রোগ

ডায়রিয়া ও অন্যান্য রোগে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে বয়স্ক ও শিশুর সংখ্যাই বেশি। প্রয়োজনের তুলনায় শয্যা না থাকায় অনেক রোগীকে বাধ্য হয়ে হাসপাতালের মেঝে ও বারান্দায় বিছানা পেতে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।

ঘটনা অনেক। কোনটা ছেড়ে কোনটা বলা যায়, তার হিসাবও বেশ কঠিন। দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত মা ও স্বামীকে ঘরে রেখে সন্তান নিয়ে ভিক্ষা করা নারীকে ছোট্ট ব্যবসা ধরিয়ে দিয়ে স্বাবলম্বী করার ঘটনা যেমন আছে...

আলসারেটিভ কোলাইটিস হচ্ছে পেটের প্রদাহজনিত যন্ত্রণাদায়ক সমস্যা। এর ফলে বৃহদন্ত্র ও কোলনে প্রদাহ এবং ঘা হয়। এ ঘা রোগীর পেটে ব্যথা সৃষ্টি করে। ছোট ছোট আলসার বা ঘা পুরো কোলনকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং সচেতন না হওয়ায় আমাদের দেশের জনগণের মধ্যে এ রোগে আক্রান্তের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে দিন দিন।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বাড়ছে লিভার সিরোসিস এবং লিভার ক্যানসারের মতো মরণব্যাধি। আর এর পেছনে প্রধান কারণ হেপাটাইটিস বি ভাইরাস। চিকিৎসকেরা বলছেন, ‘দেশে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ লিভার সিরোসিস এবং লিভার ক্যানসারের প্রধান কারণ এই ভাইরাসটি।’ 

মাশরুম থেকে তৈরি এক ধরনের ওষুধ ১২ সপ্তাহের মধ্যে বিষণ্ন রোগীদের অবস্থার উন্নতি ঘটায় বলে সম্প্রতি এক পরীক্ষায় দেখা গেছে। সাইলোসাইবিন নামের ২৫ মিলিগ্রামের একটি ট্যাবলেট রোগীদের স্বপ্নের ঘোরে নিয়ে যায়। এর ফলে রোগীদের ওপর মনস্তাত্ত্বিক থেরাপি সফল হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। 

যান্ত্রিক জীবনে শারীরিক কসরতের প্রবণতা দিন দিন কমছে। শরীরে ডানা বাঁধছে নানা রোগ। শারীরিক কসরত না করার বিষয়ে এবার দুঃসংবাদ দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিওএইচও)। সংস্থাটি সতর্ক করে বলেছে, শারীরিক কসরতে নাগরিকদের উৎসাহিত করতে সরকার যদি এখনই জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ না করে তাহলে ২০৩০ সাল নাগাদ কমপক্ষে ৫০

যে বয়সে আট-দশটা শিশু হাঁটতে পারে, সে বয়সে রায়হানকে বসিয়ে দিতে হয়। ২২ মাস বয়সী এই শিশু ওঠাবসা করতে পারে না। চিকিৎসকদের ভাষায়, স্পাইনাল মাসক্যুলার অ্যাট্রফি (এসএমএ) নামে স্নায়ুরোগে ভুগছে...

ডেঙ্গু জ্বর ভাইরাসজনিত রোগ। এটি যন্ত্রণাদায়ক হলেও মরনব্যাধি নয়। তবে রক্তক্ষরণসহ ডেঙ্গু জ্বরে রোগী সঠিক সময়ে চিকিৎসা না পেলে ১২ থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মারা যেতে পারে। ডেঙ্গু ভাইরাস মানুষ থেকে মশা, আবার মশা থেকে...

মাথার ত্বক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় চর্মরোগ সেবোরিক ডার্মাটাইটিসের মাধ্যমে। এ রোগের কারণে আক্রান্ত জায়গা লাল এবং খসখসে হয়ে যায়, খুশকি দেখা দেয়। এমনকি সেবোরিক ডার্মাটাইটিস হলে মুখমণ্ডল ও বুকের ওপরের অংশ এবং পিঠের মতো শরীরের তৈলাক্ত অংশ আক্রান্ত হতে পারে। এর কারণে অস্বস্তিবোধ হয়। এটি কোনো সংক্রামক রোগ নয়।

মলদ্বারের ভেতরের সঙ্গে বাইরের নালি তৈরি হওয়াকে ফিস্টুলা বলে। মলদ্বারে ফোড়া হওয়া রোগীদের শতকরা ৫০ ভাগের ফিস্টুলা হয়ে থাকে। এ ছাড়া মলদ্বারের যক্ষ্মা, বৃহদন্ত্রের প্রদাহ এবং মলদ্বারের ক্যানসার থেকে ফিস্টুলা হতে পারে।

রাজধানী ঢাকার পর এ বছর পর্যটন নগরী কক্সবাজারকে ডেঙ্গুর হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। কক্সবাজার শহর ও টেকনাফ-উখিয়া উপজেলার রোহিঙ্গা শিবিরের নির্দিষ্ট কয়েকটি এলাকায় এডিস মশাবাহিত এ রোগের প্রকোপ বেশি।

অক্টোবরজুড়েই চলছে ডেঙ্গুর তীব্র প্রকোপ। প্রতিদিন কয়েক শ মানুষ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। প্রাণ হারাচ্ছে অনেকে। তবে সরকারি হিসাবের আওতাধীন হাসপাতালগুলোতে গত ২৪ ঘণ্টায় কোনো ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়নি বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এদিন ৪০৯ জনের শরীরে ডেঙ্গুর অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। 

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, মশা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে ডেঙ্গু রোগী বাড়বেই। রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। 

পূর্ণ অবস্থায় ভ্রূণ বের হলে তাকে গর্ভপাত বলা হয়। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় এর সহজ সমাধান থাকলেও অভিজ্ঞ চিকিৎসকের অভাবে অনেকেই এর সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছেন না।

প্রতিদিন কিছু শারীরিক ব্যায়াম এবং নিয়মকানুন মেনে চললে শরীর থাকবে রোগমুক্ত, কর্মচঞ্চল, ফুরফুরে। সেগুলো জেনে নিয়ে আলস্য ছেড়ে নিজেকে গড়ে তুলুন ডায়ানামিক ডিরেক্টর হিসেবে।

গাড়ির চালকদের নিয়মিত দৃষ্টিশক্তি পরীক্ষা করানো হলে প্রতিবছর সড়কে বহু মানুষের মৃত্যু ঠেকানো যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য ও চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন

পথেঘাটে চলতে গিয়ে অসাবধানতাবশত হঠাৎই পা মচকে যেতে পারে। জুতার সমস্যা, অসমতল পথ, খেলাধুলা, লাফঝাঁপ ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে মচকে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।