এম আর রহমান
একেই বোধ হয় বলে কপাল। ছিলেন জিরো, হয়ে গেলেন হিরো। বলছি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির কথা। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার আক্রমণের আগে জেলেনস্কির জনপ্রিয়তা ছিল মাত্র ২৮ শতাংশ এবং তাঁর দলের জনপ্রিয়তা ছিল ১১ শতাংশ। কিন্তু যুদ্ধ শুরুর পর তিনি ব্যাপক জনসমর্থন পান এবং তাঁর জনপ্রিয়তা সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছে যায়। তবে গত দুই বছরে এটি ক্রমাগত হ্রাস পেয়েছে। এপ্রিল ২০২৪-এ তাঁর জনপ্রিয়তা ছিল ৫৪ শতাংশ, যা জানুয়ারি ২০২৫-এ নেমে আসে ৪৯ শতাংশে। যদিও এটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবির মতো অতটা কম নয়, তবে ২০২২ সালের মে মাসের ৯০ শতাংশ জনপ্রিয়তা থেকে অনেক দূরে। ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি ইউক্রেনে জেলেনস্কির জনপ্রিয়তা নিয়ে সমালোচনা করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, জেলেনস্কির জনপ্রিয়তা মাত্র ৪ শতাংশে নেমে এসেছে এবং তিনি দেশটিতে নির্বাচন না দিয়ে স্বৈরশাসকের মতো আচরণ করছেন।
জেলেনস্কির জনপ্রিয়তা কমার পেছনে অবশ্য একাধিক কারণ রয়েছে, যার মধ্যে একটি হচ্ছে তাঁর প্রশাসনের দুর্নীতি। এ ছাড়া রয়েছে চলমান যুদ্ধ নিয়ে ক্লান্তি।
তবে পরিস্থিতি ঘুরে গেছে সম্প্রতি ওয়াশিংটনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের পর। গত শুক্রবার ওভাল অফিসে ইউক্রেনের বিরল খনিজ সম্পদ নিয়ে চুক্তি করতে বসেছিলেন ট্রাম্প ও জেলেনস্কি। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দাবি, ইউক্রেন যুদ্ধে আমেরিকা এত দিন যত সহায়তা দিয়েছে, তার বিনিময়ে ইউক্রেনের বিরল খনিজ সম্পদগুলোর ৫০ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্রকে ইউক্রেনের দিয়ে দেওয়া উচিত। যা-ই হোক। এ বৈঠকে ট্রাম্প ও তাঁর ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স চরম অপমান করে বসলেন জেলেনস্কিকে। আর এটাই তাঁর জন্য হয়ে যায় শাপেবর।
ওভাল অফিসের ওই বৈঠকে ট্রাম্প জেলেনস্কিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হওয়ার পরামর্শ দেন। তবে জেলেনস্কি এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন এবং পুতিনের সঙ্গে আপস করতে অস্বীকৃতি জানান। এতে বেজায় খেপে যান ট্রাম্প। তিনি অভিযোগ করেন যে জেলেনস্কির কর্মকাণ্ড তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। আসলে ট্রাম্প ও ভ্যান্স উভয়েই যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘমেয়াদি সমর্থনের জন্য জেলেনস্কির কাছ থেকে আরও স্পষ্ট কৃতজ্ঞতা প্রকাশের আশা করেছিলেন। তাঁদের মতে, জেলেনস্কি যথেষ্ট কৃতজ্ঞতা প্রদর্শন করেননি, যা তাঁদের অসন্তোষের প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বৈঠকের উত্তেজনার কারণে পূর্বনির্ধারিত যৌথ সংবাদ সম্মেলন এবং মধ্যাহ্নভোজন বাতিল করা হয়। জেলেনস্কি ও তাঁর প্রতিনিধিদের হোয়াইট হাউস থেকে বিদায় নিতে হয়। বৈঠক শেষে অবশ্য জেলেনস্কি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ ও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত সমর্থন ও সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন, যা ইউক্রেনের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। জেলেনস্কি উল্লেখ করেন যে এই সহায়তা ইউক্রেনের জনগণের মনোবল বৃদ্ধি করেছে এবং তাদের রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে উদ্বুদ্ধ করেছে।
একটা কথা প্রচলিত আছে, ‘বড় যদি হতে চাও ছোট হও তবে’। জেলেনস্কি সেই বড় হওয়ার জন্যই যেন ছোট হলেন।
