কামরুল হাসান

নিকুঞ্জ-২ আবাসিক এলাকায় তখনো সেভাবে বসবাস শুরু হয়নি। এখন যেখানে ঢাকা রিজেন্সি হোটেল, সেখান থেকে পেছনের দিকে ৮-১০টি সড়কে কেবল বাড়িঘর উঠেছে। নাগরিক টেলিভিশন ভবনের সামনের সড়কটি তখন ছিল বসতির শেষ মাথা। তারপরে খোলা মাঠ, সেখানে দাঁড়ালে দূর থেকে উড়োজাহাজের ওঠানামা দেখা যেত।
এই সড়কগুলোর যেকোনো একটি বাড়ির খোঁজে সকাল থেকে আমরা ২-৩টা করে চক্কর দিয়েছি, কিন্তু খোঁজ মেলেনি। আমরা মানে, আমি আর আমার মোটরবাইকের পেছনে বসা পারভেজ খান, একটি জাতীয় দৈনিকের ক্রাইম রিপোর্টার।
আমাদের কাছে খবর ছিল, নিকুঞ্জ এলাকার কোনো একটি বাড়িতে সে সময়ে ঢাকার নামকরা এক সন্ত্রাসী তাঁর বান্ধবীসহ মারা গেছেন অথবা তাঁকে মেরে ফেলা হয়েছে। বান্ধবীর মৃত্যু ঢাকা মেডিকেলে হওয়ায় আমরা তাঁর নাম জানতে পেরেছি, কিন্তু সেই সন্ত্রাসীর নাম বা তিনি কোথায় মারা গেছেন, তা কেউ বলতে পারছে না। প্রথমে আমাদের ধারণা ছিল, সেই নারীর পরিবারকে ধরে সন্ত্রাসীর নাম-ঠিকানা বের করব। কিন্তু হাসপাতালের কাগজে নাম ছাড়া নারীর কোনো ঠিকানা নেই। মারা যাওয়ার পর কেউ তাঁর লাশও নিতে আসেনি। দুদিন ধরে মৃতদেহ হাসপাতাল মর্গে পড়ে আছে। পারভেজ খানের শক্ত সোর্স, সেই সোর্স বলেছেন, নিকুঞ্জের একটি বাড়িতেই এ ঘটনা ঘটেছে। সেই ভরসায় আমরা গলদঘর্ম হচ্ছি। এটা ১৯৯৯ সালের ১৮ মের ঘটনা।
ঘণ্টা দুয়েক ঘুরে ক্লান্ত হয়ে একটি চায়ের দোকানে বসার পরই মনে হলো, কৌটায় লুকানো ভ্রমরের খোঁজ পেয়ে গেছি। সেই দোকানি একটি বাড়ি দেখিয়ে বললেন, ওই বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে। কীসের চা খাওয়া—গেলাম সেই বাড়িতে। ৫ নম্বর সড়কের চারতলা বাড়িটির উত্তর দিকে একটি ফ্ল্যাটে সেই ঘটনা। তিনতলায় বাড়িওয়ালা থাকেন, কিন্তু তিনি কিছুই বললেন না। পাশের এক ভাড়াটে বললেন, দুদিন আগে এক তরুণী এবং এক পুরুষ মদ পান করে অসুস্থ হওয়ার পর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তিনি তাঁদের নাম জানেন না। কোন হাসপাতালে গেলেন—প্রশ্ন করতেই তিনি বললেন, যাওয়ার সময় তাঁরা বেবিট্যাক্সিচালককে মহাখালীর মেট্রোপলিটান মেডিকেল সেন্টারের নাম বলেছিলেন।
এই তথ্যটুকু আমাদের খুব কাজে দিল। এলাম মহাখালী বাস টার্মিনালের উল্টো দিকে মেট্রোপলিটান মেডিকেল সেন্টারে। ভাড়াটের দেওয়া বিবরণ মিলে গেল। দুদিন আগে নারী-পুরুষ এসেছিলেন। তাঁদের একজনের নাম জেসমিন আক্তার, আরেকজনের ছালাউদ্দিন। হাসপাতালে আসার পর পুরুষটি মারা গেছে, নারীকে তাঁরা ঢাকা মেডিকেলে পাঠান। ঠিকানা বলতে, খাতায় লেখা আছে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল।
ছালাউদ্দিন নামটি আমাদের পরিচিত নয়। এই নামে কোনো সন্ত্রাসী ঢাকায় আছে, মনে করতে পারছি না। তবু মনে হলো, টানেলে আলোর রেখা দেখা দিয়েছে। আমরা একটু একটু করে তথ্যের মালা গাঁথতে শুরু করেছি।
পারভেজ খান আমাকে বললেন, বন্ধু, এবার চলো সায়েদাবাদে, দেখি কে মারা গেছে। এলাম সায়েদাবাদ টার্মিনালে। এখানে সবকিছুই স্বাভাবিক। কিছু হয়েছে, তা কেউ বলছেন না। এক পরিবহননেতাকে আড়ালে ডেকে পারভেজ খান অনেকক্ষণ কথা বললেন, তিনি টার্মিনালের পাশে একটি বাড়ি দেখিয়ে বললেন, ওই বাড়িতে গেলেই সব জানতে পারবেন। গেলাম ১০/২ নম্বর বাড়িতে। বাড়িটি চারতলা। নিচতলায় এক লোককে পেয়ে জানতে চাইলাম, দোতলায় কে থাকেন। তিনি যাঁর নাম বললেন, তা শুনে আমরা চমকে গেলাম। বললেন, এই বাড়িতে থাকতেন সায়েদাবাদের সে সময়ের ত্রাস নাজিম উদ্দিন নাজিম। দুদিন আগে তিনি হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন। বাড়িতে তাঁর স্ত্রী-সন্তান আছে। নাজিমের নাম শুনেই বড় খবরের গন্ধ পেয়ে গেলাম। এতক্ষণের পরিশ্রমের মাশুল মিলল।
দোতলার উঠে দেখি বাড়িতে অনেক লোক, বেশির ভাগের চেহারা সন্ত্রাসীর মতো। কিন্তু সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে তাঁরা আমাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করলেন। বসতে দিলেন। আমরা নাজিমের স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চাইলাম। তিনি ভেতরে আছেন, অপেক্ষা করতে বললেন।
এবার নাজিমের কথা বলি। তখন এরশাদ ক্ষমতায়। রোজই হরতাল, অবরোধ হচ্ছে। এরশাদের পক্ষে একশ্রেণির পরিবহননেতা হরতাল উপেক্ষা করে রাস্তায় গাড়ি চালাতে চাইলেন। তাঁরা পরিবহনশ্রমিকদের হাতে অস্ত্র তুলে দিলেন, যাতে কেউ বাধা দিলেই ব্যবস্থা নেওয়া যায়। এরশাদের পক্ষে সন্ত্রাসী দলের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য দুই যুবককে বাছাই করা হলো। একজনের নাম নাজিম উদ্দিন, আরেকজন মুন্না। এসব করে এরশাদ ক্ষমতায় থাকতে থাকতেই তাঁরা বিপুল অর্থের মালিক হয়ে গেলেন।
এরশাদের পতনের পর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি তাঁরা পরিবহননেতা বনে গেলেন। বাসের হেলপার থেকে ঢাকা-সিলেট রুটের এনপি পরিবহনের অংশীদার হয়ে গেলেন নাজিম। কিন্তু স্বভাব গেল না। শুরু করলেন চাঁদাবাজি আর সন্ত্রাস। প্রথমে নাজিম আর মুন্না একসঙ্গে, পরে দুজন প্রতিপক্ষ হয়ে গেলেন। তাঁদের পৃষ্ঠপোষকতা দিলেন কয়েকজন পরিবহননেতা। তখন দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলি আর বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ছিল নিত্যদিনের। পুলিশের তালিকায় দুজনই হয়ে গেলেন সন্ত্রাসী।
১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর মির্জা আব্বাসের লোকজন সায়েদাবাদে ঢোকার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলো। প্রথম দফা আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে গ্রেপ্তার হন নাজিম। কিছুদিন জেল খেটে বেরিয়ে এসে সায়েদাবাদের পরিবহন সন্ত্রাসীদের এক জোট করলেন। পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে নিকুঞ্জ এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিলেন। আমরা যে বাসার খোঁজ করছিলাম, সেটাই ছিল নাজিমের গোপন আস্তানা।
নাজিমের স্ত্রীর নাম নাসিমা আক্তার পপি। তাঁর এক সন্তান নাঈম। খুবই সাধারণ গৃহবধূ। তিনি কোনো রাখঢাক না করেই সব বলতে শুরু করলেন। ৫-৬ জন তাঁকে ঘিরে আছে।
আমরা যেদিন তাঁর বাড়িতে যাই, সেটা ছিল ১৯৯৯ সালের ১৮ মে, মঙ্গলবার। নাসিমা বললেন, এর দুদিন আগে ১৬ মে দুপুরের দিকে নিজের গাড়িচালক স্বপনকে সঙ্গে নিয়ে বের হন নাজিম। যাওয়ার সময় ম্যানেজার সেলিম, বন্ধু শামীম, কর্মচারী আজিজুল এবং শ্যালক ওমর ফারুক সঙ্গে ছিলেন। তাঁরা নিকুঞ্জে যাচ্ছিলেন। মালিবাগে যাওয়ার পর সেই গাড়িতে ওঠেন জেসমিন নামের এক তরুণী। জেসমিন আগে থেকেই রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। তাঁদের নিকুঞ্জে নামিয়ে দিয়ে গাড়িটি চলে আসে। নাসিমার কথা বলার সময় শ্যালক ওমর ফারুক পাশে ছিলেন। বাকিটা বললেন তিনি।
ওমর ফারুক বললেন, রাতের বেলা তাঁরা বাসায় মদ পান করছিলেন। এক দফা মদ ফুরিয়ে গেলে গভীর রাতে উত্তরার একটি বাড়িতে গিয়ে আবার মদ নিয়ে আসেন। সেটা খেয়ে নাজিম, জেসমিন ও আজিজুল অসুস্থ হয়ে পড়েন। সকালে তাঁদের মহাখালীর মেট্রোপলিটান মেডিকেল সেন্টারে নেওয়া হয়। সেখানে নাজিমের নাম বলা হয় ছালাউদ্দিন। পরে নাজিম মারা যান। জেসমিন ও আজিজুলকে পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেলে। পরে তাঁরাও মারা যান। এরপর তাঁরা নাজিমের লাশ গোপনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়। পরে নাজিমের গাড়িচালককে দিয়ে পুলিশ একটি অভিযোগ লিখিয়ে মদপানে মৃত্যুর মামলা করে।
নাসিমার কাছে জানতে চাইলাম, জেসমিনকে চেনেন? তিনি মাথা নাড়লেন, কিছু বললেন না। বোঝা গেল, স্বামীর এ কর্মকাণ্ডে তিনি খুবই বিরক্ত। বললেন, জেসমিনের বাবার নাম আওলাদ হোসেন। সিপাহিবাগে বাসা। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবস্থাপনা বিষয়ে পড়েছে। তাঁর সঙ্গে নাজিমের বৈবাহিক কোনো সম্পর্ক নেই। কিন্তু দুজন একসঙ্গে থাকেন। এটা নিয়ে কেউ কিছু বলতে পারে না। তিনি খুব বিরক্তি নিয়ে বললেন, ‘লেখাপড়া জানা একটি মেয়ে আমার স্বামীর রক্ষিতা।’ নাসিমার দিকে তাকিয়ে মনে হলো, তিনি গোপন কিছু বলতে চান, কিন্তু পারছেন না। আমি তাঁকে বললাম, আপনি কি আলাদা কিছু বলতে চান? তিনি মাথা নাড়লেন, আমি সবাইকে বের হয়ে যাওয়ার অনুরোধ করতেই তাঁরা সরে গেলেন। নাসিমা এদিক-ওদিক তাকিয়ে বললেন, মদের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে তাঁদের মেরে ফেলা হয়েছে। এটুকু বলতেই লোকজন চলে এলেন। তিনি কথা বন্ধ করলেন।
আমাদের কথা শেষ। পেটে প্রচণ্ড ক্ষুধা। সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের পূর্ব দিকের এক রেস্তোরাঁয় ডাল, মাংস আর রুটি খেয়ে আমরা যখন বের হলাম, তখন বিকেল হয়ে গেছে। পরের দিন সেই খবর ফলাও করে ছাপা হলো।
আজকের ‘আষাঢ়ে নয়’ লেখার আগে ফোন দিলাম পরিবহননেতা খন্দকার এনায়েত উল্যাহকে। নাজিমের কথা উঠতেই বললেন, নাজিম মারা যাওয়ার কিছুদিন পর মুন্নাও অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করে। একপর্যায়ে সেও মারা যায়। দুই সন্ত্রাসীর মৃত্যুর পরই সায়েদাবাদ টার্মিনাল শান্ত হয়। আজকের সায়েদাবাদ টার্মিনাল দেখলে বোঝাই যায় না, একটা সময় এখানে বন্দুকযুদ্ধ ছিল নিত্যদিনের ঘটনা।
