সম্পাদকীয়
কিছুদিন আগেই শেরপুরের নালিতাবাড়ীর ঘটনা নিয়ে একটি সম্পাদকীয় ছাপা হয়েছিল আজকের পত্রিকায়। একজনের ফেসবুকের ছবিতে ‘হা হা’ প্রতিক্রিয়া জানানোয় ফুঁসে ওঠা এক তরুণ সেই প্রতিক্রিয়া জানানো তরুণকে হত্যা করেছেন—এই ছিল ঘটনাটি। এবারে যা ঘটেছে তা ভার্চুয়াল জগতে প্রতিক্রিয়া জানানোর ব্যাপার নয়। রাজধানীর বনানীর মতো জায়গায় প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় জন্ম হয়েছে এই মর্মন্তুদ ঘটনার। বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের দোকানে শিঙাড়া খাচ্ছিলেন দুই তরুণী। তাঁদের একজন ছিলেন সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া পিয়াসের বান্ধবী।
কাছাকাছি এলাকায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়ার সময় হাসছিলেন পারভেজ। পিয়াসের বান্ধবী অভিযোগ করেছিলেন যে তাঁদের লক্ষ করেই হাসছিলেন পারভেজ। ব্যস! আর যায় কোথায়। পৌরুষ জেগে উঠল পিয়াস, মেহরাজ, মাহাথিরদের। শুরু হলো বাগ্বিতণ্ডা, ধাক্কাধাক্কি! এরই কিছু সময় পরে বহিরাগতদের সঙ্গী করে কয়েকজন মিলে হত্যা করেছেন পারভেজকে।
এটুকুই ঘটনা, এর বাইরেও আর কিছু আছে কি না, সেটা তদন্তে নিশ্চয়ই বেরিয়ে আসবে। আমাদের প্রশ্নটি ঘটনা ও ঘটনার বিচার নিয়ে নয়। প্রশ্নটি হলো মানসিকতা নিয়ে। আমাদের তরুণীরা হাসাহাসির কারণে ক্রুদ্ধ হয়ে তাঁর প্রেমিকের কাছে অভিযোগ করবেন, আর সেই প্রেমিকপ্রবর দলবলসহ এই তুচ্ছ ঘটনার রেশ ধরে একজনকে হত্যা করে ফেলবেন—এ কেমন কথা? এতটুকু সহিষ্ণুতা থাকবে না? মেয়েদের দেখলেই হাসাহাসি করতে হবে কেন, হাসাহাসি করলেই অভিযোগ করতে হবে কেন, অভিযোগ করলেই ‘তোর এক দিন কি আমার এক দিন’ বলে অন্যের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে কেন, এবং সেই ঝাঁপিয়ে পড়ার উদ্দেশ্য হত্যা হবে কেন—এই প্রশ্নগুলো নিয়েই তো ভাবতে হবে সবার আগে।
আমরা এই জায়গায় এসে দাঁড়ালাম কেন? কীভাবে? কোথায় লৌকিক জীবনযাপনে ঘাটতির সৃষ্টি হলো? এ সংকট কি শুরু হয়েছে খোদ পারিবারিক শিক্ষা বা অশিক্ষা থেকে? প্রাথমিক শিক্ষালয়ে জীবন সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার অপারগতার কারণে? উঠতি বয়সে স্মার্টফোনের ছোঁয়ায় নিজেকে ব্যাটম্যান, সুপারম্যান ভাববার নেশার কারণে? রাজনীতির নেশা পেয়েছে বলে? আশপাশে অনৈতিকতার চাষবাস দেখে নিজেকেও সেই পর্যায়ে উত্তীর্ণ করার অভিপ্রায়ের কারণে? দৃষ্টান্ত হতে পারেন, সে রকম মানুষকে সমাজে খুঁজে পাচ্ছে না বলে? ভাবনার জগৎ থেকে ধৈর্য, সহনশীলতা, ঔদার্য বিদায় নিয়েছে বলে?
