হুসাইন আহমদ, ঢাকা
বাংলাদেশের অনলাইন ট্রাভেল বুকিং প্ল্যাটফর্মগুলোর মধ্যে আলোচিত নাম ‘ফ্লাইট এক্সপার্ট’। সহজে, দ্রুত ও তুলনামূলক কম দামে ফ্লাইটের টিকিট বুকিংয়ের সুযোগ দিয়ে প্ল্যাটফর্মটি দ্রুতই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। কিন্তু এবার আর সুনাম নয়, এটি এখন আলোচনার কেন্দ্রে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ ও গ্রাহক প্রতারণার অভিযোগে। ফ্লাইট এক্সপার্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সালমান বিন রশিদ শাহ সাইম এরই মধ্যে লাপাত্তা হয়েছেন।
মতিঝিল থানার মামলায় পুলিশ ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠানটির তিন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁরা হলেন হেড অব ফাইন্যান্স সাকিব হোসেন (৩২), চিফ কমার্শিয়াল অফিসার সাঈদ আহমেদ (৪০) ও চিফ অপারেটিং অফিসার এ কে এম সাদাত হোসেন (৩২)। সালমান ও তাঁর বাবা এম এ রশিদ শাহ সম্রাটও মামলার আসামি। তবে দুজনই লাপাত্তা।
মামলার বাদী ভুক্তভোগী বিপুল সরকার একটি টিকিট এজেন্সির মালিক। অভিযোগ অনুযায়ী, কমপক্ষে ১৭টি এজেন্সি মিলে প্রায় ৪ কোটি ৭৯ লাখ টাকা অগ্রিম পরিশোধ করেও টিকিট পায়নি। হঠাৎ করে সব যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ করে দেয় প্রতিষ্ঠানটি এবং এর কার্যালয় তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যান কর্মকর্তারা।
কে এই সালমান?
সালমান সাইমের জন্ম ও বেড়ে ওঠা ঢাকায়। উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল থেকে এসএসসি ও ঢাকা কমার্স কলেজ থেকে এইচএসসি শেষ করেন। কানাডার সেন্ট মেরিস ইউনিভার্সিটি থেকে অ্যাকাউন্টিং বিষয়ে পড়াশোনা করেন। পড়াশোনা শেষ করার আগেই অনলাইন টিকিটিং ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। ২০১৭ সাল থেকে অনলাইন ট্রাভেল বুকিং প্ল্যাটফর্ম ফ্লাইট এক্সপার্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া তিনি ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) পরিচালক হিসেবে রয়েছেন।
২০১৮ সালে ‘ফিউচার স্টার্টআপ’ নামের এক প্ল্যাটফর্মে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সালমান বলেছিলেন, ‘আমরা চাই ট্রাভেল হোক সবার জন্য—শুধু ধনীদের জন্য নয়।’ সেই সময় তাঁর প্রতিষ্ঠানে শতাধিক কর্মী কাজ করছিলেন এবং মাসে হাজার হাজার টিকিট বিক্রি হচ্ছিল বলে দাবি করেছিলেন তিনি। ওই সাক্ষাৎকারে নিজের উত্থানের পেছনের গল্প তুলে ধরেছেন সালমান।
তাঁর বাবা এম এ রশিদ ট্রাভেল এজেন্সি মক্কা গ্রুপ অব কোম্পানিজের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান। এই প্রতিষ্ঠান মানবসম্পদ রপ্তানিকারকদের সংগঠন বায়রার সদস্য। রশিদ হজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) মহাসচিব হিসেবে টানা তিন মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেছেন। লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনালের কাউন্সিল চেয়ারপারসন হিসেবেও কাজ করেছেন।
মক্কা গ্রুপের অধীনে রয়েছে এয়ার টিকিট বিক্রি, মেডিকেল সেন্টার, হজ-ওমরাহ ব্যবস্থাপনা, ট্রান্সলেশন সার্ভিস, মানি এক্সচেঞ্জ, মানবসম্পদ ক্লিয়ারেন্সসহ বহু উদ্যোগ। খুব ছোট থেকে শুরু করে তাঁর বাবা এখন বৃহৎ ব্যবসায়িক সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন।
২০১৫ সালে কানাডায় থাকতেই বাবার সহায়তায় অনলাইন ট্রাভেল বুকিং প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সির ব্যবসায় তাঁর যাত্রা শুরু হয়। ২০১৬ সালের এপ্রিলে দেশে ফিরে এসে মক্কা গ্রুপে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন। তাঁর প্রথম কাজ ছিল ব্যবসার ডিজিটাল রূপান্তর।
ফ্লাইট এক্সপার্টের যাত্রায় যুক্ত পুরোনো বন্ধু সাদাত–মেহেদী
মক্কা গ্রুপের অধীনে পাঁচটি আইএটিএ লাইসেন্স ছিল, যা সালমানের নতুন উদ্যোগের জন্য সহায়ক হয়। সালমান সাইম Agoda.com ও অন্যান্য ট্রাভেল বুকিং সাইট ঘেঁটে তাদের কার্যক্রম বুঝতে থাকেন। তিনি TBO Group-এর বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার অমিত কুমার তিওয়ারির সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং আলোচনা শেষে সিদ্ধান্ত হয়, TBO Holidays-এর জেনারেল সেলস এজেন্ট (GSA) হিসেবে কাজ করবে মক্কা গ্রুপ। এই সময়ে তাঁর দুই পুরোনো বন্ধু—সাদাত হোসেন (ফ্লাইট এক্সপার্টের সিওও) ও আবদুল গনি মেহেদী (সিটিও)—তাঁর সঙ্গে যুক্ত হন। তবে জিএসএ নেওয়ার পর বিদেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর অনুমোদন নিয়ে বড় চ্যালেঞ্জ দেখা দেয়। ব্যাংক, বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পর তাঁরা এই অনুমোদন আদায় করতে সক্ষম হন।
দীর্ঘ আট মাসের প্রক্রিয়া শেষে ২০১৭ সালের ১ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে অনলাইন ট্রাভেল বুকিং প্ল্যাটফর্ম ফ্লাইট এক্সপার্ট চালু হয়। এর উদ্দেশ্য ছিল, ট্রাভেল বুকিংকে প্রযুক্তিনির্ভর, দ্রুত ও সহজ করা। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের টিকিট বুকিংয়ের পাশাপাশি হোটেল বুকিং, ট্যুর প্যাকেজ ও ভিসা প্রসেসিংয়ের মতো সেবা দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি অল্প সময়েই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
তিনি স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমে তরুণ উদ্যোক্তা হিসেবে পরিচিতি পান। নিয়মিত বিভিন্ন সেমিনার, বিজনেস কনফারেন্স ও টেক ইভেন্টে বক্তা হিসেবে অংশ নিতেন। তাঁর উদ্যোগকে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মিডিয়া কভার করেছিল।
ধস নামল কবে?
তবে ২০২৪ সালের শেষদিক থেকে প্রতিষ্ঠানটি সংকটে পড়ে। বিভিন্ন টিকিট এজেন্সি ও গ্রাহক অভিযোগ করতে থাকে, বুকিং করার পরেও টিকিট আসছে না, টাকা ফেরতও মিলছে না। চলতি বছরের জুলাই মাসে পরিস্থিতি চরমে ওঠে।
আর চলতি বছরের আগস্টের শুরুতেই হঠাৎ করে প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইট, অ্যাপ ও প্রধান কার্যালয় বন্ধ হয়ে যায়। কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, তালা ঝুলছে। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ই-মেইল বা ফোন—কোনো মাধ্যমেই ফ্লাইট এক্সপার্টের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।
পালিয়ে যাওয়া ও আত্মপক্ষ সমর্থন
প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ ফেসবুক গ্রুপে একটি পোস্ট দিয়ে সালমান লেখেন, তাঁর দুই সহকর্মী তাঁকে ঠকিয়েছেন এবং তিনি অপবাদ ও হুমকির মুখে দেশ ছাড়ছেন। তিনি দাবি করেন—এটি একটি সাজানো চক্রান্ত।
হোয়াটসঅ্যাপে সাংবাদিকদের সঙ্গে যোগাযোগে তিনি বলেন, ‘আমি প্রতারণা করিনি। আমার ওপর বিশ্বাসঘাতকতা হয়েছে। আমি আত্মরক্ষার জন্যই গা ঢাকা দিয়েছি, পালাইনি।’
তবে এই দাবির বিপরীতে ইতিমধ্যে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, অগ্রিম নেওয়া টাকায় টিকিট না কেটে অন্য খাতে ব্যয় করা হয়েছে। এমনকি টিকিট বুকিং না করেই ভুয়া পিএনআর দেওয়া হতো, যা ধরা পড়েছে।
ব্যবসায়িক ব্যর্থতা না প্রতারণা?