মনে পড়ে গেল সেই পুলিশ কর্মকর্তার কথা, আসলেই সন্ত্রাসীদের চুল পাকে না। তার আগেই প্রতিপক্ষের হাতে প্রাণ যায়।

নিকুঞ্জ-২ আবাসিক এলাকায় তখনো সেভাবে বসবাস শুরু হয়নি। এখন যেখানে ঢাকা রিজেন্সি হোটেল, সেখান থেকে পেছনের দিকে ৮-১০টি সড়কে কেবল বাড়িঘর উঠেছে। নাগরিক টেলিভিশন ভবনের সামনের সড়কটি তখন ছিল বসতির শেষ মাথা। তারপরে খোলা মাঠ, সেখানে দাঁড়ালে দূর থেকে উড়োজাহাজের ওঠানামা দেখা যেত।
এই সড়কগুলোর যেকোনো একটি বাড়ির খোঁজে সকাল থেকে আমরা ২-৩টা করে চক্কর দিয়েছি, কিন্তু খোঁজ মেলেনি। আমরা মানে, আমি আর আমার মোটরবাইকের পেছনে বসা পারভেজ খান, একটি জাতীয় দৈনিকের ক্রাইম রিপোর্টার।
আমাদের কাছে খবর ছিল, নিকুঞ্জ এলাকার কোনো একটি বাড়িতে সে সময়ে ঢাকার নামকরা এক সন্ত্রাসী তাঁর বান্ধবীসহ মারা গেছেন অথবা তাঁকে মেরে ফেলা হয়েছে। বান্ধবীর মৃত্যু ঢাকা মেডিকেলে হওয়ায় আমরা তাঁর নাম জানতে পেরেছি, কিন্তু সেই সন্ত্রাসীর নাম বা তিনি কোথায় মারা গেছেন, তা কেউ বলতে পারছে না। প্রথমে আমাদের ধারণা ছিল, সেই নারীর পরিবারকে ধরে সন্ত্রাসীর নাম-ঠিকানা বের করব। কিন্তু হাসপাতালের কাগজে নাম ছাড়া নারীর কোনো ঠিকানা নেই। মারা যাওয়ার পর কেউ তাঁর লাশও নিতে আসেনি। দুদিন ধরে মৃতদেহ হাসপাতাল মর্গে পড়ে আছে। পারভেজ খানের শক্ত সোর্স, সেই সোর্স বলেছেন, নিকুঞ্জের একটি বাড়িতেই এ ঘটনা ঘটেছে। সেই ভরসায় আমরা গলদঘর্ম হচ্ছি। এটা ১৯৯৯ সালের ১৮ মের ঘটনা।
ঘণ্টা দুয়েক ঘুরে ক্লান্ত হয়ে একটি চায়ের দোকানে বসার পরই মনে হলো, কৌটায় লুকানো ভ্রমরের খোঁজ পেয়ে গেছি। সেই দোকানি একটি বাড়ি দেখিয়ে বললেন, ওই বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে। কীসের চা খাওয়া—গেলাম সেই বাড়িতে। ৫ নম্বর সড়কের চারতলা বাড়িটির উত্তর দিকে একটি ফ্ল্যাটে সেই ঘটনা। তিনতলায় বাড়িওয়ালা থাকেন, কিন্তু তিনি কিছুই বললেন না। পাশের এক ভাড়াটে বললেন, দুদিন আগে এক তরুণী এবং এক পুরুষ মদ পান করে অসুস্থ হওয়ার পর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তিনি তাঁদের নাম জানেন না। কোন হাসপাতালে গেলেন—প্রশ্ন করতেই তিনি বললেন, যাওয়ার সময় তাঁরা বেবিট্যাক্সিচালককে মহাখালীর মেট্রোপলিটান মেডিকেল সেন্টারের নাম বলেছিলেন।
এই তথ্যটুকু আমাদের খুব কাজে দিল। এলাম মহাখালী বাস টার্মিনালের উল্টো দিকে মেট্রোপলিটান মেডিকেল সেন্টারে। ভাড়াটের দেওয়া বিবরণ মিলে গেল। দুদিন আগে নারী-পুরুষ এসেছিলেন। তাঁদের একজনের নাম জেসমিন আক্তার, আরেকজনের ছালাউদ্দিন। হাসপাতালে আসার পর পুরুষটি মারা গেছে, নারীকে তাঁরা ঢাকা মেডিকেলে পাঠান। ঠিকানা বলতে, খাতায় লেখা আছে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল।
ছালাউদ্দিন নামটি আমাদের পরিচিত নয়। এই নামে কোনো সন্ত্রাসী ঢাকায় আছে, মনে করতে পারছি না। তবু মনে হলো, টানেলে আলোর রেখা দেখা দিয়েছে। আমরা একটু একটু করে তথ্যের মালা গাঁথতে শুরু করেছি।
