Ajker Patrika

হাতিয়ায় মন্দিরে হামলার ঘটনায় ১০ মামলা, গ্রেপ্তার ২৩ 

হাতিয়া প্রতিনিধি
আপডেট : ২৩ অক্টোবর ২০২১, ১২: ৪২
হাতিয়ায় মন্দিরে হামলার ঘটনায় ১০ মামলা, গ্রেপ্তার ২৩ 

মন্দিরে হামলা, বাড়িঘর ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় ১০টি মামলা হয়েছে। গত এক সপ্তাহে এসব মামলায় ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে নোয়াখালীর হাতিয়া থানার পুলিশ। এর মধ্যে গত দুই দিনে আটক করা হয় ১০ জনকে। আটক হওয়া অভিযুক্তদের অধিকাংশ হাতিয়া পৌরসভা ও নলচিরা ইউনিয়নের বাসিন্দা। 

এ ঘটনায় দায়ের করা ১০টি মামলার মধ্যে বিভিন্ন মন্দিরের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক বাদী হয়ে আটটি ও পুলিশ বাদী হয়ে দুটি মামলা করেছে। 
 
হাতিয়া থানায় দায়ের করা মামলার সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ ও ১৪ অক্টোবর সনাতন ধর্মালম্বীদের শারদীয় দুর্গাপূজা চলাকাীন কয়েকটি গ্রুপে বিভিন্ন মন্দিরে হামলা চালানো হয়। এ সময় পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের শংকর মার্কেট পূজামণ্ডপ ও নলচিরা ইউনিয়নের লোকনাথ মন্দিরে হামলা চালানা হয়। একই সময়ে ভিন্ন আরো একটি গ্রুপ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মাস্টারপাড়া মন্দিরে হামলা চালায়। প্রশাসন সক্রিয় থাকায় এই মন্দিরে হামলা করতে না পেরে তারা হিন্দু ধর্মালম্বীদের বাড়ি-ঘর ভাঙচুর করে। 
 
কুমিল্লার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এসব ভাঙচুরের ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা। এদিকে একই দিন আফাজিয়া ও পৌরসভায় মন্দিরে হামলার সময় পুলিশের সঙ্গে মিছিলকারীদের ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় হাতিয়া থানার এক পুলিশ সদস্য মাথায় ইটের আঘাত লেগে আহত হন। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে দুটি মামলা করে। 

ঘটনার পরপরই প্রশাসনের পাশাপাশি স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন মন্দির রক্ষায় সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কেফায়েত উল্যা ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মহি উদ্দিন মুহিনের নেতৃত্বে দুটি গ্রুপ ভিন্ন ভিন্নভাবে এ দায়িত্ব পালন করে। প্রতিদিন সন্ধ্যার পরপরই নেতাকর্মীদের নিয়ে তাঁরা বিভিন্ন মন্দিরে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করে আসছে। 
 
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মুহি উদ্দিন মুহিন বলেন, `যেকোনো সাম্প্রদায়িক সংঘাত প্রতিহত করতে আমরা ঐক্যবদ্ধ। কুমিল্লার ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি গ্রুপ হাতিয়ায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করেছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক সাংসদ মোহাম্মদ আলীর নির্দেশে আমরা প্রতিটি মন্দির ও হিন্দুধর্মালম্বীদের বাড়িঘরে নিরাপত্তা দিতে কাজ করছি। পরিস্থিতি একেবারে স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত আমরা মাঠে থাকব।' 

হামলার বিষয়ে হাতিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলার বিষয়ে থানায় এ পর্যন্ত ১০টি মামলা হয়েছে। এসব ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন ভিডিও ক্লিপ রয়েছে। তা দেখে দেখে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। শনিবার পর্যন্ত ১০ মামলায় ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ডিএনসিসির পদ ছাড়লেন এস্তোনিয়ার নাগরিক আমিনুল ইসলাম

ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল নিয়ে ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা, চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলাদেশ

এনআইডির নাম ও জন্মতারিখ সংশোধনের দায়িত্বে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা

কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর অতর্কিত গুলি, নিহত ২৬

পদত্যাগ করব না, আলোচনা করে সমাধান করব: কুয়েট উপাচার্য

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত