Ajker Patrika

যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত বেড়ে ২০, আহত অন্তত ১৭১

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২১ জুলাই ২০২৫, ২১: ৪২
ছবি: আইএসপিআর
ছবি: আইএসপিআর

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভবনে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে ২০ জনে পৌঁছেছে, আর আহত হয়েছে অন্তত ১৭১ জন। আজ সোমবার (২১ জুলাই) বিকেল ৫টা ২৫ মিনিটে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

আইএসপিআরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আহত ও নিহত ব্যক্তিদের বিভিন্ন হাসপাতালে নিচের তালিকায় স্থানান্তর করা হয়েছে:

আহতদের অবস্থান:

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট: ৭০ জন

উত্তরা আধুনিক হাসপাতাল: ৬০ জন

সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ): ১৭ জন

লুবনা জেনারেল হাসপাতাল ও কার্ডিয়াক সেন্টার: ১১ জন

কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল: ৮ জন

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল: তিনজন

কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল: একজন

উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতাল: একজন

মোট আহত: ১৭১ জন

মরদেহের অবস্থান:

সিএমএইচ: ১২ জন

জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউট: দুজন

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল: একজন

কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল: দুজন

লুবনা জেনারেল হাসপাতাল: দুজন

উত্তরা আধুনিক হাসপাতাল: একজন

এর আগে বেলা ১টা ৬ মিনিটে কুর্মিটোলাস্থ বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ঘাঁটি এ কে খন্দকার থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই FT-7 BGI মডেলের যুদ্ধবিমানটি যান্ত্রিক ত্রুটির সম্মুখীন হয়ে উত্তরার দিয়াবাড়িতে অবস্থিত মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিধ্বস্ত হয়।

উদ্ধার তৎপরতা ও তদন্ত

দুর্ঘটনার পরপরই সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, র‍্যাব, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার তৎপরতায় যোগ দেয়। বিমানবাহিনী জানায়, ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলাম বিমানটি জনবসতি এড়িয়ে নিরাপদ স্থানে নামানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন। দুর্ঘটনার পর আহত ব্যক্তিদের দ্রুত বিভিন্ন হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

বিমানবাহিনী ইতিমধ্যেই একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। আইএসপিআর জানিয়েছে, দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ নির্ণয় করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সরকারি সফরে দেশের বাইরে থাকা বিমানবাহিনীর প্রধানের অনুপস্থিতিতে সহকারী বিমানবাহিনীর প্রধান (প্রশাসন) ও অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দুর্ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে পরিস্থিতি তদারকি করছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সেনাপ্রধান, প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারসহ সশস্ত্র বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা।

আইএসপিআরের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এই অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনায় বাংলাদেশ বিমানাহিনী গভীরভাবে মর্মাহত। হতাহত ব্যক্তিদের সর্বাত্মক চিকিৎসা ও সহায়তা নিশ্চিত করতে আমরা প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নিচ্ছি।’

পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে সর্বোচ্চ নজরদারি

উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকায় বিমান বিধ্বস্তের পর চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এলাকার স্কুল, ভবন ও আশপাশের বাসিন্দারা ভয়াবহ বিস্ফোরণের শব্দে হতভম্ব হয়ে পড়েন। এখন পর্যন্ত উদ্ধার ও চিকিৎসা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, নিহত ব্যক্তির সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকের অবস্থা গুরুতর। তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পর দুর্ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ কারণ ও দায়দায়িত্ব নির্ধারণ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তৃতীয়বার বিধ্বস্ত হলো বিমানবাহিনীর এফ-৭, এই চীনা যুদ্ধবিমানের বৈশিষ্ট্য কী

উত্তরায় বিমান বিধ্বস্ত: পাইলটসহ নিহত ২১, আহত দেড় শতাধিক, মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় শোক

৯ লাখ টন চাল কিনবে বাংলাদেশ, আশায় বুক বাঁধছেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা

উত্তরায় বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত

পাইলটের মা-বাবাকে বিমানবাহিনীর উড়োজাহাজে নেওয়া হলো ঢাকায়

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত