নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম ক্লাবের গেস্টহাউস থেকে উদ্ধার সাবেক সেনাপ্রধান ও ডেসটিনি গ্রুপের চেয়ারম্যান এম হারুন-অর-রশীদ বীর প্রতীকের মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে করে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার বেলা সোয়া ৩টার পর চট্টগ্রাম ক্লাবের গেস্টহাউস কমপ্লেক্সের তৃতীয় তলার ৩০৮ নম্বর কক্ষ থেকে সেনাবাহিনীর সদস্যদের তত্ত্বাবধানে তাঁর মরদেহ বাইরে আনা হয়। পরে গেস্টহাউসের বাইরে দাঁড়ানো সিএমএইচের একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে সামরিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল করিম বলেন, ‘সাবেক সেনাপ্রধানের মরদেহ চট্টগ্রামের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। তাঁর স্ত্রী ময়নাতদন্ত করাতে রাজি নন। তাই ময়নাতদন্ত ছাড়াই তাঁর মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।’
এদিকে মরদেহ পাওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীন। তিনি ডেসটিনির আর্থিক কেলেঙ্কারির একটি মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে চট্টগ্রামে আসেন। ওই মামলায় আজ হারুন-অর-রশীদেরও আদালতে হাজিরা দেওয়ার দিন ধার্য ছিল।
রফিকুল আমীন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজকে এখানে আমাদের একটি মামলার হাজিরার তারিখ ছিল। আমরা সবাই কোর্টে এসেছি। কিন্তু সময় হয়ে যাওয়ার পরও তিনি (হারুন-অর-রশীদ) আসছিলেন না। তাঁকে ফোন করেও পাওয়া যাচ্ছিল না। বিষয়টি গেস্টহাউসে জানানোর পর কর্তৃপক্ষ তাঁকে কক্ষে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে। খবর পেয়ে চট্টগ্রাম সিএমএইচের চিকিৎসকদের একটি দল আসে। তারা এসে দেখে, তিনি আর বেঁচে নেই।’
রফিকুল আমীন আরও বলেন, ‘এর আগেও আমরা এই মামলায় হাজিরা দেওয়ার জন্য কয়েকবার চট্টগ্রামে এসেছি। আগামীকাল (মঙ্গলবার) সকালে বিমানে তাঁর ফ্লাইট বুক করা ছিল। আমরা আজকে চলে যাব। এভাবে কথাবার্তা হয়েছে। এর মধ্যে কী হয়ে গেল।’
এর আগে বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটের দিকে হারুন-অর-রশীদকে গেস্টহাউসে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল চট্টগ্রামের চিকিৎসকদের একটি দল গেস্টহাউসে এসে জানায়, সাবেক সেনাপ্রধান বেঁচে নেই। তবে তাঁর মৃত্যুর কারণ ঘটনাস্থলে উপস্থিত চিকিৎসকসহ দায়িত্বশীলদের কেউ এখনো নিশ্চিত করতে পারেননি।
সরেজমিনে গেস্টহাউস থেকে সাবেক এই সেনাপ্রধানের মরদেহ উদ্ধার ও পরে মরদেহ নিয়ে যাওয়ার আগপর্যন্ত নিহত ব্যক্তির পরিবারের কোনো সদস্যকে ঘটনাস্থলে দেখা যায়নি। তবে জেলার হাটহাজারীতে একই এলাকায় বাস করা ও তাঁকে চেনেন এমন কয়েকজন মৃত্যুর খবর পেয়ে ওই গেস্টহাউসে উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, ৭৭ বছর বয়সী হারুন-অর-রশীদ ২০০০ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০০২ সালের জুন পর্যন্ত বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ছিলেন। ডেসটিনির আর্থিক কেলেঙ্কারির একটি মামলায় হাজিরা দিতে তিনি গতকাল রোববার বিকেলে চট্টগ্রাম ক্লাবের গেস্টহাউস কমপ্লেক্সের ৩০৮ নম্বর কক্ষে উঠেছিলেন।
চট্টগ্রাম ক্লাব লিমিটেডের সেক্রেটারি অবসরপ্রাপ্ত কমান্ডার মো. আশরাফ উদ্দিন বলেন, ‘সকালে হারুন-অর-রশীদকে নিতে সেনাবাহিনীর গাড়ি এসেছিল। তাঁকে ফোনকল করে না পেয়ে আমাদের জানানো হয়। তখন আমরা পেছনের দরজা দিয়ে প্রবেশ করে তাঁকে বিছানায় শোয়া অবস্থায় পাই।’
