দেশের পুঁজিবাজারে ফের বড় ধরনের পতন ঘটেছে। টানা দরপতনের ধারাবাহিকতায় গতকাল বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক কমেছে ৬২ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৩৪ শতাংশ। ১৯ খাতের মধ্যে ১৮টিতে দরপতন হয়েছে। এই নিয়ে টানা পাঁচ কার্যদিবসে সূচক কমেছে প্রায় ১৭০ পয়েন্ট। সূচকের অবস্থান দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৬১৫ পয়েন্টে, যা ২০২০ স
আর্থিক প্রতিবেদন খুবই স্পর্শকাতর ও জটিল বিষয়। আর্থিক বিবরণী সম্পর্কে একজন সাংবাদিকের ধারণা না থাকলে কোম্পানিগুলো নিয়ে ভালো প্রতিবেদন লেখা সম্ভব নয়। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেট (বিআইসিএম) এবং পুঁজিবাজারে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরামের (সিএমজেএফ)
বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে দীর্ঘকাল ধরেই শনির দশা চলছে। সমস্যা সমাধানের কোনো উদ্যোগ না থাকায় দিন দিন এর অবস্থা ক্রমেই খারাপের দিকে যাচ্ছে। ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ) আয়োজিত ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক আলোচনায় পুঁজিবাজার: দর্শন ও বাস্তবতা’ শীর্ষক সংলাপে পুঁজিবাজারের করুণ অবস্থা ফুটে উঠেছে
প্রেস সচিব বলেন, ‘একটা বড় বিষয় হচ্ছে, ঐতিহাসিকভাবে বিএসইসিতে বা বাংলাদেশের ক্যাপিটাল মার্কেটের যে রিফর্মগুলো যারা করেছেন, তাঁরা সবাই গোষ্ঠী স্বাস্থ্যর দিকে তাকিয়েছিলেন। এই গোষ্ঠীটা একটা পারপাস সার্ভ করছে, ওই গোষ্ঠীর প্রতিপক্ষ এসে আরেকটা পারপাস সার্ভ করেছে।
অনিয়ম ও দুঃশাসনে পঙ্গু হয়ে গেছে দেশের পুঁজিবাজার। এখান থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করা হয়েছে। পুঁজিবাজার পরিণত হয়েছে জুয়াখেলার ক্যাসিনোতে। যেখানে মুনাফা কেবল নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর, আর লোকসান সাধারণ বিনিয়োগকারীর।
গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারকে ক্যাসিনোতে পরিণত করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তাই পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীল করতে ক্ষমতায় গেলে বিএনপি পুঁজিবাজারের ‘পলিটিক্যাল ওনারশিপ’ নেবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
পদত্যাগ নিয়ে বারবার গুজব ছড়ানোয় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ। তিনি বলেছেন, ‘সারা দিন শুধু গুজব—আমি নাকি পদত্যাগ করছি। বাজারে কি এসবের কোনো প্রভাব পড়ে না?’
পুঁজিবাজারকে শক্তিশালী ও গতিশীল করতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণের অঙ্গীকার করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী এবং পুঁজিবাজার উন্নয়ন কমিটির সভাপতি ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী। গতকাল রোববার রাজধানীর নিকুঞ্জে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) পরিদর্শনকালে এক মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, ‘পুঁজিবাজারের উন্নয়নে
দেশের পুঁজিবাজারে টানা দরপতনে সর্বস্ব হারিয়ে রাস্তায় নেমেছেন ক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা। গতকাল লেনদেন শেষে রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পুরোনো ভবনের সামনে তাঁরা বিক্ষোভ ও কফিন মিছিল করেন।
সরকারের নির্বাহী আদেশে অফিস-আদালত চালু থাকায় দীর্ঘ ২০ বছর পর দেশের পুঁজিবাজারে শনিবার লেনদেন হয়েছে। পতনের বৃত্তে আটকে থাকা পুঁজিবাজারে এদিন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেন হয়েছে। যদিও আগের ৬ সপ্তাহে ধারাবাহিক পতনে পুঁজিবাজারে মূলধন কমেছে ২৪ হাজার কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক নেমে এসেছে পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে, ৪,৭৮১ পয়েন্টে। ৯৫ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারের দরপতনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন লাখো বিনিয়োগকারী। বাজারে আস্থা হারাচ্ছেন সবাই, বাড়ছে মার্জিন ঋণের সেল প্রেশার, আর সরকারের সিদ্ধান্তগুলো আস্থার পরিবর্তে বাড়াচ্ছে হতাশা।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের পুঁজিবাজার সংস্কার বৈঠক বিনিয়োগকারীদের আশানুরূপ ফল দেয়নি। বৈঠকে প্রস্তাবিত নির্দেশনাগুলো নতুনত্বহীন ও বাস্তবায়নযোগ্য নয় বলে মনে করছেন অংশীজনেরা। ফলে বিনিয়োগকারীদের আস্থা আরও কমেছে, যার প্রতিফলন দেখা গেছে পুঁজিবাজারের সূচকে।
গত বছরের ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে প্রায় টানা পতনের ধারায় রয়েছে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার। দরপতনের কারণে হাজার হাজার টাকা হারিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। এর মধ্যে নানা পদক্ষেপ নিলেও বাজারে আস্থা ফেরেনি। অবশেষে নয় মাস পর হস্তক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
ঈদের আগে দুই শনিবার ১৭ ও ২৪ মে দেশের পুঁজিবাজারে স্বাভাবিক লেনদেন হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। পাশাপাশি সরকারি ছুটির সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল আজহায় টানা ১০ দিন পুঁজিবাজার বন্ধ থাকার ঘোষণা দিয়েছে ডিএসই।
টেকসই পুঁজিবাজারে গঠন, সংস্কার ও বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে পাঁচ নির্দেশনা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আর তিন মাসের মধ্যে পুঁজিবাজার সংস্কার সম্পন্ন করতে বিদেশি বিশেষজ্ঞ (ফরেন এক্সপার্ট) আনার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
দেশের পুঁজিবাজার পরিস্থিতি উন্নয়নে সংশ্লিষ্টদের পাঁচটি নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। আজ রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই নির্দেশনাগুলো দেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, সংস্কারের মাধ্যমে শেয়ারবাজারের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে, এটি যেন লুটেরাদের আড্ডাখানায় পরিণত না হয়। আজ রোববার (১১ মে) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় এক বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি। শেয়ারবাজারের ধারাবাহিক দরপতন ও বিনিয়োগকারীদের ক্রমাগত আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে