সম্পাদকীয়
করোনার সংক্রমণ কি ভয়ংকর রূপ নিচ্ছে? সামনে কি আরও কঠিন দিন আসছে? ভারতীয় ধরন কি চেপে ধরতে আসছে? এখন এসব প্রশ্ন সামনে আসছে। গেল কয়েকদিনের করোনা সংক্রমণের চিত্র কিন্তু এমন আশঙ্কাই ছড়িয়ে দিচ্ছে। খবর বের হয়েছে যে সীমান্তের পাশাপাশি এখন সীমান্তের বাইরের জেলায়ও সংক্রমণ বাড়ছে। গত এক সপ্তাহে সংক্রমণ শনাক্তের হার ২০ শতাংশের বেশি, এমন ২২টি জেলার মধ্যে ৮টি সীমান্তবর্তী নয়। সীমান্তের জেলাগুলোয় সংক্রমণ ঠেকাতে নেওয়া ব্যবস্থা কার্যকর না হওয়ায় এখন অন্য জেলায়ও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে বলে মনে করছেন জনস্বাস্থ্যবিদেরা। তাঁরা বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতি ইঙ্গিত দিচ্ছে, সামনে সংক্রমণ পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিদিনের বিজ্ঞপ্তিতে কোন জেলায় দৈনিক কত শনাক্ত, এত দিন সেটি ছিল না। ৫ জুন থেকে জেলায় দৈনিক নমুনা পরীক্ষা এবং শনাক্ত রোগীর তথ্য প্রকাশ করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সংস্থাটির তথ্য বিশ্লেষণ থেকে তৈরি প্রতিবেদন বলছে, গত এক সপ্তাহে করোনার সংক্রমণ শনাক্তের হার ২০ শতাংশের বেশি জেলা হচ্ছে: নড়াইল, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, যশোর, ঠাকুরগাঁও, চুয়াডাঙ্গা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, খুলনা, পিরোজপুর, মেহেরপুর, টাঙ্গাইল, ঝিনাইদহ, জয়পুরহাট, পঞ্চগড়, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নোয়াখালী, নাটোর, ফরিদপুর, কুষ্টিয়া ও দিনাজপুর। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি শনাক্তের হার নড়াইলে—৬০ দশমিক ৯৬ শতাংশ। এই জেলা সীমান্তবর্তী নয়। সংক্রমণ শনাক্তের হারে দ্বিতীয় সীমান্তবর্তী জেলা সাতক্ষীরা। সেখানে শনাক্তের হার ৫৩ দশমিক ১৮ শতাংশ।
তাহলে বোঝাই যাচ্ছে, বাংলাদেশ আবারও করোনার হটস্পটের দিকে এগোচ্ছে। এটা যদি ব্যাপক হারে ছড়াতে থাকে, তবে তা কতটা ভয়ংকর হতে পারে—এখনই ধারণা করা যাবে না। কারণ, স্বাস্থ্যসেবার মানে বাংলাদেশ ভারতের চেয়েও পিছিয়ে। তা ছাড়া মানুষের মধ্যেও একধরনের অবহেলা ও তাচ্ছিল্যভাব রয়েছে। আর দেশে সবার জন্য টিকা দেওয়ারও সন্তোষজনক ব্যবস্থা করা যায়নি। সব মিলিয়ে করোনা মহামারি ঠেকানোর মতো প্রস্তুতি ও ব্যবস্থা বাংলাদেশের নেই। ফলে অক্সিজেন ও প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা না পেয়ে ব্যাপক হারে মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
আমরা মনে করি, সরকারকে আগাম প্রস্তুতি নিতে হবে। এখনই যতটা পারা যায়, প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী জোগাড় করে হাসপাতালগুলো তৈরি রাখতে হবে। অক্সিজেন ব্যাংক তৈরি করতে হবে। আপৎকালীন বরাদ্দ রাখতে হবে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য। একই সঙ্গে টিকা সংগ্রহে আরও জোরদার তৎপরতা চালাতে হবে। আমরা জানি ফাইজারসহ বেশ কয়েকটি উৎস থেকে সরকার কিছু টিকা পাবে। তবে এটা প্রয়োজনের তুলনায় নগণ্য। অন্তত ৭০ শতাংশ মানুষকে যাতে টিকা দেওয়া যায়—এই প্রচেষ্টা নিতে হবে। কূটনীতিক তৎপরতা আরও বাড়াতে হবে। সর্বোপরি অর্থ বরাদ্দ নিয়ে আরও পর্যালোচনা করতে হবে। পাশাপাশি দেশের নাগরিকদের আরও সতর্ক হতে হবে। অবহেলায় জীবনযাপন করলে চলবে না। এখন দেখা যাচ্ছে অনেকেই মাস্ক পরছেন না। সামাজিক দূরত্ব মানছেন না। মোটকথা, করোনা থেকে সুরক্ষা পাওয়ার জন্য প্রাথমিক যেসব নিয়মনীতি মানা প্রয়োজন, তা মানছেন না। ফলে ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। সবাইকে স্বাস্থ্যসুরক্ষা নিয়ে আরও বেশি মনোযোগী হওয়া দরকার। না হলে নতুন যে করোনার আঘাত আসছে, তা সবার জন্যই ক্ষতির কারণ হতে পারে।
গত বছর মানুষের মধ্যে করোনা নিয়ে যে উদ্বেগ ছিল, এখন সে তুলনায় কম। কিছু গ্রামে সংক্রমণ বেশি দেখা যাচ্ছে। ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে বিশেষ প্রচার চালানো হচ্ছে। কিন্তু প্রচার চালিয়েও পরীক্ষা করাতে উৎসাহী করা যাচ্ছে না। সংক্রমণ বাড়তে থাকায় পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে শুক্রবার রাতে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি বৈঠক করেছে।
করোনার সংক্রমণ কি ভয়ংকর রূপ নিচ্ছে? সামনে কি আরও কঠিন দিন আসছে? ভারতীয় ধরন কি চেপে ধরতে আসছে? এখন এসব প্রশ্ন সামনে আসছে। গেল কয়েকদিনের করোনা সংক্রমণের চিত্র কিন্তু এমন আশঙ্কাই ছড়িয়ে দিচ্ছে। খবর বের হয়েছে যে সীমান্তের পাশাপাশি এখন সীমান্তের বাইরের জেলায়ও সংক্রমণ বাড়ছে। গত এক সপ্তাহে সংক্রমণ শনাক্তের হার ২০ শতাংশের বেশি, এমন ২২টি জেলার মধ্যে ৮টি সীমান্তবর্তী নয়। সীমান্তের জেলাগুলোয় সংক্রমণ ঠেকাতে নেওয়া ব্যবস্থা কার্যকর না হওয়ায় এখন অন্য জেলায়ও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে বলে মনে করছেন জনস্বাস্থ্যবিদেরা। তাঁরা বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতি ইঙ্গিত দিচ্ছে, সামনে সংক্রমণ পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিদিনের বিজ্ঞপ্তিতে কোন জেলায় দৈনিক কত শনাক্ত, এত দিন সেটি ছিল না। ৫ জুন থেকে জেলায় দৈনিক নমুনা পরীক্ষা এবং শনাক্ত রোগীর তথ্য প্রকাশ করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সংস্থাটির তথ্য বিশ্লেষণ থেকে তৈরি প্রতিবেদন বলছে, গত এক সপ্তাহে করোনার সংক্রমণ শনাক্তের হার ২০ শতাংশের বেশি জেলা হচ্ছে: নড়াইল, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, যশোর, ঠাকুরগাঁও, চুয়াডাঙ্গা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, খুলনা, পিরোজপুর, মেহেরপুর, টাঙ্গাইল, ঝিনাইদহ, জয়পুরহাট, পঞ্চগড়, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নোয়াখালী, নাটোর, ফরিদপুর, কুষ্টিয়া ও দিনাজপুর। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি শনাক্তের হার নড়াইলে—৬০ দশমিক ৯৬ শতাংশ। এই জেলা সীমান্তবর্তী নয়। সংক্রমণ শনাক্তের হারে দ্বিতীয় সীমান্তবর্তী জেলা সাতক্ষীরা। সেখানে শনাক্তের হার ৫৩ দশমিক ১৮ শতাংশ।
তাহলে বোঝাই যাচ্ছে, বাংলাদেশ আবারও করোনার হটস্পটের দিকে এগোচ্ছে। এটা যদি ব্যাপক হারে ছড়াতে থাকে, তবে তা কতটা ভয়ংকর হতে পারে—এখনই ধারণা করা যাবে না। কারণ, স্বাস্থ্যসেবার মানে বাংলাদেশ ভারতের চেয়েও পিছিয়ে। তা ছাড়া মানুষের মধ্যেও একধরনের অবহেলা ও তাচ্ছিল্যভাব রয়েছে। আর দেশে সবার জন্য টিকা দেওয়ারও সন্তোষজনক ব্যবস্থা করা যায়নি। সব মিলিয়ে করোনা মহামারি ঠেকানোর মতো প্রস্তুতি ও ব্যবস্থা বাংলাদেশের নেই। ফলে অক্সিজেন ও প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা না পেয়ে ব্যাপক হারে মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
আমরা মনে করি, সরকারকে আগাম প্রস্তুতি নিতে হবে। এখনই যতটা পারা যায়, প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী জোগাড় করে হাসপাতালগুলো তৈরি রাখতে হবে। অক্সিজেন ব্যাংক তৈরি করতে হবে। আপৎকালীন বরাদ্দ রাখতে হবে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য। একই সঙ্গে টিকা সংগ্রহে আরও জোরদার তৎপরতা চালাতে হবে। আমরা জানি ফাইজারসহ বেশ কয়েকটি উৎস থেকে সরকার কিছু টিকা পাবে। তবে এটা প্রয়োজনের তুলনায় নগণ্য। অন্তত ৭০ শতাংশ মানুষকে যাতে টিকা দেওয়া যায়—এই প্রচেষ্টা নিতে হবে। কূটনীতিক তৎপরতা আরও বাড়াতে হবে। সর্বোপরি অর্থ বরাদ্দ নিয়ে আরও পর্যালোচনা করতে হবে। পাশাপাশি দেশের নাগরিকদের আরও সতর্ক হতে হবে। অবহেলায় জীবনযাপন করলে চলবে না। এখন দেখা যাচ্ছে অনেকেই মাস্ক পরছেন না। সামাজিক দূরত্ব মানছেন না। মোটকথা, করোনা থেকে সুরক্ষা পাওয়ার জন্য প্রাথমিক যেসব নিয়মনীতি মানা প্রয়োজন, তা মানছেন না। ফলে ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। সবাইকে স্বাস্থ্যসুরক্ষা নিয়ে আরও বেশি মনোযোগী হওয়া দরকার। না হলে নতুন যে করোনার আঘাত আসছে, তা সবার জন্যই ক্ষতির কারণ হতে পারে।
গত বছর মানুষের মধ্যে করোনা নিয়ে যে উদ্বেগ ছিল, এখন সে তুলনায় কম। কিছু গ্রামে সংক্রমণ বেশি দেখা যাচ্ছে। ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে বিশেষ প্রচার চালানো হচ্ছে। কিন্তু প্রচার চালিয়েও পরীক্ষা করাতে উৎসাহী করা যাচ্ছে না। সংক্রমণ বাড়তে থাকায় পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে শুক্রবার রাতে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি বৈঠক করেছে।
গত সংখ্যায় লিখেছিলাম, এখন আর ছাত্র খুঁজে পাওয়া যায় না, চারদিকে পরীক্ষার্থী। কিন্তু দ্রুতই দেখা যাচ্ছে, ছাত্র এবং পরীক্ষার্থী কাউকেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ছাত্রদের একটা বৃহদাংশ রাজনীতিবিদে পরিণত হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, তাদের অঙ্গুলি হেলনে বড় বড় রাজনৈতিক সিদ্ধান্তও হয়ে যাচ্ছে। ভেবেছিলাম প্রাথমিক শিক্ষা
১৫ ঘণ্টা আগেবিজ্ঞানীরা বিংশ শতাব্দীজুড়ে বহির্জাগতিক প্রাণ অনুসন্ধানের চেষ্টা চালিয়েছেন। খুঁজেছেন কার্বনভিত্তিক, সিলিকনভিত্তিক বা অ্যামোনিয়া যৌগনির্ভর প্রাণ। এটা আমাদের জানা জরুরি যে প্রাণের প্রকৃতি, আর অন্য জায়গায় প্রাণ আছে কি না, তা আসলে একই প্রশ্নের দুটো দিক। তা হলো, ‘কেন আমরা এখানে?’ বিস্ময়ের ব্যাপার হচ্ছে,
১৫ ঘণ্টা আগেপরিবার হলো মূলত রক্ত-সম্পর্কিত ব্যক্তিদের সংগঠন, যেখানে সব সদস্যের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, নিরাপত্তা এবং বিনোদনের আয়োজন হয়ে থাকে। পরিবার কখন কী কারণে গড়ে উঠেছে, তা নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে। বেশির ভাগের মত হলো, মানুষ সমতলে বসবাস করার সময় কৃষিকাজ শিখে ফেলে। কৃষিজাত পণ্য সংরক্ষণের জন্য গোলাঘর
১৫ ঘণ্টা আগেনিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি মানুষের আকর্ষণ বেশি, এ কথা নতুন নয়। এবং এ ব্যাপারে প্রমাণের অভাব নেই। একটা কিছু নিষিদ্ধ করলেই যে তা ব্যবহার করা বন্ধ হয়ে যাবে, এমন ভাবাটাই ভুল। ধরুন, একটি রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলে সেই দলটি যে ছদ্মবেশে বা তলে তলে রাজনীতি করবে না, সেই গ্যারান্টি কে দিতে পারে? তেমনি কেউ
১৫ ঘণ্টা আগে