এম আর রহমান
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের কর্মচারীরা গত শনিবার সন্ধ্যায় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন থেকে একটি ই-মেইল পান। সেখানে কর্মচারীদের আগের সপ্তাহের কাজের বিবরণ পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দিতে বলা হয়। তা না হলে তাঁদের চাকরি থাকবে না বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
ট্রাম্প প্রশাসনের সরকারি দক্ষতা বিভাগের (ডিওজিই) প্রধান ধনকুবের ইলন মাস্ক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একটি পোস্ট দেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই এ ই-মেইল পাঠানো হয়। মাস্ক তাঁর এক্স পোস্টে বলেন, সব ফেডারেল কর্মচারী শিগগির একটি ই-মেইল পাবেন। এ ই-মেইলে তাঁরা গত সপ্তাহে কী কাজ করেছেন, তা জানানোর জন্য অনুরোধ থাকবে। ই-মেইলে সাড়া দিতে ব্যর্থ হলে, তা পদত্যাগ হিসেবে গণ্য হবে।
এর কয়েক ঘণ্টা আগে ট্রাম্প তাঁর ট্রুথ সোশ্যাল নামের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট দেন। সেখানে তিনি বলেন, ২৩ লাখের শক্তিশালী ফেডারেল কর্মী বাহিনীর আকার কমানো ও ঢেলে সাজানোর প্রচেষ্টায় ডিওজিইর আরও আক্রমণাত্মক হওয়া উচিত। তিনি চান, তাঁর উপদেষ্টা ইলন মাস্ক সরকারি ব্যয় কমানো ও ফেডারেল সরকারের সংস্কার অ্যাজেন্ডা আরও আগ্রাসীভাবে বাস্তবায়ন করুক।
ট্রাম্প আরও লিখেছেন, ‘ইলন দারুণ কাজ করছে। কিন্তু আমি চাই, সে আরও আগ্রাসী হোক। মনে রাখবেন, আমাদের দেশকে রক্ষা করতে হবে।’
এ ধরনের ই-মেইলে বেজায় চটেছেন মার্কিন ফেডারেল সরকারের কর্মচারীরা। তাঁদের প্রতিনিধিত্বকারী ইউনিয়ন এএফজিই এক বিবৃতিতে বলেছে, যেকোনো বেআইনি চাকরিচ্যুতিকে তারা চ্যালেঞ্জ করবে।
ট্রাম্প প্রশাসনে বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্কের এ ধরনের খবরদারি নতুন কিছু নয়। আগেও তিনি ট্রাম্প প্রশাসনের নানা বিষয়ে খবরদারি করেছেন। প্রশ্ন হচ্ছে, কেন মাস্কের এই খবরদারি? আর ট্রাম্প তাঁকে কেন এত প্রশ্রয় দিচ্ছেন?
২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইলন মাস্কের ভূমিকা ছিল একজন কিংমেকারের; যিনি কিনা ট্রাম্পের নির্বাচনী অভিযানে ২৮৮ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছেন। এক অর্থে বলা যায়, ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সিকে কিনে নিয়েছেন বিত্তবান ইলন মাস্ক।
ইলন মাস্ক যে বিভাগের প্রধান, সেই ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি বা সরকারি কর্মদক্ষতা বিভাগ (ডিওজিই) প্রকৃত অর্থে সরকারি কোনো সংস্থা নয়। এটা মূলত প্রেসিডেন্টের নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে গঠিত। যার কাজ হচ্ছে, সরকারি ব্যয় কমানো এবং অপচয় ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। ধারণা করি, মাস্ক যাতে খবরদারি করতে পারেন, সে জন্য এই ডিওজিই গঠন। দেখেশুনে মনে হচ্ছে, ট্রাম্প মাস্কের ওপর নির্ভরশীল। তাই তিনি মাস্ককে প্রশ্রয় দিচ্ছেন। কিন্তু কেন এই নির্ভরশীলতা?
ট্রাম্প ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর বিভিন্ন ব্যবসায়িক নেতাকে উপদেষ্টা পরিষদে অন্তর্ভুক্ত করেন। ইলন মাস্ক তখন হোয়াইট হাউসের ‘স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড পলিসি ফোরাম’ ও ‘ম্যানুফ্যাকচারিং জবস ইনিশিয়েটিভ’-এর সদস্য হন। এ পরিষদগুলোর মাধ্যমে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে মাস্কের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ গড়ে ওঠে।
যদিও তাঁরা সরাসরি রাজনৈতিক মিত্র নন, তবু বিভিন্ন ক্ষেত্রে ট্রাম্প মাস্কের ওপর নির্ভর করেছেন। এর পেছনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে:
প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের শক্তি
ইলন মাস্ক বিশ্বে প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের অন্যতম শীর্ষ ব্যক্তিত্ব। তাঁর কোম্পানিগুলো, বিশেষ করে স্পেসএক্স, টেসলা, নিউরালিংক ও দ্য বোরিং কোম্পানি মার্কিন অর্থনীতি ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ট্রাম্প প্রশাসনের লক্ষ্য হচ্ছে, মার্কিন প্রযুক্তি খাতকে শক্তিশালী করা এবং এ কারণে তিনি মাস্কের ওপর আস্থা রেখেছেন।
মহাকাশ গবেষণায় নেতৃত্ব
ট্রাম্প প্রশাসনের অন্যতম অগ্রাধিকার মহাকাশ অভিযান এবং দেশটির মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার কার্যক্রমকে বেসরকারি খাতের সঙ্গে সংযুক্ত করা। স্পেসএক্সের সাফল্যের কারণে ট্রাম্প প্রশাসন বারবার ইলন মাস্কের কোম্পানির ওপর নির্ভর করেছে। ২০২০ সালে স্পেসএক্সের ক্রু ড্রাগন মিশন সফলভাবে মহাকাশে মানুষ পাঠানোর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রকে আবার বিশ্বের মহাকাশ গবেষণার অগ্রদূত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
ব্যবসা ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি
ট্রাম্প নিজেকে একজন ব্যবসায়ী প্রেসিডেন্ট হিসেবে পরিচিত করেছেন এবং তিনি ব্যবসা সম্প্রসারণের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার পক্ষপাতী। ইলন মাস্কের কোম্পানিগুলো, বিশেষ করে টেসলা ও স্পেসএক্স হাজার হাজার কর্মসংস্থান তৈরি করেছে এবং প্রযুক্তিগত উন্নয়নের মাধ্যমে দেশীয় উৎপাদন শিল্পকে সমৃদ্ধ করেছে। ট্রাম্পের করহ্রাস নীতির কারণে মাস্কের কোম্পানিগুলো ব্যবসায়িক সুবিধা পেয়েছিল, যা তাদের পারস্পরিক স্বার্থকে আরও সংহত করেছে।
চীনের সঙ্গে প্রতিযোগিতা
ট্রাম্প প্রশাসন বাণিজ্যযুদ্ধের সময় চীনের প্রযুক্তি ও উৎপাদন খাতের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে চেয়েছিল। ইলন মাস্কের টেসলা ও স্পেসএক্স এই প্রতিযোগিতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। কারণ, তারা মার্কিন প্রযুক্তি খাতকে বিশ্ববাজারে শক্তিশালী করেছে।
দেখা যাচ্ছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প আসলে ইলন মাস্কের ওপর নির্ভর করেছেন প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, ব্যবসায়িক দক্ষতা, মহাকাশ গবেষণা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রভাব এবং চীনের সঙ্গে প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে তাঁর ক্ষমতার জন্য।
