কামরুল হাসান

‘ইন্টারোগেশন চেম্বারে’ বসা এক নারী আসামি। দুই হাত চেয়ারের সঙ্গে আটকানো। নড়ার কোনো উপায় নেই। চোখের ওপরে উজ্জ্বল আলো; সামনে কারা আছেন, তা-ও দেখা যাচ্ছে না। তিন সংস্থার তিনজন কর্মকর্তা জেরার জন্য প্রস্তুত। সবার হাতে নারী সম্পর্কে একটি গোপন প্রতিবেদন।
– আপনার নাম?
– নাসিমা আক্তার।
– বাড়ি?
– ঢাকার রামপুরা।
–আপনি তো বোমা মেরে বিদ্যুৎকেন্দ্র উড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। আপনার সঙ্গে আর কারা আছে?
নাসিমা নীরব। এ প্রশ্নের কোনো উত্তর তিনি জানেন না। যতই অস্বীকার করেন, কেউ বিশ্বাস করেন না। এভাবে কেটে যায় এক দিন। পরের দিন আবার জেরা, সেই একই প্রশ্ন—কেন নাশকতার ছক কষলেন? কথায় কাজ না হলে জিজ্ঞাসাবাদের মাত্রা বাড়ানোর ইঙ্গিত। তবু অটল নাসিমা। তাঁর একটাই কথা, ‘আমি এসবের কিছু জানি না।’
নেটফ্লিক্সে ‘গুল’ (Ghoul) নামে একটি ভারতীয় সিনেমা আছে। মূল চরিত্রে রাধিকা আপ্তে অভিনয় করেছেন। বিশেষায়িত জিজ্ঞাসাবাদ সেলে কীভাবে আসামিদের জেরা করা হয়, তা দেখানো হয়েছে সেই ছবিতে। সেটা দেখলে গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠবে। নাসিমার জেরাও ‘গুল’-এর সেই জিজ্ঞাসাবাদ দৃশ্যের চেয়ে কম কিছু হয়নি। টানা তিন দিন তাঁকে জেরা করে ক্ষান্ত হন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এরপর থানা-পুলিশের কাছে ফেরত পাঠানো হয়। সেখানে আরও কয়েক দিন রিমান্ডে থাকেন।
এই ‘ভয়ংকর’ আসামি নাসিমা আক্তারকে ধরেছিল খিলগাঁও থানা-পুলিশ। তখন খিলগাঁওয়ের ওসি ছিলেন গিয়াস উদ্দিন আহমেদ। নাসিমা থাকতেন রামপুরার একটি বাসায়। সেই বাসা থেকে ১৯৯৯ সালের ২৫ এপ্রিল তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে আনা হয় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ। বলা হয়, তিনি পানি শোধনাগার ও বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন। গ্রেপ্তারের পর সে কারণেই তাঁকে টিএফআই বা টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন সেলে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঠানো হয়।
নাসিমাকে গ্রেপ্তারের পর মিন্টো রোডের পুলিশের জনসংযোগ শাখা থেকে তাঁর ছবিসহ তথ্য পাঠিয়ে খিলগাঁও থানার ওসি এবং পুলিশের জনসংযোগ শাখার একজন কর্মকর্তা ফোন করে সাংবাদিকদের অনুরোধ করেছিলেন, যাতে ভালো করে ছাপা হয়। অবশ্য পরের দিন দেশের সব দৈনিকের প্রথম পাতায় ছবিসহ নাসিমাকে গ্রেপ্তারের খবর ফলাও করে ছাপা হয়। তাতে বলা হয়, তিনি একজন ভয়ংকর আসামি। আমার মনে আছে, জনকণ্ঠে প্রথম পাতার ডান দিকে শেষ কলামে নাসিমার ছবিসমেত খবর ছাপা হয়েছিল।
স্বাভাবিকভাবেই পরের দিন খিলগাঁও থানায় গেলাম নাসিমার ফলোআপ করতে। নাসিমাকে নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকার কভারেজে ওসি অনেক খুশি। কিছুক্ষণ পরপর তাঁর ফোন আসছে। এর মধ্যে একটি ফোনালাপ আমার কানে এল। মনে হলো, নাসিমাকে নিয়ে খবর দেওয়ার ব্যাপারে কেউ তাঁকে সাবধান করে দিচ্ছেন। অনেকক্ষণ বসে আছি, ওসি এটা-সেটা খাওয়াচ্ছেন কিন্তু কোনো তথ্য দিচ্ছেন না। নাসিমার বাড়ির নম্বর চাইতেই তাঁর মুখ কালো হয়ে গেল। একটু আমতা-আমতা করলেন, দেব-দিচ্ছি করে আর দিলেন না। আমার মনে হলো, এ ঘটনার মধ্যে অন্য কিছু আছে। ডিউটি অফিসারের কাছে গিয়ে জানতে পারলাম, নাসিমার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয়নি, তাঁকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। খটকা আরও বেড়ে গেল।
পরিচিত ডিউটি অফিসারের কাছ থেকে নাসিমার বাসার নম্বর নিয়ে গেলাম রামপুরায় নাসিমার বাসায়। কিন্তু সেখানে কেউ নেই। বাসায় তালা ঝুলছে। নাসিমা গ্রেপ্তারের পর বাড়ির সবাই ভয়ে অন্যত্র চলে গেছে। এক প্রতিবেশী বললেন, মেয়েটাকে ফাঁসানো হয়েছে। কিন্তু কী নিয়ে ফাঁসানো হয়েছে, তা তিনি জানেন না। রিমান্ড শেষ হওয়ার পর নাসিমাকে পাঠানো হলো কারাগারে। এবার মনে হলো, উপায় হলেও হতে পারে।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের এক কর্মকর্তাকে অনুরোধ করলাম নাসিমার সঙ্গে কথা বলার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। তিনি ব্যবস্থা করে দিলেন। জেলারের অফিস রুমের ঢোকার মুখে বন্দীদের সাক্ষাতের একটি স্থানে নাসিমাকে আনা হলো। প্রথমে অচেনা লোক দেখে তিনি একটু ঘাবড়ে গেলেন। পরে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে কথা বলতে শুরু করলেন। পকেটে মিনি টেপরেকর্ডার। নাসিমা যা বলছেন, সব রেকর্ড হচ্ছে।
ঢাকার মেয়ে নাসিমা এসএসসি পাস করার পর একটি চাকরি নিয়ে কুয়েতে চলে যান। সেখানে দিনকাল ভালোই চলছিল। এর মধ্যে ১৯৯০ সালের ২ আগস্ট কুয়েত আক্রমণ করল ইরাক। অবস্থা বুঝে তিনি দেশে চলে এলেন। নিজের জমানো টাকা দিয়ে উত্তরায় ২১ শতক জমি কিনলেন। ইচ্ছে ছিল, বিয়ে করে সুখে সংসার করার। ইত্তেফাক পত্রিকার ‘পাত্র চাই’ কলামে বিজ্ঞাপন দিলেন। এগিয়ে আসেন জাকির হোসেন নামের এক প্রকৌশলী। পরে দুজনে সম্মত হয়ে বিয়ে করে রামপুরায় থাকতে শুরু করেন।
ধীরে ধীরে কুয়েতের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গেল। কোম্পানি থেকে ডাক এল ফিরে যাওয়ার জন্য। জাকির তখন তাঁকে প্রস্তাব দিলেন উত্তরার সেই ২১ শতক জমিটি তাঁকে লিখে দিতে হবে। তিনি গ্রামে গিয়ে ব্যবসা করবেন। নাসিমা কিছুতেই রাজি না। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য হলো। নাসিমা একাই কুয়েত চলে গেলেন। কয়েক মাস পরে কুয়েতে বসে পেলেন ডিভোর্সের চিঠি। সেই চিঠি হাতে পেয়ে মন খারাপ করে আবার দেশে ফিরে এলেন। জাকিরের কাছে কারণ জানতে চাইলেন। জাকির সব ভুলে গিয়ে আবার তাঁকে বিয়ে করার প্রস্তাব দিলেন, করলেনও। কিন্তু মনে মনে জাকির জমি দখলের ফন্দি আঁটলেন।
নাসিমার উত্তরার জমির সীমানা নিয়ে এক প্রতিবেশীর সঙ্গে বিরোধ ছিল। জাকির তাঁর সঙ্গে হাত মেলালেন। সেই জমির মালিকের এক বন্ধু ছিলেন একটি বাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তা। তাঁর সাহায্য নিয়েই নাসিমাকে রাষ্ট্রদ্রোহী সাজিয়ে গ্রেপ্তার করালেন। নাসিমা আমাকে বললেন, পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করার পর একদিন রাতে চোখ বেঁধে একটি স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে দেখেন সেই কর্মকর্তা বসে আছেন। ওই কর্মকর্তা তাঁকে হুমকি দিয়ে বলেন, জমিটা ছেড়ে না দিলে জানটা আর থাকবে না। নাসিমা বললেন, কষ্টের টাকায় কেনা একখণ্ড জমি সুখের বদলে তাঁর জীবনের কাল হয়ে গেল। সাক্ষাৎকার নিয়ে বের হয়ে এলাম। পরের দিন সেই খবর ছাপা হলো।
এরপর হইচই পড়ে গেল। বিষয়টি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নজর এড়াল না। তিনি পুলিশকে সব খতিয়ে দেখতে বললেন। খিলগাঁওয়ের ওসিকে সরিয়ে দেওয়া হলো। নাসিমার স্বামী প্রকৌশলী জাকির অবস্থা বেগতিক দেখে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে নিজের দোষ এড়ানোর চেষ্টা করলেন। তিনি বললেন, নাসিমার সঙ্গে বড় বড় সন্ত্রাসীর জানাশোনা আছে। কিন্তু সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকেরা যেসব প্রশ্ন করলেন, তার কোনোটারই সদুত্তর তিনি দিতে পারলেন না।
অবশেষে ১৯৯৯ সালের ৩ মে নাসিমা জামিনে মুক্ত হলেন। আদালত থেকে বারবার পুলিশের কাছে রাষ্ট্রদ্রোহের তথ্যপ্রমাণ চাওয়া হলো। কিন্তু পুলিশ এসব দিতে ব্যর্থ হলো। শেষ পর্যন্ত অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেলেন নাসিমা। নাসিমা মুক্তি পাওয়ার পর প্রায় সব কাগজেই তাঁকে নিয়ে প্রতিবেদন ছাপা হলো। কয়েকটি মানবাধিকার সংস্থাও তাঁকে সহায়তা দিতে এগিয়ে এল। অনেক কাজের ভিড়ে নাসিমাকে ভুলে গেলাম।
কয়েক বছর পর কী একটা কাজে বিমানবন্দরে গেছি। দেখি বিদেশগামী যাত্রীদের লাইনে নাসিমা দাঁড়িয়ে, বোর্ডিং কার্ড নিচ্ছেন। আমাকে দেখে চিনতে পেরে এগিয়ে এলেন। বললেন, নিজের জীবনটুকু ছাড়া আর সবই হারিয়েছেন। জমি-বাড়ি কিছুই নেই তাঁর, আছে শুধু জীবনটা। এটা আর হারাতে চান না, তাই বিদেশ চলে যাচ্ছেন। এটুকু বলতেই চোখ ছলছল করে উঠল নাসিমার, বাঁ হাতে চোখ-মুখ মুছে ইমিগ্রেশনের দিকে এগোলেন। আমিও আর কিছুই বলতে পারলাম না, শুধু তাঁর পথের দিকে চেয়ে রইলাম।
আরও পড়ুন:

‘ইন্টারোগেশন চেম্বারে’ বসা এক নারী আসামি। দুই হাত চেয়ারের সঙ্গে আটকানো। নড়ার কোনো উপায় নেই। চোখের ওপরে উজ্জ্বল আলো; সামনে কারা আছেন, তা-ও দেখা যাচ্ছে না। তিন সংস্থার তিনজন কর্মকর্তা জেরার জন্য প্রস্তুত। সবার হাতে নারী সম্পর্কে একটি গোপন প্রতিবেদন।
– আপনার নাম?
– নাসিমা আক্তার।
– বাড়ি?
