সম্পাদকীয়
ইচ্ছে করে এই বর্ষায় প্রিয়জনের হাত ধরে ভিজে চুপচুপ হই! ইচ্ছে করে তাঁকে নিয়ে নদীর তীরে উদাসী হই। সত্যি, আমারও মন চায় দলবেঁধে গান করি, উৎসবে মাতি! নিশ্চয় আপনারও এমন ইচ্ছে করে। প্রিয়জনের হাত ধরে পার্কে ঘুরবেন, শপিংয়ে যাবেন, সারা বিকেল আড্ডা দিয়ে, সিনেমা দেখে রাত করে বাসায় ফিরবেন—এমন ইচ্ছে কার না হয়! দীর্ঘ এক বছরের বেশি সময় ধরে আমরা সবাই অনেকটাই অবরুদ্ধ জীবনযাপন করে ক্লান্ত, অবসন্ন। আমাদের শিশুদের মুখের দিকে তাকানো যায় না। তারা স্কুলে যেতে পারছে না, খেলা বলতে ইলেকট্রনিক ডিভাইসে চোখের রোগ বাধানো। এমন অসংখ্য মন খারাপের দড়িদড়া ছিঁড়ে সবারই বের হয়ে যেতে ইচ্ছে করে। আবার এ-ও জানি, জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে আমাকে-আপনাকে বাইরে যেতে হয়। জীবন বাঁচানোর তাগিদে জীবিকার প্রয়োজনেই আমাদের বাইরে না গিয়েও থাকা যায় না।
তারপরও আমাদের বাইরে যাওয়া মানা। এই নিষেধের দিন আরও বাড়ল। এবার শুধু বাড়ল নয়; বরং আরও কঠোর করা হলো। এটাও আমাকে-আপনাকে বাঁচানোর জন্যই! জীবিকার খোঁজে বাইরে না গেলে যেমন আমাদের বাঁচতে কষ্ট হয়; তেমনি আমাদের বাঁচতে হলেও বাইরে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কষ্ট তো আমরা করছিই। যে যেখানে আছি, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, শ্রমজীবী, ভ্যানচালক, সবজিওয়ালা, ছাত্র-শিক্ষক, দোকানি–সবারই আরেকটু কষ্ট করতে হবে। হ্যাঁ, আমরা সাংবাদিক, পুলিশ, চিকিৎসকসহ করোনাযুদ্ধের সামনের সারিতে যারা আছি, তাদের তো মৃত্যুঝুঁকি নিয়েই বাইরে যেতে হয়। এসব করোনাযোদ্ধার অনেকেই ইতিমধ্যে মৃত্যুর মর্মান্তিক স্বাদ নিয়েছেন! একটি বিপুল জনগোষ্ঠীর কল্যাণে কাউকে না কাউকে ত্যাগ স্বীকার করতে হয়। এর মানে এই নয় যে, আমাদের সবাইকে জেনেশুনে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে হবে।
সাম্প্রতিক সময়ে করোনার প্রকোপ বেশ ভয়ংকর রূপ নিচ্ছে। ক্রমেই লম্বা হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। আমার-আপনার প্রিয়জনই এ মিছিলে শামিল হচ্ছেন। আমরা কেউ জানি না, সামনে আমাদের কার কপাল মন্দ আর কার নাম উঠতে যাচ্ছে অনাগত মৃত্যুর তালিকায়! যে কয়দিন কঠোর লকডাউনের কথা বলছে সরকার; চলুন, সেই কয়দিন একটু বেশি সতর্ক হই। যারা এত দিন মাস্ক পরেননি, স্বাস্থ্যবিধি মানেননি, মহল্লার অলি-গলিতে কারণে-অকারণে আড্ডা দিয়েছেন, যাঁরা অপ্রয়োজনীয় শপিংয়ের বাহানায় দলবেঁধে জটলা করেছেন, পার্টি করেছেন, সভা-সমাবেশ করেছেন, বিয়ে, জন্মদিনসহ নানান সামাজিক আচার-অনুষ্ঠান করেছেন বেপরোয়াভাবে, এবার সবাই একটু গোল হয়ে বসুন। ঘরের প্রিয়জনের মুখের দিকে চেয়ে ঘরেই থাকুন। চলুন আমরা আরেকটু সতর্ক হই, সচেতন থাকি। আগে জীবনের জন্য বাঁচুন। নিশ্বাস বেঁচে থাকলে, ইচ্ছেরাও বাঁচবে। অবরুদ্ধ থেকে থেকে মনের ভেতরে চাপা কষ্ট তৈরি হয়, তা জানি। তারপরও এই কষ্টের পর যেন কোনো নতুন ভোরের দেখা পাই, আবারও যেন উচ্ছ্বাসে দৌড়াতে পারি দিগন্তের সবুজ নিসর্গে—এটিই সবার চাওয়া।
ইচ্ছে করে এই বর্ষায় প্রিয়জনের হাত ধরে ভিজে চুপচুপ হই! ইচ্ছে করে তাঁকে নিয়ে নদীর তীরে উদাসী হই। সত্যি, আমারও মন চায় দলবেঁধে গান করি, উৎসবে মাতি! নিশ্চয় আপনারও এমন ইচ্ছে করে। প্রিয়জনের হাত ধরে পার্কে ঘুরবেন, শপিংয়ে যাবেন, সারা বিকেল আড্ডা দিয়ে, সিনেমা দেখে রাত করে বাসায় ফিরবেন—এমন ইচ্ছে কার না হয়! দীর্ঘ এক বছরের বেশি সময় ধরে আমরা সবাই অনেকটাই অবরুদ্ধ জীবনযাপন করে ক্লান্ত, অবসন্ন। আমাদের শিশুদের মুখের দিকে তাকানো যায় না। তারা স্কুলে যেতে পারছে না, খেলা বলতে ইলেকট্রনিক ডিভাইসে চোখের রোগ বাধানো। এমন অসংখ্য মন খারাপের দড়িদড়া ছিঁড়ে সবারই বের হয়ে যেতে ইচ্ছে করে। আবার এ-ও জানি, জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে আমাকে-আপনাকে বাইরে যেতে হয়। জীবন বাঁচানোর তাগিদে জীবিকার প্রয়োজনেই আমাদের বাইরে না গিয়েও থাকা যায় না।
তারপরও আমাদের বাইরে যাওয়া মানা। এই নিষেধের দিন আরও বাড়ল। এবার শুধু বাড়ল নয়; বরং আরও কঠোর করা হলো। এটাও আমাকে-আপনাকে বাঁচানোর জন্যই! জীবিকার খোঁজে বাইরে না গেলে যেমন আমাদের বাঁচতে কষ্ট হয়; তেমনি আমাদের বাঁচতে হলেও বাইরে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কষ্ট তো আমরা করছিই। যে যেখানে আছি, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, শ্রমজীবী, ভ্যানচালক, সবজিওয়ালা, ছাত্র-শিক্ষক, দোকানি–সবারই আরেকটু কষ্ট করতে হবে। হ্যাঁ, আমরা সাংবাদিক, পুলিশ, চিকিৎসকসহ করোনাযুদ্ধের সামনের সারিতে যারা আছি, তাদের তো মৃত্যুঝুঁকি নিয়েই বাইরে যেতে হয়। এসব করোনাযোদ্ধার অনেকেই ইতিমধ্যে মৃত্যুর মর্মান্তিক স্বাদ নিয়েছেন! একটি বিপুল জনগোষ্ঠীর কল্যাণে কাউকে না কাউকে ত্যাগ স্বীকার করতে হয়। এর মানে এই নয় যে, আমাদের সবাইকে জেনেশুনে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে হবে।
