জাহাঙ্গীর আলম, ঢাকা
মাস্টার মশাই, এই নেন ছেলেকে আপনার হাতে তুলে দিয়ে গেলাম। ছেলেকে মানুষ করার দায়িত্ব আপনার। আমার খালি হাড়–চামড়া ফেরত দিয়েই হবে! নিষ্ঠাবান মাস্টার মশাইরাও ছেলের বাপের আশা পূরণ করতেন! আজ থেকে তিন যুগ আগেও যারা স্কুলে পড়েছেন তাঁদের সেই স্মৃতি এখনো দগদগে থাকার কথা। কার পিঠে কতোটি বাঁশের কঞ্চি অথবা তেলতেলে বেত ভাঙা হয়েছে সহপাঠীরা সবাই জানে।
স্কুলের সবচেয়ে রগচটা শিক্ষকটি এলাকায় সবচেয়ে সম্মানিত ছিলেন। এমন তো অনেক শিক্ষক ছিলেন যিনি বাপেরও শিক্ষক, ছেলেরও শিক্ষক। তাঁদের আজীবন শ্রদ্ধাভক্তির কমতি হতো না। সে কালে বেত নাচাতে নাচাতে ক্লাসে প্রবেশ করাই চল ছিল। আর্থিক অনটন বা বিবাহযোগ্য ছেলেটি বা মেয়েটিকে নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত মাস্টার মশাইটি কোনো কোনো দিন হয়তো খুবই মনমরা হয়ে থাকতেন। সেদিন বেতটি অক্ষতই ফেরত যেত।
সারা গায়ে কালশিরা, হাত–পিঠ ফেটে রক্তান্ত হওয়া, মারের চোটে কাপড় নষ্ট করা বা অজ্ঞান হয়ে পড়ার কতো ঘটনাই এখনো স্মৃতিতে জ্বলজ্বল করছে। বাড়িতে গিয়ে অভিযোগ দেওয়ারও জো নেই। উল্টো মার খেতে হতে পারে! তাই সেসব ক্ষত প্রাণপণে গোপন করতে হতো। অবশ্য ক্লাসে মার খাওয়া তখন লজ্জার ব্যাপারও ছিল না। সান্ত্বনা দিতেও কোনো সহপাঠী এগিয়ে আসত না। চোখ মুছে আবার বইয়ে মুখ গুঁজে বসে থাকতে হতো। সেকালে এভাবেই মানুষ হয়েছে বহু ছেলে। ঝরেও গেছে সমান তালে।
শিশুদের পিটিয়ে মানুষ করার এই যে ধারণা, সেটি এই উপমহাদেশের সমাজে এতোটা গভীরভাবে জেঁকে বসল কী করে কে জানে! সম্ভবত শিশুদের ইতর বিশেষ ভাবার প্রবণতা এখনো মুছে যায়নি। তা না হলে ভুল চিকিৎসায় বা চিকিৎসকের অবহেলায় শিশুর মৃত্যুর পরও কেন পার পাওয়া যায়! শিশুদের বিনোদনের প্রয়োজনীয়তার কথা কেউ ভাবে না। শহরে বিদ্যালয়গুলো যেন বদ্ধ ঘর। গ্রামের বিদ্যালয়গুলোতে এখন খেলার মাঠ দখল করে বড় বড় ভবন নির্মাণের হিড়িক। ভালো ফলাফল করার চাপ, ক্লাস, কোচিং, প্রাইভেট টিউটর ইত্যাদির চাপে পিষ্ট শিশু। বিনোদন বড়জোর মোবাইল ফোনে টিকটিক রিল দেখা অথবা গেম খেলা। এর চেয়ে অমানবীকরণ আর কী হতে পারে!
শুধু ছেলের কথা বলা হচ্ছে কারণ মেয়েদের শিক্ষা তখনো অতো গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হতো না। আর মেয়েদের অবলা প্রাণী ভেবে পুরুষ শিক্ষকেরা গায়ে হাত তুলতেন না! এটুকুই বলা থাকার সুবিধা!
সরকার এখন অবশ্য শিক্ষার্থীদের গায়ে হাত তোলা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। যদিও এই আইন প্রয়োগের জন্য প্রায়ই সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হয় না। শিক্ষার্থীরা এখন অনেক সেয়ানা। অভিভাবকেরা আরও কয়েক কাঠি এগোনো। অভিযোগ পেলেই দলবল নিয়ে স্কুলে গিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে পিটিয়ে আসেন তাঁরা। এতে মেজাজি শিক্ষকেরা অন্তত সংযত হয়েছেন। তবে মাঝখান থেকে শিক্ষক–শিক্ষার্থীর শ্রদ্ধা ও স্নেহের সম্পর্কটি উধাও হয়ে গেছে! অনেক এলাকাতে শিক্ষকেরা অভিভাবক তো বটেই, শিক্ষার্থীদের ডরেই সিঁটিয়ে থাকেন। শিক্ষার্থীর হাতে শিক্ষক খুনের ঘটনাও ঘটছে।
এদিক থেকে অনেকখানি বললেও ভুল হবে, অবিশ্বাস্য রকম এগিয়ে গেছেন রায়হান শরীফ। তাঁরই বা দোষ কী! কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে তো আর বেত নিয়ে ক্লাসে যাওয়া যায় না; তিনি ব্যাগে করে নিয়ে যেতেন ‘পোষা পাখি’! ছুরি–চাকুও থাকত।
ওই যে প্রবাদ আছে না— বুড়ো শালিক পোষ মানে না। কলেজপড়ুয়া ধাড়ি ছেলেরা তো এমনি এমনি কথা শুনবে না। এই কৌশল কিন্তু তিনি সফলভাবেই প্রয়োগ করে আসছেন। কলেজ জীবন থেকেই তিনি পাখি পোষেন। মাথা গরম হলেই পকেট থেকে বের করে ভয় দেখান! সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজে এভাবেই শিক্ষকতা করে আসছিলেন।
আশার কথা হলো, মেজাজ হারিয়ে এক ছাত্রকে গুলি করে দিয়ে একটু বিপদে পড়লেও এতোদিন কর্তৃপক্ষ তাঁকে সম্ভবত আদর্শ শিক্ষকই মনে করতো। উনি কিন্তু ক্লাস ফাঁকি দিতেন না। ফাঁকিবাজ শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার চাপ দিতে হুমকি–ধমকি দিতেন। তাতে সম্ভবত কাজও হতো। তা না হলে সবকিছু জেনেও উর্ধ্বতনরা রা করেননি কেন?
এই অভূতপূর্ব কৌশল তাঁকে উপমহাদেশের শিক্ষককের মধ্যে নিঃসন্দেহে অগ্রগামী করেছে। এর জন্য অবশ্য অন্য কারণও কিছুটা আঁচ করা যাচ্ছে। তিনি একটি ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠনের নেতা ছিলেন। ছাত্রজীবন থেকেই তাঁর পাখি পোষার নেশা। তামিল সিনেমারও নাকি ভক্ত ছিলেন। তামিল নায়কদের মতো হতে চাইতেন। বোঝাই যায়, তাঁর ঘরে লাইফ সাইজের আয়না আছে। সকাল-সন্ধ্যা তামিল নায়কদের সঙ্গে নিজের মিল খোঁজেন।
তবে নায়ক হতে গিয়ে একটু বাড়াবাড়িও করে ফেলেছেন রায়হান সাহেব। তামিল নায়কেরা সিনেমায় নায়িকাকে স্টক করতে করতে এক সময় প্রেমে রাজি করিয়ে ফেলেন বটে, কিন্তু মেডিকেল কলেজ তো আর শ্যুটিং স্পট নয়। তাও আবার মধ্যরাতে চা–কফির নিমন্ত্রণ! এটি নিশ্চয়ই বাড়াবাড়ি! এ কারণেই সম্ভবত তাঁর মতো সম্ভাবনাময় ছাত্রনেতা, শিক্ষক ও চিকিৎসকের হাতে হাতকড়া পরানো হলো!
