জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের গণহত্যা নিয়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) যে তদন্ত করেছে, ২৭ জানুয়ারি সে তদন্তের ৫৫ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধানের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এইচআরডব্লিউর একটি প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে...
বাংলাদেশের রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক ইতিহাসে ফেব্রুয়ারি একটি অনন্য মাস। ১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারি আমাদের জন্য যে পথ রচনা করে দিয়েছে, সেই পথই দেশকে পৌঁছে দিয়েছে স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কাঙ্ক্ষিত ঠিকানায়। প্রকৃতপক্ষে এ দেশের আপামর ছাত্র-শ্রমিক-জনতা রাজপথে বুকের রক্ত ঢেলে সেই পথকে করেছে মসৃণ...
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি একধরনের সামাজিক ও রাজনৈতিক রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, যেখানে নারীদের খেলাধুলায় অংশগ্রহণ ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে নানা বাধা দেখা যাচ্ছে। এসব ঘটনা শুধু বিচ্ছিন্ন কিছু প্রতিবন্ধকতা নয়; বরং বৃহত্তর সামাজিক ও রাজনৈতিক বাস্তবতার প্রতিফলন।
২০ বছর আগে বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে অটিজম শব্দটির অস্তিত্ব প্রায় খুঁজে পাওয়া যেত না। অটিজম বিষয়ে মানুষের ধারণা সীমিত ছিল। ঠিক সেই সময়ে অটিজম ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন পরিচালিত বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান ‘কানন’ প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০০৪ সালের ৪ এপ্রিল, বায়তুল আমান হাউজিং সোসাইটির একটি চারতলা ভাড়া বাড়িতে...
মাঝে মাঝে মনে হয় দেশটা বুঝি ট্রায়াল অ্যান্ড এররের ভিত্তিতে চলছে। রাজনীতি, অর্থনীতি, সংস্কৃতি, এমনকি আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়েও নানা ধরনের পরীক্ষামূলক তত্ত্ব দেখতে পাচ্ছি। প্রথমে নতুন কিছু একটা বলা হয় বা চালু করা হয়। তারপর দেখা হয়—কতটা বিতর্ক হয় সেটা নিয়ে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
সম্প্রতি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে দেওয়া ও অস্থায়ী আবাসনসহ বিভিন্ন দাবিতে শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনের ফলে কর্তৃপক্ষ আন্দোলনের দাবি মেনে নিয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, কর্তৃপক্ষ দাবি মেনে নেওয়ার পরও প্রত্যাশিত দাবির বাস্তবায়ন না দেখে আবারও...
যোদ্ধা ও ভিক্ষুকের পারস্পরিক দ্বন্দ্ব এবং চরিত্র নিয়ে শ্রদ্ধেয় শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর একটি অসাধারণ লেখা ছাপা হয়েছে। লেখাটি নানা কারণেই একটা বড় চিন্তার বিষয় হয়ে পড়েছে। যদিও এসব কথা আমরা সবাই জানি। কিন্তু এমন তুলনামূলক বিশ্লেষণ কখনোই সেভাবে আসেনি।
অভূতপূর্ব এক গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের সামনে প্রকৃত অর্থেই এক নবযাত্রার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল। মনে হয়েছিল এক নতুন ভোরের সূর্যোদয়। কিন্তু ছয় মাস না পেরোতেই আশা ফিকে হয়ে আসছে। ঈষান কোণের কালো মেঘ তার বিস্তার ঘটাচ্ছে।
ঘুণে ধরা সমাজ বা কাঁচা বাশে ঘুণে ধরার কথা দৈনন্দিন জীবনে আমরা কে না শুনেছি? আবার ঘুণাক্ষরে টের না পাওয়ার বিষয়টিও আমরা কমবেশি শুনেছি। নেতিবাচক অর্থে এই ঘুণে ধরার বিষয়টি আমাদের সমাজব্যবস্থায় যেন পাকাপোক্ত স্থান করে নিয়েছে।
‘আমেরিকা আবার মহান হবে’—এই হচ্ছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি। তিনি এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে ইতিমধ্যেই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে আসীন হয়েছেন। পুরো বিশ্ব পৃথিবীর এক নম্বর দেশের দিকে তাকিয়ে। কী হয় এবার? ট্রাম্প কীভাবে আমেরিকাকে আবার মহান করে গড়ে তুলবেন? তা তিনি তুলুন, কিন্তু আমাদের প্রশ্ন অন্যত্র
মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প গত সপ্তাহে ক্যাপিটলে ফিরে আসেন। অবজ্ঞা ও ক্ষমতা প্রদর্শনের মাধ্যমে তাঁর পুনরুত্থান মঞ্চস্থ হয়। নাটকীয়তা ও জাঁকজমকে মোড়ানো শপথ অনুষ্ঠানে ট্রাম্প আমেরিকার ‘পরিকল্পিত নিয়তি’র পুনর্জন্মের কথা বলেছিলেন। এবার, প্রতিশ্রুতিটি পৃথিবী ছাড়িয়ে তারার রাজ্য পর্যন্ত বিস্ত
পুরস্কার, পদক, খেতাব, সম্মাননা ইত্যাদিতে মানুষের এক চিরন্তন ভালো লাগার অনুভূতি আছে। আছে তৃপ্তি ও ভালোবাসা। কারণ, এতে স্বীকৃতি ও সম্মান আছে। কেউ তাঁর অবদানের স্বীকৃতি ও সম্মান পেলে অবশ্যই ভালো লাগবে। কারণ, মানুষ শেষ পর্যন্ত কাজের, অবদানের ও অর্জনের স্বীকৃতি পেতে চায়। এ স্বীকৃতি দেয় সম্প্রদায়, সমাজ ও
বিশুদ্ধ পানির অন্যতম উৎস ভূগর্ভস্থ তথা মাটির নিচে জমে থাকা পানি। বিশ্বের ৯৭ শতাংশ বিশুদ্ধ পানি আহরিত হয় মাটির তলদেশ থেকে। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে প্রাত্যহিক জীবনে খাওয়ার পানি, রান্না, ধোয়ামোছা ও গোসলের কাজে শতভাগ প্রয়োজন পড়ে এ পানির। উপকূলীয় গ্রামীণ অঞ্চলে আমরা নলকূপ চাপলেই যে পানির নিত্য দেখা
আগের রাজনৈতিক সরকার এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন চেকের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাংকে হস্তান্তর করত এবং পরদিন স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের অমুক মাসের এমপিওর চেক হস্তান্তর শিরোনামে ফলাও করে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার করত। অনেক শিক্ষক তখন ‘না দেইখা দেখছে, পুঁটি মাছের লেখছে’, এই খনার বচনের ভাবাদর্শে সুখবর সুখবর শিরোনামে
‘শক্তি-সামর্থ্য’ কম বলেই বোধ করি শুরু থেকেই উপেক্ষার শিকার বামপন্থী রাজনৈতিক দল-সংগঠন ও বুদ্ধিজীবী-পেশাজীবীরা। দিনে দিনে নানা বিষয়ে তাদের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও অন্তর্বর্তী সরকারের মতভেদও প্রকাশ পায়। ইদানীং দেশের অন্যতম প্রধান দল বিএনপির সঙ্গেও মতভেদ বাড়ছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের...
রমনা উদ্যানকে বলা হয় ‘রমনা গ্রিন’। রমনা নামটা রেখেছিলেন মুঘলরাই। ফারসি শব্দ ‘রমনা’ মানে সবুজ ঘাসে ঢাকা মাঠ বা ‘লন’। হয়তো উদ্যান হয়ে ওঠার আগে রমনা সেরকম সবুজ মাঠই ছিল, পরবর্তী সময়ে হয় জঙ্গল। কালক্রমে সেই সবুজ জঙ্গলটাই হয়ে ওঠে ঢাকা শহরের ফুসফুস।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি স্মরণীয় নাম হয়ে উঠেছিল। দেশজুড়ে বৈষম্যের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট অবস্থান এবং অভূতপূর্ব অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তারা শুধু ছাত্রসমাজ নয়, বরং সাধারণ মানুষের মধ্যেও ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল।