নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
‘সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের স্বামী সিদ্দিক আবু জাফরের কাছ থেকে দশ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করি’—আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ কথা বলেছেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের বহিষ্কৃত আহ্বায়ক সদস্য আবদুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান ওরফে রিয়াদ। আজ রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাত উল্লাহর খাস কামরায় রিয়াদ জবানবন্দি দেন।
গত ২৭ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা রিয়াদকে এই মামলায় সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। রিমান্ডে শেষে আদালতে হাজির করার পর তিনি স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দিতে চান। জবানবন্দিতে চাঁদাবাজির ঘটনায় নিজের ভূমিকা ও সহযোগীদের কার কী ভূমিকা, তা বর্ণনা করেছেন বলে জানা গেছে।
আদালতের একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, রিয়াদ তাঁর জবানবন্দিতে বলেছেন, তিনি ও তাঁর সহযোগীরা প্রথমে ১০ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেন। এই টাকার মধ্যে রিয়াদ নিজে পাঁচ লাখ টাকা রাখেন। অন্য ৫ লাখ টাকা অন্যদের মধ্যে ভাগ-বাঁটোয়ারা করে দেন। নিজের পাঁচ লাখ টাকা তিনি তাঁর বাড্ডার বৈঠাখালির একটি বাড়ির সাততলা রুমে রাখেন। সেখান থেকে কিছু টাকা তিনি খরচ করেন। আর ২ লাখ ৯৮ হাজার টাকা ওয়ার্ডরোবের মধ্যে রাখেন। গ্রেপ্তার হওয়ার পর পুলিশ ওই টাকা উদ্ধার করে।
জবানবন্দিতে তিনি জানিয়েছেন, পুলিশের উদ্ধার করা পুরো টাকাটাই শাম্মী আহমেদের বাসা থেকে নেওয়া চাঁদার টাকা। রিয়াদ জবানবন্দিতে আরও বলেন, তাঁরা শাম্মী আহমেদের স্বামীকে আওয়ামী লীগ ট্যাগ দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ৫০ লাখ টাকা আদায়ের চেষ্টা করেন। কিন্তু তিনি ১০ লাখ টাকা দেন।
তিনি স্বীকার করেছেন, তাঁর সহযোগী গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপু, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক ইব্রাহীম হোসেন মুন্না, সদস্য মো. সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব গত ২৬ জুলাই বাদীর কাছ থেকে আরও ৪০ লাখ টাকা নিতে গুলশানের বাসায় গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে পাঁচজনকে আটক করে পুলিশ। এই পাঁচজনসহ আরও দুই-তিনজন চাঁদাবাজিতে জড়িত ছিলেন বলে তিনি স্বীকার করেন।
জবানবন্দিতে রিয়াদ বলেছেন, তিনি নিজে ও জানে আলম অপু চাঁদাবাজির নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁরা গুলশানের আরও কয়েকজনের কাছ থেকে চাঁদা নিয়েছেন বলেও স্বীকার করেছেন।
আরও খবর পড়ুন:
‘সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের স্বামী সিদ্দিক আবু জাফরের কাছ থেকে দশ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করি’—আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ কথা বলেছেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের বহিষ্কৃত আহ্বায়ক সদস্য আবদুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান ওরফে রিয়াদ। আজ রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাত উল্লাহর খাস কামরায় রিয়াদ জবানবন্দি দেন।
গত ২৭ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা রিয়াদকে এই মামলায় সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। রিমান্ডে শেষে আদালতে হাজির করার পর তিনি স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দিতে চান। জবানবন্দিতে চাঁদাবাজির ঘটনায় নিজের ভূমিকা ও সহযোগীদের কার কী ভূমিকা, তা বর্ণনা করেছেন বলে জানা গেছে।
আদালতের একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, রিয়াদ তাঁর জবানবন্দিতে বলেছেন, তিনি ও তাঁর সহযোগীরা প্রথমে ১০ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেন। এই টাকার মধ্যে রিয়াদ নিজে পাঁচ লাখ টাকা রাখেন। অন্য ৫ লাখ টাকা অন্যদের মধ্যে ভাগ-বাঁটোয়ারা করে দেন। নিজের পাঁচ লাখ টাকা তিনি তাঁর বাড্ডার বৈঠাখালির একটি বাড়ির সাততলা রুমে রাখেন। সেখান থেকে কিছু টাকা তিনি খরচ করেন। আর ২ লাখ ৯৮ হাজার টাকা ওয়ার্ডরোবের মধ্যে রাখেন। গ্রেপ্তার হওয়ার পর পুলিশ ওই টাকা উদ্ধার করে।
জবানবন্দিতে তিনি জানিয়েছেন, পুলিশের উদ্ধার করা পুরো টাকাটাই শাম্মী আহমেদের বাসা থেকে নেওয়া চাঁদার টাকা। রিয়াদ জবানবন্দিতে আরও বলেন, তাঁরা শাম্মী আহমেদের স্বামীকে আওয়ামী লীগ ট্যাগ দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ৫০ লাখ টাকা আদায়ের চেষ্টা করেন। কিন্তু তিনি ১০ লাখ টাকা দেন।
তিনি স্বীকার করেছেন, তাঁর সহযোগী গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপু, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক ইব্রাহীম হোসেন মুন্না, সদস্য মো. সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব গত ২৬ জুলাই বাদীর কাছ থেকে আরও ৪০ লাখ টাকা নিতে গুলশানের বাসায় গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে পাঁচজনকে আটক করে পুলিশ। এই পাঁচজনসহ আরও দুই-তিনজন চাঁদাবাজিতে জড়িত ছিলেন বলে তিনি স্বীকার করেন।
জবানবন্দিতে রিয়াদ বলেছেন, তিনি নিজে ও জানে আলম অপু চাঁদাবাজির নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁরা গুলশানের আরও কয়েকজনের কাছ থেকে চাঁদা নিয়েছেন বলেও স্বীকার করেছেন।
আরও খবর পড়ুন:
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার বইলর ইউনিয়নের বাঁশকুড়ি গ্রামে মা-বাবা হত্যার মর্মান্তিক ঘটনায় গ্রামজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। এই ঘটনার পর থেকে ঘাতক ছেলে রিয়াদ হোসেন রাজুর ৯ মাসের শিশুকন্যা সিদরাতুল মুনতাহা রাইসা ও তার মা এখন চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে দেশের জনগণ ‘দাঁড়িপাল্লায় নীরবে ভোট দিয়ে’ এক নীরব বিপ্লব ঘটাবে। সম্প্রতি চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্রশিবিরের নিরঙ্কুশ বিজয় সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
১ ঘণ্টা আগেজাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের তিনটি আসনে জমে উঠেছে রাজনৈতিক তৎপরতা। জেলার সর্বত্র এখন বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থীদের প্রচার, গণসংযোগ ও উঠান বৈঠক চলছে। তবে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল, বিভক্ত নেতৃত্ব ও একাধিক প্রার্থীর কারণে মাঠে তাদের অবস্থান দুর্বল।
৬ ঘণ্টা আগেহঠাৎ অস্থির হয়ে উঠেছে দেশের শিক্ষাঙ্গন। প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় স্তর পর্যন্ত আলাদা ইস্যু ঘিরে অস্থিরতা বিরাজ করছে। এতে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। তৈরি হচ্ছে প্রশাসনিক জটিলতাও। শঙ্কা দেখা দিচ্ছে সেশনজটসহ নানা সংকটের।
৬ ঘণ্টা আগে