আকৃষ্ট করেছিল, সে বাণী যেন কথার কথায় পরিণত হওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। ভালো একটি ভবিষ্যতের আশা ক্রমেই ধূসরতার দিকে যাচ্ছে। শীর্ষ সন্ত্রাসীরা রাজধানীর নিউ এলিফ্যান্ট রোড ও নিউমার্কেট এলাকার মধ্যে থাকা ৫৭টি মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে। এই মার্কেটগুলো থেকে প্রতি মাসে সেবা খাত...
... স্কুলে থাকতেই, দীপা দত্তের বাবা সুধাংশু বিমল দত্ত আমাদের এলাকার কমিউনিস্ট এমপি ছিলেন। ওখানে ভাষা আন্দোলনের ধাক্কাটা তীব্রভাবে লাগলো। ভাষা আন্দোলনের একজন নেতা হলেন প্রিন্সিপাল কাশেম।... তারপরে ধরো এই কমিউনিস্ট আন্দোলন, আমাদের ওখানে তখন বড় বড় নেতা যেমন আহসাব উদ্দীন সাহেব, ওখানে মিটিং করতে আসতেন।
যোদ্ধা ও ভিক্ষুকের পারস্পরিক দ্বন্দ্ব এবং চরিত্র নিয়ে শ্রদ্ধেয় শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর একটি অসাধারণ লেখা ছাপা হয়েছে। লেখাটি নানা কারণেই একটা বড় চিন্তার বিষয় হয়ে পড়েছে। যদিও এসব কথা আমরা সবাই জানি। কিন্তু এমন তুলনামূলক বিশ্লেষণ কখনোই সেভাবে আসেনি।
অভূতপূর্ব এক গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের সামনে প্রকৃত অর্থেই এক নবযাত্রার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল। মনে হয়েছিল এক নতুন ভোরের সূর্যোদয়। কিন্তু ছয় মাস না পেরোতেই আশা ফিকে হয়ে আসছে। ঈষান কোণের কালো মেঘ তার বিস্তার ঘটাচ্ছে।
ঘুণে ধরা সমাজ বা কাঁচা বাশে ঘুণে ধরার কথা দৈনন্দিন জীবনে আমরা কে না শুনেছি? আবার ঘুণাক্ষরে টের না পাওয়ার বিষয়টিও আমরা কমবেশি শুনেছি। নেতিবাচক অর্থে এই ঘুণে ধরার বিষয়টি আমাদের সমাজব্যবস্থায় যেন পাকাপোক্ত স্থান করে নিয়েছে।
ঘুষ-দুর্নীতির যে শিকড় এ দেশে গজিয়েছে তা এতটাই বিস্তৃত, সরকারের অদল-বদল কিংবা আইনশৃঙ্খলার কঠোরতাকে থোড়াই পাত্তা দেয়! কিছুতেই যেন এই অপরাধের তাণ্ডবনৃত্য বন্ধ করা যাচ্ছে না।
‘আমেরিকা আবার মহান হবে’—এই হচ্ছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি। তিনি এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে ইতিমধ্যেই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে আসীন হয়েছেন। পুরো বিশ্ব পৃথিবীর এক নম্বর দেশের দিকে তাকিয়ে। কী হয় এবার? ট্রাম্প কীভাবে আমেরিকাকে আবার মহান করে গড়ে তুলবেন? তা তিনি তুলুন, কিন্তু আমাদের প্রশ্ন অন্যত্র
মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প গত সপ্তাহে ক্যাপিটলে ফিরে আসেন। অবজ্ঞা ও ক্ষমতা প্রদর্শনের মাধ্যমে তাঁর পুনরুত্থান মঞ্চস্থ হয়। নাটকীয়তা ও জাঁকজমকে মোড়ানো শপথ অনুষ্ঠানে ট্রাম্প আমেরিকার ‘পরিকল্পিত নিয়তি’র পুনর্জন্মের কথা বলেছিলেন। এবার, প্রতিশ্রুতিটি পৃথিবী ছাড়িয়ে তারার রাজ্য পর্যন্ত বিস্ত
বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের অন্যতম কেন্দ্র হলো গাজীপুর। কিন্তু এই শিল্পনগরীতে দেখা দিয়েছে একদিকে শ্রমিক অসন্তোষ, অন্যদিকে বন্ধ হয়ে গেছে অসংখ্য পোশাক কারখানা। ফলে শ্রমিকদের মধ্যে বিরাজ করছে চরম হাহাকার। মূলত গত ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে এখানে কারখানা বন্ধের হিড়িক পড়েছে। এ নিয়ে আজকের পত্রিকা
