সম্পাদকীয়
শিল্পীর নিজস্ব রাজনৈতিক পছন্দ থাকতে পারে, কিন্তু তিনি দলবাজ হলেই বিপদ। যেকোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে শিল্পী প্রতিবাদ করতে পারেন। কিন্তু সেটা সুপ্রযুক্ত হচ্ছে কি না, সেটাও তাঁকে ভেবে দেখতে হবে। যেহেতু একজন শিল্পী জনমত গঠন করার ক্ষমতা রাখেন, সেহেতু তাৎক্ষণিক উত্তেজনার বশে তাঁর কিছু বলা উচিত নয়, এতে তিনি ভুলভাবে তাঁর অনুসারীদের প্রভাবিত করতে পারেন।
কিন্তু শিল্পী কার ছবিতে অভিনয় করবেন, কার লেখা গান গাইবেন, কার পরিচালনায় নাচ করবেন, সেটা ঠিক করে দেওয়ার এখতিয়ার সরকারের নয়। কিংবা সরকারের বিপক্ষে গেলেই সেটা অন্যায় হয়েছে, এ রকম ভাবারও কোনো কারণ নেই। সেটা ঠিক করে দেওয়ার এখতিয়ার কোনো প্রতিষ্ঠানেরও হতে পারে না। শিল্প ও শিল্পীর স্বাধীনতা না থাকলে একটি দেশ নান্দনিকভাবে বেড়ে উঠতে পারে না।
পারফরমিং আর্ট জীবনের বাইরের কোনো বিষয় নয়, কিন্তু তা সরাসরি বাস্তব জীবনের প্রতিফলনও নয়। শিল্প সব সময় একটি
উন্নততর জীবন গঠনের সুযোগ সৃষ্টি করে। এই সুযোগকে সরকারি ডান্ডাবেড়ির মধ্যে আনা কোনো কাজের কথা নয়।
শিল্পীর স্বাধীনতা না থাকলে সৃষ্টিশীল কিছু নির্মাণ করাও অসম্ভব। পুরোনো গড্ডলিকা প্রবাহেই তাহলে ভেসে যেতে হয়। তাতে জীবন হয়ে ওঠে যান্ত্রিক, নব ধারাজলে স্নান করার কোনো বিষয় তাতে থাকে না। তখন পুরোনো রাজত্বই স্বৈরাচার হয়ে শিল্পকে বিকল করে দিতে চায়।
সব বিষয়েই শিল্পীর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানার যে প্রবণতা সৃষ্টি হয়েছে, সেটাও কোনো কাজের কথা নয়। শিল্পী কোনো বিষয়ে মতামত দেবেন কি দেবেন না, তা বিচার করার দায়িত্ব অন্যের নয়। তাঁকে সে বিষয়ে প্রশ্ন করা ঠিক কি না, সেটা ভেবে দেখতে হবে।
মুশকিল হয়েছে, ডিজিটাল উন্নতির ধারাবাহিকতায় প্রত্যেকেই এখন তাৎক্ষণিক মতামত চান। কোনো কোনো বিষয়ে নীরব থাকার স্বাধীনতাও যে জরুরি, সেটা অনেকেই বোঝেন না। তাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে কেউ যে কারও সম্পর্কে যেকোনো মন্তব্য করতে পারেন। তার দায়ও নিতে হয় না। একদল ইউটিউবার কীভাবে কামড়াকামড়ি করছে, তা দেখে আমোদিত হওয়ার কিছু নেই। এটা যে স্থূলতার চরম প্রকাশ, সেটা বুঝতে না পারলে সামনে ভয়াবহ বিপদ। চাইলেই এই সংকট থেকে বের হয়ে আসা যাবে না। প্রয়োজন, এদের অগ্রাহ্য করা।
সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মতামত দেওয়া হলে তা যে পরবর্তী সময়ে পরিবর্তিত হতে পারে, সেটাও মনে রাখতে হবে। সম্প্রতি আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া কয়েকজন শিল্পী তাঁদের যে মতামত প্রকাশ করেছেন, তাতে পরিবর্তিত সময়ের বাস্তবতা ফুটে উঠেছে। এ জন্য তাঁদের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর কিছু নেই। এটা তাঁদের বর্তমান উপলব্ধি। আগের উপলব্ধির সঙ্গে তা না মিললেও এই পরিবর্তনের স্বাধীনতা শিল্পীর থাকতে হবে।
কান জয় করে ইরানি পরিচালক জাফর পানাহি ইরানেই ফিরে এসেছেন। এতে ইরান সরকার খুশি হয়নি। কিন্তু ইরানের মুক্ত চলচ্চিত্র যে জাফর পানাহির মতো শিল্পীদের মাধ্যমেই বিকশিত হবে, সেটাই সত্য।
শিল্পীর নিজস্ব রাজনৈতিক পছন্দ থাকতে পারে, কিন্তু তিনি দলবাজ হলেই বিপদ। যেকোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে শিল্পী প্রতিবাদ করতে পারেন। কিন্তু সেটা সুপ্রযুক্ত হচ্ছে কি না, সেটাও তাঁকে ভেবে দেখতে হবে। যেহেতু একজন শিল্পী জনমত গঠন করার ক্ষমতা রাখেন, সেহেতু তাৎক্ষণিক উত্তেজনার বশে তাঁর কিছু বলা উচিত নয়, এতে তিনি ভুলভাবে তাঁর অনুসারীদের প্রভাবিত করতে পারেন।
কিন্তু শিল্পী কার ছবিতে অভিনয় করবেন, কার লেখা গান গাইবেন, কার পরিচালনায় নাচ করবেন, সেটা ঠিক করে দেওয়ার এখতিয়ার সরকারের নয়। কিংবা সরকারের বিপক্ষে গেলেই সেটা অন্যায় হয়েছে, এ রকম ভাবারও কোনো কারণ নেই। সেটা ঠিক করে দেওয়ার এখতিয়ার কোনো প্রতিষ্ঠানেরও হতে পারে না। শিল্প ও শিল্পীর স্বাধীনতা না থাকলে একটি দেশ নান্দনিকভাবে বেড়ে উঠতে পারে না।
পারফরমিং আর্ট জীবনের বাইরের কোনো বিষয় নয়, কিন্তু তা সরাসরি বাস্তব জীবনের প্রতিফলনও নয়। শিল্প সব সময় একটি
উন্নততর জীবন গঠনের সুযোগ সৃষ্টি করে। এই সুযোগকে সরকারি ডান্ডাবেড়ির মধ্যে আনা কোনো কাজের কথা নয়।
শিল্পীর স্বাধীনতা না থাকলে সৃষ্টিশীল কিছু নির্মাণ করাও অসম্ভব। পুরোনো গড্ডলিকা প্রবাহেই তাহলে ভেসে যেতে হয়। তাতে জীবন হয়ে ওঠে যান্ত্রিক, নব ধারাজলে স্নান করার কোনো বিষয় তাতে থাকে না। তখন পুরোনো রাজত্বই স্বৈরাচার হয়ে শিল্পকে বিকল করে দিতে চায়।
সব বিষয়েই শিল্পীর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানার যে প্রবণতা সৃষ্টি হয়েছে, সেটাও কোনো কাজের কথা নয়। শিল্পী কোনো বিষয়ে মতামত দেবেন কি দেবেন না, তা বিচার করার দায়িত্ব অন্যের নয়। তাঁকে সে বিষয়ে প্রশ্ন করা ঠিক কি না, সেটা ভেবে দেখতে হবে।
মুশকিল হয়েছে, ডিজিটাল উন্নতির ধারাবাহিকতায় প্রত্যেকেই এখন তাৎক্ষণিক মতামত চান। কোনো কোনো বিষয়ে নীরব থাকার স্বাধীনতাও যে জরুরি, সেটা অনেকেই বোঝেন না। তাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে কেউ যে কারও সম্পর্কে যেকোনো মন্তব্য করতে পারেন। তার দায়ও নিতে হয় না। একদল ইউটিউবার কীভাবে কামড়াকামড়ি করছে, তা দেখে আমোদিত হওয়ার কিছু নেই। এটা যে স্থূলতার চরম প্রকাশ, সেটা বুঝতে না পারলে সামনে ভয়াবহ বিপদ। চাইলেই এই সংকট থেকে বের হয়ে আসা যাবে না। প্রয়োজন, এদের অগ্রাহ্য করা।
সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মতামত দেওয়া হলে তা যে পরবর্তী সময়ে পরিবর্তিত হতে পারে, সেটাও মনে রাখতে হবে। সম্প্রতি আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া কয়েকজন শিল্পী তাঁদের যে মতামত প্রকাশ করেছেন, তাতে পরিবর্তিত সময়ের বাস্তবতা ফুটে উঠেছে। এ জন্য তাঁদের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর কিছু নেই। এটা তাঁদের বর্তমান উপলব্ধি। আগের উপলব্ধির সঙ্গে তা না মিললেও এই পরিবর্তনের স্বাধীনতা শিল্পীর থাকতে হবে।
কান জয় করে ইরানি পরিচালক জাফর পানাহি ইরানেই ফিরে এসেছেন। এতে ইরান সরকার খুশি হয়নি। কিন্তু ইরানের মুক্ত চলচ্চিত্র যে জাফর পানাহির মতো শিল্পীদের মাধ্যমেই বিকশিত হবে, সেটাই সত্য।
পৃথিবী নামের এই গ্রহের ‘উন্নত জীবন-বিলাসী’ বাসিন্দারা নিজেদের দৈনন্দিন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমেই মূলত প্রতিনিয়ত বাড়িয়ে চলেছে কার্বন নিঃসরণ। তাতে তাপমাত্রা বেড়ে এমন পর্যায়ে পৌঁছাচ্ছে, যা গ্রহটির অস্তিত্বের জন্যই হুমকিস্বরূপ। ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোপার্নিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিসের (সিথ্রিএস) বিজ্ঞানীরা জানিয়
১৮ ঘণ্টা আগে২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট হতে যাচ্ছে এক ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণের সাক্ষী। কারণ এই বাজেট তৈরি করছে এমন একটি সরকার, যার মেয়াদ সীমিত, কিন্তু প্রত্যাশার ভার অপরিসীম। অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সাম্প্রতিক বক্তব্যে যে অর্থনৈতিক দর্শনের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে...
১৮ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) আবারও খবরে। না, নতুন কোনো আবিষ্কার বা গবেষণার সফলতায় নয়, বরং গবেষণার জন্য সংরক্ষিত মোরগ চুরির ঘটনায়। এবার সংখ্যাটি ১৩, আগেরবার ছিল ৩৮।
১৮ ঘণ্টা আগেজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. এস এম আনোয়ারা বেগমকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় ক্ষোভ ও বিস্ময় প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংগঠনসহ বিভিন্ন সচেতন মহল। একই ধরনের মামলায় জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে জামিনে মুক্তি পান।
১ দিন আগে