সম্পাদকীয়
এসপি হতে পারেন তিনি। কিন্তু এ কথা তো সত্য, তিনি চলেন জনগণের করের টাকায়। যে দেশে বাস করেন, সে দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্যকে অপমান করেও দিব্যি তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এসপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি রাষ্ট্রীয় সালাম দেননি। পুষ্পস্তবক অর্পণ করেননি স্মৃতিসৌধে। রাষ্ট্রকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে যিনি সরকারি পদে থাকা অবস্থায় করণীয় বিষয়গুলো অবজ্ঞা করছেন, তাঁর কি নৈতিকভাবে এই পদে থাকার অধিকার আছে? এ রকম প্রশ্নের উত্তর পাওয়া জরুরি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার এহতেশামুল হক শুধু এবারই প্রথম আমাদের অর্জনকে অবজ্ঞা করলেন, এমন নয়। একুশে ফেব্রুয়ারিতেও তিনি একই কাজ করেছিলেন। তিনি সেদিন শহীদ মিনারে উপস্থিত থাকার পরও রাষ্ট্রীয় সালাম দেননি, মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেননি। অর্থাৎ প্রজাতন্ত্রের সেবক হিসেবে ন্যূনতম শিষ্টাচারের যে প্রয়োজন আছে, তা তিনি এড়িয়ে গেছেন।
৫ আগস্ট যে পরিবর্তন এসেছে, সে পরিবর্তন কি বাংলাদেশের ইতিহাস মুছে ফেলার কোনো প্রকল্প বলে কেউ কেউ মনে করছেন? যে শিক্ষার্থী ও জনতা আগস্ট মাসে স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল, তাদের কেউ কি এই দেশের সবচেয়ে বড় অর্জন স্বাধীনতাকে বিসর্জন দিতে চেয়েছিল? সে রকম কোনো কথা কি তারা বলেছিল? সে সময়ের দেয়াললিখন, গ্রাফিতিতে মুক্তিযুদ্ধকে সমুন্নত রাখার অঙ্গীকারই দৃশ্যমান। কতিপয় স্বাধীনতাবিরোধী কি আওয়ামী লীগের পতনকে মুক্তিযুদ্ধের অর্জনের পতন বলে মনে করছে? এ প্রশ্নের উদয় হয়েছে ৫ আগস্টের অব্যবহিত পরেই—যে সময় মুক্তিযুদ্ধের স্মারকগুলো নির্মমভাবে ভূলুণ্ঠিত করা হচ্ছিল। এই বিষয়টিকে কীভাবে দেখছে আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী ও জনতা? তাদের বেশির ভাগই তো আন্দোলনে সাফল্যের পর ফিরে গেছে যে যার কাজে। তাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য পূরণ হয়েছে কি?
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এই এসপির রাজনৈতিক পরিচয় যা-ই হোক না কেন, একটি রাষ্ট্রের রীতিনীতিকে শ্রদ্ধা করতে না পারলে তিনি রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে থাকার উপযুক্ত কি থাকেন? তাঁর এই আচরণের জন্য তিনি কি ক্ষমা চেয়েছেন? সাংবাদিকেরা তাঁর কাছে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তিনি উত্তর দেননি, বরং সরাসরি তাঁর কাছে গিয়ে শুনে আসতে বলেছেন। কেন ব্যক্তিগতভাবে তাঁর কাছে গিয়ে তাঁর ব্যাখ্যা শুনতে হবে?
এই এসপি তাঁর আচরণ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধকে অবজ্ঞা করেছেন। ৩০ লাখ শহীদের আত্মদানের বিনিময়ে অর্জিত এই দেশকেও তিনি অপমান করেছেন। তিনি রাষ্ট্রের কর্মচারী হিসেবে যথাযথভাবে শ্রদ্ধা নিবেদন করেননি—এ কথা বলা হলে কি ভুল বলা হবে?
