Ajker Patrika

পারভেজ হত্যায় অংশ নেয় ছাত্র, অছাত্র ও কিশোর গ্যাং সদস্য

আমানুর রহমান রনি, ঢাকা 
আপডেট : ২২ এপ্রিল ২০২৫, ১১: ৩৭
জাহিদুল ইসলাম পারভেজ (২৪)। ছবি: সংগৃহীত
জাহিদুল ইসলাম পারভেজ (২৪)। ছবি: সংগৃহীত

বেসরকারি প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র জাহিদুল ইসলাম পারভেজকে তাঁর ক্যাম্পাসের সামনেই নৃশংসভাবে কুপিয়ে, পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, অছাত্র, কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য। তাদের মধ্যে ১১ জনকে শনাক্ত করেছে পুলিশ। এরই মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে এবং তাদের সাত দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ সোমবার দুপুরে বনানীর ১৭ নম্বর সড়কে অবস্থিত প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সরেজমিনে দেখা গেছে, ক্যাম্পাসের পরিবেশ থমথমে। এর আগে গত শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকে খুন হন পারভেজ। তাই আজ সোমবারও শিক্ষার্থী, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সবার মুখে পারভেজ হত্যাকাণ্ডের আলোচনা।

কেউ কেউ ঘটনার সময় অনেকের নির্লিপ্ততা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। সৈকত নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ঘটনার সময় প্রধান ফটকে চারজন নিরাপত্তাকর্মী, আট-দশজন শিক্ষার্থী ছিলেন। তাঁরা কেউই পারভেজ ও তাঁর বন্ধুকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেননি। উল্টো সবাই যে যাঁর মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে নিরাপদে আশ্রয় নেন। একপর্যায়ে পারভেজ হামলাকারীদের ধাক্কা দিয়ে প্রধান ফটকের ভেতরে প্রবেশ করলে নিরাপত্তাকর্মীরা শাটার নামিয়ে দেন। তখনো হামলাকারীদের কেউ ধাওয়া দেননি। হামলার পর হামলাকারীরা নিরাপদে সেখান থেকে চলে যায়।

ঘটনাস্থলে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়টির চার নিরাপত্তাকর্মীর তিনজন হলেন মাহামুদুল, সোয়েব ও মনির। অপরজনের নাম জানা যায়নি। তিনজনই ফটকের ভেতরের দিকে ছিলেন। তবে হত্যাকাণ্ডের পর ওই নিরাপত্তাকর্মীদের কথা বলতে নিষেধ করেছে কর্তৃপক্ষ।

অনেক অনুরোধের পর এক নিরাপত্তাকর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, হামলাকারীরা প্রথমে পারভেজের সঙ্গে সড়কে ঝগড়া করে, কথা-কাটাকাটি হয়। এরপর ঘটে হামলার ঘটনা। হামলা এত দ্রুত ঘটে শেষ হয়েছে যে, কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই হামলাকারীরা চলে যায়।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এভাবে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ। পারভেজকে কেউ বাঁচাতে এগিয়ে না আসায় অনেক শিক্ষার্থী নিজেদের সমালোচনা করেন।

ঘটনার সূত্রপাত যেভাবে

পারভেজের মিডটার্ম পরীক্ষা চলছিল। পরীক্ষা শেষে গত শনিবার বেলা ৩টার দিকে পারভেজ তাঁর বন্ধু সুকর্ণ, তরিকুল, ইমতিয়াজসহ কয়েকজন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপরীতে র‍্যানকন বিল্ডিংয়ের সামনের একটি পুরি-শিঙাড়ার দোকানে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। বন্ধুরা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে হাসি-ঠাট্টা করছিলেন। তাঁদের পেছনেই দাঁড়ানো ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব স্কলারসের দুই ছাত্রী ও তাঁদের বন্ধু প্রাইমএশিয়ার মেহেরাজ ইসলাম, আবু জহর গিফফারি পিয়াস ও মাহাথির হাসান।

