সম্পাদকীয়
বাংলাদেশে নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা এক ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। যা সমাজের স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা এবং সমাজকে সামনে অগ্রসর হতে বাধার সৃষ্টি করছে। গত পাঁচ মাসে নারী ও শিশু নির্যাতনের ৯ হাজার ১০০টি মামলা দায়ের হয়েছে—যা দৈনিক ৬০টি এবং প্রতি ২৪ মিনিটে একটি মামলার সমান। এই নিয়ে ২০ জুলাই আজকের পত্রিকায় যে সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছে, তা রীতিমতো আশঙ্কা সৃষ্টি করছে।
সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কয়েকটি আলোচিত ঘটনা সমাজের বিবেককে নাড়া দিয়েছে। বগুড়ায় এক স্কুলছাত্রীকে বখাটে যুবকের ছুরিকাঘাত, খাগড়াছড়িতে ত্রিপুরা নৃগোষ্ঠীর এক স্কুলছাত্রীর গণধর্ষণ এবং কুমিল্লা ও ভোলার দুই নারীকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের ঘটনা প্রমাণ করে যে নারী ও শিশুরা প্রতিনিয়ত অনিরাপদ পরিবেশে বসবাস করছে।
মূলত দেশের নতুন বাস্তবতায় মানুষ আশাবাদী হলেও বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, মব ভায়োলেন্স, ছিনতাই, পাশবিকভাবে হত্যার ঘটনা বন্ধ হয়নি। কিন্তু সরকার সব ধরনের অপরাধ দমনে ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। এসব অপরাধের পাশাপাশি নারী ও শিশু নির্যাতনের মতো ঘটনাগুলো কম ঘটছে না। কারণ, সমাজে একটি অপরাধ সংঘটিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রচলিত অন্যান্য অপরাধও বেড়ে যায়।
সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে যখন মব ও মাজার ভাঙার ঘটনাগুলো ঘটছিল, তখন যদি শক্ত হাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সক্রিয় করা যেত, তাহলে নারী ও শিশু নির্যাতনসহ অন্য অপরাধগুলো সেভাবে বেড়ে যেতে পারত না। এসব ঘটনায় প্রথমে ব্যর্থতা সরকারের এবং তারপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর বর্তায়। কিন্তু আমরা বারবার দেখছি, কোনো ঘটনার পর আগের অন্যান্য সরকারের মতো বর্তমান সরকারের পক্ষ থেকেও শুধু ‘আশার বাণী’ দেওয়া হয়।
অপরাধীদের দ্রুত বিচার এবং ভুক্তভোগীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করলে কোনো অপরাধের সংখ্যাই কমবে না। দীর্ঘ মেয়াদে নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা কমাতে হলে শুধু আইন প্রয়োগ নয়, সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি বদলানো, সচেতনতা বাড়ানো এবং দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা জরুরি। এসব জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সরকার বারবার যখন ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে, তখন আমাদের প্রত্যাশায় ভাটা পড়ে বৈকি।
থানাগুলোতে নারী ও শিশু সহায়তা ডেস্কগুলোকে আরও সক্রিয় করা দরকার। পাশাপাশি প্রয়োজন বিচারপ্রক্রিয়ার গতি বৃদ্ধি করা; যাতে অপরাধীরা দ্রুততম সময়ে শাস্তি পায়। যখন অপরাধীরা বিনা বাধায় ঘুরে বেড়ায়, তখন তা অন্যদেরও অপরাধ করতে উৎসাহিত করে। একই সঙ্গে ভুক্তভোগীদের আইনি সহায়তা, মনস্তাত্ত্বিক সমর্থন এবং সামাজিক পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা অত্যন্ত জরুরি। অনেক ক্ষেত্রেই ভুক্তভোগীরা সামাজিক লাঞ্ছনার ভয়ে মুখ খুলতে দ্বিধা করে, যা অপরাধীদের জন্য আরও অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে।
নারী ও শিশু নির্যাতন সমস্যার সমাধানে সরকার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী,
বিচার বিভাগ, মানবাধিকার সংগঠনসহ সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। নয়তো হাতে লণ্ঠন নিয়ে বসে থেকে নারী ও শিশুবান্ধব সমাজ খুঁজে পাওয়া যাবে না!
বাংলাদেশে নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা এক ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। যা সমাজের স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা এবং সমাজকে সামনে অগ্রসর হতে বাধার সৃষ্টি করছে। গত পাঁচ মাসে নারী ও শিশু নির্যাতনের ৯ হাজার ১০০টি মামলা দায়ের হয়েছে—যা দৈনিক ৬০টি এবং প্রতি ২৪ মিনিটে একটি মামলার সমান। এই নিয়ে ২০ জুলাই আজকের পত্রিকায় যে সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছে, তা রীতিমতো আশঙ্কা সৃষ্টি করছে।
সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কয়েকটি আলোচিত ঘটনা সমাজের বিবেককে নাড়া দিয়েছে। বগুড়ায় এক স্কুলছাত্রীকে বখাটে যুবকের ছুরিকাঘাত, খাগড়াছড়িতে ত্রিপুরা নৃগোষ্ঠীর এক স্কুলছাত্রীর গণধর্ষণ এবং কুমিল্লা ও ভোলার দুই নারীকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের ঘটনা প্রমাণ করে যে নারী ও শিশুরা প্রতিনিয়ত অনিরাপদ পরিবেশে বসবাস করছে।
মূলত দেশের নতুন বাস্তবতায় মানুষ আশাবাদী হলেও বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, মব ভায়োলেন্স, ছিনতাই, পাশবিকভাবে হত্যার ঘটনা বন্ধ হয়নি। কিন্তু সরকার সব ধরনের অপরাধ দমনে ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। এসব অপরাধের পাশাপাশি নারী ও শিশু নির্যাতনের মতো ঘটনাগুলো কম ঘটছে না। কারণ, সমাজে একটি অপরাধ সংঘটিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রচলিত অন্যান্য অপরাধও বেড়ে যায়।
সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে যখন মব ও মাজার ভাঙার ঘটনাগুলো ঘটছিল, তখন যদি শক্ত হাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সক্রিয় করা যেত, তাহলে নারী ও শিশু নির্যাতনসহ অন্য অপরাধগুলো সেভাবে বেড়ে যেতে পারত না। এসব ঘটনায় প্রথমে ব্যর্থতা সরকারের এবং তারপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর বর্তায়। কিন্তু আমরা বারবার দেখছি, কোনো ঘটনার পর আগের অন্যান্য সরকারের মতো বর্তমান সরকারের পক্ষ থেকেও শুধু ‘আশার বাণী’ দেওয়া হয়।
অপরাধীদের দ্রুত বিচার এবং ভুক্তভোগীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করলে কোনো অপরাধের সংখ্যাই কমবে না। দীর্ঘ মেয়াদে নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা কমাতে হলে শুধু আইন প্রয়োগ নয়, সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি বদলানো, সচেতনতা বাড়ানো এবং দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা জরুরি। এসব জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সরকার বারবার যখন ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে, তখন আমাদের প্রত্যাশায় ভাটা পড়ে বৈকি।
থানাগুলোতে নারী ও শিশু সহায়তা ডেস্কগুলোকে আরও সক্রিয় করা দরকার। পাশাপাশি প্রয়োজন বিচারপ্রক্রিয়ার গতি বৃদ্ধি করা; যাতে অপরাধীরা দ্রুততম সময়ে শাস্তি পায়। যখন অপরাধীরা বিনা বাধায় ঘুরে বেড়ায়, তখন তা অন্যদেরও অপরাধ করতে উৎসাহিত করে। একই সঙ্গে ভুক্তভোগীদের আইনি সহায়তা, মনস্তাত্ত্বিক সমর্থন এবং সামাজিক পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা অত্যন্ত জরুরি। অনেক ক্ষেত্রেই ভুক্তভোগীরা সামাজিক লাঞ্ছনার ভয়ে মুখ খুলতে দ্বিধা করে, যা অপরাধীদের জন্য আরও অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে।
নারী ও শিশু নির্যাতন সমস্যার সমাধানে সরকার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী,
বিচার বিভাগ, মানবাধিকার সংগঠনসহ সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। নয়তো হাতে লণ্ঠন নিয়ে বসে থেকে নারী ও শিশুবান্ধব সমাজ খুঁজে পাওয়া যাবে না!
নয়া কর্মসংস্থান সৃষ্টি, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারা জোরদারকরণ, বিনিয়োগে খুদে উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি প্রভৃতি দিক বিবেচনায় বাজেটে ও রাষ্ট্রের অন্যান্য নীতিমালায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে (এসএমই) বাড়তি গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজনের কথা বহুদিন ধরেই বলা হচ্ছে।
৫ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর জীবিকা কৃষির সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। এই কৃষি খাত শুধু খাদ্যনিরাপত্তাই নিশ্চিত করে আসছে না, বরং অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে।
৫ ঘণ্টা আগেদুটো ঘটনা ঘটল পরপর। গোপালগঞ্জ আর চকরিয়ায়। প্রথম ঘটনায় দুঃখজনকভাবে ঝরে পড়েছে পাঁচটি প্রাণ। এই প্রাণহানি এড়ানো যেত কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। দ্বিতীয় ঘটনাটিতে দেখা যাচ্ছে, কক্সবাজারে এনসিপির একজন নেতার বক্তৃতার সূত্র ধরে বিএনপি মহলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
১ দিন আগে২০০০ সালে যুক্তরাষ্ট্র ছিল উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার অধিকাংশ দেশ, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের কিছু বড় অর্থনীতির দেশ এবং আফ্রিকার কিছু দেশের প্রধান বাণিজ্য অংশীদার। আর ইউরোপীয় ইউনিয়ন আধিপত্য বিস্তার করেছিল ইউরোপের প্রায় পুরো অঞ্চল, আফ্রিকা ও এশিয়ার বিস্তৃত অংশ এবং দক্ষিণ আমেরিকার কিছু দেশের সঙ্গে।
১ দিন আগে