কয়েক দিন ধরেই আলোচনায় হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ বিরতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রস্তাব। এবার যুদ্ধবিরতির এই প্রস্তাবে আগেভাগে সম্মত হয়ে যায় ইসরায়েল, যা অত্যন্ত বিরল। অন্যদিকে, হামাস অভিযোগ করছে—যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রস্তাবে উপেক্ষিত ফিলিস্তিনি স্বার্থ। তবে, কী আছে ওই প্রস্তাবে তা জানা যাচ্ছিল না। অবশেষে আজ
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন এই প্রস্তাবে ইসরায়েল রাজি কি না সেবিষয়েও নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে, ইসরায়েলের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, হামাসের কাছে যারা এখনো জিম্মি রয়েছেন তাঁদের পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ
উত্তর গাজার শেষ সক্রিয় হাসপাতাল—আল অওদা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলি প্রশাসন। এই হাসপাতালটি বন্ধ হয়ে গেলে উত্তর গাজায় কার্যত আর কোনো হাসপাতাল অবশিষ্ট থাকবে না। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।
ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ইস্যুতে রাজনৈতিক চুক্তির খুব কাছাকাছি ওয়াশিংটন ও তেহরান। ইরানের দুই শীর্ষ কর্মকর্তা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন। গতকাল বুধবার বার্তা সংস্থাটিকে তাঁরা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি জব্দকৃত অর্থ ছাড় করে এবং বেসামরিক ব্যবহারের জন্য ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার অধিকারকে স্বীকৃতি দেয়,
বিতর্কিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত ত্রাণ সংস্থা গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএফএইচ) বিতরণ কেন্দ্রে ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে গত ৪৮ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছে ১০ জন। আহত হয়েছে আরও কমপক্ষে ৬২ জন। হামাসের মিডিয়া অফিসের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
আজকে পাঁচ দেশে ১৩ টন আম রপ্তানি করা হয়েছে। এর আগে গত ১৫ মে থেকে ২১ দেশে ১৬৫ টন আম রপ্তানি করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত গোপালভোগ ও হিমসাগর আম রপ্তানি হয়েছে বলে জানান তিনি।
চলমান আগ্রাসনে ফিলিস্তিনিদের ‘পদ্ধতিগতভাবে’ মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী—আইডিএফ। ১৯ মাস ধরে গাজা এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরে এটি আইডিএফের খুবই সাধারণ কৌশল হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) অনুসন্ধানে উঠে এসেছে এমন তথ্য।
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর ৬০০ দিন পার হয়েছে। অবিরাম বোমা হামলা, পরিকল্পিত অনাহার, ব্যাপক বাস্তুচ্যুতি ও অবর্ণনীয় শোকের ৬০০ দিন। এই দীর্ঘ সময়ে ইসরায়েলি গণহত্যার বিপরীতে তথাকথিত সভ্য পশ্চিমা বিশ্ব কেবল নীরব দর্শক হয়ে থাকেনি, তারা প্রতিটি দিনকে ‘সম্ভব’ করে তুলেছে।
চলতি মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফরে সিরিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ঘোষণা আসে। ঘোষণার এক সপ্তাহের মধ্যেই তুলে নেওয়া হয় নিষেধাজ্ঞা। পাশাপাশি, ইউরোপীয় ইউনিয়নও দেশটির ওপর থেকে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়।
গতকাল ত্রাণ সরবরাহ করছিল নতুন মানবিক সংস্থা গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন—জিএইচএফ। ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরুর কিছুক্ষণ পরই দেখা দেয় বিশৃঙ্খলা। দীর্ঘ ১১ সপ্তাহ ধরে তীব্র খাদ্য সংকটের পর স্বাভাবিকভাবেই ত্রাণ সংগ্রহের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে গাজার বাসিন্দারা।
গাজার চলমান পরিস্থিতি নিয়ে জার্মানির চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ ম্যার্ৎজ এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েলের নজিরবিহীন কঠোর সমালোচনা করেছেন। বার্লিন সাফ জানিয়েছে, মানবাধিকার লঙ্ঘনের কাজে ব্যবহৃত হয় এমন কোনো অস্ত্র তারা ইসরায়েলকে সরবরাহ করবে না এবং প্রয়োজনে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণেরও হুমকি দিয়েছে।
হামাসের হাতে জিম্মি হওয়া আইডিএফের (ইসরায়েলি সেনাবাহিনী) পাঁচ নারী সেনার মধ্যে নামা লেভি একজন। হামাসের কাছে জিম্মি থাকা বাকিদের মুক্তির দাবিতে তেল আবিব জাদুঘরের সামনে জড়ো হওয়া প্রায় দেড় হাজার মানুষের সামনে তিনি বলেন, জিম্মি থাকার দিনগুলোতে হামাস তাঁর ও বাকি জিম্মিদের প্রাণনাশের হুমকি ছিল না।
আবারও নিষেধাজ্ঞা ভেঙে আল-আকসা মসজিদ কম্পাউন্ডে প্রবেশ করল ইসরায়েলিরা। গতকাল সোমবার এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা। প্রতিবেদন বলা হয়েছে, ‘জেরুজালেম দিবস’-এর মিছিল চলাকালীন উগ্রবাদী ইহুদিরা এ কাণ্ড করেছে।
ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত ভূখণ্ড গাজার ৯৫ শতাংশ জমিই চাষবাসের উপযোগী নয়। মূলত, ইসরায়েলের নির্বিচার হামলার কারণেই এমনটা হয়েছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এবং স্যাটেলাইট সেন্টারের (ইউএনওএসএটি) নতুন ভূ-স্থানিক মূল্যায়ন অনুযায়ী, গাজা উপত্যকার পাঁচ শতাংশেরও কম আবাদি জমি এখন চাষোপযোগী।
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে প্রতিদিনই বড় হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। গতকাল সোমবার সেই মিছিলে যোগ দিল আরও ৮১ ফিলিস্তিনি। নিহতদের মধ্যে ৫৩ জনই গাজা সিটির বাসিন্দা। আজ মঙ্গলবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।
আবারও ইসরায়েলি হামলার লক্ষ্যবস্তু হলো গাজার একটি স্কুল। গতকাল রোববার, স্থানীয় সময় রাতে বাইত লাহিয়ার ফাহমি আল-জারজাবি স্কুলে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। উপত্যকাটিতে ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর থেকে স্কুলটি বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর (আইডিএফ) মোট সক্রিয় সদস্যের সবাইকেই গাজায় মোতায়েন করেছে নেতানিয়াহু প্রশাসন। আজ রোববার, এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলি গণমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল। গাজা উপত্যকায় বর্ধিত স্থল অভিযানের অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।