ডা. রকিবুল ইসলাম (রকিব)
কয়েক বছর আগেও বাংলাদেশে সফল অ্যানিউরিজম ক্লিপিং বা কয়েলিং অপারেশন হতো না। কিন্তু ক্রমবর্ধমান এই রোগের সুচিকিৎসার কথা বিবেচনা করে এর চিকিৎসা এখন দেশেই শুরু হয়েছে। এখন অত্যাধুনিক মাইক্রোস্কোপের ব্যবহার এবং আধুনিক প্লাটিনাম কয়েল সহজলভ্য হওয়ায় দেশেই সফল অ্যানিউরিজম সার্জারি করা হচ্ছে। বলা হয়ে থাকে, এটি ব্রেইন বা মস্তিষ্কের সবচেয়ে কঠিন ও চ্যালেঞ্জিং অপারেশন। মস্তিষ্কের অ্যানিউরিজম হলো এমন একটি অবস্থা, যেখানে মস্তিষ্কের রক্তনালির দুর্বল দেয়ালে ফোসকা বা বেলুনের মতো অংশ দেখতে পাওয়া যায়।
উপসর্গ
পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অ্যানিউরিজম ফেটে রক্তক্ষরণ না হলে রোগীর মধ্যে কোনো উপসর্গ দেখা যায় না। মাঝে মাঝে ফেটে যাওয়ার আগে অ্যানিউরিজম প্রসারিত হয় এবং হঠাৎ একটু মাথাব্যথা করে আবার চলেও যায়। একে ওয়ার্নিং হেডেক বলে। ওয়ার্নিং হলে দ্রুত নিউরোসার্জনের শরণাপন্ন হয়ে
চিকিৎসা নিলে অনেক ক্ষেত্রে রক্তক্ষরণ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এ রোগের উল্লেখযোগ্য লক্ষণগুলোর মধ্যে হলো:
কারণ
মস্তিষ্কের অ্যানিউরিজম রোগের সঠিক কারণ এখনো নির্ণীত হয়নি। তবে যে উপাদানগুলো মানুষকে এ রোগের ঝুঁকির মধ্যে ফেলে, সেগুলো হলো ধূমপান, উচ্চ রক্তচাপ, জন্ম থেকে দুর্বল ধমনির দেয়ালের উপস্থিতি, মস্তিষ্কে আঘাত, ধমনির দেয়ালে সংক্রমণ।
রোগ নির্ণয় যেভাবে
সিটি স্ক্যান: মস্তিষ্কের সিটি স্ক্যান করালে দ্রুত রক্তক্ষরণ শনাক্ত করা যায়।
এনজিওগ্রাম: সিটি এনজিওগ্রাম, এমআর এনজিওগ্রাম, ডিএস এনজিওগ্রাম করলে রক্তক্ষরণের কারণ জানা যায় এবং চিকিৎসাপদ্ধতি নির্ধারণ করা সহজ হয়।
প্রাথমিক চিকিৎসা
দ্রুত চিকিৎসা শুরু না করালে রোগীর মৃত্যু হতে পারে। এ জন্য লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত প্রাথমিক চিকিৎসা নিশ্চিত করতে নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করতে হবে।
নির্দিষ্ট চিকিৎসা
দুটি অত্যাধুনিক চিকিৎসার মাধ্যমে অ্যানিউরিজম বন্ধ করে দেওয়া হয় যেন ভবিষ্যতে আর রক্তক্ষরণ বা স্ট্রোক না হতে পারে। এর মধ্যে একটি হলো মাথার খুলি কেটে অ্যানিউরিজম ক্লিপিং সার্জারি এবং অন্যটি অ্যানিউরিজম কয়েলিং। দ্বিতীয় পদ্ধতিতে খুলি কাটার প্রয়োজন হয় না।
সচেতনতা
কিছু বিষয়ে সচেতন হলে এই রোগ থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব।
ওয়ার্নিং হেডেক হলে দেরি না করে নিউরোসার্জনের শরণাপন্ন হতে হবে। এতে রক্তক্ষরণের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব হবে। রক্তক্ষরণ হলে ক্লিপিং বা কয়েলিং করে অ্যানিউরিজম ব্লক করতে পারলে পরবর্তী রক্তক্ষরণ বা স্ট্রোক প্রতিরোধ সম্ভব।
লেখক: সহকারী অধ্যাপক, নিউরোসার্জারি বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা এবং ব্রেইন, স্পাইন ও স্ট্রোক সার্জন
কয়েক বছর আগেও বাংলাদেশে সফল অ্যানিউরিজম ক্লিপিং বা কয়েলিং অপারেশন হতো না। কিন্তু ক্রমবর্ধমান এই রোগের সুচিকিৎসার কথা বিবেচনা করে এর চিকিৎসা এখন দেশেই শুরু হয়েছে। এখন অত্যাধুনিক মাইক্রোস্কোপের ব্যবহার এবং আধুনিক প্লাটিনাম কয়েল সহজলভ্য হওয়ায় দেশেই সফল অ্যানিউরিজম সার্জারি করা হচ্ছে। বলা হয়ে থাকে, এটি ব্রেইন বা মস্তিষ্কের সবচেয়ে কঠিন ও চ্যালেঞ্জিং অপারেশন। মস্তিষ্কের অ্যানিউরিজম হলো এমন একটি অবস্থা, যেখানে মস্তিষ্কের রক্তনালির দুর্বল দেয়ালে ফোসকা বা বেলুনের মতো অংশ দেখতে পাওয়া যায়।
উপসর্গ
পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অ্যানিউরিজম ফেটে রক্তক্ষরণ না হলে রোগীর মধ্যে কোনো উপসর্গ দেখা যায় না। মাঝে মাঝে ফেটে যাওয়ার আগে অ্যানিউরিজম প্রসারিত হয় এবং হঠাৎ একটু মাথাব্যথা করে আবার চলেও যায়। একে ওয়ার্নিং হেডেক বলে। ওয়ার্নিং হলে দ্রুত নিউরোসার্জনের শরণাপন্ন হয়ে
চিকিৎসা নিলে অনেক ক্ষেত্রে রক্তক্ষরণ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এ রোগের উল্লেখযোগ্য লক্ষণগুলোর মধ্যে হলো:
কারণ
মস্তিষ্কের অ্যানিউরিজম রোগের সঠিক কারণ এখনো নির্ণীত হয়নি। তবে যে উপাদানগুলো মানুষকে এ রোগের ঝুঁকির মধ্যে ফেলে, সেগুলো হলো ধূমপান, উচ্চ রক্তচাপ, জন্ম থেকে দুর্বল ধমনির দেয়ালের উপস্থিতি, মস্তিষ্কে আঘাত, ধমনির দেয়ালে সংক্রমণ।
রোগ নির্ণয় যেভাবে
সিটি স্ক্যান: মস্তিষ্কের সিটি স্ক্যান করালে দ্রুত রক্তক্ষরণ শনাক্ত করা যায়।
এনজিওগ্রাম: সিটি এনজিওগ্রাম, এমআর এনজিওগ্রাম, ডিএস এনজিওগ্রাম করলে রক্তক্ষরণের কারণ জানা যায় এবং চিকিৎসাপদ্ধতি নির্ধারণ করা সহজ হয়।
প্রাথমিক চিকিৎসা
দ্রুত চিকিৎসা শুরু না করালে রোগীর মৃত্যু হতে পারে। এ জন্য লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত প্রাথমিক চিকিৎসা নিশ্চিত করতে নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করতে হবে।
নির্দিষ্ট চিকিৎসা
দুটি অত্যাধুনিক চিকিৎসার মাধ্যমে অ্যানিউরিজম বন্ধ করে দেওয়া হয় যেন ভবিষ্যতে আর রক্তক্ষরণ বা স্ট্রোক না হতে পারে। এর মধ্যে একটি হলো মাথার খুলি কেটে অ্যানিউরিজম ক্লিপিং সার্জারি এবং অন্যটি অ্যানিউরিজম কয়েলিং। দ্বিতীয় পদ্ধতিতে খুলি কাটার প্রয়োজন হয় না।
সচেতনতা
কিছু বিষয়ে সচেতন হলে এই রোগ থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব।
ওয়ার্নিং হেডেক হলে দেরি না করে নিউরোসার্জনের শরণাপন্ন হতে হবে। এতে রক্তক্ষরণের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব হবে। রক্তক্ষরণ হলে ক্লিপিং বা কয়েলিং করে অ্যানিউরিজম ব্লক করতে পারলে পরবর্তী রক্তক্ষরণ বা স্ট্রোক প্রতিরোধ সম্ভব।
লেখক: সহকারী অধ্যাপক, নিউরোসার্জারি বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা এবং ব্রেইন, স্পাইন ও স্ট্রোক সার্জন
দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ ও করোনার নতুন উপধরনের সংক্রমণের মধ্যে দুটি রোগের চিকিৎসায় নতুন নির্দেশনা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান স্বাক্ষরিত ‘ডেঙ্গু ও কোভিড চিকিৎসায় নির্দেশনাবলি’ আজ রোববার (২০ জুলাই) প্রকাশ করা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে১২ ও ১৩ এপ্রিল হাসপাতালের পরিচালনা বোর্ডের ২২ ও ২৩তম সভার পর ৪ জুলাই ৬৫ জন চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়। হাসপাতালে অস্থায়ী ভিত্তিতে কর্মরত চিকিৎসকদের একটি অংশকে কোনো প্রকার প্রক্রিয়া ছাড়াই নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল...
৪ ঘণ্টা আগেবিভিন্ন কারণে মানুষের জেগে থাকা সময়ের বিরাট অংশ কেটে যায় বিভিন্ন পর্দার দিকে অপলক চেয়ে। অফিসের কাজ হোক কিংবা বাসায় বিনোদন—চোখের আরাম পাওয়ার সুযোগ এখন খুবই কম। এভাবে দীর্ঘ সময় স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকার ফলে চোখে দেখা দেয় একধরনের অস্বস্তিকর অবস্থা, যাকে বলা হয় কম্পিউটার আই স্ট্রেইন বা ডিজিটাল আই স্ট্রেইন।
১৩ ঘণ্টা আগেদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে আজ শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ডেঙ্গু নিয়ে আরও ৩৯৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আর মারা গেছে চিকিৎসাধীন এক ডেঙ্গু রোগী।
১ দিন আগে