– ঢাকার রামপুরা।
–আপনি তো বোমা মেরে বিদ্যুৎকেন্দ্র উড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। আপনার সঙ্গে আর কারা আছে?
নাসিমা নীরব। এ প্রশ্নের কোনো উত্তর তিনি জানেন না। যতই অস্বীকার করেন, কেউ বিশ্বাস করেন না। এভাবে কেটে যায় এক দিন। পরের দিন আবার জেরা, সেই একই প্রশ্ন—কেন নাশকতার ছক কষলেন? কথায় কাজ না হলে জিজ্ঞাসাবাদের মাত্রা বাড়ানোর ইঙ্গিত। তবু অটল নাসিমা। তাঁর একটাই কথা, ‘আমি এসবের কিছু জানি না।’
নেটফ্লিক্সে ‘গুল’ (Ghoul) নামে একটি ভারতীয় সিনেমা আছে। মূল চরিত্রে রাধিকা আপ্তে অভিনয় করেছেন। বিশেষায়িত জিজ্ঞাসাবাদ সেলে কীভাবে আসামিদের জেরা করা হয়, তা দেখানো হয়েছে সেই ছবিতে। সেটা দেখলে গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠবে। নাসিমার জেরাও ‘গুল’-এর সেই জিজ্ঞাসাবাদ দৃশ্যের চেয়ে কম কিছু হয়নি। টানা তিন দিন তাঁকে জেরা করে ক্ষান্ত হন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এরপর থানা-পুলিশের কাছে ফেরত পাঠানো হয়। সেখানে আরও কয়েক দিন রিমান্ডে থাকেন।
এই ‘ভয়ংকর’ আসামি নাসিমা আক্তারকে ধরেছিল খিলগাঁও থানা-পুলিশ। তখন খিলগাঁওয়ের ওসি ছিলেন গিয়াস উদ্দিন আহমেদ। নাসিমা থাকতেন রামপুরার একটি বাসায়। সেই বাসা থেকে ১৯৯৯ সালের ২৫ এপ্রিল তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে আনা হয় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ। বলা হয়, তিনি পানি শোধনাগার ও বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন। গ্রেপ্তারের পর সে কারণেই তাঁকে টিএফআই বা টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন সেলে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঠানো হয়।
নাসিমাকে গ্রেপ্তারের পর মিন্টো রোডের পুলিশের জনসংযোগ শাখা থেকে তাঁর ছবিসহ তথ্য পাঠিয়ে খিলগাঁও থানার ওসি এবং পুলিশের জনসংযোগ শাখার একজন কর্মকর্তা ফোন করে সাংবাদিকদের অনুরোধ করেছিলেন, যাতে ভালো করে ছাপা হয়। অবশ্য পরের দিন দেশের সব দৈনিকের প্রথম পাতায় ছবিসহ নাসিমাকে গ্রেপ্তারের খবর ফলাও করে ছাপা হয়। তাতে বলা হয়, তিনি একজন ভয়ংকর আসামি। আমার মনে আছে, জনকণ্ঠে প্রথম পাতার ডান দিকে শেষ কলামে নাসিমার ছবিসমেত খবর ছাপা হয়েছিল।
স্বাভাবিকভাবেই পরের দিন খিলগাঁও থানায় গেলাম নাসিমার ফলোআপ করতে। নাসিমাকে নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকার কভারেজে ওসি অনেক খুশি। কিছুক্ষণ পরপর তাঁর ফোন আসছে। এর মধ্যে একটি ফোনালাপ আমার কানে এল। মনে হলো, নাসিমাকে নিয়ে খবর দেওয়ার ব্যাপারে কেউ তাঁকে সাবধান করে দিচ্ছেন। অনেকক্ষণ বসে আছি, ওসি এটা-সেটা খাওয়াচ্ছেন কিন্তু কোনো তথ্য দিচ্ছেন না। নাসিমার বাড়ির নম্বর চাইতেই তাঁর মুখ কালো হয়ে গেল। একটু আমতা-আমতা করলেন, দেব-দিচ্ছি করে আর দিলেন না। আমার মনে হলো, এ ঘটনার মধ্যে অন্য কিছু আছে। ডিউটি অফিসারের কাছে গিয়ে জানতে পারলাম, নাসিমার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয়নি, তাঁকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। খটকা আরও বেড়ে গেল।
পরিচিত ডিউটি অফিসারের কাছ থেকে নাসিমার বাসার নম্বর নিয়ে গেলাম রামপুরায় নাসিমার বাসায়। কিন্তু সেখানে কেউ নেই। বাসায় তালা ঝুলছে। নাসিমা গ্রেপ্তারের পর বাড়ির সবাই ভয়ে অন্যত্র চলে গেছে। এক প্রতিবেশী বললেন, মেয়েটাকে ফাঁসানো হয়েছে। কিন্তু কী নিয়ে ফাঁসানো হয়েছে, তা তিনি জানেন না। রিমান্ড শেষ হওয়ার পর নাসিমাকে পাঠানো হলো কারাগারে। এবার মনে হলো, উপায় হলেও হতে পারে।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের এক কর্মকর্তাকে অনুরোধ করলাম নাসিমার সঙ্গে কথা বলার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। তিনি ব্যবস্থা করে দিলেন। জেলারের অফিস রুমের ঢোকার মুখে বন্দীদের সাক্ষাতের একটি স্থানে নাসিমাকে আনা হলো। প্রথমে অচেনা লোক দেখে তিনি একটু ঘাবড়ে গেলেন। পরে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে কথা বলতে শুরু করলেন। পকেটে মিনি টেপরেকর্ডার। নাসিমা যা বলছেন, সব রেকর্ড হচ্ছে।
ঢাকার মেয়ে নাসিমা এসএসসি পাস করার পর একটি চাকরি নিয়ে কুয়েতে চলে যান। সেখানে দিনকাল ভালোই চলছিল। এর মধ্যে ১৯৯০ সালের ২ আগস্ট কুয়েত আক্রমণ করল ইরাক। অবস্থা বুঝে তিনি দেশে চলে এলেন। নিজের জমানো টাকা দিয়ে উত্তরায় ২১ শতক জমি কিনলেন। ইচ্ছে ছিল, বিয়ে করে সুখে সংসার করার। ইত্তেফাক পত্রিকার ‘পাত্র চাই’ কলামে বিজ্ঞাপন দিলেন। এগিয়ে আসেন জাকির হোসেন নামের এক প্রকৌশলী। পরে দুজনে সম্মত হয়ে বিয়ে করে রামপুরায় থাকতে শুরু করেন।
ধীরে ধীরে কুয়েতের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গেল। কোম্পানি থেকে ডাক এল ফিরে যাওয়ার জন্য। জাকির তখন তাঁকে প্রস্তাব দিলেন উত্তরার সেই ২১ শতক জমিটি তাঁকে লিখে দিতে হবে। তিনি গ্রামে গিয়ে ব্যবসা করবেন। নাসিমা কিছুতেই রাজি না। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য হলো। নাসিমা একাই কুয়েত চলে গেলেন। কয়েক মাস পরে কুয়েতে বসে পেলেন ডিভোর্সের চিঠি। সেই চিঠি হাতে পেয়ে মন খারাপ করে আবার দেশে ফিরে এলেন। জাকিরের কাছে কারণ জানতে চাইলেন। জাকির সব ভুলে গিয়ে আবার তাঁকে বিয়ে করার প্রস্তাব দিলেন, করলেনও। কিন্তু মনে মনে জাকির জমি দখলের ফন্দি আঁটলেন।
নাসিমার উত্তরার জমির সীমানা নিয়ে এক প্রতিবেশীর সঙ্গে বিরোধ ছিল। জাকির তাঁর সঙ্গে হাত মেলালেন। সেই জমির মালিকের এক বন্ধু ছিলেন একটি বাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তা। তাঁর সাহায্য নিয়েই নাসিমাকে রাষ্ট্রদ্রোহী সাজিয়ে গ্রেপ্তার করালেন। নাসিমা আমাকে বললেন, পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করার পর একদিন রাতে চোখ বেঁধে একটি স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে দেখেন সেই কর্মকর্তা বসে আছেন। ওই কর্মকর্তা তাঁকে হুমকি দিয়ে বলেন, জমিটা ছেড়ে না দিলে জানটা আর থাকবে না। নাসিমা বললেন, কষ্টের টাকায় কেনা একখণ্ড জমি সুখের বদলে তাঁর জীবনের কাল হয়ে গেল। সাক্ষাৎকার নিয়ে বের হয়ে এলাম। পরের দিন সেই খবর ছাপা হলো।
এরপর হইচই পড়ে গেল। বিষয়টি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নজর এড়াল না। তিনি পুলিশকে সব খতিয়ে দেখতে বললেন। খিলগাঁওয়ের ওসিকে সরিয়ে দেওয়া হলো। নাসিমার স্বামী প্রকৌশলী জাকির অবস্থা বেগতিক দেখে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে নিজের দোষ এড়ানোর চেষ্টা করলেন। তিনি বললেন, নাসিমার সঙ্গে বড় বড় সন্ত্রাসীর জানাশোনা আছে। কিন্তু সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকেরা যেসব প্রশ্ন করলেন, তার কোনোটারই সদুত্তর তিনি দিতে পারলেন না।
অবশেষে ১৯৯৯ সালের ৩ মে নাসিমা জামিনে মুক্ত হলেন। আদালত থেকে বারবার পুলিশের কাছে রাষ্ট্রদ্রোহের তথ্যপ্রমাণ চাওয়া হলো। কিন্তু পুলিশ এসব দিতে ব্যর্থ হলো। শেষ পর্যন্ত অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেলেন নাসিমা। নাসিমা মুক্তি পাওয়ার পর প্রায় সব কাগজেই তাঁকে নিয়ে প্রতিবেদন ছাপা হলো। কয়েকটি মানবাধিকার সংস্থাও তাঁকে সহায়তা দিতে এগিয়ে এল। অনেক কাজের ভিড়ে নাসিমাকে ভুলে গেলাম।
কয়েক বছর পর কী একটা কাজে বিমানবন্দরে গেছি। দেখি বিদেশগামী যাত্রীদের লাইনে নাসিমা দাঁড়িয়ে, বোর্ডিং কার্ড নিচ্ছেন। আমাকে দেখে চিনতে পেরে এগিয়ে এলেন। বললেন, নিজের জীবনটুকু ছাড়া আর সবই হারিয়েছেন। জমি-বাড়ি কিছুই নেই তাঁর, আছে শুধু জীবনটা। এটা আর হারাতে চান না, তাই বিদেশ চলে যাচ্ছেন। এটুকু বলতেই চোখ ছলছল করে উঠল নাসিমার, বাঁ হাতে চোখ-মুখ মুছে ইমিগ্রেশনের দিকে এগোলেন। আমিও আর কিছুই বলতে পারলাম না, শুধু তাঁর পথের দিকে চেয়ে রইলাম।
আরও পড়ুন:
কামরুল হাসান

‘ইন্টারোগেশন চেম্বারে’ বসা এক নারী আসামি। দুই হাত চেয়ারের সঙ্গে আটকানো। নড়ার কোনো উপায় নেই। চোখের ওপরে উজ্জ্বল আলো; সামনে কারা আছেন, তা-ও দেখা যাচ্ছে না। তিন সংস্থার তিনজন কর্মকর্তা জেরার জন্য প্রস্তুত। সবার হাতে নারী সম্পর্কে একটি গোপন প্রতিবেদন।
– আপনার নাম?
– নাসিমা আক্তার।
– বাড়ি?
– ঢাকার রামপুরা।
–আপনি তো বোমা মেরে বিদ্যুৎকেন্দ্র উড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। আপনার সঙ্গে আর কারা আছে?
