপ্রত্যাশিত আচরণ পান তিনি।
ডিউটি অফিসার এসআই জসিম তাঁকে অপেক্ষা করতে বলেন। তিনি ছিনতাইয়ের অভিযোগের কথা বললে সাদা পোশাকের এক পুলিশ সদস্য তাঁর দিকে আঙুল তুলে বলেন, ‘আপনার শার্টের বোতাম লাগান।’
ওয়াদুদ বলেন, ‘চাপাতির আঘাতে বোতাম খুলে গিয়েছিল। তিনি সরি বলে ঠিক করে নেন। এর পরও বলা হয় আরও বোতাম লাগাতে, যা সাধারণত কেউ লাগায় না।’
অভিযোগ লিখে জমা দিতে চাইলেও শুরু হয় টালবাহানা। বলা হয়, ‘লিখে দেওয়ার লোক নেই।’ কাগজ দেওয়া হলেও কলম দেওয়া হয়নি। নিজের কলম দিয়ে লিখে অভিযোগ জমা দিলেও কোনো কপি দেওয়া হয়নি।
এরপর তিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী ইফতেখার হাসানের কক্ষে যান। অভিযোগ জানালে ওসি বলেন, ‘আমি ওসি হয়েও কম দামি ফোন ব্যবহার করি। আপনি এত দামি ফোন নিয়ে ঘুরবেন, ছিনতাই তো হবেই!’
ওসির এমন মন্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম হয়। অনেকে মন্তব্য করেছেন, পুলিশের এমন মনোভাব ভীতিকর ও দায়িত্বজ্ঞানহীন।
ওয়াদুদ আরও জানান, পরে এএসআই আনারুল তাঁকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। সেখানে ছিনতাইকারীদের একজনকে চিনতেও পারেন তিনি। কিন্তু পুলিশ ঘটনাস্থলে না গিয়ে কিছু দূরে দাঁড়িয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে ফিরে আসে। পরে বলে, ‘এখন আর পাওয়া যাবে না। রাতে এসে অভিযান চালাব।’ পরে কোনো সুরাহা না করেই বাসায় ফিরে আসে পুলিশ।
বিষয়টি নিয়ে মোহাম্মদপুর থানার ওসির সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। তবে ঘটনার পর দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে থানার দুই পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানা থেকে মাত্র তিন মিনিট হাঁটা দূরত্বে আহমাদ ওয়াদুদ ছিনতাইয়ের শিকার হন। চাপাতি দিয়ে আঘাত করে মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয় ছিনতাইকারী। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে এ ছিনতাইয়ের শিকার হন তিনি।
পরে থানায় গিয়ে পুলিশের সহায়তা চেয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন তিনি। থানার কর্মকর্তাদের একের পর এক নেতিবাচক মন্তব্যে হয়রানির শিকার হন তিনি। আহমাদ ওয়াদুদ পেশায় গণমাধ্যমকর্মী।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) এস এন নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাটির তদন্ত চলছে। দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে মোহাম্মদপুর থানার দুই পুলিশ সদস্যকে ইতিমধ্যে ক্লোজ (প্রত্যাহার) করা হয়েছে। বাকি সদস্যদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ছিনতাইয়ের ঘটনা ও পুলিশের অসহযোগিতার পর ওয়াদুদ ফেসবুকে পুলিশের আচরণ তুলে ধরে একটি পোস্ট দেন। এরই মধ্যে সেই পোস্ট নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে।
ঘটনার বর্ণনায় ওয়াদুদ লিখেছেন, রাতে মোহাম্মদপুর থানার পাশ দিয়ে তিনি ও তাঁর স্ত্রী যাচ্ছিলেন। হঠাৎ তিনজন ছিনতাইকারী এসে মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। চাপাতির কোপে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পান, তবে আঘাত গুরুতর নয়।
ওয়াদুদ জানান, ঘটনার পাঁচ মিনিটের মাথায় তিনি মোহাম্মদপুর থানায় যান। কিন্তু থানায় গিয়েই অপ্রত্যাশিত আচরণ পান তিনি।
