কামরুল হাসান

সন্ত্রাসীদের সম্পর্কে পাঁচজনের সামনে কিছু কথা বলতে গেলেই আমি প্রায় দিশেহারা হয়ে যাই। সমস্যা হয়, কোনটা ছাড়ি, কোনটা বলি। প্রবাদে আছে, বাঁশবনে ডোম কানা। যে বাঁশই চোখে পড়ে, আহাম্মক ডোম সেটাই কাটতে চায়। আকছার যা হয়, দিন শেষে একটা নিরেস বাঁশ নিয়ে বাড়ি ফেরে ডোম। আমার অবস্থাও তা-ই। যা কিছু বলি না কেন, কেউ না কেউ ঠিকই সেটা জানেন। মানুষের না জানা কোনো কিছুই নেই যেন আর। তারপরও আজ যে গল্প বলব বলে মনস্থির করেছি, সেটাই বলি।
এরশাদ সরকারের শেষের দিকে রাজনৈতিক বা অরাজনৈতিক কারণে অনেকের হাতে অস্ত্র চলে আসে। সেসব অস্ত্র যে অবৈধ পন্থায় এল, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এসব অস্ত্র কীভাবে আমজনতার হাতে এল, কারা দিল—সে কথা তোলাই থাক। তবে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে এসব অস্ত্রের যে ব্যবহার হয়নি, তা কিন্তু নয়। এরপর এরশাদ ক্ষমতা হারালেন, এখন অস্ত্রগুলোর কী হবে? হাত বদল হয়ে সেই অস্ত্র চলে গেল ঢাকার উঠতি সন্ত্রাসীদের কাছে। এরশাদ পতনের পরের ১০ বছর, অর্থাৎ ১৯৯০ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত প্রায় প্রতিদিনই ঢাকার কোনো না কোনো স্থানে সেই অস্ত্রের ব্যবহার হতে লাগল। রাজধানীতে এমন খুব কম রাতই ছিল, যে রাতে কোথাও না কোথাও গোলাগুলি হতো না।
তবে ঢাকার সব জায়গায় যে গোলাগুলি হতো, তা কিন্তু নয়। এর জন্য নির্দিষ্ট কিছু স্থান ছিল। যেগুলোর একটি ছিল তেজগাঁও ট্রাকস্ট্যান্ড এবং বেগুনবাড়ি বস্তি এলাকা। মূলত তেজগাঁও শিল্প এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েই প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী দলের ভেতরে এই এলাকায় গোলাগুলি হতো।
শিল্প এলাকার নিয়ন্ত্রণে তখন দুটি পক্ষ। এক পক্ষে ছিলেন ভয়ংকর সন্ত্রাসী মো. আলাউদ্দিন। তাঁর ভাই রাকিব ছিলেন সেকেন্ড ইন কমান্ড। রাকিবের সঙ্গে ছিলেন আল আমিন, জোনা, রফিক, কালা মাসুদ, রহমান, মিরাজ, খালেক ও নিজাম। পরে অভ্যন্তরীণ বিরোধে নিজাম খুন হন। বিপরীত পক্ষে ছিলেন নীরব ও তাঁর দলবল। নীরব পরে মহাখালী আমতলী বস্তিতে গিয়ে আস্তানা গাড়েন।
তেজগাঁও এলাকায় আলাউদ্দিনের শক্ত অবস্থানের কারণ ছিল, তাঁর বাবা তারা মিয়া তেজগাঁও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে চাকরি করতেন। এই সুবাদে তেজগাঁওয়ের ভেতরেই আলাউদ্দিনের জন্ম এবং বেড়ে ওঠা। এলাকার সবকিছু তাঁর নখদর্পণে। আলাউদ্দিনের অপরাধ কর্মকাণ্ডের শুরু হয়েছিল খাদ্যগুদামের মালামাল চুরি দিয়ে। কয়েকবার ধরাও পড়েছিলেন। কোনো একটি চুরির ঘটনায় তিন বছর জেল খেটে বেরিয়ে আসার পর পাকাপোক্ত সন্ত্রাসী বনে যান আলাউদ্দিন। এরপর শুরু করেন চাঁদাবাজি। শিল্প এলাকায় তখন নতুন কারখানা অথবা ভবন করতে গেলেই আলাউদ্দিনকে চাঁদা দিতে হতো। তখনকার তেজগাঁও এলাকার এমপি এবং স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ছিলেন তাঁর নেপথ্যের শক্তি। আলাউদ্দিনের বিরুদ্ধে খুনসহ ১০টি মামলা ছিল বিভিন্ন থানায়।
বিএনপি সরকারের আমলে ২০০২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীর তালিকা করে কাগজে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়, আলাউদ্দিনের নামও ছিল সেই তালিকায়। তাঁকে ধরিয়ে দিতে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে পুলিশ কখনো তাঁকে ধরতে যায়নি।
