আমানুর রহমান রনি, ঢাকা

দেশে ২০ লাখ মানুষ অনলাইন জুয়ায় জড়িত। তারা মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিসের (এমএফএস) মাধ্যমে মাসে ১৫০ কোটি টাকার বেশি অবৈধভাবে লেনদেন করে। এভাবে বছরে লেনদেন হয় ১ হাজার ৬০০ কোটি থেকে ২ হাজার কোটি টাকা। এই টাকা ভার্চুয়াল মুদ্রায় রূপান্তরিত করে এবং হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করা হয়। জুয়ার এমন ১৮৬টি অ্যাপ ও লিংকের তথ্য পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এই জুয়ায় দেশের সব মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের এজেন্ট নম্বরই ব্যবহৃত হয়। জুয়ার টাকা লেনদেনে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের এজেন্ট নম্বর মোটা অঙ্কের কমিশনের বিনিময়ে জুয়াড়িদের কাছে ভাড়ায় খাটে। এ রকম প্রায় দেড় হাজার নম্বরের তথ্য পেয়েছে সিআইডি। এই অবৈধ লেনদেন বন্ধ করতে সিআইডি সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংককে কিছু সুপারিশ দিয়েছে। সিআইডি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, দেশে ২০ লাখ মানুষ জুয়ার সাইট ও অ্যাপে নিবন্ধিত। তাদের মধ্যে ৫ লাখ মানুষ নিয়মিত জুয়া খেলে। দেশে কতগুলো জুয়ার সাইট ও অ্যাপ চালু আছে, তার সঠিক তথ্য নেই কোনো সংস্থার কাছে। তবে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি), বাংলাদেশ ব্যাংক ও পুলিশ যখন যেগুলোর বিষয়ে তথ্য পায়, সেগুলোর বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়।
সিআইডি সূত্রে জানা জায়, গত মাসে তারা জুয়ার ১৮৬টি সাইট, অ্যাপ, ইউটিউব ও ফেসবুক লিংকের তথ্য পেয়েছে। প্রতিটির বিষয়ে আলাদা তদন্ত হচ্ছে।
সিআইডির প্রধান ও অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ আলী মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা প্রতিনিয়ত অভিযান অব্যাহত রেখেছি। তবে একটি বন্ধ করলে সঙ্গে সঙ্গে আরও ১০টি জুয়ার সাইট খুলে যায়। কিছু গণমাধ্যম জুয়ার বিজ্ঞাপনও প্রচার করে।’ তিনি বলেন, অনলাইন জুয়া বন্ধ করতে গণমাধ্যম, পুলিশ, মোবাইল ব্যাংকিং অপারেটর সবার একসঙ্গে কাজ করতে হবে। তাহলে বন্ধ হবে।

সিআইডি জানায়, দেশি জুয়াড়িদের নিজস্ব কোনো অ্যাপ বা সাইট নেই। সব বিদেশে তৈরি এবং বিদেশ থেকেই নিয়ন্ত্রিত হয়। দেশে তাদের কিছু দালাল কাজ করে। জুয়ার ১৮৬টি অ্যাপ ও লিংকের নিয়ন্ত্রণ রাশিয়া, সাইপ্রাস, আফ্রিকা ও ভারতের জুয়াড়িদের কাছে। এগুলোর মধ্যে অন্তত ৫০টি সাইট ও অ্যাপ বাংলাদেশি জুয়াড়িদের কাছে বেশি জনপ্রিয়। প্রতিটি অ্যাপ ও সাইটে লেনদেনের জন্য বাংলাদেশের প্রতিটি এমএফএস প্রতিষ্ঠানের একটি করে ৫-৬টি এজেন্ট নম্বর দেওয়া থাকে। দেশে ১৩টি প্রতিষ্ঠান মোবাইল ব্যাংকিংয়ে আর্থিক সেবা দিয়ে থাকে। এদের এজেন্ট নম্বরগুলো জুয়াড়িরা দৈনিক ভিত্তিতে এবং লাখে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা কমিশন ভিত্তিতে ভাড়া নেয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে প্রত্যন্ত অঞ্চলের এজেন্ট নম্বর টার্গেট করে জুয়াড়িরা। এ রকম ৩ হাজারের বেশি এজেন্ট নম্বর পেয়েছে তদন্তসংশ্লিষ্ট সংস্থা। প্রতিটি এজেন্ট নম্বরে মাসে গড়ে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকার অবৈধ লেনদেন হয়। দেড় হাজার এজেন্ট নম্বরে মাসে দেড় শ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়।
সিআইডির মতে, জুয়ার সাইট প্রতিনিয়ত বাড়ছে। পাশাপাশি বাড়ছে অস্বাভাবিক লেনদেনের এজেন্ট নম্বর সংখ্যাও। ফলে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে টাকা লেনদেনের পরিমাণও বাড়ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, দেশে ১৩টি মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান। গত জুনে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ১ লাখ ৩২ হাজার ১৭৫ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে। এর আগে মে মাসে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে লেনদেন হয় ১ লাখ ৮ হাজার কোটি টাকা। তবে এর মধ্যে জুয়ার টাকার পরিমাণ কত, তা জানা নেই কোনো সংস্থার। সিআইডি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের এজেন্ট নম্বরগুলোতে সন্দেহজনক লেনদেন বেশি হয়। সেগুলো নজরদারি করে জুয়াড়িদের সঙ্গে সম্পৃক্ততা মিলছে।
সিআইডি গত ৩১ আগস্ট একটি চক্রের ছয়জনকে ঢাকা ও সিরাজগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করে। সবাই মোবাইল ব্যাংকিংয়ের এজেন্ট। তাঁরা বৈধ ব্যবসা করেন না। জুয়াড়িদের কাছে এজেন্ট নম্বর ভাড়া দিয়ে রেখেছিলেন। তাঁদের মধ্যে রেজাউল করিম একটি মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের ডিএসও। চক্রটি ঢাকাসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এই এজেন্ট নম্বর দিয়ে জুয়াড়িদের সঙ্গে কার্যক্রম পরিচালনা করছিল। তাদের কাছ থেকে ২১টি এজেন্ট নম্বর উদ্ধার করা হয়েছে। জুয়ার জন্য তারা একটি সার্ভারও তৈরি করেছে। তারা এক মাসেই ২০ কোটি টাকা লেনদেন করে। সিআইডি জানায়, এই চক্রের মূল হোতা শরীয়তপুরের মতিউর রহমান রাশিয়ার মস্কোতে আছেন। তাঁর সহযোগী যশোরের আশিকুর রহমান। চক্রটি বাংলাদেশে তিনটি ওয়েবসাইট নিয়ন্ত্রণ করে। এ রকম প্রতিটি জেলায় জুয়াড়িদের এজেন্ট ও সাব-এজেন্ট আছে।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) রেজাউল মাসুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, জুয়ার অ্যাপ ও সাইটে এমএফএস এজেন্ট নম্বর দেওয়া থাকে। এই নম্বরগুলো বৈধ ব্যবসার কথা বলে অনুমোদন নেয়। তবে জুয়াড়িরা কমিশন বেশি দেওয়ায় এজেন্টরা বৈধ ব্যবসা রেখে জুয়াড়িদের সঙ্গে হাত মেলান। ইতিমধ্যে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের এমন কয়েকজন এজেন্ট এবং ডিএসও গ্রেপ্তার হয়েছেন।

দেশে ২০ লাখ মানুষ অনলাইন জুয়ায় জড়িত। তারা মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিসের (এমএফএস) মাধ্যমে মাসে ১৫০ কোটি টাকার বেশি অবৈধভাবে লেনদেন করে। এভাবে বছরে লেনদেন হয় ১ হাজার ৬০০ কোটি থেকে ২ হাজার কোটি টাকা। এই টাকা ভার্চুয়াল মুদ্রায় রূপান্তরিত করে এবং হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করা হয়। জুয়ার এমন ১৮৬টি অ্যাপ ও লিংকের তথ্য পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এই জুয়ায় দেশের সব মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের এজেন্ট নম্বরই ব্যবহৃত হয়। জুয়ার টাকা লেনদেনে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের এজেন্ট নম্বর মোটা অঙ্কের কমিশনের বিনিময়ে জুয়াড়িদের কাছে ভাড়ায় খাটে। এ রকম প্রায় দেড় হাজার নম্বরের তথ্য পেয়েছে সিআইডি। এই অবৈধ লেনদেন বন্ধ করতে সিআইডি সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংককে কিছু সুপারিশ দিয়েছে। সিআইডি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, দেশে ২০ লাখ মানুষ জুয়ার সাইট ও অ্যাপে নিবন্ধিত। তাদের মধ্যে ৫ লাখ মানুষ নিয়মিত জুয়া খেলে। দেশে কতগুলো জুয়ার সাইট ও অ্যাপ চালু আছে, তার সঠিক তথ্য নেই কোনো সংস্থার কাছে। তবে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি), বাংলাদেশ ব্যাংক ও পুলিশ যখন যেগুলোর বিষয়ে তথ্য পায়, সেগুলোর বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়।
সিআইডি সূত্রে জানা জায়, গত মাসে তারা জুয়ার ১৮৬টি সাইট, অ্যাপ, ইউটিউব ও ফেসবুক লিংকের তথ্য পেয়েছে। প্রতিটির বিষয়ে আলাদা তদন্ত হচ্ছে।
সিআইডির প্রধান ও অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ আলী মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা প্রতিনিয়ত অভিযান অব্যাহত রেখেছি। তবে একটি বন্ধ করলে সঙ্গে সঙ্গে আরও ১০টি জুয়ার সাইট খুলে যায়। কিছু গণমাধ্যম জুয়ার বিজ্ঞাপনও প্রচার করে।’ তিনি বলেন, অনলাইন জুয়া বন্ধ করতে গণমাধ্যম, পুলিশ, মোবাইল ব্যাংকিং অপারেটর সবার একসঙ্গে কাজ করতে হবে। তাহলে বন্ধ হবে।

সিআইডি জানায়, দেশি জুয়াড়িদের নিজস্ব কোনো অ্যাপ বা সাইট নেই। সব বিদেশে তৈরি এবং বিদেশ থেকেই নিয়ন্ত্রিত হয়। দেশে তাদের কিছু দালাল কাজ করে। জুয়ার ১৮৬টি অ্যাপ ও লিংকের নিয়ন্ত্রণ রাশিয়া, সাইপ্রাস, আফ্রিকা ও ভারতের জুয়াড়িদের কাছে। এগুলোর মধ্যে অন্তত ৫০টি সাইট ও অ্যাপ বাংলাদেশি জুয়াড়িদের কাছে বেশি জনপ্রিয়। প্রতিটি অ্যাপ ও সাইটে লেনদেনের জন্য বাংলাদেশের প্রতিটি এমএফএস প্রতিষ্ঠানের একটি করে ৫-৬টি এজেন্ট নম্বর দেওয়া থাকে। দেশে ১৩টি প্রতিষ্ঠান মোবাইল ব্যাংকিংয়ে আর্থিক সেবা দিয়ে থাকে। এদের এজেন্ট নম্বরগুলো জুয়াড়িরা দৈনিক ভিত্তিতে এবং লাখে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা কমিশন ভিত্তিতে ভাড়া নেয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে প্রত্যন্ত অঞ্চলের এজেন্ট নম্বর টার্গেট করে জুয়াড়িরা। এ রকম ৩ হাজারের বেশি এজেন্ট নম্বর পেয়েছে তদন্তসংশ্লিষ্ট সংস্থা। প্রতিটি এজেন্ট নম্বরে মাসে গড়ে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকার অবৈধ লেনদেন হয়। দেড় হাজার এজেন্ট নম্বরে মাসে দেড় শ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়।
সিআইডির মতে, জুয়ার সাইট প্রতিনিয়ত বাড়ছে। পাশাপাশি বাড়ছে অস্বাভাবিক লেনদেনের এজেন্ট নম্বর সংখ্যাও। ফলে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে টাকা লেনদেনের পরিমাণও বাড়ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, দেশে ১৩টি মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান। গত জুনে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ১ লাখ ৩২ হাজার ১৭৫ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে। এর আগে মে মাসে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে লেনদেন হয় ১ লাখ ৮ হাজার কোটি টাকা। তবে এর মধ্যে জুয়ার টাকার পরিমাণ কত, তা জানা নেই কোনো সংস্থার। সিআইডি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের এজেন্ট নম্বরগুলোতে সন্দেহজনক লেনদেন বেশি হয়। সেগুলো নজরদারি করে জুয়াড়িদের সঙ্গে সম্পৃক্ততা মিলছে।
সিআইডি গত ৩১ আগস্ট একটি চক্রের ছয়জনকে ঢাকা ও সিরাজগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করে। সবাই মোবাইল ব্যাংকিংয়ের এজেন্ট। তাঁরা বৈধ ব্যবসা করেন না। জুয়াড়িদের কাছে এজেন্ট নম্বর ভাড়া দিয়ে রেখেছিলেন। তাঁদের মধ্যে রেজাউল করিম একটি মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের ডিএসও। চক্রটি ঢাকাসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এই এজেন্ট নম্বর দিয়ে জুয়াড়িদের সঙ্গে কার্যক্রম পরিচালনা করছিল। তাদের কাছ থেকে ২১টি এজেন্ট নম্বর উদ্ধার করা হয়েছে। জুয়ার জন্য তারা একটি সার্ভারও তৈরি করেছে। তারা এক মাসেই ২০ কোটি টাকা লেনদেন করে। সিআইডি জানায়, এই চক্রের মূল হোতা শরীয়তপুরের মতিউর রহমান রাশিয়ার মস্কোতে আছেন। তাঁর সহযোগী যশোরের আশিকুর রহমান। চক্রটি বাংলাদেশে তিনটি ওয়েবসাইট নিয়ন্ত্রণ করে। এ রকম প্রতিটি জেলায় জুয়াড়িদের এজেন্ট ও সাব-এজেন্ট আছে।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) রেজাউল মাসুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, জুয়ার অ্যাপ ও সাইটে এমএফএস এজেন্ট নম্বর দেওয়া থাকে। এই নম্বরগুলো বৈধ ব্যবসার কথা বলে অনুমোদন নেয়। তবে জুয়াড়িরা কমিশন বেশি দেওয়ায় এজেন্টরা বৈধ ব্যবসা রেখে জুয়াড়িদের সঙ্গে হাত মেলান। ইতিমধ্যে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের এমন কয়েকজন এজেন্ট এবং ডিএসও গ্রেপ্তার হয়েছেন।
আমানুর রহমান রনি, ঢাকা

দেশে ২০ লাখ মানুষ অনলাইন জুয়ায় জড়িত। তারা মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিসের (এমএফএস) মাধ্যমে মাসে ১৫০ কোটি টাকার বেশি অবৈধভাবে লেনদেন করে। এভাবে বছরে লেনদেন হয় ১ হাজার ৬০০ কোটি থেকে ২ হাজার কোটি টাকা। এই টাকা ভার্চুয়াল মুদ্রায় রূপান্তরিত করে এবং হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করা হয়। জুয়ার এমন ১৮৬টি অ্যাপ ও লিংকের তথ্য পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এই জুয়ায় দেশের সব মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের এজেন্ট নম্বরই ব্যবহৃত হয়। জুয়ার টাকা লেনদেনে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের এজেন্ট নম্বর মোটা অঙ্কের কমিশনের বিনিময়ে জুয়াড়িদের কাছে ভাড়ায় খাটে। এ রকম প্রায় দেড় হাজার নম্বরের তথ্য পেয়েছে সিআইডি। এই অবৈধ লেনদেন বন্ধ করতে সিআইডি সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংককে কিছু সুপারিশ দিয়েছে। সিআইডি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, দেশে ২০ লাখ মানুষ জুয়ার সাইট ও অ্যাপে নিবন্ধিত। তাদের মধ্যে ৫ লাখ মানুষ নিয়মিত জুয়া খেলে। দেশে কতগুলো জুয়ার সাইট ও অ্যাপ চালু আছে, তার সঠিক তথ্য নেই কোনো সংস্থার কাছে। তবে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি), বাংলাদেশ ব্যাংক ও পুলিশ যখন যেগুলোর বিষয়ে তথ্য পায়, সেগুলোর বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়।
