কামরুল হাসান

ঢাকা মহানগর পুলিশে (ডিএমপি) তখন ক্রাইম বিভাগ চারটি। পূর্ব বিভাগের ডিসি ছিলেন মোখলেসুর রহমান, যিনি পরে অতিরিক্ত আইজি হয়েছিলেন। একদিন রাত ৯টার দিকে তাঁর ফোন। বললেন, সর্বনাশ হয়ে গেছে। তাঁর কথায় হতাশার সুর। জানতে চাইলাম, কী এমন হয়েছে? তিনি বললেন, তাঁর টিমের সবচেয়ে ভালো সার্জেন্টকে একদল ছিনতাইকারী গাড়ি থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েছে। ছেলেটির মাথা থেঁতলে গেছে। কথা বলতে পারছে না, অবস্থা খুবই খারাপ। বললাম, কী নাম? তিনি খুব মৃদু স্বরে বললেন, সার্জেন্ট আহাদ।
ইয়াসিন কবীর জয় তখন উদীয়মান ফটোসাংবাদিক। তিনিও খবর পেয়েছেন। বললেন, চলো, পিওতে (প্লেস অব অকারেন্স বা ঘটনাস্থল) যাই। ইস্কাটন থেকে মতিঝিলে বলাকা ভবনের সামনে ঘটনাস্থলে পৌঁছে শুনি, আহাদকে তখনকার রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। গেলাম সেখানে, শুনি পিজি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। জয় বললেন, তাঁর ছবি লাগবে। এখানে থেকে লাভ নেই। ছবির সন্ধানে জয় ছুটলেন ইস্কাটন গার্ডেনের প্রোপার্টি হাউজিংয়ে, আহাদের বাসায়।
রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালের লোকেরা কিছু বলতে পারছিলেন না। ঘটনা সম্পর্কে যাঁরা জানেন, তাঁরা সবাই আহাদকে নিয়ে তখনকার পিজি হাসপাতালে গেছেন। আবার ফিরে এলাম মতিঝিলে। দেখি রাস্তায় এক পাশে ট্রাফিক পুলিশের কয়েকজন কনস্টেবল জড়ো হয়ে কথা বলছেন। সঙ্গে দুজন সার্জেন্ট আছেন।
তাঁদের কাছে জানতে চাইলাম, কী হয়েছে। একজন সার্জেন্ট এক কনস্টেবলকে দেখিয়ে দিয়ে বললেন, ‘তাঁর কাছে শোনেন, সে উইটনেস (প্রত্যক্ষদর্শী)।’ ওটা ছিল ১৯৯৯ সালের ২৮ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার রাত। সে সময় রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ছিনতাইকারীদের তৎপরতা অসহনীয় হয়ে উঠেছিল। প্রায় দিনই ছিনতাইয়ের খবর পাওয়া যেত। ছিনতাইকারীদের হাতে খুন হওয়ার ঘটনাও ছিল। তখন নানা কায়দায় ছিনতাই হতো। একটি কায়দা ছিল—তিন চাকার টেম্পো নিয়ে ছিনতাই। ছিনতাইকারীরা নিজেদের টেম্পোতে যাত্রী সেজে ওত পেতে থাকত। এরপর যাত্রী উঠলে তাঁদের কোনো একটি ফাঁকা জায়গায় নিয়ে সবকিছু কেড়ে নিত। সেই যাত্রীবেশী ছিনতাইকারীদের ধরতে সেদিন তিনটি বিশেষ টিম নামিয়েছিল ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ। একটি দলের প্রধান ছিলেন সার্জেন্ট আহাদ, অন্যটির দায়িত্বে ছিলেন পরিদর্শক সাহাব উদ্দিন ও সার্জেন্ট আনোয়ার। তৃতীয় দলটির দায়িত্বে ছিলেন সার্জেন্ট মেজবা।
সেই কনস্টেবল আমাকে বললেন, সার্জেন্ট আহাদ ছিলেন হোটেল পূর্বাণীর কাছে। আর সার্জেন্ট আনোয়ার ছিলেন একটু দূরে, বিমান অফিসের কাছে। বিমান অফিসের অন্য পাশে ছিলেন পরিদর্শক সাহাব উদ্দিন। আবার জনতা ব্যাংকের সামনে ছিলেন সার্জেন্ট মেজবা।
রাত সাড়ে ৮টার দিকে কয়েকজন যাত্রীবেশী ছিনতাইকারী একটি টেম্পো নিয়ে শিল্প ভবন থেকে পূর্বাণী ও বিমান অফিসের মাঝের রাস্তা দিয়ে শাপলা চত্বরে যাচ্ছিল। টেম্পোটি দেখেই তাঁদের সন্দেহ হয়। সার্জেন্ট আনোয়ার টেম্পোটিকে থামার সংকেত দেন। কিন্তু বিপদ বুঝে সেটা না থেমে বিমান অফিসের পশ্চিম পাশ দিয়ে জনতা ব্যাংক ভবনের দিকে যেতে থাকে। এরপর সার্জেন্ট আহাদ দৌড়ে সেই টেম্পোর পেছনে উঠে পড়েন। টেম্পো চলতে থাকে আর তিনি পেছনে ঝুলতে থাকেন। সার্জেন্ট মেজবা সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় লাঠি দিয়ে টেম্পোর গ্লাস ভেঙে ফেলেন। বৃহস্পতিবারের মতিঝিলে ফাঁকা রাস্তা পেয়ে বেপরোয়া গতিতে টেম্পোটি বাংলার বাণী অফিসের সামনের রাস্তায় এসে জিকজ্যাক করে চলতে থাকে। এতে পেছনে থাকা আহাদ প্রায় বেসামাল হয়ে পড়েন। এই সুযোগে এক ছিনতাইকারী তাঁকে ধাক্কা মেরে টেম্পো থেকে ফেলে দেয়। রাস্তায় পড়ে মাথায় প্রচণ্ড আঘাত পান আহাদ। ছিনতাইকারীরা অবস্থা বুঝে টেম্পো ফেলে পালিয়ে যায়।পরে সেটি জনতা পুড়িয়ে দেয়।
পিজি হাসপাতালের চিকিৎসকেরাও আহাদের ব্যাপারে কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারছিলেন না। এরপর তাঁকে নেওয়া হয় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে। রাত ১১টার দিকে সেখানেই তিনি মারা যান। আহাদের মৃত্যুর পর ডিসি মোখলেসুর রহমান আমাকে বলেছিলেন, পূর্ব তিমুর জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে যাওয়ার জন্য আহাদ মনোনীত হয়েছিলেন। সাত দিন পরই তাঁর ফ্লাইট। তখন তিনি ছুটিতেই ছিলেন। কিন্তু তার পরও কেন তিনি ডিউটিতে এলেন, তা তিনি বুঝতে পারছিলেন না।
আহাদের বন্ধু এক সার্জেন্ট আমাকে বলেছিলেন, আহাদ ছিলেন খুবই সাহসী। ছুটিতে থাকার পরও ছিনতাইকারী ধরার কথা শুনে তিনি ছুটে আসেন। সেই বন্ধু আফসোস করে বললেন, আসলে মৃত্যু তাঁকে টেনে এনেছিল।
আহাদ তখন অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচীকে বিয়ে করে ইস্কাটনে থাকতেন। তাঁদের একমাত্র মেয়ে লামিছা রিমঝিম তখন তিন বছরের। আহাদ যখন মারা যান, তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ৩৮ বছর। ১৯৮৫ সালে তিনি সার্জেন্ট পদে যোগ দিয়েছিলেন। আর জন্মেছিলেন ১৯৬৪ সালের ৪ নভেম্বর শেরপুরের নালিতাবাড়ীর আমবাগানে। তাঁর ভাই আসলাম ইকবালও পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন। আহাদ মারা যাওয়ার কয়েক বছর পর তিনিও কর্মস্থলে মারা যান।
আহাদের মৃত্যু পুলিশ বাহিনীকে বেশ নাড়া দিয়েছিল। কিছুদিন পর গুলিস্তানে একটি পুলিশ বক্স হলে নাম রাখা হয় ‘সার্জেন্ট আহাদ পুলিশ বক্স’। আউটার স্টেডিয়ামে গুলিস্তান হকার সমিতি একটি গাছ লাগিয়ে স্থাপন করে সার্জেন্ট আহাদ স্মৃতিফলক, নাট্যচক্র নামে একটি সংগঠন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নাট্যতত্ত্ব বিভাগে চালু করে সার্জেন্ট আহাদ মেধাবৃত্তি। আর তাঁর জন্মভূমি নালিতাবাড়ীতে স্থাপন করা হয় সার্জেন্ট আহাদ স্মৃতি প্রাঙ্গণ।
সবকিছু ঠিকই ছিল, কোনো কিছুতেই কোনো তাল ভঙ্গ হয়নি। এর মধ্যে সরকার বদল হয়ে গেল। চারদলীয় জোট ক্ষমতায় এসেই সবকিছু উলটপালট করে দিল। আহাদ নিহত হওয়ার পর তাঁর স্ত্রী অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচীকে একটি চাকরি দেওয়া হয়েছিল শিল্পকলা একাডেমিতে। একদিন সেই চাকরি থেকে বাদ দিয়ে তাঁকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হলো। রোকেয়া প্রাচীর চাকরি হারানো নিয়ে একটি রিপোর্ট করেছিলাম জনকণ্ঠে। সেই রিপোর্টের পর প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। গতকাল রোকেয়া প্রাচী আমাকে বললেন, তখনকার প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া সেই খবর দেখে তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি আর চাকরির জন্য যাননি।
আহাদ খুনের মামলা করেছিলেন মতিঝিল থানার এসআই মেজবা উদ্দিন খান। আর তদন্ত করে অভিযোগপত্র দিয়েছিলেন সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল কাহার আকন্দ। তিনি ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দিয়েছিলেন। কিন্তু মহানগর দায়রা জজ হোসেন শহীদ আহমেদ মাত্র ৩ জনকে সাজা দিতে পেরেছিলেন। বাকি ১০ জনকে বেকসুর খালাস দিয়ে বলেছিলেন, আহাদের পুলিশ সহকর্মীরা সেদিন তাঁদের হাতে থাকা অস্ত্র দিয়ে গুলি না ছুড়ে আহাদকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছিলেন। শুধু তা-ই নয়, সেই পুলিশ সদস্যরা আদালতে এসে বলেছেন, গ্রেপ্তার করা আসামিদেরও তাঁরা চেনেন না। রায় দেওয়ার সময় আদালত আক্ষেপ করে বলেছিলেন, এই পুলিশ সদস্যরা বাহিনীতে থাকার যোগ্য নয়, তারা বাহিনীর কলঙ্ক।
২০০৩ সালের নভেম্বরে এই মামলার রায় হয়েছিল। রোকেয়া প্রাচী সেদিন জজ আদালতের বটতলায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। পাশে ছিল রিমঝিম। সে এখন অস্ট্রেলিয়ায় স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী। রোকেয়া প্রাচী সেদিন আহাদের পছন্দ করা জামদানি পরে হাতে মেহেদি লাগিয়েছিলেন। আমি তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে দেখছিলাম, তিনি ফুঁপিয়ে কাঁদছিলেন, যেন পাহাড়সম বেদনা তাঁকে কুরে কুরে রিক্ত করেছিল। সেই কান্না হয়তো এখনো কাঁদেন রোকেয়া প্রাচী। কাল তিনি আমাকে বললেন, ‘আহাদ যে আমার জীবনের অংশ হয়ে আছে। তাকে ভুলি কী করে!’
আষাঢ়ে নয় সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

ঢাকা মহানগর পুলিশে (ডিএমপি) তখন ক্রাইম বিভাগ চারটি। পূর্ব বিভাগের ডিসি ছিলেন মোখলেসুর রহমান, যিনি পরে অতিরিক্ত আইজি হয়েছিলেন। একদিন রাত ৯টার দিকে তাঁর ফোন। বললেন, সর্বনাশ হয়ে গেছে। তাঁর কথায় হতাশার সুর। জানতে চাইলাম, কী এমন হয়েছে? তিনি বললেন, তাঁর টিমের সবচেয়ে ভালো সার্জেন্টকে একদল ছিনতাইকারী গাড়ি থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েছে। ছেলেটির মাথা থেঁতলে গেছে। কথা বলতে পারছে না, অবস্থা খুবই খারাপ। বললাম, কী নাম? তিনি খুব মৃদু স্বরে বললেন, সার্জেন্ট আহাদ।
ইয়াসিন কবীর জয় তখন উদীয়মান ফটোসাংবাদিক। তিনিও খবর পেয়েছেন। বললেন, চলো, পিওতে (প্লেস অব অকারেন্স বা ঘটনাস্থল) যাই। ইস্কাটন থেকে মতিঝিলে বলাকা ভবনের সামনে ঘটনাস্থলে পৌঁছে শুনি, আহাদকে তখনকার রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। গেলাম সেখানে, শুনি পিজি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। জয় বললেন, তাঁর ছবি লাগবে। এখানে থেকে লাভ নেই। ছবির সন্ধানে জয় ছুটলেন ইস্কাটন গার্ডেনের প্রোপার্টি হাউজিংয়ে, আহাদের বাসায়।
রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালের লোকেরা কিছু বলতে পারছিলেন না। ঘটনা সম্পর্কে যাঁরা জানেন, তাঁরা সবাই আহাদকে নিয়ে তখনকার পিজি হাসপাতালে গেছেন। আবার ফিরে এলাম মতিঝিলে। দেখি রাস্তায় এক পাশে ট্রাফিক পুলিশের কয়েকজন কনস্টেবল জড়ো হয়ে কথা বলছেন। সঙ্গে দুজন সার্জেন্ট আছেন।
তাঁদের কাছে জানতে চাইলাম, কী হয়েছে। একজন সার্জেন্ট এক কনস্টেবলকে দেখিয়ে দিয়ে বললেন, ‘তাঁর কাছে শোনেন, সে উইটনেস (প্রত্যক্ষদর্শী)।’ ওটা ছিল ১৯৯৯ সালের ২৮ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার রাত। সে সময় রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ছিনতাইকারীদের তৎপরতা অসহনীয় হয়ে উঠেছিল। প্রায় দিনই ছিনতাইয়ের খবর পাওয়া যেত। ছিনতাইকারীদের হাতে খুন হওয়ার ঘটনাও ছিল। তখন নানা কায়দায় ছিনতাই হতো। একটি কায়দা ছিল—তিন চাকার টেম্পো নিয়ে ছিনতাই। ছিনতাইকারীরা নিজেদের টেম্পোতে যাত্রী সেজে ওত পেতে থাকত। এরপর যাত্রী উঠলে তাঁদের কোনো একটি ফাঁকা জায়গায় নিয়ে সবকিছু কেড়ে নিত। সেই যাত্রীবেশী ছিনতাইকারীদের ধরতে সেদিন তিনটি বিশেষ টিম নামিয়েছিল ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ। একটি দলের প্রধান ছিলেন সার্জেন্ট আহাদ, অন্যটির দায়িত্বে ছিলেন পরিদর্শক সাহাব উদ্দিন ও সার্জেন্ট আনোয়ার। তৃতীয় দলটির দায়িত্বে ছিলেন সার্জেন্ট মেজবা।
সেই কনস্টেবল আমাকে বললেন, সার্জেন্ট আহাদ ছিলেন হোটেল পূর্বাণীর কাছে। আর সার্জেন্ট আনোয়ার ছিলেন একটু দূরে, বিমান অফিসের কাছে। বিমান অফিসের অন্য পাশে ছিলেন পরিদর্শক সাহাব উদ্দিন। আবার জনতা ব্যাংকের সামনে ছিলেন সার্জেন্ট মেজবা।
রাত সাড়ে ৮টার দিকে কয়েকজন যাত্রীবেশী ছিনতাইকারী একটি টেম্পো নিয়ে শিল্প ভবন থেকে পূর্বাণী ও বিমান অফিসের মাঝের রাস্তা দিয়ে শাপলা চত্বরে যাচ্ছিল। টেম্পোটি দেখেই তাঁদের সন্দেহ হয়। সার্জেন্ট আনোয়ার টেম্পোটিকে থামার সংকেত দেন। কিন্তু বিপদ বুঝে সেটা না থেমে বিমান অফিসের পশ্চিম পাশ দিয়ে জনতা ব্যাংক ভবনের দিকে যেতে থাকে। এরপর সার্জেন্ট আহাদ দৌড়ে সেই টেম্পোর পেছনে উঠে পড়েন। টেম্পো চলতে থাকে আর তিনি পেছনে ঝুলতে থাকেন। সার্জেন্ট মেজবা সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় লাঠি দিয়ে টেম্পোর গ্লাস ভেঙে ফেলেন। বৃহস্পতিবারের মতিঝিলে ফাঁকা রাস্তা পেয়ে বেপরোয়া গতিতে টেম্পোটি বাংলার বাণী অফিসের সামনের রাস্তায় এসে জিকজ্যাক করে চলতে থাকে। এতে পেছনে থাকা আহাদ প্রায় বেসামাল হয়ে পড়েন। এই সুযোগে এক ছিনতাইকারী তাঁকে ধাক্কা মেরে টেম্পো থেকে ফেলে দেয়। রাস্তায় পড়ে মাথায় প্রচণ্ড আঘাত পান আহাদ। ছিনতাইকারীরা অবস্থা বুঝে টেম্পো ফেলে পালিয়ে যায়।পরে সেটি জনতা পুড়িয়ে দেয়।
পিজি হাসপাতালের চিকিৎসকেরাও আহাদের ব্যাপারে কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারছিলেন না। এরপর তাঁকে নেওয়া হয় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে। রাত ১১টার দিকে সেখানেই তিনি মারা যান। আহাদের মৃত্যুর পর ডিসি মোখলেসুর রহমান আমাকে বলেছিলেন, পূর্ব তিমুর জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে যাওয়ার জন্য আহাদ মনোনীত হয়েছিলেন। সাত দিন পরই তাঁর ফ্লাইট। তখন তিনি ছুটিতেই ছিলেন। কিন্তু তার পরও কেন তিনি ডিউটিতে এলেন, তা তিনি বুঝতে পারছিলেন না।
আহাদের বন্ধু এক সার্জেন্ট আমাকে বলেছিলেন, আহাদ ছিলেন খুবই সাহসী। ছুটিতে থাকার পরও ছিনতাইকারী ধরার কথা শুনে তিনি ছুটে আসেন। সেই বন্ধু আফসোস করে বললেন, আসলে মৃত্যু তাঁকে টেনে এনেছিল।
আহাদ তখন অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচীকে বিয়ে করে ইস্কাটনে থাকতেন। তাঁদের একমাত্র মেয়ে লামিছা রিমঝিম তখন তিন বছরের। আহাদ যখন মারা যান, তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ৩৮ বছর। ১৯৮৫ সালে তিনি সার্জেন্ট পদে যোগ দিয়েছিলেন। আর জন্মেছিলেন ১৯৬৪ সালের ৪ নভেম্বর শেরপুরের নালিতাবাড়ীর আমবাগানে। তাঁর ভাই আসলাম ইকবালও পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন। আহাদ মারা যাওয়ার কয়েক বছর পর তিনিও কর্মস্থলে মারা যান।
আহাদের মৃত্যু পুলিশ বাহিনীকে বেশ নাড়া দিয়েছিল। কিছুদিন পর গুলিস্তানে একটি পুলিশ বক্স হলে নাম রাখা হয় ‘সার্জেন্ট আহাদ পুলিশ বক্স’। আউটার স্টেডিয়ামে গুলিস্তান হকার সমিতি একটি গাছ লাগিয়ে স্থাপন করে সার্জেন্ট আহাদ স্মৃতিফলক, নাট্যচক্র নামে একটি সংগঠন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নাট্যতত্ত্ব বিভাগে চালু করে সার্জেন্ট আহাদ মেধাবৃত্তি। আর তাঁর জন্মভূমি নালিতাবাড়ীতে স্থাপন করা হয় সার্জেন্ট আহাদ স্মৃতি প্রাঙ্গণ।
সবকিছু ঠিকই ছিল, কোনো কিছুতেই কোনো তাল ভঙ্গ হয়নি। এর মধ্যে সরকার বদল হয়ে গেল। চারদলীয় জোট ক্ষমতায় এসেই সবকিছু উলটপালট করে দিল। আহাদ নিহত হওয়ার পর তাঁর স্ত্রী অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচীকে একটি চাকরি দেওয়া হয়েছিল শিল্পকলা একাডেমিতে। একদিন সেই চাকরি থেকে বাদ দিয়ে তাঁকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হলো। রোকেয়া প্রাচীর চাকরি হারানো নিয়ে একটি রিপোর্ট করেছিলাম জনকণ্ঠে। সেই রিপোর্টের পর প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। গতকাল রোকেয়া প্রাচী আমাকে বললেন, তখনকার প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া সেই খবর দেখে তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি আর চাকরির জন্য যাননি।
আহাদ খুনের মামলা করেছিলেন মতিঝিল থানার এসআই মেজবা উদ্দিন খান। আর তদন্ত করে অভিযোগপত্র দিয়েছিলেন সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল কাহার আকন্দ। তিনি ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দিয়েছিলেন। কিন্তু মহানগর দায়রা জজ হোসেন শহীদ আহমেদ মাত্র ৩ জনকে সাজা দিতে পেরেছিলেন। বাকি ১০ জনকে বেকসুর খালাস দিয়ে বলেছিলেন, আহাদের পুলিশ সহকর্মীরা সেদিন তাঁদের হাতে থাকা অস্ত্র দিয়ে গুলি না ছুড়ে আহাদকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছিলেন। শুধু তা-ই নয়, সেই পুলিশ সদস্যরা আদালতে এসে বলেছেন, গ্রেপ্তার করা আসামিদেরও তাঁরা চেনেন না। রায় দেওয়ার সময় আদালত আক্ষেপ করে বলেছিলেন, এই পুলিশ সদস্যরা বাহিনীতে থাকার যোগ্য নয়, তারা বাহিনীর কলঙ্ক।
২০০৩ সালের নভেম্বরে এই মামলার রায় হয়েছিল। রোকেয়া প্রাচী সেদিন জজ আদালতের বটতলায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। পাশে ছিল রিমঝিম। সে এখন অস্ট্রেলিয়ায় স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী। রোকেয়া প্রাচী সেদিন আহাদের পছন্দ করা জামদানি পরে হাতে মেহেদি লাগিয়েছিলেন। আমি তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে দেখছিলাম, তিনি ফুঁপিয়ে কাঁদছিলেন, যেন পাহাড়সম বেদনা তাঁকে কুরে কুরে রিক্ত করেছিল। সেই কান্না হয়তো এখনো কাঁদেন রোকেয়া প্রাচী। কাল তিনি আমাকে বললেন, ‘আহাদ যে আমার জীবনের অংশ হয়ে আছে। তাকে ভুলি কী করে!’
আষাঢ়ে নয় সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
কামরুল হাসান

ঢাকা মহানগর পুলিশে (ডিএমপি) তখন ক্রাইম বিভাগ চারটি। পূর্ব বিভাগের ডিসি ছিলেন মোখলেসুর রহমান, যিনি পরে অতিরিক্ত আইজি হয়েছিলেন। একদিন রাত ৯টার দিকে তাঁর ফোন। বললেন, সর্বনাশ হয়ে গেছে। তাঁর কথায় হতাশার সুর। জানতে চাইলাম, কী এমন হয়েছে? তিনি বললেন, তাঁর টিমের সবচেয়ে ভালো সার্জেন্টকে একদল ছিনতাইকারী গাড়ি থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েছে। ছেলেটির মাথা থেঁতলে গেছে। কথা বলতে পারছে না, অবস্থা খুবই খারাপ। বললাম, কী নাম? তিনি খুব মৃদু স্বরে বললেন, সার্জেন্ট আহাদ।
ইয়াসিন কবীর জয় তখন উদীয়মান ফটোসাংবাদিক। তিনিও খবর পেয়েছেন। বললেন, চলো, পিওতে (প্লেস অব অকারেন্স বা ঘটনাস্থল) যাই। ইস্কাটন থেকে মতিঝিলে বলাকা ভবনের সামনে ঘটনাস্থলে পৌঁছে শুনি, আহাদকে তখনকার রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। গেলাম সেখানে, শুনি পিজি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। জয় বললেন, তাঁর ছবি লাগবে। এখানে থেকে লাভ নেই। ছবির সন্ধানে জয় ছুটলেন ইস্কাটন গার্ডেনের প্রোপার্টি হাউজিংয়ে, আহাদের বাসায়।
রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালের লোকেরা কিছু বলতে পারছিলেন না। ঘটনা সম্পর্কে যাঁরা জানেন, তাঁরা সবাই আহাদকে নিয়ে তখনকার পিজি হাসপাতালে গেছেন। আবার ফিরে এলাম মতিঝিলে। দেখি রাস্তায় এক পাশে ট্রাফিক পুলিশের কয়েকজন কনস্টেবল জড়ো হয়ে কথা বলছেন। সঙ্গে দুজন সার্জেন্ট আছেন।
তাঁদের কাছে জানতে চাইলাম, কী হয়েছে। একজন সার্জেন্ট এক কনস্টেবলকে দেখিয়ে দিয়ে বললেন, ‘তাঁর কাছে শোনেন, সে উইটনেস (প্রত্যক্ষদর্শী)।’ ওটা ছিল ১৯৯৯ সালের ২৮ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার রাত। সে সময় রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ছিনতাইকারীদের তৎপরতা অসহনীয় হয়ে উঠেছিল। প্রায় দিনই ছিনতাইয়ের খবর পাওয়া যেত। ছিনতাইকারীদের হাতে খুন হওয়ার ঘটনাও ছিল। তখন নানা কায়দায় ছিনতাই হতো। একটি কায়দা ছিল—তিন চাকার টেম্পো নিয়ে ছিনতাই। ছিনতাইকারীরা নিজেদের টেম্পোতে যাত্রী সেজে ওত পেতে থাকত। এরপর যাত্রী উঠলে তাঁদের কোনো একটি ফাঁকা জায়গায় নিয়ে সবকিছু কেড়ে নিত। সেই যাত্রীবেশী ছিনতাইকারীদের ধরতে সেদিন তিনটি বিশেষ টিম নামিয়েছিল ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ। একটি দলের প্রধান ছিলেন সার্জেন্ট আহাদ, অন্যটির দায়িত্বে ছিলেন পরিদর্শক সাহাব উদ্দিন ও সার্জেন্ট আনোয়ার। তৃতীয় দলটির দায়িত্বে ছিলেন সার্জেন্ট মেজবা।
সেই কনস্টেবল আমাকে বললেন, সার্জেন্ট আহাদ ছিলেন হোটেল পূর্বাণীর কাছে। আর সার্জেন্ট আনোয়ার ছিলেন একটু দূরে, বিমান অফিসের কাছে। বিমান অফিসের অন্য পাশে ছিলেন পরিদর্শক সাহাব উদ্দিন। আবার জনতা ব্যাংকের সামনে ছিলেন সার্জেন্ট মেজবা।
রাত সাড়ে ৮টার দিকে কয়েকজন যাত্রীবেশী ছিনতাইকারী একটি টেম্পো নিয়ে শিল্প ভবন থেকে পূর্বাণী ও বিমান অফিসের মাঝের রাস্তা দিয়ে শাপলা চত্বরে যাচ্ছিল। টেম্পোটি দেখেই তাঁদের সন্দেহ হয়। সার্জেন্ট আনোয়ার টেম্পোটিকে থামার সংকেত দেন। কিন্তু বিপদ বুঝে সেটা না থেমে বিমান অফিসের পশ্চিম পাশ দিয়ে জনতা ব্যাংক ভবনের দিকে যেতে থাকে। এরপর সার্জেন্ট আহাদ দৌড়ে সেই টেম্পোর পেছনে উঠে পড়েন। টেম্পো চলতে থাকে আর তিনি পেছনে ঝুলতে থাকেন। সার্জেন্ট মেজবা সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় লাঠি দিয়ে টেম্পোর গ্লাস ভেঙে ফেলেন। বৃহস্পতিবারের মতিঝিলে ফাঁকা রাস্তা পেয়ে বেপরোয়া গতিতে টেম্পোটি বাংলার বাণী অফিসের সামনের রাস্তায় এসে জিকজ্যাক করে চলতে থাকে। এতে পেছনে থাকা আহাদ প্রায় বেসামাল হয়ে পড়েন। এই সুযোগে এক ছিনতাইকারী তাঁকে ধাক্কা মেরে টেম্পো থেকে ফেলে দেয়। রাস্তায় পড়ে মাথায় প্রচণ্ড আঘাত পান আহাদ। ছিনতাইকারীরা অবস্থা বুঝে টেম্পো ফেলে পালিয়ে যায়।পরে সেটি জনতা পুড়িয়ে দেয়।
পিজি হাসপাতালের চিকিৎসকেরাও আহাদের ব্যাপারে কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারছিলেন না। এরপর তাঁকে নেওয়া হয় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে। রাত ১১টার দিকে সেখানেই তিনি মারা যান। আহাদের মৃত্যুর পর ডিসি মোখলেসুর রহমান আমাকে বলেছিলেন, পূর্ব তিমুর জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে যাওয়ার জন্য আহাদ মনোনীত হয়েছিলেন। সাত দিন পরই তাঁর ফ্লাইট। তখন তিনি ছুটিতেই ছিলেন। কিন্তু তার পরও কেন তিনি ডিউটিতে এলেন, তা তিনি বুঝতে পারছিলেন না।
আহাদের বন্ধু এক সার্জেন্ট আমাকে বলেছিলেন, আহাদ ছিলেন খুবই সাহসী। ছুটিতে থাকার পরও ছিনতাইকারী ধরার কথা শুনে তিনি ছুটে আসেন। সেই বন্ধু আফসোস করে বললেন, আসলে মৃত্যু তাঁকে টেনে এনেছিল।
আহাদ তখন অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচীকে বিয়ে করে ইস্কাটনে থাকতেন। তাঁদের একমাত্র মেয়ে লামিছা রিমঝিম তখন তিন বছরের। আহাদ যখন মারা যান, তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ৩৮ বছর। ১৯৮৫ সালে তিনি সার্জেন্ট পদে যোগ দিয়েছিলেন। আর জন্মেছিলেন ১৯৬৪ সালের ৪ নভেম্বর শেরপুরের নালিতাবাড়ীর আমবাগানে। তাঁর ভাই আসলাম ইকবালও পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন। আহাদ মারা যাওয়ার কয়েক বছর পর তিনিও কর্মস্থলে মারা যান।
আহাদের মৃত্যু পুলিশ বাহিনীকে বেশ নাড়া দিয়েছিল। কিছুদিন পর গুলিস্তানে একটি পুলিশ বক্স হলে নাম রাখা হয় ‘সার্জেন্ট আহাদ পুলিশ বক্স’। আউটার স্টেডিয়ামে গুলিস্তান হকার সমিতি একটি গাছ লাগিয়ে স্থাপন করে সার্জেন্ট আহাদ স্মৃতিফলক, নাট্যচক্র নামে একটি সংগঠন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নাট্যতত্ত্ব বিভাগে চালু করে সার্জেন্ট আহাদ মেধাবৃত্তি। আর তাঁর জন্মভূমি নালিতাবাড়ীতে স্থাপন করা হয় সার্জেন্ট আহাদ স্মৃতি প্রাঙ্গণ।
সবকিছু ঠিকই ছিল, কোনো কিছুতেই কোনো তাল ভঙ্গ হয়নি। এর মধ্যে সরকার বদল হয়ে গেল। চারদলীয় জোট ক্ষমতায় এসেই সবকিছু উলটপালট করে দিল। আহাদ নিহত হওয়ার পর তাঁর স্ত্রী অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচীকে একটি চাকরি দেওয়া হয়েছিল শিল্পকলা একাডেমিতে। একদিন সেই চাকরি থেকে বাদ দিয়ে তাঁকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হলো। রোকেয়া প্রাচীর চাকরি হারানো নিয়ে একটি রিপোর্ট করেছিলাম জনকণ্ঠে। সেই রিপোর্টের পর প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। গতকাল রোকেয়া প্রাচী আমাকে বললেন, তখনকার প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া সেই খবর দেখে তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি আর চাকরির জন্য যাননি।
আহাদ খুনের মামলা করেছিলেন মতিঝিল থানার এসআই মেজবা উদ্দিন খান। আর তদন্ত করে অভিযোগপত্র দিয়েছিলেন সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল কাহার আকন্দ। তিনি ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দিয়েছিলেন। কিন্তু মহানগর দায়রা জজ হোসেন শহীদ আহমেদ মাত্র ৩ জনকে সাজা দিতে পেরেছিলেন। বাকি ১০ জনকে বেকসুর খালাস দিয়ে বলেছিলেন, আহাদের পুলিশ সহকর্মীরা সেদিন তাঁদের হাতে থাকা অস্ত্র দিয়ে গুলি না ছুড়ে আহাদকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছিলেন। শুধু তা-ই নয়, সেই পুলিশ সদস্যরা আদালতে এসে বলেছেন, গ্রেপ্তার করা আসামিদেরও তাঁরা চেনেন না। রায় দেওয়ার সময় আদালত আক্ষেপ করে বলেছিলেন, এই পুলিশ সদস্যরা বাহিনীতে থাকার যোগ্য নয়, তারা বাহিনীর কলঙ্ক।
২০০৩ সালের নভেম্বরে এই মামলার রায় হয়েছিল। রোকেয়া প্রাচী সেদিন জজ আদালতের বটতলায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। পাশে ছিল রিমঝিম। সে এখন অস্ট্রেলিয়ায় স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী। রোকেয়া প্রাচী সেদিন আহাদের পছন্দ করা জামদানি পরে হাতে মেহেদি লাগিয়েছিলেন। আমি তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে দেখছিলাম, তিনি ফুঁপিয়ে কাঁদছিলেন, যেন পাহাড়সম বেদনা তাঁকে কুরে কুরে রিক্ত করেছিল। সেই কান্না হয়তো এখনো কাঁদেন রোকেয়া প্রাচী। কাল তিনি আমাকে বললেন, ‘আহাদ যে আমার জীবনের অংশ হয়ে আছে। তাকে ভুলি কী করে!’