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) দক্ষিণ জোনের উপকমিশনার (ডিসি) মো. আলমগীর হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, আপাতত তাঁর মরদেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। বর্তমানে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হচ্ছে।
একটি সংস্থার গোয়েন্দা তথ্য সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সন্ধ্যায় সাবেক সেনাপ্রধান চট্টগ্রাম ক্লাবে গেস্টহাউসে ৩০৮ নম্বর কক্ষে ওঠেন। পরে তিনি তাঁর এক নিকটাত্মীয়ের বাসায় যান। রাতে পুনরায় গেস্টহাউসে চলে আসেন। সকালে গেস্টহাউসের লোকজন দরজায় নক করলে ভেতর থেকে কোনো সাড়া না পাওয়ায় কক্ষের জানালা দিয়ে তাঁরা ভেতরে প্রবেশ করে তাঁকে অজ্ঞান অবস্থায় দেখতে পান। পরে সেখানে চিকিৎসক এসে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
গেস্টহাউসের একজন নিরাপত্তারক্ষী বলেন, গেস্টহাউসে তিনি একাই ছিলেন।
হারুন-অর-রশীদের বাড়ি চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার ধলই ইউনিয়নে। তিনি ১৯৪৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন।
চট্টগ্রাম ক্লাবের গেস্টহাউস থেকে উদ্ধার সাবেক সেনাপ্রধান ও ডেসটিনি গ্রুপের চেয়ারম্যান এম হারুন-অর-রশীদ বীর প্রতীকের মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে করে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার বেলা সোয়া ৩টার পর চট্টগ্রাম ক্লাবের গেস্টহাউস কমপ্লেক্সের তৃতীয় তলার ৩০৮ নম্বর কক্ষ থেকে সেনাবাহিনীর সদস্যদের তত্ত্বাবধানে তাঁর মরদেহ বাইরে আনা হয়। পরে গেস্টহাউসের বাইরে দাঁড়ানো সিএমএইচের একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে সামরিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল করিম বলেন, ‘সাবেক সেনাপ্রধানের মরদেহ চট্টগ্রামের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। তাঁর স্ত্রী ময়নাতদন্ত করাতে রাজি নন। তাই ময়নাতদন্ত ছাড়াই তাঁর মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।’
এদিকে মরদেহ পাওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীন। তিনি ডেসটিনির আর্থিক কেলেঙ্কারির একটি মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে চট্টগ্রামে আসেন। ওই মামলায় আজ হারুন-অর-রশীদেরও আদালতে হাজিরা দেওয়ার দিন ধার্য ছিল।
রফিকুল আমীন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজকে এখানে আমাদের একটি মামলার হাজিরার তারিখ ছিল। আমরা সবাই কোর্টে এসেছি। কিন্তু সময় হয়ে যাওয়ার পরও তিনি (হারুন-অর-রশীদ) আসছিলেন না। তাঁকে ফোন করেও পাওয়া যাচ্ছিল না। বিষয়টি গেস্টহাউসে জানানোর পর কর্তৃপক্ষ তাঁকে কক্ষে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে। খবর পেয়ে চট্টগ্রাম সিএমএইচের চিকিৎসকদের একটি দল আসে। তারা এসে দেখে, তিনি আর বেঁচে নেই।’
রফিকুল আমীন আরও বলেন, ‘এর আগেও আমরা এই মামলায় হাজিরা দেওয়ার জন্য কয়েকবার চট্টগ্রামে এসেছি। আগামীকাল (মঙ্গলবার) সকালে বিমানে তাঁর ফ্লাইট বুক করা ছিল। আমরা আজকে চলে যাব। এভাবে কথাবার্তা হয়েছে। এর মধ্যে কী হয়ে গেল।’
এর আগে বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটের দিকে হারুন-অর-রশীদকে গেস্টহাউসে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল চট্টগ্রামের চিকিৎসকদের একটি দল গেস্টহাউসে এসে জানায়, সাবেক সেনাপ্রধান বেঁচে নেই। তবে তাঁর মৃত্যুর কারণ ঘটনাস্থলে উপস্থিত চিকিৎসকসহ দায়িত্বশীলদের কেউ এখনো নিশ্চিত করতে পারেননি।
