Ajker Patrika

যুদ্ধবিরতির মধ্যেও গাজায় ইসরায়েলি হামলা চলছে, নিহত ৭০ হাজার ছাড়াল

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩০ নভেম্বর ২০২৫, ০৯: ১৬
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে বিধ্বস্ত একটি এলাকা। ছবি: আনাদোলু
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে বিধ্বস্ত একটি এলাকা। ছবি: আনাদোলু

গাজায় ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের গণহত্যামূলক যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ৭০ হাজার ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে উপত্যকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। মার্কিন মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি হলেও ইসরায়েলি হামলা থামেনি। ফলে মৃত্যু-ধ্বংসের এই দীর্ঘ নদী আরও ফুলে উঠছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, গতকাল শনিবার মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় অন্তত ৭০ হাজার ১০০ মানুষ নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ১ লাখ ৭০ হাজার ৯০০ জনের বেশি।

এই ভয়াবহ মাইলফলক এমন এক সময়ে এল, যখন গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হামাসের সঙ্গে যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে, তার পরও ইসরায়েল গাজায় আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে।

শনিবার সকালে উদ্ধারকর্মীরা জানান, খান ইউনিসের পূর্বে বানি সুহেইলা শহরে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় দুই ফিলিস্তিনি শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা আল জাজিরাকে বলেন, শনিবার সকালে আল-ফারাবি স্কুলের কাছে বেসামরিক লোকজনের ওপর ড্রোন থেকে বোমা ফেলা হয়। নিহত দুই ভাইয়ের নাম জুমা ও ফাদি তামিম আবু আসি। দুই শিশুকে গুরুতর আহত অবস্থায় খান ইউনিসের আল-নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে সেখানে চিকিৎসকেরা তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনাস্থলটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে ইসরায়েলি বাহিনীর পুনর্বিন্যাস সীমারেখা, অর্থাৎ ‘ইয়েলো লাইন’-এর বাইরে। এই তথ্য নিশ্চিত করেছে স্থানীয় সূত্র।

শনিবার দিনভর ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজায় স্থল, নৌ ও আকাশ—তিন দিক থেকেই হামলা চালিয়েছে। চিকিৎসা সূত্র জানায়, খান ইউনিসের উত্তর-পূর্বে আল-কারারা শহরে ইসরায়েলি গোলাবর্ষণ ও বিমান হামলায় তিন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে।

শনিবার সকালে গাজা সিটির পূর্বে তুফাহ এলাকায়ও বিমান হামলা হয়েছে। দক্ষিণের রাফাহ শহরের পূর্ব প্রান্তেও ইসরায়েলি আক্রমণ চালানো হয়েছে।

এর আগের দিন নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্স জানায়, বানি সুহেইলা শহরে ইয়েলো লাইনের বাইরে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় আরও একজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

গাজা সরকারের জনসংযোগ কার্যালয়ের পরিচালক ইসমাইল আল-তাওয়াবতা শুক্রবার জানান, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের ৫৩৫ বার লঙ্ঘন নথিবদ্ধ হয়েছে। তিনি বলেন, ‘গাজায় মানবিক পরিস্থিতি নজিরবিহীনভাবে অবনতি ঘটছে। ইসরায়েলি আগ্রাসনে ভেঙে পড়েছে অবকাঠামো ও জরুরি সেবা ব্যবস্থা।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