ডা. মোহাম্মদ তানভীর জালাল
অত্যধিক পেটের ব্যথাকে সংক্ষেপে আইবিএস বলা হয়। এই রোগে পেট বেশি স্পর্শকাতর হয় বলে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ক্রিয়াশীল থাকে। এতে প্রতি ১০০ জন পুরুষের মধ্যে ২০ দশমিক ৬ জন এবং প্রতি ১০০ জন নারীর মধ্যে ২৭ দশমিক ৭ জন আক্রান্ত হয়ে থাকেন।
কারণ
· খাদ্যনালির অতি সংবেদনশীলতা
· পরিপাকতন্ত্রের নড়াচড়ার অস্বাভাবিকতা
· অন্ত্র থেকে মস্তিষ্কে পাঠানো বার্তায় ত্রুটি
· স্নায়ুর চাপ ও দুশ্চিন্তা
· খাদ্যাভ্যাস
· অন্ত্রের প্রদাহ ও সংক্রমণ
· নারীদের মাসিক চক্রের সঙ্গে হরমোন নিঃসরণ
· মাদক গ্রহণ
· বংশগত কারণ
· পেটের যেকোনো অপারেশন
· দীর্ঘকাল অ্যান্টিবায়োটিক সেবন।
উপসর্গসমূহ
পেটব্যথা, পেট ফাঁপা, পায়খানার সঙ্গে আম যাওয়া, ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং ডায়রিয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমন্বয় ইত্যাদি। কোনো রোগীকে আইবিএস হিসেবে শনাক্ত করতে হলে এই লক্ষণগুলোর অন্তত দুটি লক্ষণ তিন মাস পর্যন্ত উপস্থিত থাকতে হবে।
এ ছাড়া অন্য যেসব লক্ষণ থাকতে পারে সেগুলো হলো: পেটে অত্যধিক গ্যাস ও শব্দ, বুকজ্বলা, বদহজম, পায়খানা সম্পূর্ণ না হওয়া, পেটে ব্যথা হলে টয়লেটে যাওয়ার খুব তাড়া, পেটে ব্যথা হলে পাতলা পায়খানা হওয়া, শারীরিক অবসাদ ও দুর্বলতা, মাথা, পিঠ বা কোমরে ব্যথা, ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ, নারীদের ক্ষেত্রে মাসিক চলাকালীন অথবা মিলনের সময় ব্যথা।
পরীক্ষা
এই রোগ উপসর্গের ওপর ভিত্তি করে নির্ণয় করা হয়। রোগীর বয়স ও সুনির্দিষ্ট লক্ষণের ওপর নির্ভর করে এক বা একাধিক পরীক্ষার প্রয়োজন হয়। ৪০ বছরের কম বয়সী রোগীদের ক্ষেত্রে লক্ষণের ওপর নির্ভর করে রোগ শনাক্ত করা যায়। বয়স ৪০ বছরের ওপরে হলে কিছু পরীক্ষার প্রয়োজন হতে পারে।
তবে আইবিএস রোগীর ক্ষেত্রে এসব পরীক্ষার ফলাফল স্বাভাবিক থাকবে। পরীক্ষাগুলো হলো—
রক্ত ও মল পরীক্ষা, পেটের এক্স-রে, বেরিয়াম এনেমা ও কোলোনোস্কপি।
চিকিৎসা ও করণীয়
আইবিএস ঝুঁকিপূর্ণ, সংক্রামক এমনকি বংশগত রোগ নয়। এ রোগ অন্ত্রের ক্যানসার কিংবা অন্য কোনো ক্যানসারের কারণও নয়। বর্তমানে আইবিএসের চিকিৎসা উপসর্গভিত্তিক। ডায়রিয়া প্রবণ আইবিএস, কোষ্ঠকাঠিন্যপ্রবণ আইবিএস এবং উভয় লক্ষণ থাকলে সে অনুযায়ী চিকিৎসা দেওয়া হয়। আইবিএস চিকিৎসায় কোনো একক ওষুধ সম্পূর্ণভাবে কার্যকর নয়। এর জন্য খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে। দুধ ও দুধজাতীয় খাবার বাদ দিতে হবে। এ ছাড়া যে খাবারগুলো উপসর্গ বাড়িয়ে দেয়, সেগুলো বাদ দিতে হবে। মানসিক চাপমুক্ত থাকতে হবে। ব্যায়াম করতে পারেন অথবা মনকে আনন্দ ও প্রশান্তি দেয় এমন কিছু করতে পারেন।
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক ও সার্জন, কলোরেক্টাল সার্জারি বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা এবং কলোরেক্টাল, লেপারোস্কপিক ও জেনারেল সার্জন
চেম্বার: ১৯ গ্রিন রোড, এ কে কমপ্লেক্স, অগ্রণী ব্যাংক ভবন, ঢাকা
অত্যধিক পেটের ব্যথাকে সংক্ষেপে আইবিএস বলা হয়। এই রোগে পেট বেশি স্পর্শকাতর হয় বলে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ক্রিয়াশীল থাকে। এতে প্রতি ১০০ জন পুরুষের মধ্যে ২০ দশমিক ৬ জন এবং প্রতি ১০০ জন নারীর মধ্যে ২৭ দশমিক ৭ জন আক্রান্ত হয়ে থাকেন।
কারণ
· খাদ্যনালির অতি সংবেদনশীলতা
· পরিপাকতন্ত্রের নড়াচড়ার অস্বাভাবিকতা
· অন্ত্র থেকে মস্তিষ্কে পাঠানো বার্তায় ত্রুটি
· স্নায়ুর চাপ ও দুশ্চিন্তা
· খাদ্যাভ্যাস
· অন্ত্রের প্রদাহ ও সংক্রমণ
· নারীদের মাসিক চক্রের সঙ্গে হরমোন নিঃসরণ
· মাদক গ্রহণ
· বংশগত কারণ
· পেটের যেকোনো অপারেশন
· দীর্ঘকাল অ্যান্টিবায়োটিক সেবন।
উপসর্গসমূহ
পেটব্যথা, পেট ফাঁপা, পায়খানার সঙ্গে আম যাওয়া, ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং ডায়রিয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমন্বয় ইত্যাদি। কোনো রোগীকে আইবিএস হিসেবে শনাক্ত করতে হলে এই লক্ষণগুলোর অন্তত দুটি লক্ষণ তিন মাস পর্যন্ত উপস্থিত থাকতে হবে।
এ ছাড়া অন্য যেসব লক্ষণ থাকতে পারে সেগুলো হলো: পেটে অত্যধিক গ্যাস ও শব্দ, বুকজ্বলা, বদহজম, পায়খানা সম্পূর্ণ না হওয়া, পেটে ব্যথা হলে টয়লেটে যাওয়ার খুব তাড়া, পেটে ব্যথা হলে পাতলা পায়খানা হওয়া, শারীরিক অবসাদ ও দুর্বলতা, মাথা, পিঠ বা কোমরে ব্যথা, ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ, নারীদের ক্ষেত্রে মাসিক চলাকালীন অথবা মিলনের সময় ব্যথা।
পরীক্ষা
এই রোগ উপসর্গের ওপর ভিত্তি করে নির্ণয় করা হয়। রোগীর বয়স ও সুনির্দিষ্ট লক্ষণের ওপর নির্ভর করে এক বা একাধিক পরীক্ষার প্রয়োজন হয়। ৪০ বছরের কম বয়সী রোগীদের ক্ষেত্রে লক্ষণের ওপর নির্ভর করে রোগ শনাক্ত করা যায়। বয়স ৪০ বছরের ওপরে হলে কিছু পরীক্ষার প্রয়োজন হতে পারে।
তবে আইবিএস রোগীর ক্ষেত্রে এসব পরীক্ষার ফলাফল স্বাভাবিক থাকবে। পরীক্ষাগুলো হলো—
রক্ত ও মল পরীক্ষা, পেটের এক্স-রে, বেরিয়াম এনেমা ও কোলোনোস্কপি।
চিকিৎসা ও করণীয়
আইবিএস ঝুঁকিপূর্ণ, সংক্রামক এমনকি বংশগত রোগ নয়। এ রোগ অন্ত্রের ক্যানসার কিংবা অন্য কোনো ক্যানসারের কারণও নয়। বর্তমানে আইবিএসের চিকিৎসা উপসর্গভিত্তিক। ডায়রিয়া প্রবণ আইবিএস, কোষ্ঠকাঠিন্যপ্রবণ আইবিএস এবং উভয় লক্ষণ থাকলে সে অনুযায়ী চিকিৎসা দেওয়া হয়। আইবিএস চিকিৎসায় কোনো একক ওষুধ সম্পূর্ণভাবে কার্যকর নয়। এর জন্য খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে। দুধ ও দুধজাতীয় খাবার বাদ দিতে হবে। এ ছাড়া যে খাবারগুলো উপসর্গ বাড়িয়ে দেয়, সেগুলো বাদ দিতে হবে। মানসিক চাপমুক্ত থাকতে হবে। ব্যায়াম করতে পারেন অথবা মনকে আনন্দ ও প্রশান্তি দেয় এমন কিছু করতে পারেন।
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক ও সার্জন, কলোরেক্টাল সার্জারি বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা এবং কলোরেক্টাল, লেপারোস্কপিক ও জেনারেল সার্জন
চেম্বার: ১৯ গ্রিন রোড, এ কে কমপ্লেক্স, অগ্রণী ব্যাংক ভবন, ঢাকা
উন্নত দেশগুলো, এমনকি উন্নয়নশীল দেশগুলোতেও টাইফয়েড এখন খুব কম দেখা যায়। কিন্তু প্রাচীন এই রোগের ফলে আধুনিক বিশ্ব তো বটেই, দুনিয়াজুড়ে বেশ বিপজ্জনক হয়ে উঠছে আবারও। হাজার বছর ধরে মানুষের প্রাণ হন্তারক হিসেবে ‘খুনির’ কাজ করে এসেছে এর জীবাণু। সাম্প্রতিক এক গবেষণা দেখিয়েছে, টাইফয়েডের জন্য দায়ী
২১ ঘণ্টা আগেআমাদের অনেকের প্রায় অনেক সময় নাক খোঁটানোর অভ্যাস আছে। আপাতদৃষ্টে বিষয়টি খুব সাধারণ মনে হলেও গবেষকেরা বলছেন, নাক খোঁটানোর বিষয়টি মোটেও নিরাপদ নয়। ২০২২ সালে বিজ্ঞানবিষয়ক জার্নাল নেচারে প্রকাশিত এক গবেষণায় নাক খোঁটার সঙ্গে স্মৃতিভ্রংশ বা ডিমেনশিয়ার ঝুঁকির ক্ষীণ কিন্তু সম্ভাব্য যোগসূত্রের কথা বলা হয়েছে।
১ দিন আগেদীর্ঘদিন ধরে নারীদেহের এক প্রত্যঙ্গকে ‘অপ্রয়োজনীয়’ বলে মনে করা হতো। তবে নতুন এক গবেষণায় জানা যায়, এই প্রত্যঙ্গটিই নারীর ডিম্বাশয়ের বিকাশ ও প্রজনন ক্ষমতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
১ দিন আগেনানা কারণে ঘুম নেই, মেজাজ খিটখিটে, অতিরিক্ত রাগ আর কোনো কিছুতেই প্রশান্তি নেই। এসব কারণে ইদানীং মানসিক সমস্যার প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। মানসিক সমস্যা মানুষেরই হয়। বিশেষ করে যুবসমাজ এ সমস্যায় ভুগছে মারাত্মকভাবে। যে কারণেই হোক না কেন, মানসিক সমস্যা রোগী নিজে বুঝতে পারে না। তাকে বলাও যায় না...
৩ দিন আগে