সম্পাদকীয়
নিয়ম তো আছে, পাঁচ বছর পরপর সম্পদের হিসাব দিতে হবে সরকারি কর্মচারীদের। মানছে কে?
সম্প্রতি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবদের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছে, যেখানে সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব দেওয়ার ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
সম্পদের বিবরণেই কিছুটা প্রকাশিত হয় তিনি সৎ মানুষ, নাকি অসৎ। সরকারি চাকরি করতে করতে হঠাৎ কেউ সম্পদের পাহাড় গড়ে তুললেন কি না, সেটা যাচাই করা দরকার। নির্দিষ্ট বেতন-ভাতায় কতটা সম্পদ করা সম্ভব, সেটা অনুমিত; কিন্তু লাগামছাড়া সম্পদের মালিক হয়ে গেলে বুঝতে হবে ‘ডাল মে কুছ কালা হ্যায়’।
বাজার অর্থনীতি, করপোরেট সংস্কৃতি ইত্যাদি পশ্চিমা বিশ্ব থেকে আমদানি হওয়ার বহু আগে থেকেই ভোগবাদের সঙ্গে দহরম-মহরম মানুষের। চাকরির কোন ছিদ্রপথে এসে হাজির হচ্ছে সম্পদ, সেটা কখনো কখনো দৃশ্যমান। কিন্তু ঘুষ-দুর্নীতি কখনো কখনো চাকরিজীবনের অঙ্গ হিসেবেও ভেবে নিচ্ছেন কেউ কেউ। এই সর্বনাশ কোথায় গিয়ে ঠেকেছে, তার প্রমাণ পাওয়া যাবে ক্যাডারভিত্তিক চাকরিতে কোন ক্যাডারের দিকে মানুষের নজর, সেটা জানতে পারলে।
‘দুষ্টের দমন, শিষ্টের পালন’ প্রবাদটি সরকারি চাকরিতে অবশ্যমান্য হয়ে ওঠেনি। গত বছরের সেপ্টেম্বরে করোনাকালেই র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়িচালক আব্দুল মালেক। মালেক ড্রাইভার নামে পরিচিত এই গাড়িচালক ‘সরকারি চাকরি করে’ শতকোটি টাকার মালিক হয়েছেন। তাঁর আছে দুটি সাততলা বিলাসবহুল বাড়ি, একটি ১০ তলা নির্মাণাধীন বাড়ি, ১৫ কাঠা জমিতে একটি ডেইরি ফার্ম। ব্যাংকে টাকার পাহাড়।
সরকারি গাড়ির একজন ড্রাইভার যদি তাঁর সীমিত প্রভাব খাটিয়েই এ রকম সম্পদের মালিক হতে পারেন, তাহলে দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদদের পাশাপাশি সরকারি আমলারাও কেন কানাডার বেগমপাড়া কিংবা যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়ার নানা শহরে অবৈধ সম্পদ গড়ে তুলতে পারবেন না?
এখন সরকারি চাকরিতে বেতন-ভাতা আকর্ষণীয়। সরকারি কর্মচারীরা চাকরিকাল শেষ হলে যে পেনশন পান, তা-ও তাঁকে বেঁচে থাকার নিশ্চয়তা দেয়। এই প্রেক্ষাপট সামনে রেখে সৎভাবে জীবন কাটানো কি অসম্ভব? আসলে যুগের পর যুগ ফাইল আটকে কিংবা ক্ষমতাবান কাউকে অবৈধ সুবিধা দিয়ে টু-পাইস কামানোর ধান্ধাকে জোরালোভাবে বাধাগ্রস্ত করা যায়নি বলেই অবৈধ সম্পদের রমরমা বিচিত্র কিছু নয়। অন্য সব আলোচনা বাদ থাক, নিজ পাড়ায় বা নিজ পরিবারে এই ঘুষখোর-দুর্নীতিবাজ কি চিহ্নিত হচ্ছেন খারাপ মানুষ বলে?
পাঁচ বছর পরপর নিজের সম্পদের হিসাব দেওয়াটা দুর্নীতিবাজ, ঘুষখোর সরকারি কর্মচারী-কর্মকর্তাদের জন্য একটু অস্বস্তিকর বটে, কিন্তু তাতে সৎ কর্মচারী-কর্মকর্তাদের সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তবে চুরির টাকা লুকিয়ে রাখতেও যাঁরা সিদ্ধহস্ত হয়ে উঠেছেন, তাঁদের সেই টাকার সন্ধান করার পথটাও পাশাপাশি খোলা রাখতে হবে।
সম্পদের হিসাব দেওয়ার আদেশটি ঠিকভাবে পালিত হোক।
নিয়ম তো আছে, পাঁচ বছর পরপর সম্পদের হিসাব দিতে হবে সরকারি কর্মচারীদের। মানছে কে?
সম্প্রতি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবদের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছে, যেখানে সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব দেওয়ার ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
সম্পদের বিবরণেই কিছুটা প্রকাশিত হয় তিনি সৎ মানুষ, নাকি অসৎ। সরকারি চাকরি করতে করতে হঠাৎ কেউ সম্পদের পাহাড় গড়ে তুললেন কি না, সেটা যাচাই করা দরকার। নির্দিষ্ট বেতন-ভাতায় কতটা সম্পদ করা সম্ভব, সেটা অনুমিত; কিন্তু লাগামছাড়া সম্পদের মালিক হয়ে গেলে বুঝতে হবে ‘ডাল মে কুছ কালা হ্যায়’।
বাজার অর্থনীতি, করপোরেট সংস্কৃতি ইত্যাদি পশ্চিমা বিশ্ব থেকে আমদানি হওয়ার বহু আগে থেকেই ভোগবাদের সঙ্গে দহরম-মহরম মানুষের। চাকরির কোন ছিদ্রপথে এসে হাজির হচ্ছে সম্পদ, সেটা কখনো কখনো দৃশ্যমান। কিন্তু ঘুষ-দুর্নীতি কখনো কখনো চাকরিজীবনের অঙ্গ হিসেবেও ভেবে নিচ্ছেন কেউ কেউ। এই সর্বনাশ কোথায় গিয়ে ঠেকেছে, তার প্রমাণ পাওয়া যাবে ক্যাডারভিত্তিক চাকরিতে কোন ক্যাডারের দিকে মানুষের নজর, সেটা জানতে পারলে।
‘দুষ্টের দমন, শিষ্টের পালন’ প্রবাদটি সরকারি চাকরিতে অবশ্যমান্য হয়ে ওঠেনি। গত বছরের সেপ্টেম্বরে করোনাকালেই র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়িচালক আব্দুল মালেক। মালেক ড্রাইভার নামে পরিচিত এই গাড়িচালক ‘সরকারি চাকরি করে’ শতকোটি টাকার মালিক হয়েছেন। তাঁর আছে দুটি সাততলা বিলাসবহুল বাড়ি, একটি ১০ তলা নির্মাণাধীন বাড়ি, ১৫ কাঠা জমিতে একটি ডেইরি ফার্ম। ব্যাংকে টাকার পাহাড়।
সরকারি গাড়ির একজন ড্রাইভার যদি তাঁর সীমিত প্রভাব খাটিয়েই এ রকম সম্পদের মালিক হতে পারেন, তাহলে দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদদের পাশাপাশি সরকারি আমলারাও কেন কানাডার বেগমপাড়া কিংবা যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়ার নানা শহরে অবৈধ সম্পদ গড়ে তুলতে পারবেন না?
এখন সরকারি চাকরিতে বেতন-ভাতা আকর্ষণীয়। সরকারি কর্মচারীরা চাকরিকাল শেষ হলে যে পেনশন পান, তা-ও তাঁকে বেঁচে থাকার নিশ্চয়তা দেয়। এই প্রেক্ষাপট সামনে রেখে সৎভাবে জীবন কাটানো কি অসম্ভব? আসলে যুগের পর যুগ ফাইল আটকে কিংবা ক্ষমতাবান কাউকে অবৈধ সুবিধা দিয়ে টু-পাইস কামানোর ধান্ধাকে জোরালোভাবে বাধাগ্রস্ত করা যায়নি বলেই অবৈধ সম্পদের রমরমা বিচিত্র কিছু নয়। অন্য সব আলোচনা বাদ থাক, নিজ পাড়ায় বা নিজ পরিবারে এই ঘুষখোর-দুর্নীতিবাজ কি চিহ্নিত হচ্ছেন খারাপ মানুষ বলে?
পাঁচ বছর পরপর নিজের সম্পদের হিসাব দেওয়াটা দুর্নীতিবাজ, ঘুষখোর সরকারি কর্মচারী-কর্মকর্তাদের জন্য একটু অস্বস্তিকর বটে, কিন্তু তাতে সৎ কর্মচারী-কর্মকর্তাদের সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তবে চুরির টাকা লুকিয়ে রাখতেও যাঁরা সিদ্ধহস্ত হয়ে উঠেছেন, তাঁদের সেই টাকার সন্ধান করার পথটাও পাশাপাশি খোলা রাখতে হবে।
সম্পদের হিসাব দেওয়ার আদেশটি ঠিকভাবে পালিত হোক।
দুটো ঘটনা ঘটল পরপর। গোপালগঞ্জ আর চকরিয়ায়। প্রথম ঘটনায় দুঃখজনকভাবে ঝরে পড়েছে পাঁচটি প্রাণ। এই প্রাণহানি এড়ানো যেত কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। দ্বিতীয় ঘটনাটিতে দেখা যাচ্ছে, কক্সবাজারে এনসিপির একজন নেতার বক্তৃতার সূত্র ধরে বিএনপি মহলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
১৭ ঘণ্টা আগে২০০০ সালে যুক্তরাষ্ট্র ছিল উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার অধিকাংশ দেশ, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের কিছু বড় অর্থনীতির দেশ এবং আফ্রিকার কিছু দেশের প্রধান বাণিজ্য অংশীদার। আর ইউরোপীয় ইউনিয়ন আধিপত্য বিস্তার করেছিল ইউরোপের প্রায় পুরো অঞ্চল, আফ্রিকা ও এশিয়ার বিস্তৃত অংশ এবং দক্ষিণ আমেরিকার কিছু দেশের সঙ্গে।
১৭ ঘণ্টা আগেনির্বাচন হওয়া এবং না-হওয়া নিয়ে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা আছে, সংশয়ও আছে। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে নির্বাচন হবে বলে আশা করা হলেও এটা নিশ্চিত নয়। এখানে ‘যদি’,‘কিন্তু’ আছে। নির্বাচন নিয়ে সবচেয়ে বেশি আগ্রহ-উৎসাহ বিএনপির।
১৭ ঘণ্টা আগেমনজিল মোরসেদ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সিনিয়র আইনজীবী। তিনি হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) প্রেসিডেন্ট। জনস্বার্থে এ পর্যন্ত তিনি ২২৫টির বেশি মামলা করে মানবাধিকার ও পরিবেশ সংরক্ষণে অনন্য ভূমিকা রেখেছেন।
২ দিন আগে