পারভেজ খান আমাকে বললেন, বন্ধু, এবার চলো সায়েদাবাদে, দেখি কে মারা গেছে। এলাম সায়েদাবাদ টার্মিনালে। এখানে সবকিছুই স্বাভাবিক। কিছু হয়েছে, তা কেউ বলছেন না। এক পরিবহননেতাকে আড়ালে ডেকে পারভেজ খান অনেকক্ষণ কথা বললেন, তিনি টার্মিনালের পাশে একটি বাড়ি দেখিয়ে বললেন, ওই বাড়িতে গেলেই সব জানতে পারবেন। গেলাম ১০/২ নম্বর বাড়িতে। বাড়িটি চারতলা। নিচতলায় এক লোককে পেয়ে জানতে চাইলাম, দোতলায় কে থাকেন। তিনি যাঁর নাম বললেন, তা শুনে আমরা চমকে গেলাম। বললেন, এই বাড়িতে থাকতেন সায়েদাবাদের সে সময়ের ত্রাস নাজিম উদ্দিন নাজিম। দুদিন আগে তিনি হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন। বাড়িতে তাঁর স্ত্রী-সন্তান আছে। নাজিমের নাম শুনেই বড় খবরের গন্ধ পেয়ে গেলাম। এতক্ষণের পরিশ্রমের মাশুল মিলল।
দোতলার উঠে দেখি বাড়িতে অনেক লোক, বেশির ভাগের চেহারা সন্ত্রাসীর মতো। কিন্তু সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে তাঁরা আমাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করলেন। বসতে দিলেন। আমরা নাজিমের স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চাইলাম। তিনি ভেতরে আছেন, অপেক্ষা করতে বললেন।
এবার নাজিমের কথা বলি। তখন এরশাদ ক্ষমতায়। রোজই হরতাল, অবরোধ হচ্ছে। এরশাদের পক্ষে একশ্রেণির পরিবহননেতা হরতাল উপেক্ষা করে রাস্তায় গাড়ি চালাতে চাইলেন। তাঁরা পরিবহনশ্রমিকদের হাতে অস্ত্র তুলে দিলেন, যাতে কেউ বাধা দিলেই ব্যবস্থা নেওয়া যায়। এরশাদের পক্ষে সন্ত্রাসী দলের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য দুই যুবককে বাছাই করা হলো। একজনের নাম নাজিম উদ্দিন, আরেকজন মুন্না। এসব করে এরশাদ ক্ষমতায় থাকতে থাকতেই তাঁরা বিপুল অর্থের মালিক হয়ে গেলেন।
এরশাদের পতনের পর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি তাঁরা পরিবহননেতা বনে গেলেন। বাসের হেলপার থেকে ঢাকা-সিলেট রুটের এনপি পরিবহনের অংশীদার হয়ে গেলেন নাজিম। কিন্তু স্বভাব গেল না। শুরু করলেন চাঁদাবাজি আর সন্ত্রাস। প্রথমে নাজিম আর মুন্না একসঙ্গে, পরে দুজন প্রতিপক্ষ হয়ে গেলেন। তাঁদের পৃষ্ঠপোষকতা দিলেন কয়েকজন পরিবহননেতা। তখন দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলি আর বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ছিল নিত্যদিনের। পুলিশের তালিকায় দুজনই হয়ে গেলেন সন্ত্রাসী।
১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর মির্জা আব্বাসের লোকজন সায়েদাবাদে ঢোকার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলো। প্রথম দফা আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে গ্রেপ্তার হন নাজিম। কিছুদিন জেল খেটে বেরিয়ে এসে সায়েদাবাদের পরিবহন সন্ত্রাসীদের এক জোট করলেন। পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে নিকুঞ্জ এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিলেন। আমরা যে বাসার খোঁজ করছিলাম, সেটাই ছিল নাজিমের গোপন আস্তানা।
