সিয়াম সাহারিয়া, নওগাঁ

আলুর ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সরকার কৃষকদের জন্য নওগাঁয় তৈরি করেছে আলু সংরক্ষণের অহিমায়িত মডেল ঘর। তবে মাঠপর্যায়ে বাস্তবতা ভিন্ন—এই সরকারি প্রকল্পটি এখন কৃষকের জন্য কোনো কাজেই আসছে না। এসব ঘরে রাখা আলু সময়ের আগেই পচে নষ্ট হয়ে গেছে, ফলে অর্থনৈতিকভাবে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকেরা।
জানা গেছে, বদলগাছী, মহাদেবপুর, পত্নীতলা, নিয়ামতপুরসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ‘আলুর বহুমুখী ব্যবহার, সংরক্ষণ ও বিপণন উন্নয়ন প্রকল্প’ থেকে ৩৬টি ঘর দেওয়া হয়। প্রতিটি ঘর তৈরি করতে ব্যয় হয়েছে ২ লাখ ৯০ হাজার টাকা। এতে মোট ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা। ঘরগুলো বাঁশ, কাঠ, টিন, আরসিসি পিলার ও ককশিট দিয়ে তৈরি। একেকটি ঘরে ১০-১৫ জন কৃষক ২৫-৩০ টন আলু চার মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করতে পারবেন—এমনটিই বলা হয়েছিল।
সরেজমিন দেখা গেছে, নির্জন জায়গায় অপরিকল্পিতভাবে তৈরি ঘরগুলো ব্যবহার করা যাচ্ছে না। বেশির ভাগই পড়ে রয়েছে অচল অবস্থায়। ঘরে নেই তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা। ফলে ভেতরে প্রচণ্ড গরমে আলুতে দ্রুত পচন ধরে। কোথাও আবার নিরাপত্তার অভাব, চুরি হওয়ার ভয়ে অনেক চাষি আলু রাখেননি এসব ঘরে।
চাষিরা বলছেন, এ প্রকল্পে সরকার শুধু ঘর বানিয়েই দায় শেষ করেছে, কার্যকারিতা নিয়ে ছিল না কোনো তদারকি বা পরিকল্পনা।
বদলগাছীর কৃষক সানোয়ার হোসেন গত মৌসুমে এই ঘরের মাধ্যমে আলু সংরক্ষণ করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম ঘরে রেখে পরে ভালো দামে আলু বিক্রি করব। কিন্তু ঘরে রাখা ৩০০ মণের মধ্যে ১০০ মণই পচে গেছে।’ ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫০ হাজার টাকা।
শুধু সানোয়ার নন, গ্রামের আরও কয়েকজন কৃষক এমন ক্ষতির মুখে পড়েছেন। অনেকেই বলছেন, ঘরের ভেতরে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা ঠিক নেই, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের কোনো সুযোগও নেই। ফলে কিছুদিন পরই আলুতে পচন ধরে।
কৃষক ওয়াহেদ আলী বলেন, ‘১৩০ মণ আলু রেখেছিলাম, অনেকটাই নষ্ট হয়ে গেছে। কাটিনাল জাতের আলু একটাও বাঁচে নেই। এখন লোকসান দিতে দিতে মাথায় হাত পড়েছে।’ বৈকুণ্ঠপুরের চাষি রিফাত হোসেন বলেন, ঘর নির্মাণের পর থেকে একইভাবে বারবার আলু পচে নষ্ট হয়ে গেছে। যেভাবে আলু রাখতে বলা হয়েছিল, সেভাবেই রেখেছিলাম; কিন্তু কাজ হয়নি। হুগলবাড়ী গ্রামের কৃষক মামুন হোসেন বলেন, ‘ঘরের লোকেশন এমন জায়গায়, যেখানে রাতে পাহারা দেওয়া যায় না। আলু চুরি হওয়ার ভয়েই অনেক কৃষক ঘর ব্যবহার করেননি।’
জানতে চাইলে তিলকপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য জাহিদুল ইসলামের নামে ডাকাহার গ্রামে একটি ঘর বরাদ্দ রয়েছে। তিনি বলেন, ‘প্রথম বছর কিছুটা লাভ হলেও এবার আমাদের দলের ৩০০ মণ আলুর একাংশ নষ্ট হয়ে যায়। দামও নেই, তাই বিক্রিও হচ্ছে না।’
মাঠপর্যায়ের কৃষকেরা মনে করেন, প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে স্থানীয় বাস্তবতা, আবহাওয়া ও কৃষকের আর্থসামাজিক অবস্থা বিবেচনা না করায় এই ঘর এখন বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কৃষকেরা জানান, উৎপাদন খরচ বাড়লেও ন্যায্য দাম না পাওয়ায় এবং সংরক্ষণের সমস্যায় তাঁরা লোকসানের মুখে পড়ছেন বারবার।
নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি বছর জেলায় ২৫ হাজার ৯৪০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করা হয়েছে। উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৫ লাখ টন। অথচ জেলার সাতটি হিমাগারে ধারণক্ষমতা মাত্র ৪৬ হাজার ৫৩০ টন। ফলে বিপুল পরিমাণ আলু হিমাগারে রাখা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে নওগাঁ জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা সোহাগ সরকার বলেন, ঘরগুলোতে আলু রেখে অনেক কৃষক লাভবান হয়েছেন। এবারে দু-এক জায়গায় কিছু আলু নষ্ট হয়েছে, তবে এর পেছনে আবহাওয়ার প্রভাবও রয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এমন ঘরে সর্বোচ্চ চার মাস পর্যন্ত আলু ভালো থাকে। তবে পচনের শুরুতেই আলু সরিয়ে ফেললে ক্ষতি এড়ানো যেত। তিনি আরও বলেন, প্রাকৃতিকভাবে আলু সংরক্ষণের পুরোনো পদ্ধতির ভিত্তিতেই প্রকল্পের মাধ্যমে মডেল ঘরগুলো তৈরি করা হয়। ডিজাইনেও বৈদ্যুতিক বাতাস বা আলোর ব্যবস্থা ছিল না। এ জন্য চাষিদের বলা হয়েছিল, নিয়মিত দেখভাল করতে হবে। কিন্তু কেউ কেউ সেই নির্দেশনা মানেননি বলেই পচনের ঘটনা ঘটেছে।

আলুর ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সরকার কৃষকদের জন্য নওগাঁয় তৈরি করেছে আলু সংরক্ষণের অহিমায়িত মডেল ঘর। তবে মাঠপর্যায়ে বাস্তবতা ভিন্ন—এই সরকারি প্রকল্পটি এখন কৃষকের জন্য কোনো কাজেই আসছে না। এসব ঘরে রাখা আলু সময়ের আগেই পচে নষ্ট হয়ে গেছে, ফলে অর্থনৈতিকভাবে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকেরা।
জানা গেছে, বদলগাছী, মহাদেবপুর, পত্নীতলা, নিয়ামতপুরসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ‘আলুর বহুমুখী ব্যবহার, সংরক্ষণ ও বিপণন উন্নয়ন প্রকল্প’ থেকে ৩৬টি ঘর দেওয়া হয়। প্রতিটি ঘর তৈরি করতে ব্যয় হয়েছে ২ লাখ ৯০ হাজার টাকা। এতে মোট ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা। ঘরগুলো বাঁশ, কাঠ, টিন, আরসিসি পিলার ও ককশিট দিয়ে তৈরি। একেকটি ঘরে ১০-১৫ জন কৃষক ২৫-৩০ টন আলু চার মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করতে পারবেন—এমনটিই বলা হয়েছিল।
সরেজমিন দেখা গেছে, নির্জন জায়গায় অপরিকল্পিতভাবে তৈরি ঘরগুলো ব্যবহার করা যাচ্ছে না। বেশির ভাগই পড়ে রয়েছে অচল অবস্থায়। ঘরে নেই তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা। ফলে ভেতরে প্রচণ্ড গরমে আলুতে দ্রুত পচন ধরে। কোথাও আবার নিরাপত্তার অভাব, চুরি হওয়ার ভয়ে অনেক চাষি আলু রাখেননি এসব ঘরে।
চাষিরা বলছেন, এ প্রকল্পে সরকার শুধু ঘর বানিয়েই দায় শেষ করেছে, কার্যকারিতা নিয়ে ছিল না কোনো তদারকি বা পরিকল্পনা।
বদলগাছীর কৃষক সানোয়ার হোসেন গত মৌসুমে এই ঘরের মাধ্যমে আলু সংরক্ষণ করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম ঘরে রেখে পরে ভালো দামে আলু বিক্রি করব। কিন্তু ঘরে রাখা ৩০০ মণের মধ্যে ১০০ মণই পচে গেছে।’ ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫০ হাজার টাকা।
শুধু সানোয়ার নন, গ্রামের আরও কয়েকজন কৃষক এমন ক্ষতির মুখে পড়েছেন। অনেকেই বলছেন, ঘরের ভেতরে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা ঠিক নেই, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের কোনো সুযোগও নেই। ফলে কিছুদিন পরই আলুতে পচন ধরে।
কৃষক ওয়াহেদ আলী বলেন, ‘১৩০ মণ আলু রেখেছিলাম, অনেকটাই নষ্ট হয়ে গেছে। কাটিনাল জাতের আলু একটাও বাঁচে নেই। এখন লোকসান দিতে দিতে মাথায় হাত পড়েছে।’ বৈকুণ্ঠপুরের চাষি রিফাত হোসেন বলেন, ঘর নির্মাণের পর থেকে একইভাবে বারবার আলু পচে নষ্ট হয়ে গেছে। যেভাবে আলু রাখতে বলা হয়েছিল, সেভাবেই রেখেছিলাম; কিন্তু কাজ হয়নি। হুগলবাড়ী গ্রামের কৃষক মামুন হোসেন বলেন, ‘ঘরের লোকেশন এমন জায়গায়, যেখানে রাতে পাহারা দেওয়া যায় না। আলু চুরি হওয়ার ভয়েই অনেক কৃষক ঘর ব্যবহার করেননি।’
জানতে চাইলে তিলকপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য জাহিদুল ইসলামের নামে ডাকাহার গ্রামে একটি ঘর বরাদ্দ রয়েছে। তিনি বলেন, ‘প্রথম বছর কিছুটা লাভ হলেও এবার আমাদের দলের ৩০০ মণ আলুর একাংশ নষ্ট হয়ে যায়। দামও নেই, তাই বিক্রিও হচ্ছে না।’
মাঠপর্যায়ের কৃষকেরা মনে করেন, প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে স্থানীয় বাস্তবতা, আবহাওয়া ও কৃষকের আর্থসামাজিক অবস্থা বিবেচনা না করায় এই ঘর এখন বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কৃষকেরা জানান, উৎপাদন খরচ বাড়লেও ন্যায্য দাম না পাওয়ায় এবং সংরক্ষণের সমস্যায় তাঁরা লোকসানের মুখে পড়ছেন বারবার।
নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি বছর জেলায় ২৫ হাজার ৯৪০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করা হয়েছে। উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৫ লাখ টন। অথচ জেলার সাতটি হিমাগারে ধারণক্ষমতা মাত্র ৪৬ হাজার ৫৩০ টন। ফলে বিপুল পরিমাণ আলু হিমাগারে রাখা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে নওগাঁ জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা সোহাগ সরকার বলেন, ঘরগুলোতে আলু রেখে অনেক কৃষক লাভবান হয়েছেন। এবারে দু-এক জায়গায় কিছু আলু নষ্ট হয়েছে, তবে এর পেছনে আবহাওয়ার প্রভাবও রয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এমন ঘরে সর্বোচ্চ চার মাস পর্যন্ত আলু ভালো থাকে। তবে পচনের শুরুতেই আলু সরিয়ে ফেললে ক্ষতি এড়ানো যেত। তিনি আরও বলেন, প্রাকৃতিকভাবে আলু সংরক্ষণের পুরোনো পদ্ধতির ভিত্তিতেই প্রকল্পের মাধ্যমে মডেল ঘরগুলো তৈরি করা হয়। ডিজাইনেও বৈদ্যুতিক বাতাস বা আলোর ব্যবস্থা ছিল না। এ জন্য চাষিদের বলা হয়েছিল, নিয়মিত দেখভাল করতে হবে। কিন্তু কেউ কেউ সেই নির্দেশনা মানেননি বলেই পচনের ঘটনা ঘটেছে।
সিয়াম সাহারিয়া, নওগাঁ

আলুর ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সরকার কৃষকদের জন্য নওগাঁয় তৈরি করেছে আলু সংরক্ষণের অহিমায়িত মডেল ঘর। তবে মাঠপর্যায়ে বাস্তবতা ভিন্ন—এই সরকারি প্রকল্পটি এখন কৃষকের জন্য কোনো কাজেই আসছে না। এসব ঘরে রাখা আলু সময়ের আগেই পচে নষ্ট হয়ে গেছে, ফলে অর্থনৈতিকভাবে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকেরা।
জানা গেছে, বদলগাছী, মহাদেবপুর, পত্নীতলা, নিয়ামতপুরসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ‘আলুর বহুমুখী ব্যবহার, সংরক্ষণ ও বিপণন উন্নয়ন প্রকল্প’ থেকে ৩৬টি ঘর দেওয়া হয়। প্রতিটি ঘর তৈরি করতে ব্যয় হয়েছে ২ লাখ ৯০ হাজার টাকা। এতে মোট ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা। ঘরগুলো বাঁশ, কাঠ, টিন, আরসিসি পিলার ও ককশিট দিয়ে তৈরি। একেকটি ঘরে ১০-১৫ জন কৃষক ২৫-৩০ টন আলু চার মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করতে পারবেন—এমনটিই বলা হয়েছিল।
সরেজমিন দেখা গেছে, নির্জন জায়গায় অপরিকল্পিতভাবে তৈরি ঘরগুলো ব্যবহার করা যাচ্ছে না। বেশির ভাগই পড়ে রয়েছে অচল অবস্থায়। ঘরে নেই তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা। ফলে ভেতরে প্রচণ্ড গরমে আলুতে দ্রুত পচন ধরে। কোথাও আবার নিরাপত্তার অভাব, চুরি হওয়ার ভয়ে অনেক চাষি আলু রাখেননি এসব ঘরে।
চাষিরা বলছেন, এ প্রকল্পে সরকার শুধু ঘর বানিয়েই দায় শেষ করেছে, কার্যকারিতা নিয়ে ছিল না কোনো তদারকি বা পরিকল্পনা।
বদলগাছীর কৃষক সানোয়ার হোসেন গত মৌসুমে এই ঘরের মাধ্যমে আলু সংরক্ষণ করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম ঘরে রেখে পরে ভালো দামে আলু বিক্রি করব। কিন্তু ঘরে রাখা ৩০০ মণের মধ্যে ১০০ মণই পচে গেছে।’ ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫০ হাজার টাকা।
শুধু সানোয়ার নন, গ্রামের আরও কয়েকজন কৃষক এমন ক্ষতির মুখে পড়েছেন। অনেকেই বলছেন, ঘরের ভেতরে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা ঠিক নেই, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের কোনো সুযোগও নেই। ফলে কিছুদিন পরই আলুতে পচন ধরে।
কৃষক ওয়াহেদ আলী বলেন, ‘১৩০ মণ আলু রেখেছিলাম, অনেকটাই নষ্ট হয়ে গেছে। কাটিনাল জাতের আলু একটাও বাঁচে নেই। এখন লোকসান দিতে দিতে মাথায় হাত পড়েছে।’ বৈকুণ্ঠপুরের চাষি রিফাত হোসেন বলেন, ঘর নির্মাণের পর থেকে একইভাবে বারবার আলু পচে নষ্ট হয়ে গেছে। যেভাবে আলু রাখতে বলা হয়েছিল, সেভাবেই রেখেছিলাম; কিন্তু কাজ হয়নি। হুগলবাড়ী গ্রামের কৃষক মামুন হোসেন বলেন, ‘ঘরের লোকেশন এমন জায়গায়, যেখানে রাতে পাহারা দেওয়া যায় না। আলু চুরি হওয়ার ভয়েই অনেক কৃষক ঘর ব্যবহার করেননি।’
জানতে চাইলে তিলকপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য জাহিদুল ইসলামের নামে ডাকাহার গ্রামে একটি ঘর বরাদ্দ রয়েছে। তিনি বলেন, ‘প্রথম বছর কিছুটা লাভ হলেও এবার আমাদের দলের ৩০০ মণ আলুর একাংশ নষ্ট হয়ে যায়। দামও নেই, তাই বিক্রিও হচ্ছে না।’
মাঠপর্যায়ের কৃষকেরা মনে করেন, প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে স্থানীয় বাস্তবতা, আবহাওয়া ও কৃষকের আর্থসামাজিক অবস্থা বিবেচনা না করায় এই ঘর এখন বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কৃষকেরা জানান, উৎপাদন খরচ বাড়লেও ন্যায্য দাম না পাওয়ায় এবং সংরক্ষণের সমস্যায় তাঁরা লোকসানের মুখে পড়ছেন বারবার।
নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি বছর জেলায় ২৫ হাজার ৯৪০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করা হয়েছে। উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৫ লাখ টন। অথচ জেলার সাতটি হিমাগারে ধারণক্ষমতা মাত্র ৪৬ হাজার ৫৩০ টন। ফলে বিপুল পরিমাণ আলু হিমাগারে রাখা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে নওগাঁ জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা সোহাগ সরকার বলেন, ঘরগুলোতে আলু রেখে অনেক কৃষক লাভবান হয়েছেন। এবারে দু-এক জায়গায় কিছু আলু নষ্ট হয়েছে, তবে এর পেছনে আবহাওয়ার প্রভাবও রয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এমন ঘরে সর্বোচ্চ চার মাস পর্যন্ত আলু ভালো থাকে। তবে পচনের শুরুতেই আলু সরিয়ে ফেললে ক্ষতি এড়ানো যেত। তিনি আরও বলেন, প্রাকৃতিকভাবে আলু সংরক্ষণের পুরোনো পদ্ধতির ভিত্তিতেই প্রকল্পের মাধ্যমে মডেল ঘরগুলো তৈরি করা হয়। ডিজাইনেও বৈদ্যুতিক বাতাস বা আলোর ব্যবস্থা ছিল না। এ জন্য চাষিদের বলা হয়েছিল, নিয়মিত দেখভাল করতে হবে। কিন্তু কেউ কেউ সেই নির্দেশনা মানেননি বলেই পচনের ঘটনা ঘটেছে।

আলুর ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সরকার কৃষকদের জন্য নওগাঁয় তৈরি করেছে আলু সংরক্ষণের অহিমায়িত মডেল ঘর। তবে মাঠপর্যায়ে বাস্তবতা ভিন্ন—এই সরকারি প্রকল্পটি এখন কৃষকের জন্য কোনো কাজেই আসছে না। এসব ঘরে রাখা আলু সময়ের আগেই পচে নষ্ট হয়ে গেছে, ফলে অর্থনৈতিকভাবে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকেরা।
জানা গেছে, বদলগাছী, মহাদেবপুর, পত্নীতলা, নিয়ামতপুরসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ‘আলুর বহুমুখী ব্যবহার, সংরক্ষণ ও বিপণন উন্নয়ন প্রকল্প’ থেকে ৩৬টি ঘর দেওয়া হয়। প্রতিটি ঘর তৈরি করতে ব্যয় হয়েছে ২ লাখ ৯০ হাজার টাকা। এতে মোট ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা। ঘরগুলো বাঁশ, কাঠ, টিন, আরসিসি পিলার ও ককশিট দিয়ে তৈরি। একেকটি ঘরে ১০-১৫ জন কৃষক ২৫-৩০ টন আলু চার মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করতে পারবেন—এমনটিই বলা হয়েছিল।
সরেজমিন দেখা গেছে, নির্জন জায়গায় অপরিকল্পিতভাবে তৈরি ঘরগুলো ব্যবহার করা যাচ্ছে না। বেশির ভাগই পড়ে রয়েছে অচল অবস্থায়। ঘরে নেই তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা। ফলে ভেতরে প্রচণ্ড গরমে আলুতে দ্রুত পচন ধরে। কোথাও আবার নিরাপত্তার অভাব, চুরি হওয়ার ভয়ে অনেক চাষি আলু রাখেননি এসব ঘরে।
চাষিরা বলছেন, এ প্রকল্পে সরকার শুধু ঘর বানিয়েই দায় শেষ করেছে, কার্যকারিতা নিয়ে ছিল না কোনো তদারকি বা পরিকল্পনা।
বদলগাছীর কৃষক সানোয়ার হোসেন গত মৌসুমে এই ঘরের মাধ্যমে আলু সংরক্ষণ করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম ঘরে রেখে পরে ভালো দামে আলু বিক্রি করব। কিন্তু ঘরে রাখা ৩০০ মণের মধ্যে ১০০ মণই পচে গেছে।’ ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫০ হাজার টাকা।
শুধু সানোয়ার নন, গ্রামের আরও কয়েকজন কৃষক এমন ক্ষতির মুখে পড়েছেন। অনেকেই বলছেন, ঘরের ভেতরে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা ঠিক নেই, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের কোনো সুযোগও নেই। ফলে কিছুদিন পরই আলুতে পচন ধরে।
কৃষক ওয়াহেদ আলী বলেন, ‘১৩০ মণ আলু রেখেছিলাম, অনেকটাই নষ্ট হয়ে গেছে। কাটিনাল জাতের আলু একটাও বাঁচে নেই। এখন লোকসান দিতে দিতে মাথায় হাত পড়েছে।’ বৈকুণ্ঠপুরের চাষি রিফাত হোসেন বলেন, ঘর নির্মাণের পর থেকে একইভাবে বারবার আলু পচে নষ্ট হয়ে গেছে। যেভাবে আলু রাখতে বলা হয়েছিল, সেভাবেই রেখেছিলাম; কিন্তু কাজ হয়নি। হুগলবাড়ী গ্রামের কৃষক মামুন হোসেন বলেন, ‘ঘরের লোকেশন এমন জায়গায়, যেখানে রাতে পাহারা দেওয়া যায় না। আলু চুরি হওয়ার ভয়েই অনেক কৃষক ঘর ব্যবহার করেননি।’
জানতে চাইলে তিলকপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য জাহিদুল ইসলামের নামে ডাকাহার গ্রামে একটি ঘর বরাদ্দ রয়েছে। তিনি বলেন, ‘প্রথম বছর কিছুটা লাভ হলেও এবার আমাদের দলের ৩০০ মণ আলুর একাংশ নষ্ট হয়ে যায়। দামও নেই, তাই বিক্রিও হচ্ছে না।’
মাঠপর্যায়ের কৃষকেরা মনে করেন, প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে স্থানীয় বাস্তবতা, আবহাওয়া ও কৃষকের আর্থসামাজিক অবস্থা বিবেচনা না করায় এই ঘর এখন বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কৃষকেরা জানান, উৎপাদন খরচ বাড়লেও ন্যায্য দাম না পাওয়ায় এবং সংরক্ষণের সমস্যায় তাঁরা লোকসানের মুখে পড়ছেন বারবার।
নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি বছর জেলায় ২৫ হাজার ৯৪০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করা হয়েছে। উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৫ লাখ টন। অথচ জেলার সাতটি হিমাগারে ধারণক্ষমতা মাত্র ৪৬ হাজার ৫৩০ টন। ফলে বিপুল পরিমাণ আলু হিমাগারে রাখা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে নওগাঁ জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা সোহাগ সরকার বলেন, ঘরগুলোতে আলু রেখে অনেক কৃষক লাভবান হয়েছেন। এবারে দু-এক জায়গায় কিছু আলু নষ্ট হয়েছে, তবে এর পেছনে আবহাওয়ার প্রভাবও রয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এমন ঘরে সর্বোচ্চ চার মাস পর্যন্ত আলু ভালো থাকে। তবে পচনের শুরুতেই আলু সরিয়ে ফেললে ক্ষতি এড়ানো যেত। তিনি আরও বলেন, প্রাকৃতিকভাবে আলু সংরক্ষণের পুরোনো পদ্ধতির ভিত্তিতেই প্রকল্পের মাধ্যমে মডেল ঘরগুলো তৈরি করা হয়। ডিজাইনেও বৈদ্যুতিক বাতাস বা আলোর ব্যবস্থা ছিল না। এ জন্য চাষিদের বলা হয়েছিল, নিয়মিত দেখভাল করতে হবে। কিন্তু কেউ কেউ সেই নির্দেশনা মানেননি বলেই পচনের ঘটনা ঘটেছে।

বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস—রূপান্তরিত জাতীয় ছাত্রশক্তি) আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার তাঁর মোটরসাইকেল লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন।
২৮ মিনিট আগে
বিআরটিএর চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, মহাসড়কে কোনো অবৈধ যানবাহন চলতে পারবে না। এ বিষয়ে পুলিশ, বিআরটিএসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
যশোর সদরে অভিযান চালিয়ে রান্নাঘরে পুঁতে রাখা বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার দৌলতদিহির হুমায়ুন কবিরের বাড়ি থেকে পিস্তল উদ্ধার করা হয়। কোতোয়ালি মডেল থানা-পুলিশ পিস্তলটি উদ্ধার করে। এ সময় অস্ত্রের মালিক শাকিল হোসেন পালিয়ে যান। শাকিল হুমায়ুন কবিরের ছেলে।
১ ঘণ্টা আগে
আবারও পুরান ঢাকার বংশাল এলাকায় প্রেমিকার বাসার সিঁড়িতে সজিব (১৯) নামের এক শিক্ষার্থীর লাশ পাওয়া গেছে। তিনি এবার বংশালে আহমেদ বাওয়ানী একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস—রূপান্তরিত জাতীয় ছাত্রশক্তি) আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার তাঁর মোটরসাইকেল লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) রাত ৮টার পর রাজধানীর শাহবাগে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান তিনি।
রাত ৮টা ৩৪ মিনিটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে আবু বাকের মজুমদার লিখেছেন, ‘কিছুক্ষণ আগে ৮টা ২৩-২৪ মিনিটের সময় ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে আমার বাইকের সামনে ককটেল মারা হয়েছে। রূপায়ণ টাওয়ারে সাংগঠনিক মিটিংয়ের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলাম। রাজনৈতিক কারণে এক্সটার্নাল এবং ইন্টারনাল অনেকের শত্রু হয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ, এখনো সুস্থ আছি, দোয়া করবেন।’
হামলার প্রতিবাদে রাত ১০টার দিকে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) তাদের কার্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল করে।

বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস—রূপান্তরিত জাতীয় ছাত্রশক্তি) আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার তাঁর মোটরসাইকেল লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) রাত ৮টার পর রাজধানীর শাহবাগে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান তিনি।
রাত ৮টা ৩৪ মিনিটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে আবু বাকের মজুমদার লিখেছেন, ‘কিছুক্ষণ আগে ৮টা ২৩-২৪ মিনিটের সময় ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে আমার বাইকের সামনে ককটেল মারা হয়েছে। রূপায়ণ টাওয়ারে সাংগঠনিক মিটিংয়ের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলাম। রাজনৈতিক কারণে এক্সটার্নাল এবং ইন্টারনাল অনেকের শত্রু হয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ, এখনো সুস্থ আছি, দোয়া করবেন।’
হামলার প্রতিবাদে রাত ১০টার দিকে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) তাদের কার্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল করে।

আলুর ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সরকার কৃষকদের জন্য নওগাঁয় তৈরি করেছে আলু সংরক্ষণের অহিমায়িত মডেল ঘর। তবে মাঠপর্যায়ে বাস্তবতা ভিন্ন—এই সরকারি প্রকল্পটি এখন কৃষকের জন্য কোনো কাজেই আসছে না। এসব ঘরে রাখা আলু সময়ের আগেই পচে নষ্ট হয়ে গেছে, ফলে অর্থনৈতিকভাবে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকেরা।
০৮ আগস্ট ২০২৫
বিআরটিএর চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, মহাসড়কে কোনো অবৈধ যানবাহন চলতে পারবে না। এ বিষয়ে পুলিশ, বিআরটিএসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
যশোর সদরে অভিযান চালিয়ে রান্নাঘরে পুঁতে রাখা বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার দৌলতদিহির হুমায়ুন কবিরের বাড়ি থেকে পিস্তল উদ্ধার করা হয়। কোতোয়ালি মডেল থানা-পুলিশ পিস্তলটি উদ্ধার করে। এ সময় অস্ত্রের মালিক শাকিল হোসেন পালিয়ে যান। শাকিল হুমায়ুন কবিরের ছেলে।
১ ঘণ্টা আগে
আবারও পুরান ঢাকার বংশাল এলাকায় প্রেমিকার বাসার সিঁড়িতে সজিব (১৯) নামের এক শিক্ষার্থীর লাশ পাওয়া গেছে। তিনি এবার বংশালে আহমেদ বাওয়ানী একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন।
১ ঘণ্টা আগেপঞ্চগড় প্রতিনিধি

বিআরটিএর চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, মহাসড়কে কোনো অবৈধ যানবাহন চলতে পারবে না। এ বিষয়ে পুলিশ, বিআরটিএসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) রাতে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে জেলা প্রশাসন ও বিআরটিএ যৌথ আয়োজনে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিআরটিএর চেয়ারম্যান বলেন, ‘কোনো লক্কড়ঝক্কড় গাড়ি আমরা মহাসড়কে চলতে দেব না। এ জন্য বিআরটিএ, প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর একসঙ্গে কাজ করছে। সরকারি গাড়িগুলোও ছাড় পাবে না, এমনকি আমি নিজেই বিআরটিএর গাড়ি ডাম্প করেছি।’

বিআরটিএর চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, মহাসড়কে কোনো অবৈধ যানবাহন চলতে পারবে না। এ বিষয়ে পুলিশ, বিআরটিএসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) রাতে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে জেলা প্রশাসন ও বিআরটিএ যৌথ আয়োজনে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিআরটিএর চেয়ারম্যান বলেন, ‘কোনো লক্কড়ঝক্কড় গাড়ি আমরা মহাসড়কে চলতে দেব না। এ জন্য বিআরটিএ, প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর একসঙ্গে কাজ করছে। সরকারি গাড়িগুলোও ছাড় পাবে না, এমনকি আমি নিজেই বিআরটিএর গাড়ি ডাম্প করেছি।’

আলুর ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সরকার কৃষকদের জন্য নওগাঁয় তৈরি করেছে আলু সংরক্ষণের অহিমায়িত মডেল ঘর। তবে মাঠপর্যায়ে বাস্তবতা ভিন্ন—এই সরকারি প্রকল্পটি এখন কৃষকের জন্য কোনো কাজেই আসছে না। এসব ঘরে রাখা আলু সময়ের আগেই পচে নষ্ট হয়ে গেছে, ফলে অর্থনৈতিকভাবে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকেরা।
০৮ আগস্ট ২০২৫
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস—রূপান্তরিত জাতীয় ছাত্রশক্তি) আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার তাঁর মোটরসাইকেল লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন।
২৮ মিনিট আগে
যশোর সদরে অভিযান চালিয়ে রান্নাঘরে পুঁতে রাখা বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার দৌলতদিহির হুমায়ুন কবিরের বাড়ি থেকে পিস্তল উদ্ধার করা হয়। কোতোয়ালি মডেল থানা-পুলিশ পিস্তলটি উদ্ধার করে। এ সময় অস্ত্রের মালিক শাকিল হোসেন পালিয়ে যান। শাকিল হুমায়ুন কবিরের ছেলে।
১ ঘণ্টা আগে
আবারও পুরান ঢাকার বংশাল এলাকায় প্রেমিকার বাসার সিঁড়িতে সজিব (১৯) নামের এক শিক্ষার্থীর লাশ পাওয়া গেছে। তিনি এবার বংশালে আহমেদ বাওয়ানী একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন।
১ ঘণ্টা আগেযশোর প্রতিনিধি

যশোর সদরে অভিযান চালিয়ে রান্নাঘরে পুঁতে রাখা বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায়উপজেলার দৌলতদিহির হুমায়ুন কবিরের বাড়ি থেকে পিস্তল উদ্ধার করা হয়।
কোতোয়ালি মডেল থানা-পুলিশ পিস্তলটি উদ্ধার করে। এ সময় অস্ত্রের মালিক শাকিল হোসেন পালিয়ে যান। শাকিল হুমায়ুন কবিরের ছেলে।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আবুল হাসনাত আজকের পত্রিকাকে বলেন, গোপন খবরের ভিত্তিতে পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে পিস্তলটি উদ্ধার করে।

যশোর সদরে অভিযান চালিয়ে রান্নাঘরে পুঁতে রাখা বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায়উপজেলার দৌলতদিহির হুমায়ুন কবিরের বাড়ি থেকে পিস্তল উদ্ধার করা হয়।
কোতোয়ালি মডেল থানা-পুলিশ পিস্তলটি উদ্ধার করে। এ সময় অস্ত্রের মালিক শাকিল হোসেন পালিয়ে যান। শাকিল হুমায়ুন কবিরের ছেলে।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আবুল হাসনাত আজকের পত্রিকাকে বলেন, গোপন খবরের ভিত্তিতে পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে পিস্তলটি উদ্ধার করে।

আলুর ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সরকার কৃষকদের জন্য নওগাঁয় তৈরি করেছে আলু সংরক্ষণের অহিমায়িত মডেল ঘর। তবে মাঠপর্যায়ে বাস্তবতা ভিন্ন—এই সরকারি প্রকল্পটি এখন কৃষকের জন্য কোনো কাজেই আসছে না। এসব ঘরে রাখা আলু সময়ের আগেই পচে নষ্ট হয়ে গেছে, ফলে অর্থনৈতিকভাবে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকেরা।
০৮ আগস্ট ২০২৫
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস—রূপান্তরিত জাতীয় ছাত্রশক্তি) আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার তাঁর মোটরসাইকেল লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন।
২৮ মিনিট আগে
বিআরটিএর চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, মহাসড়কে কোনো অবৈধ যানবাহন চলতে পারবে না। এ বিষয়ে পুলিশ, বিআরটিএসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
আবারও পুরান ঢাকার বংশাল এলাকায় প্রেমিকার বাসার সিঁড়িতে সজিব (১৯) নামের এক শিক্ষার্থীর লাশ পাওয়া গেছে। তিনি এবার বংশালে আহমেদ বাওয়ানী একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন।
১ ঘণ্টা আগেঢামেক প্রতিবেদক

আবারও পুরান ঢাকার বংশাল এলাকায় প্রেমিকার বাসার সিঁড়িতে সজিব (১৯) নামের এক শিক্ষার্থীর লাশ পাওয়া গেছে। তিনি এবার বংশালে আহমেদ বাওয়ানী একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন।
আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলের দিকে বংশালের আগামসিহ লেনের ৯৩/১ নম্বর বাসায় ঘটনাটি ঘটে। পরে পুলিশ সংবাদ পেয়ে ওই বাসার চারতলার সিঁড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে। এ সময় ওই শিক্ষার্থীর গলায় জিআই তার পেঁচানো ছিল।
বংশাল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. দুলাল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘বিকেলে স্থানীয়দের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। ওই বাসার চারতলার সিঁড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রথমে অজ্ঞাতনামা হিসেবে এবং পরে মোবাইলের মাধ্যমে পরিচয় শনাক্ত হয়। এ সময় সে গলায় জিআই তার পেঁচানো অবস্থায় উপুড় হয়ে সিঁড়িতে পড়ে ছিল। তবে ওই বাসার চারতলায় শুধু একটি পরিবার থাকত বলে জানা গেছে। এ ছাড়া ওই বাসা পুরোটাই গোডাউন। চারতলার ওই বাসা বাইরে থেকে তালাবদ্ধ অবস্থায় ছিল।’
এসআই আরও জানান, ধারণা করা হচ্ছে, ওই শিক্ষার্থীকে গলায় জিআই তার পেঁচিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে।
হাসপাতালে নিহত সজিবের চাচাতো ভাই মো. ইসলাম বলেন, ‘সজিবদের বাসা বংশাল আগামসিহ লেনে। সজিব এবার আহমেদ বাওয়ানী একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল। তবে সে অকৃতকার্য হয়। কয়েক দিন আগে তাবলিগের সঙ্গে দোহার গিয়েছিল। গতকাল বাসায় আসে। আজ বেলা ৩টার দিকে ফোন পেয়ে বাসা থেকে বের হয়। এরপর বিকেলে জানতে পারি, একটি বাসার সিঁড়িতে সজিবের মরদেহ পাওয়া গেছে।’
সজিব আরও বলেন, ‘যে বাসায় সজিবের মরদেহ পাওয়া গেছে, ওই বাসার চারতলায় সজিবের প্রেমিকা খাদিজাদের বাসা। খাদিজার বাবা বেঁচে নেই। তবে ঘটনার পর থেকে তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি। ৬ বছর ধরে খাদিজার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল সজিবের। মাঝে একবার মনোমালিন্য হয়েছিল। তবে খাদিজার মামারা এই সম্পর্ক মেনে নিতে পারছিলেন না।’
পরিবারের অভিযোগ, খাদিজার দুই মামা ইকবাল ও কামাল মিলে সজিবকে হত্যা করেছে।
এর আগে, ১৯ অক্টোবর রাজধানীর পুরান ঢাকার আরমানিটোলা এলাকার একটি বাসার সিঁড়িতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রদল নেতার রক্তাক্ত লাশ পাওয়া যায়। আরমানিটোলার পানির পাম্প গলির ওই বাসায় জুবায়েদ টিউশনি করাতেন। পরে ডিএমপি এই হত্যাকাণ্ডকে ‘ত্রিভুজ প্রেমের’ ফল বলে জানায়।

আবারও পুরান ঢাকার বংশাল এলাকায় প্রেমিকার বাসার সিঁড়িতে সজিব (১৯) নামের এক শিক্ষার্থীর লাশ পাওয়া গেছে। তিনি এবার বংশালে আহমেদ বাওয়ানী একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন।
আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলের দিকে বংশালের আগামসিহ লেনের ৯৩/১ নম্বর বাসায় ঘটনাটি ঘটে। পরে পুলিশ সংবাদ পেয়ে ওই বাসার চারতলার সিঁড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে। এ সময় ওই শিক্ষার্থীর গলায় জিআই তার পেঁচানো ছিল।
বংশাল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. দুলাল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘বিকেলে স্থানীয়দের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। ওই বাসার চারতলার সিঁড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রথমে অজ্ঞাতনামা হিসেবে এবং পরে মোবাইলের মাধ্যমে পরিচয় শনাক্ত হয়। এ সময় সে গলায় জিআই তার পেঁচানো অবস্থায় উপুড় হয়ে সিঁড়িতে পড়ে ছিল। তবে ওই বাসার চারতলায় শুধু একটি পরিবার থাকত বলে জানা গেছে। এ ছাড়া ওই বাসা পুরোটাই গোডাউন। চারতলার ওই বাসা বাইরে থেকে তালাবদ্ধ অবস্থায় ছিল।’
এসআই আরও জানান, ধারণা করা হচ্ছে, ওই শিক্ষার্থীকে গলায় জিআই তার পেঁচিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে।
হাসপাতালে নিহত সজিবের চাচাতো ভাই মো. ইসলাম বলেন, ‘সজিবদের বাসা বংশাল আগামসিহ লেনে। সজিব এবার আহমেদ বাওয়ানী একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল। তবে সে অকৃতকার্য হয়। কয়েক দিন আগে তাবলিগের সঙ্গে দোহার গিয়েছিল। গতকাল বাসায় আসে। আজ বেলা ৩টার দিকে ফোন পেয়ে বাসা থেকে বের হয়। এরপর বিকেলে জানতে পারি, একটি বাসার সিঁড়িতে সজিবের মরদেহ পাওয়া গেছে।’
সজিব আরও বলেন, ‘যে বাসায় সজিবের মরদেহ পাওয়া গেছে, ওই বাসার চারতলায় সজিবের প্রেমিকা খাদিজাদের বাসা। খাদিজার বাবা বেঁচে নেই। তবে ঘটনার পর থেকে তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি। ৬ বছর ধরে খাদিজার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল সজিবের। মাঝে একবার মনোমালিন্য হয়েছিল। তবে খাদিজার মামারা এই সম্পর্ক মেনে নিতে পারছিলেন না।’
পরিবারের অভিযোগ, খাদিজার দুই মামা ইকবাল ও কামাল মিলে সজিবকে হত্যা করেছে।
এর আগে, ১৯ অক্টোবর রাজধানীর পুরান ঢাকার আরমানিটোলা এলাকার একটি বাসার সিঁড়িতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রদল নেতার রক্তাক্ত লাশ পাওয়া যায়। আরমানিটোলার পানির পাম্প গলির ওই বাসায় জুবায়েদ টিউশনি করাতেন। পরে ডিএমপি এই হত্যাকাণ্ডকে ‘ত্রিভুজ প্রেমের’ ফল বলে জানায়।

আলুর ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সরকার কৃষকদের জন্য নওগাঁয় তৈরি করেছে আলু সংরক্ষণের অহিমায়িত মডেল ঘর। তবে মাঠপর্যায়ে বাস্তবতা ভিন্ন—এই সরকারি প্রকল্পটি এখন কৃষকের জন্য কোনো কাজেই আসছে না। এসব ঘরে রাখা আলু সময়ের আগেই পচে নষ্ট হয়ে গেছে, ফলে অর্থনৈতিকভাবে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকেরা।
০৮ আগস্ট ২০২৫
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস—রূপান্তরিত জাতীয় ছাত্রশক্তি) আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার তাঁর মোটরসাইকেল লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন।
২৮ মিনিট আগে
বিআরটিএর চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, মহাসড়কে কোনো অবৈধ যানবাহন চলতে পারবে না। এ বিষয়ে পুলিশ, বিআরটিএসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
যশোর সদরে অভিযান চালিয়ে রান্নাঘরে পুঁতে রাখা বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার দৌলতদিহির হুমায়ুন কবিরের বাড়ি থেকে পিস্তল উদ্ধার করা হয়। কোতোয়ালি মডেল থানা-পুলিশ পিস্তলটি উদ্ধার করে। এ সময় অস্ত্রের মালিক শাকিল হোসেন পালিয়ে যান। শাকিল হুমায়ুন কবিরের ছেলে।
১ ঘণ্টা আগে