বিশ্লেষকেরা বলছেন, ফ্লাইট এক্সপার্টের মডেলটা অনেকটা পিরামিড স্টাইলের ছিল। নতুন টাকার ওপর নির্ভর করে পুরোনো গ্রাহকের বুকিং পূরণ করা হতো। কিছু কর্মী বলছেন, এটি পরিকল্পিত প্রতারণা ছিল না—বরং আর্থিক ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা ও অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষের ফল।
তবে তদন্তকারীরা বলছেন, এভাবে অগ্রিম টাকা নিয়ে গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণা করা এবং কোনো প্রকার আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া সরাসরি অপরাধ।
বাংলাদেশের অনলাইন ট্রাভেল বুকিং প্ল্যাটফর্মগুলোর মধ্যে আলোচিত নাম ‘ফ্লাইট এক্সপার্ট’। সহজে, দ্রুত ও তুলনামূলক কম দামে ফ্লাইটের টিকিট বুকিংয়ের সুযোগ দিয়ে প্ল্যাটফর্মটি দ্রুতই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। কিন্তু এবার আর সুনাম নয়, এটি এখন আলোচনার কেন্দ্রে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ ও গ্রাহক প্রতারণার অভিযোগে। ফ্লাইট এক্সপার্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সালমান বিন রশিদ শাহ সাইম এরই মধ্যে লাপাত্তা হয়েছেন।
মতিঝিল থানার মামলায় পুলিশ ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠানটির তিন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁরা হলেন হেড অব ফাইন্যান্স সাকিব হোসেন (৩২), চিফ কমার্শিয়াল অফিসার সাঈদ আহমেদ (৪০) ও চিফ অপারেটিং অফিসার এ কে এম সাদাত হোসেন (৩২)। সালমান ও তাঁর বাবা এম এ রশিদ শাহ সম্রাটও মামলার আসামি। তবে দুজনই লাপাত্তা।
মামলার বাদী ভুক্তভোগী বিপুল সরকার একটি টিকিট এজেন্সির মালিক। অভিযোগ অনুযায়ী, কমপক্ষে ১৭টি এজেন্সি মিলে প্রায় ৪ কোটি ৭৯ লাখ টাকা অগ্রিম পরিশোধ করেও টিকিট পায়নি। হঠাৎ করে সব যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ করে দেয় প্রতিষ্ঠানটি এবং এর কার্যালয় তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যান কর্মকর্তারা।
কে এই সালমান?
সালমান সাইমের জন্ম ও বেড়ে ওঠা ঢাকায়। উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল থেকে এসএসসি ও ঢাকা কমার্স কলেজ থেকে এইচএসসি শেষ করেন। কানাডার সেন্ট মেরিস ইউনিভার্সিটি থেকে অ্যাকাউন্টিং বিষয়ে পড়াশোনা করেন। পড়াশোনা শেষ করার আগেই অনলাইন টিকিটিং ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। ২০১৭ সাল থেকে অনলাইন ট্রাভেল বুকিং প্ল্যাটফর্ম ফ্লাইট এক্সপার্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া তিনি ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) পরিচালক হিসেবে রয়েছেন।
২০১৮ সালে ‘ফিউচার স্টার্টআপ’ নামের এক প্ল্যাটফর্মে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সালমান বলেছিলেন, ‘আমরা চাই ট্রাভেল হোক সবার জন্য—শুধু ধনীদের জন্য নয়।’ সেই সময় তাঁর প্রতিষ্ঠানে শতাধিক কর্মী কাজ করছিলেন এবং মাসে হাজার হাজার টিকিট বিক্রি হচ্ছিল বলে দাবি করেছিলেন তিনি। ওই সাক্ষাৎকারে নিজের উত্থানের পেছনের গল্প তুলে ধরেছেন সালমান।
তাঁর বাবা এম এ রশিদ ট্রাভেল এজেন্সি মক্কা গ্রুপ অব কোম্পানিজের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান। এই প্রতিষ্ঠান মানবসম্পদ রপ্তানিকারকদের সংগঠন বায়রার সদস্য। রশিদ হজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) মহাসচিব হিসেবে টানা তিন মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেছেন। লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনালের কাউন্সিল চেয়ারপারসন হিসেবেও কাজ করেছেন।
মক্কা গ্রুপের অধীনে রয়েছে এয়ার টিকিট বিক্রি, মেডিকেল সেন্টার, হজ-ওমরাহ ব্যবস্থাপনা, ট্রান্সলেশন সার্ভিস, মানি এক্সচেঞ্জ, মানবসম্পদ ক্লিয়ারেন্সসহ বহু উদ্যোগ। খুব ছোট থেকে শুরু করে তাঁর বাবা এখন বৃহৎ ব্যবসায়িক সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন।
২০১৫ সালে কানাডায় থাকতেই বাবার সহায়তায় অনলাইন ট্রাভেল বুকিং প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সির ব্যবসায় তাঁর যাত্রা শুরু হয়। ২০১৬ সালের এপ্রিলে দেশে ফিরে এসে মক্কা গ্রুপে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন। তাঁর প্রথম কাজ ছিল ব্যবসার ডিজিটাল রূপান্তর।
ফ্লাইট এক্সপার্টের যাত্রায় যুক্ত পুরোনো বন্ধু সাদাত–মেহেদী
মক্কা গ্রুপের অধীনে পাঁচটি আইএটিএ লাইসেন্স ছিল, যা সালমানের নতুন উদ্যোগের জন্য সহায়ক হয়। সালমান সাইম Agoda.com ও অন্যান্য ট্রাভেল বুকিং সাইট ঘেঁটে তাদের কার্যক্রম বুঝতে থাকেন। তিনি TBO Group-এর বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার অমিত কুমার তিওয়ারির সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং আলোচনা শেষে সিদ্ধান্ত হয়, TBO Holidays-এর জেনারেল সেলস এজেন্ট (GSA) হিসেবে কাজ করবে মক্কা গ্রুপ। এই সময়ে তাঁর দুই পুরোনো বন্ধু—সাদাত হোসেন (ফ্লাইট এক্সপার্টের সিওও) ও আবদুল গনি মেহেদী (সিটিও)—তাঁর সঙ্গে যুক্ত হন। তবে জিএসএ নেওয়ার পর বিদেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর অনুমোদন নিয়ে বড় চ্যালেঞ্জ দেখা দেয়। ব্যাংক, বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পর তাঁরা এই অনুমোদন আদায় করতে সক্ষম হন।
দীর্ঘ আট মাসের প্রক্রিয়া শেষে ২০১৭ সালের ১ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে অনলাইন ট্রাভেল বুকিং প্ল্যাটফর্ম ফ্লাইট এক্সপার্ট চালু হয়। এর উদ্দেশ্য ছিল, ট্রাভেল বুকিংকে প্রযুক্তিনির্ভর, দ্রুত ও সহজ করা। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের টিকিট বুকিংয়ের পাশাপাশি হোটেল বুকিং, ট্যুর প্যাকেজ ও ভিসা প্রসেসিংয়ের মতো সেবা দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি অল্প সময়েই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
তিনি স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমে তরুণ উদ্যোক্তা হিসেবে পরিচিতি পান। নিয়মিত বিভিন্ন সেমিনার, বিজনেস কনফারেন্স ও টেক ইভেন্টে বক্তা হিসেবে অংশ নিতেন। তাঁর উদ্যোগকে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মিডিয়া কভার করেছিল।
ধস নামল কবে?
তবে ২০২৪ সালের শেষদিক থেকে প্রতিষ্ঠানটি সংকটে পড়ে। বিভিন্ন টিকিট এজেন্সি ও গ্রাহক অভিযোগ করতে থাকে, বুকিং করার পরেও টিকিট আসছে না, টাকা ফেরতও মিলছে না। চলতি বছরের জুলাই মাসে পরিস্থিতি চরমে ওঠে।
আর চলতি বছরের আগস্টের শুরুতেই হঠাৎ করে প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইট, অ্যাপ ও প্রধান কার্যালয় বন্ধ হয়ে যায়। কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, তালা ঝুলছে। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ই-মেইল বা ফোন—কোনো মাধ্যমেই ফ্লাইট এক্সপার্টের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।
পালিয়ে যাওয়া ও আত্মপক্ষ সমর্থন
প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ ফেসবুক গ্রুপে একটি পোস্ট দিয়ে সালমান লেখেন, তাঁর দুই সহকর্মী তাঁকে ঠকিয়েছেন এবং তিনি অপবাদ ও হুমকির মুখে দেশ ছাড়ছেন। তিনি দাবি করেন—এটি একটি সাজানো চক্রান্ত।
হোয়াটসঅ্যাপে সাংবাদিকদের সঙ্গে যোগাযোগে তিনি বলেন, ‘আমি প্রতারণা করিনি। আমার ওপর বিশ্বাসঘাতকতা হয়েছে। আমি আত্মরক্ষার জন্যই গা ঢাকা দিয়েছি, পালাইনি।’
তবে এই দাবির বিপরীতে ইতিমধ্যে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, অগ্রিম নেওয়া টাকায় টিকিট না কেটে অন্য খাতে ব্যয় করা হয়েছে। এমনকি টিকিট বুকিং না করেই ভুয়া পিএনআর দেওয়া হতো, যা ধরা পড়েছে।
ব্যবসায়িক ব্যর্থতা না প্রতারণা?
বিশ্লেষকেরা বলছেন, ফ্লাইট এক্সপার্টের মডেলটা অনেকটা পিরামিড স্টাইলের ছিল। নতুন টাকার ওপর নির্ভর করে পুরোনো গ্রাহকের বুকিং পূরণ করা হতো। কিছু কর্মী বলছেন, এটি পরিকল্পিত প্রতারণা ছিল না—বরং আর্থিক ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা ও অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষের ফল।
তবে তদন্তকারীরা বলছেন, এভাবে অগ্রিম টাকা নিয়ে গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণা করা এবং কোনো প্রকার আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া সরাসরি অপরাধ।
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মো. ওমর ফারুক খান। তিনি এত দিন ভারপ্রাপ্ত এমডি হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। ওমর ফারুক খান ২০২৮ সালের ৩০ জুলাই, বয়স ৬৫ বছর হওয়া পর্যন্ত এমডি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। আজ রোববার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ইস্যুকৃত এক চিঠিতে এ তথ্য...
১ ঘণ্টা আগেপ্রতারণার মাধ্যমে গ্রাহকের আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় উড়োজাহাজের অনলাইন টিকিট বুকিংয়ের প্ল্যাটফর্ম ফ্লাইট এক্সপার্টের তিনজন কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ রোববার (৩ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমান তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
৫ ঘণ্টা আগেঅনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি ফ্লাইট এক্সপার্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী এক ব্যক্তি। এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির তিন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে মতিঝিল থানা-পুলিশ।
৬ ঘণ্টা আগেদেশের বেসরকারি খাতের জন্য তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম চলতি আগস্টে ৯১ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ২৭৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত জুলাই মাসে এই দাম ছিল ১ হাজার ৩৬৪ টাকা...
৭ ঘণ্টা আগে