এত দিন সবকিছু ভালোই চলছিল, সমস্যা দেখা দিল ২০০২ সালের ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে। বেশির ভাগ সন্ত্রাসীর নির্বাচিত হয়ে জাতে ওঠার একটি চেষ্টা থাকে। আলাউদ্দিনও সেই পথে পা বাড়ালেন। তিনি তেজগাঁও এলাকা থেকে কমিশনার পদে (কাউন্সিলর) দাঁড়িয়ে গেলেন। রাতারাতি তেজগাঁওয়ের সব রাস্তা তাঁর পোস্টারে ছেয়ে গেল। সে সময় চারদলীয় জোটের কমিশনার প্রার্থী ছিলেন জাহাঙ্গীর আলম। তাঁর কাছে হেরে গেলেন আলাউদ্দিন। নির্বাচনের ফলাফল বেরোনোর পর আলাউদ্দিন ক্ষুব্ধ হন। জাহাঙ্গীরকে গুলি করে আহত করেন তিনি। সেই নির্বাচনে আলাউদ্দিনের অনেক টাকা খরচ হয়ে যায়। ক্ষতি পোষাতে তিনি বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। একের পর এক ব্যবসায়ীদের ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি করতে থাকেন। এখন যেখানে হাতিরঝিলের টলটলে জলরাশি, তখন সেই ঝিলে ছিল সারি সারি বাঁশ দিয়ে তৈরি ঘর। নিম্ন আয়ের মানুষ এসব ঘরে থাকতেন। আলাউদ্দিন এসব ঘর থেকে চাঁদা আদায় করতেন। প্রতিটি ঘরের জন্য চাঁদার অঙ্ক ছিল নির্ধারিত।
চাঁদাবাজি নিয়ে আলাউদ্দিনের সঙ্গে প্রথম বিরোধ বাধে জনতা টিউবসের মালিক নিজাম উদ্দিন ভুইয়ার সঙ্গে। আলাউদ্দিনকে চাঁদা দেওয়া ঠেকাতে নিজাম উদ্দিনসহ এলাকার লোকজন প্রতিরোধ কমিটি গঠন করেছিলেন। নিজাম উদ্দিন থাকতেন তেজগাঁও-গুলশান লিংক রোডে সেভয় আইসক্রিমের পাশের গলিতে। সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পর থেকে প্রায়ই নিজাম উদ্দিনকে ফোন করে হুমকি দিতেন আলাউদ্দিন। এরপর ২০০২ সালের ১৭ আগস্ট নিজাম উদ্দিনের বাসার দরজার সামনে তাঁকে গুলি করে হত্যা করেন।
খুন করার পর আলাউদ্দিনের লোকজন তেজগাঁও-গুলশান লিংক রোড থেকে বেরিয়ে কলোনি বাজারের দিকে ঢুকে পড়েন। তেজগাঁও সাবরেজিস্ট্রি অফিসের সামনে তখন পুলিশের একটি টহল দল ছিল। পুলিশ তাঁদের দেখেই ধাওয়া করলে তাঁরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। এতে দিনেশ নামের পুলিশের এক দারোগা এবং সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা হারুন নামের এক ব্যবসায়ী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
মাত্র এক ঘণ্টার ব্যবধানে রাজধানীর ভেতরে এভাবে তিন খুনের পর চারদিকে হইচই পড়ে যায়। সন্ধ্যার পর পুলিশ বিভিন্ন স্থানে ব্লক রেইড শুরু করে। আলাউদ্দিন ও দলবলকে পুলিশ পায় কুনিপাড়া বস্তিতে। কিন্তু পুলিশকে দেখেই আলাউদ্দিন তাঁর ভাই রাকিব এবং সহযোগী আক্কাসকে নিয়ে ঝিলের পানিতে লাফ দেন। পুলিশ পানিতে গুলি ছোড়ে, তাতে দুজন আহত হন।
কিন্তু পালিয়ে আর যাবেন কোথায়? হাতিরঝিল সাঁতরে তাঁরা উঠে পড়েন রামপুরার মহানগর প্রজেক্টের কাছে একটি স্থানে। কিন্তু সেখানে আগে থেকেই পুলিশ স্থানীয় লোকজনকে দাঁড় করিয়ে রেখেছিল। আহত অবস্থায় তাঁদের তীরে উঠতে দেখেই লোকজন লাঠি-বাঁশ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ঝিলের কিনারেই আলাউদ্দিন, রাকিব ও আক্কাসকে পিটিয়ে মেরে ফেলে। এভাবে শেষ হয়ে যায় এক শীর্ষ সন্ত্রাসীর জীবন-আখ্যান।
এ ঘটনার পর দেশের সংবাদপত্রগুলোতে শীর্ষ সন্ত্রাসী আলাউদ্দিন এবং তাঁর দুই সহযোগীর গণপিটুনিতে নিহত হওয়ার খবর বড় করে ছাপা হয়। পরদিন ফলোআপ করতে এসে শুনতে পেলাম, আমরা সবাই যাঁকে গণপিটুনি বলেছি, সেটা আসলে কোনো গণপিটুনি ছিল না। এটা ছিল আজকের যুগের ‘ক্রসফায়ার’-এর একটি পুরোনো ভার্সন। তবে ক্রসফায়ারের সঙ্গে তার পার্থক্য হলো, ‘কাজটি’ আমজনতাই করেছিল।

সন্ত্রাসীদের সম্পর্কে পাঁচজনের সামনে কিছু কথা বলতে গেলেই আমি প্রায় দিশেহারা হয়ে যাই। সমস্যা হয়, কোনটা ছাড়ি, কোনটা বলি। প্রবাদে আছে, বাঁশবনে ডোম কানা। যে বাঁশই চোখে পড়ে, আহাম্মক ডোম সেটাই কাটতে চায়। আকছার যা হয়, দিন শেষে একটা নিরেস বাঁশ নিয়ে বাড়ি ফেরে ডোম। আমার অবস্থাও তা-ই। যা কিছু বলি না কেন, কেউ না কেউ ঠিকই সেটা জানেন। মানুষের না জানা কোনো কিছুই নেই যেন আর। তারপরও আজ যে গল্প বলব বলে মনস্থির করেছি, সেটাই বলি।