জেলেনস্কিকে অপমান করার পর যুক্তরাষ্ট্রের ১৪ জন ডেমোক্র্যাটিক গভর্নর যৌথ বিবৃতিতে ট্রাম্পকে দোষী করে ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। ইউরোপীয় দেশগুলো প্রকাশ্যে জেলেনস্কির প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ নেতারা স্পষ্ট করেছেন যে তাঁরা ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় অটল।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ এবং জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, ইউক্রেনকে সমর্থন করা কেবল নৈতিক দায়িত্ব নয়, এটি ইউরোপীয় নিরাপত্তারও প্রশ্ন।
এ ছাড়া, ন্যাটো মহাসচিব জেন্স স্টলটেনবার্গ ইউক্রেনের প্রতি তাঁর সংস্থার অবিচল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন। সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছেন, ‘ইউক্রেনকে দুর্বল করে কোনো কূটনৈতিক সমাধান সম্ভব নয়।’
ট্রাম্পের এই আচরণের পর ইউরোপীয় দেশগুলো কিয়েভকে আরও সামরিক ও অর্থনৈতিক সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে নতুন করে প্রতিরক্ষা সহায়তা প্যাকেজের ঘোষণা এসেছে, যা ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা আরও শক্তিশালী করবে।
এই আন্তর্জাতিক সমর্থনের ফলে নিজ দেশেও জেলেনস্কির জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে। ইউক্রেনীয় জনগণের মধ্যে অনেকেই মনে করছেন যে জেলেনস্কি দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার লড়াইয়ে শক্ত অবস্থান নিয়েছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ইউরোপীয় সমর্থন এবং ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর মনোভাবের বিপরীতে জেলেনস্কির অবস্থান জনগণের মধ্যে সহানুভূতি ও সমর্থন সৃষ্টি করেছে। যুদ্ধ চলাকালে একটি শক্তিশালী নেতৃত্ব প্রদর্শন করার কারণে তিনি জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন।
তবে সর্বশেষ খবর হলো, জেলেনস্কি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি খনিজ চুক্তি সইয়ের জন্য
প্রস্তুত ইউক্রেন। গত রোববার ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে লন্ডনে এক সম্মেলনের পর এমন মন্তব্য করেন তিনি।
ওই সম্মেলনে যুক্তরাজ্য এবং ফ্রান্সের নেতৃত্বে ইউরোপীয় দেশগুলো ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধ বন্ধ করার বিকল্প উপায় খুঁজেছে। ইউরোপীয় নেতাদের এ শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। সেখানে তাঁরা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে উপস্থাপনের জন্য একটি ইউক্রেন শান্তি পরিকল্পনা তৈরি করতে সম্মত হয়েছেন।
লন্ডন স্ট্যানস্টেড বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের জেলেনস্কি বলেছেন, ‘এই চুক্তি এগিয়ে নিতে কিয়েভ প্রস্তুত আছে। অতীতে যা-ই ঘটুক না কেন আমাদের নীতি হলো সামনে অগ্রসর হওয়া। আমরা চুক্তি সই করতে প্রস্তুত এবং সত্যি বলতে, আমি বিশ্বাস করি যুক্তরাষ্ট্রও প্রস্তুত।’
এ ছাড়া তিনি বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত করা যাবে।’
অনেক গণমাধ্যম জেলেনস্কির এসব বক্তব্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছে নতিস্বীকারের নামান্তর বলে অভিহত করলেও মনে হচ্ছে বড় হওয়ার জন্যই ফের তাঁর এই ছোট হওয়া।
লেখক: সাংবাদিক ও কলাম লেখক
একেই বোধ হয় বলে কপাল। ছিলেন জিরো, হয়ে গেলেন হিরো। বলছি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির কথা। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার আক্রমণের আগে জেলেনস্কির জনপ্রিয়তা ছিল মাত্র ২৮ শতাংশ এবং তাঁর দলের জনপ্রিয়তা ছিল ১১ শতাংশ। কিন্তু যুদ্ধ শুরুর পর তিনি ব্যাপক জনসমর্থন পান এবং তাঁর জনপ্রিয়তা সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছে যায়। তবে গত দুই বছরে এটি ক্রমাগত হ্রাস পেয়েছে। এপ্রিল ২০২৪-এ তাঁর জনপ্রিয়তা ছিল ৫৪ শতাংশ, যা জানুয়ারি ২০২৫-এ নেমে আসে ৪৯ শতাংশে। যদিও এটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবির মতো অতটা কম নয়, তবে ২০২২ সালের মে মাসের ৯০ শতাংশ জনপ্রিয়তা থেকে অনেক দূরে। ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি ইউক্রেনে জেলেনস্কির জনপ্রিয়তা নিয়ে সমালোচনা করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, জেলেনস্কির জনপ্রিয়তা মাত্র ৪ শতাংশে নেমে এসেছে এবং তিনি দেশটিতে নির্বাচন না দিয়ে স্বৈরশাসকের মতো আচরণ করছেন।
জেলেনস্কির জনপ্রিয়তা কমার পেছনে অবশ্য একাধিক কারণ রয়েছে, যার মধ্যে একটি হচ্ছে তাঁর প্রশাসনের দুর্নীতি। এ ছাড়া রয়েছে চলমান যুদ্ধ নিয়ে ক্লান্তি।
তবে পরিস্থিতি ঘুরে গেছে সম্প্রতি ওয়াশিংটনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের পর। গত শুক্রবার ওভাল অফিসে ইউক্রেনের বিরল খনিজ সম্পদ নিয়ে চুক্তি করতে বসেছিলেন ট্রাম্প ও জেলেনস্কি। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দাবি, ইউক্রেন যুদ্ধে আমেরিকা এত দিন যত সহায়তা দিয়েছে, তার বিনিময়ে ইউক্রেনের বিরল খনিজ সম্পদগুলোর ৫০ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্রকে ইউক্রেনের দিয়ে দেওয়া উচিত। যা-ই হোক। এ বৈঠকে ট্রাম্প ও তাঁর ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স চরম অপমান করে বসলেন জেলেনস্কিকে। আর এটাই তাঁর জন্য হয়ে যায় শাপেবর।
ওভাল অফিসের ওই বৈঠকে ট্রাম্প জেলেনস্কিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হওয়ার পরামর্শ দেন। তবে জেলেনস্কি এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন এবং পুতিনের সঙ্গে আপস করতে অস্বীকৃতি জানান। এতে বেজায় খেপে যান ট্রাম্প। তিনি অভিযোগ করেন যে জেলেনস্কির কর্মকাণ্ড তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। আসলে ট্রাম্প ও ভ্যান্স উভয়েই যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘমেয়াদি সমর্থনের জন্য জেলেনস্কির কাছ থেকে আরও স্পষ্ট কৃতজ্ঞতা প্রকাশের আশা করেছিলেন। তাঁদের মতে, জেলেনস্কি যথেষ্ট কৃতজ্ঞতা প্রদর্শন করেননি, যা তাঁদের অসন্তোষের প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বৈঠকের উত্তেজনার কারণে পূর্বনির্ধারিত যৌথ সংবাদ সম্মেলন এবং মধ্যাহ্নভোজন বাতিল করা হয়। জেলেনস্কি ও তাঁর প্রতিনিধিদের হোয়াইট হাউস থেকে বিদায় নিতে হয়। বৈঠক শেষে অবশ্য জেলেনস্কি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ ও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত সমর্থন ও সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন, যা ইউক্রেনের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। জেলেনস্কি উল্লেখ করেন যে এই সহায়তা ইউক্রেনের জনগণের মনোবল বৃদ্ধি করেছে এবং তাদের রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে উদ্বুদ্ধ করেছে।
একটা কথা প্রচলিত আছে, ‘বড় যদি হতে চাও ছোট হও তবে’। জেলেনস্কি সেই বড় হওয়ার জন্যই যেন ছোট হলেন।
জেলেনস্কিকে অপমান করার পর যুক্তরাষ্ট্রের ১৪ জন ডেমোক্র্যাটিক গভর্নর যৌথ বিবৃতিতে ট্রাম্পকে দোষী করে ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। ইউরোপীয় দেশগুলো প্রকাশ্যে জেলেনস্কির প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ নেতারা স্পষ্ট করেছেন যে তাঁরা ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় অটল।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ এবং জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, ইউক্রেনকে সমর্থন করা কেবল নৈতিক দায়িত্ব নয়, এটি ইউরোপীয় নিরাপত্তারও প্রশ্ন।
এ ছাড়া, ন্যাটো মহাসচিব জেন্স স্টলটেনবার্গ ইউক্রেনের প্রতি তাঁর সংস্থার অবিচল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন। সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছেন, ‘ইউক্রেনকে দুর্বল করে কোনো কূটনৈতিক সমাধান সম্ভব নয়।’
ট্রাম্পের এই আচরণের পর ইউরোপীয় দেশগুলো কিয়েভকে আরও সামরিক ও অর্থনৈতিক সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে নতুন করে প্রতিরক্ষা সহায়তা প্যাকেজের ঘোষণা এসেছে, যা ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা আরও শক্তিশালী করবে।
এই আন্তর্জাতিক সমর্থনের ফলে নিজ দেশেও জেলেনস্কির জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে। ইউক্রেনীয় জনগণের মধ্যে অনেকেই মনে করছেন যে জেলেনস্কি দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার লড়াইয়ে শক্ত অবস্থান নিয়েছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ইউরোপীয় সমর্থন এবং ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর মনোভাবের বিপরীতে জেলেনস্কির অবস্থান জনগণের মধ্যে সহানুভূতি ও সমর্থন সৃষ্টি করেছে। যুদ্ধ চলাকালে একটি শক্তিশালী নেতৃত্ব প্রদর্শন করার কারণে তিনি জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন।
তবে সর্বশেষ খবর হলো, জেলেনস্কি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি খনিজ চুক্তি সইয়ের জন্য
প্রস্তুত ইউক্রেন। গত রোববার ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে লন্ডনে এক সম্মেলনের পর এমন মন্তব্য করেন তিনি।
ওই সম্মেলনে যুক্তরাজ্য এবং ফ্রান্সের নেতৃত্বে ইউরোপীয় দেশগুলো ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধ বন্ধ করার বিকল্প উপায় খুঁজেছে। ইউরোপীয় নেতাদের এ শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। সেখানে তাঁরা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে উপস্থাপনের জন্য একটি ইউক্রেন শান্তি পরিকল্পনা তৈরি করতে সম্মত হয়েছেন।
লন্ডন স্ট্যানস্টেড বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের জেলেনস্কি বলেছেন, ‘এই চুক্তি এগিয়ে নিতে কিয়েভ প্রস্তুত আছে। অতীতে যা-ই ঘটুক না কেন আমাদের নীতি হলো সামনে অগ্রসর হওয়া। আমরা চুক্তি সই করতে প্রস্তুত এবং সত্যি বলতে, আমি বিশ্বাস করি যুক্তরাষ্ট্রও প্রস্তুত।’
এ ছাড়া তিনি বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত করা যাবে।’
অনেক গণমাধ্যম জেলেনস্কির এসব বক্তব্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছে নতিস্বীকারের নামান্তর বলে অভিহত করলেও মনে হচ্ছে বড় হওয়ার জন্যই ফের তাঁর এই ছোট হওয়া।
লেখক: সাংবাদিক ও কলাম লেখক
আমাদের দেশে শিল্প-সাহিত্য-নাটক-সংগীত-চলচ্চিত্র হারাম হিসেবে পরিগণিত হয় বিশেষ একটি গোষ্ঠীর কাছে। এই গোষ্ঠীর কাছে ধর্ম যতটা নয়, তারচেয়ে বেশি বড় রক্ষণশীলতা, তাই প্রতিটি জায়গায় এরা চরম প্রতিক্রিয়া দেখায়। জুলাই অভ্যুত্থানের এক বছর পেরিয়ে যাওয়ার পর যা বোঝা যাচ্ছে, তা হলো বাংলাদেশ...
৯ ঘণ্টা আগেউইকিপিডিয়ায় নির্বাচনের সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে এইভাবে: নির্বাচন হলো সিদ্ধান্ত গ্রহণের এমন একটি আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে জনগণ প্রশাসনিক কাজের জন্য একজন প্রতিনিধিকে বেছে নেয়। সপ্তদশ শতক থেকে আধুনিক প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্রে নির্বাচন একটি আবশ্যিক প্রক্রিয়া হয়ে দাঁড়িয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান সম্প্রতি দেওয়া একাধিক বক্তৃতায় চাঁদাবাজি ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে আমরা নিজেরা চাঁদাবাজি করব না এবং কাউকে চাঁদাবাজি করতেও দেব না। ঘুষ কেউ নেবে না...
১০ ঘণ্টা আগেদায়ী আমরা সবাই। তেজগাঁও ও কুর্মিটোলার বিমানবন্দর দুটি ১৯৪৫ সালে তৈরি করা হয়েছিল। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান যখন হলো, তখন তেজগাঁওয়ে বিমানবন্দর করা হলো বেশ বড় আকারে। এরপর ১৯৬৪ সালে নগরায়ণ ও জনসংখ্যা বাড়ার কারণে তেজগাঁওয়ের বদলে কুর্মিটোলার বিমানবন্দর বড় পরিসরে চালু করার পরিকল্পনা করা হয়।
১ দিন আগে