সরেজমিনে গেস্টহাউস থেকে সাবেক এই সেনাপ্রধানের মরদেহ উদ্ধার ও পরে মরদেহ নিয়ে যাওয়ার আগপর্যন্ত নিহত ব্যক্তির পরিবারের কোনো সদস্যকে ঘটনাস্থলে দেখা যায়নি। তবে জেলার হাটহাজারীতে একই এলাকায় বাস করা ও তাঁকে চেনেন এমন কয়েকজন মৃত্যুর খবর পেয়ে ওই গেস্টহাউসে উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, ৭৭ বছর বয়সী হারুন-অর-রশীদ ২০০০ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০০২ সালের জুন পর্যন্ত বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ছিলেন। ডেসটিনির আর্থিক কেলেঙ্কারির একটি মামলায় হাজিরা দিতে তিনি গতকাল রোববার বিকেলে চট্টগ্রাম ক্লাবের গেস্টহাউস কমপ্লেক্সের ৩০৮ নম্বর কক্ষে উঠেছিলেন।
চট্টগ্রাম ক্লাব লিমিটেডের সেক্রেটারি অবসরপ্রাপ্ত কমান্ডার মো. আশরাফ উদ্দিন বলেন, ‘সকালে হারুন-অর-রশীদকে নিতে সেনাবাহিনীর গাড়ি এসেছিল। তাঁকে ফোনকল করে না পেয়ে আমাদের জানানো হয়। তখন আমরা পেছনের দরজা দিয়ে প্রবেশ করে তাঁকে বিছানায় শোয়া অবস্থায় পাই।’
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) দক্ষিণ জোনের উপকমিশনার (ডিসি) মো. আলমগীর হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, আপাতত তাঁর মরদেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। বর্তমানে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হচ্ছে।
একটি সংস্থার গোয়েন্দা তথ্য সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সন্ধ্যায় সাবেক সেনাপ্রধান চট্টগ্রাম ক্লাবে গেস্টহাউসে ৩০৮ নম্বর কক্ষে ওঠেন। পরে তিনি তাঁর এক নিকটাত্মীয়ের বাসায় যান। রাতে পুনরায় গেস্টহাউসে চলে আসেন। সকালে গেস্টহাউসের লোকজন দরজায় নক করলে ভেতর থেকে কোনো সাড়া না পাওয়ায় কক্ষের জানালা দিয়ে তাঁরা ভেতরে প্রবেশ করে তাঁকে অজ্ঞান অবস্থায় দেখতে পান। পরে সেখানে চিকিৎসক এসে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
গেস্টহাউসের একজন নিরাপত্তারক্ষী বলেন, গেস্টহাউসে তিনি একাই ছিলেন।
হারুন-অর-রশীদের বাড়ি চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার ধলই ইউনিয়নে। তিনি ১৯৪৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন।
চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে এক নারীসহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার (৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় এই তথ্য জানায়। এ ছাড়া সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৯ জনের ডেঙ্গু এবং ২০ জনের চিকুনগুনিয়া শনাক্ত হয়েছে।
০১ জানুয়ারি ১৯৭০যৌন হয়রানির অভিযোগে বরিশাল বিএম কলেজের দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এম মওদুদ আহমেদকে অবশেষে বদলি করা হয়েছে। রোববার রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. আ. কুদ্দুস স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে কলেজ কর্তৃক তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, শিক্ষক মওদুদের বিষয়ে কোনো...
১ ঘণ্টা আগেনেছারাবাদের বলদিয়া ইউনিয়নের সোনারঘোপ রমেশচন্দ্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সেই প্রধান শিক্ষক শামিমা ইয়াছমিনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পিরোজপুর জেলা শিক্ষা অফিস থেকে তাঁকে বরখাস্তের আদেশ দেওয়া হয়। নেছারাবাদের শিক্ষা কর্মকর্তা খোন্দকার জসিম আহমেদ বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন।
১ ঘণ্টা আগেজুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের তালিকা থেকে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদল নেতা তাওহিদুল আলম জিসানের নাম বাদ দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। গতকাল রোববার (৩ আগস্ট) রাতে মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, সরাসরি জুলাই আন্দোলনে সম্পৃক্ত না থাকার কারণে...
১ ঘণ্টা আগে