সিআইডি সূত্রে জানা জায়, গত মাসে তারা জুয়ার ১৮৬টি সাইট, অ্যাপ, ইউটিউব ও ফেসবুক লিংকের তথ্য পেয়েছে। প্রতিটির বিষয়ে আলাদা তদন্ত হচ্ছে।
সিআইডির প্রধান ও অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ আলী মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা প্রতিনিয়ত অভিযান অব্যাহত রেখেছি। তবে একটি বন্ধ করলে সঙ্গে সঙ্গে আরও ১০টি জুয়ার সাইট খুলে যায়। কিছু গণমাধ্যম জুয়ার বিজ্ঞাপনও প্রচার করে।’ তিনি বলেন, অনলাইন জুয়া বন্ধ করতে গণমাধ্যম, পুলিশ, মোবাইল ব্যাংকিং অপারেটর সবার একসঙ্গে কাজ করতে হবে। তাহলে বন্ধ হবে।

সিআইডি জানায়, দেশি জুয়াড়িদের নিজস্ব কোনো অ্যাপ বা সাইট নেই। সব বিদেশে তৈরি এবং বিদেশ থেকেই নিয়ন্ত্রিত হয়। দেশে তাদের কিছু দালাল কাজ করে। জুয়ার ১৮৬টি অ্যাপ ও লিংকের নিয়ন্ত্রণ রাশিয়া, সাইপ্রাস, আফ্রিকা ও ভারতের জুয়াড়িদের কাছে। এগুলোর মধ্যে অন্তত ৫০টি সাইট ও অ্যাপ বাংলাদেশি জুয়াড়িদের কাছে বেশি জনপ্রিয়। প্রতিটি অ্যাপ ও সাইটে লেনদেনের জন্য বাংলাদেশের প্রতিটি এমএফএস প্রতিষ্ঠানের একটি করে ৫-৬টি এজেন্ট নম্বর দেওয়া থাকে। দেশে ১৩টি প্রতিষ্ঠান মোবাইল ব্যাংকিংয়ে আর্থিক সেবা দিয়ে থাকে। এদের এজেন্ট নম্বরগুলো জুয়াড়িরা দৈনিক ভিত্তিতে এবং লাখে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা কমিশন ভিত্তিতে ভাড়া নেয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে প্রত্যন্ত অঞ্চলের এজেন্ট নম্বর টার্গেট করে জুয়াড়িরা। এ রকম ৩ হাজারের বেশি এজেন্ট নম্বর পেয়েছে তদন্তসংশ্লিষ্ট সংস্থা। প্রতিটি এজেন্ট নম্বরে মাসে গড়ে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকার অবৈধ লেনদেন হয়। দেড় হাজার এজেন্ট নম্বরে মাসে দেড় শ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়।
সিআইডির মতে, জুয়ার সাইট প্রতিনিয়ত বাড়ছে। পাশাপাশি বাড়ছে অস্বাভাবিক লেনদেনের এজেন্ট নম্বর সংখ্যাও। ফলে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে টাকা লেনদেনের পরিমাণও বাড়ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, দেশে ১৩টি মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান। গত জুনে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ১ লাখ ৩২ হাজার ১৭৫ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে। এর আগে মে মাসে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে লেনদেন হয় ১ লাখ ৮ হাজার কোটি টাকা। তবে এর মধ্যে জুয়ার টাকার পরিমাণ কত, তা জানা নেই কোনো সংস্থার। সিআইডি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের এজেন্ট নম্বরগুলোতে সন্দেহজনক লেনদেন বেশি হয়। সেগুলো নজরদারি করে জুয়াড়িদের সঙ্গে সম্পৃক্ততা মিলছে।
