
বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মাংস আমদানি করে চীন। ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ও অস্ট্রেলিয়া থেকে নিয়মিত গরুর মাংস আমদানি করে দেশটি। দেশের অভ্যন্তরেও গরুর মাংস উৎপাদিত হয়। তবে হঠাৎই চীনা বাজারে বেড়ে গেছে গরুর মাংসের সরবরাহ। যার প্রভাবে গত কয়েক বছরের মধ্যে দাম সর্বনিম্নে নেমে গেছে।
এ অবস্থায় গত শুক্রবার চীন সরকার ঘোষণা দিয়েছে, গরুর মাংস আমদানি নিয়ে তদন্ত করা হবে। বাজারে অতিরিক্ত গরুর মাংস সরবরাহের কারণে দাম কমে যাওয়ায় দেশি উৎপাদকেরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। এর পেছনের কারণ খুঁজছে সি চিনপিংয়ের প্রশাসন।
চীনের কাস্টমস শুল্ক তথ্য তুলে ধরে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানায়, ২০২৩ সালে চীনে ১ হাজার ৪২০ কোটি ডলারের গরুর মাংস আমদানি করা হয়, যা ২০১৯ সালের ৮২০ কোটি ডলারের তুলনায় অনেক বেশি। চীনে আমদানি করা মাংসের ৪২ শতাংশ ব্রাজিল থেকে আসে। এ ছাড়া ১৫ শতাংশ আর্জেন্টিনা এবং ১২ শতাংশ অস্ট্রেলিয়া থেকে আমদানি করা হয়।
চীন সরকার জানায়, ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত আমদানি করা তাজা গরুর মাংস, হিমায়িত গরুর মাংস, গরুর মাথার বাজারে এই তদন্ত করা হবে। এসব চীনের মাংসের বাজারের প্রায় ৩০ দশমিক ৯ শতাংশ দখল করে আছে।
২০১৯ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে গরুর মাংসের আমদানি প্রায় ৬৫ শতাংশ বেড়ে গিয়েছিল। চলতি বছরের প্রথমার্ধে ২০১৯ সালের প্রথমার্ধের তুলনায় দ্বিগুণ হয়েছে। বিপরীতে অর্থনীতির অধোগতির কারণে চীনের ভোক্তারা কেনাকাটাও কমিয়ে দিয়েছেন। ফলে গরু, শূকর ও মুরগির মাংসের দাম কমে গেছে।
চায়না অ্যানিমেল হ্যাজব্যান্ড্রি অ্যাসোসিয়েশন এবং অন্যান্য গবাদিপশু ও মাংস খামারিদের আবেদনের ভিত্তিতে এ তদন্ত পরিচালিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। আবেদনে দাবি করা হয়েছে, উল্লেখিত সময়ের মধ্যে আমদানি অতিমাত্রায় বেড়ে যাওয়ায় দেশের অভ্যন্তরের গরুর মাংস শিল্প ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
চীনা অ্যানিমেল হ্যাজব্যান্ড্রি অ্যাসোসিয়েশন জানায়, চীনে বেশির ভাগ গরুর খামার লাভজনক অবস্থায় নেই। আমদানি করা গরুর মাংসের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় এর প্রভাবে পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। তাদের অভিযোগ, পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে আছে গরুর মাংসের দাম। আর গরুর দাম গত ১০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থায় আছে।
চীনের কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ডিসেম্বরের শেষের দিকে প্রতিকেজি গরুর মাংসের গড় পাইকারি দাম ২২ শতাংশ কমে ৫৯ দশমিক ৮২ ইউয়ানে (৮ দশমিক ২০ ডলার) দাঁড়িয়েছে, যা দুই বছর আগে ছিল ৭৭ দশমিক ১৮ ইউয়ান।
এদিকে, চীনের এই পদক্ষেপ দেশটিতে মাংস সরবরাহকারীদের জন্য ভোগান্তির কারণ হতে পারে। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গরুর মাংসের আমদানি কমাতে চীন কোনো শর্ত আরোপ করলে, সেসব শর্ত দেশটিতে মাংস রপ্তানিকারক দেশগুলোর ওপর প্রভাব ফেলবে, বিশেষ করে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ও অস্ট্রেলিয়ার ওপর।
ব্রাজিল সরকার এক বিবৃতিতে জানায়, তাদের রপ্তানিকৃত গরুর মাংসের প্রভাবে চীনের মাংস শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হবে। এরপর তারা প্রমাণসহ জানিয়ে দেবে, চীনের গরুর মাংস উৎপাদনে ব্রাজিলের রপ্তানিকৃত মাংস ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে না বরং চাহিদা মেটাতে সহায়তা করে।
গরুর মাংসের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে গত জুনে চীন সরকার খামারিদের উৎপাদন কমাতে বলেছিল। তবে আর্জেন্টিনা থেকে আমদানি বাড়তে থাকায় দাম কমতেই থাকে।
চলতি বছরের প্রথম ১১ মাসে আর্জেন্টিনা থেকে গরুর মাংসের আমদানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৫ লাখ ৩৩ হাজার ৫ টনে দাঁড়িয়েছে। ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত চীন ২৬ লাখ টন গরুর মাংস আমদানি করেছে, যা ২০১৯ সালের একই সময়ে ছিল ১৬ লাখ ৬০ হাজার টন।
চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশি উৎপাদকদের আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে গরুর মাংস আমদানির ওপর তদন্ত শুরু করেছে সরকার। এতে আট মাস সময় লাগবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। তদন্তের প্রয়োজনে সময় বাড়তেও পারে।
ইতিমধ্যে ইউরোপ থেকে দুগ্ধজাত পণ্য ও শূকরের মাংস আমদানিতে শুল্ক আরোপের কথা ভাবছে চীন। তবে এই শুল্ক বা বিধিনিষেধ আরোপের সিদ্ধান্ত দেশের বাজার নিয়ন্ত্রণই একমাত্র উদ্দেশ্য নয় বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। তাঁদের মতে, চীনে তৈরি বিদ্যুৎ চালিত গাড়িতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের শুল্ক পরিকল্পনার জবাবে এ সিদ্ধান্ত নিচ্ছে এশিয়ার এই পরাশক্তি।

বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মাংস আমদানি করে চীন। ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ও অস্ট্রেলিয়া থেকে নিয়মিত গরুর মাংস আমদানি করে দেশটি। দেশের অভ্যন্তরেও গরুর মাংস উৎপাদিত হয়। তবে হঠাৎই চীনা বাজারে বেড়ে গেছে গরুর মাংসের সরবরাহ। যার প্রভাবে গত কয়েক বছরের মধ্যে দাম সর্বনিম্নে নেমে গেছে।
এ অবস্থায় গত শুক্রবার চীন সরকার ঘোষণা দিয়েছে, গরুর মাংস আমদানি নিয়ে তদন্ত করা হবে। বাজারে অতিরিক্ত গরুর মাংস সরবরাহের কারণে দাম কমে যাওয়ায় দেশি উৎপাদকেরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। এর পেছনের কারণ খুঁজছে সি চিনপিংয়ের প্রশাসন।
চীনের কাস্টমস শুল্ক তথ্য তুলে ধরে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানায়, ২০২৩ সালে চীনে ১ হাজার ৪২০ কোটি ডলারের গরুর মাংস আমদানি করা হয়, যা ২০১৯ সালের ৮২০ কোটি ডলারের তুলনায় অনেক বেশি। চীনে আমদানি করা মাংসের ৪২ শতাংশ ব্রাজিল থেকে আসে। এ ছাড়া ১৫ শতাংশ আর্জেন্টিনা এবং ১২ শতাংশ অস্ট্রেলিয়া থেকে আমদানি করা হয়।
চীন সরকার জানায়, ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত আমদানি করা তাজা গরুর মাংস, হিমায়িত গরুর মাংস, গরুর মাথার বাজারে এই তদন্ত করা হবে। এসব চীনের মাংসের বাজারের প্রায় ৩০ দশমিক ৯ শতাংশ দখল করে আছে।
২০১৯ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে গরুর মাংসের আমদানি প্রায় ৬৫ শতাংশ বেড়ে গিয়েছিল। চলতি বছরের প্রথমার্ধে ২০১৯ সালের প্রথমার্ধের তুলনায় দ্বিগুণ হয়েছে। বিপরীতে অর্থনীতির অধোগতির কারণে চীনের ভোক্তারা কেনাকাটাও কমিয়ে দিয়েছেন। ফলে গরু, শূকর ও মুরগির মাংসের দাম কমে গেছে।
চায়না অ্যানিমেল হ্যাজব্যান্ড্রি অ্যাসোসিয়েশন এবং অন্যান্য গবাদিপশু ও মাংস খামারিদের আবেদনের ভিত্তিতে এ তদন্ত পরিচালিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। আবেদনে দাবি করা হয়েছে, উল্লেখিত সময়ের মধ্যে আমদানি অতিমাত্রায় বেড়ে যাওয়ায় দেশের অভ্যন্তরের গরুর মাংস শিল্প ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
চীনা অ্যানিমেল হ্যাজব্যান্ড্রি অ্যাসোসিয়েশন জানায়, চীনে বেশির ভাগ গরুর খামার লাভজনক অবস্থায় নেই। আমদানি করা গরুর মাংসের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় এর প্রভাবে পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। তাদের অভিযোগ, পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে আছে গরুর মাংসের দাম। আর গরুর দাম গত ১০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থায় আছে।
চীনের কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ডিসেম্বরের শেষের দিকে প্রতিকেজি গরুর মাংসের গড় পাইকারি দাম ২২ শতাংশ কমে ৫৯ দশমিক ৮২ ইউয়ানে (৮ দশমিক ২০ ডলার) দাঁড়িয়েছে, যা দুই বছর আগে ছিল ৭৭ দশমিক ১৮ ইউয়ান।
এদিকে, চীনের এই পদক্ষেপ দেশটিতে মাংস সরবরাহকারীদের জন্য ভোগান্তির কারণ হতে পারে। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গরুর মাংসের আমদানি কমাতে চীন কোনো শর্ত আরোপ করলে, সেসব শর্ত দেশটিতে মাংস রপ্তানিকারক দেশগুলোর ওপর প্রভাব ফেলবে, বিশেষ করে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ও অস্ট্রেলিয়ার ওপর।
ব্রাজিল সরকার এক বিবৃতিতে জানায়, তাদের রপ্তানিকৃত গরুর মাংসের প্রভাবে চীনের মাংস শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হবে। এরপর তারা প্রমাণসহ জানিয়ে দেবে, চীনের গরুর মাংস উৎপাদনে ব্রাজিলের রপ্তানিকৃত মাংস ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে না বরং চাহিদা মেটাতে সহায়তা করে।
গরুর মাংসের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে গত জুনে চীন সরকার খামারিদের উৎপাদন কমাতে বলেছিল। তবে আর্জেন্টিনা থেকে আমদানি বাড়তে থাকায় দাম কমতেই থাকে।
চলতি বছরের প্রথম ১১ মাসে আর্জেন্টিনা থেকে গরুর মাংসের আমদানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৫ লাখ ৩৩ হাজার ৫ টনে দাঁড়িয়েছে। ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত চীন ২৬ লাখ টন গরুর মাংস আমদানি করেছে, যা ২০১৯ সালের একই সময়ে ছিল ১৬ লাখ ৬০ হাজার টন।
চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশি উৎপাদকদের আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে গরুর মাংস আমদানির ওপর তদন্ত শুরু করেছে সরকার। এতে আট মাস সময় লাগবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। তদন্তের প্রয়োজনে সময় বাড়তেও পারে।
ইতিমধ্যে ইউরোপ থেকে দুগ্ধজাত পণ্য ও শূকরের মাংস আমদানিতে শুল্ক আরোপের কথা ভাবছে চীন। তবে এই শুল্ক বা বিধিনিষেধ আরোপের সিদ্ধান্ত দেশের বাজার নিয়ন্ত্রণই একমাত্র উদ্দেশ্য নয় বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। তাঁদের মতে, চীনে তৈরি বিদ্যুৎ চালিত গাড়িতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের শুল্ক পরিকল্পনার জবাবে এ সিদ্ধান্ত নিচ্ছে এশিয়ার এই পরাশক্তি।

বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মাংস আমদানি করে চীন। ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ও অস্ট্রেলিয়া থেকে নিয়মিত গরুর মাংস আমদানি করে দেশটি। দেশের অভ্যন্তরেও গরুর মাংস উৎপাদিত হয়। তবে হঠাৎই চীনা বাজারে বেড়ে গেছে গরুর মাংসের সরবরাহ। যার প্রভাবে গত কয়েক বছরের মধ্যে দাম সর্বনিম্নে নেমে গেছে।
এ অবস্থায় গত শুক্রবার চীন সরকার ঘোষণা দিয়েছে, গরুর মাংস আমদানি নিয়ে তদন্ত করা হবে। বাজারে অতিরিক্ত গরুর মাংস সরবরাহের কারণে দাম কমে যাওয়ায় দেশি উৎপাদকেরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। এর পেছনের কারণ খুঁজছে সি চিনপিংয়ের প্রশাসন।
চীনের কাস্টমস শুল্ক তথ্য তুলে ধরে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানায়, ২০২৩ সালে চীনে ১ হাজার ৪২০ কোটি ডলারের গরুর মাংস আমদানি করা হয়, যা ২০১৯ সালের ৮২০ কোটি ডলারের তুলনায় অনেক বেশি। চীনে আমদানি করা মাংসের ৪২ শতাংশ ব্রাজিল থেকে আসে। এ ছাড়া ১৫ শতাংশ আর্জেন্টিনা এবং ১২ শতাংশ অস্ট্রেলিয়া থেকে আমদানি করা হয়।
চীন সরকার জানায়, ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত আমদানি করা তাজা গরুর মাংস, হিমায়িত গরুর মাংস, গরুর মাথার বাজারে এই তদন্ত করা হবে। এসব চীনের মাংসের বাজারের প্রায় ৩০ দশমিক ৯ শতাংশ দখল করে আছে।
২০১৯ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে গরুর মাংসের আমদানি প্রায় ৬৫ শতাংশ বেড়ে গিয়েছিল। চলতি বছরের প্রথমার্ধে ২০১৯ সালের প্রথমার্ধের তুলনায় দ্বিগুণ হয়েছে। বিপরীতে অর্থনীতির অধোগতির কারণে চীনের ভোক্তারা কেনাকাটাও কমিয়ে দিয়েছেন। ফলে গরু, শূকর ও মুরগির মাংসের দাম কমে গেছে।
চায়না অ্যানিমেল হ্যাজব্যান্ড্রি অ্যাসোসিয়েশন এবং অন্যান্য গবাদিপশু ও মাংস খামারিদের আবেদনের ভিত্তিতে এ তদন্ত পরিচালিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। আবেদনে দাবি করা হয়েছে, উল্লেখিত সময়ের মধ্যে আমদানি অতিমাত্রায় বেড়ে যাওয়ায় দেশের অভ্যন্তরের গরুর মাংস শিল্প ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
চীনা অ্যানিমেল হ্যাজব্যান্ড্রি অ্যাসোসিয়েশন জানায়, চীনে বেশির ভাগ গরুর খামার লাভজনক অবস্থায় নেই। আমদানি করা গরুর মাংসের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় এর প্রভাবে পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। তাদের অভিযোগ, পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে আছে গরুর মাংসের দাম। আর গরুর দাম গত ১০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থায় আছে।
চীনের কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ডিসেম্বরের শেষের দিকে প্রতিকেজি গরুর মাংসের গড় পাইকারি দাম ২২ শতাংশ কমে ৫৯ দশমিক ৮২ ইউয়ানে (৮ দশমিক ২০ ডলার) দাঁড়িয়েছে, যা দুই বছর আগে ছিল ৭৭ দশমিক ১৮ ইউয়ান।
এদিকে, চীনের এই পদক্ষেপ দেশটিতে মাংস সরবরাহকারীদের জন্য ভোগান্তির কারণ হতে পারে। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গরুর মাংসের আমদানি কমাতে চীন কোনো শর্ত আরোপ করলে, সেসব শর্ত দেশটিতে মাংস রপ্তানিকারক দেশগুলোর ওপর প্রভাব ফেলবে, বিশেষ করে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ও অস্ট্রেলিয়ার ওপর।
ব্রাজিল সরকার এক বিবৃতিতে জানায়, তাদের রপ্তানিকৃত গরুর মাংসের প্রভাবে চীনের মাংস শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হবে। এরপর তারা প্রমাণসহ জানিয়ে দেবে, চীনের গরুর মাংস উৎপাদনে ব্রাজিলের রপ্তানিকৃত মাংস ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে না বরং চাহিদা মেটাতে সহায়তা করে।
গরুর মাংসের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে গত জুনে চীন সরকার খামারিদের উৎপাদন কমাতে বলেছিল। তবে আর্জেন্টিনা থেকে আমদানি বাড়তে থাকায় দাম কমতেই থাকে।
চলতি বছরের প্রথম ১১ মাসে আর্জেন্টিনা থেকে গরুর মাংসের আমদানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৫ লাখ ৩৩ হাজার ৫ টনে দাঁড়িয়েছে। ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত চীন ২৬ লাখ টন গরুর মাংস আমদানি করেছে, যা ২০১৯ সালের একই সময়ে ছিল ১৬ লাখ ৬০ হাজার টন।
চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশি উৎপাদকদের আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে গরুর মাংস আমদানির ওপর তদন্ত শুরু করেছে সরকার। এতে আট মাস সময় লাগবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। তদন্তের প্রয়োজনে সময় বাড়তেও পারে।
ইতিমধ্যে ইউরোপ থেকে দুগ্ধজাত পণ্য ও শূকরের মাংস আমদানিতে শুল্ক আরোপের কথা ভাবছে চীন। তবে এই শুল্ক বা বিধিনিষেধ আরোপের সিদ্ধান্ত দেশের বাজার নিয়ন্ত্রণই একমাত্র উদ্দেশ্য নয় বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। তাঁদের মতে, চীনে তৈরি বিদ্যুৎ চালিত গাড়িতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের শুল্ক পরিকল্পনার জবাবে এ সিদ্ধান্ত নিচ্ছে এশিয়ার এই পরাশক্তি।

বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মাংস আমদানি করে চীন। ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ও অস্ট্রেলিয়া থেকে নিয়মিত গরুর মাংস আমদানি করে দেশটি। দেশের অভ্যন্তরেও গরুর মাংস উৎপাদিত হয়। তবে হঠাৎই চীনা বাজারে বেড়ে গেছে গরুর মাংসের সরবরাহ। যার প্রভাবে গত কয়েক বছরের মধ্যে দাম সর্বনিম্নে নেমে গেছে।
এ অবস্থায় গত শুক্রবার চীন সরকার ঘোষণা দিয়েছে, গরুর মাংস আমদানি নিয়ে তদন্ত করা হবে। বাজারে অতিরিক্ত গরুর মাংস সরবরাহের কারণে দাম কমে যাওয়ায় দেশি উৎপাদকেরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। এর পেছনের কারণ খুঁজছে সি চিনপিংয়ের প্রশাসন।