নাসিমা নীরব। এ প্রশ্নের কোনো উত্তর তিনি জানেন না। যতই অস্বীকার করেন, কেউ বিশ্বাস করেন না। এভাবে কেটে যায় এক দিন। পরের দিন আবার জেরা, সেই একই প্রশ্ন—কেন নাশকতার ছক কষলেন? কথায় কাজ না হলে জিজ্ঞাসাবাদের মাত্রা বাড়ানোর ইঙ্গিত। তবু অটল নাসিমা। তাঁর একটাই কথা, ‘আমি এসবের কিছু জানি না।’
নেটফ্লিক্সে ‘গুল’ (Ghoul) নামে একটি ভারতীয় সিনেমা আছে। মূল চরিত্রে রাধিকা আপ্তে অভিনয় করেছেন। বিশেষায়িত জিজ্ঞাসাবাদ সেলে কীভাবে আসামিদের জেরা করা হয়, তা দেখানো হয়েছে সেই ছবিতে। সেটা দেখলে গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠবে। নাসিমার জেরাও ‘গুল’-এর সেই জিজ্ঞাসাবাদ দৃশ্যের চেয়ে কম কিছু হয়নি। টানা তিন দিন তাঁকে জেরা করে ক্ষান্ত হন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এরপর থানা-পুলিশের কাছে ফেরত পাঠানো হয়। সেখানে আরও কয়েক দিন রিমান্ডে থাকেন।
এই ‘ভয়ংকর’ আসামি নাসিমা আক্তারকে ধরেছিল খিলগাঁও থানা-পুলিশ। তখন খিলগাঁওয়ের ওসি ছিলেন গিয়াস উদ্দিন আহমেদ। নাসিমা থাকতেন রামপুরার একটি বাসায়। সেই বাসা থেকে ১৯৯৯ সালের ২৫ এপ্রিল তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে আনা হয় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ। বলা হয়, তিনি পানি শোধনাগার ও বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন। গ্রেপ্তারের পর সে কারণেই তাঁকে টিএফআই বা টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন সেলে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঠানো হয়।
নাসিমাকে গ্রেপ্তারের পর মিন্টো রোডের পুলিশের জনসংযোগ শাখা থেকে তাঁর ছবিসহ তথ্য পাঠিয়ে খিলগাঁও থানার ওসি এবং পুলিশের জনসংযোগ শাখার একজন কর্মকর্তা ফোন করে সাংবাদিকদের অনুরোধ করেছিলেন, যাতে ভালো করে ছাপা হয়। অবশ্য পরের দিন দেশের সব দৈনিকের প্রথম পাতায় ছবিসহ নাসিমাকে গ্রেপ্তারের খবর ফলাও করে ছাপা হয়। তাতে বলা হয়, তিনি একজন ভয়ংকর আসামি। আমার মনে আছে, জনকণ্ঠে প্রথম পাতার ডান দিকে শেষ কলামে নাসিমার ছবিসমেত খবর ছাপা হয়েছিল।
স্বাভাবিকভাবেই পরের দিন খিলগাঁও থানায় গেলাম নাসিমার ফলোআপ করতে। নাসিমাকে নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকার কভারেজে ওসি অনেক খুশি। কিছুক্ষণ পরপর তাঁর ফোন আসছে। এর মধ্যে একটি ফোনালাপ আমার কানে এল। মনে হলো, নাসিমাকে নিয়ে খবর দেওয়ার ব্যাপারে কেউ তাঁকে সাবধান করে দিচ্ছেন। অনেকক্ষণ বসে আছি, ওসি এটা-সেটা খাওয়াচ্ছেন কিন্তু কোনো তথ্য দিচ্ছেন না। নাসিমার বাড়ির নম্বর চাইতেই তাঁর মুখ কালো হয়ে গেল। একটু আমতা-আমতা করলেন, দেব-দিচ্ছি করে আর দিলেন না। আমার মনে হলো, এ ঘটনার মধ্যে অন্য কিছু আছে। ডিউটি অফিসারের কাছে গিয়ে জানতে পারলাম, নাসিমার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয়নি, তাঁকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। খটকা আরও বেড়ে গেল।
পরিচিত ডিউটি অফিসারের কাছ থেকে নাসিমার বাসার নম্বর নিয়ে গেলাম রামপুরায় নাসিমার বাসায়। কিন্তু সেখানে কেউ নেই। বাসায় তালা ঝুলছে। নাসিমা গ্রেপ্তারের পর বাড়ির সবাই ভয়ে অন্যত্র চলে গেছে। এক প্রতিবেশী বললেন, মেয়েটাকে ফাঁসানো হয়েছে। কিন্তু কী নিয়ে ফাঁসানো হয়েছে, তা তিনি জানেন না। রিমান্ড শেষ হওয়ার পর নাসিমাকে পাঠানো হলো কারাগারে। এবার মনে হলো, উপায় হলেও হতে পারে।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের এক কর্মকর্তাকে অনুরোধ করলাম নাসিমার সঙ্গে কথা বলার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। তিনি ব্যবস্থা করে দিলেন। জেলারের অফিস রুমের ঢোকার মুখে বন্দীদের সাক্ষাতের একটি স্থানে নাসিমাকে আনা হলো। প্রথমে অচেনা লোক দেখে তিনি একটু ঘাবড়ে গেলেন। পরে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে কথা বলতে শুরু করলেন। পকেটে মিনি টেপরেকর্ডার। নাসিমা যা বলছেন, সব রেকর্ড হচ্ছে।
