একদিন আলু ছিল স্বপ্নের ফসল। আজ সেই আলু হয়ে উঠেছে কৃষকের হতাশার প্রতীক। ঠাকুরগাঁওয়ের মাঠেঘাটে, রাস্তার পাশে, এমনকি খালবিলেও ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে পচা আলুর স্তূপ। দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে সর্বত্র। ভেসে বেড়াচ্ছে চোখের জলে ভেজা কৃষকের হাহাকার।
পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ৮ হাজার ১০৬ টন আলু নেপালে রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ সরকার। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে গতকাল রবিবার (৪ মে ) বিকেল পর্যন্ত এই আলু রপ্তানি করা হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের কোয়ারেন্টাইন ইন্সপেক্টর উজ্জ্বল হোসেন।
আলু সংরক্ষণ করা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বগুড়ার কৃষকেরা। পর্যাপ্ত হিমাগার না থাকায় কৃষকের বাড়িতেই আলু নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে কম দামে আলু বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষক। যে কারণে আলু চাষ করে লোকসান গুনতে হচ্ছে এই অঞ্চলের কৃষকদের।
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার উত্তর নলবাড়ী উচ্চবিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে মজুত করা আলু সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ১৭ এপ্রিল ‘প্রভাবশালীর আলু শ্রেণিকক্ষে, ব্যাহত পাঠদান’—শিরোনামে আজকের পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর প্রশাসন ও শিক্ষা বিভাগ এই ব্যবস্থা নেয়।
এ বছর দেশে আলুর উৎপাদন বেশ ভালো হলেও দাম ও সংরক্ষণে বিভিন্ন এলাকায় বড় ধরনের সংকট দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে সিরাজদিখান ও রাজশাহীতে আলুর দাম কমার পাশাপাশি সংরক্ষণে নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা দেখা দিয়েছে। এতে এ মৌসুমে বিক্রি না হওয়া আলু পচে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানের কৃষক আওলাদ হোসেন এ বছর সাত বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছিলেন। খুব ভালো ফলন হয়েছে। কিন্তু উৎপাদিত আলু সংরক্ষণ নিয়ে বিপদে পড়েছেন তিনি। উপজেলার নেপচুন কোল্ডস্টোরেজের সামনে দুই দিন অপেক্ষা করেও ২০০ বস্তা আলু রাখতে পারেননি।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, ‘মাঠে যাওয়া মানে আমরা আলু তুলে দিচ্ছি, এমন না। যে মাঠে আলু তোলা হচ্ছে, সেখানে যাই এই কারণে যে, আলু উৎপাদন করতে কয় টাকা খরচ হয়, তা শুনতে।’ আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে পঞ্চগড় সদর উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নে জনসংযোগের সময় সাংবাদিকদের
রাজশাহীতে এবার আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্তু বাজারে দাম না থাকায় কৃষকেরা জমির ইজারার খরচও ওঠাতে পারছেন না। এমনকি অনেক কৃষক আলু সংরক্ষণ করতে চাইলেও হিমাগারে জায়গার সংকট রয়েছে। অনেক কৃষক বুকিং দেওয়ার পরও হিমাগারে আলু রাখতে পারছেন না।
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে একটি হিমাগারে মজুত করা কৃষকের আলুতে পচন ধরেছে। সেখানে মজুত ৪৫ হাজার বস্তা আলু নিয়ে দুশ্চিন্তায় শতাধিক কৃষক। বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী ওই হিমাগারে মজুত আছে কমপক্ষে ৩ কোটি টাকার আলু। বর্তমানে আলুগুলো পচে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার খট্টামাধবপুর ডাঙ্গাপাড়া এলাকার কৃষক মোমিনুল ইসলাম। এবার তিন বিঘা জমিতে আলুর আবাদ করেছেন তিনি। একটি ট্রাক্টরে করে ১৮ বস্তা আলু নিয়ে ফুলবাড়ী উপজেলার রাঙামাটির ফুলবাড়ী কোল্ডস্টোরেজে এসেছেন। সিরিয়ালের কোনো স্লিপ পাননি। আদৌ আলু হিমাগারে রাখতে পারবেন কি না, তা নিয়েও রয়েছে সংশয়।
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় চলছে আলু উত্তোলনের ব্যস্ততম মৌসুম। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের প্রায় ১০-১২ হাজার কৃষক মাঠে পরিশ্রম করছেন। এ বছর পচা ও দাউদের পরিমাণ কম থাকলেও আলুর আকার ছোট হওয়ায় কৃষকেরা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
দিনরাত আলু নিয়ে হিমাগারে অপেক্ষা। তারপরও সেখানে রাখা যাচ্ছে না। বুকিং কার্ড থাকলেও আলু নিয়ে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে কৃষককে। হিমাগারের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্থানীয় দালাল ও ফড়িয়াদের সঙ্গে আঁতাত করে ব্যবসায়ীরা অগ্রিম আলু সংরক্ষণের কার্ড হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
দেশীয় পেঁয়াজ, রসুন, আলু ও লবণের ভরা মৌসুম এখন। চলতি মৌসুমে এসব পণ্য উৎপাদন পর্যাপ্ত হওয়ায় এই সময়ে কৃষকের মুখে হাসি ফোটার কথা। কিন্তু লাভ তো দূরে থাক, পণ্যের উৎপাদন খরচও তুলতে না পেরে হতাশ কৃষকেরা।
রংপুরের ঈশ্বরপুর গ্রামে যতদূর চোখ যায় চোখে পড়ে মাঠে মাঠে বিভিন্ন জাতের আলুর গাছ। মূলত সেখানে উৎপাদন হচ্ছে আলুবীজ। আর সেখান থেকে উৎপাদিত আলুবীজ ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। এখন দেশের প্রায় সব জেলাতেই কমবেশি আলুর চাষ হয়।
আলু সংরক্ষণের জন্য কোল্ডস্টোরেজের সর্বোচ্চ ভাড়া নির্ধারণ করেছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। আজ রোববার এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
রাজশাহীর হিমাগারগুলোতে আলু সংরক্ষণের ভাড়া বাড়ানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন কৃষকেরা। কৃষকেরা রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কে আলু ফেলে এই বিক্ষোভ দেখান। এ সময় যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়। আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে জেলার পবা উপজেলার বায়া এলাকায় সরকার হিমাগারের সামনে কৃষকেরা এই কর্মসূচি পালন করেন। স্থানীয় বিএনপি
বাড়ির রান্নাঘরে মাইক্রোওয়েভ বেশ প্রয়োজনীয় যন্ত্র। দ্রুত খাবার গরম করার জন্য এর ব্যাপক চাহিদা। কিন্তু অনেকেই মাইক্রোওয়েভ ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু ভুল করে থাকেন, যা স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারে। মাইক্রোওয়েভ খাবার গরম করার জন্য হলেও...