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে যেসব অপ্রীতিকর ঘটনার খবর আসে, তার কতটাইবা পত্রিকার পাতায় ছাপা হয়? সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তথ্যভিত্তিক ভিডিও বা অডিওর কল্যাণে অনেকেই এই অস্থিরতার সঙ্গে পরিচিত। কিন্তু ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এসপি সাহেব তো প্রকাশ্যেই অসম্মান করলেন জাতীয় পতাকাকে। প্রশাসনিকভাবে তাঁর ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তা জানার অধিকার রয়েছে দেশের মানুষের।
এসপি হতে পারেন তিনি। কিন্তু এ কথা তো সত্য, তিনি চলেন জনগণের করের টাকায়। যে দেশে বাস করেন, সে দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্যকে অপমান করেও দিব্যি তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এসপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি রাষ্ট্রীয় সালাম দেননি। পুষ্পস্তবক অর্পণ করেননি স্মৃতিসৌধে। রাষ্ট্রকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে যিনি সরকারি পদে থাকা অবস্থায় করণীয় বিষয়গুলো অবজ্ঞা করছেন, তাঁর কি নৈতিকভাবে এই পদে থাকার অধিকার আছে? এ রকম প্রশ্নের উত্তর পাওয়া জরুরি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার এহতেশামুল হক শুধু এবারই প্রথম আমাদের অর্জনকে অবজ্ঞা করলেন, এমন নয়। একুশে ফেব্রুয়ারিতেও তিনি একই কাজ করেছিলেন। তিনি সেদিন শহীদ মিনারে উপস্থিত থাকার পরও রাষ্ট্রীয় সালাম দেননি, মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেননি। অর্থাৎ প্রজাতন্ত্রের সেবক হিসেবে ন্যূনতম শিষ্টাচারের যে প্রয়োজন আছে, তা তিনি এড়িয়ে গেছেন।
৫ আগস্ট যে পরিবর্তন এসেছে, সে পরিবর্তন কি বাংলাদেশের ইতিহাস মুছে ফেলার কোনো প্রকল্প বলে কেউ কেউ মনে করছেন? যে শিক্ষার্থী ও জনতা আগস্ট মাসে স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল, তাদের কেউ কি এই দেশের সবচেয়ে বড় অর্জন স্বাধীনতাকে বিসর্জন দিতে চেয়েছিল? সে রকম কোনো কথা কি তারা বলেছিল? সে সময়ের দেয়াললিখন, গ্রাফিতিতে মুক্তিযুদ্ধকে সমুন্নত রাখার অঙ্গীকারই দৃশ্যমান। কতিপয় স্বাধীনতাবিরোধী কি আওয়ামী লীগের পতনকে মুক্তিযুদ্ধের অর্জনের পতন বলে মনে করছে? এ প্রশ্নের উদয় হয়েছে ৫ আগস্টের অব্যবহিত পরেই—যে সময় মুক্তিযুদ্ধের স্মারকগুলো নির্মমভাবে ভূলুণ্ঠিত করা হচ্ছিল। এই বিষয়টিকে কীভাবে দেখছে আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী ও জনতা? তাদের বেশির ভাগই তো আন্দোলনে সাফল্যের পর ফিরে গেছে যে যার কাজে। তাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য পূরণ হয়েছে কি?
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এই এসপির রাজনৈতিক পরিচয় যা-ই হোক না কেন, একটি রাষ্ট্রের রীতিনীতিকে শ্রদ্ধা করতে না পারলে তিনি রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে থাকার উপযুক্ত কি থাকেন? তাঁর এই আচরণের জন্য তিনি কি ক্ষমা চেয়েছেন? সাংবাদিকেরা তাঁর কাছে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তিনি উত্তর দেননি, বরং সরাসরি তাঁর কাছে গিয়ে শুনে আসতে বলেছেন। কেন ব্যক্তিগতভাবে তাঁর কাছে গিয়ে তাঁর ব্যাখ্যা শুনতে হবে?
এই এসপি তাঁর আচরণ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধকে অবজ্ঞা করেছেন। ৩০ লাখ শহীদের আত্মদানের বিনিময়ে অর্জিত এই দেশকেও তিনি অপমান করেছেন। তিনি রাষ্ট্রের কর্মচারী হিসেবে যথাযথভাবে শ্রদ্ধা নিবেদন করেননি—এ কথা বলা হলে কি ভুল বলা হবে?
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে যেসব অপ্রীতিকর ঘটনার খবর আসে, তার কতটাইবা পত্রিকার পাতায় ছাপা হয়? সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তথ্যভিত্তিক ভিডিও বা অডিওর কল্যাণে অনেকেই এই অস্থিরতার সঙ্গে পরিচিত। কিন্তু ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এসপি সাহেব তো প্রকাশ্যেই অসম্মান করলেন জাতীয় পতাকাকে। প্রশাসনিকভাবে তাঁর ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তা জানার অধিকার রয়েছে দেশের মানুষের।
ঢাকার ঈদ উৎসব কেবল একটি ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি বহু শতাব্দীর ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও সামাজিক রীতিনীতির এক বর্ণিল প্রতিচ্ছবি। মুঘল আমল থেকে শুরু করে আধুনিক সময় পর্যন্ত এই উৎসবের রূপ ও রীতিতে অনেক পরিবর্তন এলেও এর মূল চেতনা আজও বহমান।
৬ ঘণ্টা আগেই-মেইল, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রামের যুগেও পাঠক সংবাদপত্রে চিঠি লেখেন—এটাই প্রমাণ করে, মুদ্রিত শব্দের আবেদন এখনো ফুরিয়ে যায়নি। দ্রুত বদলে যাওয়া যোগাযোগের মাধ্যমের ভিড়েও কিছু কথা থাকে, যা কাগজে ছাপা হয়ে আলো ছড়ায়।
২ দিন আগেঅপারেশন সার্চলাইটের নৃশংসতায় তখন আকাশে উড়ছে শকুন। রাজপথে চিৎকার করছে কুকুর। আকাশে ‘কা কা’ করে কর্কশ কণ্ঠে ডেকে কাকেরা বুঝিয়ে দিচ্ছে, সোনার বাংলাকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েই এগোচ্ছে পাকিস্তানি হানাদারেরা।
২ দিন আগেসংগীত যাঁর ধ্যান, সাহিত্য যাঁর প্রাণ, আর দেশপ্রেম যাঁর জীবনদর্শন—তিনি সন্জীদা খাতুন। তাঁর নাম উচ্চারণ করলেই একধরনের আলো ছড়িয়ে পড়ে, যেটি জাতিসত্তা, চেতনাবোধ আর মননের প্রসারের আলো। তাঁর কণ্ঠে উচ্চারিত সুর, তাঁর জীবনচর্চা, তাঁর মনন ও প্রজ্ঞা—সব মিলিয়ে তিনি হয়ে উঠেছেন এক অনন্য সাংস্কৃতিক চরিত্র।
২ দিন আগে