ঢাকার মেয়ে নাসিমা এসএসসি পাস করার পর একটি চাকরি নিয়ে কুয়েতে চলে যান। সেখানে দিনকাল ভালোই চলছিল। এর মধ্যে ১৯৯০ সালের ২ আগস্ট কুয়েত আক্রমণ করল ইরাক। অবস্থা বুঝে তিনি দেশে চলে এলেন। নিজের জমানো টাকা দিয়ে উত্তরায় ২১ শতক জমি কিনলেন। ইচ্ছে ছিল, বিয়ে করে সুখে সংসার করার। ইত্তেফাক পত্রিকার ‘পাত্র চাই’ কলামে বিজ্ঞাপন দিলেন। এগিয়ে আসেন জাকির হোসেন নামের এক প্রকৌশলী। পরে দুজনে সম্মত হয়ে বিয়ে করে রামপুরায় থাকতে শুরু করেন।
ধীরে ধীরে কুয়েতের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গেল। কোম্পানি থেকে ডাক এল ফিরে যাওয়ার জন্য। জাকির তখন তাঁকে প্রস্তাব দিলেন উত্তরার সেই ২১ শতক জমিটি তাঁকে লিখে দিতে হবে। তিনি গ্রামে গিয়ে ব্যবসা করবেন। নাসিমা কিছুতেই রাজি না। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য হলো। নাসিমা একাই কুয়েত চলে গেলেন। কয়েক মাস পরে কুয়েতে বসে পেলেন ডিভোর্সের চিঠি। সেই চিঠি হাতে পেয়ে মন খারাপ করে আবার দেশে ফিরে এলেন। জাকিরের কাছে কারণ জানতে চাইলেন। জাকির সব ভুলে গিয়ে আবার তাঁকে বিয়ে করার প্রস্তাব দিলেন, করলেনও। কিন্তু মনে মনে জাকির জমি দখলের ফন্দি আঁটলেন।
নাসিমার উত্তরার জমির সীমানা নিয়ে এক প্রতিবেশীর সঙ্গে বিরোধ ছিল। জাকির তাঁর সঙ্গে হাত মেলালেন। সেই জমির মালিকের এক বন্ধু ছিলেন একটি বাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তা। তাঁর সাহায্য নিয়েই নাসিমাকে রাষ্ট্রদ্রোহী সাজিয়ে গ্রেপ্তার করালেন। নাসিমা আমাকে বললেন, পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করার পর একদিন রাতে চোখ বেঁধে একটি স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে দেখেন সেই কর্মকর্তা বসে আছেন। ওই কর্মকর্তা তাঁকে হুমকি দিয়ে বলেন, জমিটা ছেড়ে না দিলে জানটা আর থাকবে না। নাসিমা বললেন, কষ্টের টাকায় কেনা একখণ্ড জমি সুখের বদলে তাঁর জীবনের কাল হয়ে গেল। সাক্ষাৎকার নিয়ে বের হয়ে এলাম। পরের দিন সেই খবর ছাপা হলো।
এরপর হইচই পড়ে গেল। বিষয়টি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নজর এড়াল না। তিনি পুলিশকে সব খতিয়ে দেখতে বললেন। খিলগাঁওয়ের ওসিকে সরিয়ে দেওয়া হলো। নাসিমার স্বামী প্রকৌশলী জাকির অবস্থা বেগতিক দেখে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে নিজের দোষ এড়ানোর চেষ্টা করলেন। তিনি বললেন, নাসিমার সঙ্গে বড় বড় সন্ত্রাসীর জানাশোনা আছে। কিন্তু সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকেরা যেসব প্রশ্ন করলেন, তার কোনোটারই সদুত্তর তিনি দিতে পারলেন না।
অবশেষে ১৯৯৯ সালের ৩ মে নাসিমা জামিনে মুক্ত হলেন। আদালত থেকে বারবার পুলিশের কাছে রাষ্ট্রদ্রোহের তথ্যপ্রমাণ চাওয়া হলো। কিন্তু পুলিশ এসব দিতে ব্যর্থ হলো। শেষ পর্যন্ত অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেলেন নাসিমা। নাসিমা মুক্তি পাওয়ার পর প্রায় সব কাগজেই তাঁকে নিয়ে প্রতিবেদন ছাপা হলো। কয়েকটি মানবাধিকার সংস্থাও তাঁকে সহায়তা দিতে এগিয়ে এল। অনেক কাজের ভিড়ে নাসিমাকে ভুলে গেলাম।
কয়েক বছর পর কী একটা কাজে বিমানবন্দরে গেছি। দেখি বিদেশগামী যাত্রীদের লাইনে নাসিমা দাঁড়িয়ে, বোর্ডিং কার্ড নিচ্ছেন। আমাকে দেখে চিনতে পেরে এগিয়ে এলেন। বললেন, নিজের জীবনটুকু ছাড়া আর সবই হারিয়েছেন। জমি-বাড়ি কিছুই নেই তাঁর, আছে শুধু জীবনটা। এটা আর হারাতে চান না, তাই বিদেশ চলে যাচ্ছেন। এটুকু বলতেই চোখ ছলছল করে উঠল নাসিমার, বাঁ হাতে চোখ-মুখ মুছে ইমিগ্রেশনের দিকে এগোলেন। আমিও আর কিছুই বলতে পারলাম না, শুধু তাঁর পথের দিকে চেয়ে রইলাম।
আরও পড়ুন:

‘ইন্টারোগেশন চেম্বারে’ বসা এক নারী আসামি। দুই হাত চেয়ারের সঙ্গে আটকানো। নড়ার কোনো উপায় নেই। চোখের ওপরে উজ্জ্বল আলো; সামনে কারা আছেন, তা-ও দেখা যাচ্ছে না। তিন সংস্থার তিনজন কর্মকর্তা জেরার জন্য প্রস্তুত। সবার হাতে নারী সম্পর্কে একটি গোপন প্রতিবেদন।
– আপনার নাম?
– নাসিমা আক্তার।
– বাড়ি?
– ঢাকার রামপুরা।
–আপনি তো বোমা মেরে বিদ্যুৎকেন্দ্র উড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। আপনার সঙ্গে আর কারা আছে?
