সম্পাদকীয়
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান সম্প্রতি দেওয়া একাধিক বক্তৃতায় চাঁদাবাজি ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে আমরা নিজেরা চাঁদাবাজি করব না এবং কাউকে চাঁদাবাজি করতেও দেব না। ঘুষ কেউ নেবে না, আর যে ঘুষের জন্য হাত বাড়াবে তার হাত অবশ করে দেওয়া হবে।’ একটি রাজনৈতিক দলের একজন শীর্ষ নেতার এই বক্তব্য কথার দিক থেকে যতই বলিষ্ঠ হোক না কেন, বাস্তব ঘটনা সে বক্তব্যকে আঙুল তুলে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে।
যেমনটি দেখা যাচ্ছে লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগরে। অভিযোগ উঠেছে, জামায়াতের স্থানীয় নেতারা চাঁদা আদায়ের জন্য মেঘনা নদীর তীর রক্ষা প্রকল্পের কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। ২৫ জুলাই আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত খবর থেকে জানা যাচ্ছে, সাহেবেরহাট ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি মাস্টার লোকমান হোসেন ও ওয়ার্ড সভাপতি আনোয়ার হোসেন নৌযানপ্রতি আট হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেছেন বলে জানাচ্ছে প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। টাকা না দেওয়ায় নির্মাণকাজে বাধা দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। ঘটনা প্রকাশের পর স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে।
এখানে প্রশ্ন উঠছে, দলীয় প্রধানের আদর্শিক বক্তব্য আর মাঠপর্যায়ের কর্মীদের আচরণের মধ্যে এই ফারাক কেন? রাজনৈতিক সংগঠনের সবচেয়ে বড় দায় হলো নিজের কাঠামোর ভেতর শৃঙ্খলা, আদর্শ এবং নৈতিকতা রক্ষা করা। কোনো রাজনৈতিক দলের মধ্যে যদি তৃণমূল পর্যায়েই এই অনিয়ম, চাঁদাবাজি কিংবা সন্ত্রাসী মনোভাব বাসা বাঁধে, তবে দলের আদর্শিক অবস্থান কতটা বিশ্বাসযোগ্য থাকে, তা নিয়ে জনমানসে প্রশ্ন উঠবে।
শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘যে দল তার কর্মীদের নিজেই সামাল দিতে পারে না, তাদের হাতে বাংলাদেশের মানুষের জীবন কখনোই নিরাপদ হতে পারে না।’ কথাটি কি তাঁর নিজের দলের বেলায় প্রযোজ্য নয়? জামায়াত কি তার কর্মীদের সামাল দিতে পারছে?
দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থায় শুদ্ধাচার এখন সবচেয়ে বড় সংকটের নাম। কথায় আদর্শ আর আচরণে ছলনা—এটাই যেন রাজনীতির রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রায় সব দলের ক্ষেত্রেই এই দ্বিচারিতা দেখা যায়।
ভুলে গেলে চলবে না, চাঁদাবাজি একটি ফৌজদারি অপরাধ। এটি কোনো মতাদর্শগত বা আদর্শিক বিচ্যুতি নয়, এটি একটি প্রশাসনিক, আইনগত অপরাধ—যার জন্য শাস্তি হওয়া উচিত আইন মোতাবেক।
একটি রাজনৈতিক দলের বিশ্বাসযোগ্যতা কেবল নেতৃত্বের বক্তৃতায় নির্ভর করে না, বরং নির্ভর করে তৃণমূল পর্যায়ের কর্মীদের আচার-আচরণ, নৈতিকতা এবং জনসম্পৃক্ততার স্বচ্ছতায়। যেসব রাজনৈতিক দল নিজেদের আদর্শিক শক্তি হিসেবে ইসলাম, মানবতা কিংবা ন্যায়বিচারের কথা বলে, তাদের পক্ষে এই চাঁদাবাজির অভিযোগ আরও নৈতিকভাবে ক্ষতিকর। কারণ, এতে কেবল রাজনৈতিক নয়, ধর্মীয় বিশ্বাসেরও অবমাননা হয়, যা সমাজে সামগ্রিকভাবে রাজনৈতিক হতাশা বাড়ায়।
আমরা চাই, সব রাজনৈতিক দল নিজেদের কর্মীদের দায়িত্বশীল, জনবান্ধব এবং নৈতিকভাবে জবাবদিহিমূলক করে গড়ে তুলুক।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান সম্প্রতি দেওয়া একাধিক বক্তৃতায় চাঁদাবাজি ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে আমরা নিজেরা চাঁদাবাজি করব না এবং কাউকে চাঁদাবাজি করতেও দেব না। ঘুষ কেউ নেবে না, আর যে ঘুষের জন্য হাত বাড়াবে তার হাত অবশ করে দেওয়া হবে।’ একটি রাজনৈতিক দলের একজন শীর্ষ নেতার এই বক্তব্য কথার দিক থেকে যতই বলিষ্ঠ হোক না কেন, বাস্তব ঘটনা সে বক্তব্যকে আঙুল তুলে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে।
যেমনটি দেখা যাচ্ছে লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগরে। অভিযোগ উঠেছে, জামায়াতের স্থানীয় নেতারা চাঁদা আদায়ের জন্য মেঘনা নদীর তীর রক্ষা প্রকল্পের কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। ২৫ জুলাই আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত খবর থেকে জানা যাচ্ছে, সাহেবেরহাট ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি মাস্টার লোকমান হোসেন ও ওয়ার্ড সভাপতি আনোয়ার হোসেন নৌযানপ্রতি আট হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেছেন বলে জানাচ্ছে প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। টাকা না দেওয়ায় নির্মাণকাজে বাধা দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। ঘটনা প্রকাশের পর স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে।
এখানে প্রশ্ন উঠছে, দলীয় প্রধানের আদর্শিক বক্তব্য আর মাঠপর্যায়ের কর্মীদের আচরণের মধ্যে এই ফারাক কেন? রাজনৈতিক সংগঠনের সবচেয়ে বড় দায় হলো নিজের কাঠামোর ভেতর শৃঙ্খলা, আদর্শ এবং নৈতিকতা রক্ষা করা। কোনো রাজনৈতিক দলের মধ্যে যদি তৃণমূল পর্যায়েই এই অনিয়ম, চাঁদাবাজি কিংবা সন্ত্রাসী মনোভাব বাসা বাঁধে, তবে দলের আদর্শিক অবস্থান কতটা বিশ্বাসযোগ্য থাকে, তা নিয়ে জনমানসে প্রশ্ন উঠবে।
শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘যে দল তার কর্মীদের নিজেই সামাল দিতে পারে না, তাদের হাতে বাংলাদেশের মানুষের জীবন কখনোই নিরাপদ হতে পারে না।’ কথাটি কি তাঁর নিজের দলের বেলায় প্রযোজ্য নয়? জামায়াত কি তার কর্মীদের সামাল দিতে পারছে?
দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থায় শুদ্ধাচার এখন সবচেয়ে বড় সংকটের নাম। কথায় আদর্শ আর আচরণে ছলনা—এটাই যেন রাজনীতির রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রায় সব দলের ক্ষেত্রেই এই দ্বিচারিতা দেখা যায়।
ভুলে গেলে চলবে না, চাঁদাবাজি একটি ফৌজদারি অপরাধ। এটি কোনো মতাদর্শগত বা আদর্শিক বিচ্যুতি নয়, এটি একটি প্রশাসনিক, আইনগত অপরাধ—যার জন্য শাস্তি হওয়া উচিত আইন মোতাবেক।
একটি রাজনৈতিক দলের বিশ্বাসযোগ্যতা কেবল নেতৃত্বের বক্তৃতায় নির্ভর করে না, বরং নির্ভর করে তৃণমূল পর্যায়ের কর্মীদের আচার-আচরণ, নৈতিকতা এবং জনসম্পৃক্ততার স্বচ্ছতায়। যেসব রাজনৈতিক দল নিজেদের আদর্শিক শক্তি হিসেবে ইসলাম, মানবতা কিংবা ন্যায়বিচারের কথা বলে, তাদের পক্ষে এই চাঁদাবাজির অভিযোগ আরও নৈতিকভাবে ক্ষতিকর। কারণ, এতে কেবল রাজনৈতিক নয়, ধর্মীয় বিশ্বাসেরও অবমাননা হয়, যা সমাজে সামগ্রিকভাবে রাজনৈতিক হতাশা বাড়ায়।
আমরা চাই, সব রাজনৈতিক দল নিজেদের কর্মীদের দায়িত্বশীল, জনবান্ধব এবং নৈতিকভাবে জবাবদিহিমূলক করে গড়ে তুলুক।
আমাদের দেশে শিল্প-সাহিত্য-নাটক-সংগীত-চলচ্চিত্র হারাম হিসেবে পরিগণিত হয় বিশেষ একটি গোষ্ঠীর কাছে। এই গোষ্ঠীর কাছে ধর্ম যতটা নয়, তারচেয়ে বেশি বড় রক্ষণশীলতা, তাই প্রতিটি জায়গায় এরা চরম প্রতিক্রিয়া দেখায়। জুলাই অভ্যুত্থানের এক বছর পেরিয়ে যাওয়ার পর যা বোঝা যাচ্ছে, তা হলো বাংলাদেশ...
১১ ঘণ্টা আগেউইকিপিডিয়ায় নির্বাচনের সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে এইভাবে: নির্বাচন হলো সিদ্ধান্ত গ্রহণের এমন একটি আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে জনগণ প্রশাসনিক কাজের জন্য একজন প্রতিনিধিকে বেছে নেয়। সপ্তদশ শতক থেকে আধুনিক প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্রে নির্বাচন একটি আবশ্যিক প্রক্রিয়া হয়ে দাঁড়িয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগেদায়ী আমরা সবাই। তেজগাঁও ও কুর্মিটোলার বিমানবন্দর দুটি ১৯৪৫ সালে তৈরি করা হয়েছিল। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান যখন হলো, তখন তেজগাঁওয়ে বিমানবন্দর করা হলো বেশ বড় আকারে। এরপর ১৯৬৪ সালে নগরায়ণ ও জনসংখ্যা বাড়ার কারণে তেজগাঁওয়ের বদলে কুর্মিটোলার বিমানবন্দর বড় পরিসরে চালু করার পরিকল্পনা করা হয়।
১ দিন আগেউত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ায় বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর ঘটনা গোটা জাতিকে গভীর বেদনায় নিমজ্জিত করেছে। শিশুর কান্না, অভিভাবকের আর্তনাদ কেবল কারও ব্যক্তিগত ক্ষত বা ক্ষতি নয়, বরং একটি রাষ্ট্রের অবকাঠামোগত দুর্বলতার দিকটিকে সামনে এনেছে। প্রশিক্ষণ বিমান কোথায় চালানো উচিত,
১ দিন আগে