ডিউটি অফিসার এসআই জসিম তাঁকে অপেক্ষা করতে বলেন। তিনি ছিনতাইয়ের অভিযোগের কথা বললে সাদা পোশাকের এক পুলিশ সদস্য তাঁর দিকে আঙুল তুলে বলেন, ‘আপনার শার্টের বোতাম লাগান।’
ওয়াদুদ বলেন, ‘চাপাতির আঘাতে বোতাম খুলে গিয়েছিল। তিনি সরি বলে ঠিক করে নেন। এর পরও বলা হয় আরও বোতাম লাগাতে, যা সাধারণত কেউ লাগায় না।’
অভিযোগ লিখে জমা দিতে চাইলেও শুরু হয় টালবাহানা। বলা হয়, ‘লিখে দেওয়ার লোক নেই।’ কাগজ দেওয়া হলেও কলম দেওয়া হয়নি। নিজের কলম দিয়ে লিখে অভিযোগ জমা দিলেও কোনো কপি দেওয়া হয়নি।
এরপর তিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী ইফতেখার হাসানের কক্ষে যান। অভিযোগ জানালে ওসি বলেন, ‘আমি ওসি হয়েও কম দামি ফোন ব্যবহার করি। আপনি এত দামি ফোন নিয়ে ঘুরবেন, ছিনতাই তো হবেই!’
ওসির এমন মন্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম হয়। অনেকে মন্তব্য করেছেন, পুলিশের এমন মনোভাব ভীতিকর ও দায়িত্বজ্ঞানহীন।
ওয়াদুদ আরও জানান, পরে এএসআই আনারুল তাঁকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। সেখানে ছিনতাইকারীদের একজনকে চিনতেও পারেন তিনি। কিন্তু পুলিশ ঘটনাস্থলে না গিয়ে কিছু দূরে দাঁড়িয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে ফিরে আসে। পরে বলে, ‘এখন আর পাওয়া যাবে না। রাতে এসে অভিযান চালাব।’ পরে কোনো সুরাহা না করেই বাসায় ফিরে আসে পুলিশ।
বিষয়টি নিয়ে মোহাম্মদপুর থানার ওসির সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। তবে ঘটনার পর দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে থানার দুই পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
জুলাইয়ের আন্দোলনে অংশ না নিলেও মিথ্যা তথ্য দিয়ে শহীদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয় বশির সরদার (৪০) নামের এক ব্যক্তির নাম। কিন্তু পরিবারে সরকারী অনুদানের টাকা নিয়ে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হলে প্রকাশ্যে এলো মূল তথ্য। পরে তার নাম শহীদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে পটুয়াখালীতে।
১৯ মিনিট আগেরাজধানীর উত্তরা মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ আরও এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। জারিফ ফারহান (১৩) নামে ওই শিক্ষার্থী ৭ম শ্রেণির ইংলিশ ভার্সনে পড়ত। আজ শনিবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় জারিফ।
৩৫ মিনিট আগেমেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বামন্দী ইউনিয়নের দেবীপুর বাজারে সড়কেই চলে মরিচ কেনাবেচা। বিভিন্ন গ্রাম থেকে চাষিরা মরিচ নিয়ে আসেন এই বাজারে। এর আগে মরিচ বিক্রয়ের স্থান ছিল দেবীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে। তবে প্রাচীর দেওয়ায় এখন আর স্কুলের ভেতরে বসতে পারেন তাঁরা।
১ ঘণ্টা আগেফেনীর পরশুরাম সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত মো. ইয়াছিন লিটনের (৪৫) মরদেহ ২১ ঘণ্টা পর ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ভারতের বিলোনিয়া চেকপোস্ট এলাকায় মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। বিজিবি ও পুলিশের উপস্থিতিতে লিটনের বাবা মনির আহম্মদ ছেলের মরদেহ গ্রহণ করেন।
১ ঘণ্টা আগে