আজকের পত্রিকা ডেস্ক
গত বছর সরকার পতনের আগে উত্তাল জুলাই ও আগস্ট মাসে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) তৎকালীন মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের সঙ্গে তাঁর ফুফু ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফোনালাপের একটি রেকর্ড ফাঁস করেছেন প্রবাসী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের।
রেকর্ডটি দুটি অংশে বিভক্ত। সায়েরের দাবি ও অডিওর দ্বিতীয় অংশের ভাষ্য অনুযায়ী, অভ্যুত্থানের উত্তাল সময়ে গত বছরের ৩ আগস্ট সিঙ্গাপুর যেতে বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন তাপস। কিন্তু তাঁকে ইমিগ্রেশন আটকে দিয়েছিল। তখন ফুফু প্রধানমন্ত্রীকে কল দিয়ে অফিসারকে তাঁকে ছেড়ে দিতে বলার জন্য অনুরোধ করেছিলেন।
আর প্রথম অংশের অডিও ২২ জুলাই বেলা ১১টা ৪৯ মিনিটের বলে দাবি করেছেন সায়ের, যেখানে তাপস মিষ্টি ভাষায় ফুফুকে দেখতে আসার আবদার করছেন। কিন্তু উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তাঁকে আসতে বারণ করেন হাসিনা।
গতকাল সোমবার রাতে ফেসবুকে রেকর্ডটি ছাড়েন সায়ের। তবে এর সত্যতা যাচাই করতে পারেনি আজকের পত্রিকা। পাঠকদের জন্য ফোনালাপটির ট্রান্সক্রাইব করে তুলে ধরা হলো।
ফোনালাপটির প্রথম অংশে তাপস মিষ্টি ভাষায় আবদার করছেন, ‘হাসুমনি, একটু আসতে চাচ্ছিলাম, তোমাকে দেখতে চাচ্ছিলাম, আসব?’ জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এসবের মধ্যে আসার দরকার নেই।’ তখন তাপস বলেন, ‘তাহলে (কারফিউ) শিথিল হওয়ার পর আসি?’ হাসিনা বলেন, ‘আমি তখন অফিসে থাকব। ব্যবসায়ীদের ডাকছি তো। ২-৩টার সময়।’ তাপস বলেন, ‘আচ্ছা, তাহলে ওই সময় অফিসে এসে দেখা করে যাব।’
দ্বিতীয় অংশে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেন তাঁরা। দ্বিতীয়টি ৩ আগষ্ট ২০২৪, সকাল ৮টা ১৬ মিনিটের বলে দাবি সায়েরের।
এই পর্বে ফোন করে তাপস কুশল বিনিময়ের পর বলেন, ‘আমি একটু সিঙ্গাপুর যেতে চাচ্ছিলাম, যাব?’ হাসিনা তাঁকে যেতেও বলেন। কিন্তু সম্ভবত তিনি জানতেন না তাপস দেশ ছাড়ার সব প্রস্তুতি নিয়ে এয়ারপোর্টে পৌঁছে তাঁকে ফোন করেছেন।
কেননা শেখ হাসিনা তাঁকে বলেছিলেন, তিনি মিছিল করতে মানা করেছেন, প্রত্যেকটা ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সবাই জমা থাকবে। এর উত্তরে তাপস বলেন, ‘আমি এয়ারপোর্টে চলে আসছি। জিওটা (বিদেশ যাত্রায় প্রয়োজনীয় গভর্নমেন্ট অর্ডার) এখনো হয় নাই বলে এখানে ইয়ে করছে না।’
তখন হাসিনা তাপসকে প্রশ্ন করেন, ‘জিওটা সঙ্গে নিলে না কেন?’ তাপস উত্তরে বলেন, ‘অ্যাপ্লাই করে দিছি, কিন্তু হতে হতে তো ১১টা-১২টা বাজতে পারে, মানে তোমার ওখানে যেতে। তো আমি ইমিগ্রেশনে আসছি, কাউকে ইমিগ্রেশনে বলে দেওয়া যাবে কি? আমার ফ্লাইট এখনি ছেড়ে দেবে।’
জবাবে হাসিনা বলেন, ‘হ্যাঁ, বলা যাবে। ফাইল পাঠাইছ তো?’ তখন তাপস বলেন, ‘হ্যাঁ, ফাইল প্রমিত মহদোয় পাঠাচ্ছেন।’ হাসিনা বলেন, ‘আচ্ছা, দিয়ে দাও।’ তখন তাপস হাসিনাকে একজন ইমিগ্রেশন কর্মকর্তার সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে অনুরোধ করে বলেন, ‘এই যে এখানে অফিসার আছেন, ইমিগ্রেশন অফিসার।’ তখন হাসিনা তাপসের কাছে জানতে চান, ‘কাউকে বলিয়ে দিতে হবে কি না?’
তাপস বলেন, 'হ্যাঁ, আমি দিব ফোনটা?' হাসিনা বলেন, ‘না না, আমি তার সাথে কথা বলব কেন। আমি অফিসের কর্মকর্তার মাধ্যমে বলিয়ে দিতে পারি।‘ তাপস জানতে চান, ‘কাকে বলব তাহলে?’ হাসিনা বলেন, ‘আমার সেক্রেটারিকে বললেই হবে, শাহ সালাউদ্দিন।‘ তাপস পুনরায় নিশ্চিত হতে জিজ্ঞেস করেন, ‘সালাউদ্দিন সাহেব?’ শেখ হাসিনা বলেন , ‘হ্যাঁ।’
আরও খবর পড়ুন:
গত বছর সরকার পতনের আগে উত্তাল জুলাই ও আগস্ট মাসে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) তৎকালীন মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের সঙ্গে তাঁর ফুফু ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফোনালাপের একটি রেকর্ড ফাঁস করেছেন প্রবাসী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের।
রেকর্ডটি দুটি অংশে বিভক্ত। সায়েরের দাবি ও অডিওর দ্বিতীয় অংশের ভাষ্য অনুযায়ী, অভ্যুত্থানের উত্তাল সময়ে গত বছরের ৩ আগস্ট সিঙ্গাপুর যেতে বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন তাপস। কিন্তু তাঁকে ইমিগ্রেশন আটকে দিয়েছিল। তখন ফুফু প্রধানমন্ত্রীকে কল দিয়ে অফিসারকে তাঁকে ছেড়ে দিতে বলার জন্য অনুরোধ করেছিলেন।
আর প্রথম অংশের অডিও ২২ জুলাই বেলা ১১টা ৪৯ মিনিটের বলে দাবি করেছেন সায়ের, যেখানে তাপস মিষ্টি ভাষায় ফুফুকে দেখতে আসার আবদার করছেন। কিন্তু উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তাঁকে আসতে বারণ করেন হাসিনা।
গতকাল সোমবার রাতে ফেসবুকে রেকর্ডটি ছাড়েন সায়ের। তবে এর সত্যতা যাচাই করতে পারেনি আজকের পত্রিকা। পাঠকদের জন্য ফোনালাপটির ট্রান্সক্রাইব করে তুলে ধরা হলো।
ফোনালাপটির প্রথম অংশে তাপস মিষ্টি ভাষায় আবদার করছেন, ‘হাসুমনি, একটু আসতে চাচ্ছিলাম, তোমাকে দেখতে চাচ্ছিলাম, আসব?’ জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এসবের মধ্যে আসার দরকার নেই।’ তখন তাপস বলেন, ‘তাহলে (কারফিউ) শিথিল হওয়ার পর আসি?’ হাসিনা বলেন, ‘আমি তখন অফিসে থাকব। ব্যবসায়ীদের ডাকছি তো। ২-৩টার সময়।’ তাপস বলেন, ‘আচ্ছা, তাহলে ওই সময় অফিসে এসে দেখা করে যাব।’
দ্বিতীয় অংশে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেন তাঁরা। দ্বিতীয়টি ৩ আগষ্ট ২০২৪, সকাল ৮টা ১৬ মিনিটের বলে দাবি সায়েরের।
এই পর্বে ফোন করে তাপস কুশল বিনিময়ের পর বলেন, ‘আমি একটু সিঙ্গাপুর যেতে চাচ্ছিলাম, যাব?’ হাসিনা তাঁকে যেতেও বলেন। কিন্তু সম্ভবত তিনি জানতেন না তাপস দেশ ছাড়ার সব প্রস্তুতি নিয়ে এয়ারপোর্টে পৌঁছে তাঁকে ফোন করেছেন।
কেননা শেখ হাসিনা তাঁকে বলেছিলেন, তিনি মিছিল করতে মানা করেছেন, প্রত্যেকটা ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সবাই জমা থাকবে। এর উত্তরে তাপস বলেন, ‘আমি এয়ারপোর্টে চলে আসছি। জিওটা (বিদেশ যাত্রায় প্রয়োজনীয় গভর্নমেন্ট অর্ডার) এখনো হয় নাই বলে এখানে ইয়ে করছে না।’
তখন হাসিনা তাপসকে প্রশ্ন করেন, ‘জিওটা সঙ্গে নিলে না কেন?’ তাপস উত্তরে বলেন, ‘অ্যাপ্লাই করে দিছি, কিন্তু হতে হতে তো ১১টা-১২টা বাজতে পারে, মানে তোমার ওখানে যেতে। তো আমি ইমিগ্রেশনে আসছি, কাউকে ইমিগ্রেশনে বলে দেওয়া যাবে কি? আমার ফ্লাইট এখনি ছেড়ে দেবে।’
জবাবে হাসিনা বলেন, ‘হ্যাঁ, বলা যাবে। ফাইল পাঠাইছ তো?’ তখন তাপস বলেন, ‘হ্যাঁ, ফাইল প্রমিত মহদোয় পাঠাচ্ছেন।’ হাসিনা বলেন, ‘আচ্ছা, দিয়ে দাও।’ তখন তাপস হাসিনাকে একজন ইমিগ্রেশন কর্মকর্তার সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে অনুরোধ করে বলেন, ‘এই যে এখানে অফিসার আছেন, ইমিগ্রেশন অফিসার।’ তখন হাসিনা তাপসের কাছে জানতে চান, ‘কাউকে বলিয়ে দিতে হবে কি না?’
তাপস বলেন, 'হ্যাঁ, আমি দিব ফোনটা?' হাসিনা বলেন, ‘না না, আমি তার সাথে কথা বলব কেন। আমি অফিসের কর্মকর্তার মাধ্যমে বলিয়ে দিতে পারি।‘ তাপস জানতে চান, ‘কাকে বলব তাহলে?’ হাসিনা বলেন, ‘আমার সেক্রেটারিকে বললেই হবে, শাহ সালাউদ্দিন।‘ তাপস পুনরায় নিশ্চিত হতে জিজ্ঞেস করেন, ‘সালাউদ্দিন সাহেব?’ শেখ হাসিনা বলেন , ‘হ্যাঁ।’
আরও খবর পড়ুন:
দলটির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমরা দেখছি, নির্বাচন কমিশন স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। আমাদের কাছে মনে হয়েছে, এই সিদ্ধান্তগুলো আসলে চাপিয়ে দেওয়া।’
১ ঘণ্টা আগেরাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনের প্রক্রিয়ায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ‘শাপলা’ প্রতীক বরাদ্দের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বিরুদ্ধে বিধি-বহির্ভূত আচরণের অভিযোগ এনেছে। সম্প্রতি ইসি সচিবালয় থেকে পাঠানো চিঠির কঠোর ভাষায় জবাব দিয়েছে দলটি।
২ ঘণ্টা আগেজাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান। সঞ্চালনা করেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (জাতীয় ঐকমত্য) মনির হায়দার।
২ ঘণ্টা আগে‘জুলাই যোদ্ধা’দের নিয়ে মন্তব্যের জেরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের পক্ষ থেকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে জবাব দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি অভিযোগ করেছেন, তাঁর বক্তব্যের অপব্যাখ্যা করে ‘জুলাই যোদ্ধাদের’ আওয়ামী লীগের ‘দোসর’ বলার দায় তাঁর ওপর
৫ ঘণ্টা আগে