দেশে রেমিট্যান্স আসার ক্ষেত্রে একের পর এক রেকর্ড হচ্ছে। সদ্য শেষ হওয়া মে মাসেও দেশে এসেছে প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স। এটি দেশের ইতিহাসে যেকোনো মাসে আসা রেমিট্যান্সের পরিমাণে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পরিমাণের রেকর্ড।
বিশ্বব্যাপী অস্থিরতা ও দেশীয় চ্যালেঞ্জের মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতি ধীরে ধীরে পুনরুদ্ধারের পথে এগোচ্ছে। রপ্তানি, রেমিট্যান্স, কৃষি ও শিল্প খাতসহ কিছু সূচকে বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। তবে সেই পুনরুদ্ধারের পথে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। কারণ দেশের ব্যাংকঋণ, নতুন বিনিয়োগ, রাজস
কয়েক মাস ধরে ইতিবাচক ধারায় রয়েছে দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহ। ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে এই ধারা অব্যাহত রয়েছে। চলতি মে মাসের প্রথম ২৪ দিনে দেশে এসেছে ২২৪ কোটি ৬০ লাখ ৭০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স (প্রায় ২ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার)। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ২৭ হাজার ৪০১ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে
‘প্রবাসে যে কর্মী পাঠানো হয়, তার ৪৭ শতাংশ অদক্ষ। এর মধ্যে আধা দক্ষ ১৬ শতাংশ এবং দক্ষ মাত্র ৩৫ শতাংশ। আমাদের অধিকাংশ কর্মী শুধু শরীর নিয়ে বিদেশে কাজ করতে যান। এ কারণে দক্ষতা অর্জনে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হবে।’
দেশে রেমিট্যান্স আসায় নতুন রেকর্ড হয়েছে। সর্বশেষ ১০ মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। মূলত রেমিট্যান্স বাড়ার লক্ষ্যে হুন্ডি বন্ধ করাসহ নানামুখী পদক্ষেপ নেওয়ায় রেমিট্যান্সপ্রবাহে একের পর এক রেকর্ড সৃষ্টি হচ্ছে।
দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে গত এপ্রিল মাসে। সদ্যসমাপ্ত মাসটিতে ২ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন বা ২৭৫ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে) যার পরিমাণ ৩৩ হাজার ৫৫০ কোটি টাকার বেশি। সে হিসাবে প্রতিদিন রেমিট্যান্সে এসেছে ৯ কোটি ডলারের বেশি।
দেশে রপ্তানি ও প্রবাসী আয় বাড়লেও বিদেশি উন্নয়ন সহযোগীদের প্রকল্প ঋণের প্রতিশ্রুতি আশঙ্কাজনক হারে কমেছে। বিপরীতে পুরোনো ঋণ পরিশোধের চাপ বেড়েছে।
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি ও ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের ‘স্পেশাল ঈদ রেমিট্যান্স ক্যাম্পেইন’ শীর্ষক মাসব্যাপী ক্যাম্পেইন আজ মঙ্গলবার ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে উদ্বোধন করা হয়েছে। ক্যাম্পেইন চলাকালে ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংকে রেমিট্যান্স প্রেরণকারীদের ডিজিটাল ড্রর মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহে ৩টি করে
কেবল বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রেরণে সীমাবদ্ধ না থেকে অভিবাসীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়ে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্কে লা গুয়ার্ডিয়া এয়ারপোর্ট ম্যারিয়ট হোটেলে আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ-আমেরিকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি কর্তৃক আয়োজিত ১৯-২১ এপ্রিল নিউইয়র্কে চতুর্থ বাংলাদেশ
দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ ঊর্ধ্বমুখী ধারায় রয়েছে। চলতি এপ্রিল মাসের প্রথম ২৬ দিনেই এসেছে ২ দশমিক ২৭ বিলিয়ন (২২৭ কোটি ১০ লাখ) ডলারের রেমিট্যান্স। প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে এর পরিমাণ দাঁড়ায় ২৭ হাজার ৭০৬ কোটি টাকার বেশি। গড়ে প্রতিদিন আসছে ৮ কোটি ৭৩ লাখ ডলার বা ১ হাজার ৬৬ কোটি টাকার বেশি। ঈদের আগে দে
মাত্র ১ মাস ১৯ দিনে ৫০০ কোটি ডলার বা ৫ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। গত মার্চ মাসে তাঁরা ৩২৯ কোটি ডলার বা ৩ দশমিক ২৯ বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছেন। আর চলতি মাস এপ্রিলের প্রথম ১৯ দিনেই এসেছে ১৭১ কোটি ৮৭ লাখ ২০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে)
দেশে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম প্রধান উৎস প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স। ২০২৪ সালে দেশে রেকর্ড প্রায় ২৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। যা পাঠিয়েছেন বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশিরা। কিন্তু বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের অন্যতম বড় খাত জনশক্তি রপ্তানির বাজার সীমিত হয়ে গেছে।
চলতি ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি কমে ৩ দশমিক ৯ শতাংশে নেমে আসবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। তবে আগামী অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি বাড়বে ৫ দশমিক ১ শতাংশে। আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের এডিবির ঢাকা অফিসে প্রকাশিত ‘এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক...
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নানামুখী তৎপরতা, সরকারের নীতিগত সহায়তা এবং প্রবাসীদের ইতিবাচক মনোভাবের প্রতিফলন ঘটেছে রেমিট্যান্সে। একক মাস হিসেবে গত মার্চে রেকর্ড প্রবাসী আয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ২৯ বিলয়ন ডলার। আর আগে করোনা মহামারির সময় এক মাসের সর্বোচ্চ রেকর্ড ছিল ২৬৪ কোটি ডলার রেমিট্যান্স।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে বিশ্ববাজারে উদারীকরণ করে আসছে আমেরিকা। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতির ঘোষণায় এক কলমের খোঁচায় তা শেষ হয়ে গেল। এটা শুধু বাংলাদেশের জন্যই নয়, সারা বিশ্বের জন্য দুর্যোগের বার্তা নিয়ে আসছে।
ঈদ বাণিজ্য বাংলাদেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের জন্য যেমন একটি অপরিহার্য অংশ, তেমনি দেশের অর্থনীতির জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক। ঈদের আগের বাজারে বাণিজ্য যেমন তুঙ্গে পৌঁছায়, তেমনি এটি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার চিত্রও তুলে ধরে। যদিও দেশের অধিকাংশ মানুষ দরিদ্র এবং স্বল্প আয়ের মধ্যে তারা জীবন যাপন করে...
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর বিদেশে ব্যবসা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে স্টার্টআপ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিদেশে বিনিয়োগের অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, বাংলাদেশের স্টার্টআপ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ১০ হাজার ইউএস ডলার বা সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশে একটি মাত্র কোম্পানি গঠনের জন্য পাঠাতে পারবে।