সম্পাদকীয়
উপেন্দ্রনাথের লেখা ‘নির্বাসিতের আত্মকথা’ এখন ঢাকায় অনেক বইয়ের দোকানেই পাওয়া যায়। ইন্টারনেটে সার্চ করে দেখেছি, ২৭০ টাকা দাম বইটির। মূল্যবান বইটির হয়তো এখন কাটতি আছে।
অথচ একটা সময় ছিল, যখন ঢাকায় বইটা পাওয়া যেত না একেবারেই। সরদার ফজলুল করিমের খুব ইচ্ছে ছিল বইটি পড়বেন। খুঁজেছেনও এখানে–ওখানে। কিন্তু কোথাও পাওয়া যাচ্ছিল না বইটি। এটি উপেন্দ্রনাথের লেখা আন্দামানে বন্দিজীবনের কাহিনি। রবীন্দ্রনাথ সেই বই পড়ে বলেছিলেন, ‘এমন বই বাংলা সাহিত্যে আর রচিত হয়নি।’
এম এম আকাশের হাত ধরে বইটি আসে সরদার ফজলুল করিমের হাতে। বইটি পড়েই সরদারের মনে হয়েছিল, এম এম আকাশকে আর ফেরত দেবেন না। সোজা কথায়, বইটি মেরে দেবেন। কিন্তু আকাশকে তো খুব স্নেহ করেন তিনি। স্নেহধন্য একজনের কাছ থেকে বই মেরে দেওয়ার ব্যাপারটা সরদার ফজলুল করিমের নিজের কাছেই ভালো লাগল না। অন্য একভাবে সেটা জোগাড় করলেন। সে কথা পরে।
বইটি পড়ে সরদার একটি কলাম লিখেছিলেন ভোরের কাগজে। শিরোনাম করেছিলেন, ‘যে বই পাঠক কিনতে পারেন না’।
লেখাটি ছাপা হওয়ার পর অনেকেই বইটির খোঁজ করতে লাগলেন। পেলেন না।
সরদার ফজলুল করিম এরপর গেলেন নিউমার্কেটে বইয়ের দোকানে। তিনিও খুঁজলেন বইটি। অলৌকিকভাবে যদি পাওয়া যায়! কিন্তু দোকানিদের কেউই সে বই চোখে দেখেনি। নামও শোনেনি লেখকের।
তখন সরদার ফজলুল করিমের মনে একটা ভাবনা এল। সে সময় ফটোস্ট্যাট মেশিন নতুন বসেছে বাংলাদেশে। বাকুশা মার্কেটে মাত্র কয়েক হাতের মধ্যে ছিল ৩২টি ফটোকপি মেশিন। সরদার আর দেরি না করে ১৪০ পৃষ্ঠার পুরো বইটি ফটোকপি করে নিলেন মাত্র ৫৫ টাকায়। তারপর সেটা বাঁধিয়ে ফেললেন—একেবারে নতুন একটি বই তাঁর দখলে!