আষাঢ়ে নয় সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

ঢাকা মহানগর পুলিশে (ডিএমপি) তখন ক্রাইম বিভাগ চারটি। পূর্ব বিভাগের ডিসি ছিলেন মোখলেসুর রহমান, যিনি পরে অতিরিক্ত আইজি হয়েছিলেন। একদিন রাত ৯টার দিকে তাঁর ফোন। বললেন, সর্বনাশ হয়ে গেছে। তাঁর কথায় হতাশার সুর। জানতে চাইলাম, কী এমন হয়েছে? তিনি বললেন, তাঁর টিমের সবচেয়ে ভালো সার্জেন্টকে একদল ছিনতাইকারী গাড়ি থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েছে। ছেলেটির মাথা থেঁতলে গেছে। কথা বলতে পারছে না, অবস্থা খুবই খারাপ। বললাম, কী নাম? তিনি খুব মৃদু স্বরে বললেন, সার্জেন্ট আহাদ।
ইয়াসিন কবীর জয় তখন উদীয়মান ফটোসাংবাদিক। তিনিও খবর পেয়েছেন। বললেন, চলো, পিওতে (প্লেস অব অকারেন্স বা ঘটনাস্থল) যাই। ইস্কাটন থেকে মতিঝিলে বলাকা ভবনের সামনে ঘটনাস্থলে পৌঁছে শুনি, আহাদকে তখনকার রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। গেলাম সেখানে, শুনি পিজি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। জয় বললেন, তাঁর ছবি লাগবে। এখানে থেকে লাভ নেই। ছবির সন্ধানে জয় ছুটলেন ইস্কাটন গার্ডেনের প্রোপার্টি হাউজিংয়ে, আহাদের বাসায়।
রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালের লোকেরা কিছু বলতে পারছিলেন না। ঘটনা সম্পর্কে যাঁরা জানেন, তাঁরা সবাই আহাদকে নিয়ে তখনকার পিজি হাসপাতালে গেছেন। আবার ফিরে এলাম মতিঝিলে। দেখি রাস্তায় এক পাশে ট্রাফিক পুলিশের কয়েকজন কনস্টেবল জড়ো হয়ে কথা বলছেন। সঙ্গে দুজন সার্জেন্ট আছেন।
তাঁদের কাছে জানতে চাইলাম, কী হয়েছে। একজন সার্জেন্ট এক কনস্টেবলকে দেখিয়ে দিয়ে বললেন, ‘তাঁর কাছে শোনেন, সে উইটনেস (প্রত্যক্ষদর্শী)।’ ওটা ছিল ১৯৯৯ সালের ২৮ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার রাত। সে সময় রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ছিনতাইকারীদের তৎপরতা অসহনীয় হয়ে উঠেছিল। প্রায় দিনই ছিনতাইয়ের খবর পাওয়া যেত। ছিনতাইকারীদের হাতে খুন হওয়ার ঘটনাও ছিল। তখন নানা কায়দায় ছিনতাই হতো। একটি কায়দা ছিল—তিন চাকার টেম্পো নিয়ে ছিনতাই। ছিনতাইকারীরা নিজেদের টেম্পোতে যাত্রী সেজে ওত পেতে থাকত। এরপর যাত্রী উঠলে তাঁদের কোনো একটি ফাঁকা জায়গায় নিয়ে সবকিছু কেড়ে নিত। সেই যাত্রীবেশী ছিনতাইকারীদের ধরতে সেদিন তিনটি বিশেষ টিম নামিয়েছিল ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ। একটি দলের প্রধান ছিলেন সার্জেন্ট আহাদ, অন্যটির দায়িত্বে ছিলেন পরিদর্শক সাহাব উদ্দিন ও সার্জেন্ট আনোয়ার। তৃতীয় দলটির দায়িত্বে ছিলেন সার্জেন্ট মেজবা।
সেই কনস্টেবল আমাকে বললেন, সার্জেন্ট আহাদ ছিলেন হোটেল পূর্বাণীর কাছে। আর সার্জেন্ট আনোয়ার ছিলেন একটু দূরে, বিমান অফিসের কাছে। বিমান অফিসের অন্য পাশে ছিলেন পরিদর্শক সাহাব উদ্দিন। আবার জনতা ব্যাংকের সামনে ছিলেন সার্জেন্ট মেজবা।
রাত সাড়ে ৮টার দিকে কয়েকজন যাত্রীবেশী ছিনতাইকারী একটি টেম্পো নিয়ে শিল্প ভবন থেকে পূর্বাণী ও বিমান অফিসের মাঝের রাস্তা দিয়ে শাপলা চত্বরে যাচ্ছিল। টেম্পোটি দেখেই তাঁদের সন্দেহ হয়। সার্জেন্ট আনোয়ার টেম্পোটিকে থামার সংকেত দেন। কিন্তু বিপদ বুঝে সেটা না থেমে বিমান অফিসের পশ্চিম পাশ দিয়ে জনতা ব্যাংক ভবনের দিকে যেতে থাকে। এরপর সার্জেন্ট আহাদ দৌড়ে সেই টেম্পোর পেছনে উঠে পড়েন। টেম্পো চলতে থাকে আর তিনি পেছনে ঝুলতে থাকেন। সার্জেন্ট মেজবা সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় লাঠি দিয়ে টেম্পোর গ্লাস ভেঙে ফেলেন। বৃহস্পতিবারের মতিঝিলে ফাঁকা রাস্তা পেয়ে বেপরোয়া গতিতে টেম্পোটি বাংলার বাণী অফিসের সামনের রাস্তায় এসে জিকজ্যাক করে চলতে থাকে। এতে পেছনে থাকা আহাদ প্রায় বেসামাল হয়ে পড়েন। এই সুযোগে এক ছিনতাইকারী তাঁকে ধাক্কা মেরে টেম্পো থেকে ফেলে দেয়। রাস্তায় পড়ে মাথায় প্রচণ্ড আঘাত পান আহাদ। ছিনতাইকারীরা অবস্থা বুঝে টেম্পো ফেলে পালিয়ে যায়।পরে সেটি জনতা পুড়িয়ে দেয়।
পিজি হাসপাতালের চিকিৎসকেরাও আহাদের ব্যাপারে কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারছিলেন না। এরপর তাঁকে নেওয়া হয় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে। রাত ১১টার দিকে সেখানেই তিনি মারা যান। আহাদের মৃত্যুর পর ডিসি মোখলেসুর রহমান আমাকে বলেছিলেন, পূর্ব তিমুর জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে যাওয়ার জন্য আহাদ মনোনীত হয়েছিলেন। সাত দিন পরই তাঁর ফ্লাইট। তখন তিনি ছুটিতেই ছিলেন। কিন্তু তার পরও কেন তিনি ডিউটিতে এলেন, তা তিনি বুঝতে পারছিলেন না।
আহাদের বন্ধু এক সার্জেন্ট আমাকে বলেছিলেন, আহাদ ছিলেন খুবই সাহসী। ছুটিতে থাকার পরও ছিনতাইকারী ধরার কথা শুনে তিনি ছুটে আসেন। সেই বন্ধু আফসোস করে বললেন, আসলে মৃত্যু তাঁকে টেনে এনেছিল।
আহাদ তখন অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচীকে বিয়ে করে ইস্কাটনে থাকতেন। তাঁদের একমাত্র মেয়ে লামিছা রিমঝিম তখন তিন বছরের। আহাদ যখন মারা যান, তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ৩৮ বছর। ১৯৮৫ সালে তিনি সার্জেন্ট পদে যোগ দিয়েছিলেন। আর জন্মেছিলেন ১৯৬৪ সালের ৪ নভেম্বর শেরপুরের নালিতাবাড়ীর আমবাগানে। তাঁর ভাই আসলাম ইকবালও পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন। আহাদ মারা যাওয়ার কয়েক বছর পর তিনিও কর্মস্থলে মারা যান।
আহাদের মৃত্যু পুলিশ বাহিনীকে বেশ নাড়া দিয়েছিল। কিছুদিন পর গুলিস্তানে একটি পুলিশ বক্স হলে নাম রাখা হয় ‘সার্জেন্ট আহাদ পুলিশ বক্স’। আউটার স্টেডিয়ামে গুলিস্তান হকার সমিতি একটি গাছ লাগিয়ে স্থাপন করে সার্জেন্ট আহাদ স্মৃতিফলক, নাট্যচক্র নামে একটি সংগঠন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নাট্যতত্ত্ব বিভাগে চালু করে সার্জেন্ট আহাদ মেধাবৃত্তি। আর তাঁর জন্মভূমি নালিতাবাড়ীতে স্থাপন করা হয় সার্জেন্ট আহাদ স্মৃতি প্রাঙ্গণ।
সবকিছু ঠিকই ছিল, কোনো কিছুতেই কোনো তাল ভঙ্গ হয়নি। এর মধ্যে সরকার বদল হয়ে গেল। চারদলীয় জোট ক্ষমতায় এসেই সবকিছু উলটপালট করে দিল। আহাদ নিহত হওয়ার পর তাঁর স্ত্রী অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচীকে একটি চাকরি দেওয়া হয়েছিল শিল্পকলা একাডেমিতে। একদিন সেই চাকরি থেকে বাদ দিয়ে তাঁকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হলো। রোকেয়া প্রাচীর চাকরি হারানো নিয়ে একটি রিপোর্ট করেছিলাম জনকণ্ঠে। সেই রিপোর্টের পর প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। গতকাল রোকেয়া প্রাচী আমাকে বললেন, তখনকার প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া সেই খবর দেখে তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি আর চাকরির জন্য যাননি।
আহাদ খুনের মামলা করেছিলেন মতিঝিল থানার এসআই মেজবা উদ্দিন খান। আর তদন্ত করে অভিযোগপত্র দিয়েছিলেন সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল কাহার আকন্দ। তিনি ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দিয়েছিলেন। কিন্তু মহানগর দায়রা জজ হোসেন শহীদ আহমেদ মাত্র ৩ জনকে সাজা দিতে পেরেছিলেন। বাকি ১০ জনকে বেকসুর খালাস দিয়ে বলেছিলেন, আহাদের পুলিশ সহকর্মীরা সেদিন তাঁদের হাতে থাকা অস্ত্র দিয়ে গুলি না ছুড়ে আহাদকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছিলেন। শুধু তা-ই নয়, সেই পুলিশ সদস্যরা আদালতে এসে বলেছেন, গ্রেপ্তার করা আসামিদেরও তাঁরা চেনেন না। রায় দেওয়ার সময় আদালত আক্ষেপ করে বলেছিলেন, এই পুলিশ সদস্যরা বাহিনীতে থাকার যোগ্য নয়, তারা বাহিনীর কলঙ্ক।
২০০৩ সালের নভেম্বরে এই মামলার রায় হয়েছিল। রোকেয়া প্রাচী সেদিন জজ আদালতের বটতলায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। পাশে ছিল রিমঝিম। সে এখন অস্ট্রেলিয়ায় স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী। রোকেয়া প্রাচী সেদিন আহাদের পছন্দ করা জামদানি পরে হাতে মেহেদি লাগিয়েছিলেন। আমি তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে দেখছিলাম, তিনি ফুঁপিয়ে কাঁদছিলেন, যেন পাহাড়সম বেদনা তাঁকে কুরে কুরে রিক্ত করেছিল। সেই কান্না হয়তো এখনো কাঁদেন রোকেয়া প্রাচী। কাল তিনি আমাকে বললেন, ‘আহাদ যে আমার জীবনের অংশ হয়ে আছে। তাকে ভুলি কী করে!’
আষাঢ়ে নয় সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৫ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৫ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৫ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

ঢাকা মহানগর পুলিশে (ডিএমপি) তখন ক্রাইম বিভাগ চারটি। পূর্ব বিভাগের ডিসি ছিলেন মোখলেসুর রহমান, যিনি পরে অতিরিক্ত আইজি হয়েছিলেন। একদিন রাত ৯টার দিকে তাঁর ফোন। বললেন, সর্বনাশ হয়ে গেছে। তাঁর কথায় হতাশার সুর। জানতে চাইলাম, কী এমন হয়েছে?
০৮ জুলাই ২০২৩
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৫ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৫ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৫ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশে (ডিএমপি) তখন ক্রাইম বিভাগ চারটি। পূর্ব বিভাগের ডিসি ছিলেন মোখলেসুর রহমান, যিনি পরে অতিরিক্ত আইজি হয়েছিলেন। একদিন রাত ৯টার দিকে তাঁর ফোন। বললেন, সর্বনাশ হয়ে গেছে। তাঁর কথায় হতাশার সুর। জানতে চাইলাম, কী এমন হয়েছে?
০৮ জুলাই ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৫ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৫ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

ঢাকা মহানগর পুলিশে (ডিএমপি) তখন ক্রাইম বিভাগ চারটি। পূর্ব বিভাগের ডিসি ছিলেন মোখলেসুর রহমান, যিনি পরে অতিরিক্ত আইজি হয়েছিলেন। একদিন রাত ৯টার দিকে তাঁর ফোন। বললেন, সর্বনাশ হয়ে গেছে। তাঁর কথায় হতাশার সুর। জানতে চাইলাম, কী এমন হয়েছে?
০৮ জুলাই ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৫ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৫ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশে (ডিএমপি) তখন ক্রাইম বিভাগ চারটি। পূর্ব বিভাগের ডিসি ছিলেন মোখলেসুর রহমান, যিনি পরে অতিরিক্ত আইজি হয়েছিলেন। একদিন রাত ৯টার দিকে তাঁর ফোন। বললেন, সর্বনাশ হয়ে গেছে। তাঁর কথায় হতাশার সুর। জানতে চাইলাম, কী এমন হয়েছে?
০৮ জুলাই ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৫ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৫ দিন আগে