আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
দেশের শীর্ষ আলু উৎপাদনকারী জেলা মুন্সিগঞ্জে কৃষকেরা এবার চরম লোকসানে পড়েছেন। বেশি ফলন ও হিমাগার-সংকটে বিপাকে পড়া এ জেলার কৃষকদের উৎপাদন খরচের অর্ধেকও উঠছে না। প্রতি কেজি আলুতে কৃষকের লোকসান গুনতে হচ্ছে ১৪-১৬ টাকা। বর্তমানে পাইকারি বাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১২ ও খুচরা বাজারে ১৮-২০ টাকায়। কিন্তু কৃষকেরা পাইকারি বাজারেই আলু বিক্রি করতে বাধ্য হন। ফলে খুচরা দামের সুফল তাঁদের কাছে পৌঁছায় না।
উৎপাদন বেড়েছে, দাম কমেছে: জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর মুন্সিগঞ্জের ৬ উপজেলায় ৩৪ হাজার ৭৫৮ হেক্টর জমিতে আলুর চাষ হয়েছে। উৎপাদন হয়েছে ১০ লাখ ৮২ হাজার টন, যা গত বছরের তুলনায় ৫২ হাজার টন বেশি। তবে জেলার ৭৪টি হিমাগারের মধ্যে সচল রয়েছে মাত্র ৫৮টি, যেগুলোর ধারণক্ষমতা প্রায় ৫ লাখ টন। উৎপাদনের অর্ধেকের বেশি তথা ৫ লাখ ৮২ হাজার টনের মতো আলু সংরক্ষণের জায়গার অভাব রয়েছে। ফলে হিমাগারে সংরক্ষণ করতে না পেরে ওই আলু কৃষক তাঁর বাড়িতে মাচার মধ্যে সংরক্ষণ করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে মাচাবন্দী থাকায় আলুতে পচন ধরায় তা কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষকেরা।
কৃষকের হিসাব, ক্ষতির চিত্র: কৃষকদের হিসাবে, এ বছর ১ কেজি আলু উৎপাদনে খরচ হয়েছে ১৬-১৮ টাকা। হিমাগার পর্যন্ত পরিবহন ও শ্রমিকের পারিশ্রমিকের সঙ্গে হিমাগার ভাড়া যোগ করলে খরচ দাঁড়াচ্ছে ২৬-২৮ টাকা। অথচ বাজারে বিক্রি হচ্ছে মাত্র ১২ টাকা দরে। এর মধ্যে গত বছর হিমাগারে আলু সংরক্ষণে ৫০ কেজির বস্তাপ্রতি ভাড়া পড়ত ২১০-২৫০ টাকা। এ বছর সেই বস্তার ভাড়া পড়ছে ৩০০ টাকা।
সিরাজদিখানের গোবরদী গ্রামের কৃষক মোহাম্মদ ইয়াছিন শেখ বলেন, ‘৬ কানি তথা ৮৪০ শতাংশ জমিতে আলু চাষ করে সব মিলিয়ে প্রায় ২০ লাখ টাকা খরচ করেছি। ৫০ কেজি বস্তার দেড় হাজার বস্তা আলু পেয়েছি। বিক্রি করে এখন পর্যন্ত পেয়েছি মাত্র ৫ লাখ টাকা। ৫০০ বস্তা আলু হিমাগারে রেখেছি। বর্তমানে পাইকারি বাজারে আলুর দাম কেজিপ্রতি ১২ টাকা। হিমাগারে থাকা ওই আলু বিক্রি করে দিলে আমার লোকসান হবে ১৩-১৪ লাখ টাকা।’
বাজার পরিস্থিতি: জেলার হিমাগারগুলোতে এখনো লাখ লাখ বস্তা আলু মজুত রয়েছে। তবে বাজারে দামের কোনো উন্নতি হয়নি। হিমাগার কর্তৃপক্ষ বলছে, সর্বোচ্চ ১২ টাকা দরে আলু বিক্রি হচ্ছে। কৃষকদের দাবি, ন্যায্য দাম নিশ্চিত না হলে টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়বে।
জেলার আলুচাষি ও ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন বলেন, কৃষকদের বাঁচাতে সরকারের পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। কৃষকের এমন লোকসানের মুহূর্তে সরকারি প্রণোদনা, ঋণ মওকুফ এবং ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতের জন্য একটি কার্যকর বাজার ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা অপরিহার্য।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত বলেন, এ বছর দেশে ২৪ লাখ টন বেশি আলু উৎপাদিত হয়েছে। চাহিদার তুলনায় অতিরিক্ত উৎপাদনের কারণেই দাম কমেছে।
দেশের শীর্ষ আলু উৎপাদনকারী জেলা মুন্সিগঞ্জে কৃষকেরা এবার চরম লোকসানে পড়েছেন। বেশি ফলন ও হিমাগার-সংকটে বিপাকে পড়া এ জেলার কৃষকদের উৎপাদন খরচের অর্ধেকও উঠছে না। প্রতি কেজি আলুতে কৃষকের লোকসান গুনতে হচ্ছে ১৪-১৬ টাকা। বর্তমানে পাইকারি বাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১২ ও খুচরা বাজারে ১৮-২০ টাকায়। কিন্তু কৃষকেরা পাইকারি বাজারেই আলু বিক্রি করতে বাধ্য হন। ফলে খুচরা দামের সুফল তাঁদের কাছে পৌঁছায় না।
উৎপাদন বেড়েছে, দাম কমেছে: জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর মুন্সিগঞ্জের ৬ উপজেলায় ৩৪ হাজার ৭৫৮ হেক্টর জমিতে আলুর চাষ হয়েছে। উৎপাদন হয়েছে ১০ লাখ ৮২ হাজার টন, যা গত বছরের তুলনায় ৫২ হাজার টন বেশি। তবে জেলার ৭৪টি হিমাগারের মধ্যে সচল রয়েছে মাত্র ৫৮টি, যেগুলোর ধারণক্ষমতা প্রায় ৫ লাখ টন। উৎপাদনের অর্ধেকের বেশি তথা ৫ লাখ ৮২ হাজার টনের মতো আলু সংরক্ষণের জায়গার অভাব রয়েছে। ফলে হিমাগারে সংরক্ষণ করতে না পেরে ওই আলু কৃষক তাঁর বাড়িতে মাচার মধ্যে সংরক্ষণ করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে মাচাবন্দী থাকায় আলুতে পচন ধরায় তা কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষকেরা।
কৃষকের হিসাব, ক্ষতির চিত্র: কৃষকদের হিসাবে, এ বছর ১ কেজি আলু উৎপাদনে খরচ হয়েছে ১৬-১৮ টাকা। হিমাগার পর্যন্ত পরিবহন ও শ্রমিকের পারিশ্রমিকের সঙ্গে হিমাগার ভাড়া যোগ করলে খরচ দাঁড়াচ্ছে ২৬-২৮ টাকা। অথচ বাজারে বিক্রি হচ্ছে মাত্র ১২ টাকা দরে। এর মধ্যে গত বছর হিমাগারে আলু সংরক্ষণে ৫০ কেজির বস্তাপ্রতি ভাড়া পড়ত ২১০-২৫০ টাকা। এ বছর সেই বস্তার ভাড়া পড়ছে ৩০০ টাকা।
সিরাজদিখানের গোবরদী গ্রামের কৃষক মোহাম্মদ ইয়াছিন শেখ বলেন, ‘৬ কানি তথা ৮৪০ শতাংশ জমিতে আলু চাষ করে সব মিলিয়ে প্রায় ২০ লাখ টাকা খরচ করেছি। ৫০ কেজি বস্তার দেড় হাজার বস্তা আলু পেয়েছি। বিক্রি করে এখন পর্যন্ত পেয়েছি মাত্র ৫ লাখ টাকা। ৫০০ বস্তা আলু হিমাগারে রেখেছি। বর্তমানে পাইকারি বাজারে আলুর দাম কেজিপ্রতি ১২ টাকা। হিমাগারে থাকা ওই আলু বিক্রি করে দিলে আমার লোকসান হবে ১৩-১৪ লাখ টাকা।’
বাজার পরিস্থিতি: জেলার হিমাগারগুলোতে এখনো লাখ লাখ বস্তা আলু মজুত রয়েছে। তবে বাজারে দামের কোনো উন্নতি হয়নি। হিমাগার কর্তৃপক্ষ বলছে, সর্বোচ্চ ১২ টাকা দরে আলু বিক্রি হচ্ছে। কৃষকদের দাবি, ন্যায্য দাম নিশ্চিত না হলে টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়বে।
জেলার আলুচাষি ও ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন বলেন, কৃষকদের বাঁচাতে সরকারের পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। কৃষকের এমন লোকসানের মুহূর্তে সরকারি প্রণোদনা, ঋণ মওকুফ এবং ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতের জন্য একটি কার্যকর বাজার ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা অপরিহার্য।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত বলেন, এ বছর দেশে ২৪ লাখ টন বেশি আলু উৎপাদিত হয়েছে। চাহিদার তুলনায় অতিরিক্ত উৎপাদনের কারণেই দাম কমেছে।
দেশের প্রশিক্ষিত রন্ধনশিল্পীরা (শেফ) এখন থেকে পাবেন আন্তর্জাতিক মানের সনদ। রাজধানীর গুলশানের এক হোটেলে গতকাল শনিবার বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল কালিনারি ইনস্টিটিউট (আইসিআই) ও যুক্তরাজ্যের ওয়ার্ল্ড মাস্টার শেফসের (ডব্লিউএমসি) মধ্যে এক সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেগত সপ্তাহে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ব্যাপক দরপতন হয়েছে। সপ্তাহজুড়ে মূল্যবৃদ্ধির তুলনায় দরপতন হয়েছে প্রায় ছয় গুণ বেশি। এমন ঢালাও পতনে সূচকের পাশাপাশি বাজার মূলধন কমেছে প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা। কমেছে দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণও।
১০ ঘণ্টা আগেদেশে ইলিশ উৎপাদন ও সরবরাহ বাড়িয়ে বাজারে দাম সাধারণের নাগালের মধ্যে রাখার লক্ষ্য নিয়েই সরকার ২০১৯-২০ অর্থবছরে হাতে নেয় ‘ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা’ প্রকল্প। তখন দেশে ইলিশের বার্ষিক উৎপাদন ছিল প্রায় ৫ লাখ ৫০ হাজার টন।
১০ ঘণ্টা আগেহযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কাস্টমসের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) থেকে এ কমিটি গঠন করা হয়।
১৪ ঘণ্টা আগে