জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচির আওতায় চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ ছাড় নিয়ে বাংলাদেশ সফর শেষ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধিদল। তবে এবারের মিশনে পূর্বের মতো সফরের শেষে ‘স্টাফ লেভেল অ্যাগ্রিমেন্ট’ হয়নি। আইএমএফের এই সিদ্ধান্ত, অর্থাৎ চুক্তি ছাড়াই মিশন শেষ করা, পূর্বের রীতি থেকে একটি বড় ভিন্নতা—যা ঋণ ছাড় প্রক্রিয়ার সময়সূচি কিছুটা পিছিয়ে দিতে পারে।
তবে সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, ২১ থেকে ২৬ এপ্রিল ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের বসন্তকালীন সম্মেলনের ফাঁকে উচ্চপর্যায়ের ‘সাইড লাইন’ বৈঠকে সমঝোতার চেষ্টা হবে। সেসব আলোচনার ফল ধরে মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে স্টাফ লেভেল সমঝোতা চূড়ান্ত হতে পারে। এরপর আইএমএফ বোর্ডের ২৭ জুনের সভায় ঋণের দুই কিস্তি অনুমোদনের সম্ভাবনা রয়েছে, যা অনুমোদনের পরদিনই (২৮ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে জমা হবে।
আইএমএফ এর আগেও তিন কিস্তিতে ২ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার ছেড়েছে। এখন বাকি থাকা চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির মোট ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়ের বিষয়ে আলোচনা চলছে। ঢাকা সফরকালে আইএমএফ প্রতিনিধিরা মূলত শর্ত পূরণের অগ্রগতি পর্যালোচনায় মনোনিবেশ করেন। এতে বড় জোর মিলেছে কিছু সংস্কারের বাস্তবায়ন। যেমন বিদ্যুৎ খাতে বিশেষ আইন বাতিল, ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের সংস্কার এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসন নিয়ে প্রক্রিয়াগত অগ্রগতি।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন মনে করেন, এ পর্যন্ত যা হয়েছে এবং ভবিষ্যতে যেসব সংস্কার হবে, সেসব স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে পারলে আইএমএফের সিদ্ধান্তে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠেয় সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে রয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর, ডেপুটি গভর্নর ড. হাবিবুর রহমান এবং প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক দূত লুৎফে সিদ্দিকী। এই প্রতিনিধিরা সাইড লাইনে আইএমএফের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানিয়েছেন, গভর্নর ও ডেপুটি গভর্নর বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন এবং সেখানকার আলোচনা শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।
আইএমএফের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি ছাড়ে আগ্রহ দেখাতে হলে বাংলাদেশকে রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় আধুনিকায়ন, কর আদায়ে সক্ষমতা বাড়ানো এবং কর ছাড় হ্রাসে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের প্রমাণ দেখাতে হবে। পাশাপাশি, মুদ্রানীতি, বিনিময় হার ও সুদের হারকে আরও বাজারভিত্তিক করার পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি। উল্লেখ্য, ৬ থেকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত আইএমএফ প্রতিনিধিরা অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করেন।
৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচির আওতায় চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ ছাড় নিয়ে বাংলাদেশ সফর শেষ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধিদল। তবে এবারের মিশনে পূর্বের মতো সফরের শেষে ‘স্টাফ লেভেল অ্যাগ্রিমেন্ট’ হয়নি। আইএমএফের এই সিদ্ধান্ত, অর্থাৎ চুক্তি ছাড়াই মিশন শেষ করা, পূর্বের রীতি থেকে একটি বড় ভিন্নতা—যা ঋণ ছাড় প্রক্রিয়ার সময়সূচি কিছুটা পিছিয়ে দিতে পারে।
তবে সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, ২১ থেকে ২৬ এপ্রিল ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের বসন্তকালীন সম্মেলনের ফাঁকে উচ্চপর্যায়ের ‘সাইড লাইন’ বৈঠকে সমঝোতার চেষ্টা হবে। সেসব আলোচনার ফল ধরে মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে স্টাফ লেভেল সমঝোতা চূড়ান্ত হতে পারে। এরপর আইএমএফ বোর্ডের ২৭ জুনের সভায় ঋণের দুই কিস্তি অনুমোদনের সম্ভাবনা রয়েছে, যা অনুমোদনের পরদিনই (২৮ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে জমা হবে।
আইএমএফ এর আগেও তিন কিস্তিতে ২ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার ছেড়েছে। এখন বাকি থাকা চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির মোট ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়ের বিষয়ে আলোচনা চলছে। ঢাকা সফরকালে আইএমএফ প্রতিনিধিরা মূলত শর্ত পূরণের অগ্রগতি পর্যালোচনায় মনোনিবেশ করেন। এতে বড় জোর মিলেছে কিছু সংস্কারের বাস্তবায়ন। যেমন বিদ্যুৎ খাতে বিশেষ আইন বাতিল, ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের সংস্কার এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসন নিয়ে প্রক্রিয়াগত অগ্রগতি।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন মনে করেন, এ পর্যন্ত যা হয়েছে এবং ভবিষ্যতে যেসব সংস্কার হবে, সেসব স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে পারলে আইএমএফের সিদ্ধান্তে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠেয় সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে রয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর, ডেপুটি গভর্নর ড. হাবিবুর রহমান এবং প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক দূত লুৎফে সিদ্দিকী। এই প্রতিনিধিরা সাইড লাইনে আইএমএফের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানিয়েছেন, গভর্নর ও ডেপুটি গভর্নর বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন এবং সেখানকার আলোচনা শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।
আইএমএফের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি ছাড়ে আগ্রহ দেখাতে হলে বাংলাদেশকে রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় আধুনিকায়ন, কর আদায়ে সক্ষমতা বাড়ানো এবং কর ছাড় হ্রাসে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের প্রমাণ দেখাতে হবে। পাশাপাশি, মুদ্রানীতি, বিনিময় হার ও সুদের হারকে আরও বাজারভিত্তিক করার পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি। উল্লেখ্য, ৬ থেকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত আইএমএফ প্রতিনিধিরা অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করেন।
অসুস্থতা, দুর্ঘটনাসহ বিপদে-আপদে বিশ্বজুড়ে মানুষের ভরসার কেন্দ্র ‘বিমা’। বিমা পলিসি করা থাকলেই হাসপাতালের বিল পরিশোধ বা দুর্ঘটনার ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কোনো চিন্তা করতে হয় না গ্রাহককে। গ্রাহকের হয়ে বিমা কোম্পানিই সব শোধ করে দেয়। কিন্তু বাংলাদেশের বিমা খাত এখনো সেই ভরসার জায়গা হয়ে উঠতে পারেনি।
৫ ঘণ্টা আগেপেঁয়াজের মৌসুম এখনো শেষ হয়নি। তার আগেই দাম বাড়তে শুরু করেছে। বাজারে দাম আরও বাড়বে; সেই আশায় কৃষক, ফড়িয়া, ব্যবসায়ী—সবাই সাধ্যমতো পেঁয়াজ ধরে রাখছেন, সুবিধামতো সময়ে ছাড়ছেন অল্প অল্প করে। আর এতেই মোকামে বাড়ছে পণ্যটির দাম, যার প্রভাব পড়ছে পাইকারি ও খুচরা বাজারে।
৬ ঘণ্টা আগেদক্ষিণ এশিয়ার বাণিজ্য মানচিত্রে বাংলাদেশের অবস্থান বদলে দিতে যাচ্ছে মাতারবাড়ী। বহুল কাঙ্ক্ষিত গভীর সমুদ্রবন্দর প্রকল্পটি এখন আর কাগজে আঁকা স্বপ্ন নয়, সেটি বাস্তবায়নের মোক্ষম বাঁক পেরিয়ে প্রবেশ করতে যাচ্ছে নির্মাণপর্বে। এ লক্ষ্যে আগামীকাল মঙ্গলবার ঢাকায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে জাপানের দুটি
৬ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ থেকে আম ও ইলিশ আমদানিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন চীনের ইউনান প্রদেশের গভর্নর ওয়াং ইউবো। গতকাল রোববার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এই আগ্রহের কথা জানান। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা জোরদার করার বিষয়ে আল
৬ ঘণ্টা আগে