সম্পাদকীয়
কড়া লকডাউনে শুরু হলো নতুন অর্থবছর। সবকিছু বন্ধের মধ্যেই আগামী এক বছরের আয়-ব্যয়ের বিশাল বোঝা সরকারের ওপর। পুরো এক বছরে প্রায় ৬ লাখ ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা খরচ করা হবে। নিজে আয় করে এ খরচ মেটানোর সক্ষমতা আছে মাত্র ৩ লাখ ৮৯ হাজার কোটি টাকার। বাকিটা ধার করতে হবে। যেটুকু আয় করবে সেটাই বা কতটুকু ঠিকমতো করা যাবে–এটাই এখন সরকারের বড় মাথাব্যথা। সরাসরি কর-রাজস্ব থেকেই ৩ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা আয় করতে হবে সরকারকে। এ জন্য লকডাউন থাকলেও রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ঠিকই পূরণের চাপ তৈরি হবে প্রতিদিন।
হিসাব করে দেখা গেছে, দিনে গড়ে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে প্রায় ৯১২ কোটি টাকার বেশি আয় করতে হবে। এর হেরফের হলে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রার অঙ্ক বাড়তে থাকবে। তার মানে এনবিআরের ওপর একটি বিশাল চাপ প্রথম দিন থেকেই। এর মধ্যে অর্থবছরের দুই দিন পার হয়েছে। এর অর্থ হলো, চাপ শুরু হয়ে গেছে। একটি অর্থবছরের লক্ষ্যপূরণের চাপ শেষ হতে না হতে নিশ্চয়ই আরেকটির চাপ নিতে শুরু করেছেন এনবিআরের কর্মকর্তারা। একটি অস্বাভাবিক পরিস্থিতির মধ্যেই তাঁদের বড় রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা মাথায় রেখে মাঠে নামতে হচ্ছে।
এ তো গেল এনবিআরের রাজস্ব আয়ের চাপের দিক। উল্টো দিকটাও সবার ভাবতে হবে। করোনা সংক্রমণ বাড়ায় এখন কড়া লকডাউন সারা দেশে। জরুরি সেবা ছাড়া বলতে গেলে প্রায় সবই বন্ধ। এই বন্ধ মানে অধিকাংশ অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক কার্যক্রমও স্থবির। উৎপাদন ও সেবা খাতে অচলাবস্থা। সরবরাহ ও বাজারব্যবস্থাও অবরুদ্ধ। এ অবস্থায় অবধারিতভাবে শিল্পকারখানা, কোম্পানি, সেবাসহ সব খাতের উদ্যোক্তা ও কর্মীদের আয় কমে যাবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। পণ্য আমদানি-রপ্তানিরও স্বাভাবিক অবস্থা নেই। লকডাউন যদি কম সময়ের মধ্যে ছেড়েও দেওয়া হয়, তা-ও এর ধাক্কা সামলাতে লাগবে অনেক দিন। এমন বিরুদ্ধ বৈরী পরিবেশে রাজস্ব আয় কীভাবে হবে? কীভাবে ব্যক্তি ও কোম্পানিকে করের জন্য চাপ দেওয়া হবে–এটাও এখন উদ্বেগের বিষয়।
যাই হোক, সবকিছুর পরও দেশ পরিচালনার ব্যয় মেটানোর স্বার্থে রাজস্ব আয়ের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা নিতে হবে–এটাই বাস্তবতা। এ জন্য অর্থবছরের শুরু থেকেই সংশ্লিষ্টদের তৎপর হতে হবে। বিশেষ করে এনবিআরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে রাজস্বসভা করে মাঠপর্যায়ে নির্দেশনা দিতে হবে–কীভাবে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য পূরণ করা যায়। এমনভাবে কর্মপরিকল্পনা নিতে হবে, যাতে কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আয় হয়, আবার স্টেকহোল্ডাররাও যেন অযাচিত হয়রানির শিকার না হয়–সেটাও দেখতে হবে। কারণ, বেলা শেষে করদাতারাই সরকারের রাজস্ব আয়ের মূল শক্তি। তাঁদের অর্থনৈতিক ও ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডে গতি না ফেরা পর্যন্ত খুব বেশি চাপও দেওয়া যাবে না। উভয় দিকে ভারসাম্য রক্ষা করেই সামনের দিনগুলোতে ব্যবসা-বিনিয়োগ-রাজস্ববান্ধব কর্মপরিকল্পনা নিতে হবে। সোনার ডিম পাড়া হাঁসকে মেরে ফেলা যাবে না!
কড়া লকডাউনে শুরু হলো নতুন অর্থবছর। সবকিছু বন্ধের মধ্যেই আগামী এক বছরের আয়-ব্যয়ের বিশাল বোঝা সরকারের ওপর। পুরো এক বছরে প্রায় ৬ লাখ ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা খরচ করা হবে। নিজে আয় করে এ খরচ মেটানোর সক্ষমতা আছে মাত্র ৩ লাখ ৮৯ হাজার কোটি টাকার। বাকিটা ধার করতে হবে। যেটুকু আয় করবে সেটাই বা কতটুকু ঠিকমতো করা যাবে–এটাই এখন সরকারের বড় মাথাব্যথা। সরাসরি কর-রাজস্ব থেকেই ৩ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা আয় করতে হবে সরকারকে। এ জন্য লকডাউন থাকলেও রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ঠিকই পূরণের চাপ তৈরি হবে প্রতিদিন।
হিসাব করে দেখা গেছে, দিনে গড়ে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে প্রায় ৯১২ কোটি টাকার বেশি আয় করতে হবে। এর হেরফের হলে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রার অঙ্ক বাড়তে থাকবে। তার মানে এনবিআরের ওপর একটি বিশাল চাপ প্রথম দিন থেকেই। এর মধ্যে অর্থবছরের দুই দিন পার হয়েছে। এর অর্থ হলো, চাপ শুরু হয়ে গেছে। একটি অর্থবছরের লক্ষ্যপূরণের চাপ শেষ হতে না হতে নিশ্চয়ই আরেকটির চাপ নিতে শুরু করেছেন এনবিআরের কর্মকর্তারা। একটি অস্বাভাবিক পরিস্থিতির মধ্যেই তাঁদের বড় রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা মাথায় রেখে মাঠে নামতে হচ্ছে।
এ তো গেল এনবিআরের রাজস্ব আয়ের চাপের দিক। উল্টো দিকটাও সবার ভাবতে হবে। করোনা সংক্রমণ বাড়ায় এখন কড়া লকডাউন সারা দেশে। জরুরি সেবা ছাড়া বলতে গেলে প্রায় সবই বন্ধ। এই বন্ধ মানে অধিকাংশ অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক কার্যক্রমও স্থবির। উৎপাদন ও সেবা খাতে অচলাবস্থা। সরবরাহ ও বাজারব্যবস্থাও অবরুদ্ধ। এ অবস্থায় অবধারিতভাবে শিল্পকারখানা, কোম্পানি, সেবাসহ সব খাতের উদ্যোক্তা ও কর্মীদের আয় কমে যাবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। পণ্য আমদানি-রপ্তানিরও স্বাভাবিক অবস্থা নেই। লকডাউন যদি কম সময়ের মধ্যে ছেড়েও দেওয়া হয়, তা-ও এর ধাক্কা সামলাতে লাগবে অনেক দিন। এমন বিরুদ্ধ বৈরী পরিবেশে রাজস্ব আয় কীভাবে হবে? কীভাবে ব্যক্তি ও কোম্পানিকে করের জন্য চাপ দেওয়া হবে–এটাও এখন উদ্বেগের বিষয়।
যাই হোক, সবকিছুর পরও দেশ পরিচালনার ব্যয় মেটানোর স্বার্থে রাজস্ব আয়ের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা নিতে হবে–এটাই বাস্তবতা। এ জন্য অর্থবছরের শুরু থেকেই সংশ্লিষ্টদের তৎপর হতে হবে। বিশেষ করে এনবিআরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে রাজস্বসভা করে মাঠপর্যায়ে নির্দেশনা দিতে হবে–কীভাবে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য পূরণ করা যায়। এমনভাবে কর্মপরিকল্পনা নিতে হবে, যাতে কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আয় হয়, আবার স্টেকহোল্ডাররাও যেন অযাচিত হয়রানির শিকার না হয়–সেটাও দেখতে হবে। কারণ, বেলা শেষে করদাতারাই সরকারের রাজস্ব আয়ের মূল শক্তি। তাঁদের অর্থনৈতিক ও ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডে গতি না ফেরা পর্যন্ত খুব বেশি চাপও দেওয়া যাবে না। উভয় দিকে ভারসাম্য রক্ষা করেই সামনের দিনগুলোতে ব্যবসা-বিনিয়োগ-রাজস্ববান্ধব কর্মপরিকল্পনা নিতে হবে। সোনার ডিম পাড়া হাঁসকে মেরে ফেলা যাবে না!
গত সংখ্যায় লিখেছিলাম, এখন আর ছাত্র খুঁজে পাওয়া যায় না, চারদিকে পরীক্ষার্থী। কিন্তু দ্রুতই দেখা যাচ্ছে, ছাত্র এবং পরীক্ষার্থী কাউকেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ছাত্রদের একটা বৃহদাংশ রাজনীতিবিদে পরিণত হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, তাদের অঙ্গুলি হেলনে বড় বড় রাজনৈতিক সিদ্ধান্তও হয়ে যাচ্ছে। ভেবেছিলাম প্রাথমিক শিক্ষা
১৫ ঘণ্টা আগেবিজ্ঞানীরা বিংশ শতাব্দীজুড়ে বহির্জাগতিক প্রাণ অনুসন্ধানের চেষ্টা চালিয়েছেন। খুঁজেছেন কার্বনভিত্তিক, সিলিকনভিত্তিক বা অ্যামোনিয়া যৌগনির্ভর প্রাণ। এটা আমাদের জানা জরুরি যে প্রাণের প্রকৃতি, আর অন্য জায়গায় প্রাণ আছে কি না, তা আসলে একই প্রশ্নের দুটো দিক। তা হলো, ‘কেন আমরা এখানে?’ বিস্ময়ের ব্যাপার হচ্ছে,
১৫ ঘণ্টা আগেপরিবার হলো মূলত রক্ত-সম্পর্কিত ব্যক্তিদের সংগঠন, যেখানে সব সদস্যের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, নিরাপত্তা এবং বিনোদনের আয়োজন হয়ে থাকে। পরিবার কখন কী কারণে গড়ে উঠেছে, তা নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে। বেশির ভাগের মত হলো, মানুষ সমতলে বসবাস করার সময় কৃষিকাজ শিখে ফেলে। কৃষিজাত পণ্য সংরক্ষণের জন্য গোলাঘর
১৫ ঘণ্টা আগেনিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি মানুষের আকর্ষণ বেশি, এ কথা নতুন নয়। এবং এ ব্যাপারে প্রমাণের অভাব নেই। একটা কিছু নিষিদ্ধ করলেই যে তা ব্যবহার করা বন্ধ হয়ে যাবে, এমন ভাবাটাই ভুল। ধরুন, একটি রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলে সেই দলটি যে ছদ্মবেশে বা তলে তলে রাজনীতি করবে না, সেই গ্যারান্টি কে দিতে পারে? তেমনি কেউ
১৫ ঘণ্টা আগে