চীনের কাস্টমস শুল্ক তথ্য তুলে ধরে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানায়, ২০২৩ সালে চীনে ১ হাজার ৪২০ কোটি ডলারের গরুর মাংস আমদানি করা হয়, যা ২০১৯ সালের ৮২০ কোটি ডলারের তুলনায় অনেক বেশি। চীনে আমদানি করা মাংসের ৪২ শতাংশ ব্রাজিল থেকে আসে। এ ছাড়া ১৫ শতাংশ আর্জেন্টিনা এবং ১২ শতাংশ অস্ট্রেলিয়া থেকে আমদানি করা হয়।
চীন সরকার জানায়, ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত আমদানি করা তাজা গরুর মাংস, হিমায়িত গরুর মাংস, গরুর মাথার বাজারে এই তদন্ত করা হবে। এসব চীনের মাংসের বাজারের প্রায় ৩০ দশমিক ৯ শতাংশ দখল করে আছে।
২০১৯ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে গরুর মাংসের আমদানি প্রায় ৬৫ শতাংশ বেড়ে গিয়েছিল। চলতি বছরের প্রথমার্ধে ২০১৯ সালের প্রথমার্ধের তুলনায় দ্বিগুণ হয়েছে। বিপরীতে অর্থনীতির অধোগতির কারণে চীনের ভোক্তারা কেনাকাটাও কমিয়ে দিয়েছেন। ফলে গরু, শূকর ও মুরগির মাংসের দাম কমে গেছে।
চায়না অ্যানিমেল হ্যাজব্যান্ড্রি অ্যাসোসিয়েশন এবং অন্যান্য গবাদিপশু ও মাংস খামারিদের আবেদনের ভিত্তিতে এ তদন্ত পরিচালিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। আবেদনে দাবি করা হয়েছে, উল্লেখিত সময়ের মধ্যে আমদানি অতিমাত্রায় বেড়ে যাওয়ায় দেশের অভ্যন্তরের গরুর মাংস শিল্প ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
চীনা অ্যানিমেল হ্যাজব্যান্ড্রি অ্যাসোসিয়েশন জানায়, চীনে বেশির ভাগ গরুর খামার লাভজনক অবস্থায় নেই। আমদানি করা গরুর মাংসের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় এর প্রভাবে পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। তাদের অভিযোগ, পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে আছে গরুর মাংসের দাম। আর গরুর দাম গত ১০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থায় আছে।
চীনের কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ডিসেম্বরের শেষের দিকে প্রতিকেজি গরুর মাংসের গড় পাইকারি দাম ২২ শতাংশ কমে ৫৯ দশমিক ৮২ ইউয়ানে (৮ দশমিক ২০ ডলার) দাঁড়িয়েছে, যা দুই বছর আগে ছিল ৭৭ দশমিক ১৮ ইউয়ান।
এদিকে, চীনের এই পদক্ষেপ দেশটিতে মাংস সরবরাহকারীদের জন্য ভোগান্তির কারণ হতে পারে। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গরুর মাংসের আমদানি কমাতে চীন কোনো শর্ত আরোপ করলে, সেসব শর্ত দেশটিতে মাংস রপ্তানিকারক দেশগুলোর ওপর প্রভাব ফেলবে, বিশেষ করে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ও অস্ট্রেলিয়ার ওপর।
ব্রাজিল সরকার এক বিবৃতিতে জানায়, তাদের রপ্তানিকৃত গরুর মাংসের প্রভাবে চীনের মাংস শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হবে। এরপর তারা প্রমাণসহ জানিয়ে দেবে, চীনের গরুর মাংস উৎপাদনে ব্রাজিলের রপ্তানিকৃত মাংস ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে না বরং চাহিদা মেটাতে সহায়তা করে।
গরুর মাংসের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে গত জুনে চীন সরকার খামারিদের উৎপাদন কমাতে বলেছিল। তবে আর্জেন্টিনা থেকে আমদানি বাড়তে থাকায় দাম কমতেই থাকে।
চলতি বছরের প্রথম ১১ মাসে আর্জেন্টিনা থেকে গরুর মাংসের আমদানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৫ লাখ ৩৩ হাজার ৫ টনে দাঁড়িয়েছে। ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত চীন ২৬ লাখ টন গরুর মাংস আমদানি করেছে, যা ২০১৯ সালের একই সময়ে ছিল ১৬ লাখ ৬০ হাজার টন।
চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশি উৎপাদকদের আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে গরুর মাংস আমদানির ওপর তদন্ত শুরু করেছে সরকার। এতে আট মাস সময় লাগবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। তদন্তের প্রয়োজনে সময় বাড়তেও পারে।
ইতিমধ্যে ইউরোপ থেকে দুগ্ধজাত পণ্য ও শূকরের মাংস আমদানিতে শুল্ক আরোপের কথা ভাবছে চীন। তবে এই শুল্ক বা বিধিনিষেধ আরোপের সিদ্ধান্ত দেশের বাজার নিয়ন্ত্রণই একমাত্র উদ্দেশ্য নয় বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। তাঁদের মতে, চীনে তৈরি বিদ্যুৎ চালিত গাড়িতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের শুল্ক পরিকল্পনার জবাবে এ সিদ্ধান্ত নিচ্ছে এশিয়ার এই পরাশক্তি।

দেশের ডেনিম শিল্পের সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী ‘বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো’-এর ১৯ তম আসর আজ। দুই দিনের এই এক্সপো অনুষ্ঠিত হবে ৫ ও ৬ নভেম্বর রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি)।
১০ মিনিট আগে
সিকিউরিটিজ আইন ও বিধিবিধান ভঙ্গের দায়ে আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ আলম সারওয়ারকে পাঁচ কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
৪১ মিনিট আগে
পোশাক উৎপাদনে ন্যূনতম ২০ শতাংশ মার্কিন কাঁচামাল ব্যবহার করা হলে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির ক্ষেত্রে আরোপিত অতিরিক্ত শুল্ক থেকে বাংলাদেশের আনুপাতিক ছাড় পাওয়ার সুযোগ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা বা বাস্তবায়ন নির্দেশনা না থাকায় দ্রুত স্পষ্টীকরণ চেয়েছে বাংলাদেশ...
৪৩ মিনিট আগে
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বিশাল অঙ্কের খেলাপি ঋণ গোপন রেখে নিয়মিত দেখানো হতো। তবে কোনো পরিদর্শক প্রকৃত সত্য প্রতিবেদন দিতে পারতেন না। সরকার পরিবর্তনের পর এ তথ্য ধীরে ধীরে প্রকাশ পাচ্ছে। খেলাপি ঋণ কীভাবে গোপন রাখা হতো এবং কেন তা ব্যাংক পরিদর্শনে ধরা পড়েনি—এ বিষয়গুলো ঢাকায় সফররত...
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের ডেনিম শিল্পের সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী ‘বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো’-এর ১৯ তম আসর আজ। দুই দিনের এই এক্সপো অনুষ্ঠিত হবে ৫ ও ৬ নভেম্বর রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি)।
এ বছর প্রদর্শনীতে বাংলাদেশ, ভারত, চীন, পাকিস্তান, তুরস্ক, স্পেন, অস্ট্রেলিয়া, ভিয়েতনাম, জার্মানি ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ ১০টি দেশ থেকে ৪৫ টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে।
এরা মূলত ফ্যাব্রিক মিল (ডেনিম ও নন-ডেনিম), গার্মেন্টস প্রস্তুতকারক, সুতা উৎপাদক, ওয়াশিং ও লন্ড্রি, অ্যাকসেসরিজ ও ট্রিমস, কেমিক্যালস, মেশিনারি বা প্রযুক্তি এবং লজিস্টিকস ক্যাটাগরিতে পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করবে।

দেশের ডেনিম শিল্পের সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী ‘বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো’-এর ১৯ তম আসর আজ। দুই দিনের এই এক্সপো অনুষ্ঠিত হবে ৫ ও ৬ নভেম্বর রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি)।
এ বছর প্রদর্শনীতে বাংলাদেশ, ভারত, চীন, পাকিস্তান, তুরস্ক, স্পেন, অস্ট্রেলিয়া, ভিয়েতনাম, জার্মানি ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ ১০টি দেশ থেকে ৪৫ টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে।
এরা মূলত ফ্যাব্রিক মিল (ডেনিম ও নন-ডেনিম), গার্মেন্টস প্রস্তুতকারক, সুতা উৎপাদক, ওয়াশিং ও লন্ড্রি, অ্যাকসেসরিজ ও ট্রিমস, কেমিক্যালস, মেশিনারি বা প্রযুক্তি এবং লজিস্টিকস ক্যাটাগরিতে পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করবে।

বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মাংস আমদানি করে চীন। ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ও অস্ট্রেলিয়া থেকে নিয়মিত গরুর মাংস আমদানি করে দেশটি। দেশের অভ্যন্তরেও গরুর মাংস উৎপাদিত হয়। তবে হঠাৎই চীনা বাজারে বেড়ে গেছে গরুর মাংসের সরবরাহ। যার প্রভাবে গত কয়েক বছরের মধ্যে দাম সর্বনিম্নে নেমে গেছে।
২৯ ডিসেম্বর ২০২৪
সিকিউরিটিজ আইন ও বিধিবিধান ভঙ্গের দায়ে আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ আলম সারওয়ারকে পাঁচ কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
৪১ মিনিট আগে
পোশাক উৎপাদনে ন্যূনতম ২০ শতাংশ মার্কিন কাঁচামাল ব্যবহার করা হলে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির ক্ষেত্রে আরোপিত অতিরিক্ত শুল্ক থেকে বাংলাদেশের আনুপাতিক ছাড় পাওয়ার সুযোগ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা বা বাস্তবায়ন নির্দেশনা না থাকায় দ্রুত স্পষ্টীকরণ চেয়েছে বাংলাদেশ...
৪৩ মিনিট আগে
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বিশাল অঙ্কের খেলাপি ঋণ গোপন রেখে নিয়মিত দেখানো হতো। তবে কোনো পরিদর্শক প্রকৃত সত্য প্রতিবেদন দিতে পারতেন না। সরকার পরিবর্তনের পর এ তথ্য ধীরে ধীরে প্রকাশ পাচ্ছে। খেলাপি ঋণ কীভাবে গোপন রাখা হতো এবং কেন তা ব্যাংক পরিদর্শনে ধরা পড়েনি—এ বিষয়গুলো ঢাকায় সফররত...
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সিকিউরিটিজ আইন ও বিধিবিধান ভঙ্গের দায়ে আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ আলম সারওয়ারকে পাঁচ কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
আজ মঙ্গলবার সংস্থার চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৯৮০ তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভা শেষে বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আবুল কালাম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
বিএসইসি জানায়, ‘আইএফআইসি গ্যারান্টিড শ্রীপুর টাউনশীপ গ্রিন জিরো কুপন বন্ড’ শীর্ষক ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা অভিহিত মূল্যের ও ১ হাজার কোটি টাকা ইস্যু মূল্যের বন্ডটির জামিনদার (গ্যারান্টার) হিসেবে আইএফআইসি ব্যাংক এবং অ্যাডভাইজার ও অ্যারেঞ্জার হিসেবে আইএফআইসি ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড দায়িত্ব পালন করেছে। আইএফআইসি ব্যাংক ওই বন্ড ইস্যু করেনি। মূলত রিয়েল এস্টেট কোম্পানি শ্রীপুর টাউনশীপ লিমিটেড (এসটিএল) ওই বন্ডের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করেছে। কিন্তু বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে বন্ডের নাম হিসেবে ‘আইএফআইসি আমার বন্ড’ নামটি ব্যবহার করা হয়েছে, যা বিনিয়োগকারীকে ধারণা দেয় যে, এ বন্ড আইএফআইসি ব্যাংক ইস্যু করেছে; কিন্তু ব্যাংকটি ছিল মূলত বন্ডটির জামিনদার। এভাবে বিনিয়োগকারীদের প্রতারিত করে বিনিয়োগে আকৃষ্ট করা হয়।
বিএসইসি এও জানায়, এর আগে ৯৬৫ তম কমিশন সভায় ওই বন্ডের অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। একই অপরাধে এবার ব্যাংকের তৎকালীন এমডি শাহ আলম সারওয়ারকে পাঁচ কোটি টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে কমিশন।

সিকিউরিটিজ আইন ও বিধিবিধান ভঙ্গের দায়ে আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ আলম সারওয়ারকে পাঁচ কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
আজ মঙ্গলবার সংস্থার চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৯৮০ তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভা শেষে বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আবুল কালাম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
বিএসইসি জানায়, ‘আইএফআইসি গ্যারান্টিড শ্রীপুর টাউনশীপ গ্রিন জিরো কুপন বন্ড’ শীর্ষক ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা অভিহিত মূল্যের ও ১ হাজার কোটি টাকা ইস্যু মূল্যের বন্ডটির জামিনদার (গ্যারান্টার) হিসেবে আইএফআইসি ব্যাংক এবং অ্যাডভাইজার ও অ্যারেঞ্জার হিসেবে আইএফআইসি ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড দায়িত্ব পালন করেছে। আইএফআইসি ব্যাংক ওই বন্ড ইস্যু করেনি। মূলত রিয়েল এস্টেট কোম্পানি শ্রীপুর টাউনশীপ লিমিটেড (এসটিএল) ওই বন্ডের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করেছে। কিন্তু বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে বন্ডের নাম হিসেবে ‘আইএফআইসি আমার বন্ড’ নামটি ব্যবহার করা হয়েছে, যা বিনিয়োগকারীকে ধারণা দেয় যে, এ বন্ড আইএফআইসি ব্যাংক ইস্যু করেছে; কিন্তু ব্যাংকটি ছিল মূলত বন্ডটির জামিনদার। এভাবে বিনিয়োগকারীদের প্রতারিত করে বিনিয়োগে আকৃষ্ট করা হয়।
বিএসইসি এও জানায়, এর আগে ৯৬৫ তম কমিশন সভায় ওই বন্ডের অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। একই অপরাধে এবার ব্যাংকের তৎকালীন এমডি শাহ আলম সারওয়ারকে পাঁচ কোটি টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে কমিশন।

বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মাংস আমদানি করে চীন। ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ও অস্ট্রেলিয়া থেকে নিয়মিত গরুর মাংস আমদানি করে দেশটি। দেশের অভ্যন্তরেও গরুর মাংস উৎপাদিত হয়। তবে হঠাৎই চীনা বাজারে বেড়ে গেছে গরুর মাংসের সরবরাহ। যার প্রভাবে গত কয়েক বছরের মধ্যে দাম সর্বনিম্নে নেমে গেছে।
২৯ ডিসেম্বর ২০২৪
দেশের ডেনিম শিল্পের সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী ‘বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো’-এর ১৯ তম আসর আজ। দুই দিনের এই এক্সপো অনুষ্ঠিত হবে ৫ ও ৬ নভেম্বর রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি)।
১০ মিনিট আগে
পোশাক উৎপাদনে ন্যূনতম ২০ শতাংশ মার্কিন কাঁচামাল ব্যবহার করা হলে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির ক্ষেত্রে আরোপিত অতিরিক্ত শুল্ক থেকে বাংলাদেশের আনুপাতিক ছাড় পাওয়ার সুযোগ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা বা বাস্তবায়ন নির্দেশনা না থাকায় দ্রুত স্পষ্টীকরণ চেয়েছে বাংলাদেশ...
৪৩ মিনিট আগে
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বিশাল অঙ্কের খেলাপি ঋণ গোপন রেখে নিয়মিত দেখানো হতো। তবে কোনো পরিদর্শক প্রকৃত সত্য প্রতিবেদন দিতে পারতেন না। সরকার পরিবর্তনের পর এ তথ্য ধীরে ধীরে প্রকাশ পাচ্ছে। খেলাপি ঋণ কীভাবে গোপন রাখা হতো এবং কেন তা ব্যাংক পরিদর্শনে ধরা পড়েনি—এ বিষয়গুলো ঢাকায় সফররত...
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পোশাক উৎপাদনে ন্যূনতম ২০ শতাংশ মার্কিন কাঁচামাল ব্যবহার করা হলে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির ক্ষেত্রে আরোপিত অতিরিক্ত শুল্ক থেকে বাংলাদেশের আনুপাতিক ছাড় পাওয়ার সুযোগ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা বা বাস্তবায়ন নির্দেশনা না থাকায় দ্রুত স্পষ্টীকরণ চেয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর উত্তরায় মার্কিন তুলা রপ্তানিকারক সংগঠন কটন ইউএসএর এক উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে বিষয়টি তুলে ধরে বিজিএমইএ। বৈঠকে দুই দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণ, বাংলাদেশের তৈরি পোশাকে মার্কিন তুলার ব্যবহার বৃদ্ধি এবং ঘোষিত শুল্ক সুবিধা বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। সংগঠনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহসভাপতি ইনামুল হক খান ও পরিচালক নাফিস-উদ-দৌলা। মার্কিন প্রতিনিধিদলে ছিলেন ইকমের লি ইন, কারগিলের ক্রিস্টা রিকম্যান, এলডিসির ডিয়েগো লোজাদা, ওলাম এগ্রির ওয়েসলি রেন্টজ, ক্যারোলিনা কটন গ্রোয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের ওয়েন বোসম্যানসহ আরও অনেকে।
বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, নতুন শুল্কছাড় বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের জন্য এক বড় সুযোগ। কিন্তু এই সুবিধা কার্যকরভাবে পেতে কারখানাগুলোকে কী প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে, সে বিষয়ে কোনো সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা নেই। মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত ব্যাখ্যা পাওয়া গেলে উদ্যোক্তারা প্রস্তুতি নিতে পারবেন।
মাহমুদ হাসান খান বলেন, বর্তমানে আমদানি করা তুলার প্রায় ১০ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসে, যা দ্বিগুণ বা ৩ গুণ পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব। তবে এ জন্য প্রয়োজন দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ও সুচিন্তিত কৌশলগত পদক্ষেপ। মার্কিন তুলার উচ্চ গুণগত মান ও তুলনামূলক সুবিধার বিষয়ে গবেষণা করে সুতা উৎপাদনকারীদের তথ্য সরবরাহ করা হলে তাঁরা আমদানি বাড়াতে উৎসাহিত হবেন।

পোশাক উৎপাদনে ন্যূনতম ২০ শতাংশ মার্কিন কাঁচামাল ব্যবহার করা হলে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির ক্ষেত্রে আরোপিত অতিরিক্ত শুল্ক থেকে বাংলাদেশের আনুপাতিক ছাড় পাওয়ার সুযোগ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা বা বাস্তবায়ন নির্দেশনা না থাকায় দ্রুত স্পষ্টীকরণ চেয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর উত্তরায় মার্কিন তুলা রপ্তানিকারক সংগঠন কটন ইউএসএর এক উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে বিষয়টি তুলে ধরে বিজিএমইএ। বৈঠকে দুই দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণ, বাংলাদেশের তৈরি পোশাকে মার্কিন তুলার ব্যবহার বৃদ্ধি এবং ঘোষিত শুল্ক সুবিধা বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। সংগঠনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহসভাপতি ইনামুল হক খান ও পরিচালক নাফিস-উদ-দৌলা। মার্কিন প্রতিনিধিদলে ছিলেন ইকমের লি ইন, কারগিলের ক্রিস্টা রিকম্যান, এলডিসির ডিয়েগো লোজাদা, ওলাম এগ্রির ওয়েসলি রেন্টজ, ক্যারোলিনা কটন গ্রোয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের ওয়েন বোসম্যানসহ আরও অনেকে।
বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, নতুন শুল্কছাড় বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের জন্য এক বড় সুযোগ। কিন্তু এই সুবিধা কার্যকরভাবে পেতে কারখানাগুলোকে কী প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে, সে বিষয়ে কোনো সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা নেই। মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত ব্যাখ্যা পাওয়া গেলে উদ্যোক্তারা প্রস্তুতি নিতে পারবেন।
মাহমুদ হাসান খান বলেন, বর্তমানে আমদানি করা তুলার প্রায় ১০ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসে, যা দ্বিগুণ বা ৩ গুণ পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব। তবে এ জন্য প্রয়োজন দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ও সুচিন্তিত কৌশলগত পদক্ষেপ। মার্কিন তুলার উচ্চ গুণগত মান ও তুলনামূলক সুবিধার বিষয়ে গবেষণা করে সুতা উৎপাদনকারীদের তথ্য সরবরাহ করা হলে তাঁরা আমদানি বাড়াতে উৎসাহিত হবেন।

বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মাংস আমদানি করে চীন। ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ও অস্ট্রেলিয়া থেকে নিয়মিত গরুর মাংস আমদানি করে দেশটি। দেশের অভ্যন্তরেও গরুর মাংস উৎপাদিত হয়। তবে হঠাৎই চীনা বাজারে বেড়ে গেছে গরুর মাংসের সরবরাহ। যার প্রভাবে গত কয়েক বছরের মধ্যে দাম সর্বনিম্নে নেমে গেছে।
২৯ ডিসেম্বর ২০২৪
দেশের ডেনিম শিল্পের সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী ‘বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো’-এর ১৯ তম আসর আজ। দুই দিনের এই এক্সপো অনুষ্ঠিত হবে ৫ ও ৬ নভেম্বর রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি)।
১০ মিনিট আগে
সিকিউরিটিজ আইন ও বিধিবিধান ভঙ্গের দায়ে আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ আলম সারওয়ারকে পাঁচ কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
৪১ মিনিট আগে
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বিশাল অঙ্কের খেলাপি ঋণ গোপন রেখে নিয়মিত দেখানো হতো। তবে কোনো পরিদর্শক প্রকৃত সত্য প্রতিবেদন দিতে পারতেন না। সরকার পরিবর্তনের পর এ তথ্য ধীরে ধীরে প্রকাশ পাচ্ছে। খেলাপি ঋণ কীভাবে গোপন রাখা হতো এবং কেন তা ব্যাংক পরিদর্শনে ধরা পড়েনি—এ বিষয়গুলো ঢাকায় সফররত...
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বিশাল অঙ্কের খেলাপি ঋণ গোপন রেখে নিয়মিত দেখানো হতো। তবে কোনো পরিদর্শক প্রকৃত সত্য প্রতিবেদন দিতে পারতেন না। সরকার পরিবর্তনের পর এ তথ্য ধীরে ধীরে প্রকাশ পাচ্ছে। খেলাপি ঋণ কীভাবে গোপন রাখা হতো এবং কেন তা ব্যাংক পরিদর্শনে ধরা পড়েনি—এ বিষয়গুলো ঢাকায় সফররত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধিদলের নজরে এসেছে। তারা ব্যাংক পরিদর্শনপ্রক্রিয়ার ত্রুটি আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে।
আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠকে আইএমএফ সদস্যরা খেলাপি ঋণ বাড়ার নেপথ্যে কর্মকর্তাদের ভূমিকা ও আইনি দুর্বলতা পর্যালোচনার আহ্বান জানান। বৈঠকে খেলাপি ঋণের প্রকৃত চিত্র, ব্যাংক খাতের তারল্য সংকট ও ঋণ বাড়ার কারণ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
বৈঠকে আইএমএফ জানিয়েছে, তাদের ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচির শর্ত অনুযায়ী, ২০২৬ সালের মধ্যে সরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের হার ১০ শতাংশের নিচে নামানোর প্রতিশ্রুতি ছিল। কিন্তু বাস্তবে পরিস্থিতি উল্টো। সরকার পরিবর্তনের পর গোপন করা প্রকৃত তথ্য প্রকাশিত হলে দেখা গেছে, মাত্র এক বছরে খেলাপি ঋণের পরিমাণ প্রায় ৪ লাখ কোটি থেকে বেড়ে সাড়ে ৬ লাখ কোটি টাকা হয়েছে। সরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপির হার ৪০ শতাংশ ছাড়িয়েছে আর বেসরকারি খাতে ঋণহার ১০ শতাংশের ওপরে পৌঁছেছে।
সূত্র জানায়, ব্যাংকে খেলাপি ঋণ গোপন করার বিষয়টি রহস্যজনক। এতে সিস্টেমের দুর্বলতা বা কারচুপি দুটোরই ভূমিকা থাকতে পারে। যাঁরা ব্যাংক ইন্সপেকশন করেছেন, তাঁরা হয়তো দায়সারা পরিদর্শন করেছেন। আইএমএফ দ্রুত প্রকৃত কারণ জানাতে অনুরোধ করেছে।

আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বিশাল অঙ্কের খেলাপি ঋণ গোপন রেখে নিয়মিত দেখানো হতো। তবে কোনো পরিদর্শক প্রকৃত সত্য প্রতিবেদন দিতে পারতেন না। সরকার পরিবর্তনের পর এ তথ্য ধীরে ধীরে প্রকাশ পাচ্ছে। খেলাপি ঋণ কীভাবে গোপন রাখা হতো এবং কেন তা ব্যাংক পরিদর্শনে ধরা পড়েনি—এ বিষয়গুলো ঢাকায় সফররত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধিদলের নজরে এসেছে। তারা ব্যাংক পরিদর্শনপ্রক্রিয়ার ত্রুটি আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে।
আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠকে আইএমএফ সদস্যরা খেলাপি ঋণ বাড়ার নেপথ্যে কর্মকর্তাদের ভূমিকা ও আইনি দুর্বলতা পর্যালোচনার আহ্বান জানান। বৈঠকে খেলাপি ঋণের প্রকৃত চিত্র, ব্যাংক খাতের তারল্য সংকট ও ঋণ বাড়ার কারণ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
বৈঠকে আইএমএফ জানিয়েছে, তাদের ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচির শর্ত অনুযায়ী, ২০২৬ সালের মধ্যে সরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের হার ১০ শতাংশের নিচে নামানোর প্রতিশ্রুতি ছিল। কিন্তু বাস্তবে পরিস্থিতি উল্টো। সরকার পরিবর্তনের পর গোপন করা প্রকৃত তথ্য প্রকাশিত হলে দেখা গেছে, মাত্র এক বছরে খেলাপি ঋণের পরিমাণ প্রায় ৪ লাখ কোটি থেকে বেড়ে সাড়ে ৬ লাখ কোটি টাকা হয়েছে। সরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপির হার ৪০ শতাংশ ছাড়িয়েছে আর বেসরকারি খাতে ঋণহার ১০ শতাংশের ওপরে পৌঁছেছে।
সূত্র জানায়, ব্যাংকে খেলাপি ঋণ গোপন করার বিষয়টি রহস্যজনক। এতে সিস্টেমের দুর্বলতা বা কারচুপি দুটোরই ভূমিকা থাকতে পারে। যাঁরা ব্যাংক ইন্সপেকশন করেছেন, তাঁরা হয়তো দায়সারা পরিদর্শন করেছেন। আইএমএফ দ্রুত প্রকৃত কারণ জানাতে অনুরোধ করেছে।

বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মাংস আমদানি করে চীন। ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ও অস্ট্রেলিয়া থেকে নিয়মিত গরুর মাংস আমদানি করে দেশটি। দেশের অভ্যন্তরেও গরুর মাংস উৎপাদিত হয়। তবে হঠাৎই চীনা বাজারে বেড়ে গেছে গরুর মাংসের সরবরাহ। যার প্রভাবে গত কয়েক বছরের মধ্যে দাম সর্বনিম্নে নেমে গেছে।
২৯ ডিসেম্বর ২০২৪
দেশের ডেনিম শিল্পের সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী ‘বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো’-এর ১৯ তম আসর আজ। দুই দিনের এই এক্সপো অনুষ্ঠিত হবে ৫ ও ৬ নভেম্বর রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি)।
১০ মিনিট আগে
সিকিউরিটিজ আইন ও বিধিবিধান ভঙ্গের দায়ে আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ আলম সারওয়ারকে পাঁচ কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
৪১ মিনিট আগে
পোশাক উৎপাদনে ন্যূনতম ২০ শতাংশ মার্কিন কাঁচামাল ব্যবহার করা হলে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির ক্ষেত্রে আরোপিত অতিরিক্ত শুল্ক থেকে বাংলাদেশের আনুপাতিক ছাড় পাওয়ার সুযোগ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা বা বাস্তবায়ন নির্দেশনা না থাকায় দ্রুত স্পষ্টীকরণ চেয়েছে বাংলাদেশ...
৪৩ মিনিট আগে