লেখক: আজকের পত্রিকার জ্যেষ্ঠ সহসম্পাদক
মাস্টার মশাই, এই নেন ছেলেকে আপনার হাতে তুলে দিয়ে গেলাম। ছেলেকে মানুষ করার দায়িত্ব আপনার। আমার খালি হাড়–চামড়া ফেরত দিয়েই হবে! নিষ্ঠাবান মাস্টার মশাইরাও ছেলের বাপের আশা পূরণ করতেন! আজ থেকে তিন যুগ আগেও যারা স্কুলে পড়েছেন তাঁদের সেই স্মৃতি এখনো দগদগে থাকার কথা। কার পিঠে কতোটি বাঁশের কঞ্চি অথবা তেলতেলে বেত ভাঙা হয়েছে সহপাঠীরা সবাই জানে।
স্কুলের সবচেয়ে রগচটা শিক্ষকটি এলাকায় সবচেয়ে সম্মানিত ছিলেন। এমন তো অনেক শিক্ষক ছিলেন যিনি বাপেরও শিক্ষক, ছেলেরও শিক্ষক। তাঁদের আজীবন শ্রদ্ধাভক্তির কমতি হতো না। সে কালে বেত নাচাতে নাচাতে ক্লাসে প্রবেশ করাই চল ছিল। আর্থিক অনটন বা বিবাহযোগ্য ছেলেটি বা মেয়েটিকে নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত মাস্টার মশাইটি কোনো কোনো দিন হয়তো খুবই মনমরা হয়ে থাকতেন। সেদিন বেতটি অক্ষতই ফেরত যেত।
সারা গায়ে কালশিরা, হাত–পিঠ ফেটে রক্তান্ত হওয়া, মারের চোটে কাপড় নষ্ট করা বা অজ্ঞান হয়ে পড়ার কতো ঘটনাই এখনো স্মৃতিতে জ্বলজ্বল করছে। বাড়িতে গিয়ে অভিযোগ দেওয়ারও জো নেই। উল্টো মার খেতে হতে পারে! তাই সেসব ক্ষত প্রাণপণে গোপন করতে হতো। অবশ্য ক্লাসে মার খাওয়া তখন লজ্জার ব্যাপারও ছিল না। সান্ত্বনা দিতেও কোনো সহপাঠী এগিয়ে আসত না। চোখ মুছে আবার বইয়ে মুখ গুঁজে বসে থাকতে হতো। সেকালে এভাবেই মানুষ হয়েছে বহু ছেলে। ঝরেও গেছে সমান তালে।
শিশুদের পিটিয়ে মানুষ করার এই যে ধারণা, সেটি এই উপমহাদেশের সমাজে এতোটা গভীরভাবে জেঁকে বসল কী করে কে জানে! সম্ভবত শিশুদের ইতর বিশেষ ভাবার প্রবণতা এখনো মুছে যায়নি। তা না হলে ভুল চিকিৎসায় বা চিকিৎসকের অবহেলায় শিশুর মৃত্যুর পরও কেন পার পাওয়া যায়! শিশুদের বিনোদনের প্রয়োজনীয়তার কথা কেউ ভাবে না। শহরে বিদ্যালয়গুলো যেন বদ্ধ ঘর। গ্রামের বিদ্যালয়গুলোতে এখন খেলার মাঠ দখল করে বড় বড় ভবন নির্মাণের হিড়িক। ভালো ফলাফল করার চাপ, ক্লাস, কোচিং, প্রাইভেট টিউটর ইত্যাদির চাপে পিষ্ট শিশু। বিনোদন বড়জোর মোবাইল ফোনে টিকটিক রিল দেখা অথবা গেম খেলা। এর চেয়ে অমানবীকরণ আর কী হতে পারে!
শুধু ছেলের কথা বলা হচ্ছে কারণ মেয়েদের শিক্ষা তখনো অতো গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হতো না। আর মেয়েদের অবলা প্রাণী ভেবে পুরুষ শিক্ষকেরা গায়ে হাত তুলতেন না! এটুকুই বলা থাকার সুবিধা!
সরকার এখন অবশ্য শিক্ষার্থীদের গায়ে হাত তোলা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। যদিও এই আইন প্রয়োগের জন্য প্রায়ই সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হয় না। শিক্ষার্থীরা এখন অনেক সেয়ানা। অভিভাবকেরা আরও কয়েক কাঠি এগোনো। অভিযোগ পেলেই দলবল নিয়ে স্কুলে গিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে পিটিয়ে আসেন তাঁরা। এতে মেজাজি শিক্ষকেরা অন্তত সংযত হয়েছেন। তবে মাঝখান থেকে শিক্ষক–শিক্ষার্থীর শ্রদ্ধা ও স্নেহের সম্পর্কটি উধাও হয়ে গেছে! অনেক এলাকাতে শিক্ষকেরা অভিভাবক তো বটেই, শিক্ষার্থীদের ডরেই সিঁটিয়ে থাকেন। শিক্ষার্থীর হাতে শিক্ষক খুনের ঘটনাও ঘটছে।
এদিক থেকে অনেকখানি বললেও ভুল হবে, অবিশ্বাস্য রকম এগিয়ে গেছেন রায়হান শরীফ। তাঁরই বা দোষ কী! কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে তো আর বেত নিয়ে ক্লাসে যাওয়া যায় না; তিনি ব্যাগে করে নিয়ে যেতেন ‘পোষা পাখি’! ছুরি–চাকুও থাকত।
ওই যে প্রবাদ আছে না— বুড়ো শালিক পোষ মানে না। কলেজপড়ুয়া ধাড়ি ছেলেরা তো এমনি এমনি কথা শুনবে না। এই কৌশল কিন্তু তিনি সফলভাবেই প্রয়োগ করে আসছেন। কলেজ জীবন থেকেই তিনি পাখি পোষেন। মাথা গরম হলেই পকেট থেকে বের করে ভয় দেখান! সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজে এভাবেই শিক্ষকতা করে আসছিলেন।
আশার কথা হলো, মেজাজ হারিয়ে এক ছাত্রকে গুলি করে দিয়ে একটু বিপদে পড়লেও এতোদিন কর্তৃপক্ষ তাঁকে সম্ভবত আদর্শ শিক্ষকই মনে করতো। উনি কিন্তু ক্লাস ফাঁকি দিতেন না। ফাঁকিবাজ শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার চাপ দিতে হুমকি–ধমকি দিতেন। তাতে সম্ভবত কাজও হতো। তা না হলে সবকিছু জেনেও উর্ধ্বতনরা রা করেননি কেন?
এই অভূতপূর্ব কৌশল তাঁকে উপমহাদেশের শিক্ষককের মধ্যে নিঃসন্দেহে অগ্রগামী করেছে। এর জন্য অবশ্য অন্য কারণও কিছুটা আঁচ করা যাচ্ছে। তিনি একটি ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠনের নেতা ছিলেন। ছাত্রজীবন থেকেই তাঁর পাখি পোষার নেশা। তামিল সিনেমারও নাকি ভক্ত ছিলেন। তামিল নায়কদের মতো হতে চাইতেন। বোঝাই যায়, তাঁর ঘরে লাইফ সাইজের আয়না আছে। সকাল-সন্ধ্যা তামিল নায়কদের সঙ্গে নিজের মিল খোঁজেন।
তবে নায়ক হতে গিয়ে একটু বাড়াবাড়িও করে ফেলেছেন রায়হান সাহেব। তামিল নায়কেরা সিনেমায় নায়িকাকে স্টক করতে করতে এক সময় প্রেমে রাজি করিয়ে ফেলেন বটে, কিন্তু মেডিকেল কলেজ তো আর শ্যুটিং স্পট নয়। তাও আবার মধ্যরাতে চা–কফির নিমন্ত্রণ! এটি নিশ্চয়ই বাড়াবাড়ি! এ কারণেই সম্ভবত তাঁর মতো সম্ভাবনাময় ছাত্রনেতা, শিক্ষক ও চিকিৎসকের হাতে হাতকড়া পরানো হলো!
লেখক: আজকের পত্রিকার জ্যেষ্ঠ সহসম্পাদক
আমাদের দেশে শিল্প-সাহিত্য-নাটক-সংগীত-চলচ্চিত্র হারাম হিসেবে পরিগণিত হয় বিশেষ একটি গোষ্ঠীর কাছে। এই গোষ্ঠীর কাছে ধর্ম যতটা নয়, তারচেয়ে বেশি বড় রক্ষণশীলতা, তাই প্রতিটি জায়গায় এরা চরম প্রতিক্রিয়া দেখায়। জুলাই অভ্যুত্থানের এক বছর পেরিয়ে যাওয়ার পর যা বোঝা যাচ্ছে, তা হলো বাংলাদেশ...
৫ ঘণ্টা আগেউইকিপিডিয়ায় নির্বাচনের সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে এইভাবে: নির্বাচন হলো সিদ্ধান্ত গ্রহণের এমন একটি আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে জনগণ প্রশাসনিক কাজের জন্য একজন প্রতিনিধিকে বেছে নেয়। সপ্তদশ শতক থেকে আধুনিক প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্রে নির্বাচন একটি আবশ্যিক প্রক্রিয়া হয়ে দাঁড়িয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান সম্প্রতি দেওয়া একাধিক বক্তৃতায় চাঁদাবাজি ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে আমরা নিজেরা চাঁদাবাজি করব না এবং কাউকে চাঁদাবাজি করতেও দেব না। ঘুষ কেউ নেবে না...
৫ ঘণ্টা আগেদায়ী আমরা সবাই। তেজগাঁও ও কুর্মিটোলার বিমানবন্দর দুটি ১৯৪৫ সালে তৈরি করা হয়েছিল। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান যখন হলো, তখন তেজগাঁওয়ে বিমানবন্দর করা হলো বেশ বড় আকারে। এরপর ১৯৬৪ সালে নগরায়ণ ও জনসংখ্যা বাড়ার কারণে তেজগাঁওয়ের বদলে কুর্মিটোলার বিমানবন্দর বড় পরিসরে চালু করার পরিকল্পনা করা হয়।
১ দিন আগে