সম্পাদকীয়

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি স্বপ্নের প্রকল্পের নাম ‘আশ্রয়ণ’। মুজিববর্ষে কেউ গৃহহীন থাকবে না—এই অঙ্গীকার পূরণের লক্ষ্যে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ১ লাখ ২৩ হাজার ছিন্নমূল মানুষের হাতে দুই শতক জমির ওপর একটি দুই কক্ষের মাথা গোঁজার ঠাঁই–একটি স্থায়ী ঠিকানা করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই বছরের মধ্যে আরও কমপক্ষে এক লাখ মানুষের হাতে ঘরের চাবি, জমির মালিকানা দলিল তুলে দেওয়ার কথা। যাঁরা এর মধ্যে একটি ঘর পেয়েছেন, তাঁদের সুখ, স্বস্তি ও আনন্দের কথা অনেকে হয়তো চিন্তাও করতে পারছেন না। একটি ঘরের স্বপ্ন, একটি নিরাপদ বাসস্থান যে একজন মানুষের কত বড় শান্তির বিষয়, সেটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্তর দিয়ে উপলব্ধি করেন বলেই এই ব্যতিক্রমী একটি প্রকল্পের চিন্তা তিনি মাথায় নিয়েছেন।
অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় হলো, এই প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত কিছু সরকারি কর্মকর্তার দুর্নীতি, অনিয়ম, অবহেলা ও লোভের কারণে সরকারের এমন একটি জনহিতৈষী মহৎ উদ্যোগও প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। দেশের কমপক্ষে ৩৬টি উপজেলার ৩৯টি প্রকল্প নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে। ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে, নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে দায়সারা গোছের কাজ সম্পন্ন করায় কিছু কিছু ঘর গ্রহীতার কাছে হস্তান্তর করতে না করতেই হয় ভেঙে পড়েছে অথবা বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। প্রধানমন্ত্রীর এই স্বপ্নের প্রকল্পকে তামাশায় পরিণত করার ধৃষ্টতা কারা দেখাল? কোথা থেকে এই আশকারা তারা পেয়েছে?
এর মধ্যে পাঁচজন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে ওএসডি করা হয়েছে, দুজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত ও মামলা করেছে দুদক। আশ্রয়ণ প্রকল্পের অনিয়মের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া কিছুটা স্বস্তিদায়ক হলেও এ নিয়ে প্রশ্ন আছে। প্রথম প্রশ্ন, ওএসডি করা কি আসলে কোনো শাস্তি? অতীতে দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগ উঠলে আসলে কি কোনো দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কেউ পেয়েছে?
প্রধানমন্ত্রী ভালোবেসে মানুষকে যে উপহার দিচ্ছেন, সেই উপহার থেকে টাকা আত্মসাৎ করার দুঃসাহস যারা দেখায়, তারা সাধারণ দুর্বৃত্ত নয়। ঘর বরাদ্দ নিয়ে চাঁদাবাজি ও অবৈধভাবে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার কিছু অভিযোগও আছে। এই দুর্বৃত্তির সঙ্গে যারা জড়িত, দ্রুততম সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ করে তাদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে। তারা যে শাস্তি পেয়েছে, সেটাও প্রচারে আনতে হবে। গরিবের হক মেরে খাওয়ার মতো বুকের পাটা যারা দেখিয়েছে, তাদের বোঝাতে হবে, দুর্নীতি করে রক্ষা পাওয়ার দিন বাংলাদেশে শেষ হতে চলেছে। কিন্তু বাস্তব চিত্র এটাই যে, সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণার পরও খোদ প্রধানমন্ত্রীর ঘরেই সিঁধ কাটা হচ্ছে!
গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে তৈরি কমিটি জায়গা নির্ধারণ করার পরও নিচু জমিতে বা নদীর পাড়ে কীভাবে ঘর বানানো হলো, কেন নির্মাণসামগ্রী নিম্ন মানের হলো—এসব প্রশ্নের জবাব খুঁজতে হবে। ঘুঘু বারবার ধান খেয়ে যাওয়ার আগেই ঘুঘুর পরান বধ করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি স্বপ্নের প্রকল্পের নাম ‘আশ্রয়ণ’। মুজিববর্ষে কেউ গৃহহীন থাকবে না—এই অঙ্গীকার পূরণের লক্ষ্যে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ১ লাখ ২৩ হাজার ছিন্নমূল মানুষের হাতে দুই শতক জমির ওপর একটি দুই কক্ষের মাথা গোঁজার ঠাঁই–একটি স্থায়ী ঠিকানা করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই বছরের মধ্যে আরও কমপক্ষে এক লাখ মানুষের হাতে ঘরের চাবি, জমির মালিকানা দলিল তুলে দেওয়ার কথা। যাঁরা এর মধ্যে একটি ঘর পেয়েছেন, তাঁদের সুখ, স্বস্তি ও আনন্দের কথা অনেকে হয়তো চিন্তাও করতে পারছেন না। একটি ঘরের স্বপ্ন, একটি নিরাপদ বাসস্থান যে একজন মানুষের কত বড় শান্তির বিষয়, সেটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্তর দিয়ে উপলব্ধি করেন বলেই এই ব্যতিক্রমী একটি প্রকল্পের চিন্তা তিনি মাথায় নিয়েছেন।
অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় হলো, এই প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত কিছু সরকারি কর্মকর্তার দুর্নীতি, অনিয়ম, অবহেলা ও লোভের কারণে সরকারের এমন একটি জনহিতৈষী মহৎ উদ্যোগও প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। দেশের কমপক্ষে ৩৬টি উপজেলার ৩৯টি প্রকল্প নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে। ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে, নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে দায়সারা গোছের কাজ সম্পন্ন করায় কিছু কিছু ঘর গ্রহীতার কাছে হস্তান্তর করতে না করতেই হয় ভেঙে পড়েছে অথবা বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। প্রধানমন্ত্রীর এই স্বপ্নের প্রকল্পকে তামাশায় পরিণত করার ধৃষ্টতা কারা দেখাল? কোথা থেকে এই আশকারা তারা পেয়েছে?
এর মধ্যে পাঁচজন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে ওএসডি করা হয়েছে, দুজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত ও মামলা করেছে দুদক। আশ্রয়ণ প্রকল্পের অনিয়মের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া কিছুটা স্বস্তিদায়ক হলেও এ নিয়ে প্রশ্ন আছে। প্রথম প্রশ্ন, ওএসডি করা কি আসলে কোনো শাস্তি? অতীতে দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগ উঠলে আসলে কি কোনো দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কেউ পেয়েছে?
প্রধানমন্ত্রী ভালোবেসে মানুষকে যে উপহার দিচ্ছেন, সেই উপহার থেকে টাকা আত্মসাৎ করার দুঃসাহস যারা দেখায়, তারা সাধারণ দুর্বৃত্ত নয়। ঘর বরাদ্দ নিয়ে চাঁদাবাজি ও অবৈধভাবে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার কিছু অভিযোগও আছে। এই দুর্বৃত্তির সঙ্গে যারা জড়িত, দ্রুততম সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ করে তাদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে। তারা যে শাস্তি পেয়েছে, সেটাও প্রচারে আনতে হবে। গরিবের হক মেরে খাওয়ার মতো বুকের পাটা যারা দেখিয়েছে, তাদের বোঝাতে হবে, দুর্নীতি করে রক্ষা পাওয়ার দিন বাংলাদেশে শেষ হতে চলেছে। কিন্তু বাস্তব চিত্র এটাই যে, সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণার পরও খোদ প্রধানমন্ত্রীর ঘরেই সিঁধ কাটা হচ্ছে!
গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে তৈরি কমিটি জায়গা নির্ধারণ করার পরও নিচু জমিতে বা নদীর পাড়ে কীভাবে ঘর বানানো হলো, কেন নির্মাণসামগ্রী নিম্ন মানের হলো—এসব প্রশ্নের জবাব খুঁজতে হবে। ঘুঘু বারবার ধান খেয়ে যাওয়ার আগেই ঘুঘুর পরান বধ করতে হবে।
সম্পাদকীয়

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি স্বপ্নের প্রকল্পের নাম ‘আশ্রয়ণ’। মুজিববর্ষে কেউ গৃহহীন থাকবে না—এই অঙ্গীকার পূরণের লক্ষ্যে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ১ লাখ ২৩ হাজার ছিন্নমূল মানুষের হাতে দুই শতক জমির ওপর একটি দুই কক্ষের মাথা গোঁজার ঠাঁই–একটি স্থায়ী ঠিকানা করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই বছরের মধ্যে আরও কমপক্ষে এক লাখ মানুষের হাতে ঘরের চাবি, জমির মালিকানা দলিল তুলে দেওয়ার কথা। যাঁরা এর মধ্যে একটি ঘর পেয়েছেন, তাঁদের সুখ, স্বস্তি ও আনন্দের কথা অনেকে হয়তো চিন্তাও করতে পারছেন না। একটি ঘরের স্বপ্ন, একটি নিরাপদ বাসস্থান যে একজন মানুষের কত বড় শান্তির বিষয়, সেটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্তর দিয়ে উপলব্ধি করেন বলেই এই ব্যতিক্রমী একটি প্রকল্পের চিন্তা তিনি মাথায় নিয়েছেন।
অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় হলো, এই প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত কিছু সরকারি কর্মকর্তার দুর্নীতি, অনিয়ম, অবহেলা ও লোভের কারণে সরকারের এমন একটি জনহিতৈষী মহৎ উদ্যোগও প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। দেশের কমপক্ষে ৩৬টি উপজেলার ৩৯টি প্রকল্প নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে। ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে, নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে দায়সারা গোছের কাজ সম্পন্ন করায় কিছু কিছু ঘর গ্রহীতার কাছে হস্তান্তর করতে না করতেই হয় ভেঙে পড়েছে অথবা বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। প্রধানমন্ত্রীর এই স্বপ্নের প্রকল্পকে তামাশায় পরিণত করার ধৃষ্টতা কারা দেখাল? কোথা থেকে এই আশকারা তারা পেয়েছে?
এর মধ্যে পাঁচজন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে ওএসডি করা হয়েছে, দুজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত ও মামলা করেছে দুদক। আশ্রয়ণ প্রকল্পের অনিয়মের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া কিছুটা স্বস্তিদায়ক হলেও এ নিয়ে প্রশ্ন আছে। প্রথম প্রশ্ন, ওএসডি করা কি আসলে কোনো শাস্তি? অতীতে দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগ উঠলে আসলে কি কোনো দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কেউ পেয়েছে?
প্রধানমন্ত্রী ভালোবেসে মানুষকে যে উপহার দিচ্ছেন, সেই উপহার থেকে টাকা আত্মসাৎ করার দুঃসাহস যারা দেখায়, তারা সাধারণ দুর্বৃত্ত নয়। ঘর বরাদ্দ নিয়ে চাঁদাবাজি ও অবৈধভাবে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার কিছু অভিযোগও আছে। এই দুর্বৃত্তির সঙ্গে যারা জড়িত, দ্রুততম সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ করে তাদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে। তারা যে শাস্তি পেয়েছে, সেটাও প্রচারে আনতে হবে। গরিবের হক মেরে খাওয়ার মতো বুকের পাটা যারা দেখিয়েছে, তাদের বোঝাতে হবে, দুর্নীতি করে রক্ষা পাওয়ার দিন বাংলাদেশে শেষ হতে চলেছে। কিন্তু বাস্তব চিত্র এটাই যে, সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণার পরও খোদ প্রধানমন্ত্রীর ঘরেই সিঁধ কাটা হচ্ছে!
গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে তৈরি কমিটি জায়গা নির্ধারণ করার পরও নিচু জমিতে বা নদীর পাড়ে কীভাবে ঘর বানানো হলো, কেন নির্মাণসামগ্রী নিম্ন মানের হলো—এসব প্রশ্নের জবাব খুঁজতে হবে। ঘুঘু বারবার ধান খেয়ে যাওয়ার আগেই ঘুঘুর পরান বধ করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি স্বপ্নের প্রকল্পের নাম ‘আশ্রয়ণ’। মুজিববর্ষে কেউ গৃহহীন থাকবে না—এই অঙ্গীকার পূরণের লক্ষ্যে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ১ লাখ ২৩ হাজার ছিন্নমূল মানুষের হাতে দুই শতক জমির ওপর একটি দুই কক্ষের মাথা গোঁজার ঠাঁই–একটি স্থায়ী ঠিকানা করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই বছরের মধ্যে আরও কমপক্ষে এক লাখ মানুষের হাতে ঘরের চাবি, জমির মালিকানা দলিল তুলে দেওয়ার কথা। যাঁরা এর মধ্যে একটি ঘর পেয়েছেন, তাঁদের সুখ, স্বস্তি ও আনন্দের কথা অনেকে হয়তো চিন্তাও করতে পারছেন না। একটি ঘরের স্বপ্ন, একটি নিরাপদ বাসস্থান যে একজন মানুষের কত বড় শান্তির বিষয়, সেটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্তর দিয়ে উপলব্ধি করেন বলেই এই ব্যতিক্রমী একটি প্রকল্পের চিন্তা তিনি মাথায় নিয়েছেন।
অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় হলো, এই প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত কিছু সরকারি কর্মকর্তার দুর্নীতি, অনিয়ম, অবহেলা ও লোভের কারণে সরকারের এমন একটি জনহিতৈষী মহৎ উদ্যোগও প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। দেশের কমপক্ষে ৩৬টি উপজেলার ৩৯টি প্রকল্প নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে। ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে, নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে দায়সারা গোছের কাজ সম্পন্ন করায় কিছু কিছু ঘর গ্রহীতার কাছে হস্তান্তর করতে না করতেই হয় ভেঙে পড়েছে অথবা বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। প্রধানমন্ত্রীর এই স্বপ্নের প্রকল্পকে তামাশায় পরিণত করার ধৃষ্টতা কারা দেখাল? কোথা থেকে এই আশকারা তারা পেয়েছে?
এর মধ্যে পাঁচজন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে ওএসডি করা হয়েছে, দুজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত ও মামলা করেছে দুদক। আশ্রয়ণ প্রকল্পের অনিয়মের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া কিছুটা স্বস্তিদায়ক হলেও এ নিয়ে প্রশ্ন আছে। প্রথম প্রশ্ন, ওএসডি করা কি আসলে কোনো শাস্তি? অতীতে দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগ উঠলে আসলে কি কোনো দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কেউ পেয়েছে?
প্রধানমন্ত্রী ভালোবেসে মানুষকে যে উপহার দিচ্ছেন, সেই উপহার থেকে টাকা আত্মসাৎ করার দুঃসাহস যারা দেখায়, তারা সাধারণ দুর্বৃত্ত নয়। ঘর বরাদ্দ নিয়ে চাঁদাবাজি ও অবৈধভাবে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার কিছু অভিযোগও আছে। এই দুর্বৃত্তির সঙ্গে যারা জড়িত, দ্রুততম সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ করে তাদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে। তারা যে শাস্তি পেয়েছে, সেটাও প্রচারে আনতে হবে। গরিবের হক মেরে খাওয়ার মতো বুকের পাটা যারা দেখিয়েছে, তাদের বোঝাতে হবে, দুর্নীতি করে রক্ষা পাওয়ার দিন বাংলাদেশে শেষ হতে চলেছে। কিন্তু বাস্তব চিত্র এটাই যে, সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণার পরও খোদ প্রধানমন্ত্রীর ঘরেই সিঁধ কাটা হচ্ছে!
গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে তৈরি কমিটি জায়গা নির্ধারণ করার পরও নিচু জমিতে বা নদীর পাড়ে কীভাবে ঘর বানানো হলো, কেন নির্মাণসামগ্রী নিম্ন মানের হলো—এসব প্রশ্নের জবাব খুঁজতে হবে। ঘুঘু বারবার ধান খেয়ে যাওয়ার আগেই ঘুঘুর পরান বধ করতে হবে।

দেশে বড় বড় কত ঘটনা ঘটে চলেছে, অথচ সেদিকে চোখ না রেখে দিনাজপুরের বিরামপুর নিয়ে কেন সম্পাদকীয় লিখতে হবে, তার একটা ব্যাখ্যা থাকা দরকার। দেশের রাজনীতিতে প্রতিটি মুহূর্তেই জন্ম নিচ্ছে নতুন বাস্তবতা। একটি রাজনৈতিক দলকে এই মুহূর্তে মনে হচ্ছে অন্য এক দলের সঙ্গে জোট করতে আগ্রহী, পর মুহূর্তেই দেখা যাচ্ছে, সেই
১ মিনিট আগে
এখন নাকি বানর আর শূকরের পালকেই দেখা যায় লাউয়াছড়ায়। বিরল প্রজাতির অনেক পাখি ও প্রাণী বাস করত এই সংরক্ষিত বনে। কিন্তু সেসব লুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। বনটিকে নিজেদের অভয়ারণ্য বলে হয়তো ভাবতে পারছে না তারা।
১ দিন আগে
বিভাজন যেখানে ঘরে ঘরে, জনে জনে, সেখানে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া যথেষ্ট সাহসের কাজই বটে। অন্তর্বর্তী সরকার সেই সাহস দেখিয়েছিল। দেশি-প্রবাসী-বিদেশি একদল প্রাজ্ঞজনের সমন্বয়ে গঠন করেছিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। যদিও কমিশনের সভাপতি হিসেবে এর স্টিয়ারিং হুইল ছিল প্রধান উপদেষ্টা...
১ দিন আগে
মানুষের জীবনের শেষ অধ্যায় হলো অদৃশ্য বার্ধক্যের যাত্রা। কিন্তু সবাই বার্ধক্যের জীবনে সমান মর্যাদা পায় না। সমাজের প্রান্তিক এক শ্রেণি হলো যৌনকর্মীরা। যখন তাঁরা শেষ বয়সে পৌঁছান, তখন তাঁরা এক অনিশ্চিত জীবনের মধ্যে পড়ে যায়। যৌবনে যাঁদের দেহই ছিল আয়ের একমাত্র মূলধন, বার্ধক্যে এসে সেই দেহই যেন হয়ে...
১ দিন আগেসম্পাদকীয়

দেশে বড় বড় কত ঘটনা ঘটে চলেছে, অথচ সেদিকে চোখ না রেখে দিনাজপুরের বিরামপুর নিয়ে কেন সম্পাদকীয় লিখতে হবে, তার একটা ব্যাখ্যা থাকা দরকার। দেশের রাজনীতিতে প্রতিটি মুহূর্তেই জন্ম নিচ্ছে নতুন বাস্তবতা। একটি রাজনৈতিক দলকে এই মুহূর্তে মনে হচ্ছে অন্য এক দলের সঙ্গে জোট করতে আগ্রহী, পর মুহূর্তেই দেখা যাচ্ছে, সেই ধারণা ঠিক নয়। জুলাই সনদ নিয়েই নানা ঘটনা ঘটছে দেশবাসীর চোখের সামনে। কিন্তু ঘটনা কোন দিকে গড়ায়, তা নিয়ে সাধারণ মানুষ তো বটেই, অনেক রাজনীতি-সচেতন মানুষ বা দলের কোনো ধারণা আছে বলে মনে হয় না। তাই ঘটনাপ্রবাহ কোন দিকে টেনে নিয়ে যাবে, সেটাই শুধু দেখার বিষয়। মন্তব্য করার মতো পরিপক্ব হয়ে ওঠার আগেই ঘটনা বদলে যাচ্ছে।
এ কারণেই বিরামপুরকে বেছে নেওয়া। বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বর্তমান অবস্থা থেকেও আমাদের অসহায়ত্বের খানিকটা আঁচ পাওয়া যাবে। একটি চিকিৎসা কেন্দ্রে ২৫ জন চিকিৎসক থাকার কথা, কিন্তু সেখানে আছেন সবে ধন নীলমণি ৩ জন—এই একটি তথ্যই বুঝিয়ে দেয়, কী অবস্থায় রয়েছে আমাদের স্বাস্থ্য খাত। ৫০ শয্যার এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পদের কোনো কমতি নেই, কিন্তু রয়েছেন তিনজন চিকিৎসক। বিরামপুর উপজেলার একটি পৌরসভা, সাতটি ইউনিয়নসহ পাশের বিভিন্ন উপজেলার ৫০০ থেকে ৬০০ রোগীকে প্রতিদিন আউটডোরে এবং প্রায় ৬০ জন ভর্তি রোগীকে ইনডোরে চিকিৎসা দিতে হয়। তিনজন চিকিৎসক কীভাবে রোগীদের এই চাপ সামলাচ্ছেন, সেটা বোধগম্য নয়।
আরেকটি উল্লেখযোগ্য বিষয়, এখানে গাইনি ও স্ত্রীরোগের জন্য কোনো চিকিৎসক নেই। অর্থাৎ এলাকার নারীরা কতটা বিপদে আছেন, তা এই একটি তথ্য থেকে ধারণা করা সম্ভব।
সাধারণভাবে কয়েকটি প্রশ্ন এসে ভিড় করে মনে। দেশে সরকারি মেডিকেল কলেজ কম নয়, প্রাইভেট মেডিকেল কলেজও অসংখ্য। দেশে বেকারত্বও প্রকট। তাহলে বিরামপুরের মতো স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোয় চিকিৎসকের সংকট থাকছে কেন? সময়মতো চিকিৎসক নেওয়া হয় না, নাকি দিনাজপুরে গিয়ে চাকরি করতে হবে—এ বিষয়ে চিকিৎসকদের অনাগ্রহ রয়েছে? সরকারি চাকরিতে চিকিৎসকের অনাগ্রহের কথা ধোপে টেকে না। চাকরিসূত্রে যেকোনো জায়গায় তাঁর পোস্টিং হতে পারে। কিন্তু নানাভাবে ‘ম্যানেজ’ করে বড় বড় শহরে থেকে যাওয়ার প্রবণতাও কি রয়েছে সংকটের মূলে? নাকি সরকারি পোস্টিংয়ের ক্ষেত্রে রয়ে গেছে ঘাপলা—সেটিও খুঁজে বের করা খুব জরুরি।
মৌলিক অধিকারের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা একটি—এ কথা মনে করিয়ে দেওয়ার কোনো মানে হয় না। শিক্ষা, বাসস্থানও তো মৌলিক অধিকার, সেটাই-বা কজন পাচ্ছে? আলাদাভাবে তাই স্বাস্থ্যসেবার কথা না বলে জোর দেওয়া যাক রাজনৈতিক অভিপ্রায়ের দিকে। যাঁরা ক্ষমতায় যান কিংবা যাওয়ার জন্য রাজনীতি করেন, তাঁদের দলীয় ইশতেহারে অনেক দামি দামি কথা লেখা থাকে, কিন্তু বাস্তবতা বলছে, ২৫ জন জনবলের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ জন চিকিৎসকই থাকবেন। অর্থাৎ ইশতেহার আর বাস্তবতার মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরির জন্য কেউই কাজ করবে না।
এই অবস্থাটা নানাভাবে বিভিন্ন জায়গায় বিরাজ করছে। এটা বদলাতেই হবে।

দেশে বড় বড় কত ঘটনা ঘটে চলেছে, অথচ সেদিকে চোখ না রেখে দিনাজপুরের বিরামপুর নিয়ে কেন সম্পাদকীয় লিখতে হবে, তার একটা ব্যাখ্যা থাকা দরকার। দেশের রাজনীতিতে প্রতিটি মুহূর্তেই জন্ম নিচ্ছে নতুন বাস্তবতা। একটি রাজনৈতিক দলকে এই মুহূর্তে মনে হচ্ছে অন্য এক দলের সঙ্গে জোট করতে আগ্রহী, পর মুহূর্তেই দেখা যাচ্ছে, সেই ধারণা ঠিক নয়। জুলাই সনদ নিয়েই নানা ঘটনা ঘটছে দেশবাসীর চোখের সামনে। কিন্তু ঘটনা কোন দিকে গড়ায়, তা নিয়ে সাধারণ মানুষ তো বটেই, অনেক রাজনীতি-সচেতন মানুষ বা দলের কোনো ধারণা আছে বলে মনে হয় না। তাই ঘটনাপ্রবাহ কোন দিকে টেনে নিয়ে যাবে, সেটাই শুধু দেখার বিষয়। মন্তব্য করার মতো পরিপক্ব হয়ে ওঠার আগেই ঘটনা বদলে যাচ্ছে।
এ কারণেই বিরামপুরকে বেছে নেওয়া। বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বর্তমান অবস্থা থেকেও আমাদের অসহায়ত্বের খানিকটা আঁচ পাওয়া যাবে। একটি চিকিৎসা কেন্দ্রে ২৫ জন চিকিৎসক থাকার কথা, কিন্তু সেখানে আছেন সবে ধন নীলমণি ৩ জন—এই একটি তথ্যই বুঝিয়ে দেয়, কী অবস্থায় রয়েছে আমাদের স্বাস্থ্য খাত। ৫০ শয্যার এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পদের কোনো কমতি নেই, কিন্তু রয়েছেন তিনজন চিকিৎসক। বিরামপুর উপজেলার একটি পৌরসভা, সাতটি ইউনিয়নসহ পাশের বিভিন্ন উপজেলার ৫০০ থেকে ৬০০ রোগীকে প্রতিদিন আউটডোরে এবং প্রায় ৬০ জন ভর্তি রোগীকে ইনডোরে চিকিৎসা দিতে হয়। তিনজন চিকিৎসক কীভাবে রোগীদের এই চাপ সামলাচ্ছেন, সেটা বোধগম্য নয়।
আরেকটি উল্লেখযোগ্য বিষয়, এখানে গাইনি ও স্ত্রীরোগের জন্য কোনো চিকিৎসক নেই। অর্থাৎ এলাকার নারীরা কতটা বিপদে আছেন, তা এই একটি তথ্য থেকে ধারণা করা সম্ভব।
সাধারণভাবে কয়েকটি প্রশ্ন এসে ভিড় করে মনে। দেশে সরকারি মেডিকেল কলেজ কম নয়, প্রাইভেট মেডিকেল কলেজও অসংখ্য। দেশে বেকারত্বও প্রকট। তাহলে বিরামপুরের মতো স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোয় চিকিৎসকের সংকট থাকছে কেন? সময়মতো চিকিৎসক নেওয়া হয় না, নাকি দিনাজপুরে গিয়ে চাকরি করতে হবে—এ বিষয়ে চিকিৎসকদের অনাগ্রহ রয়েছে? সরকারি চাকরিতে চিকিৎসকের অনাগ্রহের কথা ধোপে টেকে না। চাকরিসূত্রে যেকোনো জায়গায় তাঁর পোস্টিং হতে পারে। কিন্তু নানাভাবে ‘ম্যানেজ’ করে বড় বড় শহরে থেকে যাওয়ার প্রবণতাও কি রয়েছে সংকটের মূলে? নাকি সরকারি পোস্টিংয়ের ক্ষেত্রে রয়ে গেছে ঘাপলা—সেটিও খুঁজে বের করা খুব জরুরি।
মৌলিক অধিকারের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা একটি—এ কথা মনে করিয়ে দেওয়ার কোনো মানে হয় না। শিক্ষা, বাসস্থানও তো মৌলিক অধিকার, সেটাই-বা কজন পাচ্ছে? আলাদাভাবে তাই স্বাস্থ্যসেবার কথা না বলে জোর দেওয়া যাক রাজনৈতিক অভিপ্রায়ের দিকে। যাঁরা ক্ষমতায় যান কিংবা যাওয়ার জন্য রাজনীতি করেন, তাঁদের দলীয় ইশতেহারে অনেক দামি দামি কথা লেখা থাকে, কিন্তু বাস্তবতা বলছে, ২৫ জন জনবলের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ জন চিকিৎসকই থাকবেন। অর্থাৎ ইশতেহার আর বাস্তবতার মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরির জন্য কেউই কাজ করবে না।
এই অবস্থাটা নানাভাবে বিভিন্ন জায়গায় বিরাজ করছে। এটা বদলাতেই হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি স্বপ্নের প্রকল্পের নাম ‘আশ্রয়ণ’। মুজিববর্ষে কেউ গৃহহীন থাকবে না–এই অঙ্গীকার পূরণের লক্ষ্যে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ১ লাখ ২৩ হাজার ছিন্নমূল মানুষের হাতে দুই শতক জমির ওপর একটি দুই কক্ষের মাথা গোঁজার ঠাঁই–একটি স্থায়ী ঠিকানা করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
০৯ জুলাই ২০২১
এখন নাকি বানর আর শূকরের পালকেই দেখা যায় লাউয়াছড়ায়। বিরল প্রজাতির অনেক পাখি ও প্রাণী বাস করত এই সংরক্ষিত বনে। কিন্তু সেসব লুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। বনটিকে নিজেদের অভয়ারণ্য বলে হয়তো ভাবতে পারছে না তারা।
১ দিন আগে
বিভাজন যেখানে ঘরে ঘরে, জনে জনে, সেখানে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া যথেষ্ট সাহসের কাজই বটে। অন্তর্বর্তী সরকার সেই সাহস দেখিয়েছিল। দেশি-প্রবাসী-বিদেশি একদল প্রাজ্ঞজনের সমন্বয়ে গঠন করেছিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। যদিও কমিশনের সভাপতি হিসেবে এর স্টিয়ারিং হুইল ছিল প্রধান উপদেষ্টা...
১ দিন আগে
মানুষের জীবনের শেষ অধ্যায় হলো অদৃশ্য বার্ধক্যের যাত্রা। কিন্তু সবাই বার্ধক্যের জীবনে সমান মর্যাদা পায় না। সমাজের প্রান্তিক এক শ্রেণি হলো যৌনকর্মীরা। যখন তাঁরা শেষ বয়সে পৌঁছান, তখন তাঁরা এক অনিশ্চিত জীবনের মধ্যে পড়ে যায়। যৌবনে যাঁদের দেহই ছিল আয়ের একমাত্র মূলধন, বার্ধক্যে এসে সেই দেহই যেন হয়ে...
১ দিন আগেসম্পাদকীয়

এখন নাকি বানর আর শূকরের পালকেই দেখা যায় লাউয়াছড়ায়। বিরল প্রজাতির অনেক পাখি ও প্রাণী বাস করত এই সংরক্ষিত বনে। কিন্তু সেসব লুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। বনটিকে নিজেদের অভয়ারণ্য বলে হয়তো ভাবতে পারছে না তারা।
পর্যটন এই জীববৈচিত্র্যকে ম্লান করে দেওয়ার একটি কারণ বলে মনে করছেন অনেকে। লাউয়াছড়া বনের অভ্যন্তরের অনেকটা পথে গাড়ি ঢুকতে পারে। বনের মধ্যে গাড়ি চলছে—এটা কোনো সুসংবাদ হতে পারে না। গাড়ি প্রবেশে নিশ্চয়ই কর্তৃপক্ষের অনুমতি লাগে। কীভাবে এই গাড়িওয়ালারা অনুমতি নিয়ে লাউয়াছড়ায় প্রবেশ করেন, তা জানা প্রয়োজন।
মৌলভীবাজারে অবস্থিত লাউয়াছড়াকে জাতীয় উদ্যান বলা হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু জাতীয় উদ্যান হিসেবে বেঁচে থাকার কোনো ব্যবস্থাই রাখা হয়নি। আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, ২০১৪ সালের একটি জরিপে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে ৪৬০ প্রজাতির দুর্লভ উদ্ভিদ ও প্রাণী থাকার কথা। এর মধ্যে ১৬৭ প্রজাতির উদ্ভিদ, ৪ প্রজাতির উভচর, ৬ প্রজাতির সরীসৃপ, ২৪৬ প্রজাতির পাখি ও ২০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী ছিল। কিন্তু এখন এত ধরনের উদ্ভিদ, পাখি ও প্রাণী কেন দেখা যায় না, সে প্রশ্ন তো তুলতেই হবে। যাঁদের ওপর এদের রক্ষণাবেক্ষণের ভার, তাঁরা আদতে কী করছেন, তা জানতে হবে না?
তবে এ ব্যাপারে বন বিভাগ একটি খাঁটি কথা বলেছে। তাদের মতে, অতিরিক্ত পর্যটকের হট্টগোল, গাড়ি ও ট্রেনের আওয়াজ এবং জনসংখ্যা বাড়ার কারণে প্রাণীরা লোকালয় থেকে একটু দূরে চলে যায়। এসব কারণে প্রাণী কম দেখা যায় বনে। এ ছাড়া পর্যটন আর বনের প্রাকৃতিক পরিবেশ একসঙ্গে রক্ষা করা কঠিন।
শেষ কথাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ‘পর্যটন আর বনের প্রাকৃতিক পরিবেশ একসঙ্গে রক্ষা করা কঠিন।’ এ তো খুবই সত্যভাষণ। যদি সেটাই সত্য হয়ে থাকে, তাহলে এই বাড়াবাড়ির বিরুদ্ধে তারা ব্যবস্থা নেয় না কেন? এই বনের ঘনত্বের কারণে একসময় বনের ভেতর সূর্যের আলো সরাসরি পড়ত না। সেই ঘনত্ব কমে গেল কেন? কেন বনের সর্বত্র মানুষ অবাধে ঢুকে পড়ছে? বন বিভাগ কি জানে না, পশুর চারণক্ষেত্রে মানুষের অবাধ আনাগোনা পশু-পাখির জন্য স্বস্তিদায়ক নয়? আরও ভয়ংকর ব্যাপার হলো, এই বনে প্রাণীদের খাদ্যসংকট। পর্যাপ্ত খাদ্য না থাকলে এই বনে পশু-পাখি কেন থাকবে? পশুদের জীবনের বারোটা বাজিয়ে দেওয়ার জন্য চা-বাগানের কীটনাশক মেশানো পানিও অনেকটা দায়ী, যার কারণে ছড়ায় পানি খেতে আসা প্রাণীরা মারা পড়ে।
লাউয়াছড়ার জীববৈচিত্র্য ফিরিয়ে আনার জন্য কোনো বাড়তি পদক্ষেপের প্রয়োজন নেই। যে কারণে বনের এই দুর্দশা, তার প্রতিটির সমাধান করার উপায় বন বিভাগের জানা আছে। সেগুলো মেনে চললে লাউয়াছড়ায় বসবাসকারী পশু-পাখি ও উদ্ভিদ বেঁচে থাকতে পারবে। একই সঙ্গে প্রকৃতিকে বাঁচানো এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ করা সম্ভব যদি আন্তরিকতা থাকে। সরকারি কাজে সে রকম আন্তরিকতা কি একেবারেই দুর্লভ হয়ে গেছে? না হয়ে থাকলে তার প্রমাণ দেওয়া হোক।

এখন নাকি বানর আর শূকরের পালকেই দেখা যায় লাউয়াছড়ায়। বিরল প্রজাতির অনেক পাখি ও প্রাণী বাস করত এই সংরক্ষিত বনে। কিন্তু সেসব লুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। বনটিকে নিজেদের অভয়ারণ্য বলে হয়তো ভাবতে পারছে না তারা।
পর্যটন এই জীববৈচিত্র্যকে ম্লান করে দেওয়ার একটি কারণ বলে মনে করছেন অনেকে। লাউয়াছড়া বনের অভ্যন্তরের অনেকটা পথে গাড়ি ঢুকতে পারে। বনের মধ্যে গাড়ি চলছে—এটা কোনো সুসংবাদ হতে পারে না। গাড়ি প্রবেশে নিশ্চয়ই কর্তৃপক্ষের অনুমতি লাগে। কীভাবে এই গাড়িওয়ালারা অনুমতি নিয়ে লাউয়াছড়ায় প্রবেশ করেন, তা জানা প্রয়োজন।
মৌলভীবাজারে অবস্থিত লাউয়াছড়াকে জাতীয় উদ্যান বলা হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু জাতীয় উদ্যান হিসেবে বেঁচে থাকার কোনো ব্যবস্থাই রাখা হয়নি। আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, ২০১৪ সালের একটি জরিপে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে ৪৬০ প্রজাতির দুর্লভ উদ্ভিদ ও প্রাণী থাকার কথা। এর মধ্যে ১৬৭ প্রজাতির উদ্ভিদ, ৪ প্রজাতির উভচর, ৬ প্রজাতির সরীসৃপ, ২৪৬ প্রজাতির পাখি ও ২০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী ছিল। কিন্তু এখন এত ধরনের উদ্ভিদ, পাখি ও প্রাণী কেন দেখা যায় না, সে প্রশ্ন তো তুলতেই হবে। যাঁদের ওপর এদের রক্ষণাবেক্ষণের ভার, তাঁরা আদতে কী করছেন, তা জানতে হবে না?
তবে এ ব্যাপারে বন বিভাগ একটি খাঁটি কথা বলেছে। তাদের মতে, অতিরিক্ত পর্যটকের হট্টগোল, গাড়ি ও ট্রেনের আওয়াজ এবং জনসংখ্যা বাড়ার কারণে প্রাণীরা লোকালয় থেকে একটু দূরে চলে যায়। এসব কারণে প্রাণী কম দেখা যায় বনে। এ ছাড়া পর্যটন আর বনের প্রাকৃতিক পরিবেশ একসঙ্গে রক্ষা করা কঠিন।
শেষ কথাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ‘পর্যটন আর বনের প্রাকৃতিক পরিবেশ একসঙ্গে রক্ষা করা কঠিন।’ এ তো খুবই সত্যভাষণ। যদি সেটাই সত্য হয়ে থাকে, তাহলে এই বাড়াবাড়ির বিরুদ্ধে তারা ব্যবস্থা নেয় না কেন? এই বনের ঘনত্বের কারণে একসময় বনের ভেতর সূর্যের আলো সরাসরি পড়ত না। সেই ঘনত্ব কমে গেল কেন? কেন বনের সর্বত্র মানুষ অবাধে ঢুকে পড়ছে? বন বিভাগ কি জানে না, পশুর চারণক্ষেত্রে মানুষের অবাধ আনাগোনা পশু-পাখির জন্য স্বস্তিদায়ক নয়? আরও ভয়ংকর ব্যাপার হলো, এই বনে প্রাণীদের খাদ্যসংকট। পর্যাপ্ত খাদ্য না থাকলে এই বনে পশু-পাখি কেন থাকবে? পশুদের জীবনের বারোটা বাজিয়ে দেওয়ার জন্য চা-বাগানের কীটনাশক মেশানো পানিও অনেকটা দায়ী, যার কারণে ছড়ায় পানি খেতে আসা প্রাণীরা মারা পড়ে।
লাউয়াছড়ার জীববৈচিত্র্য ফিরিয়ে আনার জন্য কোনো বাড়তি পদক্ষেপের প্রয়োজন নেই। যে কারণে বনের এই দুর্দশা, তার প্রতিটির সমাধান করার উপায় বন বিভাগের জানা আছে। সেগুলো মেনে চললে লাউয়াছড়ায় বসবাসকারী পশু-পাখি ও উদ্ভিদ বেঁচে থাকতে পারবে। একই সঙ্গে প্রকৃতিকে বাঁচানো এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ করা সম্ভব যদি আন্তরিকতা থাকে। সরকারি কাজে সে রকম আন্তরিকতা কি একেবারেই দুর্লভ হয়ে গেছে? না হয়ে থাকলে তার প্রমাণ দেওয়া হোক।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি স্বপ্নের প্রকল্পের নাম ‘আশ্রয়ণ’। মুজিববর্ষে কেউ গৃহহীন থাকবে না–এই অঙ্গীকার পূরণের লক্ষ্যে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ১ লাখ ২৩ হাজার ছিন্নমূল মানুষের হাতে দুই শতক জমির ওপর একটি দুই কক্ষের মাথা গোঁজার ঠাঁই–একটি স্থায়ী ঠিকানা করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
০৯ জুলাই ২০২১
দেশে বড় বড় কত ঘটনা ঘটে চলেছে, অথচ সেদিকে চোখ না রেখে দিনাজপুরের বিরামপুর নিয়ে কেন সম্পাদকীয় লিখতে হবে, তার একটা ব্যাখ্যা থাকা দরকার। দেশের রাজনীতিতে প্রতিটি মুহূর্তেই জন্ম নিচ্ছে নতুন বাস্তবতা। একটি রাজনৈতিক দলকে এই মুহূর্তে মনে হচ্ছে অন্য এক দলের সঙ্গে জোট করতে আগ্রহী, পর মুহূর্তেই দেখা যাচ্ছে, সেই
১ মিনিট আগে
বিভাজন যেখানে ঘরে ঘরে, জনে জনে, সেখানে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া যথেষ্ট সাহসের কাজই বটে। অন্তর্বর্তী সরকার সেই সাহস দেখিয়েছিল। দেশি-প্রবাসী-বিদেশি একদল প্রাজ্ঞজনের সমন্বয়ে গঠন করেছিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। যদিও কমিশনের সভাপতি হিসেবে এর স্টিয়ারিং হুইল ছিল প্রধান উপদেষ্টা...
১ দিন আগে
মানুষের জীবনের শেষ অধ্যায় হলো অদৃশ্য বার্ধক্যের যাত্রা। কিন্তু সবাই বার্ধক্যের জীবনে সমান মর্যাদা পায় না। সমাজের প্রান্তিক এক শ্রেণি হলো যৌনকর্মীরা। যখন তাঁরা শেষ বয়সে পৌঁছান, তখন তাঁরা এক অনিশ্চিত জীবনের মধ্যে পড়ে যায়। যৌবনে যাঁদের দেহই ছিল আয়ের একমাত্র মূলধন, বার্ধক্যে এসে সেই দেহই যেন হয়ে...
১ দিন আগেঅরুণ কর্মকার

বিভাজন যেখানে ঘরে ঘরে, জনে জনে, সেখানে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া যথেষ্ট সাহসের কাজই বটে। অন্তর্বর্তী সরকার সেই সাহস দেখিয়েছিল। দেশি-প্রবাসী-বিদেশি একদল প্রাজ্ঞজনের সমন্বয়ে গঠন করেছিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। যদিও কমিশনের সভাপতি হিসেবে এর স্টিয়ারিং হুইল ছিল প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হাতেই। কিন্তু বাস্তব কর্মক্ষেত্রে দীর্ঘ ২৭০ দিন ধরে ৩০টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার সমন্বয় করেছেন সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের নেতৃত্বে কমিশনের অন্য সদস্যরা। জাতীয় ঐক্য গড়ার জন্য যে রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও অভিজ্ঞতা প্রয়োজন, তার সবই হয়তো এই সদস্যদের ছিল বা আছে। কিন্তু তাঁদের অধ্যবসায়ে কিছু একটার যে অভাব ছিল, তা এখন স্পষ্ট। না হলে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশসহ প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে প্রধান উপদেষ্টার কাছে উপস্থাপন করার সঙ্গে সঙ্গে বিভেদ-বিভাজন ও অনৈক্যের আগুনে একেবারে ঘি পড়ার মতো অবস্থা হলো কেন? এ কথা মনে করার কোনো কারণ নেই যে কমিশনের সভাপতি তথা প্রধান উপদেষ্টার অজ্ঞাতসারে কিংবা অনুমোদন ছাড়া এই প্রতিবেদন চূড়ান্ত হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে তিনি যেমন প্রতিবেদন গ্রহণ করেছেন, তেমনি কমিশনের সভাপতি হিসেবে ওই প্রতিবেদনে স্বাক্ষরও করেছেন।
তাহলে সবাই তো ছিলেন। তারপরও তাঁদের অধ্যবসায়ে কিসের এত অভাব ছিল, যাতে প্রতিবেদনে সন্নিবেশিত সুপারিশগুলো প্রকাশ হওয়ার পরই বিএনপি ঐকমত্য কমিশন সম্পর্কে প্রতারণার অভিযোগ তুলল! একই সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার দিকেও অভিযোগের তির ছুড়ল! বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বয়ানে—জুলাই সনদের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় নোট অব ডিসেন্ট উপেক্ষা করে জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। এই কারণে নির্বাচনে কোনো রকম ব্যত্যয় ঘটলে তার দায়দায়িত্ব ড. ইউনূসকেই নিতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা এবং প্রণীত সুপারিশের মধ্যে কী এমন সামঞ্জস্যহীনতা রেখে দেওয়া হয়েছে, যাতে সালাহউদ্দিন আহমদ বললেন যে কমিশনের সুপারিশে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি হবে না, জাতি বিভক্ত হবে! বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনায় বিএনপির প্রধান প্রতিনিধি ছিলেন। তিনি যখন বলেন, ঐকমত্য কমিশনে যেসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, সেগুলো সুপারিশে নেই কিংবা বিএনপি যে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছে, সুপারিশের সঙ্গে যুক্ত করা সনদ সেটি নয়, তখন তা জনপরিসরে বিশেষ কিছুর ইঙ্গিত দেয়।
আবার বিএনপির এই প্রতিক্রিয়ার সম্পূর্ণ বিপরীত প্রতিক্রিয়া দেখা যায় জামায়াতের। জামায়াতের প্রতিক্রিয়ায় স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে তারা ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের সঙ্গে শতভাগ সহমত পোষণ করে। এখন তারা সরকারের ওপর ক্রমাগতভাবে চাপ বাড়িয়ে যাচ্ছে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি করা এবং গণভোটের তারিখ ঘোষণার জন্য। এ ব্যাপারে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি জামায়াতের সর্বশেষ দাবি ছিল গতকাল শুক্রবার জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি করার। গত বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, জামায়াত রাষ্ট্র সংস্কারে দেওয়া ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবগুলোর পূর্ণ বাস্তবায়ন চায়। সে জন্য আগামীকালের (শুক্রবার) মধ্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে। এই বক্তব্যে এ বিষয়টি স্পষ্ট যে ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশমালা নিয়ে তাদের কোনো দ্বিমত নেই।