এরশাদ সরকারের শেষের দিকে রাজনৈতিক বা অরাজনৈতিক কারণে অনেকের হাতে অস্ত্র চলে আসে। সেসব অস্ত্র যে অবৈধ পন্থায় এল, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এসব অস্ত্র কীভাবে আমজনতার হাতে এল, কারা দিল—সে কথা তোলাই থাক। তবে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে এসব অস্ত্রের যে ব্যবহার হয়নি, তা কিন্তু নয়। এরপর এরশাদ ক্ষমতা হারালেন, এখন অস্ত্রগুলোর কী হবে? হাত বদল হয়ে সেই অস্ত্র চলে গেল ঢাকার উঠতি সন্ত্রাসীদের কাছে। এরশাদ পতনের পরের ১০ বছর, অর্থাৎ ১৯৯০ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত প্রায় প্রতিদিনই ঢাকার কোনো না কোনো স্থানে সেই অস্ত্রের ব্যবহার হতে লাগল। রাজধানীতে এমন খুব কম রাতই ছিল, যে রাতে কোথাও না কোথাও গোলাগুলি হতো না।
তবে ঢাকার সব জায়গায় যে গোলাগুলি হতো, তা কিন্তু নয়। এর জন্য নির্দিষ্ট কিছু স্থান ছিল। যেগুলোর একটি ছিল তেজগাঁও ট্রাকস্ট্যান্ড এবং বেগুনবাড়ি বস্তি এলাকা। মূলত তেজগাঁও শিল্প এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েই প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী দলের ভেতরে এই এলাকায় গোলাগুলি হতো।
শিল্প এলাকার নিয়ন্ত্রণে তখন দুটি পক্ষ। এক পক্ষে ছিলেন ভয়ংকর সন্ত্রাসী মো. আলাউদ্দিন। তাঁর ভাই রাকিব ছিলেন সেকেন্ড ইন কমান্ড। রাকিবের সঙ্গে ছিলেন আল আমিন, জোনা, রফিক, কালা মাসুদ, রহমান, মিরাজ, খালেক ও নিজাম। পরে অভ্যন্তরীণ বিরোধে নিজাম খুন হন। বিপরীত পক্ষে ছিলেন নীরব ও তাঁর দলবল। নীরব পরে মহাখালী আমতলী বস্তিতে গিয়ে আস্তানা গাড়েন।
তেজগাঁও এলাকায় আলাউদ্দিনের শক্ত অবস্থানের কারণ ছিল, তাঁর বাবা তারা মিয়া তেজগাঁও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে চাকরি করতেন। এই সুবাদে তেজগাঁওয়ের ভেতরেই আলাউদ্দিনের জন্ম এবং বেড়ে ওঠা। এলাকার সবকিছু তাঁর নখদর্পণে। আলাউদ্দিনের অপরাধ কর্মকাণ্ডের শুরু হয়েছিল খাদ্যগুদামের মালামাল চুরি দিয়ে। কয়েকবার ধরাও পড়েছিলেন। কোনো একটি চুরির ঘটনায় তিন বছর জেল খেটে বেরিয়ে আসার পর পাকাপোক্ত সন্ত্রাসী বনে যান আলাউদ্দিন। এরপর শুরু করেন চাঁদাবাজি। শিল্প এলাকায় তখন নতুন কারখানা অথবা ভবন করতে গেলেই আলাউদ্দিনকে চাঁদা দিতে হতো। তখনকার তেজগাঁও এলাকার এমপি এবং স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ছিলেন তাঁর নেপথ্যের শক্তি। আলাউদ্দিনের বিরুদ্ধে খুনসহ ১০টি মামলা ছিল বিভিন্ন থানায়।
বিএনপি সরকারের আমলে ২০০২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীর তালিকা করে কাগজে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়, আলাউদ্দিনের নামও ছিল সেই তালিকায়। তাঁকে ধরিয়ে দিতে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে পুলিশ কখনো তাঁকে ধরতে যায়নি।
এত দিন সবকিছু ভালোই চলছিল, সমস্যা দেখা দিল ২০০২ সালের ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে। বেশির ভাগ সন্ত্রাসীর নির্বাচিত হয়ে জাতে ওঠার একটি চেষ্টা থাকে। আলাউদ্দিনও সেই পথে পা বাড়ালেন। তিনি তেজগাঁও এলাকা থেকে কমিশনার পদে (কাউন্সিলর) দাঁড়িয়ে গেলেন। রাতারাতি তেজগাঁওয়ের সব রাস্তা তাঁর পোস্টারে ছেয়ে গেল। সে সময় চারদলীয় জোটের কমিশনার প্রার্থী ছিলেন জাহাঙ্গীর আলম। তাঁর কাছে হেরে গেলেন আলাউদ্দিন। নির্বাচনের ফলাফল বেরোনোর পর আলাউদ্দিন ক্ষুব্ধ হন। জাহাঙ্গীরকে গুলি করে আহত করেন তিনি। সেই নির্বাচনে আলাউদ্দিনের অনেক টাকা খরচ হয়ে যায়। ক্ষতি পোষাতে তিনি বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। একের পর এক ব্যবসায়ীদের ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি করতে থাকেন। এখন যেখানে হাতিরঝিলের টলটলে জলরাশি, তখন সেই ঝিলে ছিল সারি সারি বাঁশ দিয়ে তৈরি ঘর। নিম্ন আয়ের মানুষ এসব ঘরে থাকতেন। আলাউদ্দিন এসব ঘর থেকে চাঁদা আদায় করতেন। প্রতিটি ঘরের জন্য চাঁদার অঙ্ক ছিল নির্ধারিত।
চাঁদাবাজি নিয়ে আলাউদ্দিনের সঙ্গে প্রথম বিরোধ বাধে জনতা টিউবসের মালিক নিজাম উদ্দিন ভুইয়ার সঙ্গে। আলাউদ্দিনকে চাঁদা দেওয়া ঠেকাতে নিজাম উদ্দিনসহ এলাকার লোকজন প্রতিরোধ কমিটি গঠন করেছিলেন। নিজাম উদ্দিন থাকতেন তেজগাঁও-গুলশান লিংক রোডে সেভয় আইসক্রিমের পাশের গলিতে। সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পর থেকে প্রায়ই নিজাম উদ্দিনকে ফোন করে হুমকি দিতেন আলাউদ্দিন। এরপর ২০০২ সালের ১৭ আগস্ট নিজাম উদ্দিনের বাসার দরজার সামনে তাঁকে গুলি করে হত্যা করেন।
খুন করার পর আলাউদ্দিনের লোকজন তেজগাঁও-গুলশান লিংক রোড থেকে বেরিয়ে কলোনি বাজারের দিকে ঢুকে পড়েন। তেজগাঁও সাবরেজিস্ট্রি অফিসের সামনে তখন পুলিশের একটি টহল দল ছিল। পুলিশ তাঁদের দেখেই ধাওয়া করলে তাঁরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। এতে দিনেশ নামের পুলিশের এক দারোগা এবং সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা হারুন নামের এক ব্যবসায়ী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
মাত্র এক ঘণ্টার ব্যবধানে রাজধানীর ভেতরে এভাবে তিন খুনের পর চারদিকে হইচই পড়ে যায়। সন্ধ্যার পর পুলিশ বিভিন্ন স্থানে ব্লক রেইড শুরু করে। আলাউদ্দিন ও দলবলকে পুলিশ পায় কুনিপাড়া বস্তিতে। কিন্তু পুলিশকে দেখেই আলাউদ্দিন তাঁর ভাই রাকিব এবং সহযোগী আক্কাসকে নিয়ে ঝিলের পানিতে লাফ দেন। পুলিশ পানিতে গুলি ছোড়ে, তাতে দুজন আহত হন।
কিন্তু পালিয়ে আর যাবেন কোথায়? হাতিরঝিল সাঁতরে তাঁরা উঠে পড়েন রামপুরার মহানগর প্রজেক্টের কাছে একটি স্থানে। কিন্তু সেখানে আগে থেকেই পুলিশ স্থানীয় লোকজনকে দাঁড় করিয়ে রেখেছিল। আহত অবস্থায় তাঁদের তীরে উঠতে দেখেই লোকজন লাঠি-বাঁশ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ঝিলের কিনারেই আলাউদ্দিন, রাকিব ও আক্কাসকে পিটিয়ে মেরে ফেলে। এভাবে শেষ হয়ে যায় এক শীর্ষ সন্ত্রাসীর জীবন-আখ্যান।
এ ঘটনার পর দেশের সংবাদপত্রগুলোতে শীর্ষ সন্ত্রাসী আলাউদ্দিন এবং তাঁর দুই সহযোগীর গণপিটুনিতে নিহত হওয়ার খবর বড় করে ছাপা হয়। পরদিন ফলোআপ করতে এসে শুনতে পেলাম, আমরা সবাই যাঁকে গণপিটুনি বলেছি, সেটা আসলে কোনো গণপিটুনি ছিল না। এটা ছিল আজকের যুগের ‘ক্রসফায়ার’-এর একটি পুরোনো ভার্সন। তবে ক্রসফায়ারের সঙ্গে তার পার্থক্য হলো, ‘কাজটি’ আমজনতাই করেছিল।
কামরুল হাসান

সন্ত্রাসীদের সম্পর্কে পাঁচজনের সামনে কিছু কথা বলতে গেলেই আমি প্রায় দিশেহারা হয়ে যাই। সমস্যা হয়, কোনটা ছাড়ি, কোনটা বলি। প্রবাদে আছে, বাঁশবনে ডোম কানা। যে বাঁশই চোখে পড়ে, আহাম্মক ডোম সেটাই কাটতে চায়। আকছার যা হয়, দিন শেষে একটা নিরেস বাঁশ নিয়ে বাড়ি ফেরে ডোম। আমার অবস্থাও তা-ই। যা কিছু বলি না কেন, কেউ না কেউ ঠিকই সেটা জানেন। মানুষের না জানা কোনো কিছুই নেই যেন আর। তারপরও আজ যে গল্প বলব বলে মনস্থির করেছি, সেটাই বলি।
এরশাদ সরকারের শেষের দিকে রাজনৈতিক বা অরাজনৈতিক কারণে অনেকের হাতে অস্ত্র চলে আসে। সেসব অস্ত্র যে অবৈধ পন্থায় এল, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এসব অস্ত্র কীভাবে আমজনতার হাতে এল, কারা দিল—সে কথা তোলাই থাক। তবে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে এসব অস্ত্রের যে ব্যবহার হয়নি, তা কিন্তু নয়। এরপর এরশাদ ক্ষমতা হারালেন, এখন অস্ত্রগুলোর কী হবে? হাত বদল হয়ে সেই অস্ত্র চলে গেল ঢাকার উঠতি সন্ত্রাসীদের কাছে। এরশাদ পতনের পরের ১০ বছর, অর্থাৎ ১৯৯০ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত প্রায় প্রতিদিনই ঢাকার কোনো না কোনো স্থানে সেই অস্ত্রের ব্যবহার হতে লাগল। রাজধানীতে এমন খুব কম রাতই ছিল, যে রাতে কোথাও না কোথাও গোলাগুলি হতো না।
