ঢাকা মহানগর পুলিশে (ডিএমপি) তখন ক্রাইম বিভাগ চারটি। পূর্ব বিভাগের ডিসি ছিলেন মোখলেসুর রহমান, যিনি পরে অতিরিক্ত আইজি হয়েছিলেন। একদিন রাত ৯টার দিকে তাঁর ফোন। বললেন, সর্বনাশ হয়ে গেছে। তাঁর কথায় হতাশার সুর। জানতে চাইলাম, কী এমন হয়েছে?
সূত্রাপুরের গেন্ডারিয়ায় ২০০০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর একটি জোড়া খুনের ঘটনা নিয়ে বেশ হইচই পড়েছিল। মহসিন ও সায়েম নামের দুই যুবককে অপহরণের পর পেশাদার কসাই দিয়ে তাঁদের লাশ ১২ টুকরা করে ম্যানহোলে ফেলে দিয়েছিল সন্ত্রাসীরা। সেই অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন
ঢাকার নিউ বেইলি রোডে সুইস বেকারির পেছনের যে ভবনে এখন আর্টিসান আর অঞ্জন’স ফ্যাশন, সেখানেই ছিল শুল্ক গোয়েন্দার কার্যালয়। একদিন বিকেলে সেই অফিসে এক সহকারী পরিচালকের রুমে বসে গল্প করছি। হঠাৎ সেই কর্মকর্তার ল্যান্ডফোন বেজে উঠল। যথারীতি তিনি ফোন ধরলেন
ফোন আর বাজে না। এপার থেকে বারবার চেষ্টার পর শোনা যায়—‘দুঃখিত, এই মুহূর্তে মোবাইল সংযোগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।’ মিষ্টি, অথচ একঘেয়ে স্বরটিকে যারপরনাই নিষ্ঠুর মনে হতে থাকে সুমির। কিন্তু তাঁর প্রতীক্ষা আর শেষ হয় না। যে নম্বরে তিনি ফোন করছিলেন, সেটি সুমির এক প্রিয়জনের, তা-ও অনুরোধের।