সূত্র: সরদার ফজলুল করিম স্মৃতিসমগ্র, পৃষ্ঠা ৮২-৮৪
উপেন্দ্রনাথের লেখা ‘নির্বাসিতের আত্মকথা’ এখন ঢাকায় অনেক বইয়ের দোকানেই পাওয়া যায়। ইন্টারনেটে সার্চ করে দেখেছি, ২৭০ টাকা দাম বইটির। মূল্যবান বইটির হয়তো এখন কাটতি আছে।
অথচ একটা সময় ছিল, যখন ঢাকায় বইটা পাওয়া যেত না একেবারেই। সরদার ফজলুল করিমের খুব ইচ্ছে ছিল বইটি পড়বেন। খুঁজেছেনও এখানে–ওখানে। কিন্তু কোথাও পাওয়া যাচ্ছিল না বইটি। এটি উপেন্দ্রনাথের লেখা আন্দামানে বন্দিজীবনের কাহিনি। রবীন্দ্রনাথ সেই বই পড়ে বলেছিলেন, ‘এমন বই বাংলা সাহিত্যে আর রচিত হয়নি।’
এম এম আকাশের হাত ধরে বইটি আসে সরদার ফজলুল করিমের হাতে। বইটি পড়েই সরদারের মনে হয়েছিল, এম এম আকাশকে আর ফেরত দেবেন না। সোজা কথায়, বইটি মেরে দেবেন। কিন্তু আকাশকে তো খুব স্নেহ করেন তিনি। স্নেহধন্য একজনের কাছ থেকে বই মেরে দেওয়ার ব্যাপারটা সরদার ফজলুল করিমের নিজের কাছেই ভালো লাগল না। অন্য একভাবে সেটা জোগাড় করলেন। সে কথা পরে।
বইটি পড়ে সরদার একটি কলাম লিখেছিলেন ভোরের কাগজে। শিরোনাম করেছিলেন, ‘যে বই পাঠক কিনতে পারেন না’।
লেখাটি ছাপা হওয়ার পর অনেকেই বইটির খোঁজ করতে লাগলেন। পেলেন না।
সরদার ফজলুল করিম এরপর গেলেন নিউমার্কেটে বইয়ের দোকানে। তিনিও খুঁজলেন বইটি। অলৌকিকভাবে যদি পাওয়া যায়! কিন্তু দোকানিদের কেউই সে বই চোখে দেখেনি। নামও শোনেনি লেখকের।
তখন সরদার ফজলুল করিমের মনে একটা ভাবনা এল। সে সময় ফটোস্ট্যাট মেশিন নতুন বসেছে বাংলাদেশে। বাকুশা মার্কেটে মাত্র কয়েক হাতের মধ্যে ছিল ৩২টি ফটোকপি মেশিন। সরদার আর দেরি না করে ১৪০ পৃষ্ঠার পুরো বইটি ফটোকপি করে নিলেন মাত্র ৫৫ টাকায়। তারপর সেটা বাঁধিয়ে ফেললেন—একেবারে নতুন একটি বই তাঁর দখলে!
সূত্র: সরদার ফজলুল করিম স্মৃতিসমগ্র, পৃষ্ঠা ৮২-৮৪
দুটো ঘটনা ঘটল পরপর। গোপালগঞ্জ আর চকরিয়ায়। প্রথম ঘটনায় দুঃখজনকভাবে ঝরে পড়েছে পাঁচটি প্রাণ। এই প্রাণহানি এড়ানো যেত কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। দ্বিতীয় ঘটনাটিতে দেখা যাচ্ছে, কক্সবাজারে এনসিপির একজন নেতার বক্তৃতার সূত্র ধরে বিএনপি মহলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
১৭ ঘণ্টা আগে২০০০ সালে যুক্তরাষ্ট্র ছিল উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার অধিকাংশ দেশ, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের কিছু বড় অর্থনীতির দেশ এবং আফ্রিকার কিছু দেশের প্রধান বাণিজ্য অংশীদার। আর ইউরোপীয় ইউনিয়ন আধিপত্য বিস্তার করেছিল ইউরোপের প্রায় পুরো অঞ্চল, আফ্রিকা ও এশিয়ার বিস্তৃত অংশ এবং দক্ষিণ আমেরিকার কিছু দেশের সঙ্গে।
১৭ ঘণ্টা আগেনির্বাচন হওয়া এবং না-হওয়া নিয়ে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা আছে, সংশয়ও আছে। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে নির্বাচন হবে বলে আশা করা হলেও এটা নিশ্চিত নয়। এখানে ‘যদি’,‘কিন্তু’ আছে। নির্বাচন নিয়ে সবচেয়ে বেশি আগ্রহ-উৎসাহ বিএনপির।
১৭ ঘণ্টা আগেমনজিল মোরসেদ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সিনিয়র আইনজীবী। তিনি হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) প্রেসিডেন্ট। জনস্বার্থে এ পর্যন্ত তিনি ২২৫টির বেশি মামলা করে মানবাধিকার ও পরিবেশ সংরক্ষণে অনন্য ভূমিকা রেখেছেন।
২ দিন আগে