নাসিমা নীরব। এ প্রশ্নের কোনো উত্তর তিনি জানেন না। যতই অস্বীকার করেন, কেউ বিশ্বাস করেন না। এভাবে কেটে যায় এক দিন। পরের দিন আবার জেরা, সেই একই প্রশ্ন—কেন নাশকতার ছক কষলেন? কথায় কাজ না হলে জিজ্ঞাসাবাদের মাত্রা বাড়ানোর ইঙ্গিত। তবু অটল নাসিমা। তাঁর একটাই কথা, ‘আমি এসবের কিছু জানি না।’
নেটফ্লিক্সে ‘গুল’ (Ghoul) নামে একটি ভারতীয় সিনেমা আছে। মূল চরিত্রে রাধিকা আপ্তে অভিনয় করেছেন। বিশেষায়িত জিজ্ঞাসাবাদ সেলে কীভাবে আসামিদের জেরা করা হয়, তা দেখানো হয়েছে সেই ছবিতে। সেটা দেখলে গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠবে। নাসিমার জেরাও ‘গুল’-এর সেই জিজ্ঞাসাবাদ দৃশ্যের চেয়ে কম কিছু হয়নি। টানা তিন দিন তাঁকে জেরা করে ক্ষান্ত হন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এরপর থানা-পুলিশের কাছে ফেরত পাঠানো হয়। সেখানে আরও কয়েক দিন রিমান্ডে থাকেন।
এই ‘ভয়ংকর’ আসামি নাসিমা আক্তারকে ধরেছিল খিলগাঁও থানা-পুলিশ। তখন খিলগাঁওয়ের ওসি ছিলেন গিয়াস উদ্দিন আহমেদ। নাসিমা থাকতেন রামপুরার একটি বাসায়। সেই বাসা থেকে ১৯৯৯ সালের ২৫ এপ্রিল তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে আনা হয় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ। বলা হয়, তিনি পানি শোধনাগার ও বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন। গ্রেপ্তারের পর সে কারণেই তাঁকে টিএফআই বা টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন সেলে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঠানো হয়।
নাসিমাকে গ্রেপ্তারের পর মিন্টো রোডের পুলিশের জনসংযোগ শাখা থেকে তাঁর ছবিসহ তথ্য পাঠিয়ে খিলগাঁও থানার ওসি এবং পুলিশের জনসংযোগ শাখার একজন কর্মকর্তা ফোন করে সাংবাদিকদের অনুরোধ করেছিলেন, যাতে ভালো করে ছাপা হয়। অবশ্য পরের দিন দেশের সব দৈনিকের প্রথম পাতায় ছবিসহ নাসিমাকে গ্রেপ্তারের খবর ফলাও করে ছাপা হয়। তাতে বলা হয়, তিনি একজন ভয়ংকর আসামি। আমার মনে আছে, জনকণ্ঠে প্রথম পাতার ডান দিকে শেষ কলামে নাসিমার ছবিসমেত খবর ছাপা হয়েছিল।
স্বাভাবিকভাবেই পরের দিন খিলগাঁও থানায় গেলাম নাসিমার ফলোআপ করতে। নাসিমাকে নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকার কভারেজে ওসি অনেক খুশি। কিছুক্ষণ পরপর তাঁর ফোন আসছে। এর মধ্যে একটি ফোনালাপ আমার কানে এল। মনে হলো, নাসিমাকে নিয়ে খবর দেওয়ার ব্যাপারে কেউ তাঁকে সাবধান করে দিচ্ছেন। অনেকক্ষণ বসে আছি, ওসি এটা-সেটা খাওয়াচ্ছেন কিন্তু কোনো তথ্য দিচ্ছেন না। নাসিমার বাড়ির নম্বর চাইতেই তাঁর মুখ কালো হয়ে গেল। একটু আমতা-আমতা করলেন, দেব-দিচ্ছি করে আর দিলেন না। আমার মনে হলো, এ ঘটনার মধ্যে অন্য কিছু আছে। ডিউটি অফিসারের কাছে গিয়ে জানতে পারলাম, নাসিমার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয়নি, তাঁকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। খটকা আরও বেড়ে গেল।
পরিচিত ডিউটি অফিসারের কাছ থেকে নাসিমার বাসার নম্বর নিয়ে গেলাম রামপুরায় নাসিমার বাসায়। কিন্তু সেখানে কেউ নেই। বাসায় তালা ঝুলছে। নাসিমা গ্রেপ্তারের পর বাড়ির সবাই ভয়ে অন্যত্র চলে গেছে। এক প্রতিবেশী বললেন, মেয়েটাকে ফাঁসানো হয়েছে। কিন্তু কী নিয়ে ফাঁসানো হয়েছে, তা তিনি জানেন না। রিমান্ড শেষ হওয়ার পর নাসিমাকে পাঠানো হলো কারাগারে। এবার মনে হলো, উপায় হলেও হতে পারে।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের এক কর্মকর্তাকে অনুরোধ করলাম নাসিমার সঙ্গে কথা বলার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। তিনি ব্যবস্থা করে দিলেন। জেলারের অফিস রুমের ঢোকার মুখে বন্দীদের সাক্ষাতের একটি স্থানে নাসিমাকে আনা হলো। প্রথমে অচেনা লোক দেখে তিনি একটু ঘাবড়ে গেলেন। পরে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে কথা বলতে শুরু করলেন। পকেটে মিনি টেপরেকর্ডার। নাসিমা যা বলছেন, সব রেকর্ড হচ্ছে।
ঢাকার মেয়ে নাসিমা এসএসসি পাস করার পর একটি চাকরি নিয়ে কুয়েতে চলে যান। সেখানে দিনকাল ভালোই চলছিল। এর মধ্যে ১৯৯০ সালের ২ আগস্ট কুয়েত আক্রমণ করল ইরাক। অবস্থা বুঝে তিনি দেশে চলে এলেন। নিজের জমানো টাকা দিয়ে উত্তরায় ২১ শতক জমি কিনলেন। ইচ্ছে ছিল, বিয়ে করে সুখে সংসার করার। ইত্তেফাক পত্রিকার ‘পাত্র চাই’ কলামে বিজ্ঞাপন দিলেন। এগিয়ে আসেন জাকির হোসেন নামের এক প্রকৌশলী। পরে দুজনে সম্মত হয়ে বিয়ে করে রামপুরায় থাকতে শুরু করেন।
ধীরে ধীরে কুয়েতের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গেল। কোম্পানি থেকে ডাক এল ফিরে যাওয়ার জন্য। জাকির তখন তাঁকে প্রস্তাব দিলেন উত্তরার সেই ২১ শতক জমিটি তাঁকে লিখে দিতে হবে। তিনি গ্রামে গিয়ে ব্যবসা করবেন। নাসিমা কিছুতেই রাজি না। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য হলো। নাসিমা একাই কুয়েত চলে গেলেন। কয়েক মাস পরে কুয়েতে বসে পেলেন ডিভোর্সের চিঠি। সেই চিঠি হাতে পেয়ে মন খারাপ করে আবার দেশে ফিরে এলেন। জাকিরের কাছে কারণ জানতে চাইলেন। জাকির সব ভুলে গিয়ে আবার তাঁকে বিয়ে করার প্রস্তাব দিলেন, করলেনও। কিন্তু মনে মনে জাকির জমি দখলের ফন্দি আঁটলেন।