এ রকম অজস্র জিজ্ঞাসার জন্ম হচ্ছে। যার কোনোটিরই উত্তর পাওয়া সহজ নয়। অসহিষ্ণু মন হিংস্র হতে পারে, নিষ্ঠুর হতে পারে। ভার্চুয়াল জগতের সঙ্গে বাস্তব জীবন মেলাতে গিয়ে বা না গিয়ে নিজের জন্য তৈরি করে নিতে পারে বিভ্রান্ত জীবন। সেই জায়গা থেকে তারুণ্যকে বের করে আনবে কে? সমাজ কোন দিকে নিয়ে যাচ্ছে তরুণদের, সেটা গভীরভাবে মূল্যায়ন করতে হবে।
নইলে হয়তো এমন সময়ও আসতে পারে, যখন বদ্ধ ঘরে কমেডি সিনেমা দেখে হো হো করে হেসে ওঠা মানুষকেও দরজা ভেঙে হত্যা করা হবে এই কথা বলে যে, তুমি আমাকে লুকিয়ে দেখে হেসেছ!
কিছুদিন আগেই শেরপুরের নালিতাবাড়ীর ঘটনা নিয়ে একটি সম্পাদকীয় ছাপা হয়েছিল আজকের পত্রিকায়। একজনের ফেসবুকের ছবিতে ‘হা হা’ প্রতিক্রিয়া জানানোয় ফুঁসে ওঠা এক তরুণ সেই প্রতিক্রিয়া জানানো তরুণকে হত্যা করেছেন—এই ছিল ঘটনাটি। এবারে যা ঘটেছে তা ভার্চুয়াল জগতে প্রতিক্রিয়া জানানোর ব্যাপার নয়। রাজধানীর বনানীর মতো জায়গায় প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় জন্ম হয়েছে এই মর্মন্তুদ ঘটনার। বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের দোকানে শিঙাড়া খাচ্ছিলেন দুই তরুণী। তাঁদের একজন ছিলেন সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া পিয়াসের বান্ধবী।
কাছাকাছি এলাকায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়ার সময় হাসছিলেন পারভেজ। পিয়াসের বান্ধবী অভিযোগ করেছিলেন যে তাঁদের লক্ষ করেই হাসছিলেন পারভেজ। ব্যস! আর যায় কোথায়। পৌরুষ জেগে উঠল পিয়াস, মেহরাজ, মাহাথিরদের। শুরু হলো বাগ্বিতণ্ডা, ধাক্কাধাক্কি! এরই কিছু সময় পরে বহিরাগতদের সঙ্গী করে কয়েকজন মিলে হত্যা করেছেন পারভেজকে।
এটুকুই ঘটনা, এর বাইরেও আর কিছু আছে কি না, সেটা তদন্তে নিশ্চয়ই বেরিয়ে আসবে। আমাদের প্রশ্নটি ঘটনা ও ঘটনার বিচার নিয়ে নয়। প্রশ্নটি হলো মানসিকতা নিয়ে। আমাদের তরুণীরা হাসাহাসির কারণে ক্রুদ্ধ হয়ে তাঁর প্রেমিকের কাছে অভিযোগ করবেন, আর সেই প্রেমিকপ্রবর দলবলসহ এই তুচ্ছ ঘটনার রেশ ধরে একজনকে হত্যা করে ফেলবেন—এ কেমন কথা? এতটুকু সহিষ্ণুতা থাকবে না? মেয়েদের দেখলেই হাসাহাসি করতে হবে কেন, হাসাহাসি করলেই অভিযোগ করতে হবে কেন, অভিযোগ করলেই ‘তোর এক দিন কি আমার এক দিন’ বলে অন্যের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে কেন, এবং সেই ঝাঁপিয়ে পড়ার উদ্দেশ্য হত্যা হবে কেন—এই প্রশ্নগুলো নিয়েই তো ভাবতে হবে সবার আগে।
আমরা এই জায়গায় এসে দাঁড়ালাম কেন? কীভাবে? কোথায় লৌকিক জীবনযাপনে ঘাটতির সৃষ্টি হলো? এ সংকট কি শুরু হয়েছে খোদ পারিবারিক শিক্ষা বা অশিক্ষা থেকে? প্রাথমিক শিক্ষালয়ে জীবন সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার অপারগতার কারণে? উঠতি বয়সে স্মার্টফোনের ছোঁয়ায় নিজেকে ব্যাটম্যান, সুপারম্যান ভাববার নেশার কারণে? রাজনীতির নেশা পেয়েছে বলে? আশপাশে অনৈতিকতার চাষবাস দেখে নিজেকেও সেই পর্যায়ে উত্তীর্ণ করার অভিপ্রায়ের কারণে? দৃষ্টান্ত হতে পারেন, সে রকম মানুষকে সমাজে খুঁজে পাচ্ছে না বলে? ভাবনার জগৎ থেকে ধৈর্য, সহনশীলতা, ঔদার্য বিদায় নিয়েছে বলে?
