কামরুল হাসান

ফোন আর বাজে না। এপার থেকে বারবার চেষ্টার পর শোনা যায়—‘দুঃখিত, এই মুহূর্তে মোবাইল সংযোগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।’ মিষ্টি, অথচ একঘেয়ে স্বরটিকে যারপরনাই নিষ্ঠুর মনে হতে থাকে সুমির। কিন্তু তাঁর প্রতীক্ষা আর শেষ হয় না। যে নম্বরে তিনি ফোন করছিলেন, সেটি সুমির এক প্রিয়জনের, তা-ও অনুরোধের। বিমানবন্দরে আটকা পড়ার পর শুধু একবার তিনি ওই নম্বরে কথা বলতে পেরেছিলেন। এরপর থেকে নম্বরটি বন্ধ। কিন্তু সেসব মানতে নারাজ মেয়েটি। আমার কাছে তাঁর কাতর প্রার্থনা, ‘স্যার, আরেকবার দেখেন।’
২০০৬ সালের ১৭ নভেম্বর সকালে খবর এল, তখনকার জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিদেশগামী ৩১ নারীকে আটক করে তাঁদের যাত্রা স্থগিত করা হয়েছে। জাল কাগজপত্রে তাঁদের পাচার করা হচ্ছিল। বাংলাদেশ থেকে তখনো বৈধভাবে নারী কর্মী পাঠানো শুরু হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই ওটা ছিল গরম খবর। সে কারণে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলাম বিমানবন্দরে। গিয়ে দেখি, ৩১ জন নারীকে ইমিগ্রেশন পুলিশ বিমানবন্দরের একটি জায়গায় জড়ো করে রেখেছে। পুলিশ মনে করছিল, এটা বড় ঘটনা, আর তার কভারেজও বেশি দরকার। সাংবাদিকেরা যেন এসে সহজে কথা বলতে পারেন, সে কারণে তাঁদের এভাবে জড়ো করে রাখা হয়েছিল।
বিমানবন্দরের ভেতরে ঢুকে প্রথমেই পেলাম সুমি আক্তারকে। তাঁর বাড়ি চুয়াডাঙ্গায়। সুমির কথায় কোনো রাখঢাক নেই। বললেন, তাঁরা ৩১ জন লেবাননে যাচ্ছিলেন। আমি একে একে সবার সঙ্গে কথা বলছি আর নোট করছি। যাঁর সঙ্গে কথা বলতে যাই, তিনিই অনুরোধ করেন তাঁর প্রিয়জনকে ফোন করার জন্য। কয়েকজনের জন্য চেষ্টাও করলাম, কিন্তু বেশির ভাগের ফোন বন্ধ। কেউ কেউ ফোনই ধরলেন না। কয়েকজনকে সান্ত্বনা দিয়ে বললাম, হয়তো মোবাইলের চার্জ ফুরিয়ে গেছে। কাউকে বললাম, অপেক্ষা করেন, হয়তো ফোন বাজবে। কিন্তু কারও ফোন আর বাজেনি।
বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন পুলিশের এক কর্মকর্তা বললেন, তাঁরা আসলে সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের হাতে প্রতারিত হয়েছেন। তাঁরা বিদেশে যেতে না পারলেও চক্রের লোকেরা লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। বাসাবাড়িতে কাজের কথা বলে সহজ-সরল এসব নারীকে পাচার করা হচ্ছিল। পাসপোর্ট-ভিসা ঠিক থাকলেও মন্ত্রণালয়ের বৈধ ছাড়পত্র ছিল না। তবে ছাড়পত্রের মতো একটি জাল কাগজ তাঁদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
দিনটি ছিল শুক্রবার, গালফ এয়ারের মধ্যপ্রাচ্যগামী ফ্লাইটের সময় সকাল ৬টা ১০ মিনিটে। সেই ফ্লাইটে যাওয়ার জন্য ৩১ নারী বিমানবন্দরে যান। ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা তাঁদের কাগজপত্র পরীক্ষা করে দেখেন, সবার কাগজ প্রায় একই ধরনের। এমনকি সিল-স্বাক্ষরেও মিল। পরে তাঁরা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পারেন, সবই ভুয়া।
আমরা বিমানবন্দরে পৌঁছার আগেই তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। সবাই জানান, তাঁরা ভিন্ন ভিন্ন দালালের মাধ্যমে ভিসা সংগ্রহ করেন। তবে দালাল ছাড়া আর কারও নাম কেউ বলতে পারেননি। ট্রাভেল এজেন্ট বা রিক্রুটিং এজেন্সির নামও তাঁরা শোনেননি।
আমি জানু খানম নামের এক নারীর সঙ্গে কথা বলি। তিনি বললেন, ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানায় তাঁর বাড়ি। দুই সন্তানের মা জানু ঈদের আগে ফিরোজ নামের এক দালালের হাতে ৭০ হাজার টাকা তুলে দিয়েছিলেন। মাসে প্রতি হাজারে ৪০০ টাকা সুদে সেই টাকা সংগ্রহ করেন। দালাল তাঁকে লোভ দেখিয়েছিলেন, লেবাননে গেলেই ভালো বাড়িতে ভালো কাজ পাওয়া যাবে এবং মাসে অনেক টাকা আয় হবে।
নারায়ণগঞ্জের সেলিনা আমাকে বলেছিলেন, দালাল মোজাফফরের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে তিনি ওই কাজ জোগাড় করেছিলেন। ৫০ হাজার টাকা সংগ্রহ করলেন কীভাবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হালের দুটি গরু বেচে তিনি সেই টাকা জোগাড় করেন। ওই দলে ছিলেন কুমিল্লার হোমনার রাহেলা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হাসিনা। সবাই প্রায় একই কথা বলেছিলেন।
সেখানে ঘণ্টা দুয়েক ছিলাম। এরপর জানতে পারি, ৩১ নারীকে দিনভর বিমানবন্দরে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। পরে সবার কাছ থেকে দালালের নাম সংগ্রহ করে ৩৬ জনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়। সেই মামলায় জনশক্তি ও কর্মসংস্থান ব্যুরোর চারজন এবং বিমানের এক কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। মামলা তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছিলেন পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক শাহাদত হোসেন।
দুদিন পরে শাহাদত হোসেন আমাকে বলেছিলেন, চাকরি করতে যাঁরা বিদেশ যান, তাঁদের ছাড়পত্রসহ অন্য কাগজপত্র পরীক্ষার জন্য বিমানবন্দরে জনশক্তি ও কর্মসংস্থান ব্যুরোর একটি ডেস্ক আছে। গ্রেপ্তার করা চারজন সেই ডেস্কের কর্মচারী। তাঁরা ভুয়া ছাড়পত্র দেখার পরও নারীদের যাওয়ার অনুমতি দেন। তাঁর সন্দেহ, আগে থেকেই দালাল চক্রের সঙ্গে তাঁরা চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল, যে কারণে কোনো বাধা ছাড়াই তাঁরা ইমিগ্রেশন পর্যন্ত চলে যান।
কয়েক দিন পরে ফলোআপ করতে গিয়ে শুনলাম, ৩১ নারীকে জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। অফিসের তাড়া ছিল সেই ঘটনার ফলোআপ করার জন্য। গেলাম মহিলা আইনজীবী সমিতির কাছে। এক কর্মকর্তা আমাকে নিয়ে গেলেন নারীদের যেখানে রাখা হয়েছে, সেই আশ্রয়কেন্দ্রে। সেখানে গিয়ে তাঁদের কাছে জানতে চাইলাম, ‘বাড়ি যাবেন না?’ আমার ধারণা ছিল, সবাই বাড়ি যেতে চাইবেন। কিন্তু সবাই আমার সঙ্গে অদ্ভুত আচরণ করলেন। বললেন, কেউই বাড়ি যেতে চান না। আমি অবাক হয়ে জানতে চাইলাম, ‘কেন যাবেন না?’ একজন বললেন, ‘বাড়ি গেলে সুদের টাকা চাইতে লোক আসবে। তখন কী হবে! তার চেয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে থাকি, সেটাই ভালো।’
সবার কথা শুনে আর থাকতে ইচ্ছা হলো না। সেখান থেকে বেরিয়ে এলাম। মনে হলো, সত্যিই তো, সব হারানো নারীরা ফিরে গিয়েই-বা কী করবেন!
এরপর হয়তো আরও হাজারো, লাখো নারী জীবিকার প্রয়োজনে বিদেশ গেছেন। হয়তো বেশির ভাগই গেছেন অবৈধ পন্থায় ‘আদম’ হয়ে। কিন্তু বিদেশে যাওয়ার পর পরিবারের জন্য তাঁরা ডলার পাঠাচ্ছেন, সেটাই যুক্ত হচ্ছে জাতীয় উন্নয়নে। কাঁড়ি কাঁড়ি ডলারে ফুলে-ফেঁপে উঠছে রাষ্ট্রীয় কোষাগার।
ইদানীং ঝর্না নামের এক সৌদিপ্রবাসী নারীর ইউটিউব ভ্লগে দেখি, ঝর্না ১৭ বছর ধরে সৌদি আরবে আছেন গৃহকর্মী হয়ে। প্রতিদিন ভ্লগে তিনি বিভিন্ন কষ্টের কথা বলেন আর কাঁদেন। মনে হয় ঝর্নার প্রতি ফোঁটা অশ্রুর নামই রেমিট্যান্স।
আষাঢ়ে নয় সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

ফোন আর বাজে না। এপার থেকে বারবার চেষ্টার পর শোনা যায়—‘দুঃখিত, এই মুহূর্তে মোবাইল সংযোগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।’ মিষ্টি, অথচ একঘেয়ে স্বরটিকে যারপরনাই নিষ্ঠুর মনে হতে থাকে সুমির। কিন্তু তাঁর প্রতীক্ষা আর শেষ হয় না। যে নম্বরে তিনি ফোন করছিলেন, সেটি সুমির এক প্রিয়জনের, তা-ও অনুরোধের। বিমানবন্দরে আটকা পড়ার পর শুধু একবার তিনি ওই নম্বরে কথা বলতে পেরেছিলেন। এরপর থেকে নম্বরটি বন্ধ। কিন্তু সেসব মানতে নারাজ মেয়েটি। আমার কাছে তাঁর কাতর প্রার্থনা, ‘স্যার, আরেকবার দেখেন।’
২০০৬ সালের ১৭ নভেম্বর সকালে খবর এল, তখনকার জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিদেশগামী ৩১ নারীকে আটক করে তাঁদের যাত্রা স্থগিত করা হয়েছে। জাল কাগজপত্রে তাঁদের পাচার করা হচ্ছিল। বাংলাদেশ থেকে তখনো বৈধভাবে নারী কর্মী পাঠানো শুরু হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই ওটা ছিল গরম খবর। সে কারণে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলাম বিমানবন্দরে। গিয়ে দেখি, ৩১ জন নারীকে ইমিগ্রেশন পুলিশ বিমানবন্দরের একটি জায়গায় জড়ো করে রেখেছে। পুলিশ মনে করছিল, এটা বড় ঘটনা, আর তার কভারেজও বেশি দরকার। সাংবাদিকেরা যেন এসে সহজে কথা বলতে পারেন, সে কারণে তাঁদের এভাবে জড়ো করে রাখা হয়েছিল।
বিমানবন্দরের ভেতরে ঢুকে প্রথমেই পেলাম সুমি আক্তারকে। তাঁর বাড়ি চুয়াডাঙ্গায়। সুমির কথায় কোনো রাখঢাক নেই। বললেন, তাঁরা ৩১ জন লেবাননে যাচ্ছিলেন। আমি একে একে সবার সঙ্গে কথা বলছি আর নোট করছি। যাঁর সঙ্গে কথা বলতে যাই, তিনিই অনুরোধ করেন তাঁর প্রিয়জনকে ফোন করার জন্য। কয়েকজনের জন্য চেষ্টাও করলাম, কিন্তু বেশির ভাগের ফোন বন্ধ। কেউ কেউ ফোনই ধরলেন না। কয়েকজনকে সান্ত্বনা দিয়ে বললাম, হয়তো মোবাইলের চার্জ ফুরিয়ে গেছে। কাউকে বললাম, অপেক্ষা করেন, হয়তো ফোন বাজবে। কিন্তু কারও ফোন আর বাজেনি।
বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন পুলিশের এক কর্মকর্তা বললেন, তাঁরা আসলে সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের হাতে প্রতারিত হয়েছেন। তাঁরা বিদেশে যেতে না পারলেও চক্রের লোকেরা লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। বাসাবাড়িতে কাজের কথা বলে সহজ-সরল এসব নারীকে পাচার করা হচ্ছিল। পাসপোর্ট-ভিসা ঠিক থাকলেও মন্ত্রণালয়ের বৈধ ছাড়পত্র ছিল না। তবে ছাড়পত্রের মতো একটি জাল কাগজ তাঁদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
দিনটি ছিল শুক্রবার, গালফ এয়ারের মধ্যপ্রাচ্যগামী ফ্লাইটের সময় সকাল ৬টা ১০ মিনিটে। সেই ফ্লাইটে যাওয়ার জন্য ৩১ নারী বিমানবন্দরে যান। ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা তাঁদের কাগজপত্র পরীক্ষা করে দেখেন, সবার কাগজ প্রায় একই ধরনের। এমনকি সিল-স্বাক্ষরেও মিল। পরে তাঁরা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পারেন, সবই ভুয়া।
আমরা বিমানবন্দরে পৌঁছার আগেই তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। সবাই জানান, তাঁরা ভিন্ন ভিন্ন দালালের মাধ্যমে ভিসা সংগ্রহ করেন। তবে দালাল ছাড়া আর কারও নাম কেউ বলতে পারেননি। ট্রাভেল এজেন্ট বা রিক্রুটিং এজেন্সির নামও তাঁরা শোনেননি।
আমি জানু খানম নামের এক নারীর সঙ্গে কথা বলি। তিনি বললেন, ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানায় তাঁর বাড়ি। দুই সন্তানের মা জানু ঈদের আগে ফিরোজ নামের এক দালালের হাতে ৭০ হাজার টাকা তুলে দিয়েছিলেন। মাসে প্রতি হাজারে ৪০০ টাকা সুদে সেই টাকা সংগ্রহ করেন। দালাল তাঁকে লোভ দেখিয়েছিলেন, লেবাননে গেলেই ভালো বাড়িতে ভালো কাজ পাওয়া যাবে এবং মাসে অনেক টাকা আয় হবে।
নারায়ণগঞ্জের সেলিনা আমাকে বলেছিলেন, দালাল মোজাফফরের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে তিনি ওই কাজ জোগাড় করেছিলেন। ৫০ হাজার টাকা সংগ্রহ করলেন কীভাবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হালের দুটি গরু বেচে তিনি সেই টাকা জোগাড় করেন। ওই দলে ছিলেন কুমিল্লার হোমনার রাহেলা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হাসিনা। সবাই প্রায় একই কথা বলেছিলেন।
সেখানে ঘণ্টা দুয়েক ছিলাম। এরপর জানতে পারি, ৩১ নারীকে দিনভর বিমানবন্দরে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। পরে সবার কাছ থেকে দালালের নাম সংগ্রহ করে ৩৬ জনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়। সেই মামলায় জনশক্তি ও কর্মসংস্থান ব্যুরোর চারজন এবং বিমানের এক কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। মামলা তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছিলেন পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক শাহাদত হোসেন।
দুদিন পরে শাহাদত হোসেন আমাকে বলেছিলেন, চাকরি করতে যাঁরা বিদেশ যান, তাঁদের ছাড়পত্রসহ অন্য কাগজপত্র পরীক্ষার জন্য বিমানবন্দরে জনশক্তি ও কর্মসংস্থান ব্যুরোর একটি ডেস্ক আছে। গ্রেপ্তার করা চারজন সেই ডেস্কের কর্মচারী। তাঁরা ভুয়া ছাড়পত্র দেখার পরও নারীদের যাওয়ার অনুমতি দেন। তাঁর সন্দেহ, আগে থেকেই দালাল চক্রের সঙ্গে তাঁরা চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল, যে কারণে কোনো বাধা ছাড়াই তাঁরা ইমিগ্রেশন পর্যন্ত চলে যান।
কয়েক দিন পরে ফলোআপ করতে গিয়ে শুনলাম, ৩১ নারীকে জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। অফিসের তাড়া ছিল সেই ঘটনার ফলোআপ করার জন্য। গেলাম মহিলা আইনজীবী সমিতির কাছে। এক কর্মকর্তা আমাকে নিয়ে গেলেন নারীদের যেখানে রাখা হয়েছে, সেই আশ্রয়কেন্দ্রে। সেখানে গিয়ে তাঁদের কাছে জানতে চাইলাম, ‘বাড়ি যাবেন না?’ আমার ধারণা ছিল, সবাই বাড়ি যেতে চাইবেন। কিন্তু সবাই আমার সঙ্গে অদ্ভুত আচরণ করলেন। বললেন, কেউই বাড়ি যেতে চান না। আমি অবাক হয়ে জানতে চাইলাম, ‘কেন যাবেন না?’ একজন বললেন, ‘বাড়ি গেলে সুদের টাকা চাইতে লোক আসবে। তখন কী হবে! তার চেয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে থাকি, সেটাই ভালো।’
সবার কথা শুনে আর থাকতে ইচ্ছা হলো না। সেখান থেকে বেরিয়ে এলাম। মনে হলো, সত্যিই তো, সব হারানো নারীরা ফিরে গিয়েই-বা কী করবেন!
এরপর হয়তো আরও হাজারো, লাখো নারী জীবিকার প্রয়োজনে বিদেশ গেছেন। হয়তো বেশির ভাগই গেছেন অবৈধ পন্থায় ‘আদম’ হয়ে। কিন্তু বিদেশে যাওয়ার পর পরিবারের জন্য তাঁরা ডলার পাঠাচ্ছেন, সেটাই যুক্ত হচ্ছে জাতীয় উন্নয়নে। কাঁড়ি কাঁড়ি ডলারে ফুলে-ফেঁপে উঠছে রাষ্ট্রীয় কোষাগার।
ইদানীং ঝর্না নামের এক সৌদিপ্রবাসী নারীর ইউটিউব ভ্লগে দেখি, ঝর্না ১৭ বছর ধরে সৌদি আরবে আছেন গৃহকর্মী হয়ে। প্রতিদিন ভ্লগে তিনি বিভিন্ন কষ্টের কথা বলেন আর কাঁদেন। মনে হয় ঝর্নার প্রতি ফোঁটা অশ্রুর নামই রেমিট্যান্স।
আষাঢ়ে নয় সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
কামরুল হাসান

ফোন আর বাজে না। এপার থেকে বারবার চেষ্টার পর শোনা যায়—‘দুঃখিত, এই মুহূর্তে মোবাইল সংযোগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।’ মিষ্টি, অথচ একঘেয়ে স্বরটিকে যারপরনাই নিষ্ঠুর মনে হতে থাকে সুমির। কিন্তু তাঁর প্রতীক্ষা আর শেষ হয় না। যে নম্বরে তিনি ফোন করছিলেন, সেটি সুমির এক প্রিয়জনের, তা-ও অনুরোধের। বিমানবন্দরে আটকা পড়ার পর শুধু একবার তিনি ওই নম্বরে কথা বলতে পেরেছিলেন। এরপর থেকে নম্বরটি বন্ধ। কিন্তু সেসব মানতে নারাজ মেয়েটি। আমার কাছে তাঁর কাতর প্রার্থনা, ‘স্যার, আরেকবার দেখেন।’
২০০৬ সালের ১৭ নভেম্বর সকালে খবর এল, তখনকার জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিদেশগামী ৩১ নারীকে আটক করে তাঁদের যাত্রা স্থগিত করা হয়েছে। জাল কাগজপত্রে তাঁদের পাচার করা হচ্ছিল। বাংলাদেশ থেকে তখনো বৈধভাবে নারী কর্মী পাঠানো শুরু হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই ওটা ছিল গরম খবর। সে কারণে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলাম বিমানবন্দরে। গিয়ে দেখি, ৩১ জন নারীকে ইমিগ্রেশন পুলিশ বিমানবন্দরের একটি জায়গায় জড়ো করে রেখেছে। পুলিশ মনে করছিল, এটা বড় ঘটনা, আর তার কভারেজও বেশি দরকার। সাংবাদিকেরা যেন এসে সহজে কথা বলতে পারেন, সে কারণে তাঁদের এভাবে জড়ো করে রাখা হয়েছিল।