তবে ঢাকার সব জায়গায় যে গোলাগুলি হতো, তা কিন্তু নয়। এর জন্য নির্দিষ্ট কিছু স্থান ছিল। যেগুলোর একটি ছিল তেজগাঁও ট্রাকস্ট্যান্ড এবং বেগুনবাড়ি বস্তি এলাকা। মূলত তেজগাঁও শিল্প এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েই প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী দলের ভেতরে এই এলাকায় গোলাগুলি হতো।
শিল্প এলাকার নিয়ন্ত্রণে তখন দুটি পক্ষ। এক পক্ষে ছিলেন ভয়ংকর সন্ত্রাসী মো. আলাউদ্দিন। তাঁর ভাই রাকিব ছিলেন সেকেন্ড ইন কমান্ড। রাকিবের সঙ্গে ছিলেন আল আমিন, জোনা, রফিক, কালা মাসুদ, রহমান, মিরাজ, খালেক ও নিজাম। পরে অভ্যন্তরীণ বিরোধে নিজাম খুন হন। বিপরীত পক্ষে ছিলেন নীরব ও তাঁর দলবল। নীরব পরে মহাখালী আমতলী বস্তিতে গিয়ে আস্তানা গাড়েন।
তেজগাঁও এলাকায় আলাউদ্দিনের শক্ত অবস্থানের কারণ ছিল, তাঁর বাবা তারা মিয়া তেজগাঁও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে চাকরি করতেন। এই সুবাদে তেজগাঁওয়ের ভেতরেই আলাউদ্দিনের জন্ম এবং বেড়ে ওঠা। এলাকার সবকিছু তাঁর নখদর্পণে। আলাউদ্দিনের অপরাধ কর্মকাণ্ডের শুরু হয়েছিল খাদ্যগুদামের মালামাল চুরি দিয়ে। কয়েকবার ধরাও পড়েছিলেন। কোনো একটি চুরির ঘটনায় তিন বছর জেল খেটে বেরিয়ে আসার পর পাকাপোক্ত সন্ত্রাসী বনে যান আলাউদ্দিন। এরপর শুরু করেন চাঁদাবাজি। শিল্প এলাকায় তখন নতুন কারখানা অথবা ভবন করতে গেলেই আলাউদ্দিনকে চাঁদা দিতে হতো। তখনকার তেজগাঁও এলাকার এমপি এবং স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ছিলেন তাঁর নেপথ্যের শক্তি। আলাউদ্দিনের বিরুদ্ধে খুনসহ ১০টি মামলা ছিল বিভিন্ন থানায়।
বিএনপি সরকারের আমলে ২০০২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীর তালিকা করে কাগজে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়, আলাউদ্দিনের নামও ছিল সেই তালিকায়। তাঁকে ধরিয়ে দিতে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে পুলিশ কখনো তাঁকে ধরতে যায়নি।
এত দিন সবকিছু ভালোই চলছিল, সমস্যা দেখা দিল ২০০২ সালের ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে। বেশির ভাগ সন্ত্রাসীর নির্বাচিত হয়ে জাতে ওঠার একটি চেষ্টা থাকে। আলাউদ্দিনও সেই পথে পা বাড়ালেন। তিনি তেজগাঁও এলাকা থেকে কমিশনার পদে (কাউন্সিলর) দাঁড়িয়ে গেলেন। রাতারাতি তেজগাঁওয়ের সব রাস্তা তাঁর পোস্টারে ছেয়ে গেল। সে সময় চারদলীয় জোটের কমিশনার প্রার্থী ছিলেন জাহাঙ্গীর আলম। তাঁর কাছে হেরে গেলেন আলাউদ্দিন। নির্বাচনের ফলাফল বেরোনোর পর আলাউদ্দিন ক্ষুব্ধ হন। জাহাঙ্গীরকে গুলি করে আহত করেন তিনি। সেই নির্বাচনে আলাউদ্দিনের অনেক টাকা খরচ হয়ে যায়। ক্ষতি পোষাতে তিনি বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। একের পর এক ব্যবসায়ীদের ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি করতে থাকেন। এখন যেখানে হাতিরঝিলের টলটলে জলরাশি, তখন সেই ঝিলে ছিল সারি সারি বাঁশ দিয়ে তৈরি ঘর। নিম্ন আয়ের মানুষ এসব ঘরে থাকতেন। আলাউদ্দিন এসব ঘর থেকে চাঁদা আদায় করতেন। প্রতিটি ঘরের জন্য চাঁদার অঙ্ক ছিল নির্ধারিত।
চাঁদাবাজি নিয়ে আলাউদ্দিনের সঙ্গে প্রথম বিরোধ বাধে জনতা টিউবসের মালিক নিজাম উদ্দিন ভুইয়ার সঙ্গে। আলাউদ্দিনকে চাঁদা দেওয়া ঠেকাতে নিজাম উদ্দিনসহ এলাকার লোকজন প্রতিরোধ কমিটি গঠন করেছিলেন। নিজাম উদ্দিন থাকতেন তেজগাঁও-গুলশান লিংক রোডে সেভয় আইসক্রিমের পাশের গলিতে। সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পর থেকে প্রায়ই নিজাম উদ্দিনকে ফোন করে হুমকি দিতেন আলাউদ্দিন। এরপর ২০০২ সালের ১৭ আগস্ট নিজাম উদ্দিনের বাসার দরজার সামনে তাঁকে গুলি করে হত্যা করেন।
খুন করার পর আলাউদ্দিনের লোকজন তেজগাঁও-গুলশান লিংক রোড থেকে বেরিয়ে কলোনি বাজারের দিকে ঢুকে পড়েন। তেজগাঁও সাবরেজিস্ট্রি অফিসের সামনে তখন পুলিশের একটি টহল দল ছিল। পুলিশ তাঁদের দেখেই ধাওয়া করলে তাঁরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। এতে দিনেশ নামের পুলিশের এক দারোগা এবং সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা হারুন নামের এক ব্যবসায়ী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
মাত্র এক ঘণ্টার ব্যবধানে রাজধানীর ভেতরে এভাবে তিন খুনের পর চারদিকে হইচই পড়ে যায়। সন্ধ্যার পর পুলিশ বিভিন্ন স্থানে ব্লক রেইড শুরু করে। আলাউদ্দিন ও দলবলকে পুলিশ পায় কুনিপাড়া বস্তিতে। কিন্তু পুলিশকে দেখেই আলাউদ্দিন তাঁর ভাই রাকিব এবং সহযোগী আক্কাসকে নিয়ে ঝিলের পানিতে লাফ দেন। পুলিশ পানিতে গুলি ছোড়ে, তাতে দুজন আহত হন।
কিন্তু পালিয়ে আর যাবেন কোথায়? হাতিরঝিল সাঁতরে তাঁরা উঠে পড়েন রামপুরার মহানগর প্রজেক্টের কাছে একটি স্থানে। কিন্তু সেখানে আগে থেকেই পুলিশ স্থানীয় লোকজনকে দাঁড় করিয়ে রেখেছিল। আহত অবস্থায় তাঁদের তীরে উঠতে দেখেই লোকজন লাঠি-বাঁশ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ঝিলের কিনারেই আলাউদ্দিন, রাকিব ও আক্কাসকে পিটিয়ে মেরে ফেলে। এভাবে শেষ হয়ে যায় এক শীর্ষ সন্ত্রাসীর জীবন-আখ্যান।
এ ঘটনার পর দেশের সংবাদপত্রগুলোতে শীর্ষ সন্ত্রাসী আলাউদ্দিন এবং তাঁর দুই সহযোগীর গণপিটুনিতে নিহত হওয়ার খবর বড় করে ছাপা হয়। পরদিন ফলোআপ করতে এসে শুনতে পেলাম, আমরা সবাই যাঁকে গণপিটুনি বলেছি, সেটা আসলে কোনো গণপিটুনি ছিল না। এটা ছিল আজকের যুগের ‘ক্রসফায়ার’-এর একটি পুরোনো ভার্সন। তবে ক্রসফায়ারের সঙ্গে তার পার্থক্য হলো, ‘কাজটি’ আমজনতাই করেছিল।

সন্ত্রাসীদের সম্পর্কে পাঁচজনের সামনে কিছু কথা বলতে গেলেই আমি প্রায় দিশেহারা হয়ে যাই। সমস্যা হয়, কোনটা ছাড়ি, কোনটা বলি। প্রবাদে আছে, বাঁশবনে ডোম কানা। যে বাঁশই চোখে পড়ে, আহাম্মক ডোম সেটাই কাটতে চায়। আকছার যা হয়, দিন শেষে একটা নিরেস বাঁশ নিয়ে বাড়ি ফেরে ডোম। আমার অবস্থাও তা-ই। যা কিছু বলি না কেন, কেউ না কেউ ঠিকই সেটা জানেন। মানুষের না জানা কোনো কিছুই নেই যেন আর। তারপরও আজ যে গল্প বলব বলে মনস্থির করেছি, সেটাই বলি।
এরশাদ সরকারের শেষের দিকে রাজনৈতিক বা অরাজনৈতিক কারণে অনেকের হাতে অস্ত্র চলে আসে। সেসব অস্ত্র যে অবৈধ পন্থায় এল, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এসব অস্ত্র কীভাবে আমজনতার হাতে এল, কারা দিল—সে কথা তোলাই থাক। তবে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে এসব অস্ত্রের যে ব্যবহার হয়নি, তা কিন্তু নয়। এরপর এরশাদ ক্ষমতা হারালেন, এখন অস্ত্রগুলোর কী হবে? হাত বদল হয়ে সেই অস্ত্র চলে গেল ঢাকার উঠতি সন্ত্রাসীদের কাছে। এরশাদ পতনের পরের ১০ বছর, অর্থাৎ ১৯৯০ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত প্রায় প্রতিদিনই ঢাকার কোনো না কোনো স্থানে সেই অস্ত্রের ব্যবহার হতে লাগল। রাজধানীতে এমন খুব কম রাতই ছিল, যে রাতে কোথাও না কোথাও গোলাগুলি হতো না।
তবে ঢাকার সব জায়গায় যে গোলাগুলি হতো, তা কিন্তু নয়। এর জন্য নির্দিষ্ট কিছু স্থান ছিল। যেগুলোর একটি ছিল তেজগাঁও ট্রাকস্ট্যান্ড এবং বেগুনবাড়ি বস্তি এলাকা। মূলত তেজগাঁও শিল্প এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েই প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী দলের ভেতরে এই এলাকায় গোলাগুলি হতো।
শিল্প এলাকার নিয়ন্ত্রণে তখন দুটি পক্ষ। এক পক্ষে ছিলেন ভয়ংকর সন্ত্রাসী মো. আলাউদ্দিন। তাঁর ভাই রাকিব ছিলেন সেকেন্ড ইন কমান্ড। রাকিবের সঙ্গে ছিলেন আল আমিন, জোনা, রফিক, কালা মাসুদ, রহমান, মিরাজ, খালেক ও নিজাম। পরে অভ্যন্তরীণ বিরোধে নিজাম খুন হন। বিপরীত পক্ষে ছিলেন নীরব ও তাঁর দলবল। নীরব পরে মহাখালী আমতলী বস্তিতে গিয়ে আস্তানা গাড়েন।
তেজগাঁও এলাকায় আলাউদ্দিনের শক্ত অবস্থানের কারণ ছিল, তাঁর বাবা তারা মিয়া তেজগাঁও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে চাকরি করতেন। এই সুবাদে তেজগাঁওয়ের ভেতরেই আলাউদ্দিনের জন্ম এবং বেড়ে ওঠা। এলাকার সবকিছু তাঁর নখদর্পণে। আলাউদ্দিনের অপরাধ কর্মকাণ্ডের শুরু হয়েছিল খাদ্যগুদামের মালামাল চুরি দিয়ে। কয়েকবার ধরাও পড়েছিলেন। কোনো একটি চুরির ঘটনায় তিন বছর জেল খেটে বেরিয়ে আসার পর পাকাপোক্ত সন্ত্রাসী বনে যান আলাউদ্দিন। এরপর শুরু করেন চাঁদাবাজি। শিল্প এলাকায় তখন নতুন কারখানা অথবা ভবন করতে গেলেই আলাউদ্দিনকে চাঁদা দিতে হতো। তখনকার তেজগাঁও এলাকার এমপি এবং স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ছিলেন তাঁর নেপথ্যের শক্তি। আলাউদ্দিনের বিরুদ্ধে খুনসহ ১০টি মামলা ছিল বিভিন্ন থানায়।
বিএনপি সরকারের আমলে ২০০২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীর তালিকা করে কাগজে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়, আলাউদ্দিনের নামও ছিল সেই তালিকায়। তাঁকে ধরিয়ে দিতে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে পুলিশ কখনো তাঁকে ধরতে যায়নি।
এত দিন সবকিছু ভালোই চলছিল, সমস্যা দেখা দিল ২০০২ সালের ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে। বেশির ভাগ সন্ত্রাসীর নির্বাচিত হয়ে জাতে ওঠার একটি চেষ্টা থাকে। আলাউদ্দিনও সেই পথে পা বাড়ালেন। তিনি তেজগাঁও এলাকা থেকে কমিশনার পদে (কাউন্সিলর) দাঁড়িয়ে গেলেন। রাতারাতি তেজগাঁওয়ের সব রাস্তা তাঁর পোস্টারে ছেয়ে গেল। সে সময় চারদলীয় জোটের কমিশনার প্রার্থী ছিলেন জাহাঙ্গীর আলম। তাঁর কাছে হেরে গেলেন আলাউদ্দিন। নির্বাচনের ফলাফল বেরোনোর পর আলাউদ্দিন ক্ষুব্ধ হন। জাহাঙ্গীরকে গুলি করে আহত করেন তিনি। সেই নির্বাচনে আলাউদ্দিনের অনেক টাকা খরচ হয়ে যায়। ক্ষতি পোষাতে তিনি বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। একের পর এক ব্যবসায়ীদের ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি করতে থাকেন। এখন যেখানে হাতিরঝিলের টলটলে জলরাশি, তখন সেই ঝিলে ছিল সারি সারি বাঁশ দিয়ে তৈরি ঘর। নিম্ন আয়ের মানুষ এসব ঘরে থাকতেন। আলাউদ্দিন এসব ঘর থেকে চাঁদা আদায় করতেন। প্রতিটি ঘরের জন্য চাঁদার অঙ্ক ছিল নির্ধারিত।
চাঁদাবাজি নিয়ে আলাউদ্দিনের সঙ্গে প্রথম বিরোধ বাধে জনতা টিউবসের মালিক নিজাম উদ্দিন ভুইয়ার সঙ্গে। আলাউদ্দিনকে চাঁদা দেওয়া ঠেকাতে নিজাম উদ্দিনসহ এলাকার লোকজন প্রতিরোধ কমিটি গঠন করেছিলেন। নিজাম উদ্দিন থাকতেন তেজগাঁও-গুলশান লিংক রোডে সেভয় আইসক্রিমের পাশের গলিতে। সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পর থেকে প্রায়ই নিজাম উদ্দিনকে ফোন করে হুমকি দিতেন আলাউদ্দিন। এরপর ২০০২ সালের ১৭ আগস্ট নিজাম উদ্দিনের বাসার দরজার সামনে তাঁকে গুলি করে হত্যা করেন।
খুন করার পর আলাউদ্দিনের লোকজন তেজগাঁও-গুলশান লিংক রোড থেকে বেরিয়ে কলোনি বাজারের দিকে ঢুকে পড়েন। তেজগাঁও সাবরেজিস্ট্রি অফিসের সামনে তখন পুলিশের একটি টহল দল ছিল। পুলিশ তাঁদের দেখেই ধাওয়া করলে তাঁরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। এতে দিনেশ নামের পুলিশের এক দারোগা এবং সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা হারুন নামের এক ব্যবসায়ী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
মাত্র এক ঘণ্টার ব্যবধানে রাজধানীর ভেতরে এভাবে তিন খুনের পর চারদিকে হইচই পড়ে যায়। সন্ধ্যার পর পুলিশ বিভিন্ন স্থানে ব্লক রেইড শুরু করে। আলাউদ্দিন ও দলবলকে পুলিশ পায় কুনিপাড়া বস্তিতে। কিন্তু পুলিশকে দেখেই আলাউদ্দিন তাঁর ভাই রাকিব এবং সহযোগী আক্কাসকে নিয়ে ঝিলের পানিতে লাফ দেন। পুলিশ পানিতে গুলি ছোড়ে, তাতে দুজন আহত হন।
কিন্তু পালিয়ে আর যাবেন কোথায়? হাতিরঝিল সাঁতরে তাঁরা উঠে পড়েন রামপুরার মহানগর প্রজেক্টের কাছে একটি স্থানে। কিন্তু সেখানে আগে থেকেই পুলিশ স্থানীয় লোকজনকে দাঁড় করিয়ে রেখেছিল। আহত অবস্থায় তাঁদের তীরে উঠতে দেখেই লোকজন লাঠি-বাঁশ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ঝিলের কিনারেই আলাউদ্দিন, রাকিব ও আক্কাসকে পিটিয়ে মেরে ফেলে। এভাবে শেষ হয়ে যায় এক শীর্ষ সন্ত্রাসীর জীবন-আখ্যান।
এ ঘটনার পর দেশের সংবাদপত্রগুলোতে শীর্ষ সন্ত্রাসী আলাউদ্দিন এবং তাঁর দুই সহযোগীর গণপিটুনিতে নিহত হওয়ার খবর বড় করে ছাপা হয়। পরদিন ফলোআপ করতে এসে শুনতে পেলাম, আমরা সবাই যাঁকে গণপিটুনি বলেছি, সেটা আসলে কোনো গণপিটুনি ছিল না। এটা ছিল আজকের যুগের ‘ক্রসফায়ার’-এর একটি পুরোনো ভার্সন। তবে ক্রসফায়ারের সঙ্গে তার পার্থক্য হলো, ‘কাজটি’ আমজনতাই করেছিল।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৫ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৫ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৬ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

সন্ত্রাসীদের সম্পর্কে পাঁচজনের সামনে কিছু কথা বলতে গেলেই আমি প্রায় দিশেহারা হয়ে যাই। সমস্যা হয়, কোনটা ছাড়ি, কোনটা বলি। প্রবাদে আছে, বাঁশবনে ডোম কানা। যে বাঁশই চোখে পড়ে, আহাম্মক ডোম সেটাই কাটতে চায়। আকছার যা হয়, দিন শেষে একটা নিরেস বাঁশ নিয়ে বাড়ি ফেরে ডোম। আমার অবস্থাও তা-ই। যা কিছু বলি না কেন, কেউ ন
০৮ এপ্রিল ২০২৩
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৫ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৫ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৬ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

সন্ত্রাসীদের সম্পর্কে পাঁচজনের সামনে কিছু কথা বলতে গেলেই আমি প্রায় দিশেহারা হয়ে যাই। সমস্যা হয়, কোনটা ছাড়ি, কোনটা বলি। প্রবাদে আছে, বাঁশবনে ডোম কানা। যে বাঁশই চোখে পড়ে, আহাম্মক ডোম সেটাই কাটতে চায়। আকছার যা হয়, দিন শেষে একটা নিরেস বাঁশ নিয়ে বাড়ি ফেরে ডোম। আমার অবস্থাও তা-ই। যা কিছু বলি না কেন, কেউ ন
০৮ এপ্রিল ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৫ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৬ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

সন্ত্রাসীদের সম্পর্কে পাঁচজনের সামনে কিছু কথা বলতে গেলেই আমি প্রায় দিশেহারা হয়ে যাই। সমস্যা হয়, কোনটা ছাড়ি, কোনটা বলি। প্রবাদে আছে, বাঁশবনে ডোম কানা। যে বাঁশই চোখে পড়ে, আহাম্মক ডোম সেটাই কাটতে চায়। আকছার যা হয়, দিন শেষে একটা নিরেস বাঁশ নিয়ে বাড়ি ফেরে ডোম। আমার অবস্থাও তা-ই। যা কিছু বলি না কেন, কেউ ন
০৮ এপ্রিল ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৫ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৬ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

সন্ত্রাসীদের সম্পর্কে পাঁচজনের সামনে কিছু কথা বলতে গেলেই আমি প্রায় দিশেহারা হয়ে যাই। সমস্যা হয়, কোনটা ছাড়ি, কোনটা বলি। প্রবাদে আছে, বাঁশবনে ডোম কানা। যে বাঁশই চোখে পড়ে, আহাম্মক ডোম সেটাই কাটতে চায়। আকছার যা হয়, দিন শেষে একটা নিরেস বাঁশ নিয়ে বাড়ি ফেরে ডোম। আমার অবস্থাও তা-ই। যা কিছু বলি না কেন, কেউ ন
০৮ এপ্রিল ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৫ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৫ দিন আগে