অনলাইন ডেস্ক
মুসলমানদের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতরের দিনে গাজায় হামলা চালিয়ে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়ার তিন ছেলেকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। গতকাল বুধবার গাজার সমুদ্র উপকূলে অবস্থিত শাতি শরণার্থীশিবিরের কাছে ইসরায়েলি বোমা হামলায় নিহত হন তাঁরা। ইসমাইল হানিয়া নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে হানিয়ার পরিবারের অন্তত ৬০ জন সদস্য ইসরায়েলি হামলায় নিহত হলো।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হানিয়া জানান, তাঁর ছেলে হাজেম, আমির ও মোহাম্মদকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। ফিলিস্তিনি সংবাদ সংস্থা শেহাব নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, গাজা শহরের পশ্চিমে একটি শরণার্থীশিবিরে ওই হামলা হয়। এতে হামাস নেতা হানিয়ার তিন ছেলে হাজেম, আমির ও মুহাম্মদ এবং তাঁর অন্তত তিন নাতি-নাতনি নিহত হয়।
তিন ছেলে ও তিন নাতি-নাতনি নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে ইসমাইল হানিয়া বলেছেন, ‘শহীদদের রক্ত আর আহতদের বেদনার মাধ্যমে আমরা আশা তৈরি করি, ভবিষ্যৎ তৈরি করি, আমরা আমাদের জনগণ ও আমাদের জাতির জন্য মুক্তি ও স্বাধীনতা তৈরি করি।’ এ সময় তিনি বলেন, ‘ভাতিজা-ভাতিজিসহ আমার পরিবারের প্রায় ৬০ জন সদস্য যুদ্ধের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছে।’
ছয় মাসের বেশি সময় ধরে গাজা ও পশ্চিম তীরে নির্বিচারে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এরই মধ্যে প্রায় ৩৫ হাজার ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে, যাদের মধ্যে অধিকাংশ নারী ও শিশু। ইসরায়েলি হামলায় হামাস নেতা হানিয়ার পরিবারের সদস্যদের মৃত্যুর ঘটনা অবশ্য এটাই প্রথম নয়। তাঁর আরেক ছেলে গত ফেব্রুয়ারিতে এবং ভাই ও ভাতিজা অক্টোবরে প্রাণ হারান। এরপর নভেম্বরে তাঁর এক নাতি নিহত হয়।
ইসমাইল হানিয়া গতকাল বুধবার কাতারের দোহায় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন যুদ্ধাহত ফিলিস্তিনিদের দেখতে যান। সেখানেই তাঁকে ছেলে ও নাতি-নাতনিদের নিহত হওয়ার খবর জানানো হয়। গাজার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ঈদের দিনে একটি বেসামরিক গাড়িতে চড়ে এক স্বজনের বাড়িতে যাচ্ছিলেন ইসমাইল হানিয়ার ছেলে ও নাতি-নাতনিরা। ওই গাড়ি লক্ষ্য করে ইসরায়েল বিমান হামলা চালায়।
মিসরের রাজধানী কায়রোতে কাতারের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা চলছে। সেই আলোচনায় অংশ নিয়েছে হামাস। ছেলে ও নাতি-নাতনিদের মৃত্যুতে হামাসের অবস্থান পরিবর্তন হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন ইসমাইল হানিয়া।
হামাসের প্রধান বলেছেন, ‘চলমান যুদ্ধবিরতির আলোচনায় হামাসের অবস্থানের কোনো নড়চড় হবে না। শত্রুরা যদি মনে করে, আলোচনা যখন গতিশীল হয়েছে এবং হামাস যখন তাদের অবস্থান জানাবে, এমন সময়ে আমার ছেলেদের লক্ষ্যবস্তু বানালে হামাস অবস্থান পরিবর্তন করবে, তাহলে তারা কল্পনার জগতে রয়েছে। আমাদের দেশের মানুষের রক্ত আমার ছেলেদের রক্তের চেয়ে আমার কাছে কম কিছু নয়।’
চলমান আলোচনায় হামাস স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে সব ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে। এ ছাড়া কোনো বাধা ছাড়া ফিলিস্তিনের উত্তরাঞ্চল থেকে বাস্তুচ্যুতদের ঘরে ফেরার সুযোগ দেওয়ার দাবি করেছে তারা।
অন্যদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলছেন, হামাসকে নির্মূল এবং তাদের হাতে জিম্মি থাকা ব্যক্তিদের মুক্ত না করা পর্যন্ত যুদ্ধ চলবে।
উল্লেখ্য, ইসমাইল হানিয়া হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান। গত শতকের আশির দশকে হামাসের উত্থানকালে ফিলিস্তিনি মুসলিমদের এই রাজনৈতিক ও সামরিক আন্দোলনের সামনের কাতারে ছিলেন ইসমাইল হানিয়া। ১৯৮৯ সালে তাঁকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয় ইসরায়েল। এরপর ১৯৯২ সালে আরও কয়েকজন হামাস নেতার সঙ্গে হানিয়াকে ইসরায়েল ও লেবানন সীমান্তের শূন্যরেখায় ছেড়ে দেয় ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।
এক বছর নির্বাসনে থাকার পর ইসমাইল হানিয়া গাজায় ফেরেন। ১৯৯৭ সালে হামাসের মতাদর্শিক গুরুর কার্যালয়ের প্রধানের দায়িত্ব পান তিনি। এতে হামাসে তাঁর পদমর্যাদা বাড়ে।
ফিলিস্তিনের জাতীয় নির্বাচনে হামাস বেশির ভাগ আসনে জয় পাওয়ার পর ২০০৬ সালে ইসমাইল হানিয়া প্রধানমন্ত্রী হন। প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের দল ফাতাহর সঙ্গে সপ্তাহব্যাপী রক্তক্ষয়ী সংঘাতের পর সরকার ভেঙে দেওয়া হয়। গাজা থেকে ফাতাহের কার্যক্রম গুটিয়ে নেওয়া হয়। গাজার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেয় হামাস।
২০১৭ সালে ইসমাইল হানিয়া হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান নির্বাচিত হন। পরের বছর ইসমাইল হানিয়াকে ‘সন্ত্রাসী’ অভিহিত করে যুক্তরাষ্ট্র। কয়েক বছর ধরে কাতারে বসবাস করছেন ইসমাইল হানিয়া।
মুসলমানদের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতরের দিনে গাজায় হামলা চালিয়ে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়ার তিন ছেলেকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। গতকাল বুধবার গাজার সমুদ্র উপকূলে অবস্থিত শাতি শরণার্থীশিবিরের কাছে ইসরায়েলি বোমা হামলায় নিহত হন তাঁরা। ইসমাইল হানিয়া নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে হানিয়ার পরিবারের অন্তত ৬০ জন সদস্য ইসরায়েলি হামলায় নিহত হলো।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হানিয়া জানান, তাঁর ছেলে হাজেম, আমির ও মোহাম্মদকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। ফিলিস্তিনি সংবাদ সংস্থা শেহাব নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, গাজা শহরের পশ্চিমে একটি শরণার্থীশিবিরে ওই হামলা হয়। এতে হামাস নেতা হানিয়ার তিন ছেলে হাজেম, আমির ও মুহাম্মদ এবং তাঁর অন্তত তিন নাতি-নাতনি নিহত হয়।
তিন ছেলে ও তিন নাতি-নাতনি নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে ইসমাইল হানিয়া বলেছেন, ‘শহীদদের রক্ত আর আহতদের বেদনার মাধ্যমে আমরা আশা তৈরি করি, ভবিষ্যৎ তৈরি করি, আমরা আমাদের জনগণ ও আমাদের জাতির জন্য মুক্তি ও স্বাধীনতা তৈরি করি।’ এ সময় তিনি বলেন, ‘ভাতিজা-ভাতিজিসহ আমার পরিবারের প্রায় ৬০ জন সদস্য যুদ্ধের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছে।’
ছয় মাসের বেশি সময় ধরে গাজা ও পশ্চিম তীরে নির্বিচারে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এরই মধ্যে প্রায় ৩৫ হাজার ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে, যাদের মধ্যে অধিকাংশ নারী ও শিশু। ইসরায়েলি হামলায় হামাস নেতা হানিয়ার পরিবারের সদস্যদের মৃত্যুর ঘটনা অবশ্য এটাই প্রথম নয়। তাঁর আরেক ছেলে গত ফেব্রুয়ারিতে এবং ভাই ও ভাতিজা অক্টোবরে প্রাণ হারান। এরপর নভেম্বরে তাঁর এক নাতি নিহত হয়।
ইসমাইল হানিয়া গতকাল বুধবার কাতারের দোহায় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন যুদ্ধাহত ফিলিস্তিনিদের দেখতে যান। সেখানেই তাঁকে ছেলে ও নাতি-নাতনিদের নিহত হওয়ার খবর জানানো হয়। গাজার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ঈদের দিনে একটি বেসামরিক গাড়িতে চড়ে এক স্বজনের বাড়িতে যাচ্ছিলেন ইসমাইল হানিয়ার ছেলে ও নাতি-নাতনিরা। ওই গাড়ি লক্ষ্য করে ইসরায়েল বিমান হামলা চালায়।
মিসরের রাজধানী কায়রোতে কাতারের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা চলছে। সেই আলোচনায় অংশ নিয়েছে হামাস। ছেলে ও নাতি-নাতনিদের মৃত্যুতে হামাসের অবস্থান পরিবর্তন হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন ইসমাইল হানিয়া।
হামাসের প্রধান বলেছেন, ‘চলমান যুদ্ধবিরতির আলোচনায় হামাসের অবস্থানের কোনো নড়চড় হবে না। শত্রুরা যদি মনে করে, আলোচনা যখন গতিশীল হয়েছে এবং হামাস যখন তাদের অবস্থান জানাবে, এমন সময়ে আমার ছেলেদের লক্ষ্যবস্তু বানালে হামাস অবস্থান পরিবর্তন করবে, তাহলে তারা কল্পনার জগতে রয়েছে। আমাদের দেশের মানুষের রক্ত আমার ছেলেদের রক্তের চেয়ে আমার কাছে কম কিছু নয়।’
চলমান আলোচনায় হামাস স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে সব ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে। এ ছাড়া কোনো বাধা ছাড়া ফিলিস্তিনের উত্তরাঞ্চল থেকে বাস্তুচ্যুতদের ঘরে ফেরার সুযোগ দেওয়ার দাবি করেছে তারা।
অন্যদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলছেন, হামাসকে নির্মূল এবং তাদের হাতে জিম্মি থাকা ব্যক্তিদের মুক্ত না করা পর্যন্ত যুদ্ধ চলবে।
উল্লেখ্য, ইসমাইল হানিয়া হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান। গত শতকের আশির দশকে হামাসের উত্থানকালে ফিলিস্তিনি মুসলিমদের এই রাজনৈতিক ও সামরিক আন্দোলনের সামনের কাতারে ছিলেন ইসমাইল হানিয়া। ১৯৮৯ সালে তাঁকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয় ইসরায়েল। এরপর ১৯৯২ সালে আরও কয়েকজন হামাস নেতার সঙ্গে হানিয়াকে ইসরায়েল ও লেবানন সীমান্তের শূন্যরেখায় ছেড়ে দেয় ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।
এক বছর নির্বাসনে থাকার পর ইসমাইল হানিয়া গাজায় ফেরেন। ১৯৯৭ সালে হামাসের মতাদর্শিক গুরুর কার্যালয়ের প্রধানের দায়িত্ব পান তিনি। এতে হামাসে তাঁর পদমর্যাদা বাড়ে।
ফিলিস্তিনের জাতীয় নির্বাচনে হামাস বেশির ভাগ আসনে জয় পাওয়ার পর ২০০৬ সালে ইসমাইল হানিয়া প্রধানমন্ত্রী হন। প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের দল ফাতাহর সঙ্গে সপ্তাহব্যাপী রক্তক্ষয়ী সংঘাতের পর সরকার ভেঙে দেওয়া হয়। গাজা থেকে ফাতাহের কার্যক্রম গুটিয়ে নেওয়া হয়। গাজার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেয় হামাস।
২০১৭ সালে ইসমাইল হানিয়া হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান নির্বাচিত হন। পরের বছর ইসমাইল হানিয়াকে ‘সন্ত্রাসী’ অভিহিত করে যুক্তরাষ্ট্র। কয়েক বছর ধরে কাতারে বসবাস করছেন ইসমাইল হানিয়া।
আফ্রিকার দেশ ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে তীব্র লড়াইয়ের কারণে গত রোববার থেকে গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত ৫ দিনে ৭ শতাধিক নিহত হয়েছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলীয় বৃহত্তম শহর গোমাতে তীব্র লড়াইয়ের কারণে এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া, আরও ২ হাজার ৮০০ জন...
১ ঘণ্টা আগেমহারাষ্ট্র রাজ্যের থানে জেলার ভিবান্ডির একটি অর্কেস্ট্রা বার থেকে নয় নারীকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতীয় পুলিশ। পুলিশ বলছে, গত বৃহস্পতিবার অভিযানে গ্রেপ্তার নারীরা বাংলাদেশি। তাঁরা অবৈধভাবে বারে নাচের পেশায় যুক্ত ছিলেন।
১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্র ও লাতিন আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলার মধ্যে সম্পর্কের বরফ গলছে। অন্তত সম্প্রতি দেশটির প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সঙ্গে মার্কিন দূত রিচার্ড গ্রেনেলের সাক্ষাৎ এবং কারাকাস থেকে ৬ মার্কিন নাগরিককে দেশে ফেরার অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি এই ইঙ্গিতই দেয়
১ ঘণ্টা আগেআফ্রিকার দেশ দক্ষিণ সুদানের একটি পশুর খামারে সশস্ত্র লুটেরাদের হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১১ জন। স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার সকালে পূর্ব ইকুয়াতোরিয়া রাজ্যের মাগুই কাউন্টির নিয়োলো বোমায় দিনকা বোর এলাকায় পশুপালকদের তিনটি ক্যাম্পে লুটেরারা হামলা চালালে...
২ ঘণ্টা আগে