বিমানবন্দরের ভেতরে ঢুকে প্রথমেই পেলাম সুমি আক্তারকে। তাঁর বাড়ি চুয়াডাঙ্গায়। সুমির কথায় কোনো রাখঢাক নেই। বললেন, তাঁরা ৩১ জন লেবাননে যাচ্ছিলেন। আমি একে একে সবার সঙ্গে কথা বলছি আর নোট করছি। যাঁর সঙ্গে কথা বলতে যাই, তিনিই অনুরোধ করেন তাঁর প্রিয়জনকে ফোন করার জন্য। কয়েকজনের জন্য চেষ্টাও করলাম, কিন্তু বেশির ভাগের ফোন বন্ধ। কেউ কেউ ফোনই ধরলেন না। কয়েকজনকে সান্ত্বনা দিয়ে বললাম, হয়তো মোবাইলের চার্জ ফুরিয়ে গেছে। কাউকে বললাম, অপেক্ষা করেন, হয়তো ফোন বাজবে। কিন্তু কারও ফোন আর বাজেনি।
বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন পুলিশের এক কর্মকর্তা বললেন, তাঁরা আসলে সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের হাতে প্রতারিত হয়েছেন। তাঁরা বিদেশে যেতে না পারলেও চক্রের লোকেরা লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। বাসাবাড়িতে কাজের কথা বলে সহজ-সরল এসব নারীকে পাচার করা হচ্ছিল। পাসপোর্ট-ভিসা ঠিক থাকলেও মন্ত্রণালয়ের বৈধ ছাড়পত্র ছিল না। তবে ছাড়পত্রের মতো একটি জাল কাগজ তাঁদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
দিনটি ছিল শুক্রবার, গালফ এয়ারের মধ্যপ্রাচ্যগামী ফ্লাইটের সময় সকাল ৬টা ১০ মিনিটে। সেই ফ্লাইটে যাওয়ার জন্য ৩১ নারী বিমানবন্দরে যান। ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা তাঁদের কাগজপত্র পরীক্ষা করে দেখেন, সবার কাগজ প্রায় একই ধরনের। এমনকি সিল-স্বাক্ষরেও মিল। পরে তাঁরা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পারেন, সবই ভুয়া।
আমরা বিমানবন্দরে পৌঁছার আগেই তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। সবাই জানান, তাঁরা ভিন্ন ভিন্ন দালালের মাধ্যমে ভিসা সংগ্রহ করেন। তবে দালাল ছাড়া আর কারও নাম কেউ বলতে পারেননি। ট্রাভেল এজেন্ট বা রিক্রুটিং এজেন্সির নামও তাঁরা শোনেননি।
আমি জানু খানম নামের এক নারীর সঙ্গে কথা বলি। তিনি বললেন, ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানায় তাঁর বাড়ি। দুই সন্তানের মা জানু ঈদের আগে ফিরোজ নামের এক দালালের হাতে ৭০ হাজার টাকা তুলে দিয়েছিলেন। মাসে প্রতি হাজারে ৪০০ টাকা সুদে সেই টাকা সংগ্রহ করেন। দালাল তাঁকে লোভ দেখিয়েছিলেন, লেবাননে গেলেই ভালো বাড়িতে ভালো কাজ পাওয়া যাবে এবং মাসে অনেক টাকা আয় হবে।
নারায়ণগঞ্জের সেলিনা আমাকে বলেছিলেন, দালাল মোজাফফরের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে তিনি ওই কাজ জোগাড় করেছিলেন। ৫০ হাজার টাকা সংগ্রহ করলেন কীভাবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হালের দুটি গরু বেচে তিনি সেই টাকা জোগাড় করেন। ওই দলে ছিলেন কুমিল্লার হোমনার রাহেলা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হাসিনা। সবাই প্রায় একই কথা বলেছিলেন।
সেখানে ঘণ্টা দুয়েক ছিলাম। এরপর জানতে পারি, ৩১ নারীকে দিনভর বিমানবন্দরে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। পরে সবার কাছ থেকে দালালের নাম সংগ্রহ করে ৩৬ জনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়। সেই মামলায় জনশক্তি ও কর্মসংস্থান ব্যুরোর চারজন এবং বিমানের এক কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। মামলা তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছিলেন পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক শাহাদত হোসেন।
দুদিন পরে শাহাদত হোসেন আমাকে বলেছিলেন, চাকরি করতে যাঁরা বিদেশ যান, তাঁদের ছাড়পত্রসহ অন্য কাগজপত্র পরীক্ষার জন্য বিমানবন্দরে জনশক্তি ও কর্মসংস্থান ব্যুরোর একটি ডেস্ক আছে। গ্রেপ্তার করা চারজন সেই ডেস্কের কর্মচারী। তাঁরা ভুয়া ছাড়পত্র দেখার পরও নারীদের যাওয়ার অনুমতি দেন। তাঁর সন্দেহ, আগে থেকেই দালাল চক্রের সঙ্গে তাঁরা চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল, যে কারণে কোনো বাধা ছাড়াই তাঁরা ইমিগ্রেশন পর্যন্ত চলে যান।
কয়েক দিন পরে ফলোআপ করতে গিয়ে শুনলাম, ৩১ নারীকে জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। অফিসের তাড়া ছিল সেই ঘটনার ফলোআপ করার জন্য। গেলাম মহিলা আইনজীবী সমিতির কাছে। এক কর্মকর্তা আমাকে নিয়ে গেলেন নারীদের যেখানে রাখা হয়েছে, সেই আশ্রয়কেন্দ্রে। সেখানে গিয়ে তাঁদের কাছে জানতে চাইলাম, ‘বাড়ি যাবেন না?’ আমার ধারণা ছিল, সবাই বাড়ি যেতে চাইবেন। কিন্তু সবাই আমার সঙ্গে অদ্ভুত আচরণ করলেন। বললেন, কেউই বাড়ি যেতে চান না। আমি অবাক হয়ে জানতে চাইলাম, ‘কেন যাবেন না?’ একজন বললেন, ‘বাড়ি গেলে সুদের টাকা চাইতে লোক আসবে। তখন কী হবে! তার চেয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে থাকি, সেটাই ভালো।’
সবার কথা শুনে আর থাকতে ইচ্ছা হলো না। সেখান থেকে বেরিয়ে এলাম। মনে হলো, সত্যিই তো, সব হারানো নারীরা ফিরে গিয়েই-বা কী করবেন!
এরপর হয়তো আরও হাজারো, লাখো নারী জীবিকার প্রয়োজনে বিদেশ গেছেন। হয়তো বেশির ভাগই গেছেন অবৈধ পন্থায় ‘আদম’ হয়ে। কিন্তু বিদেশে যাওয়ার পর পরিবারের জন্য তাঁরা ডলার পাঠাচ্ছেন, সেটাই যুক্ত হচ্ছে জাতীয় উন্নয়নে। কাঁড়ি কাঁড়ি ডলারে ফুলে-ফেঁপে উঠছে রাষ্ট্রীয় কোষাগার।
ইদানীং ঝর্না নামের এক সৌদিপ্রবাসী নারীর ইউটিউব ভ্লগে দেখি, ঝর্না ১৭ বছর ধরে সৌদি আরবে আছেন গৃহকর্মী হয়ে। প্রতিদিন ভ্লগে তিনি বিভিন্ন কষ্টের কথা বলেন আর কাঁদেন। মনে হয় ঝর্নার প্রতি ফোঁটা অশ্রুর নামই রেমিট্যান্স।
আষাঢ়ে নয় সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

ফোন আর বাজে না। এপার থেকে বারবার চেষ্টার পর শোনা যায়—‘দুঃখিত, এই মুহূর্তে মোবাইল সংযোগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।’ মিষ্টি, অথচ একঘেয়ে স্বরটিকে যারপরনাই নিষ্ঠুর মনে হতে থাকে সুমির। কিন্তু তাঁর প্রতীক্ষা আর শেষ হয় না। যে নম্বরে তিনি ফোন করছিলেন, সেটি সুমির এক প্রিয়জনের, তা-ও অনুরোধের। বিমানবন্দরে আটকা পড়ার পর শুধু একবার তিনি ওই নম্বরে কথা বলতে পেরেছিলেন। এরপর থেকে নম্বরটি বন্ধ। কিন্তু সেসব মানতে নারাজ মেয়েটি। আমার কাছে তাঁর কাতর প্রার্থনা, ‘স্যার, আরেকবার দেখেন।’
২০০৬ সালের ১৭ নভেম্বর সকালে খবর এল, তখনকার জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিদেশগামী ৩১ নারীকে আটক করে তাঁদের যাত্রা স্থগিত করা হয়েছে। জাল কাগজপত্রে তাঁদের পাচার করা হচ্ছিল। বাংলাদেশ থেকে তখনো বৈধভাবে নারী কর্মী পাঠানো শুরু হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই ওটা ছিল গরম খবর। সে কারণে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলাম বিমানবন্দরে। গিয়ে দেখি, ৩১ জন নারীকে ইমিগ্রেশন পুলিশ বিমানবন্দরের একটি জায়গায় জড়ো করে রেখেছে। পুলিশ মনে করছিল, এটা বড় ঘটনা, আর তার কভারেজও বেশি দরকার। সাংবাদিকেরা যেন এসে সহজে কথা বলতে পারেন, সে কারণে তাঁদের এভাবে জড়ো করে রাখা হয়েছিল।
বিমানবন্দরের ভেতরে ঢুকে প্রথমেই পেলাম সুমি আক্তারকে। তাঁর বাড়ি চুয়াডাঙ্গায়। সুমির কথায় কোনো রাখঢাক নেই। বললেন, তাঁরা ৩১ জন লেবাননে যাচ্ছিলেন। আমি একে একে সবার সঙ্গে কথা বলছি আর নোট করছি। যাঁর সঙ্গে কথা বলতে যাই, তিনিই অনুরোধ করেন তাঁর প্রিয়জনকে ফোন করার জন্য। কয়েকজনের জন্য চেষ্টাও করলাম, কিন্তু বেশির ভাগের ফোন বন্ধ। কেউ কেউ ফোনই ধরলেন না। কয়েকজনকে সান্ত্বনা দিয়ে বললাম, হয়তো মোবাইলের চার্জ ফুরিয়ে গেছে। কাউকে বললাম, অপেক্ষা করেন, হয়তো ফোন বাজবে। কিন্তু কারও ফোন আর বাজেনি।
বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন পুলিশের এক কর্মকর্তা বললেন, তাঁরা আসলে সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের হাতে প্রতারিত হয়েছেন। তাঁরা বিদেশে যেতে না পারলেও চক্রের লোকেরা লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। বাসাবাড়িতে কাজের কথা বলে সহজ-সরল এসব নারীকে পাচার করা হচ্ছিল। পাসপোর্ট-ভিসা ঠিক থাকলেও মন্ত্রণালয়ের বৈধ ছাড়পত্র ছিল না। তবে ছাড়পত্রের মতো একটি জাল কাগজ তাঁদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
দিনটি ছিল শুক্রবার, গালফ এয়ারের মধ্যপ্রাচ্যগামী ফ্লাইটের সময় সকাল ৬টা ১০ মিনিটে। সেই ফ্লাইটে যাওয়ার জন্য ৩১ নারী বিমানবন্দরে যান। ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা তাঁদের কাগজপত্র পরীক্ষা করে দেখেন, সবার কাগজ প্রায় একই ধরনের। এমনকি সিল-স্বাক্ষরেও মিল। পরে তাঁরা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পারেন, সবই ভুয়া।
আমরা বিমানবন্দরে পৌঁছার আগেই তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। সবাই জানান, তাঁরা ভিন্ন ভিন্ন দালালের মাধ্যমে ভিসা সংগ্রহ করেন। তবে দালাল ছাড়া আর কারও নাম কেউ বলতে পারেননি। ট্রাভেল এজেন্ট বা রিক্রুটিং এজেন্সির নামও তাঁরা শোনেননি।
আমি জানু খানম নামের এক নারীর সঙ্গে কথা বলি। তিনি বললেন, ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানায় তাঁর বাড়ি। দুই সন্তানের মা জানু ঈদের আগে ফিরোজ নামের এক দালালের হাতে ৭০ হাজার টাকা তুলে দিয়েছিলেন। মাসে প্রতি হাজারে ৪০০ টাকা সুদে সেই টাকা সংগ্রহ করেন। দালাল তাঁকে লোভ দেখিয়েছিলেন, লেবাননে গেলেই ভালো বাড়িতে ভালো কাজ পাওয়া যাবে এবং মাসে অনেক টাকা আয় হবে।
নারায়ণগঞ্জের সেলিনা আমাকে বলেছিলেন, দালাল মোজাফফরের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে তিনি ওই কাজ জোগাড় করেছিলেন। ৫০ হাজার টাকা সংগ্রহ করলেন কীভাবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হালের দুটি গরু বেচে তিনি সেই টাকা জোগাড় করেন। ওই দলে ছিলেন কুমিল্লার হোমনার রাহেলা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হাসিনা। সবাই প্রায় একই কথা বলেছিলেন।
সেখানে ঘণ্টা দুয়েক ছিলাম। এরপর জানতে পারি, ৩১ নারীকে দিনভর বিমানবন্দরে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। পরে সবার কাছ থেকে দালালের নাম সংগ্রহ করে ৩৬ জনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়। সেই মামলায় জনশক্তি ও কর্মসংস্থান ব্যুরোর চারজন এবং বিমানের এক কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। মামলা তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছিলেন পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক শাহাদত হোসেন।
দুদিন পরে শাহাদত হোসেন আমাকে বলেছিলেন, চাকরি করতে যাঁরা বিদেশ যান, তাঁদের ছাড়পত্রসহ অন্য কাগজপত্র পরীক্ষার জন্য বিমানবন্দরে জনশক্তি ও কর্মসংস্থান ব্যুরোর একটি ডেস্ক আছে। গ্রেপ্তার করা চারজন সেই ডেস্কের কর্মচারী। তাঁরা ভুয়া ছাড়পত্র দেখার পরও নারীদের যাওয়ার অনুমতি দেন। তাঁর সন্দেহ, আগে থেকেই দালাল চক্রের সঙ্গে তাঁরা চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল, যে কারণে কোনো বাধা ছাড়াই তাঁরা ইমিগ্রেশন পর্যন্ত চলে যান।
কয়েক দিন পরে ফলোআপ করতে গিয়ে শুনলাম, ৩১ নারীকে জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। অফিসের তাড়া ছিল সেই ঘটনার ফলোআপ করার জন্য। গেলাম মহিলা আইনজীবী সমিতির কাছে। এক কর্মকর্তা আমাকে নিয়ে গেলেন নারীদের যেখানে রাখা হয়েছে, সেই আশ্রয়কেন্দ্রে। সেখানে গিয়ে তাঁদের কাছে জানতে চাইলাম, ‘বাড়ি যাবেন না?’ আমার ধারণা ছিল, সবাই বাড়ি যেতে চাইবেন। কিন্তু সবাই আমার সঙ্গে অদ্ভুত আচরণ করলেন। বললেন, কেউই বাড়ি যেতে চান না। আমি অবাক হয়ে জানতে চাইলাম, ‘কেন যাবেন না?’ একজন বললেন, ‘বাড়ি গেলে সুদের টাকা চাইতে লোক আসবে। তখন কী হবে! তার চেয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে থাকি, সেটাই ভালো।’
সবার কথা শুনে আর থাকতে ইচ্ছা হলো না। সেখান থেকে বেরিয়ে এলাম। মনে হলো, সত্যিই তো, সব হারানো নারীরা ফিরে গিয়েই-বা কী করবেন!
এরপর হয়তো আরও হাজারো, লাখো নারী জীবিকার প্রয়োজনে বিদেশ গেছেন। হয়তো বেশির ভাগই গেছেন অবৈধ পন্থায় ‘আদম’ হয়ে। কিন্তু বিদেশে যাওয়ার পর পরিবারের জন্য তাঁরা ডলার পাঠাচ্ছেন, সেটাই যুক্ত হচ্ছে জাতীয় উন্নয়নে। কাঁড়ি কাঁড়ি ডলারে ফুলে-ফেঁপে উঠছে রাষ্ট্রীয় কোষাগার।
ইদানীং ঝর্না নামের এক সৌদিপ্রবাসী নারীর ইউটিউব ভ্লগে দেখি, ঝর্না ১৭ বছর ধরে সৌদি আরবে আছেন গৃহকর্মী হয়ে। প্রতিদিন ভ্লগে তিনি বিভিন্ন কষ্টের কথা বলেন আর কাঁদেন। মনে হয় ঝর্নার প্রতি ফোঁটা অশ্রুর নামই রেমিট্যান্স।
আষাঢ়ে নয় সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৫ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৫ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৫ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

ফোন আর বাজে না। এপার থেকে বারবার চেষ্টার পর শোনা যায়—‘দুঃখিত, এই মুহূর্তে মোবাইল সংযোগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।’ মিষ্টি, অথচ একঘেয়ে স্বরটিকে যারপরনাই নিষ্ঠুর মনে হতে থাকে সুমির। কিন্তু তাঁর প্রতীক্ষা আর শেষ হয় না। যে নম্বরে তিনি ফোন করছিলেন, সেটি সুমির এক প্রিয়জনের, তা-ও অনুরোধের।
১০ জুন ২০২৩
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৫ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৫ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৫ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

ফোন আর বাজে না। এপার থেকে বারবার চেষ্টার পর শোনা যায়—‘দুঃখিত, এই মুহূর্তে মোবাইল সংযোগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।’ মিষ্টি, অথচ একঘেয়ে স্বরটিকে যারপরনাই নিষ্ঠুর মনে হতে থাকে সুমির। কিন্তু তাঁর প্রতীক্ষা আর শেষ হয় না। যে নম্বরে তিনি ফোন করছিলেন, সেটি সুমির এক প্রিয়জনের, তা-ও অনুরোধের।
১০ জুন ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৫ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৫ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

ফোন আর বাজে না। এপার থেকে বারবার চেষ্টার পর শোনা যায়—‘দুঃখিত, এই মুহূর্তে মোবাইল সংযোগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।’ মিষ্টি, অথচ একঘেয়ে স্বরটিকে যারপরনাই নিষ্ঠুর মনে হতে থাকে সুমির। কিন্তু তাঁর প্রতীক্ষা আর শেষ হয় না। যে নম্বরে তিনি ফোন করছিলেন, সেটি সুমির এক প্রিয়জনের, তা-ও অনুরোধের।
১০ জুন ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৫ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৫ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

ফোন আর বাজে না। এপার থেকে বারবার চেষ্টার পর শোনা যায়—‘দুঃখিত, এই মুহূর্তে মোবাইল সংযোগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।’ মিষ্টি, অথচ একঘেয়ে স্বরটিকে যারপরনাই নিষ্ঠুর মনে হতে থাকে সুমির। কিন্তু তাঁর প্রতীক্ষা আর শেষ হয় না। যে নম্বরে তিনি ফোন করছিলেন, সেটি সুমির এক প্রিয়জনের, তা-ও অনুরোধের।
১০ জুন ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৫ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৫ দিন আগে