নাসিমার উত্তরার জমির সীমানা নিয়ে এক প্রতিবেশীর সঙ্গে বিরোধ ছিল। জাকির তাঁর সঙ্গে হাত মেলালেন। সেই জমির মালিকের এক বন্ধু ছিলেন একটি বাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তা। তাঁর সাহায্য নিয়েই নাসিমাকে রাষ্ট্রদ্রোহী সাজিয়ে গ্রেপ্তার করালেন। নাসিমা আমাকে বললেন, পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করার পর একদিন রাতে চোখ বেঁধে একটি স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে দেখেন সেই কর্মকর্তা বসে আছেন। ওই কর্মকর্তা তাঁকে হুমকি দিয়ে বলেন, জমিটা ছেড়ে না দিলে জানটা আর থাকবে না। নাসিমা বললেন, কষ্টের টাকায় কেনা একখণ্ড জমি সুখের বদলে তাঁর জীবনের কাল হয়ে গেল। সাক্ষাৎকার নিয়ে বের হয়ে এলাম। পরের দিন সেই খবর ছাপা হলো।
এরপর হইচই পড়ে গেল। বিষয়টি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নজর এড়াল না। তিনি পুলিশকে সব খতিয়ে দেখতে বললেন। খিলগাঁওয়ের ওসিকে সরিয়ে দেওয়া হলো। নাসিমার স্বামী প্রকৌশলী জাকির অবস্থা বেগতিক দেখে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে নিজের দোষ এড়ানোর চেষ্টা করলেন। তিনি বললেন, নাসিমার সঙ্গে বড় বড় সন্ত্রাসীর জানাশোনা আছে। কিন্তু সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকেরা যেসব প্রশ্ন করলেন, তার কোনোটারই সদুত্তর তিনি দিতে পারলেন না।
অবশেষে ১৯৯৯ সালের ৩ মে নাসিমা জামিনে মুক্ত হলেন। আদালত থেকে বারবার পুলিশের কাছে রাষ্ট্রদ্রোহের তথ্যপ্রমাণ চাওয়া হলো। কিন্তু পুলিশ এসব দিতে ব্যর্থ হলো। শেষ পর্যন্ত অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেলেন নাসিমা। নাসিমা মুক্তি পাওয়ার পর প্রায় সব কাগজেই তাঁকে নিয়ে প্রতিবেদন ছাপা হলো। কয়েকটি মানবাধিকার সংস্থাও তাঁকে সহায়তা দিতে এগিয়ে এল। অনেক কাজের ভিড়ে নাসিমাকে ভুলে গেলাম।
কয়েক বছর পর কী একটা কাজে বিমানবন্দরে গেছি। দেখি বিদেশগামী যাত্রীদের লাইনে নাসিমা দাঁড়িয়ে, বোর্ডিং কার্ড নিচ্ছেন। আমাকে দেখে চিনতে পেরে এগিয়ে এলেন। বললেন, নিজের জীবনটুকু ছাড়া আর সবই হারিয়েছেন। জমি-বাড়ি কিছুই নেই তাঁর, আছে শুধু জীবনটা। এটা আর হারাতে চান না, তাই বিদেশ চলে যাচ্ছেন। এটুকু বলতেই চোখ ছলছল করে উঠল নাসিমার, বাঁ হাতে চোখ-মুখ মুছে ইমিগ্রেশনের দিকে এগোলেন। আমিও আর কিছুই বলতে পারলাম না, শুধু তাঁর পথের দিকে চেয়ে রইলাম।
আরও পড়ুন:

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৫ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৮ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৮ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৯ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

‘ইন্টারোগেশন চেম্বারে’ বসা এক নারী আসামি। দুই হাত চেয়ারের সঙ্গে আটকানো। নড়ার কোনো উপায় নেই। চোখের ওপরে উজ্জ্বল আলো; সামনে কারা আছেন, তা-ও দেখা যাচ্ছে না। তিন সংস্থার তিনজন কর্মকর্তা জেরার জন্য প্রস্তুত। সবার হাতে নারী সম্পর্কে একটি গোপন প্রতিবেদন।
২৩ এপ্রিল ২০২২
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৮ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৮ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৯ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

‘ইন্টারোগেশন চেম্বারে’ বসা এক নারী আসামি। দুই হাত চেয়ারের সঙ্গে আটকানো। নড়ার কোনো উপায় নেই। চোখের ওপরে উজ্জ্বল আলো; সামনে কারা আছেন, তা-ও দেখা যাচ্ছে না। তিন সংস্থার তিনজন কর্মকর্তা জেরার জন্য প্রস্তুত। সবার হাতে নারী সম্পর্কে একটি গোপন প্রতিবেদন।
২৩ এপ্রিল ২০২২
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৫ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৮ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৯ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

‘ইন্টারোগেশন চেম্বারে’ বসা এক নারী আসামি। দুই হাত চেয়ারের সঙ্গে আটকানো। নড়ার কোনো উপায় নেই। চোখের ওপরে উজ্জ্বল আলো; সামনে কারা আছেন, তা-ও দেখা যাচ্ছে না। তিন সংস্থার তিনজন কর্মকর্তা জেরার জন্য প্রস্তুত। সবার হাতে নারী সম্পর্কে একটি গোপন প্রতিবেদন।
২৩ এপ্রিল ২০২২
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৫ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৮ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৯ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

‘ইন্টারোগেশন চেম্বারে’ বসা এক নারী আসামি। দুই হাত চেয়ারের সঙ্গে আটকানো। নড়ার কোনো উপায় নেই। চোখের ওপরে উজ্জ্বল আলো; সামনে কারা আছেন, তা-ও দেখা যাচ্ছে না। তিন সংস্থার তিনজন কর্মকর্তা জেরার জন্য প্রস্তুত। সবার হাতে নারী সম্পর্কে একটি গোপন প্রতিবেদন।
২৩ এপ্রিল ২০২২
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৫ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৮ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৮ দিন আগে