পুরস্কার, পদক, খেতাব, সম্মাননা ইত্যাদিতে মানুষের এক চিরন্তন ভালো লাগার অনুভূতি আছে। আছে তৃপ্তি ও ভালোবাসা। কারণ, এতে স্বীকৃতি ও সম্মান আছে। কেউ তাঁর অবদানের স্বীকৃতি ও সম্মান পেলে অবশ্যই ভালো লাগবে। কারণ, মানুষ শেষ পর্যন্ত কাজের, অবদানের ও অর্জনের স্বীকৃতি পেতে চায়। এ স্বীকৃতি দেয় সম্প্রদায়, সমাজ ও
বিশুদ্ধ পানির অন্যতম উৎস ভূগর্ভস্থ তথা মাটির নিচে জমে থাকা পানি। বিশ্বের ৯৭ শতাংশ বিশুদ্ধ পানি আহরিত হয় মাটির তলদেশ থেকে। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে প্রাত্যহিক জীবনে খাওয়ার পানি, রান্না, ধোয়ামোছা ও গোসলের কাজে শতভাগ প্রয়োজন পড়ে এ পানির। উপকূলীয় গ্রামীণ অঞ্চলে আমরা নলকূপ চাপলেই যে পানির নিত্য দেখা
আগের রাজনৈতিক সরকার এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন চেকের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাংকে হস্তান্তর করত এবং পরদিন স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের অমুক মাসের এমপিওর চেক হস্তান্তর শিরোনামে ফলাও করে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার করত। অনেক শিক্ষক তখন ‘না দেইখা দেখছে, পুঁটি মাছের লেখছে’, এই খনার বচনের ভাবাদর্শে সুখবর সুখবর শিরোনামে
জলবায়ু পরিবর্তন একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ। এর প্রভাব আর কেবল পরিবেশগত সমস্যা নয়; এটি মানবজীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই ভয়াবহ বিপর্যয় সৃষ্টি করছে। ইউনিসেফের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে উঠে আসা তথ্য আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে, জলবায়ু সংকট কেবল আগামী দিনের বাস্তবতা নয়, এটি ইতিমধ্যেই শিশুদের শিক্ষার মতো মৌলি
‘শক্তি-সামর্থ্য’ কম বলেই বোধ করি শুরু থেকেই উপেক্ষার শিকার বামপন্থী রাজনৈতিক দল-সংগঠন ও বুদ্ধিজীবী-পেশাজীবীরা। দিনে দিনে নানা বিষয়ে তাদের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও অন্তর্বর্তী সরকারের মতভেদও প্রকাশ পায়। ইদানীং দেশের অন্যতম প্রধান দল বিএনপির সঙ্গেও মতভেদ বাড়ছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের...
রমনা উদ্যানকে বলা হয় ‘রমনা গ্রিন’। রমনা নামটা রেখেছিলেন মুঘলরাই। ফারসি শব্দ ‘রমনা’ মানে সবুজ ঘাসে ঢাকা মাঠ বা ‘লন’। হয়তো উদ্যান হয়ে ওঠার আগে রমনা সেরকম সবুজ মাঠই ছিল, পরবর্তী সময়ে হয় জঙ্গল। কালক্রমে সেই সবুজ জঙ্গলটাই হয়ে ওঠে ঢাকা শহরের ফুসফুস।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি স্মরণীয় নাম হয়ে উঠেছিল। দেশজুড়ে বৈষম্যের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট অবস্থান এবং অভূতপূর্ব অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তারা শুধু ছাত্রসমাজ নয়, বরং সাধারণ মানুষের মধ্যেও ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল।
দেশের কৃষি খাত আধুনিকায়ন ও লাভজনক করার উদ্দেশ্যে সরকার যে ‘সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্প’ হাতে নিয়েছিল, তা দুর্নীতির কারণে ব্যর্থ হয়েছে, কৃষকদের করেছে নিরাশ।