গণভোটের বিষয়ে জামায়াতের বক্তব্য হলো—জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারির পর গণভোটের আয়োজন করতে হবে। সেটা অবশ্যই জাতীয় নির্বাচনের আগে এবং সেটি চলতি নভেম্বর মাসের মধ্যে হওয়াই সমীচীন। এ ব্যাপারে যত দেরি হবে ততই সরকার জনগণের আস্থা হারাবে। জামায়াত একই দিনে নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠান সমর্থন করে না। গণভোটের পর ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে হবে। এর মধ্যে এমন কোনো বিষয় সামনে আনা যাবে না (সরকার কিংবা কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে) যাতে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধের নির্বাচন অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের বিষয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অবস্থান অনেকটাই জামায়াতের কাছাকাছি। অবশ্য গণভোটের সময় নিয়ে জামায়াতের মতো এনসিপির কঠোর কোনো অবস্থান নেই। তারা একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠানে যেমন রাজি, তেমনি গণভোট জাতীয় নির্বাচনের আগে হলেও তাদের আপত্তি নেই। তবে তারা চায় প্রধান উপদেষ্টা অবিলম্বে শহীদ মিনারে গিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ ঘোষণা করবেন এবং এনসিপি সেখানেই সনদে স্বাক্ষর করবে।
জুলাই অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী এবং বর্তমানে ক্রিয়াশীল রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিএনপির পরেই জামায়াতকে গণ্য করা হয়। অবশ্য শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকেই বিভিন্ন ইস্যুতে দল দুটির মধ্যে অনৈক্যের সুর স্পষ্ট ও তীব্রতর হতে থাকে। বর্তমানে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ ঘিরে দল দুটির অবস্থান সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুতে। এনসিপির অবস্থান কিছুটা ভিন্ন হলেও তা জাতীয় ঐক্যের সমার্থক নয়। অন্যান্য রাজনৈতিক দলের অবস্থানও ‘হয় এদিকে নয় ওদিকে’। জুলাই অভ্যুত্থানের রাজনৈতিক শক্তির মধ্যে এই যে অনৈক্য, সেটা অন্তর্বর্তী সরকারেরও মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে। সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, অভ্যুত্থানের শক্তিগুলোর মধ্যে এই অনৈক্য হতাশাব্যঞ্জক এবং সরকারের সামনে এক নতুন চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে। গত বৃহস্পতিবার তিনি অবশ্য সব পক্ষকে আশ্বস্ত করেছেন এই বলে যে গণভোটের সময় এবং জুলাই সনদ বাস্তবায়নে ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধান উপদেষ্টা নিজে এবং তা শিগগিরই নেওয়া হবে।
কিন্তু তাতেই কি অনৈক্যের অবসান এবং সব সমস্যার সমাধান হবে? যে ভিন্নমতগুলোসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছে, সেগুলোর মীমাংসা হবে কীভাবে! আবার গণভোট অনুষ্ঠানের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়েছে ঠিকই। কিন্তু গণভোটের প্রশ্নটি কী হবে? ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশে যে প্রশ্নের প্রস্তাব করা হয়েছে, সেটি তো বিস্ময়কর। কমিশনের প্রশ্নটি হলো—‘আপনি কি জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ এবং ইহার তফসিল-১-এ সন্নিবেশিত সংবিধান সংস্কার সম্পর্কিত খসড়া বিলের প্রস্তাবসমূহের প্রতি আপনার সম্মতি জ্ঞাপন করিতেছেন?’ এই প্রশ্ন থেকে ‘খসড়া বিলের’ শব্দ দুটি প্রয়োজনে বাদও দেওয়া যেতে পারে বলে কমিশন বলেছে। তবে এই প্রশ্ন গণভোটের উপযোগী নয়। কারণ, এই প্রশ্নের হ্যাঁ কিংবা না জবাব দেওয়া সম্ভব নয়। গণভোটে এই প্রশ্নের হ্যাঁ জবাব দিতে হলে একজন ভোটারকে ৪৮টি প্রস্তাবের সঙ্গেই একমত হতে হবে। আর না জবাব দিতে হলেও ৪৮টি প্রস্তাবকেই না বলতে হবে, যেটা বাস্তবসম্মত নয়। এ ছাড়া জুলাই জাতীয় সনদে সংবিধান সংস্কার প্রশ্নে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের যে ভিন্নমত যুক্ত হয়েছিল, গণভোটে তা বিবেচনায় না নেওয়ারও সুপারিশ করা হয়েছে। মানে জুলাই সনদের পক্ষে যদি জনগণ ভোট দেন, তবে ভিন্নমতগুলো বিবেচনায় নেওয়ার আর কোনো সুযোগ থাকবে না।
জাতীয় ঐকমত্য সৃষ্টির লক্ষ্যে গত ৯ মাস প্রাজ্ঞজনেরা যে কঠোর অধ্যবসায় করলেন, তার ফল কী হলো? একদিকে জাতীয় ঐক্য অধরা থেকে গেল, একই সঙ্গে কোনো সমস্যারই পূর্ণ ও স্পষ্ট সমাধান মিলল না। অবশ্য সরকার যে হাতের পাঁচ রেখে দিয়েছে, তা বোধগম্য হয় উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের কথায়। তিনি বলেছেন, জুলাই সনদের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হবে। আমরা ধারণা করতে পারি, সে ক্ষেত্রে হয়তো রাজনৈতিক দলগুলোকে কোনো কোনো বিষয় ছাড় দিত হবে, যা তারা এখন চাইছে না।

বিভাজন যেখানে ঘরে ঘরে, জনে জনে, সেখানে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া যথেষ্ট সাহসের কাজই বটে। অন্তর্বর্তী সরকার সেই সাহস দেখিয়েছিল। দেশি-প্রবাসী-বিদেশি একদল প্রাজ্ঞজনের সমন্বয়ে গঠন করেছিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। যদিও কমিশনের সভাপতি হিসেবে এর স্টিয়ারিং হুইল ছিল প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হাতেই। কিন্তু বাস্তব কর্মক্ষেত্রে দীর্ঘ ২৭০ দিন ধরে ৩০টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার সমন্বয় করেছেন সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের নেতৃত্বে কমিশনের অন্য সদস্যরা। জাতীয় ঐক্য গড়ার জন্য যে রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও অভিজ্ঞতা প্রয়োজন, তার সবই হয়তো এই সদস্যদের ছিল বা আছে। কিন্তু তাঁদের অধ্যবসায়ে কিছু একটার যে অভাব ছিল, তা এখন স্পষ্ট। না হলে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশসহ প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে প্রধান উপদেষ্টার কাছে উপস্থাপন করার সঙ্গে সঙ্গে বিভেদ-বিভাজন ও অনৈক্যের আগুনে একেবারে ঘি পড়ার মতো অবস্থা হলো কেন? এ কথা মনে করার কোনো কারণ নেই যে কমিশনের সভাপতি তথা প্রধান উপদেষ্টার অজ্ঞাতসারে কিংবা অনুমোদন ছাড়া এই প্রতিবেদন চূড়ান্ত হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে তিনি যেমন প্রতিবেদন গ্রহণ করেছেন, তেমনি কমিশনের সভাপতি হিসেবে ওই প্রতিবেদনে স্বাক্ষরও করেছেন।
তাহলে সবাই তো ছিলেন। তারপরও তাঁদের অধ্যবসায়ে কিসের এত অভাব ছিল, যাতে প্রতিবেদনে সন্নিবেশিত সুপারিশগুলো প্রকাশ হওয়ার পরই বিএনপি ঐকমত্য কমিশন সম্পর্কে প্রতারণার অভিযোগ তুলল! একই সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার দিকেও অভিযোগের তির ছুড়ল! বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বয়ানে—জুলাই সনদের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় নোট অব ডিসেন্ট উপেক্ষা করে জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। এই কারণে নির্বাচনে কোনো রকম ব্যত্যয় ঘটলে তার দায়দায়িত্ব ড. ইউনূসকেই নিতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা এবং প্রণীত সুপারিশের মধ্যে কী এমন সামঞ্জস্যহীনতা রেখে দেওয়া হয়েছে, যাতে সালাহউদ্দিন আহমদ বললেন যে কমিশনের সুপারিশে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি হবে না, জাতি বিভক্ত হবে! বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনায় বিএনপির প্রধান প্রতিনিধি ছিলেন। তিনি যখন বলেন, ঐকমত্য কমিশনে যেসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, সেগুলো সুপারিশে নেই কিংবা বিএনপি যে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছে, সুপারিশের সঙ্গে যুক্ত করা সনদ সেটি নয়, তখন তা জনপরিসরে বিশেষ কিছুর ইঙ্গিত দেয়।
আবার বিএনপির এই প্রতিক্রিয়ার সম্পূর্ণ বিপরীত প্রতিক্রিয়া দেখা যায় জামায়াতের। জামায়াতের প্রতিক্রিয়ায় স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে তারা ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের সঙ্গে শতভাগ সহমত পোষণ করে। এখন তারা সরকারের ওপর ক্রমাগতভাবে চাপ বাড়িয়ে যাচ্ছে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি করা এবং গণভোটের তারিখ ঘোষণার জন্য। এ ব্যাপারে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি জামায়াতের সর্বশেষ দাবি ছিল গতকাল শুক্রবার জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি করার। গত বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, জামায়াত রাষ্ট্র সংস্কারে দেওয়া ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবগুলোর পূর্ণ বাস্তবায়ন চায়। সে জন্য আগামীকালের (শুক্রবার) মধ্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে। এই বক্তব্যে এ বিষয়টি স্পষ্ট যে ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশমালা নিয়ে তাদের কোনো দ্বিমত নেই।
গণভোটের বিষয়ে জামায়াতের বক্তব্য হলো—জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারির পর গণভোটের আয়োজন করতে হবে। সেটা অবশ্যই জাতীয় নির্বাচনের আগে এবং সেটি চলতি নভেম্বর মাসের মধ্যে হওয়াই সমীচীন। এ ব্যাপারে যত দেরি হবে ততই সরকার জনগণের আস্থা হারাবে। জামায়াত একই দিনে নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠান সমর্থন করে না। গণভোটের পর ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে হবে। এর মধ্যে এমন কোনো বিষয় সামনে আনা যাবে না (সরকার কিংবা কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে) যাতে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধের নির্বাচন অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের বিষয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অবস্থান অনেকটাই জামায়াতের কাছাকাছি। অবশ্য গণভোটের সময় নিয়ে জামায়াতের মতো এনসিপির কঠোর কোনো অবস্থান নেই। তারা একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠানে যেমন রাজি, তেমনি গণভোট জাতীয় নির্বাচনের আগে হলেও তাদের আপত্তি নেই। তবে তারা চায় প্রধান উপদেষ্টা অবিলম্বে শহীদ মিনারে গিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ ঘোষণা করবেন এবং এনসিপি সেখানেই সনদে স্বাক্ষর করবে।
জুলাই অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী এবং বর্তমানে ক্রিয়াশীল রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিএনপির পরেই জামায়াতকে গণ্য করা হয়। অবশ্য শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকেই বিভিন্ন ইস্যুতে দল দুটির মধ্যে অনৈক্যের সুর স্পষ্ট ও তীব্রতর হতে থাকে। বর্তমানে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ ঘিরে দল দুটির অবস্থান সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুতে। এনসিপির অবস্থান কিছুটা ভিন্ন হলেও তা জাতীয় ঐক্যের সমার্থক নয়। অন্যান্য রাজনৈতিক দলের অবস্থানও ‘হয় এদিকে নয় ওদিকে’। জুলাই অভ্যুত্থানের রাজনৈতিক শক্তির মধ্যে এই যে অনৈক্য, সেটা অন্তর্বর্তী সরকারেরও মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে। সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, অভ্যুত্থানের শক্তিগুলোর মধ্যে এই অনৈক্য হতাশাব্যঞ্জক এবং সরকারের সামনে এক নতুন চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে। গত বৃহস্পতিবার তিনি অবশ্য সব পক্ষকে আশ্বস্ত করেছেন এই বলে যে গণভোটের সময় এবং জুলাই সনদ বাস্তবায়নে ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধান উপদেষ্টা নিজে এবং তা শিগগিরই নেওয়া হবে।
কিন্তু তাতেই কি অনৈক্যের অবসান এবং সব সমস্যার সমাধান হবে? যে ভিন্নমতগুলোসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছে, সেগুলোর মীমাংসা হবে কীভাবে! আবার গণভোট অনুষ্ঠানের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়েছে ঠিকই। কিন্তু গণভোটের প্রশ্নটি কী হবে? ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশে যে প্রশ্নের প্রস্তাব করা হয়েছে, সেটি তো বিস্ময়কর। কমিশনের প্রশ্নটি হলো—‘আপনি কি জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ এবং ইহার তফসিল-১-এ সন্নিবেশিত সংবিধান সংস্কার সম্পর্কিত খসড়া বিলের প্রস্তাবসমূহের প্রতি আপনার সম্মতি জ্ঞাপন করিতেছেন?’ এই প্রশ্ন থেকে ‘খসড়া বিলের’ শব্দ দুটি প্রয়োজনে বাদও দেওয়া যেতে পারে বলে কমিশন বলেছে। তবে এই প্রশ্ন গণভোটের উপযোগী নয়। কারণ, এই প্রশ্নের হ্যাঁ কিংবা না জবাব দেওয়া সম্ভব নয়। গণভোটে এই প্রশ্নের হ্যাঁ জবাব দিতে হলে একজন ভোটারকে ৪৮টি প্রস্তাবের সঙ্গেই একমত হতে হবে। আর না জবাব দিতে হলেও ৪৮টি প্রস্তাবকেই না বলতে হবে, যেটা বাস্তবসম্মত নয়। এ ছাড়া জুলাই জাতীয় সনদে সংবিধান সংস্কার প্রশ্নে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের যে ভিন্নমত যুক্ত হয়েছিল, গণভোটে তা বিবেচনায় না নেওয়ারও সুপারিশ করা হয়েছে। মানে জুলাই সনদের পক্ষে যদি জনগণ ভোট দেন, তবে ভিন্নমতগুলো বিবেচনায় নেওয়ার আর কোনো সুযোগ থাকবে না।
জাতীয় ঐকমত্য সৃষ্টির লক্ষ্যে গত ৯ মাস প্রাজ্ঞজনেরা যে কঠোর অধ্যবসায় করলেন, তার ফল কী হলো? একদিকে জাতীয় ঐক্য অধরা থেকে গেল, একই সঙ্গে কোনো সমস্যারই পূর্ণ ও স্পষ্ট সমাধান মিলল না। অবশ্য সরকার যে হাতের পাঁচ রেখে দিয়েছে, তা বোধগম্য হয় উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের কথায়। তিনি বলেছেন, জুলাই সনদের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হবে। আমরা ধারণা করতে পারি, সে ক্ষেত্রে হয়তো রাজনৈতিক দলগুলোকে কোনো কোনো বিষয় ছাড় দিত হবে, যা তারা এখন চাইছে না।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি স্বপ্নের প্রকল্পের নাম ‘আশ্রয়ণ’। মুজিববর্ষে কেউ গৃহহীন থাকবে না–এই অঙ্গীকার পূরণের লক্ষ্যে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ১ লাখ ২৩ হাজার ছিন্নমূল মানুষের হাতে দুই শতক জমির ওপর একটি দুই কক্ষের মাথা গোঁজার ঠাঁই–একটি স্থায়ী ঠিকানা করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
০৯ জুলাই ২০২১
দেশে বড় বড় কত ঘটনা ঘটে চলেছে, অথচ সেদিকে চোখ না রেখে দিনাজপুরের বিরামপুর নিয়ে কেন সম্পাদকীয় লিখতে হবে, তার একটা ব্যাখ্যা থাকা দরকার। দেশের রাজনীতিতে প্রতিটি মুহূর্তেই জন্ম নিচ্ছে নতুন বাস্তবতা। একটি রাজনৈতিক দলকে এই মুহূর্তে মনে হচ্ছে অন্য এক দলের সঙ্গে জোট করতে আগ্রহী, পর মুহূর্তেই দেখা যাচ্ছে, সেই
১ মিনিট আগে
এখন নাকি বানর আর শূকরের পালকেই দেখা যায় লাউয়াছড়ায়। বিরল প্রজাতির অনেক পাখি ও প্রাণী বাস করত এই সংরক্ষিত বনে। কিন্তু সেসব লুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। বনটিকে নিজেদের অভয়ারণ্য বলে হয়তো ভাবতে পারছে না তারা।
১ দিন আগে
মানুষের জীবনের শেষ অধ্যায় হলো অদৃশ্য বার্ধক্যের যাত্রা। কিন্তু সবাই বার্ধক্যের জীবনে সমান মর্যাদা পায় না। সমাজের প্রান্তিক এক শ্রেণি হলো যৌনকর্মীরা। যখন তাঁরা শেষ বয়সে পৌঁছান, তখন তাঁরা এক অনিশ্চিত জীবনের মধ্যে পড়ে যায়। যৌবনে যাঁদের দেহই ছিল আয়ের একমাত্র মূলধন, বার্ধক্যে এসে সেই দেহই যেন হয়ে...
১ দিন আগেহাসান আলী

মানুষের জীবনের শেষ অধ্যায় হলো অদৃশ্য বার্ধক্যের যাত্রা। কিন্তু সবাই বার্ধক্যের জীবনে সমান মর্যাদা পায় না। সমাজের প্রান্তিক এক শ্রেণি হলো যৌনকর্মীরা। যখন তাঁরা শেষ বয়সে পৌঁছান, তখন তাঁরা এক অনিশ্চিত জীবনের মধ্যে পড়ে যায়। যৌবনে যাঁদের দেহই ছিল আয়ের একমাত্র মূলধন, বার্ধক্যে এসে সেই দেহই যেন হয়ে ওঠে অবজ্ঞার প্রতীক। দক্ষিণ এশিয়ার অন্ধকার গলিপথ থেকে শুরু করে পশ্চিমা বিশ্বের নিয়ন্ত্রিত পল্লি—সবখানেই এই যৌনকর্মীর জীবনে নেমে আসে এক গভীর নিঃসঙ্গতা।
ঢাকার কোনো বস্তি কিংবা কলকাতার সোনাগাছি—সেখানে দেখা যায় মালতী বালা কিংবা রহিমা বেগমের মতো বৃদ্ধ নারীদের। যৌবনে গ্রাহকের ভিড়ে যাঁদের ঘরে আলো জ্বলত সারা রাত, আজ সেখানে নিস্তব্ধতা বিরাজ করছে। ভাঙা চারপাইয়ে বসে তাঁরা শোনেন পাশের ঘরে তরুণীদের হাসি-আনন্দ। বয়সের কারণে কেউ তাঁদের কাছে আর আসে না। প্রায় ক্ষেত্রে দেখা যায়, সন্তান থাকলেও তাঁরা মায়ের অতীত জীবনের কারণে এবং সামাজিক লোকলজ্জার জন্য তাঁকে অস্বীকার করেন।
অধিকাংশ ক্ষেত্রে এ বয়সের নারীরা অর্থকষ্টের কারণে ভিক্ষা করতে বাধ্য হন। আবার কেউ কেউ ছোটখাটো কাজও করে থাকেন। কিছু এনজিও বা সমাজকর্মী মাঝে মাঝে চাল-ডাল দেন, কিন্তু তা জীবনধারণের জন্য যথেষ্ট নয়। স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ তো দূরের কথা, বার্ধক্যজনিত অসুখ আর যৌবনের পেশার কারণে সৃষ্ট রোগ তাঁদের জীবনকে তছনছ করে দেয়।
মালতী বালার মতো এক বৃদ্ধা একদিন আমাকে বলেছিলেন, ‘যৌবনে শরীর বিক্রি করেছি পেট চালানোর জন্য, আজ বার্ধক্যে শরীরই আমাকে তাড়া করছে। তবু মরতে পারি না। কারণ, মরে যাওয়ার মতো জায়গাও নেই।’ এই কথার মধ্যেই লুকিয়ে আছে দক্ষিণ এশিয়ার হাজারো প্রবীণ যৌনকর্মীর মর্মন্তুদ কাহিনি।
অন্যদিকে ইউরোপে চিত্র ভিন্ন। বার্লিনের গ্রেটা বা আমস্টারডামের সোফিয়া—তাঁদের যৌবন কেটেছে বৈধ যৌনপল্লিতে। তাঁরা রাষ্ট্রকে কর দিয়েছেন, তাই অবসরে তাঁরা পান পেনশন ও চিকিৎসাসেবা। একটি ছোট্ট ফ্ল্যাটে একা থাকলেও তাঁদের নিত্য সমস্যা সমাধানের জন্য সরকার দায়িত্ব নিয়েছে। সামাজিক সংগঠনগুলো মাঝে মাঝে তাঁদের খোঁজ নেয়, তাঁদের অভিজ্ঞতা নিয়ে বই প্রকাশিত হয়। কিন্তু অর্থনৈতিক সুরক্ষা পেলেও হৃদয়ের শূন্যতা ভরাট হয় না। গ্রেটা প্রায়ই বলেন, ‘টাকা আছে, ওষুধ আছে, ফ্ল্যাট আছে; কিন্তু একাকিত্বে হৃদয়টা শুকিয়ে যায়। যৌবনের স্মৃতি আর নিঃসঙ্গতা বার্ধক্যে আমাকে তাড়া করে।’
পশ্চিমা বিশ্বে আইনি স্বীকৃতি থাকলেও আবেগগত বিচ্ছিন্নতা থেকে যায়। পরিবার থেকে বিচ্ছিন্নতা, সমাজের আড়ালে অতীত জীবনের ছায়া এবং বন্ধু না থাকার যন্ত্রণা তাঁদের প্রবীণ জীবন কষ্টকর হয়ে ওঠে।
দক্ষিণ এশিয়ায় প্রবীণ যৌনকর্মীর জীবন এককথায় দারিদ্র্য, কলঙ্ক ও নিঃসঙ্গতার চিত্র। পশ্চিমা বিশ্বে যেখানে বৈধতা আছে, সেখানে আর্থিক নিরাপত্তা থাকলেও আবেগগত শূন্যতা একই রকম রয়ে যায়। একদিকে ক্ষুধা, অন্যদিকে নিঃসঙ্গতা—দুটিই যেন ভিন্ন পথে একই যন্ত্রণা হয়ে ফিরে আসে।
এই যৌনকর্মীরা মানবসমাজের যে প্রান্তিক পর্যায়ে অবস্থান করে, যাঁদের কথা আসলে কেউই ভাবে না। এমনকি রাষ্ট্র-সরকারও না। অথচ তাঁদেরও হাসি-কান্না, প্রেম-অভিমান, বেঁচে থাকার অধিকার আছে। সমাজ ও রাষ্ট্র যদি তাঁদের বার্ধক্যে সম্মান ও আশ্রয় দিত, তাহলে হয়তো এই অদৃশ্য যাত্রা অনেকটাই আলোকিত হতো।
প্রবীণ যৌনকর্মীর জীবন আমাদের শেখায়—প্রতিটি মানুষ, যেই পেশায় থাকুক না কেন, বার্ধক্যে প্রাপ্য সম্মান ও সুরক্ষা পাওয়ার অধিকার রাখে। এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্র-সরকার তাদের দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারে না।

মানুষের জীবনের শেষ অধ্যায় হলো অদৃশ্য বার্ধক্যের যাত্রা। কিন্তু সবাই বার্ধক্যের জীবনে সমান মর্যাদা পায় না। সমাজের প্রান্তিক এক শ্রেণি হলো যৌনকর্মীরা। যখন তাঁরা শেষ বয়সে পৌঁছান, তখন তাঁরা এক অনিশ্চিত জীবনের মধ্যে পড়ে যায়। যৌবনে যাঁদের দেহই ছিল আয়ের একমাত্র মূলধন, বার্ধক্যে এসে সেই দেহই যেন হয়ে ওঠে অবজ্ঞার প্রতীক। দক্ষিণ এশিয়ার অন্ধকার গলিপথ থেকে শুরু করে পশ্চিমা বিশ্বের নিয়ন্ত্রিত পল্লি—সবখানেই এই যৌনকর্মীর জীবনে নেমে আসে এক গভীর নিঃসঙ্গতা।
ঢাকার কোনো বস্তি কিংবা কলকাতার সোনাগাছি—সেখানে দেখা যায় মালতী বালা কিংবা রহিমা বেগমের মতো বৃদ্ধ নারীদের। যৌবনে গ্রাহকের ভিড়ে যাঁদের ঘরে আলো জ্বলত সারা রাত, আজ সেখানে নিস্তব্ধতা বিরাজ করছে। ভাঙা চারপাইয়ে বসে তাঁরা শোনেন পাশের ঘরে তরুণীদের হাসি-আনন্দ। বয়সের কারণে কেউ তাঁদের কাছে আর আসে না। প্রায় ক্ষেত্রে দেখা যায়, সন্তান থাকলেও তাঁরা মায়ের অতীত জীবনের কারণে এবং সামাজিক লোকলজ্জার জন্য তাঁকে অস্বীকার করেন।
অধিকাংশ ক্ষেত্রে এ বয়সের নারীরা অর্থকষ্টের কারণে ভিক্ষা করতে বাধ্য হন। আবার কেউ কেউ ছোটখাটো কাজও করে থাকেন। কিছু এনজিও বা সমাজকর্মী মাঝে মাঝে চাল-ডাল দেন, কিন্তু তা জীবনধারণের জন্য যথেষ্ট নয়। স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ তো দূরের কথা, বার্ধক্যজনিত অসুখ আর যৌবনের পেশার কারণে সৃষ্ট রোগ তাঁদের জীবনকে তছনছ করে দেয়।
মালতী বালার মতো এক বৃদ্ধা একদিন আমাকে বলেছিলেন, ‘যৌবনে শরীর বিক্রি করেছি পেট চালানোর জন্য, আজ বার্ধক্যে শরীরই আমাকে তাড়া করছে। তবু মরতে পারি না। কারণ, মরে যাওয়ার মতো জায়গাও নেই।’ এই কথার মধ্যেই লুকিয়ে আছে দক্ষিণ এশিয়ার হাজারো প্রবীণ যৌনকর্মীর মর্মন্তুদ কাহিনি।
অন্যদিকে ইউরোপে চিত্র ভিন্ন। বার্লিনের গ্রেটা বা আমস্টারডামের সোফিয়া—তাঁদের যৌবন কেটেছে বৈধ যৌনপল্লিতে। তাঁরা রাষ্ট্রকে কর দিয়েছেন, তাই অবসরে তাঁরা পান পেনশন ও চিকিৎসাসেবা। একটি ছোট্ট ফ্ল্যাটে একা থাকলেও তাঁদের নিত্য সমস্যা সমাধানের জন্য সরকার দায়িত্ব নিয়েছে। সামাজিক সংগঠনগুলো মাঝে মাঝে তাঁদের খোঁজ নেয়, তাঁদের অভিজ্ঞতা নিয়ে বই প্রকাশিত হয়। কিন্তু অর্থনৈতিক সুরক্ষা পেলেও হৃদয়ের শূন্যতা ভরাট হয় না। গ্রেটা প্রায়ই বলেন, ‘টাকা আছে, ওষুধ আছে, ফ্ল্যাট আছে; কিন্তু একাকিত্বে হৃদয়টা শুকিয়ে যায়। যৌবনের স্মৃতি আর নিঃসঙ্গতা বার্ধক্যে আমাকে তাড়া করে।’
পশ্চিমা বিশ্বে আইনি স্বীকৃতি থাকলেও আবেগগত বিচ্ছিন্নতা থেকে যায়। পরিবার থেকে বিচ্ছিন্নতা, সমাজের আড়ালে অতীত জীবনের ছায়া এবং বন্ধু না থাকার যন্ত্রণা তাঁদের প্রবীণ জীবন কষ্টকর হয়ে ওঠে।
দক্ষিণ এশিয়ায় প্রবীণ যৌনকর্মীর জীবন এককথায় দারিদ্র্য, কলঙ্ক ও নিঃসঙ্গতার চিত্র। পশ্চিমা বিশ্বে যেখানে বৈধতা আছে, সেখানে আর্থিক নিরাপত্তা থাকলেও আবেগগত শূন্যতা একই রকম রয়ে যায়। একদিকে ক্ষুধা, অন্যদিকে নিঃসঙ্গতা—দুটিই যেন ভিন্ন পথে একই যন্ত্রণা হয়ে ফিরে আসে।
এই যৌনকর্মীরা মানবসমাজের যে প্রান্তিক পর্যায়ে অবস্থান করে, যাঁদের কথা আসলে কেউই ভাবে না। এমনকি রাষ্ট্র-সরকারও না। অথচ তাঁদেরও হাসি-কান্না, প্রেম-অভিমান, বেঁচে থাকার অধিকার আছে। সমাজ ও রাষ্ট্র যদি তাঁদের বার্ধক্যে সম্মান ও আশ্রয় দিত, তাহলে হয়তো এই অদৃশ্য যাত্রা অনেকটাই আলোকিত হতো।
প্রবীণ যৌনকর্মীর জীবন আমাদের শেখায়—প্রতিটি মানুষ, যেই পেশায় থাকুক না কেন, বার্ধক্যে প্রাপ্য সম্মান ও সুরক্ষা পাওয়ার অধিকার রাখে। এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্র-সরকার তাদের দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারে না।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি স্বপ্নের প্রকল্পের নাম ‘আশ্রয়ণ’। মুজিববর্ষে কেউ গৃহহীন থাকবে না–এই অঙ্গীকার পূরণের লক্ষ্যে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ১ লাখ ২৩ হাজার ছিন্নমূল মানুষের হাতে দুই শতক জমির ওপর একটি দুই কক্ষের মাথা গোঁজার ঠাঁই–একটি স্থায়ী ঠিকানা করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
০৯ জুলাই ২০২১
দেশে বড় বড় কত ঘটনা ঘটে চলেছে, অথচ সেদিকে চোখ না রেখে দিনাজপুরের বিরামপুর নিয়ে কেন সম্পাদকীয় লিখতে হবে, তার একটা ব্যাখ্যা থাকা দরকার। দেশের রাজনীতিতে প্রতিটি মুহূর্তেই জন্ম নিচ্ছে নতুন বাস্তবতা। একটি রাজনৈতিক দলকে এই মুহূর্তে মনে হচ্ছে অন্য এক দলের সঙ্গে জোট করতে আগ্রহী, পর মুহূর্তেই দেখা যাচ্ছে, সেই
১ মিনিট আগে
এখন নাকি বানর আর শূকরের পালকেই দেখা যায় লাউয়াছড়ায়। বিরল প্রজাতির অনেক পাখি ও প্রাণী বাস করত এই সংরক্ষিত বনে। কিন্তু সেসব লুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। বনটিকে নিজেদের অভয়ারণ্য বলে হয়তো ভাবতে পারছে না তারা।
১ দিন আগে
বিভাজন যেখানে ঘরে ঘরে, জনে জনে, সেখানে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া যথেষ্ট সাহসের কাজই বটে। অন্তর্বর্তী সরকার সেই সাহস দেখিয়েছিল। দেশি-প্রবাসী-বিদেশি একদল প্রাজ্ঞজনের সমন্বয়ে গঠন করেছিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। যদিও কমিশনের সভাপতি হিসেবে এর স্টিয়ারিং হুইল ছিল প্রধান উপদেষ্টা...
১ দিন আগে