এ রকম অজস্র জিজ্ঞাসার জন্ম হচ্ছে। যার কোনোটিরই উত্তর পাওয়া সহজ নয়। অসহিষ্ণু মন হিংস্র হতে পারে, নিষ্ঠুর হতে পারে। ভার্চুয়াল জগতের সঙ্গে বাস্তব জীবন মেলাতে গিয়ে বা না গিয়ে নিজের জন্য তৈরি করে নিতে পারে বিভ্রান্ত জীবন। সেই জায়গা থেকে তারুণ্যকে বের করে আনবে কে? সমাজ কোন দিকে নিয়ে যাচ্ছে তরুণদের, সেটা গভীরভাবে মূল্যায়ন করতে হবে।
নইলে হয়তো এমন সময়ও আসতে পারে, যখন বদ্ধ ঘরে কমেডি সিনেমা দেখে হো হো করে হেসে ওঠা মানুষকেও দরজা ভেঙে হত্যা করা হবে এই কথা বলে যে, তুমি আমাকে লুকিয়ে দেখে হেসেছ!
দুটো ঘটনা ঘটল পরপর। গোপালগঞ্জ আর চকরিয়ায়। প্রথম ঘটনায় দুঃখজনকভাবে ঝরে পড়েছে পাঁচটি প্রাণ। এই প্রাণহানি এড়ানো যেত কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। দ্বিতীয় ঘটনাটিতে দেখা যাচ্ছে, কক্সবাজারে এনসিপির একজন নেতার বক্তৃতার সূত্র ধরে বিএনপি মহলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
১৭ ঘণ্টা আগে২০০০ সালে যুক্তরাষ্ট্র ছিল উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার অধিকাংশ দেশ, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের কিছু বড় অর্থনীতির দেশ এবং আফ্রিকার কিছু দেশের প্রধান বাণিজ্য অংশীদার। আর ইউরোপীয় ইউনিয়ন আধিপত্য বিস্তার করেছিল ইউরোপের প্রায় পুরো অঞ্চল, আফ্রিকা ও এশিয়ার বিস্তৃত অংশ এবং দক্ষিণ আমেরিকার কিছু দেশের সঙ্গে।
১৭ ঘণ্টা আগেনির্বাচন হওয়া এবং না-হওয়া নিয়ে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা আছে, সংশয়ও আছে। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে নির্বাচন হবে বলে আশা করা হলেও এটা নিশ্চিত নয়। এখানে ‘যদি’,‘কিন্তু’ আছে। নির্বাচন নিয়ে সবচেয়ে বেশি আগ্রহ-উৎসাহ বিএনপির।
১৭ ঘণ্টা আগেমনজিল মোরসেদ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সিনিয়র আইনজীবী। তিনি হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) প্রেসিডেন্ট। জনস্বার্থে এ পর্যন্ত তিনি ২২৫টির বেশি মামলা করে মানবাধিকার ও পরিবেশ সংরক্ষণে অনন্য ভূমিকা রেখেছেন।
২ দিন আগে