নাজিমের স্ত্রীর নাম নাসিমা আক্তার পপি। তাঁর এক সন্তান নাঈম। খুবই সাধারণ গৃহবধূ। তিনি কোনো রাখঢাক না করেই সব বলতে শুরু করলেন। ৫-৬ জন তাঁকে ঘিরে আছে।
আমরা যেদিন তাঁর বাড়িতে যাই, সেটা ছিল ১৯৯৯ সালের ১৮ মে, মঙ্গলবার। নাসিমা বললেন, এর দুদিন আগে ১৬ মে দুপুরের দিকে নিজের গাড়িচালক স্বপনকে সঙ্গে নিয়ে বের হন নাজিম। যাওয়ার সময় ম্যানেজার সেলিম, বন্ধু শামীম, কর্মচারী আজিজুল এবং শ্যালক ওমর ফারুক সঙ্গে ছিলেন। তাঁরা নিকুঞ্জে যাচ্ছিলেন। মালিবাগে যাওয়ার পর সেই গাড়িতে ওঠেন জেসমিন নামের এক তরুণী। জেসমিন আগে থেকেই রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। তাঁদের নিকুঞ্জে নামিয়ে দিয়ে গাড়িটি চলে আসে। নাসিমার কথা বলার সময় শ্যালক ওমর ফারুক পাশে ছিলেন। বাকিটা বললেন তিনি।
ওমর ফারুক বললেন, রাতের বেলা তাঁরা বাসায় মদ পান করছিলেন। এক দফা মদ ফুরিয়ে গেলে গভীর রাতে উত্তরার একটি বাড়িতে গিয়ে আবার মদ নিয়ে আসেন। সেটা খেয়ে নাজিম, জেসমিন ও আজিজুল অসুস্থ হয়ে পড়েন। সকালে তাঁদের মহাখালীর মেট্রোপলিটান মেডিকেল সেন্টারে নেওয়া হয়। সেখানে নাজিমের নাম বলা হয় ছালাউদ্দিন। পরে নাজিম মারা যান। জেসমিন ও আজিজুলকে পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেলে। পরে তাঁরাও মারা যান। এরপর তাঁরা নাজিমের লাশ গোপনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়। পরে নাজিমের গাড়িচালককে দিয়ে পুলিশ একটি অভিযোগ লিখিয়ে মদপানে মৃত্যুর মামলা করে।
নাসিমার কাছে জানতে চাইলাম, জেসমিনকে চেনেন? তিনি মাথা নাড়লেন, কিছু বললেন না। বোঝা গেল, স্বামীর এ কর্মকাণ্ডে তিনি খুবই বিরক্ত। বললেন, জেসমিনের বাবার নাম আওলাদ হোসেন। সিপাহিবাগে বাসা। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবস্থাপনা বিষয়ে পড়েছে। তাঁর সঙ্গে নাজিমের বৈবাহিক কোনো সম্পর্ক নেই। কিন্তু দুজন একসঙ্গে থাকেন। এটা নিয়ে কেউ কিছু বলতে পারে না। তিনি খুব বিরক্তি নিয়ে বললেন, ‘লেখাপড়া জানা একটি মেয়ে আমার স্বামীর রক্ষিতা।’ নাসিমার দিকে তাকিয়ে মনে হলো, তিনি গোপন কিছু বলতে চান, কিন্তু পারছেন না। আমি তাঁকে বললাম, আপনি কি আলাদা কিছু বলতে চান? তিনি মাথা নাড়লেন, আমি সবাইকে বের হয়ে যাওয়ার অনুরোধ করতেই তাঁরা সরে গেলেন। নাসিমা এদিক-ওদিক তাকিয়ে বললেন, মদের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে তাঁদের মেরে ফেলা হয়েছে। এটুকু বলতেই লোকজন চলে এলেন। তিনি কথা বন্ধ করলেন।
আমাদের কথা শেষ। পেটে প্রচণ্ড ক্ষুধা। সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের পূর্ব দিকের এক রেস্তোরাঁয় ডাল, মাংস আর রুটি খেয়ে আমরা যখন বের হলাম, তখন বিকেল হয়ে গেছে। পরের দিন সেই খবর ফলাও করে ছাপা হলো।
আজকের ‘আষাঢ়ে নয়’ লেখার আগে ফোন দিলাম পরিবহননেতা খন্দকার এনায়েত উল্যাহকে। নাজিমের কথা উঠতেই বললেন, নাজিম মারা যাওয়ার কিছুদিন পর মুন্নাও অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করে। একপর্যায়ে সেও মারা যায়। দুই সন্ত্রাসীর মৃত্যুর পরই সায়েদাবাদ টার্মিনাল শান্ত হয়। আজকের সায়েদাবাদ টার্মিনাল দেখলে বোঝাই যায় না, একটা সময় এখানে বন্দুকযুদ্ধ ছিল নিত্যদিনের ঘটনা।
মনে পড়ে গেল সেই পুলিশ কর্মকর্তার কথা, আসলেই সন্ত্রাসীদের চুল পাকে না। তার আগেই প্রতিপক্ষের হাতে প্রাণ যায়।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৫ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৮ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৮ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৯ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

নিকুঞ্জ-২ আবাসিক এলাকায় তখনো সেভাবে বসবাস শুরু হয়নি। এখন যেখানে ঢাকা রিজেন্সি হোটেল, সেখান থেকে পেছনের দিকে ৮-১০টি সড়কে কেবল বাড়িঘর উঠেছে। নাগরিক টেলিভিশন ভবনের সামনের সড়কটি তখন ছিল বসতির শেষ মাথা। তারপরে খোলা মাঠ, সেখানে দাঁড়ালে দূর থেকে উড়োজাহাজের ওঠানামা দেখা যেত।
৩০ এপ্রিল ২০২২
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৮ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৮ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৯ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

নিকুঞ্জ-২ আবাসিক এলাকায় তখনো সেভাবে বসবাস শুরু হয়নি। এখন যেখানে ঢাকা রিজেন্সি হোটেল, সেখান থেকে পেছনের দিকে ৮-১০টি সড়কে কেবল বাড়িঘর উঠেছে। নাগরিক টেলিভিশন ভবনের সামনের সড়কটি তখন ছিল বসতির শেষ মাথা। তারপরে খোলা মাঠ, সেখানে দাঁড়ালে দূর থেকে উড়োজাহাজের ওঠানামা দেখা যেত।
৩০ এপ্রিল ২০২২
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৫ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৮ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৯ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

নিকুঞ্জ-২ আবাসিক এলাকায় তখনো সেভাবে বসবাস শুরু হয়নি। এখন যেখানে ঢাকা রিজেন্সি হোটেল, সেখান থেকে পেছনের দিকে ৮-১০টি সড়কে কেবল বাড়িঘর উঠেছে। নাগরিক টেলিভিশন ভবনের সামনের সড়কটি তখন ছিল বসতির শেষ মাথা। তারপরে খোলা মাঠ, সেখানে দাঁড়ালে দূর থেকে উড়োজাহাজের ওঠানামা দেখা যেত।
৩০ এপ্রিল ২০২২
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৫ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৮ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৯ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

নিকুঞ্জ-২ আবাসিক এলাকায় তখনো সেভাবে বসবাস শুরু হয়নি। এখন যেখানে ঢাকা রিজেন্সি হোটেল, সেখান থেকে পেছনের দিকে ৮-১০টি সড়কে কেবল বাড়িঘর উঠেছে। নাগরিক টেলিভিশন ভবনের সামনের সড়কটি তখন ছিল বসতির শেষ মাথা। তারপরে খোলা মাঠ, সেখানে দাঁড়ালে দূর থেকে উড়োজাহাজের ওঠানামা দেখা যেত।
৩০ এপ্রিল ২০২২
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৫ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৮ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৮ দিন আগে