মাস্ক ও ট্রাম্পের এই গলায়-গলায় ভাব থাকলেও মাঝেমধ্যে দুজনের নানা বিষয়ে মতানৈক্য হয়েছে। ট্রাম্প তাঁর প্রথম মেয়াদে যখন প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে আনার সিদ্ধান্ত নেন, তখন ইলন মাস্ক এ সিদ্ধান্তের কড়া বিরোধিতা করেন এবং প্রতিবাদস্বরূপ ট্রাম্পের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করেন। কোভিড-১৯ মহামারির সময় মাস্ক লকডাউনের বিরুদ্ধে কথা বলেছিলেন এবং ক্যালিফোর্নিয়ায় টেসলা ফ্যাক্টরি খোলার বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে কখনো একমত, কখনো বিরোধী অবস্থানে ছিলেন।
ট্রাম্প ও তাঁর সমর্থকেরা সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণের পক্ষে, যেখানে মাস্ক বরাবরই প্রযুক্তির স্বাধীনতার পক্ষে। তবে যখন মাস্ক ২০২২ সালে টুইটার (বর্তমানে এক্স) কিনে নেন এবং স্বাধীন মতপ্রকাশের পক্ষে অবস্থান নেন, তখন ট্রাম্প এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান। যদিও ট্রাম্প নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল ব্যবহার করেন। তবে তিনি মাস্কের প্ল্যাটফর্মের স্বাধীনতার নীতিকে সমর্থন করেন।
ট্রাম্প ও মাস্ক যদিও সব বিষয়ে একমত নন, তবু কিছু কৌশলগত ইস্যুতে তাঁদের স্বার্থ একীভূত হয়েছে, যা ভবিষ্যতে এ সম্পর্ককে প্রাসঙ্গিক রাখবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের কর্মচারীরা গত শনিবার সন্ধ্যায় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন থেকে একটি ই-মেইল পান। সেখানে কর্মচারীদের আগের সপ্তাহের কাজের বিবরণ পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দিতে বলা হয়। তা না হলে তাঁদের চাকরি থাকবে না বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
ট্রাম্প প্রশাসনের সরকারি দক্ষতা বিভাগের (ডিওজিই) প্রধান ধনকুবের ইলন মাস্ক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একটি পোস্ট দেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই এ ই-মেইল পাঠানো হয়। মাস্ক তাঁর এক্স পোস্টে বলেন, সব ফেডারেল কর্মচারী শিগগির একটি ই-মেইল পাবেন। এ ই-মেইলে তাঁরা গত সপ্তাহে কী কাজ করেছেন, তা জানানোর জন্য অনুরোধ থাকবে। ই-মেইলে সাড়া দিতে ব্যর্থ হলে, তা পদত্যাগ হিসেবে গণ্য হবে।
এর কয়েক ঘণ্টা আগে ট্রাম্প তাঁর ট্রুথ সোশ্যাল নামের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট দেন। সেখানে তিনি বলেন, ২৩ লাখের শক্তিশালী ফেডারেল কর্মী বাহিনীর আকার কমানো ও ঢেলে সাজানোর প্রচেষ্টায় ডিওজিইর আরও আক্রমণাত্মক হওয়া উচিত। তিনি চান, তাঁর উপদেষ্টা ইলন মাস্ক সরকারি ব্যয় কমানো ও ফেডারেল সরকারের সংস্কার অ্যাজেন্ডা আরও আগ্রাসীভাবে বাস্তবায়ন করুক।
ট্রাম্প আরও লিখেছেন, ‘ইলন দারুণ কাজ করছে। কিন্তু আমি চাই, সে আরও আগ্রাসী হোক। মনে রাখবেন, আমাদের দেশকে রক্ষা করতে হবে।’
এ ধরনের ই-মেইলে বেজায় চটেছেন মার্কিন ফেডারেল সরকারের কর্মচারীরা। তাঁদের প্রতিনিধিত্বকারী ইউনিয়ন এএফজিই এক বিবৃতিতে বলেছে, যেকোনো বেআইনি চাকরিচ্যুতিকে তারা চ্যালেঞ্জ করবে।
ট্রাম্প প্রশাসনে বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্কের এ ধরনের খবরদারি নতুন কিছু নয়। আগেও তিনি ট্রাম্প প্রশাসনের নানা বিষয়ে খবরদারি করেছেন। প্রশ্ন হচ্ছে, কেন মাস্কের এই খবরদারি? আর ট্রাম্প তাঁকে কেন এত প্রশ্রয় দিচ্ছেন?
২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইলন মাস্কের ভূমিকা ছিল একজন কিংমেকারের; যিনি কিনা ট্রাম্পের নির্বাচনী অভিযানে ২৮৮ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছেন। এক অর্থে বলা যায়, ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সিকে কিনে নিয়েছেন বিত্তবান ইলন মাস্ক।
ইলন মাস্ক যে বিভাগের প্রধান, সেই ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি বা সরকারি কর্মদক্ষতা বিভাগ (ডিওজিই) প্রকৃত অর্থে সরকারি কোনো সংস্থা নয়। এটা মূলত প্রেসিডেন্টের নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে গঠিত। যার কাজ হচ্ছে, সরকারি ব্যয় কমানো এবং অপচয় ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। ধারণা করি, মাস্ক যাতে খবরদারি করতে পারেন, সে জন্য এই ডিওজিই গঠন। দেখেশুনে মনে হচ্ছে, ট্রাম্প মাস্কের ওপর নির্ভরশীল। তাই তিনি মাস্ককে প্রশ্রয় দিচ্ছেন। কিন্তু কেন এই নির্ভরশীলতা?
ট্রাম্প ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর বিভিন্ন ব্যবসায়িক নেতাকে উপদেষ্টা পরিষদে অন্তর্ভুক্ত করেন। ইলন মাস্ক তখন হোয়াইট হাউসের ‘স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড পলিসি ফোরাম’ ও ‘ম্যানুফ্যাকচারিং জবস ইনিশিয়েটিভ’-এর সদস্য হন। এ পরিষদগুলোর মাধ্যমে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে মাস্কের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ গড়ে ওঠে।
যদিও তাঁরা সরাসরি রাজনৈতিক মিত্র নন, তবু বিভিন্ন ক্ষেত্রে ট্রাম্প মাস্কের ওপর নির্ভর করেছেন। এর পেছনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে:
প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের শক্তি
ইলন মাস্ক বিশ্বে প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের অন্যতম শীর্ষ ব্যক্তিত্ব। তাঁর কোম্পানিগুলো, বিশেষ করে স্পেসএক্স, টেসলা, নিউরালিংক ও দ্য বোরিং কোম্পানি মার্কিন অর্থনীতি ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ট্রাম্প প্রশাসনের লক্ষ্য হচ্ছে, মার্কিন প্রযুক্তি খাতকে শক্তিশালী করা এবং এ কারণে তিনি মাস্কের ওপর আস্থা রেখেছেন।
মহাকাশ গবেষণায় নেতৃত্ব
ট্রাম্প প্রশাসনের অন্যতম অগ্রাধিকার মহাকাশ অভিযান এবং দেশটির মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার কার্যক্রমকে বেসরকারি খাতের সঙ্গে সংযুক্ত করা। স্পেসএক্সের সাফল্যের কারণে ট্রাম্প প্রশাসন বারবার ইলন মাস্কের কোম্পানির ওপর নির্ভর করেছে। ২০২০ সালে স্পেসএক্সের ক্রু ড্রাগন মিশন সফলভাবে মহাকাশে মানুষ পাঠানোর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রকে আবার বিশ্বের মহাকাশ গবেষণার অগ্রদূত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
ব্যবসা ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি
ট্রাম্প নিজেকে একজন ব্যবসায়ী প্রেসিডেন্ট হিসেবে পরিচিত করেছেন এবং তিনি ব্যবসা সম্প্রসারণের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার পক্ষপাতী। ইলন মাস্কের কোম্পানিগুলো, বিশেষ করে টেসলা ও স্পেসএক্স হাজার হাজার কর্মসংস্থান তৈরি করেছে এবং প্রযুক্তিগত উন্নয়নের মাধ্যমে দেশীয় উৎপাদন শিল্পকে সমৃদ্ধ করেছে। ট্রাম্পের করহ্রাস নীতির কারণে মাস্কের কোম্পানিগুলো ব্যবসায়িক সুবিধা পেয়েছিল, যা তাদের পারস্পরিক স্বার্থকে আরও সংহত করেছে।
চীনের সঙ্গে প্রতিযোগিতা
ট্রাম্প প্রশাসন বাণিজ্যযুদ্ধের সময় চীনের প্রযুক্তি ও উৎপাদন খাতের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে চেয়েছিল। ইলন মাস্কের টেসলা ও স্পেসএক্স এই প্রতিযোগিতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। কারণ, তারা মার্কিন প্রযুক্তি খাতকে বিশ্ববাজারে শক্তিশালী করেছে।
দেখা যাচ্ছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প আসলে ইলন মাস্কের ওপর নির্ভর করেছেন প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, ব্যবসায়িক দক্ষতা, মহাকাশ গবেষণা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রভাব এবং চীনের সঙ্গে প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে তাঁর ক্ষমতার জন্য।
মাস্ক ও ট্রাম্পের এই গলায়-গলায় ভাব থাকলেও মাঝেমধ্যে দুজনের নানা বিষয়ে মতানৈক্য হয়েছে। ট্রাম্প তাঁর প্রথম মেয়াদে যখন প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে আনার সিদ্ধান্ত নেন, তখন ইলন মাস্ক এ সিদ্ধান্তের কড়া বিরোধিতা করেন এবং প্রতিবাদস্বরূপ ট্রাম্পের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করেন। কোভিড-১৯ মহামারির সময় মাস্ক লকডাউনের বিরুদ্ধে কথা বলেছিলেন এবং ক্যালিফোর্নিয়ায় টেসলা ফ্যাক্টরি খোলার বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে কখনো একমত, কখনো বিরোধী অবস্থানে ছিলেন।
ট্রাম্প ও তাঁর সমর্থকেরা সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণের পক্ষে, যেখানে মাস্ক বরাবরই প্রযুক্তির স্বাধীনতার পক্ষে। তবে যখন মাস্ক ২০২২ সালে টুইটার (বর্তমানে এক্স) কিনে নেন এবং স্বাধীন মতপ্রকাশের পক্ষে অবস্থান নেন, তখন ট্রাম্প এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান। যদিও ট্রাম্প নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল ব্যবহার করেন। তবে তিনি মাস্কের প্ল্যাটফর্মের স্বাধীনতার নীতিকে সমর্থন করেন।
ট্রাম্প ও মাস্ক যদিও সব বিষয়ে একমত নন, তবু কিছু কৌশলগত ইস্যুতে তাঁদের স্বার্থ একীভূত হয়েছে, যা ভবিষ্যতে এ সম্পর্ককে প্রাসঙ্গিক রাখবে।
রুমিন ফারহানা বাংলাদেশের একজন রাজনীতিবিদ, আইনজীবী ও রাজনীতি বিশ্লেষক। তিনি সংরক্ষিত নারী আসন থেকে একাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য ছিলেন। তিনি বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
১ দিন আগেদেশে প্রতিবছর বহু প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। বাস্তবায়নের সময় মাঝে মাঝে সংবাদ চোখে পড়ে যে প্রকল্পের ভবন নির্মাণ করতে গিয়ে গাছ কাটা পড়ছে, বনভূমি উজাড় হচ্ছে, খাল ও জলাভূমি ভরাট হচ্ছে, নির্মাণস্থলে নির্মাণকাজের ফলে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে, এমনকি কোনো কোনো প্রকল্প গ্রহণের ফলে পরিবেশের ওপর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব...
১ দিন আগেপাহাড় রক্ষা করা যখন খুবই জরুরি, তখন সে পাহাড় কেটে গোটা অঞ্চলের জন্য বিপদ ডেকে আনছে একদল দুর্বৃত্ত। খাগড়াছড়ির পানছড়ি এলাকায় অবাধে পাহাড় কাটা হচ্ছে, অথচ সরকারি কর্মকর্তারা এ বিষয়ে দায়সারা বক্তব্য দিয়ে নিজেদের ব্যর্থতাকে ঢাকার চেষ্টা করছেন।
১ দিন আগে১৯৪৯ সালের ২৩ জুন মওলানা ভাসানীকে সভাপতি এবং শামসুল হককে সাধারণ সম্পাদক করে গঠিত হয়েছিল আওয়ামী লীগ। তখন শেখ মুজিবুর রহমান জেলে ছিলেন, তাঁকে করা হয়েছিল দলের যুগ্ম সম্পাদক। পরবর্তী সময়ে শামসুল হক অপ্রকৃতিস্থ হয়ে যাওয়ায় শেখ মুজিবুর রহমানকে দলের সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
২ দিন আগে