কামরুল হাসান

দুদিন আগে মুন্সিগঞ্জের হাঁসাড়া কবরস্থানে গিয়েছিলাম। পাড়ার শেষ প্রান্তে সেই কবরখানা। পৃথিবীর সব ফুল সেখানে ফুটে আছে। লাল শিমুল ছেয়ে আছে কবরের ওপরে। আমের মুকুলে আগাম গুটিও ধরেছে। কান পাতলে মনে হয় মৃতেরা কথা বলছে।
কবরখানায় যেতে ভয় হয়, আমার মতো সেই ভয় হয়তো অনেকের আছে। আমরা তাই মৃত মানুষদের নিয়ে কোনো বিষোদ্গার করি না, কেবল স্তুতি করি। লোকে হয়তো সেটাই পছন্দ করে। কিন্তু সেই মানুষ যদি রাজনীতিবিদ হন? তবু!
আমার কাছে রাজনীতিবিদ মানে যাঁর কোনো আড়াল নেই, গোপন বিজন ঘরও নেই। তিনি হাটের লোকের মতো, তিনি বহুদূর থেকে হেঁটে আসা বাউলের মতো।
‘বহুদূর’ কথাটার মধ্যে একটি হাহাকার আছে, রাজনীতিবিদদের হয়তো তা-ও নেই। কিন্তু তাঁর জীবনে উত্থান-পতন আছে, ভালোমন্দ আছে। আছে ইতি ও নেতিবাচক দিক। কাজেই আমজনতা হিসেবে তাঁকে নিয়ে কথা বলা যেতেই পারে। সেই স্পর্ধায় আজ বলছি ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার গল্প।
ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার সঙ্গে আমার কস্মিনকালেও ব্যক্তিগত কোনো সম্পর্ক ছিল না। থাকার কথাও নয়। গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে যতটুকু দরকার, তার থেকে একচুলও বেশি কথা হয়নি কোনো দিন। কিন্তু নাজমুল হুদা ও তাঁর স্ত্রী সিগমা হুদাকে আমার মনে হতো মহিরুহ। বিরাট ল ফার্ম, নামজাদা আইনজীবী। ডজন ডজন আইনজীবী সেখানে কাজ করেন। স্বাভাবিকভাবেই তাঁরা বড় মানুষ। কিন্তু সাংবাদিকতায় এসে যখন জানলাম,তাঁরা যে কয়টি গাড়ি ব্যবহার করেন, একটিরও কোনো কাগজপত্র নেই, ভুয়া নম্বরপ্লেট ব্যবহার করে দিনের পর দিন রাস্তায় চলছেন, তখন তার মূর্তি থেকে ভাবটুকু চলে গেল।
১৯ ফেব্রুয়ারি রাতে শুনলাম, ঢাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার সময় নাজমুল হুদা মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৪৩ সালের ৬ জানুয়ারি তাঁর জন্ম। সেই হিসাবে বয়স ৮০ বছর হওয়ার কথা। গড় বয়সের হিসাবে তিনি দীর্ঘায়ু ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পরদিন পুরোনো কাগজপত্র ঘাঁটতে গিয়ে একটি জবানবন্দি চোখের সামনে পড়ে গেল। ওয়ান-ইলেভেনের সময় গ্রেপ্তার হয়ে তিনি সেই জবানবন্দি দিয়েছিলেন। কোত্থেকে সেটা পেয়েছিলাম, মনে নেই। তবে সেই জবানবন্দিতে নিজের সম্পর্কে তাঁর কিছু উপলব্ধি ছিল। এত দিন পর মনে হলো ‘আষাঢ়ে নয়’ এর পাঠকদের এটা জানানো উচিত।
নাজমুল হুদার জবানবন্দিতে নিজের জন্ম, শিক্ষা, পরিবার, বেড়ে ওঠা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আছে। কিন্তু আজকাল এসব তথ্য পাওয়া মোটেও কঠিন কিছু নয়। ল্যারি পেজের গুগল নামে একটি অনাথ আশ্রম আছে, সেখানে সার্চ দিলেই গেরস্তের গোলায় রাখা ধানের মতো গড়গড় করে সব তথ্য বেরিয়ে আসে। তবু যেটুকু না বললেই নয়, সেটুকু বলি।
জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ সালে জাগদল গঠন করলে হুদা সেই দলে যোগ দেন। ১৯৭৮ বিএনপি হলে তিনি ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। ১৯৯১ সালে বিএনপি সরকারের তথ্যমন্ত্রী ছিলেন তিনি। এরপর ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ছিলেন যোগাযোগমন্ত্রী। ওয়ান-ইলেভেনের সময় তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির তিনটি মামলা হয়। ২০১০ সালের ২১ নভেম্বর বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া যখন তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করেন, তখন তিনি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন।
২০১১ সালে আবার তাঁর সদস্যপদ ফিরিয়ে দেওয়া হয়। ২০১২ সালে তিনি বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেন। পরে নাজমুল হুদা ও আবুল কালাম মিলে বিএনএফ গঠন করেন। কিন্তু কয়েক মাস পর কালাম তাঁকে বহিষ্কার করেন। এরপর তিনি বাংলাদেশ জাতীয় জোট এবং মানবাধিকার পার্টি নামে দুটি দল গঠন করেন। তাতেও শেষ হয়নি, ২০১৫ সালে গঠন করেন তৃণমূল বিএনপি। নির্বাচন কমিশন সেই তৃণমূল বিএনপিকে নিবন্ধনও দিয়েছিল। কিন্তু নাজমুল হুদা আর শেষ দেখে যেতে পারেননি।
২০০৭ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি রাতে বাঘা বাঘা ১৫ জন রাজনীতিকের সঙ্গে নাজমুল হুদাকেও গ্রেপ্তার করা হলো। সেনাশাসিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শুরুতে প্রথম যে ৫০ জন দুর্নীতিবাজের তালিকা প্রকাশ করা হয়, তার ১৮ নম্বরে ছিল হুদার নাম। গ্রেপ্তারের পর তাঁর ধানমন্ডির বাড়ি তল্লাশি হলো। পাওয়া গেল অনেক কিছু। ৫ ফেব্রুয়ারি তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়। নাজমুল হুদাকে দেখে হাউমাউ করে কাঁদলেন স্ত্রী সিগমা হুদা।
এরপর তদন্ত শুরু হলো। অভিযোগ উঠল, যোগাযোগমন্ত্রী থাকার সময় হুদা ৩০ কোটি টাকার সরকারি কাজ পাইয়ে দিতে মীর জহির হোসেন নামের এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে আড়াই কোটি টাকা ঘুষ নেন। এ মামলায় তাঁর সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হলো। পরে অবশ্য উচ্চ আদালত তাঁর সাজার মেয়াদ কমিয়ে চার বছর করে দেন।
গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ নামের আরেক ব্যক্তি হুদা ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করেন। পরে হাইকোর্ট তা বাতিল করেন। অবশ্য দুদকের করা মামলা থেকেও তিনি অব্যাহতি পান। কিন্তু হুদার বিরুদ্ধে ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগ কম ছিল না।
গ্রেপ্তারের পর রংপুর কারাগারে থাকার সময় ২০০৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি হুদা ওই জবানবন্দি দেন। তাতে বলেন, যৌথ বাহিনীর অভিযানের সময় তাঁর বাড়ি থেকে যে টাকা উদ্ধার করা হয়, তা ছিল ‘ওকালতির কাঁচা পয়সা’। সেই জবানবন্দিতে তিনি ধানমন্ডিতে তাঁর একটি বাড়ি, গুলশানে পাঁচ কাঠার প্লট, বকশীবাজারে পরিবারের নামে থাকা জমির কথা বলেন। আরও বলেন, তোপখানা রোডের মেহেরবা প্লাজায় স্ত্রীর নামে জায়গা আছে, গ্রামের বাড়িতেও আছে দালানকোঠা ও বাগানবাড়ি। অস্থাবর সম্পত্তি বলতে তিনি একটি মার্সিডিজ বেঞ্জ, একটি জিপ, একটি নিশান প্যাট্রল জিপ, টয়োটা কার ও আসবাবের কথা উল্লেখ করেছিলেন। নিজের নামে, ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট থাকলেও তাতে কত টাকা আছে, তা আর উল্লেখ করেননি। তবে দুই মেয়ে অন্তরা সামিলা ও শ্রাবন্তী আমিনার নামে একটি ফ্ল্যাট আছে বলে জানিয়েছিলেন।
১৫ পৃষ্ঠার সেই জবানবন্দি শেষের দিকে এসে নাজমুল হুদা বলেছিলেন, ‘রাজনীতির নোংরা আবর্জনা আমাকে দুর্নীতিবাজ বানিয়েছে, আমাকে কলঙ্কিত করেছে, সুনাম এবং ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে। উঠতে-বসতে আমি যে দুর্নীতিবাজ, তা শুনতে হয়েছে। আমার জীবনের যা ক্ষতি হয়েছে, তা এই সভ্য সমাজে পূরণীয় নয়।’
এত বছর পর হুদার সেই জবানবন্দি পড়তে গিয়ে মনে হলো, হয়তো তাঁর কথাই ঠিক, আবার মনে হলো, ঠিক না। হুদা লিখেছেন, ‘আমার সবই ছিল। কোনো কিছুর অভাব ছিল না। উপার্জন ছিল। বাড়ি ছিল। গাড়ি ছিল। পরিবারে সুখ ছিল। কিন্তু ‘‘কে যেন’’ রাজনীতিতে টেনে এনে সব নষ্ট করে দিল। এখন ভাবছি, এ পথে কেন এলাম?’
এই ‘কে যেন’টা কোন জন? সেটা কি লোভ নাকি উচ্চাকাঙ্ক্ষা? সেই প্রশ্নের জবাব হয়তো নাজমুল হুদা দিতে পারতেন। কিন্তু সেই সুযোগ তো আর নেই। হা হতোস্মি।
আরও পড়ুন

দুদিন আগে মুন্সিগঞ্জের হাঁসাড়া কবরস্থানে গিয়েছিলাম। পাড়ার শেষ প্রান্তে সেই কবরখানা। পৃথিবীর সব ফুল সেখানে ফুটে আছে। লাল শিমুল ছেয়ে আছে কবরের ওপরে। আমের মুকুলে আগাম গুটিও ধরেছে। কান পাতলে মনে হয় মৃতেরা কথা বলছে।
কবরখানায় যেতে ভয় হয়, আমার মতো সেই ভয় হয়তো অনেকের আছে। আমরা তাই মৃত মানুষদের নিয়ে কোনো বিষোদ্গার করি না, কেবল স্তুতি করি। লোকে হয়তো সেটাই পছন্দ করে। কিন্তু সেই মানুষ যদি রাজনীতিবিদ হন? তবু!