একপর্যায়ে পারভেজদের হাসাহাসি নিয়ে এই শিক্ষার্থীরা নোটিশ করেন। কেন তাঁদের কটাক্ষ করে হাসাহাসি করা হচ্ছে, তা তাঁরা জানতে চান। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোশাররফ হোসেন বিষয়টি জানতে পারেন। তাঁর উপস্থিতিতে দুই পক্ষকে ডেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল বিভাগের শিক্ষক সুষমা ছোঁয়াতী ও সাইকোলজি বিভাগের শিক্ষক আবুল হাশেম মীমাংসা করে দেন।

দুই পক্ষকে মিটমাট করে দেওয়ার পরও পারভেজের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে এবং তাঁকে হত্যা করা হয়। এ বিষয়ে পারভেজের সহপাঠীরা বলেছেন, হামলাকারীরা বান্ধবীদের কাছে নিজেদের ক্ষমতা ও আধিপত্য দেখাতে হামলা চালিয়ে পারভেজকে হত্যা করে।

হামলায় অংশ নেয় ছাত্র, অছাত্র ও কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য

পারভেজ ও তাঁর বন্ধু তরিকুলের ওপর যারা হামলা চালিয়েছে, তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন ছাত্র থাকলেও কয়েকজন কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যও ছিল। যারা বনানী, মহাখালী ও কড়াইল বস্তি এলাকায় মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত বলে জানিয়েছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ড পরিকল্পনা ও হামলায় ১৫-২০ জন অংশ নিলেও এখন পর্যন্ত ১১ জনের নাম জানা গেছে। তাদের বিস্তারিত পরিচয় ও কর্মকাণ্ডের বিষয়ে অনুসন্ধান করেছে আজকের পত্রিকা।

এই ১১ জনের কারও কারও বিষয়ে মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগ পাওয়া গেছে। তারা মহাখালী, বনানী ও কড়াইল বস্তি এলাকায় ‘বেনসন গ্রুপ’ নামে একটি কিশোর গ্যাং গ্রুপের সদস্য বলে জানা গেছে। তারা ধাওয়া করে পারভেজ ও তাঁর বন্ধু তরিকুলের ওপর হামলা চালায়।

পারভেজ ও তরিকুল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে এলে সেখানেই মেহেরাজ ইসলাম, আবু জহর গিফফারি পিয়াস, মাহাথির হাসানসহ কয়েকজন ছুরি ও লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। একপর্যায়ে আবু জহর গিফফারি পিয়াস ও মাহাথির হাসান পারভেজকে শক্ত করে ধরে রাখেন এবং মেহেরাজ ইসলাম ছুরিকাঘাত করেন। পারভেজের বন্ধু তরিকুল ইসলামকেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন। এতে তরিকুল তাঁর মাথায় ও বাঁ হাতের কনুইয়ে আঘাত পান। অপর দিকে পারভেজের বুকের বাঁ পাশে গভীর ছুরিকাঘাত করা হয়। দুজনকে উদ্ধার করে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পারভেজকে মৃত ঘোষণা করেন।

হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১১ জনের নাম পেয়েছে পুলিশ ও তদন্তসংশ্লিষ্টরা। তারা হলো মেহেরাজ ইসলাম, আবু জহর গিফফারি পিয়াস, মো. মাহাথির হাসান, সোবহান নিয়াজ তুষার, হৃদয় মিয়াজি, রিফাত, আলী, ফাহিম, আল কামাল শেখ ওরফে কামাল, আলভী হোসেন জুনায়েদ ও আল আমিন সানি।

তাঁদের মধ্যে মেহেরাজ ইসলাম প্রাইমএশিয়ার বিবিএর শিক্ষার্থী। থাকেন মহাখালীর হাজারীবাড়ী এলাকায়। তিনি মহাখালীর নাসিম গ্যাংয়ের সদস্য। হামলার সময় যেসব বহিরাগত দেখা যায়, তারা মেহেরাজের পরিচিত।

অভিযুক্ত আবু জহর গিফফারি পিয়াস প্রাইমএশিয়ার এলএলবির শিক্ষার্থী। মহাখালী আমতলা কাঁচাবাজার এলাকায় বাসা তাঁর। কড়াইল বস্তিতেও তাঁর আড্ডা রয়েছে। এই পিয়াসই ধারালো অস্ত্র দিয়ে পারভেজকে আঘাত করেন। সিসি ক্যামেরায় সেই ফুটেজ ধরা পড়েছে।

এ ছাড়া মাহাথির হাসান প্রাইমএশিয়ার ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী। তাঁর গ্রামের বাড়ি গাজীপুরের কাপাসিয়ায়। তিনি কাপাসিয়ায় ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রাইমএশিয়ায় তাঁর সহপাঠীরা এই অভিযোগ করেছেন।

মাহাথির, মেহেরাজ ও পিয়াস মহাখালীর হাজারীপাড়া এলাকায় পরিচিত। তাঁদের সঙ্গে বেনসন কিশোর গ্যাং সদস্যদের সম্পর্ক রয়েছে। শিক্ষকদের মীমাংসার পর এই তিনজনই কিশোর গ্যাং গ্রুপের সদস্যদের খবর দেন। তাঁদের ডাকে হামলায় অংশ নেয় কিশোর গ্যাং সদস্য আল কামাল শেখ ওরফে কামাল, আলভী হোসেন জুনায়েদ ও আল আমিন সানি, রিফাত, আলী ও ফাহিম। তারা সবাই মহাখালী ও বনানীর কড়াইল বস্তি এবং ওই এলাকার আশপাশে বসবাস করে।

তাদের বিরুদ্ধে মাদক সেবন, ছিনতাই ও এলাকায় বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অন্য কিশোর গ্যাংগুলো যেভাবে প্রচারণা চালায়, এই গ্রুপটিকেও সেভাবে প্রচারণা চালাতে দেখা গেছে।

এ ছাড়া হামলার সময় সিসি ক্যামেরার ফুটেজে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বনানী শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক সোবহান নিয়াজ তুষার ও যুগ্ম সদস্যসচিব হৃদয় মিয়াজিকে দেখা গেছে।

ভাইয়ের মামলা, গ্রেপ্তার তিনজন সাত দিনের রিমান্ডে

হত্যার ঘটনায় নিহত পারভেজের চাচাতো ভাই হুমায়ুন কবীর বাদী হয়ে বনানী থানায় একটি মামলা করেছেন। এই ঘটনায় তিন সন্দেহভাজনকে গতকাল মধ্যরাতে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁরা হলেন আল কামাল শেখ ওরফে কামাল, আলভী হোসেন জুনায়েদ ও আল আমিন সানি। তাঁদের ১০ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত সাত দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে কামালের বাড়ি খুলনার তেরখাদা উপজেলার বিলদুড়িয়ার শেখপাড়ায়; আলভীর গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের নান্দাইল দক্ষিণ জাহাঙ্গীরপুরে; আর আল আমিনের বাড়ি জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে। তাঁরা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করতেন। বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেল সারোয়ার বলেন, সিসিটিভি ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্যে হত্যাকাণ্ডে এ তিনজনের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মহাখালীর ওয়্যারলেস গেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তার তিনজন এজাহারভুক্ত আসামিদের পরিচিত। তাঁদের মাধ্যমে হত্যায় জড়িত পলাতক আসামিদের অবস্থান শনাক্তের চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বনানী থানার ওসি রাসেল সারোয়ার বলেন, আসামিদের তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

পুলিশ বলছে, খুনের ঘটনায় ইন্ধনদাতা হিসেবে সেই কথিত ‘প্রেমিকাকে’ শনাক্ত করা হয়েছে। ইউনিভার্সিটি অব স্কলারসের ওই ছাত্রীর বিস্তারিত নাম, পরিচয় ও ঠিকানা খোঁজা হচ্ছে।

মামলার বাদী ও নিহত ব্যক্তির চাচাতো ভাই হুমায়ুন কবীর বলেন, পরিবার হতবিহ্বল হয়ে পড়েছে। চাচা থাকেন কুয়েতে। সন্তানের মৃত্যুর খবরে তিনি দেশে ফিরে এসেছেন। পরিবারের দুই ভাই–বোনের মধ্যে পারভেজ ছিলেন বড়। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে মা দিশেহারা।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতাদের বিরুদ্ধে ছাত্রদলের অভিযোগ

এদিকে পারভেজ হত্যার সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের জড়িত থাকার অভিযোগ করেছে ছাত্রদল। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব জানান, হত্যার ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা জড়িত এবং এটি পরিকল্পিত। হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান তিনি।

আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল মানববন্ধন করে হত্যাকারীদের দ্রুত বিচারের দাবি জানিয়েছে। এ সময় ঢাবি ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস, সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন, সহসভাপতি মাসুম বিল্লাহ, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক নাসিরুদ্দিন শাওন, সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল আমিন ভূঁইয়া ইমন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামিম আক্তার শুভ প্রমুখ নেতা উপস্থিত ছিলেন।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। গতকাল এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা বলেন, ঘটনার সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হৃদয় মিয়াজি ও সোহান তুষার নেয়াজ ছিলেন।

উামামা দাবি করেন, সেখানে তখন ছাত্রদল কর্মী তাওহিদ, প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ইমতিয়াজ জাহিদ এবং আরও কিছু সাধারণ শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘তবে তদন্তের আগে আমরা কোনোভাবেই সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে চাই না যে কারা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। অপরাধ প্রমাণিত হওয়ার আগেই ছাত্রদল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা চালিয়ে মিডিয়া ট্রায়ালে লিপ্ত হয়েছে, যা নিন্দনীয় ও অনভিপ্রেত।’

নিহত পারভেজ ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার কাইচান গ্রামের কুয়েতপ্রবাসী মো. জসীম উদ্দিনের একমাত্র ছেলে। এক মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে জসীম উদ্দিন ও পারভীন ইয়াসমিন দম্পতির ছিল সুখের সংসার। পারভেজ প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। তাঁর ছোট বোন জুইমনি ঢাকার মাইলস্টোন কলেজে উচ্চমাধ্যমিকের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কাপের অবশিষ্ট কফি ড্রেনে ঢেলে দেওয়ায় নারীকে ২৪ হাজার টাকা জরিমানা

এনসিপিকে ‘নাস্তিকদের সংগঠন’ বলে আমাকে মাদ্রাসা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে: মুফতি আমিনীর নাতি

সোনার বড় দরপতন, একলাফে ৮ হাজার ৩৮৬ টাকা কমল ভরিতে

নারায়ণগঞ্জে ইট দিয়ে থেঁতলে যুবককে হত্যার ভিডিও ভাইরাল, গ্রেপ্তার ৩

এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরকারি কর্মকর্তাদের সভাপতি মনোনয়নের প্রজ্ঞাপন স্থগিত

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ককটেল বিস্ফোরণে যুবক নিহত

ঢামেক প্রতিবেদক
আপডেট : ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৯: ৫৬
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ (২০) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় জাহিদকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে হাসপাতালের চিকিৎসক আজ বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ভোরে বন্ধুরা ওই যুবককে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে এলে তাঁকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।

এদিকে মোহাম্মদপুর থানার ডিউটি অফিসার মো. আতিকুর রহমান জুয়েল জানান, ভোরে খবর আসে, জেনেভা ক্যাম্পে দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে। এরপর দ্রুত ঘটনাস্থলে একটি টিম পাঠানো হয়। তবে ততক্ষণে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে যায়। সেখানে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে, ঘটনাটিতে একজন আহত হয়েছেন। তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তবে আহত ব্যক্তির বিষয়ে বিস্তারিত কেউ বলতে পারেনি।

অপর দিকে হাসপাতালে নিহত জাহিদের বোনের জামাই মো. উজ্জ্বল জানান, জাহিদ কল্যাণপুরে তাঁর দোকানে মোবাইল সার্ভিসিংয়ের কাজ করতেন। তাঁর বাসা জেনেভা ক্যাম্পে। বাবার নাম ইরান। রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রাস্তায় যান। এ সময় দুই গ্রুপের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে যান জাহিদ। তখন তাঁর পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরিত হয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাঁকে দ্রুত ট্রমা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হলে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জাহিদকে মৃত ঘোষণা করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কাপের অবশিষ্ট কফি ড্রেনে ঢেলে দেওয়ায় নারীকে ২৪ হাজার টাকা জরিমানা

এনসিপিকে ‘নাস্তিকদের সংগঠন’ বলে আমাকে মাদ্রাসা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে: মুফতি আমিনীর নাতি

সোনার বড় দরপতন, একলাফে ৮ হাজার ৩৮৬ টাকা কমল ভরিতে

নারায়ণগঞ্জে ইট দিয়ে থেঁতলে যুবককে হত্যার ভিডিও ভাইরাল, গ্রেপ্তার ৩

এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরকারি কর্মকর্তাদের সভাপতি মনোনয়নের প্রজ্ঞাপন স্থগিত

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জামালপুর পৌরসভার রাস্তাঘাট বেহাল, চরম দুর্ভোগে পৌরবাসী

জামালপুর প্রতিনিধি 
পৌর এলাকার সরদারপাড়ার রাস্তা। ছবি: আজকের পত্রিকা
পৌর এলাকার সরদারপাড়ার রাস্তা। ছবি: আজকের পত্রিকা

জামালপুর পৌরসভার বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার রাস্তাঘাট দীর্ঘদিন ধরে জনসাধারণের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় পৌরবাসী চরম দুর্ভোগে পড়েছে। খানাখন্দে ভরা এসব রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে এবং অনেকে আহত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, রাস্তাজুড়ে খানাখন্দে ভরা। এসব গর্তে সামান্য বৃষ্টিতেই হাঁটুসমান পানি জমে যায়। বিষয়টি পৌর কর্তৃপক্ষকে বারবার জানানো হলেও কোনো প্রতিকার হয়নি।

জামালপুর পৌরসভার ৪, ৫, ৬ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মুসলিমাবাদ, কাচারীপাড়া, সরদারপাড়া, বোষপাড়া, ডাকপাড়াসহ বেশ কয়েকটি রাস্তা খানাখন্দে জনসাধারণের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় পৌরবাসী চরম দুর্ভোগে পড়েছে।

একটু বৃষ্টি হলে হাঁটুসমান পানিতে নাকানি-চুবানি খেতে হয়। কাচারীপাড়া এলাকা থেকে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা
একটু বৃষ্টি হলে হাঁটুসমান পানিতে নাকানি-চুবানি খেতে হয়। কাচারীপাড়া এলাকা থেকে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের অভিযোগ, গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলো দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত। ছাত্র-ছাত্রী আর রোগীদের অসুবিধা হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। পৌরসভার মুসলিমাবাদ, কাচারীপাড়া, সরদারপাড়াসহ বিভিন্ন সড়ক জনসাধারণের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এসব রাস্তা দিয়ে যানবাহন তো দূরের কথা, হেঁটেও চলাচল করা কষ্টকর।

কাচারীপাড়ার আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘অবস্থা এমন হয়েছে যে মনে হয় নর্দমায় বসবাস করছি। একটু বৃষ্টি হলে হাঁটুসমান পানিতে নাকানি-চুবানি খেতে হয়। প্রথম শ্রেণির পৌরসভার নাগরিক হিসেবে ভ্যাট-ট্যাক্স দিয়ে থাকি; কিন্তু নাগরিক সুবিধা তো দেখি না।’

সরদারপাড়া এলাকার সামসুন নাহার বলেন, ‘বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে প্রায় সময় দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়। রিকশা ও অটোরিকশা খানাখন্দে পড়ে উল্টে যায়। অনেকের হাত-পা ভেঙেছে। পৌরসভার কোনো সুযোগ-সুবিধা নেই। রাতে বাতি থাকে না। পৌরসভার প্রায় এলাকায় চুরি হচ্ছে অহরহ।’ রাস্তা মেরামত করে নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধির দাবি করেন তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পৌরসভার প্রশাসক কে এম আব্দুল্লাহ বিন রশিদ বলেন, জলাবদ্ধতার কারণে পিচের রাস্তাগুলো খারাপ হয়ে যাচ্ছে। এর প্রভাব পৌরসভার রাস্তাঘাটের ওপর পড়েছে। যেসব রাস্তা নষ্ট হচ্ছে, সেগুলোর ব্যাপারে ইতিমধ্যে অভিযোগ এসেছে।

আব্দুল্লাহ বিন রশিদ আরও বলেন, ‘আমরা প্রকৌশলীকে প্রাক্কলন (এস্টিমেট) তৈরির নির্দেশ দিয়েছি। যদি পৌরসভার বাজেট দিয়ে সম্ভব হয়, তাহলে দ্রুত কাজ শুরু করব। অথবা ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বরাদ্দ এখনো আসেনি। বরাদ্দ আসামাত্র নিয়মিত বাজেটের মধ্যে এগুলো করার চেষ্টা করব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কাপের অবশিষ্ট কফি ড্রেনে ঢেলে দেওয়ায় নারীকে ২৪ হাজার টাকা জরিমানা

এনসিপিকে ‘নাস্তিকদের সংগঠন’ বলে আমাকে মাদ্রাসা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে: মুফতি আমিনীর নাতি

সোনার বড় দরপতন, একলাফে ৮ হাজার ৩৮৬ টাকা কমল ভরিতে

নারায়ণগঞ্জে ইট দিয়ে থেঁতলে যুবককে হত্যার ভিডিও ভাইরাল, গ্রেপ্তার ৩

এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরকারি কর্মকর্তাদের সভাপতি মনোনয়নের প্রজ্ঞাপন স্থগিত

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ছাতিম ফুলের সৌরভে মুগ্ধ পথচারী

মো. আনোয়ারুল ইসলাম, ব্রাহ্মণপাড়া (কুমিল্লা)
ব্রাহ্মণপাড়া থেকে কুমিল্লা যাওয়ার পথে ছাতিমগাছ চোখে পড়ে। সন্ধ্যা হলে এই ফুলের ঘ্রাণে মন ভরে যায়। ছবি: আজকের পত্রিকা
ব্রাহ্মণপাড়া থেকে কুমিল্লা যাওয়ার পথে ছাতিমগাছ চোখে পড়ে। সন্ধ্যা হলে এই ফুলের ঘ্রাণে মন ভরে যায়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফুলের প্রতি মানুষের ভালোবাসা আবহমানকালের। ফুল শুধু প্রকৃতিকেই শোভিত করে না, এর ঘ্রাণ মানুষকে মোহিত করে। এমনই এক ঘ্রাণময় ফুল হলো ছাতিম, যার মাদকতাময় সৌরভে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার প্রকৃতি এখন মোহনীয়। সন্ধ্যা নামতেই ছাতিম ফুলের তীব্র মিষ্টি ঘ্রাণে ভরে উঠছে চারপাশ, যা মন জুড়াচ্ছে পথচারী ও প্রকৃতিপ্রেমীদের।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ব্রাহ্মণপাড়া-মিরপুর সড়কের দুই পাশ, উপজেলার বিভিন্ন রাস্তা এবং বাড়িঘরের আশপাশে এখন সৌন্দর্য বিলাচ্ছে ছাতিম ফুল। সন্ধ্যা নামলেই এই ফুলের ঘ্রাণে যেন মাতোয়ারা হয়ে ওঠে পুরো পরিবেশ। গাছের নিচে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ঝরা ফুল পথচারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।

স্থানীয় বাসিন্দা আশিকুর রহমান বলেন, ‘ব্রাহ্মণপাড়া থেকে কুমিল্লা যাওয়ার পথে ছাতিমগাছ চোখে পড়ে। সন্ধ্যা হলে এই ফুলের ঘ্রাণে মন ভরে যায়। আগে এই এলাকায় অনেক ছাতিমগাছ ছিল, এখন আর আগের মতো দেখা যায় না।’

আরেক বাসিন্দা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আগে গ্রামগঞ্জে অনেক ছাতিমগাছ দেখা যেত। এখন সংখ্যা কমে গেছে। তবে আমাদের ইউনিয়ন পরিষদের সামনে একটি গাছ আছে, সন্ধ্যার পর আশপাশে ফুলের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে।’

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান তাবাসসুম বলেন, ‘ছাতিম ফুলের ঘ্রাণ মন কেড়ে নেওয়ার মতো আকর্ষণীয়। রাত যত বাড়ে, এর ঘ্রাণ তত তীব্র হয়। আমাদের বাড়ির পাশে একটি গাছ আছে, প্রতিবছর এই ফুল ফোটার অপেক্ষায় থাকি।’

মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হুমায়ুন কবির বলেন, ‘ছাতিম ফুলের ঘ্রাণ মানুষকে বিমোহিত করে। ফুলের সৌন্দর্যের চেয়ে ঘ্রাণই মানুষকে বেশি টানে। গাছের উচ্চতা বেশি হওয়ায় ফুল কাছ থেকে দেখা না গেলেও এর গন্ধে বোঝা যায়, গাছজুড়ে ফুল ফুটেছে।’

ইউনানি চিকিৎসকদের তথ্যমতে, ছাতিম ফুলের শুধু সৌন্দর্যই নয়, এর রয়েছে নানা ঔষধি গুণও। জ্বর উপশম, দীর্ঘস্থায়ী আমাশয় ও পাতলা পায়খানা নিরাময়ে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে, এমনকি চর্মরোগের চিকিৎসায়ও এই গাছের ছাল, পাতা ও কষ ব্যবহৃত হয়। এর ছাল থেকে তৈরি ক্বাথ ম্যালেরিয়া ও টাইফয়েড জ্বরের চিকিৎসায়ও কার্যকর।

ব্রাহ্মণপাড়া থেকে কুমিল্লা যাওয়ার পথে ছাতিমগাছ চোখে পড়ে। সন্ধ্যা হলে এই ফুলের ঘ্রাণে মন ভরে যায়। ছবি: আজকের পত্রিকা
ব্রাহ্মণপাড়া থেকে কুমিল্লা যাওয়ার পথে ছাতিমগাছ চোখে পড়ে। সন্ধ্যা হলে এই ফুলের ঘ্রাণে মন ভরে যায়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইউনানি চিকিৎসক সোহেল রানা বলেন, ছাতিম ফুলের ঘ্রাণ অনেক দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। সন্ধ্যার পর কোথাও গাছ চোখে না পড়লেও এর গন্ধ জানিয়ে দেয়, আশপাশে ফুটেছে ছাতিম ফুল। এই গাছের ভেষজ গুণও অনেক। তবে দিন দিন এর সংখ্যা কমে যাওয়ায় ফুলের ঘ্রাণের পাশাপাশি চিকিৎসায়ও এর ব্যবহার হ্রাস পাচ্ছে।

