সম্পাদকীয়
কয়েক মাস ধরে রাজধানী ঢাকায় একের পর এক আন্দোলন চলছে। একটা আন্দোলনের দাবি মেনে নেওয়া হলে শুরু হয় অন্য দাবির আরেক আন্দোলন। আন্দোলন চলাকালে সড়কে যানজট লেগে থাকা যেন অতি সাধারণ ব্যাপার! এই অবস্থায় নগরবাসীর চলাচলে বিঘ্ন ঘটে, গন্তব্যে পৌঁছাতে বিলম্ব হয়, জ্যামে আটকে অ্যাম্বুলেন্সের মুমূর্ষু রোগীর কী হাল হয়—এসব সম্পর্কে সবাই অবগত। কিন্তু কোনো আন্দোলনের কারণে সরকারি সেবা বন্ধ থাকলেও যে নগরবাসীকে নাকাল হতে হয়, সে খবর হয়তো পাঠক জানতে পারেন ২৭ মে আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত ‘ডিএসসিসিতে সেবা বন্ধ ভোগান্তিতে নগরবাসী’ শিরোনামের খবরটি পড়ে।
ডিএসসিসি, অর্থাৎ ঢাকা সাউথ (দক্ষিণ) সিটি করপোরেশন রাজধানীর দক্ষিণ ভাগের মানুষের সেবা দিতে বাধ্য। কোনো নাগরিকের জন্ম বা মৃত্যু নিবন্ধনের কাজ, কারও ট্রেড লাইসেন্সের কাজ, কেউ জাতীয়তা বা চারিত্রিক সনদ নিতে চাইতে পারেন কিংবা কোনো ব্যবসায়ীর দোকানের ইজারা বা দোকান স্থানান্তরের কাজ ইত্যাদির জন্য ধরনা দিতে হয় সিটি করপোরেশনে। এমনকি সিটি করপোরেশনের যদি কোনো এলাকার রাস্তা মেরামতের কাজ করতে গেলে অসাবধানতাবশত গ্যাস বা বিদ্যুতের লাইন কেটে যায়, তাহলে ওই এলাকাবাসী অভিযোগটা গিয়ে সিটি করপোরেশনেই করবেন। কিন্তু নগরবাসীর এমন জরুরি অবস্থায় যদি সিটি করপোরেশন বন্ধ থাকে আর তাঁরা বারবার সেখানে গিয়ে বিরক্ত হয়ে ফিরে আসেন?
এমনটাই হচ্ছে। ডিএসসিসিতে নাগরিক সেবা রয়েছে বন্ধ। কারণ আন্দোলন চলছে—ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনের শপথ পাঠ না করানো পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে। ইশরাক হোসেনের শপথ পাঠ নিয়ে যে ধোঁয়াশার রাজনীতির সৃষ্টি হয়েছে, সেটা অন্য আলাপ। কিন্তু এর মধ্যে দৈনন্দিন জরুরি সেবা না পেয়ে জনগণকে কেন ভুগতে হবে? প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, ২৬ মে আন্দোলনে ইশরাক হোসেনের সমর্থকদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন সিটি করপোরেশনের শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের একাংশ। তাঁরা মেয়র ছাড়া অফিস করবেন না বলে স্লোগানও দিয়েছেন। কারণ তাঁরা ইশরাককে ‘ভালোবাসেন’।
সেদিন সকাল থেকে বিক্ষোভকারীরা নগর ভবনের প্রবেশপথ আটকে অবস্থান নিলে অনেক নগরবাসীই প্রয়োজনীয় কাজ সারতে এসে ফিরে যেতে বাধ্য হন। তাঁরা অভিযোগ করেন, অফিস বন্ধ, কেউ কাজ করছেন না এবং কবে অফিস খুলবে বা তাঁদের কাজ আদায় হবে, তা কেউ বলতে পারছেন না। বোঝাই যাচ্ছে, নগর ভবনে কাজ একপ্রকার থেমেই আছে। সিটি করপোরেশনের শ্রমিক-কর্মচারীরা পরে যোগ দিলেও এমন অচল অবস্থা চলছে ১৪ মে থেকে। অর্থাৎ, দুই সপ্তাহ যাবৎ নাগরিকেরা জরুরি সেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন।
ইশরাকের প্রতি ‘ভালোবাসা’ থাকাটা অন্যায় কিছু নয়। কিন্তু তাই বলে কি জনগণের প্রতি বিন্দুমাত্র দায়িত্ববোধ থাকবে না সরকারি কর্মচারীদের? জনগণকে না ভালোবাসলে কি এই দায়িত্ববোধের জন্ম নেয়? যেকোনো যুক্তিসংগত আন্দোলন চলতে পারে, কিন্তু তা যেন কোনো নাগরিকের ভোগান্তির কারণ না হয়। আন্দোলনকারীরা মাথা ঠান্ডা রেখে ব্যাপারটা একটু ভেবে দেখবেন।
কয়েক মাস ধরে রাজধানী ঢাকায় একের পর এক আন্দোলন চলছে। একটা আন্দোলনের দাবি মেনে নেওয়া হলে শুরু হয় অন্য দাবির আরেক আন্দোলন। আন্দোলন চলাকালে সড়কে যানজট লেগে থাকা যেন অতি সাধারণ ব্যাপার! এই অবস্থায় নগরবাসীর চলাচলে বিঘ্ন ঘটে, গন্তব্যে পৌঁছাতে বিলম্ব হয়, জ্যামে আটকে অ্যাম্বুলেন্সের মুমূর্ষু রোগীর কী হাল হয়—এসব সম্পর্কে সবাই অবগত। কিন্তু কোনো আন্দোলনের কারণে সরকারি সেবা বন্ধ থাকলেও যে নগরবাসীকে নাকাল হতে হয়, সে খবর হয়তো পাঠক জানতে পারেন ২৭ মে আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত ‘ডিএসসিসিতে সেবা বন্ধ ভোগান্তিতে নগরবাসী’ শিরোনামের খবরটি পড়ে।
ডিএসসিসি, অর্থাৎ ঢাকা সাউথ (দক্ষিণ) সিটি করপোরেশন রাজধানীর দক্ষিণ ভাগের মানুষের সেবা দিতে বাধ্য। কোনো নাগরিকের জন্ম বা মৃত্যু নিবন্ধনের কাজ, কারও ট্রেড লাইসেন্সের কাজ, কেউ জাতীয়তা বা চারিত্রিক সনদ নিতে চাইতে পারেন কিংবা কোনো ব্যবসায়ীর দোকানের ইজারা বা দোকান স্থানান্তরের কাজ ইত্যাদির জন্য ধরনা দিতে হয় সিটি করপোরেশনে। এমনকি সিটি করপোরেশনের যদি কোনো এলাকার রাস্তা মেরামতের কাজ করতে গেলে অসাবধানতাবশত গ্যাস বা বিদ্যুতের লাইন কেটে যায়, তাহলে ওই এলাকাবাসী অভিযোগটা গিয়ে সিটি করপোরেশনেই করবেন। কিন্তু নগরবাসীর এমন জরুরি অবস্থায় যদি সিটি করপোরেশন বন্ধ থাকে আর তাঁরা বারবার সেখানে গিয়ে বিরক্ত হয়ে ফিরে আসেন?
এমনটাই হচ্ছে। ডিএসসিসিতে নাগরিক সেবা রয়েছে বন্ধ। কারণ আন্দোলন চলছে—ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনের শপথ পাঠ না করানো পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে। ইশরাক হোসেনের শপথ পাঠ নিয়ে যে ধোঁয়াশার রাজনীতির সৃষ্টি হয়েছে, সেটা অন্য আলাপ। কিন্তু এর মধ্যে দৈনন্দিন জরুরি সেবা না পেয়ে জনগণকে কেন ভুগতে হবে? প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, ২৬ মে আন্দোলনে ইশরাক হোসেনের সমর্থকদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন সিটি করপোরেশনের শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের একাংশ। তাঁরা মেয়র ছাড়া অফিস করবেন না বলে স্লোগানও দিয়েছেন। কারণ তাঁরা ইশরাককে ‘ভালোবাসেন’।
সেদিন সকাল থেকে বিক্ষোভকারীরা নগর ভবনের প্রবেশপথ আটকে অবস্থান নিলে অনেক নগরবাসীই প্রয়োজনীয় কাজ সারতে এসে ফিরে যেতে বাধ্য হন। তাঁরা অভিযোগ করেন, অফিস বন্ধ, কেউ কাজ করছেন না এবং কবে অফিস খুলবে বা তাঁদের কাজ আদায় হবে, তা কেউ বলতে পারছেন না। বোঝাই যাচ্ছে, নগর ভবনে কাজ একপ্রকার থেমেই আছে। সিটি করপোরেশনের শ্রমিক-কর্মচারীরা পরে যোগ দিলেও এমন অচল অবস্থা চলছে ১৪ মে থেকে। অর্থাৎ, দুই সপ্তাহ যাবৎ নাগরিকেরা জরুরি সেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন।
ইশরাকের প্রতি ‘ভালোবাসা’ থাকাটা অন্যায় কিছু নয়। কিন্তু তাই বলে কি জনগণের প্রতি বিন্দুমাত্র দায়িত্ববোধ থাকবে না সরকারি কর্মচারীদের? জনগণকে না ভালোবাসলে কি এই দায়িত্ববোধের জন্ম নেয়? যেকোনো যুক্তিসংগত আন্দোলন চলতে পারে, কিন্তু তা যেন কোনো নাগরিকের ভোগান্তির কারণ না হয়। আন্দোলনকারীরা মাথা ঠান্ডা রেখে ব্যাপারটা একটু ভেবে দেখবেন।
এক অস্থির ও অনিশ্চিত সময় কাটছে দেশবাসীর। কয়েক দিন ধরে চলেছে প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগবিষয়ক ঘটনা। নানা গুজব, প্রচার-অপপ্রচার, শালীন, অশালীন নানা মন্তব্যে ভরে উঠছে ফেসবুক আর ইউটিউবের পাতা। মানুষের মনে স্বস্তি নেই, তবু অদ্ভুত এক জীবনচর্চার মধ্যে তারা ঢুকে গেছে। এখানে-সেখানে সমাবেশ হচ্ছে, কোথাও গরম পানির
১৫ ঘণ্টা আগে‘অতি যত্নের সঙ্গে, প্রভূত সম্মানের সঙ্গে এবং অনেক ভালোবাসায় মানুষটিকে আমরা এইখানেই সমাহিত করেছি। আপনাদের দেশের ছেলেটি আমাদের দেশের মাটিতে চিরনিদ্রায় শায়িত’, বলতে বলতে বৃদ্ধের গলা ধরে আসে। আমি সমাধির শ্বেতপাথরের ফলকের দিকে তাকাই। ঠাস বুনোনো লেখা, অনেক অক্ষরের কালো অংশ উঠে গেছে, তবু পড়া যায়।
১৬ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে ট্রেন দুর্ঘটনা এবং ট্রেন থেকে তেল চুরির ঘটনা প্রায়ই ঘটে। কিন্তু এবার এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে রেললাইনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়—সিগন্যালের সরঞ্জাম চুরির ঘটনা। ট্রেনের সিগন্যালের সরঞ্জাম চুরি নিয়ে ২৭ মে আজকের পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগে২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার দীর্ঘ শাসনের অবসানের পর বাংলাদেশের মানুষ একটি ভালো পরিবর্তনের আশা করেছিল। মানুষ চেয়েছিল একটি দায়িত্বশীল, সৎ ও বৈষম্যহীন সরকার। যেহেতু কোনো বিশেষ বা একক রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বে নয়, পরিবর্তনটা এসেছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে, সেহেতু পরিবর্তিত বাস্তবতায় ন্যায্য
২ দিন আগে