আমার কাছে রাজনীতিবিদ মানে যাঁর কোনো আড়াল নেই, গোপন বিজন ঘরও নেই। তিনি হাটের লোকের মতো, তিনি বহুদূর থেকে হেঁটে আসা বাউলের মতো।
‘বহুদূর’ কথাটার মধ্যে একটি হাহাকার আছে, রাজনীতিবিদদের হয়তো তা-ও নেই। কিন্তু তাঁর জীবনে উত্থান-পতন আছে, ভালোমন্দ আছে। আছে ইতি ও নেতিবাচক দিক। কাজেই আমজনতা হিসেবে তাঁকে নিয়ে কথা বলা যেতেই পারে। সেই স্পর্ধায় আজ বলছি ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার গল্প।
ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার সঙ্গে আমার কস্মিনকালেও ব্যক্তিগত কোনো সম্পর্ক ছিল না। থাকার কথাও নয়। গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে যতটুকু দরকার, তার থেকে একচুলও বেশি কথা হয়নি কোনো দিন। কিন্তু নাজমুল হুদা ও তাঁর স্ত্রী সিগমা হুদাকে আমার মনে হতো মহিরুহ। বিরাট ল ফার্ম, নামজাদা আইনজীবী। ডজন ডজন আইনজীবী সেখানে কাজ করেন। স্বাভাবিকভাবেই তাঁরা বড় মানুষ। কিন্তু সাংবাদিকতায় এসে যখন জানলাম,তাঁরা যে কয়টি গাড়ি ব্যবহার করেন, একটিরও কোনো কাগজপত্র নেই, ভুয়া নম্বরপ্লেট ব্যবহার করে দিনের পর দিন রাস্তায় চলছেন, তখন তার মূর্তি থেকে ভাবটুকু চলে গেল।
১৯ ফেব্রুয়ারি রাতে শুনলাম, ঢাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার সময় নাজমুল হুদা মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৪৩ সালের ৬ জানুয়ারি তাঁর জন্ম। সেই হিসাবে বয়স ৮০ বছর হওয়ার কথা। গড় বয়সের হিসাবে তিনি দীর্ঘায়ু ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পরদিন পুরোনো কাগজপত্র ঘাঁটতে গিয়ে একটি জবানবন্দি চোখের সামনে পড়ে গেল। ওয়ান-ইলেভেনের সময় গ্রেপ্তার হয়ে তিনি সেই জবানবন্দি দিয়েছিলেন। কোত্থেকে সেটা পেয়েছিলাম, মনে নেই। তবে সেই জবানবন্দিতে নিজের সম্পর্কে তাঁর কিছু উপলব্ধি ছিল। এত দিন পর মনে হলো ‘আষাঢ়ে নয়’ এর পাঠকদের এটা জানানো উচিত।
নাজমুল হুদার জবানবন্দিতে নিজের জন্ম, শিক্ষা, পরিবার, বেড়ে ওঠা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আছে। কিন্তু আজকাল এসব তথ্য পাওয়া মোটেও কঠিন কিছু নয়। ল্যারি পেজের গুগল নামে একটি অনাথ আশ্রম আছে, সেখানে সার্চ দিলেই গেরস্তের গোলায় রাখা ধানের মতো গড়গড় করে সব তথ্য বেরিয়ে আসে। তবু যেটুকু না বললেই নয়, সেটুকু বলি।
জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ সালে জাগদল গঠন করলে হুদা সেই দলে যোগ দেন। ১৯৭৮ বিএনপি হলে তিনি ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। ১৯৯১ সালে বিএনপি সরকারের তথ্যমন্ত্রী ছিলেন তিনি। এরপর ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ছিলেন যোগাযোগমন্ত্রী। ওয়ান-ইলেভেনের সময় তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির তিনটি মামলা হয়। ২০১০ সালের ২১ নভেম্বর বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া যখন তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করেন, তখন তিনি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন।
২০১১ সালে আবার তাঁর সদস্যপদ ফিরিয়ে দেওয়া হয়। ২০১২ সালে তিনি বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেন। পরে নাজমুল হুদা ও আবুল কালাম মিলে বিএনএফ গঠন করেন। কিন্তু কয়েক মাস পর কালাম তাঁকে বহিষ্কার করেন। এরপর তিনি বাংলাদেশ জাতীয় জোট এবং মানবাধিকার পার্টি নামে দুটি দল গঠন করেন। তাতেও শেষ হয়নি, ২০১৫ সালে গঠন করেন তৃণমূল বিএনপি। নির্বাচন কমিশন সেই তৃণমূল বিএনপিকে নিবন্ধনও দিয়েছিল। কিন্তু নাজমুল হুদা আর শেষ দেখে যেতে পারেননি।
২০০৭ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি রাতে বাঘা বাঘা ১৫ জন রাজনীতিকের সঙ্গে নাজমুল হুদাকেও গ্রেপ্তার করা হলো। সেনাশাসিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শুরুতে প্রথম যে ৫০ জন দুর্নীতিবাজের তালিকা প্রকাশ করা হয়, তার ১৮ নম্বরে ছিল হুদার নাম। গ্রেপ্তারের পর তাঁর ধানমন্ডির বাড়ি তল্লাশি হলো। পাওয়া গেল অনেক কিছু। ৫ ফেব্রুয়ারি তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়। নাজমুল হুদাকে দেখে হাউমাউ করে কাঁদলেন স্ত্রী সিগমা হুদা।
এরপর তদন্ত শুরু হলো। অভিযোগ উঠল, যোগাযোগমন্ত্রী থাকার সময় হুদা ৩০ কোটি টাকার সরকারি কাজ পাইয়ে দিতে মীর জহির হোসেন নামের এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে আড়াই কোটি টাকা ঘুষ নেন। এ মামলায় তাঁর সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হলো। পরে অবশ্য উচ্চ আদালত তাঁর সাজার মেয়াদ কমিয়ে চার বছর করে দেন।
গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ নামের আরেক ব্যক্তি হুদা ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করেন। পরে হাইকোর্ট তা বাতিল করেন। অবশ্য দুদকের করা মামলা থেকেও তিনি অব্যাহতি পান। কিন্তু হুদার বিরুদ্ধে ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগ কম ছিল না।
গ্রেপ্তারের পর রংপুর কারাগারে থাকার সময় ২০০৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি হুদা ওই জবানবন্দি দেন। তাতে বলেন, যৌথ বাহিনীর অভিযানের সময় তাঁর বাড়ি থেকে যে টাকা উদ্ধার করা হয়, তা ছিল ‘ওকালতির কাঁচা পয়সা’। সেই জবানবন্দিতে তিনি ধানমন্ডিতে তাঁর একটি বাড়ি, গুলশানে পাঁচ কাঠার প্লট, বকশীবাজারে পরিবারের নামে থাকা জমির কথা বলেন। আরও বলেন, তোপখানা রোডের মেহেরবা প্লাজায় স্ত্রীর নামে জায়গা আছে, গ্রামের বাড়িতেও আছে দালানকোঠা ও বাগানবাড়ি। অস্থাবর সম্পত্তি বলতে তিনি একটি মার্সিডিজ বেঞ্জ, একটি জিপ, একটি নিশান প্যাট্রল জিপ, টয়োটা কার ও আসবাবের কথা উল্লেখ করেছিলেন। নিজের নামে, ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট থাকলেও তাতে কত টাকা আছে, তা আর উল্লেখ করেননি। তবে দুই মেয়ে অন্তরা সামিলা ও শ্রাবন্তী আমিনার নামে একটি ফ্ল্যাট আছে বলে জানিয়েছিলেন।
১৫ পৃষ্ঠার সেই জবানবন্দি শেষের দিকে এসে নাজমুল হুদা বলেছিলেন, ‘রাজনীতির নোংরা আবর্জনা আমাকে দুর্নীতিবাজ বানিয়েছে, আমাকে কলঙ্কিত করেছে, সুনাম এবং ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে। উঠতে-বসতে আমি যে দুর্নীতিবাজ, তা শুনতে হয়েছে। আমার জীবনের যা ক্ষতি হয়েছে, তা এই সভ্য সমাজে পূরণীয় নয়।’
এত বছর পর হুদার সেই জবানবন্দি পড়তে গিয়ে মনে হলো, হয়তো তাঁর কথাই ঠিক, আবার মনে হলো, ঠিক না। হুদা লিখেছেন, ‘আমার সবই ছিল। কোনো কিছুর অভাব ছিল না। উপার্জন ছিল। বাড়ি ছিল। গাড়ি ছিল। পরিবারে সুখ ছিল। কিন্তু ‘‘কে যেন’’ রাজনীতিতে টেনে এনে সব নষ্ট করে দিল। এখন ভাবছি, এ পথে কেন এলাম?’
এই ‘কে যেন’টা কোন জন? সেটা কি লোভ নাকি উচ্চাকাঙ্ক্ষা? সেই প্রশ্নের জবাব হয়তো নাজমুল হুদা দিতে পারতেন। কিন্তু সেই সুযোগ তো আর নেই। হা হতোস্মি।
আরও পড়ুন
কামরুল হাসান

দুদিন আগে মুন্সিগঞ্জের হাঁসাড়া কবরস্থানে গিয়েছিলাম। পাড়ার শেষ প্রান্তে সেই কবরখানা। পৃথিবীর সব ফুল সেখানে ফুটে আছে। লাল শিমুল ছেয়ে আছে কবরের ওপরে। আমের মুকুলে আগাম গুটিও ধরেছে। কান পাতলে মনে হয় মৃতেরা কথা বলছে।
কবরখানায় যেতে ভয় হয়, আমার মতো সেই ভয় হয়তো অনেকের আছে। আমরা তাই মৃত মানুষদের নিয়ে কোনো বিষোদ্গার করি না, কেবল স্তুতি করি। লোকে হয়তো সেটাই পছন্দ করে। কিন্তু সেই মানুষ যদি রাজনীতিবিদ হন? তবু!
আমার কাছে রাজনীতিবিদ মানে যাঁর কোনো আড়াল নেই, গোপন বিজন ঘরও নেই। তিনি হাটের লোকের মতো, তিনি বহুদূর থেকে হেঁটে আসা বাউলের মতো।
‘বহুদূর’ কথাটার মধ্যে একটি হাহাকার আছে, রাজনীতিবিদদের হয়তো তা-ও নেই। কিন্তু তাঁর জীবনে উত্থান-পতন আছে, ভালোমন্দ আছে। আছে ইতি ও নেতিবাচক দিক। কাজেই আমজনতা হিসেবে তাঁকে নিয়ে কথা বলা যেতেই পারে। সেই স্পর্ধায় আজ বলছি ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার গল্প।
ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার সঙ্গে আমার কস্মিনকালেও ব্যক্তিগত কোনো সম্পর্ক ছিল না। থাকার কথাও নয়। গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে যতটুকু দরকার, তার থেকে একচুলও বেশি কথা হয়নি কোনো দিন। কিন্তু নাজমুল হুদা ও তাঁর স্ত্রী সিগমা হুদাকে আমার মনে হতো মহিরুহ। বিরাট ল ফার্ম, নামজাদা আইনজীবী। ডজন ডজন আইনজীবী সেখানে কাজ করেন। স্বাভাবিকভাবেই তাঁরা বড় মানুষ। কিন্তু সাংবাদিকতায় এসে যখন জানলাম,তাঁরা যে কয়টি গাড়ি ব্যবহার করেন, একটিরও কোনো কাগজপত্র নেই, ভুয়া নম্বরপ্লেট ব্যবহার করে দিনের পর দিন রাস্তায় চলছেন, তখন তার মূর্তি থেকে ভাবটুকু চলে গেল।
১৯ ফেব্রুয়ারি রাতে শুনলাম, ঢাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার সময় নাজমুল হুদা মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৪৩ সালের ৬ জানুয়ারি তাঁর জন্ম। সেই হিসাবে বয়স ৮০ বছর হওয়ার কথা। গড় বয়সের হিসাবে তিনি দীর্ঘায়ু ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পরদিন পুরোনো কাগজপত্র ঘাঁটতে গিয়ে একটি জবানবন্দি চোখের সামনে পড়ে গেল। ওয়ান-ইলেভেনের সময় গ্রেপ্তার হয়ে তিনি সেই জবানবন্দি দিয়েছিলেন। কোত্থেকে সেটা পেয়েছিলাম, মনে নেই। তবে সেই জবানবন্দিতে নিজের সম্পর্কে তাঁর কিছু উপলব্ধি ছিল। এত দিন পর মনে হলো ‘আষাঢ়ে নয়’ এর পাঠকদের এটা জানানো উচিত।
নাজমুল হুদার জবানবন্দিতে নিজের জন্ম, শিক্ষা, পরিবার, বেড়ে ওঠা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আছে। কিন্তু আজকাল এসব তথ্য পাওয়া মোটেও কঠিন কিছু নয়। ল্যারি পেজের গুগল নামে একটি অনাথ আশ্রম আছে, সেখানে সার্চ দিলেই গেরস্তের গোলায় রাখা ধানের মতো গড়গড় করে সব তথ্য বেরিয়ে আসে। তবু যেটুকু না বললেই নয়, সেটুকু বলি।
জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ সালে জাগদল গঠন করলে হুদা সেই দলে যোগ দেন। ১৯৭৮ বিএনপি হলে তিনি ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। ১৯৯১ সালে বিএনপি সরকারের তথ্যমন্ত্রী ছিলেন তিনি। এরপর ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ছিলেন যোগাযোগমন্ত্রী। ওয়ান-ইলেভেনের সময় তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির তিনটি মামলা হয়। ২০১০ সালের ২১ নভেম্বর বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া যখন তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করেন, তখন তিনি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন।
২০১১ সালে আবার তাঁর সদস্যপদ ফিরিয়ে দেওয়া হয়। ২০১২ সালে তিনি বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেন। পরে নাজমুল হুদা ও আবুল কালাম মিলে বিএনএফ গঠন করেন। কিন্তু কয়েক মাস পর কালাম তাঁকে বহিষ্কার করেন। এরপর তিনি বাংলাদেশ জাতীয় জোট এবং মানবাধিকার পার্টি নামে দুটি দল গঠন করেন। তাতেও শেষ হয়নি, ২০১৫ সালে গঠন করেন তৃণমূল বিএনপি। নির্বাচন কমিশন সেই তৃণমূল বিএনপিকে নিবন্ধনও দিয়েছিল। কিন্তু নাজমুল হুদা আর শেষ দেখে যেতে পারেননি।
২০০৭ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি রাতে বাঘা বাঘা ১৫ জন রাজনীতিকের সঙ্গে নাজমুল হুদাকেও গ্রেপ্তার করা হলো। সেনাশাসিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শুরুতে প্রথম যে ৫০ জন দুর্নীতিবাজের তালিকা প্রকাশ করা হয়, তার ১৮ নম্বরে ছিল হুদার নাম। গ্রেপ্তারের পর তাঁর ধানমন্ডির বাড়ি তল্লাশি হলো। পাওয়া গেল অনেক কিছু। ৫ ফেব্রুয়ারি তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়। নাজমুল হুদাকে দেখে হাউমাউ করে কাঁদলেন স্ত্রী সিগমা হুদা।
এরপর তদন্ত শুরু হলো। অভিযোগ উঠল, যোগাযোগমন্ত্রী থাকার সময় হুদা ৩০ কোটি টাকার সরকারি কাজ পাইয়ে দিতে মীর জহির হোসেন নামের এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে আড়াই কোটি টাকা ঘুষ নেন। এ মামলায় তাঁর সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হলো। পরে অবশ্য উচ্চ আদালত তাঁর সাজার মেয়াদ কমিয়ে চার বছর করে দেন।
গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ নামের আরেক ব্যক্তি হুদা ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করেন। পরে হাইকোর্ট তা বাতিল করেন। অবশ্য দুদকের করা মামলা থেকেও তিনি অব্যাহতি পান। কিন্তু হুদার বিরুদ্ধে ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগ কম ছিল না।
গ্রেপ্তারের পর রংপুর কারাগারে থাকার সময় ২০০৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি হুদা ওই জবানবন্দি দেন। তাতে বলেন, যৌথ বাহিনীর অভিযানের সময় তাঁর বাড়ি থেকে যে টাকা উদ্ধার করা হয়, তা ছিল ‘ওকালতির কাঁচা পয়সা’। সেই জবানবন্দিতে তিনি ধানমন্ডিতে তাঁর একটি বাড়ি, গুলশানে পাঁচ কাঠার প্লট, বকশীবাজারে পরিবারের নামে থাকা জমির কথা বলেন। আরও বলেন, তোপখানা রোডের মেহেরবা প্লাজায় স্ত্রীর নামে জায়গা আছে, গ্রামের বাড়িতেও আছে দালানকোঠা ও বাগানবাড়ি। অস্থাবর সম্পত্তি বলতে তিনি একটি মার্সিডিজ বেঞ্জ, একটি জিপ, একটি নিশান প্যাট্রল জিপ, টয়োটা কার ও আসবাবের কথা উল্লেখ করেছিলেন। নিজের নামে, ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট থাকলেও তাতে কত টাকা আছে, তা আর উল্লেখ করেননি। তবে দুই মেয়ে অন্তরা সামিলা ও শ্রাবন্তী আমিনার নামে একটি ফ্ল্যাট আছে বলে জানিয়েছিলেন।
১৫ পৃষ্ঠার সেই জবানবন্দি শেষের দিকে এসে নাজমুল হুদা বলেছিলেন, ‘রাজনীতির নোংরা আবর্জনা আমাকে দুর্নীতিবাজ বানিয়েছে, আমাকে কলঙ্কিত করেছে, সুনাম এবং ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে। উঠতে-বসতে আমি যে দুর্নীতিবাজ, তা শুনতে হয়েছে। আমার জীবনের যা ক্ষতি হয়েছে, তা এই সভ্য সমাজে পূরণীয় নয়।’
এত বছর পর হুদার সেই জবানবন্দি পড়তে গিয়ে মনে হলো, হয়তো তাঁর কথাই ঠিক, আবার মনে হলো, ঠিক না। হুদা লিখেছেন, ‘আমার সবই ছিল। কোনো কিছুর অভাব ছিল না। উপার্জন ছিল। বাড়ি ছিল। গাড়ি ছিল। পরিবারে সুখ ছিল। কিন্তু ‘‘কে যেন’’ রাজনীতিতে টেনে এনে সব নষ্ট করে দিল। এখন ভাবছি, এ পথে কেন এলাম?’
এই ‘কে যেন’টা কোন জন? সেটা কি লোভ নাকি উচ্চাকাঙ্ক্ষা? সেই প্রশ্নের জবাব হয়তো নাজমুল হুদা দিতে পারতেন। কিন্তু সেই সুযোগ তো আর নেই। হা হতোস্মি।
আরও পড়ুন

দুদিন আগে মুন্সিগঞ্জের হাঁসাড়া কবরস্থানে গিয়েছিলাম। পাড়ার শেষ প্রান্তে সেই কবরখানা। পৃথিবীর সব ফুল সেখানে ফুটে আছে। লাল শিমুল ছেয়ে আছে কবরের ওপরে। আমের মুকুলে আগাম গুটিও ধরেছে। কান পাতলে মনে হয় মৃতেরা কথা বলছে।
কবরখানায় যেতে ভয় হয়, আমার মতো সেই ভয় হয়তো অনেকের আছে। আমরা তাই মৃত মানুষদের নিয়ে কোনো বিষোদ্গার করি না, কেবল স্তুতি করি। লোকে হয়তো সেটাই পছন্দ করে। কিন্তু সেই মানুষ যদি রাজনীতিবিদ হন? তবু!
আমার কাছে রাজনীতিবিদ মানে যাঁর কোনো আড়াল নেই, গোপন বিজন ঘরও নেই। তিনি হাটের লোকের মতো, তিনি বহুদূর থেকে হেঁটে আসা বাউলের মতো।
‘বহুদূর’ কথাটার মধ্যে একটি হাহাকার আছে, রাজনীতিবিদদের হয়তো তা-ও নেই। কিন্তু তাঁর জীবনে উত্থান-পতন আছে, ভালোমন্দ আছে। আছে ইতি ও নেতিবাচক দিক। কাজেই আমজনতা হিসেবে তাঁকে নিয়ে কথা বলা যেতেই পারে। সেই স্পর্ধায় আজ বলছি ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার গল্প।
ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার সঙ্গে আমার কস্মিনকালেও ব্যক্তিগত কোনো সম্পর্ক ছিল না। থাকার কথাও নয়। গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে যতটুকু দরকার, তার থেকে একচুলও বেশি কথা হয়নি কোনো দিন। কিন্তু নাজমুল হুদা ও তাঁর স্ত্রী সিগমা হুদাকে আমার মনে হতো মহিরুহ। বিরাট ল ফার্ম, নামজাদা আইনজীবী। ডজন ডজন আইনজীবী সেখানে কাজ করেন। স্বাভাবিকভাবেই তাঁরা বড় মানুষ। কিন্তু সাংবাদিকতায় এসে যখন জানলাম,তাঁরা যে কয়টি গাড়ি ব্যবহার করেন, একটিরও কোনো কাগজপত্র নেই, ভুয়া নম্বরপ্লেট ব্যবহার করে দিনের পর দিন রাস্তায় চলছেন, তখন তার মূর্তি থেকে ভাবটুকু চলে গেল।
১৯ ফেব্রুয়ারি রাতে শুনলাম, ঢাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার সময় নাজমুল হুদা মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৪৩ সালের ৬ জানুয়ারি তাঁর জন্ম। সেই হিসাবে বয়স ৮০ বছর হওয়ার কথা। গড় বয়সের হিসাবে তিনি দীর্ঘায়ু ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পরদিন পুরোনো কাগজপত্র ঘাঁটতে গিয়ে একটি জবানবন্দি চোখের সামনে পড়ে গেল। ওয়ান-ইলেভেনের সময় গ্রেপ্তার হয়ে তিনি সেই জবানবন্দি দিয়েছিলেন। কোত্থেকে সেটা পেয়েছিলাম, মনে নেই। তবে সেই জবানবন্দিতে নিজের সম্পর্কে তাঁর কিছু উপলব্ধি ছিল। এত দিন পর মনে হলো ‘আষাঢ়ে নয়’ এর পাঠকদের এটা জানানো উচিত।
নাজমুল হুদার জবানবন্দিতে নিজের জন্ম, শিক্ষা, পরিবার, বেড়ে ওঠা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আছে। কিন্তু আজকাল এসব তথ্য পাওয়া মোটেও কঠিন কিছু নয়। ল্যারি পেজের গুগল নামে একটি অনাথ আশ্রম আছে, সেখানে সার্চ দিলেই গেরস্তের গোলায় রাখা ধানের মতো গড়গড় করে সব তথ্য বেরিয়ে আসে। তবু যেটুকু না বললেই নয়, সেটুকু বলি।
জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ সালে জাগদল গঠন করলে হুদা সেই দলে যোগ দেন। ১৯৭৮ বিএনপি হলে তিনি ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। ১৯৯১ সালে বিএনপি সরকারের তথ্যমন্ত্রী ছিলেন তিনি। এরপর ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ছিলেন যোগাযোগমন্ত্রী। ওয়ান-ইলেভেনের সময় তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির তিনটি মামলা হয়। ২০১০ সালের ২১ নভেম্বর বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া যখন তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করেন, তখন তিনি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন।
২০১১ সালে আবার তাঁর সদস্যপদ ফিরিয়ে দেওয়া হয়। ২০১২ সালে তিনি বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেন। পরে নাজমুল হুদা ও আবুল কালাম মিলে বিএনএফ গঠন করেন। কিন্তু কয়েক মাস পর কালাম তাঁকে বহিষ্কার করেন। এরপর তিনি বাংলাদেশ জাতীয় জোট এবং মানবাধিকার পার্টি নামে দুটি দল গঠন করেন। তাতেও শেষ হয়নি, ২০১৫ সালে গঠন করেন তৃণমূল বিএনপি। নির্বাচন কমিশন সেই তৃণমূল বিএনপিকে নিবন্ধনও দিয়েছিল। কিন্তু নাজমুল হুদা আর শেষ দেখে যেতে পারেননি।
২০০৭ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি রাতে বাঘা বাঘা ১৫ জন রাজনীতিকের সঙ্গে নাজমুল হুদাকেও গ্রেপ্তার করা হলো। সেনাশাসিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শুরুতে প্রথম যে ৫০ জন দুর্নীতিবাজের তালিকা প্রকাশ করা হয়, তার ১৮ নম্বরে ছিল হুদার নাম। গ্রেপ্তারের পর তাঁর ধানমন্ডির বাড়ি তল্লাশি হলো। পাওয়া গেল অনেক কিছু। ৫ ফেব্রুয়ারি তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়। নাজমুল হুদাকে দেখে হাউমাউ করে কাঁদলেন স্ত্রী সিগমা হুদা।
এরপর তদন্ত শুরু হলো। অভিযোগ উঠল, যোগাযোগমন্ত্রী থাকার সময় হুদা ৩০ কোটি টাকার সরকারি কাজ পাইয়ে দিতে মীর জহির হোসেন নামের এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে আড়াই কোটি টাকা ঘুষ নেন। এ মামলায় তাঁর সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হলো। পরে অবশ্য উচ্চ আদালত তাঁর সাজার মেয়াদ কমিয়ে চার বছর করে দেন।
গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ নামের আরেক ব্যক্তি হুদা ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করেন। পরে হাইকোর্ট তা বাতিল করেন। অবশ্য দুদকের করা মামলা থেকেও তিনি অব্যাহতি পান। কিন্তু হুদার বিরুদ্ধে ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগ কম ছিল না।
গ্রেপ্তারের পর রংপুর কারাগারে থাকার সময় ২০০৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি হুদা ওই জবানবন্দি দেন। তাতে বলেন, যৌথ বাহিনীর অভিযানের সময় তাঁর বাড়ি থেকে যে টাকা উদ্ধার করা হয়, তা ছিল ‘ওকালতির কাঁচা পয়সা’। সেই জবানবন্দিতে তিনি ধানমন্ডিতে তাঁর একটি বাড়ি, গুলশানে পাঁচ কাঠার প্লট, বকশীবাজারে পরিবারের নামে থাকা জমির কথা বলেন। আরও বলেন, তোপখানা রোডের মেহেরবা প্লাজায় স্ত্রীর নামে জায়গা আছে, গ্রামের বাড়িতেও আছে দালানকোঠা ও বাগানবাড়ি। অস্থাবর সম্পত্তি বলতে তিনি একটি মার্সিডিজ বেঞ্জ, একটি জিপ, একটি নিশান প্যাট্রল জিপ, টয়োটা কার ও আসবাবের কথা উল্লেখ করেছিলেন। নিজের নামে, ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট থাকলেও তাতে কত টাকা আছে, তা আর উল্লেখ করেননি। তবে দুই মেয়ে অন্তরা সামিলা ও শ্রাবন্তী আমিনার নামে একটি ফ্ল্যাট আছে বলে জানিয়েছিলেন।
১৫ পৃষ্ঠার সেই জবানবন্দি শেষের দিকে এসে নাজমুল হুদা বলেছিলেন, ‘রাজনীতির নোংরা আবর্জনা আমাকে দুর্নীতিবাজ বানিয়েছে, আমাকে কলঙ্কিত করেছে, সুনাম এবং ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে। উঠতে-বসতে আমি যে দুর্নীতিবাজ, তা শুনতে হয়েছে। আমার জীবনের যা ক্ষতি হয়েছে, তা এই সভ্য সমাজে পূরণীয় নয়।’
এত বছর পর হুদার সেই জবানবন্দি পড়তে গিয়ে মনে হলো, হয়তো তাঁর কথাই ঠিক, আবার মনে হলো, ঠিক না। হুদা লিখেছেন, ‘আমার সবই ছিল। কোনো কিছুর অভাব ছিল না। উপার্জন ছিল। বাড়ি ছিল। গাড়ি ছিল। পরিবারে সুখ ছিল। কিন্তু ‘‘কে যেন’’ রাজনীতিতে টেনে এনে সব নষ্ট করে দিল। এখন ভাবছি, এ পথে কেন এলাম?’
এই ‘কে যেন’টা কোন জন? সেটা কি লোভ নাকি উচ্চাকাঙ্ক্ষা? সেই প্রশ্নের জবাব হয়তো নাজমুল হুদা দিতে পারতেন। কিন্তু সেই সুযোগ তো আর নেই। হা হতোস্মি।
আরও পড়ুন

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৫ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৫ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৬ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

দুদিন আগে মুন্সিগঞ্জের হাঁসাড়া কবরস্থানে গিয়েছিলাম। পাড়ার শেষ প্রান্তে সেই কবরখানা। পৃথিবীর সব ফুল সেখানে ফুটে আছে। লাল শিমুল ছেয়ে আছে কবরের ওপরে। আমের মুকুলে আগাম গুটিও ধরেছে। কান পাতলে মনে হয় মৃতেরা কথা বলছে।
০৪ মার্চ ২০২৩
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৫ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৫ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৬ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

দুদিন আগে মুন্সিগঞ্জের হাঁসাড়া কবরস্থানে গিয়েছিলাম। পাড়ার শেষ প্রান্তে সেই কবরখানা। পৃথিবীর সব ফুল সেখানে ফুটে আছে। লাল শিমুল ছেয়ে আছে কবরের ওপরে। আমের মুকুলে আগাম গুটিও ধরেছে। কান পাতলে মনে হয় মৃতেরা কথা বলছে।
০৪ মার্চ ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৫ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৬ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

দুদিন আগে মুন্সিগঞ্জের হাঁসাড়া কবরস্থানে গিয়েছিলাম। পাড়ার শেষ প্রান্তে সেই কবরখানা। পৃথিবীর সব ফুল সেখানে ফুটে আছে। লাল শিমুল ছেয়ে আছে কবরের ওপরে। আমের মুকুলে আগাম গুটিও ধরেছে। কান পাতলে মনে হয় মৃতেরা কথা বলছে।
০৪ মার্চ ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৫ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৬ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

দুদিন আগে মুন্সিগঞ্জের হাঁসাড়া কবরস্থানে গিয়েছিলাম। পাড়ার শেষ প্রান্তে সেই কবরখানা। পৃথিবীর সব ফুল সেখানে ফুটে আছে। লাল শিমুল ছেয়ে আছে কবরের ওপরে। আমের মুকুলে আগাম গুটিও ধরেছে। কান পাতলে মনে হয় মৃতেরা কথা বলছে।
০৪ মার্চ ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৫ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৫ দিন আগে