সিআইডি গত ৩১ আগস্ট একটি চক্রের ছয়জনকে ঢাকা ও সিরাজগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করে। সবাই মোবাইল ব্যাংকিংয়ের এজেন্ট। তাঁরা বৈধ ব্যবসা করেন না। জুয়াড়িদের কাছে এজেন্ট নম্বর ভাড়া দিয়ে রেখেছিলেন। তাঁদের মধ্যে রেজাউল করিম একটি মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের ডিএসও। চক্রটি ঢাকাসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এই এজেন্ট নম্বর দিয়ে জুয়াড়িদের সঙ্গে কার্যক্রম পরিচালনা করছিল। তাদের কাছ থেকে ২১টি এজেন্ট নম্বর উদ্ধার করা হয়েছে। জুয়ার জন্য তারা একটি সার্ভারও তৈরি করেছে। তারা এক মাসেই ২০ কোটি টাকা লেনদেন করে। সিআইডি জানায়, এই চক্রের মূল হোতা শরীয়তপুরের মতিউর রহমান রাশিয়ার মস্কোতে আছেন। তাঁর সহযোগী যশোরের আশিকুর রহমান। চক্রটি বাংলাদেশে তিনটি ওয়েবসাইট নিয়ন্ত্রণ করে। এ রকম প্রতিটি জেলায় জুয়াড়িদের এজেন্ট ও সাব-এজেন্ট আছে।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) রেজাউল মাসুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, জুয়ার অ্যাপ ও সাইটে এমএফএস এজেন্ট নম্বর দেওয়া থাকে। এই নম্বরগুলো বৈধ ব্যবসার কথা বলে অনুমোদন নেয়। তবে জুয়াড়িরা কমিশন বেশি দেওয়ায় এজেন্টরা বৈধ ব্যবসা রেখে জুয়াড়িদের সঙ্গে হাত মেলান। ইতিমধ্যে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের এমন কয়েকজন এজেন্ট এবং ডিএসও গ্রেপ্তার হয়েছেন।

দেশে ২০ লাখ মানুষ অনলাইন জুয়ায় জড়িত। তারা মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিসের (এমএফএস) মাধ্যমে মাসে ১৫০ কোটি টাকার বেশি অবৈধভাবে লেনদেন করে। এভাবে বছরে লেনদেন হয় ১ হাজার ৬০০ কোটি থেকে ২ হাজার কোটি টাকা। এই টাকা ভার্চুয়াল মুদ্রায় রূপান্তরিত করে এবং হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করা হয়। জুয়ার এমন ১৮৬টি অ্যাপ ও লিংকের তথ্য পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এই জুয়ায় দেশের সব মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের এজেন্ট নম্বরই ব্যবহৃত হয়। জুয়ার টাকা লেনদেনে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের এজেন্ট নম্বর মোটা অঙ্কের কমিশনের বিনিময়ে জুয়াড়িদের কাছে ভাড়ায় খাটে। এ রকম প্রায় দেড় হাজার নম্বরের তথ্য পেয়েছে সিআইডি। এই অবৈধ লেনদেন বন্ধ করতে সিআইডি সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংককে কিছু সুপারিশ দিয়েছে। সিআইডি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, দেশে ২০ লাখ মানুষ জুয়ার সাইট ও অ্যাপে নিবন্ধিত। তাদের মধ্যে ৫ লাখ মানুষ নিয়মিত জুয়া খেলে। দেশে কতগুলো জুয়ার সাইট ও অ্যাপ চালু আছে, তার সঠিক তথ্য নেই কোনো সংস্থার কাছে। তবে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি), বাংলাদেশ ব্যাংক ও পুলিশ যখন যেগুলোর বিষয়ে তথ্য পায়, সেগুলোর বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়।
সিআইডি সূত্রে জানা জায়, গত মাসে তারা জুয়ার ১৮৬টি সাইট, অ্যাপ, ইউটিউব ও ফেসবুক লিংকের তথ্য পেয়েছে। প্রতিটির বিষয়ে আলাদা তদন্ত হচ্ছে।
সিআইডির প্রধান ও অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ আলী মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা প্রতিনিয়ত অভিযান অব্যাহত রেখেছি। তবে একটি বন্ধ করলে সঙ্গে সঙ্গে আরও ১০টি জুয়ার সাইট খুলে যায়। কিছু গণমাধ্যম জুয়ার বিজ্ঞাপনও প্রচার করে।’ তিনি বলেন, অনলাইন জুয়া বন্ধ করতে গণমাধ্যম, পুলিশ, মোবাইল ব্যাংকিং অপারেটর সবার একসঙ্গে কাজ করতে হবে। তাহলে বন্ধ হবে।

সিআইডি জানায়, দেশি জুয়াড়িদের নিজস্ব কোনো অ্যাপ বা সাইট নেই। সব বিদেশে তৈরি এবং বিদেশ থেকেই নিয়ন্ত্রিত হয়। দেশে তাদের কিছু দালাল কাজ করে। জুয়ার ১৮৬টি অ্যাপ ও লিংকের নিয়ন্ত্রণ রাশিয়া, সাইপ্রাস, আফ্রিকা ও ভারতের জুয়াড়িদের কাছে। এগুলোর মধ্যে অন্তত ৫০টি সাইট ও অ্যাপ বাংলাদেশি জুয়াড়িদের কাছে বেশি জনপ্রিয়। প্রতিটি অ্যাপ ও সাইটে লেনদেনের জন্য বাংলাদেশের প্রতিটি এমএফএস প্রতিষ্ঠানের একটি করে ৫-৬টি এজেন্ট নম্বর দেওয়া থাকে। দেশে ১৩টি প্রতিষ্ঠান মোবাইল ব্যাংকিংয়ে আর্থিক সেবা দিয়ে থাকে। এদের এজেন্ট নম্বরগুলো জুয়াড়িরা দৈনিক ভিত্তিতে এবং লাখে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা কমিশন ভিত্তিতে ভাড়া নেয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে প্রত্যন্ত অঞ্চলের এজেন্ট নম্বর টার্গেট করে জুয়াড়িরা। এ রকম ৩ হাজারের বেশি এজেন্ট নম্বর পেয়েছে তদন্তসংশ্লিষ্ট সংস্থা। প্রতিটি এজেন্ট নম্বরে মাসে গড়ে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকার অবৈধ লেনদেন হয়। দেড় হাজার এজেন্ট নম্বরে মাসে দেড় শ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়।
সিআইডির মতে, জুয়ার সাইট প্রতিনিয়ত বাড়ছে। পাশাপাশি বাড়ছে অস্বাভাবিক লেনদেনের এজেন্ট নম্বর সংখ্যাও। ফলে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে টাকা লেনদেনের পরিমাণও বাড়ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, দেশে ১৩টি মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান। গত জুনে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ১ লাখ ৩২ হাজার ১৭৫ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে। এর আগে মে মাসে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে লেনদেন হয় ১ লাখ ৮ হাজার কোটি টাকা। তবে এর মধ্যে জুয়ার টাকার পরিমাণ কত, তা জানা নেই কোনো সংস্থার। সিআইডি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের এজেন্ট নম্বরগুলোতে সন্দেহজনক লেনদেন বেশি হয়। সেগুলো নজরদারি করে জুয়াড়িদের সঙ্গে সম্পৃক্ততা মিলছে।
সিআইডি গত ৩১ আগস্ট একটি চক্রের ছয়জনকে ঢাকা ও সিরাজগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করে। সবাই মোবাইল ব্যাংকিংয়ের এজেন্ট। তাঁরা বৈধ ব্যবসা করেন না। জুয়াড়িদের কাছে এজেন্ট নম্বর ভাড়া দিয়ে রেখেছিলেন। তাঁদের মধ্যে রেজাউল করিম একটি মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের ডিএসও। চক্রটি ঢাকাসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এই এজেন্ট নম্বর দিয়ে জুয়াড়িদের সঙ্গে কার্যক্রম পরিচালনা করছিল। তাদের কাছ থেকে ২১টি এজেন্ট নম্বর উদ্ধার করা হয়েছে। জুয়ার জন্য তারা একটি সার্ভারও তৈরি করেছে। তারা এক মাসেই ২০ কোটি টাকা লেনদেন করে। সিআইডি জানায়, এই চক্রের মূল হোতা শরীয়তপুরের মতিউর রহমান রাশিয়ার মস্কোতে আছেন। তাঁর সহযোগী যশোরের আশিকুর রহমান। চক্রটি বাংলাদেশে তিনটি ওয়েবসাইট নিয়ন্ত্রণ করে। এ রকম প্রতিটি জেলায় জুয়াড়িদের এজেন্ট ও সাব-এজেন্ট আছে।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) রেজাউল মাসুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, জুয়ার অ্যাপ ও সাইটে এমএফএস এজেন্ট নম্বর দেওয়া থাকে। এই নম্বরগুলো বৈধ ব্যবসার কথা বলে অনুমোদন নেয়। তবে জুয়াড়িরা কমিশন বেশি দেওয়ায় এজেন্টরা বৈধ ব্যবসা রেখে জুয়াড়িদের সঙ্গে হাত মেলান। ইতিমধ্যে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের এমন কয়েকজন এজেন্ট এবং ডিএসও গ্রেপ্তার হয়েছেন।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৪ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৪ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৫ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

দেশে ২০ লাখ মানুষ অনলাইন জুয়ায় জড়িত। তারা মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিসের (এমএফএস) মাধ্যমে মাসে ১৫০ কোটি টাকার বেশি অবৈধভাবে লেনদেন করে। এভাবে বছরে লেনদেন হয় ১ হাজার ৬০০ কোটি থেকে ২ হাজার কোটি টাকা। এই টাকা ভার্চুয়াল মুদ্রায় রূপান্তরিত করে এবং হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করা হয়। জুয়ার এমন ১৮৬টি অ্যাপ ও ল
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৪ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৪ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৫ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

দেশে ২০ লাখ মানুষ অনলাইন জুয়ায় জড়িত। তারা মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিসের (এমএফএস) মাধ্যমে মাসে ১৫০ কোটি টাকার বেশি অবৈধভাবে লেনদেন করে। এভাবে বছরে লেনদেন হয় ১ হাজার ৬০০ কোটি থেকে ২ হাজার কোটি টাকা। এই টাকা ভার্চুয়াল মুদ্রায় রূপান্তরিত করে এবং হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করা হয়। জুয়ার এমন ১৮৬টি অ্যাপ ও ল
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৪ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৫ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

দেশে ২০ লাখ মানুষ অনলাইন জুয়ায় জড়িত। তারা মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিসের (এমএফএস) মাধ্যমে মাসে ১৫০ কোটি টাকার বেশি অবৈধভাবে লেনদেন করে। এভাবে বছরে লেনদেন হয় ১ হাজার ৬০০ কোটি থেকে ২ হাজার কোটি টাকা। এই টাকা ভার্চুয়াল মুদ্রায় রূপান্তরিত করে এবং হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করা হয়। জুয়ার এমন ১৮৬টি অ্যাপ ও ল
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৪ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৫ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

দেশে ২০ লাখ মানুষ অনলাইন জুয়ায় জড়িত। তারা মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিসের (এমএফএস) মাধ্যমে মাসে ১৫০ কোটি টাকার বেশি অবৈধভাবে লেনদেন করে। এভাবে বছরে লেনদেন হয় ১ হাজার ৬০০ কোটি থেকে ২ হাজার কোটি টাকা। এই টাকা ভার্চুয়াল মুদ্রায় রূপান্তরিত করে এবং হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করা হয়। জুয়ার এমন ১৮৬টি অ্যাপ ও ল
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৪ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৪ দিন আগে