সাম্প্রতিক সময়ে করোনার প্রকোপ বেশ ভয়ংকর রূপ নিচ্ছে। ক্রমেই লম্বা হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। আমার-আপনার প্রিয়জনই এ মিছিলে শামিল হচ্ছেন। আমরা কেউ জানি না, সামনে আমাদের কার কপাল মন্দ আর কার নাম উঠতে যাচ্ছে অনাগত মৃত্যুর তালিকায়! যে কয়দিন কঠোর লকডাউনের কথা বলছে সরকার; চলুন, সেই কয়দিন একটু বেশি সতর্ক হই। যারা এত দিন মাস্ক পরেননি, স্বাস্থ্যবিধি মানেননি, মহল্লার অলি-গলিতে কারণে-অকারণে আড্ডা দিয়েছেন, যাঁরা অপ্রয়োজনীয় শপিংয়ের বাহানায় দলবেঁধে জটলা করেছেন, পার্টি করেছেন, সভা-সমাবেশ করেছেন, বিয়ে, জন্মদিনসহ নানান সামাজিক আচার-অনুষ্ঠান করেছেন বেপরোয়াভাবে, এবার সবাই একটু গোল হয়ে বসুন। ঘরের প্রিয়জনের মুখের দিকে চেয়ে ঘরেই থাকুন। চলুন আমরা আরেকটু সতর্ক হই, সচেতন থাকি। আগে জীবনের জন্য বাঁচুন। নিশ্বাস বেঁচে থাকলে, ইচ্ছেরাও বাঁচবে। অবরুদ্ধ থেকে থেকে মনের ভেতরে চাপা কষ্ট তৈরি হয়, তা জানি। তারপরও এই কষ্টের পর যেন কোনো নতুন ভোরের দেখা পাই, আবারও যেন উচ্ছ্বাসে দৌড়াতে পারি দিগন্তের সবুজ নিসর্গে—এটিই সবার চাওয়া।
গত সংখ্যায় লিখেছিলাম, এখন আর ছাত্র খুঁজে পাওয়া যায় না, চারদিকে পরীক্ষার্থী। কিন্তু দ্রুতই দেখা যাচ্ছে, ছাত্র এবং পরীক্ষার্থী কাউকেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ছাত্রদের একটা বৃহদাংশ রাজনীতিবিদে পরিণত হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, তাদের অঙ্গুলি হেলনে বড় বড় রাজনৈতিক সিদ্ধান্তও হয়ে যাচ্ছে। ভেবেছিলাম প্রাথমিক শিক্ষা
১৫ ঘণ্টা আগেবিজ্ঞানীরা বিংশ শতাব্দীজুড়ে বহির্জাগতিক প্রাণ অনুসন্ধানের চেষ্টা চালিয়েছেন। খুঁজেছেন কার্বনভিত্তিক, সিলিকনভিত্তিক বা অ্যামোনিয়া যৌগনির্ভর প্রাণ। এটা আমাদের জানা জরুরি যে প্রাণের প্রকৃতি, আর অন্য জায়গায় প্রাণ আছে কি না, তা আসলে একই প্রশ্নের দুটো দিক। তা হলো, ‘কেন আমরা এখানে?’ বিস্ময়ের ব্যাপার হচ্ছে,
১৫ ঘণ্টা আগেপরিবার হলো মূলত রক্ত-সম্পর্কিত ব্যক্তিদের সংগঠন, যেখানে সব সদস্যের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, নিরাপত্তা এবং বিনোদনের আয়োজন হয়ে থাকে। পরিবার কখন কী কারণে গড়ে উঠেছে, তা নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে। বেশির ভাগের মত হলো, মানুষ সমতলে বসবাস করার সময় কৃষিকাজ শিখে ফেলে। কৃষিজাত পণ্য সংরক্ষণের জন্য গোলাঘর
১৫ ঘণ্টা আগেনিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি মানুষের আকর্ষণ বেশি, এ কথা নতুন নয়। এবং এ ব্যাপারে প্রমাণের অভাব নেই। একটা কিছু নিষিদ্ধ করলেই যে তা ব্যবহার করা বন্ধ হয়ে যাবে, এমন ভাবাটাই ভুল। ধরুন, একটি রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলে সেই দলটি যে ছদ্মবেশে বা তলে তলে রাজনীতি করবে না, সেই গ্যারান্টি কে দিতে পারে? তেমনি কেউ
১৫ ঘণ্টা আগে