বিজ্ঞানসম্মতভাবে ছাতিম গাছের নাম অ্যালস্টনিয়া স্কলাররিস (Alstonia scholaris)। এটি অ্যাপোসাইনেসি (Apocynaceae) পরিবারভুক্ত বহুবর্ষজীবী সপুষ্পক উদ্ভিদ। ইংরেজিতে এটি ‘ডেভিলস ট্রি’ বা ‘ব্ল্যাকবোর্ড ট্রি’ নামে পরিচিত। বাংলায় পরিচিত নামগুলো হলো—ছাতিম, ছাতিয়ান বা ছাতইন। এর সংস্কৃত নাম হলো সপ্তপর্ণী। এর আদিনিবাস ভারতীয় উপমহাদেশ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া। ছাতিমগাছ সাধারণত ২০ থেকে ৪০ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। গাছের ছাল ধূসর ও অসমতল। সাতটি পাতা একসঙ্গে গুচ্ছ আকারে থাকে। ফুল হালকা ঘিয়ে রঙের ও গুচ্ছাকারে ফোটে। এই গাছের কাঠ ব্ল্যাকবোর্ড, পেনসিল ও কফিন তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। পাশাপাশি এটি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

একসময় ব্রাহ্মণপাড়ার সর্বত্র যে ছাতিম ফুলের ঘ্রাণ ভেসে বেড়াত, এখন তা সীমিত। তবু বছরের এই সময়ে সন্ধ্যা নামলে ছাতিম ফুলের সুবাসে এখনো মুগ্ধ হয় ব্রাহ্মণপাড়ার প্রকৃতি ও মানুষ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কাপের অবশিষ্ট কফি ড্রেনে ঢেলে দেওয়ায় নারীকে ২৪ হাজার টাকা জরিমানা

এনসিপিকে ‘নাস্তিকদের সংগঠন’ বলে আমাকে মাদ্রাসা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে: মুফতি আমিনীর নাতি

সোনার বড় দরপতন, একলাফে ৮ হাজার ৩৮৬ টাকা কমল ভরিতে

নারায়ণগঞ্জে ইট দিয়ে থেঁতলে যুবককে হত্যার ভিডিও ভাইরাল, গ্রেপ্তার ৩

এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরকারি কর্মকর্তাদের সভাপতি মনোনয়নের প্রজ্ঞাপন স্থগিত

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গাংনীতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রবাসফেরত যুবক নিহত

গাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি
নিহত সুজন আলী। ছবি: সংগৃহীত
নিহত সুজন আলী। ছবি: সংগৃহীত

মেহেরপুরের গাংনীতে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে সুজন আলী (৩৫) নামের প্রবাসফেরত এক যুবক নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার আড়পাড়া ইউনিয়নের উপস্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সুজন আলী উপজেলার খড়মপুর গ্রামের ইমদাদুল হকের ছেলে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সুজন আলী খড়মপুর গ্রাম থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে আড়পাড়া যাওয়ার পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে হাসপাতালের গেটের সামনে পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে গুরুতর আহত হন। তাঁকে দ্রুত গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত ব্যক্তির বড় ভাই লাল মিয়া জানান, তাঁর ভাই মালয়েশিয়া থেকে সম্প্রতি ছুটিতে বাড়িতে এসেছেন।

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. ফারুক হোসেন বলেন, সুজন আলীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল জানান, দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। পরে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কাপের অবশিষ্ট কফি ড্রেনে ঢেলে দেওয়ায় নারীকে ২৪ হাজার টাকা জরিমানা

এনসিপিকে ‘নাস্তিকদের সংগঠন’ বলে আমাকে মাদ্রাসা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে: মুফতি আমিনীর নাতি

সোনার বড় দরপতন, একলাফে ৮ হাজার ৩৮৬ টাকা কমল ভরিতে

নারায়ণগঞ্জে ইট দিয়ে থেঁতলে যুবককে হত্যার ভিডিও ভাইরাল, গ্রেপ্তার ৩

এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরকারি কর্মকর্তাদের সভাপতি মনোনয়নের প্রজ্ঞাপন স্থগিত

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত